ইদানিং লক্ষ্য করছি যে ব্যাঙের ছাতার মতো বেশকিছু ফেসবুক বিজনেস পেজ থেকে কম মূল্যে এক কথায় বলতে পারেন যে মাগনাই ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করে দেয়ার ভিবিন্ন লোভনীয় প্রস্তাব দেয়া হয়। ডোমেইন+হোস্টিং এমনকি সাথে গুগলের একদম ফার্স্ট পেজের ফার্স্ট পজিশনে র্যাংক করিয়ে দেয়া।
ওরে ভাইরে ভাই কে তোমরা? গুগল এর মালিক বা সিইও কি তোমাদের দুলাভাই নাকি শশুর লাগে?
ভাই একটা
ওয়েবসাইট বানানো ওই হয়-কোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করার মতো সহজ বিষয় না
যদি কারো কাছে এমন মনেহয় তাহলে ওয়েবসাইট বানানো বাদ দিয়ে ভিক্ষাই করেন তবুও
বাংলাদেশ এই ফ্রীল্যান্সিং প্রফেস্সং এবং যারা প্রফেশোনাল তাদের মানসন্মান
ডুবাইয়েন না।
একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে বানিয়ে দিচ্ছে ৫/৭-হাজার টাকায়। কেমনে ভাই?
মনে তো এই ধরণের প্রফেশনাল এবং তাদের কাজের মান সম্পর্কে অনেক খারাপ চিন্তা-ভাবনা উঁকি মারে। যাইহোক পাবলিক প্লাসে কারো মা-বোন নিয়ে টানাটানি করাটা ভদ্রলোকের স্বভাব-চরিত্র বিরোধী তাই এই বিষয়ে আর কিছু বলতে চাইনা।
আচ্ছা একটি
অতি সাধারণ অথবা নিম্নতম মানের ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানানোর ক্ষেত্রে
নূন্যতম বাজেট কেমন হওয়া উচিৎ। এই ক্ষেত্রে আমি স্ক্রেচ মানে জিরো তো হিরো
ধরছি না মানে এইচটিএমএল টু ফুল ফাংশনাল একদম লাইভ ওয়েবসাইট অবগন এসইও কারণ
যদি কাস্টম ই-কমার্স ওয়েবসাইট-ডেভেলপ করতে হয় দেন প্রাথমিক বাজেট হবে
নূন্যতম ৭০০০/১০০০০-ডলার(স্ট্যান্ডার্ড প্রফেশনাল রেট)।
আমি ধরে নিচ্ছি আপনি রেডি থিম নিয়ে কাজ করবেন।
তো এই ক্ষেত্রে একদম প্রাথমিক যে বিষয়টা আসে সেটা হচ্ছে ডোমেইন এবং হোস্টিং।
ডোমেইন --> ৮৫০/১০০০-টাকায় ধরলাম। (.কম এক্সটেনশন বাধ্যতামূলক)
হোস্টিং --> ই-কমার্সের শেয়ার্ড হোস্টিং চলে না। কেউ যদি শেয়ার্ড হোস্টিংয়ের বিষয় মাথায় আনেন তাহলে আপনি _________ ড্যাস ড্যাস স্থানে আপনার ১৪-গুষ্টি উদ্ধার করা হইছে।
এই ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের মালিক এবং যিনি বানাবেন কেউ ভুল করেও শেয়ার্ড হোস্টিং নিজে কাজ করার বিষয় কল্পনাতেও আনতে পারবেননা।
ই-কমার্সের জন্য আলাদা ডেডিকেটেড হোস্টিং/ই-কমার্স হোস্টিং/ ভিপিস টাইপের হোস্টিং লাগে। এবং এই ধরণের হোস্টিং একটু ব্যয়বহুল। নূন্যতম প্রাইস ভিবিন্ন হোস্টিং সংক্রান্ত ফ্যাসিলিটিজ সহকারে ১-বছরের জন্য দাম হতে পারে নূন্যতম ১০০০০+ টাকা। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ই-কমার্স সাইটে ভিজিটর বেশি হয় তাই নরমাল হোস্টিং দিয়ে বানানো সাইট অতিরিক্ত ভিজিটরের চাপে প্রায় সময় ডাউন হয়ে যাবে এবং আপনি কাস্টমার এবং র্যাংকিং ২-তাই হারাবেন।
ই-কমার্স
ওয়েবসাইট বা যেকোনো ওয়েবসাইট এর জন্য ফ্রি থিম ব্যবহার না করাটাই সর্বোত্তম
আর ই-কমার্সের ক্ষেত্রে এইটা একদম ডাইরেক্ট নিষিদ্ধ বিষযে মধ্যে পরে যায়।
একটি ভালো মানে পেইড ই-কমার্স থিমের দাম নূন্যতম ৫০/৬০-ডলার অর্থাৎ ৪/৫-হাজার টাকা।
এর পরে
আসছে সাপোর্টিং প্লাগিনের কথা যেহেতু ই-কমার্স ওয়েবসাইট তাই ইমেজ কমপ্রেস
করা এবং ক্যাশিং টাইপের কিছু পেইড প্লাগিন লাগবেই তাছাড়া ই-কমার্স রিলেটেড
ভিবিন্ন প্লাগইন-ও লাগতে পারে তো এই ক্ষেত্রেও লাগবে নূন্যতম ৭/১০-হাজার
টাকা। স্পিড অপ্টিমাইজেশনের জন্য ডব্লিউপি-রকেট এক প্রকার বাধ্যতামূলক
শুধুমাত্র এইটার দাম-ই ৪-হাজার টাকা।
যাইহোক
ওয়েবসাইট বানাইলাম এখন ই-কমার্স সাইট বা পৃথিবীর যেকোনো ধরণের সাইটই হোক না
কেন কনটেন্ট ছাড়া ওয়েবসাইট মানে আন্ডারওয়্যার ছাড়া সুপারম্যানের মতন।
প্রিমিয়াম কনটেন্ট --> ডিটেলেড ডেসক্রিপশন + প্রস এন্ড কন সংক্রান্ত
হাই-কোয়ালিটির কন্টেন্ট লাগবেই। এই ক্ষেত্রে ধরেই নিলাম আপনি ইমেজ কোনো
ভাবে মাগনাই জোগাড় করে ফেললেন কিন্তু ভুলেও কনটেন্ট কপি করার উপায় নাই
ডাইরেক্ট ধরা খাবেন। আর ই-কমার্স সাইটে প্রাথমিক ভাবে হলেও
টার্মস-কন্ডিশন-রিটার্ন পলিসি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট সহ অন্যান্য
সাপোর্টিং কনটেন্ট বাধ্যতামূলক। ভালো মানের কনটেন্ট দিলেও প্রাথমিক ভাবে
অন্তত ৮/১০-হাজার টাকার কনটেন্ট লাগবেই।
