দেশের যে কোন স্থানে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করা বাধ্যতামূলক।
সিটি করপোরেশন ও মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা
উপজেলা বা জেলা পরিষদ এই ট্রেড লাইসেন্স লাইসেন্স প্রদান করে থাকে। ট্রেড লাইসেন্স ব্যবসা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায়না।
অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি লাগে ? আজকের পোষ্টে আমি বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো যে ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি লাগে এবং
কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স করবেন।
আরও পড়ুন
ঢাকায় কীভাবে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন?
ঢাকা সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ) নাগরিক সেবা বাড়ানোর জন্য সমগ্র সিটি করপোরেশনকে কতগুলো অঞ্চলে বিভক্ত করেছে। এর মধ্যে উত্তর সিটি
করপোরেশনের পাঁচটি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পাঁচটি অঞ্চল রয়েছে। প্রত্যেককে তার নির্দিষ্ট অঞ্চলের অফিসের মাধ্যমে লাইসেন্স
সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা উপজেলা বা জেলা পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।
সিটি করপোরেশনের দ্বারা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভেরিফিকেসন হতে পারে এবং এর ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাইসেন্স ফি পরিশোধের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স
দেওয়া হবে।
ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি লাগে?
যারা জানেননা যে ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি লাগে তাদের জন্য বলছি, ট্রেড লাইসেন্স করতে তেমন বেশী কাগজ পত্র লাগেনা।
যেসব কাগজ পত্র লাগবে
১) ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের স্থানটি নিজের হলে সিটি করপোরেশনের হালনাগাদ করের রসিদ
২) ভাড়ায় হলে ভাড়ার চুক্তিপত্র বা রসিদ
৩) তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৪) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নির্ধারিত নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা
৫) প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি লিমিটেড হলে মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলস ও সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন দিতে হবে
৬) প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান কারখানা হলে পার্শ্ববর্তী অবস্থান বা স্থাপনার নকশাসহ ওই স্থাপনার মালিকের অনাপত্তিনামাও দাখিল করতে হবে
৭) শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পরিবেশসংক্রান্ত অনাপত্তিপত্র, প্রতিষ্ঠানের অবস্থান চিহ্নিত মানচিত্র ও অগ্নিনির্বাপণ প্রস্তুতিসংক্রান্ত
প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে।
৭) ছাপাখানা ও আবাসিক হোটেলের ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনারের অনুমতি
8) সিএনজি স্টেশন বা দাহ্য পদার্থের ক্ষেত্রে বিস্ফোরক অধিদপ্তর বা ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ
অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
ট্রেড লাইসেন্স করতে কত টাকা ও কত দিন লাগে?
ট্রেড লাইসেন্স ফি ব্যবসার ধরনের ওপর নির্ভর করে কমবেশি হতে পারে। এই ফি সংশ্লিষ্ট অফিসে রসিদের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। লাইসেন্স ফি সর্বনিম্ন ২০০ থেকে
সর্বোচ্চ ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। একটি লাইসেন্স পেতে তিন থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে।
লাইসেন্স বাতিল
মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিলে, লাইসেন্সে উল্লিখিত শর্তাবলি আইন ও বিধি মেনে না চললে লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। এ ছাড়া লাইসেন্স
গ্রহীতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তবে যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে গ্রহীতাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিতে হবে
আমদানি ব্যবসা এখন বেশ একটি লাভজনক ব্যবসা। বাংলাদেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম দেশ হল চায়না, ইন্ডিয়া।
বাংলাদেশ থেকে সরকারী হিসাব মতে সবচেয়ে বেশী আমদানি হয় চায়না থেকে। আজকের পোষ্টে আমি দেখানোর চেষ্টা করবো
আমদানি ব্যবসা কি ? কেন আমদানি ব্যবসা করবেন? এবং কিভাবে আমদানি ব্যবসা শুরু করবেন ।
আমদানি ব্যবসা কি? কেন আমদানি ব্যবসা করবেন?
আমদানি ব্যবসা হল বিদেশ থেকে যে কোন পণ্য বাংলাদেশে এনে টা দেশের মার্কেটে বিক্রি করা। আসলে আমদানি ব্যবসা করার জন্য তেমন কোন কারণ নাই।
আমাদের দেশের জনসংখ্যার সকল চাহিদা পূরণ করা সবসময় দেশের উৎপাদিত পণ্য দিয়ে সম্ভব হয়না তখান আমরা পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকি।
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখার অনুপাতে উৎপাদন অনেক কম বলে বিদেশ থেকে আমদানি করে সঙ্কট সমাধান করতে হয়। আপনি যদি চান তবে
সেই সংকটের সাহায্যকারী হিসাবে আমদানি করতে পারেন। এছাড়া আমদানি ব্যবসা সবাই করতে পারেনা বলে এই ব্যবসা এখনো অনেকের কাছে অজানা।
তাই আমদানি ব্যবসায় প্রতিযোগীতা খুবই কম। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা বলতে আমদানি ব্যবসা একটি।
কিভাবে শুরু করবেন আমদানি ব্যবসা?