এর পরে
আসছে যিনি ওয়েবসাইট বানানবেন তার একটা নূন্যতম পারিশ্রমিকের ব্যপার। ধরলাম
আপনি উদার তাই মাগনা বানিয়ে দিবেন সো এই ক্ষেত্রে কস্ট ০০-টাকা।
পরবর্তী ধাপ এসইও/মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া অপ্টিমাইজেশন। এই বিষয়ে ব্যয়ের প্রসঙ্গ এই মুহূর্তে আন্তে চাচ্ছি না।
আচ্ছা যদি
পারিশ্রমিক + এসইও/মার্কেটিং(পেইড/ফ্রি) এবং এসএমএম ব্যাড দিয়ে শুধু
ওয়েবসাইটি লাইভ করা পর্যন্ত নূন্যতম খরচের হিসাব করি তাহলে মতো খরচ
দাঁড়াচ্ছে নিম্নরূপঃ-
ডোমেইন ১০০০+ হোস্টিং ১০০০০+ থিম ৪০০০+ প্লাগিন ৪০০০+ কনটেন্ট ৮০০০ অর্থাৎ নূন্যতম ২৫/২৬-হাজার টাকার লাগবেই।
তারপরেও আমি পারিশ্রমিক এবং পরবর্তীত সব ধরণের কস্ট বাদ দিয়েছি।
মানুষ কিভাবে ৫/৭-হাজার তাকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানায় আমি বুঝিনা।
এই টাকায় যারা ওয়েবসাইট বানায় এবং যারা কিনে উভয়েই ঘোড়া রোগে আক্রান্ত মানে বাস্তবে পান্তা জোটে না কিন্তু খাইতে চায় অলওয়েজ ৭-তারা হোটেলে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
যারা
ইতিমধ্যে ব্যাবসা করার পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছেন তাদের কে অসংখ্য ধন্যবাদ
কেননা অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্র ব্যাবসার মত হালাল কর্ম আর দ্বিতীয়টি নেই।
তবে হ্যাঁ, সব কিছুর হুট-হাট করে করলে বেশিরভাগ সময় ফল টা খারাপ আসে, তাই
শুধু ব্যাবসা না যেকোন কিছু করার আগেই আমাদের প্রয়োজন দীর্ঘ পরিকল্পনা।
কোন ব্যবসা করবেনঃ
আগে ঠিক করুন আপনি কি ধরনের ব্যাবসা করতে চান। কি ধরনের ব্যাবসা করবেন এটি মূলত #মূলধন আর দক্ষতার উপর নির্ভর করবে।
#
মূলধনঃ আপনার মূলধন এর উপর নির্ভর করবে, আপনি কি ধরনের ব্যাবসা করতে চান।
প্রথমিক ভাবে আপনার যে মূলধন আছে সেটি দিয়েই যে ব্যবসা করতে চান সেটি ছোট
করেই শুরু করুন, ব্যবসার বাজার আর পরিবেশ সম্পর্কে ভালো ধারনা এসে গেলে,
প্রয়োজনে পরিবারের লোকজনের কাছে থেকে/ ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসার পরিধি আস্তে
আস্তে বাড়াতে পারেন।
মনে রাখবেনঃ হালাল ব্যাবসায় কোন শর্ট-কার্ট নেই। তাই ধৈর্য ধরে আস্তে আস্তে সামনের দিকে আগান।
Highly recommended: ৫,০০০৳ ব্যবসা শুরু করুন।
Highly recommended: তিনটি ক্ষুদ্র লাভজনক ব্যাবসার আইডিয়া
#
দক্ষতাঃ ব্যবসা শুরু করার জন্য অবশ্যই ব্যবসার একটি লাইন সম্পর্কে ভালো
জ্ঞান থাকতে হবে। যে ব্যাবসাটি আপনি করতে চাচ্ছেন, সেটির বাজার কেমন এই
নিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে। প্রয়োজনে আপনার মনস্থির করা ব্যবসা টি যারা যারা
করছেন, তাদের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রেখে, তাদের কাছ থেকে নানা ধরনের তথ্য
সংগ্রহ করতে হবে। যত বাজার গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ করবেন তত লোকসান এর ঝুকি
কমে যাবে।
উদাহরণঃ যদি কেউ চিন্তা করে যে সে চকোলেটের ব্যবসা করবে তাহলে তার যে সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবেঃ
১. চকোলেট কয় ধরনের, কত প্রকার, কোন কোন দেশ প্রস্তুতকারক, সেদেশ থেকে কিভাবে আনতে হয়।
২. ঝুকি।
৩. বাজারজাতকরণ।
৪. লাভ করার মেকানিজম।
এসব
জানতে হলে অবশ্যই চকোলেটের ব্যবসায়ীদের সাথে নিদেনপক্ষে ৫বছর ফ্রি সার্ভিস
দিতে হবে। আমার পরিচিত কিছু চামড়া ব্যবসায়ী আছেন যারা লেদার টেকনোলজি থেকে
পাশ করে নাই কিন্তু চামড়া ব্যবসাতে ব্যপক উন্নতি করেছে। এদের অতীত হচ্ছে
এরা ট্যানারীতে কাজ করতে করতে ব্যবসায়ী হয়েছে।
আপনাকে ৫ বছর সার্ভিস
দিতে হবে, আপনি কয়েকমাস উপরোক্ত কাজগুলো করেন, তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে
পারবেন যে, আপনার মনস্থির করা ব্যাবসা টি আপনার জন্য লাভজনক হবে নাকি
লোকসান এর মুখ দেখতে হবে।
মন সেটয়াপঃ উপরের ধাপগুলোর পর সেই স্টেপ
টি অনেক গুরুত্ব বহন করে সেটি হল, মন কে ঐ কাজের প্রতি ধাবিত করা(সেই
ব্যাবসা টি করতে চাচ্ছেন)। এই মন সেটাপ এর গুরুত্ব আমি অনেক বেশি মনে করি,
কেননা আপনি অনেক টাকা খরচ করে একটি ব্যাবসা শুরু করলেন কিন্তু কিছুদিন না
যেতেই আপনার ব্যাবসা টি ভালো লাগছে না বা আরেকটি ভালো ব্যাবসার দিকে নজর