আমদানি ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হবে। প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কি প্রোডাক্ট আপনি আমদানি করতে
চান । আমদানি ব্যবসা করার জন্য এটা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয়। খুব গুরুত্ব সহকারে আপনাকে এই পণ্য নির্বাচন করতে হবে।
আমদানি ব্যবসা করতে পণ্য কিভাবে নির্বাচন করবেন?
যে পণ্যই নির্বাচন করেন তার প্রথমে বাজার মূল্য যাচাই করতে হবে। কয়টি আইটেম বাজারে বিক্রি হয় সেটাও দেখতে হবে। প্রত্যেকটা আইটেমের খুচরা ও পাইকারি
দাম কত। এর পর দেখবেন এই পণ্যের পাইকারি বাজার কোনটা ? কারণ পাইকারি বাজার যদি চক বাজার হয় তবে বুজতে হবে এই পণ্যের আমদানি প্রতিযোগিতা বেশী।
এর পরও চেষ্টা করবেন খুজে বের করতে কারা এই সব পণ্যের আমদানিকারক। যদি মনে করেন আপনি ওই সব আমদানি কারকের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে পারবেন
তবে শুরু করতে পারেন।
এবার আসি মূল্য যাচাই করার কথায়। ধরুন পাইকারি বাজারে কোন পণ্য ১০ টাকা প্রতি পিস। আপনি ৯ টাকা হিসাবে প্রতি পিস আমদানি করতে হবে। আমদানি করার
আগে পাইকারি ক্রয় দাম,ট্রান্সপোর্ট খরচ, ট্যাক্স, আপনার লাভ সব মিলিয়ে একটা দাম নির্ধারণ করতে হবে যেন আপনার পণ্যটা ৯ টাকা কাস্তমারের হাতে পৌছতে পারে।
এর পর
দেখবেন আপনার পণ্য কি রকম দ্রুত বিক্রি হয়। অনেক পণ্য আছে যেগুলি খুব স্লো
বিক্রি হয় । আমদানি ব্যবসা করার আগে অবশ্যই সেই পণ্যের বিক্রি কেমন
হয় সেটা দেখে নিবেন। কারণ যেসব পণ্য পাইকারি বাজারে দ্রুত বিক্রি হয় সেসব পণ্য আপনি কম লাভে বিক্রি করে দিতে পারবেন। যত বিক্রি তত লাভ।
বিদেশে গিয়ে পণ্য আমদানি করতে প্রাথমিক ভাবে অনেক খরচ হয়ে যাবে তাই আপনি চাইলে অনলাইন থেকে দাম ঠিক করতে এবং
অনলাইনের মাধ্যমে যে কোন দেশ থেকে আমদানি করতে পারবেন।
কিছু পণ্য আছে যেগুলি গ্রীষ্ম বা শীতের সময় বিক্রি হয়ে থাকে। অবশ্যই সেসব পণ্য আমদানি করার আগে আপনাকে মাস দিন হিসাব করে রাখতে হবে। কারণ
প্রত্যেকটা সিপমেন্ট আসতে তিন চার মাস সময় চলে যায়।
ইলিশ মাছ আমাদের কাছে একটি প্রিয় খাদ্র । আমরা ইলিশের নাম শুনলে মনে হয় এর আনেক দাম কিন্তু রাজধানীতে মাছের রাজা
ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০০ টাকা কেজিতে। তবে এটি আস্ত নয়, ক্রতার সুবিধার জন্য বটি দিয়ে কাটা পিস আকারে বানানো টুকরো ইলিশ।
হাতে নিলেই বুঝা যাবে, মাঝারি সাইজের ইলিশ কেটে কেটে পিস বানিয়ে ফ্রোজেন করা হয়েছে। সেই ইলিশ এখন বিক্রি হচ্ছে নগরীর অলিগলিতে।
দাম সস্তা বলে সকাল-সন্ধ্যায় রাজধানীবাসী কাটা ইলিশ কেজি দরে কিনে ফিরছেন ঘরে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সাগর ও নদীতে এবার যখন পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ে, তখন বাড়তি লাভের আশায় সেইসব মাছ কেটে কেটে ফ্রোজেন করা হয়েছে। বিক্রেতারা
জানিয়েছে এবাবে বিক্রির ফলে তাদের পূর্বের চেয়ে এখন বেশি ইলিশ মাছ বিক্রয় হচ্ছে । এবং ক্রোতারা ক্রয় করেও খুশি ।
ছোট ও মাঝারি সাইজের এই ইলিশ খেতেও ভারি মজা বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। এবার এই শীতেও পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে।
আরও পড়ুন
দেশী জাতীয় সব ধরনের মাছের সরবরাহ বেড়েছে বাজারে। দামও কম। মাছ বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশের দাম কমে যাওয়ায় দেশীয় মাছের দাম হ্রাস পেয়েছে।
আজকে আমি এমন একটি ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করবো যে ব্যবসা গ্রামে বসে সহজে করা সম্ভব। এই ব্যবসাটি গ্রামের ছাত্ররা মুক্ত পেশা হিসাবে
শুরু করতে পারেন। শহরে এটি করা সম্ভব না। আপনি যদি শহরের বাসিন্ধা হোন তবে এই আইডিয়াটি আপনার গ্রামের বন্ধু বান্ধব যারা বেকার বসে আছে
তাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন যাতে করে মুক্ত পেশাজীবী হিসাবে ভালো কিছু আয় করে নিতে পারে।
আপনারা জানেন যে গ্রামে হাঁস,মোরগ অধিকাংশ পরিবারে লালন পালন করে থাকে। প্রত্যেকটি পরিবারে হাঁস মোরগ মিলিয়ে প্রায় ১৫-২০ টি থাকেই।
আরও পড়ুন
কিছু ক্ষেত্রে এর সংখ্যা আরও বেশী হবে। কারণ অনেক পরিবার এসব গৃহপালিত পশু পাখি লালন পালন করে নিজেদের ভরণ পোষণের ব্যাবস্থাও করে থাকে। এসব
পশু পাখির কিছু কমন রোগ ব্যাধি থাকে । কিছু রোগ আছে যার কারনে এসব পশু পাখি সমূলে ধ্বংস হয়ে যায়। আপনার কাজ হবে এখানেই। আপনি এসব রোগের
প্রতিকারের ব্যবস্থা করে সবার উপকার করেও চলার মত কিছু আয় করে নিতে পারবেন।
হাঁস মুরগির একটি মারত্তক ধ্বংসাত্মক রোগ হল কলেরা ও রানিক্ষেত রোগ। এই রোগটিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকে । এই রোগের প্রধান সমস্যা হল এটি
গ্রামের এক বাড়িতে হলে আসে পাশের সব বাড়ির হাঁস মোরগ মরে বিনাশ হয়ে যায়। তবে এই রোগের টিকা খুব সহজে দেয়া যায়। কেউ যদি যদি সময় মত এই টিকা
হাঁস মোরগকে দিয়ে রাখে তবে সেসব হাঁস মোরগ কলেরা রোগে মারা যাবেনা। কিন্তু সমস্যা হলে এই টিকা দেয়ার উদ্যোগ কেউ নেয়না বা অনেকে জানেই না যে এই রোগের টিকা আছে।
কিভাবে শুরু করবেন ?
প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি এলাকা নির্বাচন করে নিতে হবে। এর পর সেই এলাকায় কি পরিমাণ হাঁস, মোরগ আছে সেটা নিরূপণ করতে হবে। আপনি চাইলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিস্ট করে নিতে পারবেন। তবে আপনি চাইলে এই লিস্ট পরেও করতে পারেন। যখন কাজটি করবেন তখন করলেই হবে। এর পরের কাজ হল
একটি গরম ঠাণ্ডা রাখার ফ্লাক্স ক্রয় করা। ৫০০-১০০০ টাকা নিবে। একটি সাইকেল নিতে হবে । কারণ হেটে হেটে সকল বাড়ি যাওয়া কঠিন হবে।