পড়েছে। সেক্ষেত্রে আপনি অনেক টাকার ক্ষতির সম্মুক্ষীন হতে পারেন, তাই ভাল
করে সিদ্ধান্ত নিন, এবং মন কে সেটআপ করুন , আপনি যে ব্যাবসা টি করছেন এটাই
আপনার জন্য বেস্ট, এটাই আপনার সাফল্যের চাবি কাঠি। নতুন কোন ব্যাবসা যুক্ত
করতে চাইলে/ অন্য ব্যবসায় যেতে চাইলে, ধীরে সুস্থে আগের ব্যাবসা ত্থেকে সময়
নিয়ে নতুন ব্যবাসায় আসুন, এতে লোকসান এর পরিমাণ কম হবে আবার বা কোন
ক্ষেত্রে এক পয়সাও লোকসান হবে না।
আর্টিকেল টি ধৈয্য সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আর্টিকেল টি শেয়ার এর মাধ্যমে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।
যারা অল্প মূলধন নিয়ে খুচরা ব্যবসা করেন তারা কোন ভাবে মূলধন জোগাড় করতে পারলে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
পাইকারি
ব্যবসা শুরু করতে আপানকে খুচরা ব্যবসার থেকেও বেশী মূলধন জোগাড় করতে হবে।
পাইকারি ব্যবসার মুল সূত্র হলো বিক্রি বেশী কিন্তু লাভ কম। যেমন আপনি যদি
কনো পণ্যে খুচরা বিক্রি করে ১০ টাকা লাভ করেন সেই পণ্য পাইকারি বিক্রি
করলে
১ টাকা লাভ করতে পারবেন। তবে খুচরা দোকানে আপনি হয়তো সেই পণ্য ৫ পিস
বিক্রি করতে পারবেন কিন্তু পাইকারি বিক্রেতা সেখানে ৫০০ পিস বিক্রি করবে।
কিভাবে একটা পণ্যের পাইকারি ব্যবসা শুরু করা যাবে?
একটা পণ্যের পাইকারি ব্যবসা শুরু করার জন্য পণ্যের সোরচিং টা খুব জরুরি। পাইকারি ব্যবসার পণ্য আসে দুই উৎস থেকে।
বিদেশ থেকে আমদানি করে অথবা বাংলাদেশি উৎপাদনকারীদের থেকে ক্রয় করে। ব্যবসা শুরু করার আগে আপনি অবশ্যই
খোজ করে নিবেন কারা আপনাকে পণ্য সরবরাহ করবে। পাইকারি ব্যবসাতে আপনাকে বাকিতে পণ্য বিক্রি করতে হবে। একটা
উদাহরন
দিলে আপনি বুঝতে পারবেন। যেমন খেজুর বাদামতলিতে পাইকারি বিক্রি করা হয়।
আপনি জদি সেখানে খেজুর পাইকারি বিক্রি করে ব্যবসা করতে চান তবে আপনাকে
হয়তোবা খেজুর আমদানি করতে হবে অথবা কোন আমদানিকারকের থেকে কিনে নিতে হবে।
ব্যবসা শুরুর আগে আপনার পণ্যের উৎসটা ভালো করে খুঁজে নিতে হবে। পাইকারি
ব্যবসাতে অনেক বেশী প্রতিযোগিতা থাকে। খুব সাবধানে আপনাকে ব্যবসা শুরু করতে
হবে। মন চাইলেই আপনি এই ব্যবসা ছেড়ে দিতে পারবেন না। কারন এখানে আপনাকে
অনেক বেশী টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। যদি ব্যবসা ছেড়ে দেন তবে লসও অনেক বেশী
হবে।
কিভাবে পাইকারি ব্যবসার পণ্য নির্বাচন করবেন ?
পাইকারি ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে গুরত্বপুর্ণ হলো পণ্য নির্বাচন করা ।
আপনি চাইলেই যে কোন পণ্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না।
একটা পণ্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে অনেক কিছু বিবেচনায় আনতে হবে।
১। আপনার প্রতিদন্ধি কারা ।
পাইকারি
ব্যবসার পণ্য নির্বাচন করার আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রতিদন্ধি কারা এটা
ভালো করে জানতে হবে। উদাহরন স্বরূপ বলা যায় বাদামতলিতে আপনি ফল পাইকারি
বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে চান । আপনি যদি চিন্তা করেন আপনি ফল
আমদানিকারকদের থেকে কিনে বাজারে সরবরাহ
করবেন তাহলে আপনি ধরা খাবেন।
কারন সেখানে অধিকাংশ বযবসায়িরাই আমদানিকারক। ফলে আপনাকে ফল আমদানি করে
বিক্রির ছিন্তা করতে হবে। এবার কেবল আমদানি করলেই হবেনা, আমদানির পরিমান
টাও জানতে হবে, কোন দেশে উৎপাদন হয় সেটাও জানতে হবে। কারন আপনার নির্বাচিত
পণ্য যদি কেউ মাসে ১০ কন্টাইনার আমদানি করে আর আপনি করেন ১ কন্টাইনার,
তাহলে আপনি কম দামে আমদানি করতে পারবেন না।
সুতরাং আপনাকে অবশ্যই কম প্রতিযোগিতা পূর্ণ পণ্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে হবে।
২। পণ্যের দাম
পাইকারি ব্যবসার পণ্য নির্বাচন করার আগে আপনাকে পণ্যের দাম জেনে নিতে হবে। কারন যত দামি পণ্য তত বেশী মূলধন বিনিয়গ করতে হবে।
আপনি যদি কম দামি পণ্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চান তবে কম দামি পণ্য নিয়ে শুরু করতে পারেন।
চীনের বর্তমান এ পরিস্থিতি যদি আরো দুইমাস চলতে থাকে তাহলে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প অর্ধেক ধ্বসে যাবে। উন্নয়নশীল, মধ্যম আয়ের দেশগুলো বড়সড় ধাক্কা খাবে। কি রকম..?
চীন থেকে
আমদানি বন্ধ থাকলে বাংলাদেশর পণ্যের দাম বাড়তে পারে দ্বিগুণ। কারণ চীন থেকে
বাংলাদেশ প্রতি বছর গড়ে ১৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে। এর মধ্যে আছে ঔষধ
তৈরির কাচামাল, গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল, ইলেক্ট্রনিক পণ্য,
যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ইত্যাদি..!!
ঔষধ শিল্পঃ
চীনে আরো সপ্তাহখানেক যদি এ অবস্থা চলে তাহলে ইউরোপের কোনো দেশ বা অন্য কোথাও থেকে আনতে হবে এসব কাঁচামাল। সেক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ হবে দ্বিগুণের বেশি। যার প্রভাব পড়বে ওষুধের দামের ওপর..!!
গার্মেন্টস শিল্পঃ
বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো সস্তা শ্রমবাজার ও কাঁচামাল। বোতাম, সুতা থেকে শুরু করে আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের ৯৯% কাঁচামাল ও মেশিনারিজ আসে চীন থেকে। তারউপর বর্তমানে প্রতিদ্ব’ন্দ্বিতাপূর্ণ বাজার ও আন্তর্জাতিক নানা চাপ, চীনের কাচামাল সরবরাহ বন্ধ থাকলে গার্মেন্টস শিল্পের ধ্বস তলানিতে গিয়ে ঠেকতে পারে..!!
ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যঃ
আমাদের দেশের ইলেক্ট্রনিক্স যত পণ্য আছে, এগুলোর প্রায় সবগুলোর ই যন্ত্রাংশ আসে চীন থেকে। এমনকি ওয়ালটনের টিভি, ফ্রিজসহ যাবতীয় সকল পণ্যের যন্ত্রাংশ চীন থেকে আনা হয়। একই অবস্থা দেশের অন্য ব্র্যান্ডগুলোরও। মাসখানেক চীন থেকে পণ্য আসা বন্ধ থাকলে টিভি ফ্রিজসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে..!!
কসমেটিকসঃ
বাংলাদেশের কসমেটিকের বড় একটা বাজার সয়লাব করে আছে চায়নিজ কসমেটিক পণ্যে। দেশের বাজারে যে লিপস্টিক ৫শ থেকে ৬শ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, চীন কয়েকসাপ্তাহ বাণিজ্য বন্ধ রাখলে, একই পণ্যের দ্বিগুণ দাম হতে পারে..!!
এছাড়া,
প্লাস্টিক ও আসবাবপত্র কোম্পানিগুলোও চীন থেকে কাচামাল সরবরাহ করে। খেলনা,
খাদ্যপণ্য, দুধ ও কোটাজাত পণ্য ইত্যাদি চীন থেকে আমদানি করতে হয়..!!
চীনের এ পরিস্থিতিতে লাভবান হবে কোন দেশ..?
বিশেষ করে
ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ভারত এসব দেশ লাভবান হবে। এর কারণ, চীন তাঁদের উৎপাদন
ব্যয় কামতে ৩৩% গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি ভিয়েতনামে সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়া (EU)
সঙ্গে ভিয়েতনামের ফ্রিট্রেড চুক্তি (এফটিএ) হওয়ায় সল্পমূল্যে পণ্য
রপ্তানিতে ভিয়েতনাম এগিয়ে যাবে আরো একধাপ..!!
এছাড়া
ফিলিপাইন ইউরোপ আমেরিকার নিকটবর্তী হওয়ায় সেসব দেশথেকে তাঁদের প্রয়োজনীয়
কাচামাল সরবরাহ করতে পারবে। যেটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ব্যয় সাধ্য হয়ে
পড়বে..!!
এছাড়া ভারত
দিনদিন তুলা চাষে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায়, লোয়েস্ট মজুরী খরচ এবং প্রয়োজনীয়
কাচামাল নিজেরাই উৎপাদনে আসায় তাঁদের গার্মেন্টস শিল্প এক ধাপ এগিয়ে যেতে
পারে। তারউপর ভারতের সঙ্গে বহিঃ বিশ্বের কূটনীতিক তৎপরতা ভালো হওয়ায়, এ
সুযোগ ভারত হাতছাড়া করবেনা বলেও ধারণা আছে...!!
বিশ্বের
প্রায় প্রতিটি উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি প্রায় থমকে গেছে। চীনের সঙ্গে
বাণিজ্য যুদ্ধ থাকা সত্বেও আমেরিকা চীনকে সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে..!
কেবল বাংলাদেশ ও দেশের জনগণ অনেকটা সস্তিতে আছে। চীনাবাসীর উপর এ 'গজব' ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য বড়ই সুখের ও আনন্দের ব্যাপার..!!
কিন্তু যাদের উপর নির্ভর করে বিশ্ব অর্থনীতির চাকা ঘুরে, তাঁদের দুর্ভোগ মানে, সারাবিশ্বের জন্য গজব..!!
চীন কেবল একটি দেশ নয়। চীন হলো একটি বাজার। বাজার বন্ধ হওয়া মানে, খাবার কেনা বন্ধ..!!