যেহেতু হাঁস মোরগ খুব ভোরে ছেড়ে দেয়া হয়। তাই খুব দ্রুত বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজটি করতে হবে। ব্যাস আপনার মূলধন এই দুইটাই।
এবারের কাজ হল নিকটস্থ পশু অফিস থেকে ১০০ মুরগিকে দেয়া যায় এরকম একটা কলেরা ও রানিক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন ক্রয় করা। ২০ টাকা নিবে একটা ভ্যাকসিন।
এই ভ্যাকসিন বরফ ভর্তি ফ্লাক্সে করে নিয়ে আসতে হবে। কারণ এই ভ্যাকসিন ঠাণ্ডা স্থানে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। বাড়িতে এনে কারো ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখবেন।
এবারে কাজ হল যেদিন আপনি ভ্যাকসিন দিতে চান তার আগেরদিন সবাইকে জানিয়ে দিতে হবে যেন সবাই হাঁস মোরগ বেঁধে রাখে । আপনি কলেরা ও রানিক্ষেত ভ্যাকসিন দিবেন।
আর কলেরা ভ্যাকসিনের কি উপকারিতা সেটাও বলবেন। পরের দিন সকালে ভ্যাকসিন এর ভিতর যে ওষুধ রয়েছে তা ইঞ্জেকশন বা সিরিঞ্জ দিয়ে গলিয়ে বের করে কাপে রাখুন । যে কাপে বা গ্লাসে রাখবেন সে কাপে বা গ্লাসে আগেই ১০০ সিসি পানি নিয়ে রাখবেন। এবার সিরিঞ্জের পানি কাপে ঢালুন । সিরিঞ্জ দিয়ে ভালভাবে মিক্স করুন ।
এবার একটি বোতলে ভরে বোতলটি হালকা ঠাণ্ডা পানিতে ফ্লাক্সে রেখে দিন।
এবার প্রতি
বাড়িতে গিয়ে গিয়ে হাঁস মোরগের রানের মাংসে এক সিসি ইনজেকশন পুস করে দিন।
খেয়াল রাখবেন কোন মতেই যেন হাড়ের মধ্যে সুঁই না লাগে। আর যেসব হাঁস মোরগের
বাচ্চা ১ মাসের কম বা যাদের রানের মাংসে সুঁই ঢুকানো সম্ভম না হয় তাদের
চোখে দুই ফোঁটা করে দিয়ে দিতে পারবেন।
প্রত্যেকটি
হাঁস মোরগ ৫ টাকা করে নিবেন। ২০ টাকার ভ্যাকসিন দিয়ে আপনি ১০০ হাঁস মোরগ
কে ভ্যাকসিন দিতে পারবেন। ১০০ হাঁস মোরগ থেকে ৫০০ টাকা খুব সহজেই আয় করতে
পারবেন। একবার ভ্যাকসিন দিলে তিন-চার মাস নিরাপদ। পরবর্তীতে আবার ভ্যাকসিন
দিতে হবে আপনি প্রত্যেক গেরস্থকে জানিয়ে দিবেন ।
এভাবে ক্রম অনুসারে আপনি ভ্যাকসিন দিয়ে যেতে পারবেন। আপনারও লাভ হবে সবাই নিরাপদে হাঁস মোরগ লালন পালন করতে পারবে।
জুতা তৈরির উপকরণ কোথায় পাবেন ?
পুরান
ঢাকায় বিক্রি হয় এই স্যান্ডেল তৈরির রাবার শীট । যেখান থেকে মেশিন
কিনবেন তারাই বলে দিবে কোথায় থেকে রাবার শীট কিনতে হবে। সুতরাং রাবার শীট
কিনা নিয়ে তেমন ছিন্তা করতে হবেনা।
কোথায় সেল করবেন ?
পণ্য
উৎপাদন করা করা খুব সহজ কিন্তু বিক্রি করা খুব কঠিন। তাই বিক্রির মার্কেট
আগেই ঠিক করে নিতে হবে। গ্রামে বা শহরে রাস্তায় ভ্যানে করে এসব জুতা
হকাররা বিক্রি করে থাকে। আপনি এসব হকার দের সাথে কথা বলে নিবেন।
তাদের কাছে এই ব্যবসার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ধারনাও পাবেন। এছাড়া খুচরা
দোকান গুলিতেও বিক্রি করতে পারবেন। তবে আপনি চাইলে একজন লোক দিয়ে একটা ভ্যান বসিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।
কত টাকা লাভ হতে পারে ?