কামাল কাদির, যিনি কিনা বিকাশের স্বপ্নদ্রষ্টা। এর আগে তিনি সেলবাজার.কম এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রায় ৭০ ভাগ বিকাশের দখলে আছে।
রাইসুল কবির, যিনি কিনা ব্রেইনস্টেশন ২৩ এর প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি নেদারল্যান্ডস, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য, ইসরাইল সহ বিশ্বের নানা জায়গায় সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করছে।
হুসেইন এম ইলিয়াস, পাঠাও এর সহ প্রতিষ্ঠাতা। পাঠাও বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং সিস্টেমে এক বিপ্লব বয়ে এনেছে। বর্তমানে এটি নেপালেও সার্ভিস চালু করেছে।
কাওসার আহমেদ, জুমশেপারের প্রতিষ্ঠাতা। জুমলাভিত্তিক শীর্ষ চারটি কোম্পানির একটি হল জুমশেপার। ২০১৬ সাল নাগাদ তাদের ৪.৫ মিলিয়ন টেম্পলেট ডাউনলোড হয়েছে।
মাহমুদুল হাসান সোহাগ, অন্যরকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। উদ্ভাস কোচিং দিয়ে শুরু করে রকমারি.কম, টেকশপ বিডি, অন্যরকম ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে এই গ্রুপের ভেতর।
মালিহা এম কাদির, সহজের প্রতিঠাতা। সহজ এপে টিকেট দিয়ে শুরু করলেও এখন রাইড শেয়ারিং সহ নানা সার্ভিস প্রদান করছে।
ফাহিম মাশরুর, বিডিজবস, আজকের ডিল এর প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশের অন্যতম উদ্যোক্তা। চাকরির জন্য সবচেয়ে বড় পোর্টাল বিডিজবস ও ইকমার্স আজকের ডিল বাংলাদেশের দুটি বড় অনলাইন প্রতিষ্ঠান।
আয়মান সাদিক, টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। টেন মিনিট স্কুল বাংলাদেশের অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় এক নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। এছাড়াও তিনি শিক্ষা বিষয়ক নানা ভিডিও বানান ও বই লিখে থাকেন।
হাবিবুল মোস্তফা, খাস ফুডের সহ প্রতিষ্ঠাতা। নিরাপদ ও স্বাস্থসম্মত খাদ্যের জোগান দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
আদনান ইমতিয়াজ হালিম, সেবাএক্সওয়াইজেড এর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৮ সালে ১৬০০ সার্ভিস প্রভাইডার সফলভাবে ৬০ হাজারেরও বেশি সার্ভিস প্রদান করে সেবা এপের মাধ্যমে।
ওয়াসিম আলিম, চালডাল.কমের প্রতিষ্ঠাতা। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হোম ডেলিভারি সার্ভিস দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিপ্লব ঘোষ রাহুল, ই কুরিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা। কুরিয়ার ভিত্তিক সেবা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। বিদেশী বিনিয়োগও পেয়েছে সম্প্রতি কাজের জন্য।
ইরাজ ইসলাম, নিউজক্রেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা। কনটেন্ট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বের নামকরা অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের সার্ভিস গ্রহণ করে থাকে।
খোবাইব চৌধুরী, স্টাইলাইন কালেকশনের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশে মেয়েদের ইসলামিক পোশাকের জন্য সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম হচ্ছে স্টাইলাইন।
আহমেদ এডি, হাংরি নাকির সহ প্রতিষ্ঠাতা। হোম ফুড ডেলিভারি সার্ভিসে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান।
তথ্য সূত্র bn.quora.com
আপনি কি ভেবেছেন প্রতিদিন ১০ মিনিটের জন্য কি কাজ করতে পারেন যা আপনার জীবন বদলে দেবে ? আমার মতে প্রতিদিন ১০ মিনিট আপনি অপরিচিত মানুষের সাথে কথা বলুন। দেখবেন আপনার জীবন বদলে গেছে। আসুন বিস্তারিত জানা যাক ।
পাবলিক পরিবহনে সহযাত্রীপ্রতিদিনের দোকানীরাস্টোর মালিকরাপ্রহরীআপনার অফিসের পিয়নট্যাক্সিচালকআপনার সাথে যে কারও দেখা হবে
মনে
রাখবেন, নিজের সম্পর্কে কথা বলবেন না। তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন এবং
শুনুন। আমি প্রতিদিন এমন করি এবং লোকেদের সম্পর্কে জানা খুবই মজার।
এভাবে মানুষের সাথে কথা বলে আমার শেখা কিছু শিক্ষা/উদাহরণ এখানে শেয়ার করছি :
১। একজন রিয়েল এস্টেট সংস্থার মালিকের কাছ থেকে কাজের অফার পেয়েছিলাম।
২। বাড়িতে
যাওয়ার সময় একজন বন্ধু বানিয়েছিলাম। আমার কাছে ফেরার টিকিট ছিল না,
কিন্তু ভাগ্যক্রমে আমার আবার সেই একই লোকটির সাথে দেখা হয়ে গিয়েছিল এবং আমি
তার রেলওয়ে বার্থটা শেয়ার করেছিলাম।
৩। এমন
একজন ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে দেখা হয়েছিল যার স্ত্রী একটি
মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করে (আমার ধারণা এটি গুগল ছিল, গুগল
ডেভেলপার)। তার সাথে কথা বলার পরে, আমার অন্ধ দেশহিতৈষিতা নর্দমায় গিয়ে
পড়েছিল।
[সম্পাদনা :
লোকটার সাথে আমার কথপোকথন হয়েছিল তিন বছর আগে হায়দ্রাবাদে। আমার সঠিক মনে
নেই ঠিক কোন কোম্পানির কথা লোকটা বলেছিলেন। তবে আমার এটুকু মনে আছে, লোকটা
আমাকে বলার সময় একটা আইটি পার্কের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন যেটাতে বড় অক্ষরে
গুগল লেখা ছিল]
৪। আমার অফিসের পিয়ন আমাকে আলাদাভাবে সম্মান করে।
৫। একবার বাড়িতে বাড়িতে সবজি বিক্রি করা বিক্রেতা আমার হারিয়ে ফেলা মানিব্যাগটি ফিরিয়ে দিয়েছিল।
৬। কিছু
সুবিধাবঞ্চিত শিশু— যাদের আমি কলেজে পড়ার সময় পড়াতাম তারা প্রতি বছর
আমাকে "শুভ শিক্ষক দিবস" কার্ড পাঠায় এবং এই দিনটা আমার বছরের সবচেয়ে
সুন্দর দিন।
৭। আমি
বেঙ্গালুরুতে থাকি। আপনি যখনি কোন রিকশাওয়ালার কাছে যাবেন তারা মিটারের
দ্বিগুন নইলে মিটারের থেকে অতিরিক্ত ২০/৩০ রুপি বেশি চাইবে। তবে আমি যেহেতু
আমার সমস্ত পথ একজন রিকশাচালকের কথা শুনতে শুনতে যাচ্ছিলাম, তিনি আমাকে
পছন্দ করেছিলেন এবং তিনি আমার থেকে মিটারের ভাড়াই নিয়েছিলেন। মিটারে উঠেছিল
৭৪ রুপি এবং আমার জোরাজুরি করার পরেও তিনি মাত্র ৭০ রুপি নিয়েছিলেন।
৮। একবার
রেস্তোঁরায় এক দম্পতি তাদের বাচ্চাকে নিয়ে একরকম হাঁসফাঁস করছিলেন। তারা
খেতে পারছিলেন না। আমি আমার খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম তাই আমি
বাচ্চাটির সাথে খেলতে শুরু করি। দম্পতি শান্তিতে খাবার খেয়েছিলেন।
রেস্তোঁরাটা ছাড়ার সময় মুশুলধারে বৃষ্টি শুরু হচ্ছিল। ওই দম্পতি আমাকে
রেস্তোঁরাটির বাইরে অপেক্ষা করতে দেখেন এবং আমাকে তাদের সাথে যাত্রা করার
প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যাত্রা চলাকালীন আমাদের মধ্যে দুর্দান্ত আলাপ হয়েছিল
এবং তারা আমাকে একদম আমার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিলেন।
৯। আমি
বাসের সামনের দরজার কাছে বসে আমার স্টপের অপেক্ষায় ছিলাম। তাই আমি
ড্রাইভারের সাথে কথা বলতে শুরু করলাম। ২০ মিনিটের মত আমরা মেয়েদের
ক্ষমতায়ন থেকে শুরু করে আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কথা বললাম।
এবং ড্রাইভারের বিস্ময়করকম জ্ঞান ছিল। "মেয়ে শিশু" সম্পর্কে তাঁর
চিন্তাভাবনা আমাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিল যে ভারত বদলে যাচ্ছে।
এমন হাজার
হাজার কথোপকথন আমি শেয়ার করতে পারি। আমি শিখেছি যে প্রত্যেকে এমন সব লড়াই
করছে যা এখন পর্যন্ত কেউ লড়েনি, কখনও কখনও এই কথোপকথনগুলি আমাকে আশা ও
আত্মবিশ্বাস দেয়, জীবনের বিভিন্ন সমস্যাকে অন্যরকম দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে
সাহায্য করে, যখন আমি হতাশ হই তখন এগুলো আমাকে ভাবতে সাহায্য করে যে
বাবা,বন্ধুরা সহ কত ভালো একটা জীবন আমার রয়েছে। মানুষের সাথে কথা বলাটা
আমার জন্য অপ্রতিরোধ্য।
সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই লোকগুলির কথা শুনে আপনি যে হাসিটা পাবেন সেটা
অমূল্য। জীবন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, এবং সকলেরই যা দরকার তা হলো শোনার মত
একজন শ্রোতা।
অনেকেরই
মনে প্রশ্ন রয়েছে "কারো সাথে কথোপকথন কীভাবে শুরু করবেন?" প্রত্যেকেরই
নিজস্ব উপায় থাকতে পারে তবে নীচে আমার কয়েকটি উপায় শেয়ার করছি।
১। ক্যাব
চালকদের সাথে (উবার/পাঠাও/ওলা/ট্যাক্সি ইত্যাদি)— "এটি কি আপনার নিজের,
নাকি আপনি ভাড়া নিয়েছেন?" অথবা "এতো ট্র্যাফিক নিয়ে আপনি হতাশ হন না?"
২। পাবলিক
পরিবহন— কোনও মহিলা / বৃদ্ধ বয়সী ব্যক্তিকে আপনার সিট অফার করুন। জিজ্ঞাসা
করুন আপনার স্টপেজ কখন আসবে? (আপনি নিজে কখন নামবেন তা জানলেও)। কেউ যদি
বই পড়তে থাকে— তবে বইটি নিয়ে কথা বলা শুরু করুন।
৩। কফি শপ /
রেস্তোঁরা— সাহায্য করুন (যেমন আমি এই দম্পতিকে সাহায্য করেছিলাম)। অথবা
থালা-বাসন বাছাই করতে সাহায্য চান (এটি বিদেশ ভ্রমণের সময় কাজ করে)।
৪। আপনি যদি সুবিধাবঞ্চিত শিশু দেখেন— তারা স্কুলে যায় কিনা জিজ্ঞাসা করুন।
৫। আপনার অধীনস্থদের সাথে— দুপুরের খাবার খান।
৬। রাস্তার
পাশে বিক্রেতাদের সাথে— "আপনি প্রতিদিন কত টাকার ব্যবসা করেন?" অথবা "আপনি
কি এই জায়গার কেমন ভাড়া দেন" বা "আপনাকে এখানে দাঁড়াতে দেওয়ার জন্য
কেমন ঘুষ দিতে হয়?"