এই মেশিন দিয়ে আপনি যদি প্রতিদিন ৭০০-৮০০ পিস তৈরি করতে পারবেন। সে হিসাবে মাসে পাবেন ২৪ হাজার পিস অনয়সে তৈরি করতে পারবেন।
মেশিন
পরিচালনা করতে আপনি সহ দুই জন লোক লাগবে। স্যান্ডেল তৈরির রাবার শীট
৩০০-৪০০ টাকায় পাওয়া যায়। তবে এই রাবার শীট মান অনুযায়ী দাম কম বেশী
হতে পারে। এতে করে স্যান্ডেলের দাম আরও কম হবে। একটা শীট থেকে ১৭-১৮ জোড়া
স্যান্ডেল তৈরী হয়। তাহলে একজোড়া স্যান্ডেলের শীট ২০-২৫ টাকা পড়বে।
বিদ্যুৎ, লেবার সহ এক জোড়া রাবার স্যান্ডেল বানাতে খরচ পড়বে সব মিলিয়ে ৩০-৩৫ টাকার মত খরচ। পাইকারি দরে বিক্রি করলে প্রতি জোড়া ৪০
টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। জোড়া প্রতি ৫ টাকা লাভ করলে মাসে
১০০০০০-১২০০০০ টাকা লাভ করতে পারবেন। সব কিছু ঠিক থাকলে প্রতিদিন কমবেশি
৩০০০-৪০০০ টাকা লাভ করা যাবে।
সাবধানতা
রাবারের
স্যান্ডেল তৈরির সময় মাপের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। খুব বেশি বড় বা খুব
ছোট মাপের স্যান্ডেল বেশি তৈরি না করাই ভালো। এভারেজ সাইজের রাবারের
স্যান্ডেল উৎপাদন করলেই ভালো হবে। যেহেতু শীতের সময় এই রাবারের স্যান্ডেল খুব কম বিক্রি হয় তাই এই সময়ে উৎপাদন কমিয়ে দিতে হবে।
একপে বাংলাদেশের বৃহত্তম পেমেন্ট প্রসেসর যা গ্রাহকদের এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সম্পূর্ণ বিল পেমেন্ট সেবা প্রদান করবে।
অনলাইনে
সরকারি সেবা হিসেবে ‘একপে’, ‘একসেবা’ ও ‘একশপ’ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে।
অনলাইনে সরকারি সেবা, বিল পরিশোধ ও ডিজিটাল মিউনিসিপ্যালটি সার্ভিস দিতে
নতুন এ সেবা তিনটি আজ রোববার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও
যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
রাজধানীর
আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে নতুন সরকারি সেবা এবং ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার
প্ল্যান রিপোর্টের মোড়ক উন্মোচনকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
সজীব ওয়াজেদ জয়।
সরকারের
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এসব সেবা পরীক্ষামূলকভাবে
১০টি মিউনিসিপ্যাল অঞ্চলে (সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা) শুরু করা হয়েছে। ৩২৯টি
মিউনিসিপ্যাল অঞ্চলকে এর আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
অনুষ্ঠানে
ই-গভর্ন্যান্সের জাতিসংঘ ইনডেক্সে আগামী পাঁচ বছরে ৫০ ধাপ এগোনোর
লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি
(আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ইনডেক্সে বর্তমানে ১১৫ নম্বরে আছে
বাংলাদেশ।
উপদেষ্টা
বলেন, ‘ই-গভর্ন্যান্সের জাতীয় ইনডেক্সে আমরা এখন ১১৫ নম্বরে আছি। আগামী
পাঁচ বছরে আমরা আরও ৫০ ধাপ উন্নতি করে দুই অঙ্কের সংখ্যায় আসব, এমন
লক্ষ্যমাত্রা আমাদের। ১০ বছর আগে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা
শুরু করেছিলাম। তখন অনেকেই বুঝতে পারেনি যে ডিজিটাল বাংলাদেশ কী? তবে অল্প
সময়ের মধ্যেই আমরা তাদের ভুল প্রমাণ করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর
স্বপ্ন নয়, বাস্তব। আজ যা দেখছেন, তা ডিজিটাল বাংলাদেশের সামান্য কিছু। আরও
অনেক কিছু আমরা করেছি এবং সামনে করব।’
সরকারি
সেবা চালু সম্পর্কে জয় বলেন, পাইলট প্রকল্প দিয়ে প্রায় ২০ লাখ নাগরিককে
সেবা দেওয়া হবে। ২০২০ সালের মধ্যে ৩০০ পৌরসভায় সেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা
রয়েছে। এখানে আরও ডিজিটাল সার্ভিস অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২০২১ সালের মাঝে
দেশের অধিকাংশ নাগরিক অধিকাংশ সেবা হয় তাদের হাতের ছোঁয়ার মাধ্যমেই পাবে,
আর নয়তো আমাদের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে নিজেদের দোরগোড়ায়
পাবে।
ডিজিটাল
সেবাগুলো সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ই-গভর্ন্যান্স
ব্যবস্থায় এগিয়ে যেতে হলে দরকার সময় এবং অর্থের ব্যয় কমিয়ে আনা। তার জন্যই
এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) উদ্যোগে আমরা করেছি একশপ, একপে ও একসেবা।
একসেবায় এখন পর্যন্ত ১৬২টি সরকারি সেবা আছে। নাগরিকদের ভিন্ন ভিন্ন
মন্ত্রণালয়ে বা ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটেও যেতে হবে না। এখান থেকেই এসব সেবা
পাবেন। পর্যায়ক্রমে এতে আরও তিন হাজার সেবা অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য আছে
আমাদের। একপের মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন ইউটিলিটি সেবার বিল ও অন্যান্য ফি এক
জায়গা থেকেই দেওয়া যাবে। আর একশপের মাধ্যমে দেশের আনাচকানাচ থেকে পণ্য
উৎপাদক বা উদ্যোক্তারা ই-কমার্সে তাঁদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম, গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু
ক্যাং ইল।
'ডিজিটাল
বাংলাদেশ' এর মূল ধারণা হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারী
সেবাকে নাগরিকদের জন্য সহজলভ্য করা। একপে পেমেন্ট প্রসেসর এর সাথে ৫০+এর
বেশি সেবা সহায়তাকারী এজেন্ট, ৫০০০০+ সিন্ডিকেটেড এজেন্ট, ১৫+ ব্যাংক এবং
৩০+ সেবা প্রদানকারী সংস্থা সংযুক্ত, যা গ্রাহকদের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড,
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করে বিল প্রদানের ক্ষেত্রে
নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করবে ।
উল্লেখ্য যে, A2i একটি কেন্দ্রীয় ই-পেমেন্ট সিস্টেম বা একটি পি টু জি (জনগণ থেকে সরকার) প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
টি শার্ট তৈরির কারখানা
টি শার্ট এর ব্যবসা করা এখন খুবই জনপ্রিয়। অনেকেই এই ব্যবসা করে খুব ভালো মানের আয় করতেছেন। আমাদের
দেশে অনেক অনলাইন ব্যবসা আছে যারা কেবল মাত্র টি শার্ট এর ব্যবসা করেই
টিকে আছেন। আজকের পোষ্টে আমি আপনাদের দেখানোর চেষ্টা করবো পাইকারি টি শার্ট
মার্কেট সম্পর্কে যেখান থেকে আপনি পাইকারি দরে টি শার্ট ক্রয় করতে পারবেন। বাংলাদেশে টি শার্ট এর অনেক পাইকারি মার্কেট পাবেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এসব মার্কেট গুলিতে অনেক নিন্ম মানের কাপড় দিয়ে টি শার্ট তৈরি করে সেল দেয়া হয়। ফলে আপনি এগুলি ক্রয়করে খুব অল্প পরিমানে লাভ করে সেল করতে হবে।
সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি সরসরি ফ্যাক্টরি থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারেন । অনলাইনে খুজলে আপনি অনেক ফ্যাক্টরি পাবেন। মোটামুটি সবাই অনেক ভালো পণ্য দিয়ে থাকে। তবে আজকে আমি আপনাদেরকে এমন একটি ফ্যাক্টরির সন্ধান দিব যেখান থেকে আপনারা ভালো মানের পাইকারি টি-শার্ট ক্রয় করতে পারবেন। এই ফ্যাক্টরিতে এক্সপোর্ট এর ফেব্রিক্স দিয়ে টি শার্ট তৈরি করা হয় এবং সেগুলো এক্সপোর্ট কোয়ালিটি মেইনটেইন করে বাংলাদেশের মার্কেটে বিক্রি করা হয়। এসব টি শার্ট যদি আপনি বাংলাদেশের মার্কেটে বিক্রি করেন সামান্য