সমস্ত
কিছুর মন্ত্র হচ্ছে একজন ভালো পর্যবেক্ষক হোন। অন্যদের কী সমস্যা থাকতে
পারে তা বুঝতে চেষ্টা করুন। তাদের সমস্যা/পরিস্থিতি/পছন্দ ইত্যাদি সম্পর্কে
কথা বলা শুরু করুন।
সবাই নিজের সম্পর্কে কথা বলতে পছন্দ করে। তাদের একটি সুযোগ দিন।
যখন ছোটবেলায় স্কুলে স্যাররা জিজ্ঞাসা করতেন বড় হয়ে কে কী হবে, তখন নিজের সিরিয়াল আসার আগে কান খাড়া করে শুনতাম বাকিরা কি বলে।
বেশিরভাগই উত্তর দিত হয় ডাক্তার নয়তো ইঞ্জিনিয়ার। কদাচিৎ কেউ বলত পাইলট (আমি এই দলভুক্ত) বা শিক্ষক হবে।
এরপর যখন
আরেকটু বড় হলাম, দেখতাম অনেকেরই আগের বলা উত্তর পাল্টে যাচ্ছে। আমি নিজে
ককপিট (পাইলট) ছেড়ে গায়ে সাদা অ্যাপ্রন জড়াতে চাইলাম, মানে এবার ডাক্তার
হতে চাই।
তারপর
বিশ্ববিদ্যালয় আসার পর বন্ধুদের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা দেখতাম, কেউ বিভাগের
শিক্ষক হবে, কেউ জিআরই বা আইইএলটিস দিবে, বাকিরা চোখ কান বুঝে বিসিএস
(বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস)।
বন্ধুদের মধ্যে আমার মাথায় একটু উদ্ভট চিন্তা ভাবনা কাজ করত।
গায়ের সাদা
অ্যাপ্রন অনেক দিন হল খুলে রেখেছি, এখন লম্বা চুল, মুখ ভর্তি দাঁড়ি-গোঁফ,
গায়ে পাঙ্খা শার্ট-জিন্স পরে ডুকাটি বাইক নিয়ে ছুটছি নিজের আইডিয়ার
পিছে—উদ্যোক্তা হব।
আমার হলে,
পাশের হলে মিলিয়ে আরও দু/চারজনকে পেলাম যারা ব্যবসার দিকে আগ্রহ দেখাল।
কয়েক দফা একসাথে বসে ঠিক করা হল প্রতি মাসে নিজেরা কিছু টাকা জমা করে করে
একটা ফান্ড হলে ব্যবসা শুরু করব।
তখন আমার
মাথায় প্রচুর আইডিয়া ঘুরতো। আমি ফাল পেড়ে আইডিয়া দিতাম আর বলতাম আমাদের
এক্ষুণি শুরু করা উচিত। টাকা জমা করে না রেখে খাটানোই ভালো হবে।
ওদের
বক্তব্য থাকতো এমন, "ব্যবসা শুরু করতে গেলে অনেক ক্যাপিটাল (মূলধন) দরকার।
আগে অনার্স পাশ করে একটা চাকরি নেই, তারপর টাকা জমিয়ে ব্যবসা শুরু করব"।
পাল্লা
একদিকে ভারী হয়ে গেল। কোনো উদ্যোগই শেষ পর্যন্ত শুরুর মুখ দেখল না। ওরা
বিসিএসের দিকে ছুটতে শুরু করল আর আমি অসহায় উদ্যোক্তা একা পড়ে গেলাম।
'রিচ ড্যাড, পুওর ড্যাড' বইতে রবার্ট কিওসাকি বলেছেন আমাদের চাকরি করার জন্য মূলত দুটি কারণ কাজ করে—ভয় এবং লোভ।
আমার বন্ধুদের গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে আগে একটা সরকারি চাকরি নেয়ার পিছনে সবার আগে কাজ করে এই ভয়।
বাবা-মা
এতদিন তিল তিল করে বড় করেছে, যত দ্রুত পারা যায় তাদের সংসারের ভার নেয়া
দরকার। একটি সরকারি চাকরি মানেই নিশ্চয়তা, মাস শেষে একটি নিশ্চিত অর্থের
যোগান, বাসা বাড়ির সুবিধা, সমাজে ভরপুর সম্মান।
মরে টরে গেলেও ভয় নেই—আমাদের আসল বাপ-মা (সরকার), আমাদের বায়োলজিক্যাল বাবা-মাকে দেখবে।
যাই হোক,
এর মধ্যেও দু/চার জনের মধ্যে ব্যবসার ভূত জাগে- যখন তাদের পকেটে টান পড়ে,
বউয়ের সাথে নতুন ফ্ল্যাট কেনা নিয়ে দুবেলা ঝগড়া বাঁধে, তখন কেউ কেউ ভাবে,
"নাহ! এই চাকরি দিয়ে আর পোষাচ্ছে না, একটা ব্যবসা শুরু করা দরকার।" খেয়াল
করুন তার মধ্যে প্রত্যাশা জন্মেছে।
প্রত্যাশা? হা? প্রত্যাশা ভালো জিনিস! কিন্তু টুটি চেপে ধরার মোক্ষম অস্ত্রও সরকারের গোডাউনে মজুদ আছে—প্রোমোশন।
দুইটা থানার সহকারী পুলিশ সুপার চাকরি ছেড়ে দেবে বলতেছে? দাও, ওর হাতে পুরো জেলাটাই তুলে দাও। ব্যস! লোভ ধরিয়ে দিল।
পুলিশ সুপারের কত্ত ক্ষমতা! বউ খুশি? আবার জিগায়!
বউ খুশ তো জিন্দেগি খুশ, আর কি চাই? (কক্সবাজার একটা ট্যুর দিয়ে আসা যায়, খুশকির সাথে সাথে ব্যবসার ভুতটাও মাথা থেকে ধুয়ে যাক! ????????)
তাহলে উদ্যোক্তা কেন তৈরি হচ্ছে না?
মাস শেষ, পকেট খালি? খাবো কি? দাঁড়াবো কই? এই ভয়টা আমরা বেশীরভাগই কাটাতে পারি না। যা দু চারজন পারে তারাও পরে লোভের ফাঁদে পা দেয়।
স্কুলের
ক্লাসরুমে বসে আমরা শিখি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া আর কোনো ক্যারিয়ার নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় এসে দেখি সিভিল সার্ভিস ছাড়া গতি নেই। ক্যাডার না হলে তাকে
মানুষ মনে করা হয় না।
সহজ কথায় উত্তর হল—খুব ছোটবেলা থেকেই আমাদের মগজ ধোলাই করা হয়।
উদ্যোক্তা
হওয়া খুব কঠিন। একটি চাকরি পাওয়া যতটা না কঠিন, উদ্যোক্তা হওয়া তার তুলনায়
শতগুণে কঠিন। অধিকাংশেরই তাই উদ্যোক্তা হওয়ার মতো ঝুঁকি নেয়ার সাহস হয় না।
ধোলাই করা মগজ নিয়ে কতদূর যাইতে বলেন?
যা দু/চারজন কোনো উদ্যোগ নিতে যায়, একটা হোঁচট খেলেই সব তালগোল পাকিয়ে উদ্যোগের সমস্ত বাজে চিন্তা-ভাবনা হজম হয়ে যায়।
দু/তিনটা গোত্তা খেয়ে আবার চাকরির বই হাতে পড়ার টেবিলে নিজেকে খুঁজে পাই।
আমরা
কেবল বাংলাদেশে ইন্ডিয়া থেকে পণ্য আমদানি করে থাকি । কিন্তু অনেকেই আছেন
যারা বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়াতে পণ্য রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে
ইন্ডিয়াতে প্রচুর পরিমাণে গার্মেন্টস আইটেম রপ্তানি করা হয়ে থাকে। এছাড়া
পাট জাত দ্রব্য রপ্তানি হয়ে থাকে। সেজন্য অনেকেই চান যে Bangladesh থেকে
India product পাঠানোর কৌশল জানতে। আসলে Bangladesh থেকে India product
পাঠানোর কৌশল তেমন কঠিন কিছু না। যে কেউ চাইলেই Bangladesh থেকে India
product পাঠাতে
পারবেন।
কিভাবে Bangladesh থেকে India product পাঠাবেন ?
যে
কোন পণ্য রপ্তানি করার জন্য প্রথমে আপনাকে রপ্তানি লাইসেন্স করতে হবে।
আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের অধিদপ্তর থেকে আপনি এই রপ্তানি লাইসেন্স করে
নিতে পারবেন। রপ্তানি লাইসেন্স করতে সরকারি খরছ তেমন বেশী না। লাইসেন্স
করতে আপনাকে প্রথমে ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট
করে নিতে হবে।
যে কোন ব্যাংকে আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে একটা ব্যাংক অ্যাাকাউন্ট করতে হবে যারা এল সি রিসিভ করতে পারবে।
এবার
আপনার কাজ হলো ইন্ডিয়ান আমদানি কারকের সাথে কথা বলে আপনার প্রতিষ্ঠানের
নামে এল সি খোলার ব্যবস্থা করা। তবে গার্মেন্টস আইটেম রপ্তানি করতে গেলে
আপনাকে একটা ই এক্স পি করতে হবে। ই এক্স পি ব্যাংক থেকে ইস্যু করা হয়।
এছাড়া আপনি যদি কোন সি অ্যান্ড এফ কে বলেন তারাও এই ই এক্স পি করা থেকে
সকল কাজ করে দিবে। তবে ভিন্ন ভিন্ন পণ্যের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সার্টিফিকেট
নিতে হয়।
আপনার আমদানি কারক কে বলবেন একটা এলসি খুলতে । এল সি ওপেন
করলে ব্যাংক আপনাকে বলবে যে আপনার নামে টাকা ব্যাংকে জমা হয়ে গেছে। এবার
এলসির কাগজ পত্র নিয়ে কোন সি অ্যান্ড এফ কে দিবেন। ওরা সমস্ত প্রসেসিং করে
আপনার পণ্য ইন্ডিয়াতে পাঠিয়ে দিবে। তবে এর আগে আপনাকে একটা ফ্রেইট
ফরওয়ার্ডার কোম্পানির সাথে কথা বলতে হবে। কারন আপনার পণ্যটি ফ্রেইট
ফরওয়ার্ডার দিয়ে বিদেশে পাঠাতে হবে। ইন্ডিয়াতে পণ্য সাধারণত বেনাপোল দিয়ে
পাঠানো হয়ে থাকে।
তবে আপনার আমদানিকারকের চাহিদা অনুযায়ী যে কোন মাধ্যমে আপনি পণ্য পাঠাতে পারবেন।
রপ্তানি
করতে আপনাকে সরকারি কোন খরছ দিতে হবেনা। আপনি যত কোটি টাকার পণ্যই রপ্তানি
করেন সরকার সেটা ফ্রিতে করে দিবে। আর সি এন্ড এফ ৩-৪০০০ টাকা খরছ নিবে।
এটা
হলো Bangladesh থেকে India product পাঠানোর বৈধ মাধ্যম । তবে যারা এই পথে
যেতে না চান তারা ইন্ডিয়ান যাত্রীদের দিয়েও পাঠাতে পারবেন। কারন বাংলাদেশ
থেকে প্রতিদিন প্রচুর যাত্রী ইন্ডিয়াতে যায়। Bangladesh থেকে India product
পাঠানোর কৌশল হিসাবে এটা তেমন ভালো কাজ না।
টি শার্টের ব্যবহার এবং ব্যবসা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠতেছে। অনেকেই
আজকাল টি শার্টের ব্যবসা শুরু করেছেন । এই টি শার্টের ব্যবসা করার জন্য টি
শার্ট প্রিন্ট করাটা খুব জরুরী । আজকের পোষ্টে আমি আলোচনা করবো ঢাকার কোন
মার্কেট থেকে কম খরছে টি শার্ট প্রিন্ট করা যাবে।
টি শার্ট
প্রিন্ট করার জন্য রাজধানীর ফুলবাড়িয়া ছাড়াও ঢাকার চকবাজার, নীলক্ষেত,
কাঁটাবনের বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট, মৌচাক মার্কেট ও
মীরপুরের কিছু এলাকা রয়েছে। অনলাইনেও নানা প্রতিষ্ঠান আছে যারা টি শার্ট
প্রিন্ট করে দেয়। আপনি চাইলে তাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
শুধু
টি শার্ট প্রিন্ট করাতে চাইলে স্ক্রিন প্রিন্টে প্রতিটি রঙের জন্য আলাদা
করে খরচ পড়বে। প্রতি রঙের স্ক্রিন প্রিন্টের জন্য ১০ থেকে ৩০ টাকার মতো
খরচ হয়। যদি চান টি শার্ট প্রিন্ট সহ পুরো টি-শার্টের জন্য একবারেই টাকা
দিতে চান, সেটাও সম্ভব। এ ক্ষেত্রে টি-শার্ট প্রতি ১৫০-২০০ টাকার মতো
পড়বে। সংখ্যায় বেশি অর্ডার দিলে খরচ কমে আসবে। সাধারণত এক থেকে তিন দিনের
মধ্যেই টি শার্ট প্রিন্ট দিয়ে দেওয়া হয় ।
সরাসরি ফ্যাক্টরি
থেকে আপনি পাইকারি দামে প্রিন্ট করাতে চাইলে Haque Textile এর সাথে যোগাযোগ
করতে পারেন। এছাড়া এই ফ্যাক্টরি থেকে এক্সপোর্ট ফেব্রিক্স দিয়ে তৈরি ভালো
কোয়ালিটির টি শার্ট সরবরাহ করে থাকেন তারা। আপনারা চাইলে এই ফ্যাক্টরি থেকে
কম রেটে স্ক্রিন প্রিন্ট করিয়ে নিতে পারবেন।
হক টেক্সটাইল
ফ্যাক্টরি: মৃধা বাড়ি, ডেমরা রোড, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
০১৯৩১১২৫৭২৭, ০১৫৯০০৩৬৫৬৩
Website: Haque Textile