কিছু টাকা খরচ করে DTF প্রিন্ট করিয়ে বিক্রি করলে আপনি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমানে ডিটিএফ প্রিন্ট করিয়ে আপনি খুব ভালো দামে এসব টি-শার্ট অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। মাত্র ১২০ টাকা দিয়ে একটি সলিড টি শার্ট ক্রয় করে সেখানে আপনি যদি DTF প্রিন্টের জন্য ১০ থেকে ২০ টাকা খরচ করেন সেক্ষেত্রে এই টি শার্টগুলো আপনি মিনিমাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় সেল করতে পারবেন। অনলাইনে প্রচুর পেজ রয়েছে যারা নিজস্ব ডিজাইনে এসব টি শার্ট গুলোতে DTF প্রিন্ট দিয়ে অনেক বেশি দামে সেল করে থাকেন।
টি শার্ট ব্যবসায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এই প্রোডাক্টের কোয়ালিটি। আপনারা দেখবেন যে পাইকারি মার্কেট গুলিতে ৬০-৭০ টাকায় টি শার্ট বিক্রি করা হয় কিন্তু সেগুলোর কোয়ালিটি খুবই বাজে ধরনের হয়ে থাকে। কারন ঐ সমস্ত মার্কেটগুলিতে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে ক্রেতা থাকে তাই তারা পার্মানেন্ট কোন ক্রেতা ধরার তেমন চিন্তা করে না। ফলে তারা যাচ্ছেতাই ধরনের কোয়ালিটি দিয়ে পণ্য বাজারে বিক্রি করে থাকে।
এই ধরনের টিশার্ট আপনি যদি ক্রয় করে সেগুলোতে DTF প্রিন্ট করিয়ে বিক্রি করতে চান তাহলে আপনি নিশ্চিত ব্যবসাতে লস করতে হবে। কারণ এই প্রকারের টি শার্ট গুলো দেখবেন যে বিভিন্ন ভেনে বা রাস্তার পাশে ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। কোয়ালিটি খুব বাজে ধরনের হয়ে থাকে বিধায় এই ধরনের একটি শার্টগুলো ৫-৬ মাস যে কোন ক্রেতা ব্যবহার করলেই এগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। যেহেতু ঐ সমস্ত বিক্রেতারা কোন ধরনের ব্রান্ডের চিন্তা করে না কিন্তু আপনি নিজে যখন একটা অনলাইন পেজ বা কোন একটা শপে আপনি গুলো বিক্রি করবেন অবশ্যই আপনাকে একটা ব্র্যান্ডের কোয়ালিটি মেনটেইন করতে হবে ।
যাতে করে আপনার ক্রেতারা পুনরায় আপনার থেকে এই পণ্যগুলো ক্রয় করে। সুতরাং আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে যে কোন প্রতিষ্ঠানগুলি। ভালো মানের সলিড টি শার্ট বিক্রি করে। আমার দেখা মতে হক টেক্সটাইল সবচেয়ে ভালো মানের। গার্মেন্টস তৈরি কারি ফ্যাক্টরি যারা খুব ভালো মানের টি-শার্ট লোকালী এবং বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। আপনি চাইলে তাদের থেকে পণ্য নিয়ে খুব ভালো দামে। আপনার পেইজে বা শপে বিক্রি করতে পারেন। চাকরির সমস্ত ঠিকানা এবং ডিটেলস আপনাদেরকে নিচে দেওয়া হল।
যারা ইন্ডিয়া থেকে বৈধ পথে পণ্য আমদানি করে ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য আজকের আইডিয়া । চেষ্টা করবেন পোষ্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
বৈধ ভাবে বিশ্বের যে কোন রাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি করতে আপনাকে আমদানি লাইসেঞ্ছ করতে হবে। আমদানি লাইসেঞ্ছ কিভাবে করতে হয় পোষ্ট আছে দেখে নিবেন। সংক্ষিপ্ত করে বলি এটি করতে হলে আপনাকে একটা ট্রেড লাইসেঞ্ছ, ভ্যাট, টিন করতে হবে প্রথমে।
এর পর আপনাকে আমদানি লাইসেঞ্চ করতে হবে। এসব ঝামেলা আপনি কোন এজেন্ট দিয়ে করে নিলেই ভালো হবে। এতে দ্রুত করতে পারবেন।
এবারের কাজ হলো ইন্ডিয়ান যে সেলার আছে তার Importer Exporter Code (IEC)আছে কিনা তা নিশ্চিত করা।
কারণ Importer Exporter Code (IEC) ছাড়া ইন্ডিয়া থেকে পণ্য রপ্তানি করা যায়না।
কিভাবে ইন্ডিয়া তে Importer Exporter Code (IEC) করতে হয়?
আমদানি বা রপ্তানি কারক রা প্রথমে dgft ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে e-IEC এর জন্য একটা ANF2A অনলাইন ফর্ম পুরন করতে হবে। সাথে ডিজিটাল সাইন ও দিয়ে দিতে হবে। তবে এটা DIPP এর e-biz portal থেকেও করা যাবে।
স্যাম্পল দেখা-
আপনি যদি অনলাইনে ইন্ডিয়ান সেলারের সাথে কথা বলেন তবে স্যাম্পল এনে দেখে নিবেন। আর যদি আপনি সরা-সরি ইন্ডিয়াতে গিয়ে পণ্য দেখে আসেন তবে সাম্পাল আনার দরকার নাই।
পি আই আনা-
এবারের কাজ হল সেলারের কাছ থেকে পি আই আনা। পি আই নিয়ে বিশাল পোস্ট আছে দেখে নিবেন। পি আই তে আপনার কোম্পানির একটি সিল মেরে সাইন দিয়ে আপনি যে ব্যাংক থেকে এলসি করতে চান সে ব্যাংকে চলে যাবেন।
পি আইতে আপনার পণ্যের দাম, ওজন, পরিমাণ, আমদানিকারকের নাম, রপ্তানি কারকের নাম, রপ্তানি কারকের ব্যাংক আকাউন্ট নাম্বার ইত্যাদি উল্লেখ থাকবে।
এলসি করা-
এবার ব্যাংকে আপনি টাকা জমা দিবেন। যত ডলার এল সি করতে চান। তবে এলসিতে আপনি যে পণ্য আমদানি করবেন মূল ক্রয় দাম উল্লেখ করতে হয়।খুব সাবধানে এলসি ফর্ম পুরন করতে হবে। এখানে আপনি যে পণ্য আনবেন তার নাম এবং HS কোড এবং ফুল ভ্যলু উল্লেখ করতে হবে। কোন ভাবেই যেন HS কোড ভুল না হয়।
এবার ব্যাংক সকল কাগজ পত্র সেলারকে পাঠাবে। সেলার সব যাচাই বাছাই করে, ট্রাক চালান, এল সি ফর্ম, পি আই, কমার্শিয়াল ইনভএস, প্যাকিং লিস্ট পুনরায় বাঙ্কে পাঠাবে। ব্যাংক সকল কাগজ পত্র সাইন করে আপনাকে দিয়ে দিবে।
পণ্য ছাড় করানো -
এবার এসব আপনি বেনাপোল বা যে সীমান্ত দিয়ে আমাদনি করবেন সেখানে কোন সি এন্ড এফের মাধ্যমে কাস্টমে জমা দিবেন। সি এন্ড এফে আপনাকে ৩-৪ দিনে পণ্য খালাস করে দিবে। সি এন্ড এফ কি তা নিয়ে বিশাল পোষ্ট আছে। দেখে নিতে পারেন ।
ইন্ডিয়া থেকে আমদানি করতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন -
-পণ্যের দাম কোন মুদ্রায় ঘোষণা করবেন ? ডলার নাকি রুপিতে ? ওরা সাধারণত রুপিতে সেল করে। আপনি যে কোন মুদ্রা এল সি তে উল্লেখ করতে পারবেন।
*পণ্য ট্রাকে করে আমদানি করতে হয়। তাই কলকাতা বা আসে পাশের এলাকা গুলি থেকে আমদানি করার চেষ্টা করবেন। দূরে থেকে আমদানি করলে ভাড়া বেশী লাগতে পারে।
- যেহেতু আমরা উভয়ে সার্ক ভুক্ত দেশ, তাই কিছু পণ্য আমদানিতে ট্যাক্স মউকুপের বিশেষ সুযোগ রয়েছে। আপনারা আমদানি করার আগে অবশ্যই সেগুলি ভালো করে যেনে নিবেন।
-- খাদ্য দ্রব্র যেমনঃ চাল, ডাল , পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি আমদানি করতে সরকারের বিশেষ নিয়ম কানুন রয়েছে ।
এত কিছুর পর যদি আপনার মনে হয় বিষয়টা অনেক জটিল তবে আপনার জন্য এই সেবাটি চালু আছে কিভাবে চায়না বা ইন্ডিয়া থেকে ডোর টু ডোর পণ্য আমদানি করবেন ?
অনেকেই স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে চান, কিন্তু সঠিক ব্যবসা আইডিয়া খুঁজে পান না। আজকের এই খাদ্য সরবরাহ ব্যবসা পরিকল্পনা তাদের জন্যই। এই ব্যবসার মূল আইডিয়া হলো সিঙ্গারা এবং সমুচা সরবরাহ করা। সিঙ্গারা এবং সমুচা সরবরাহ ব্যবসাটি খুবই লাভজনক এবং এটি শুরু করতে প্রয়োজন খুবই সামান্য পুঁজি। আপনি কনফেকশনারি দোকান, রাস্তার পাশের টং বা ভ্যান দোকানে এই খাবার সরবরাহ করতে পারেন।
কিভাবে সিঙ্গারা এবং সমুচার ব্যবসা শুরু করবেন?
আপনি যদি রেডিমেড খাদ্য সরবরাহ ব্যবসায় আগ্রহী হন, তবে সিঙ্গারা এবং সমুচা সরবরাহ একটি চমৎকার উপায় হতে পারে। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কোনও দোকান দিতে হবে না। শুধু একটি সাইকেল থাকলেই চলবে। পাইকারি খাবার সরবরাহ করতে হলে আপনাকে প্রথমে আপনার বাজার যাচাই করে নিতে হবে, যাতে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার পণ্যগুলোর জন্য পর্যাপ্ত ক্রেতা রয়েছে।
কত পিস খাবার সরবরাহ করবেন?
প্রথমদিকে, আপনাকে প্রতিদিন গড়ে ১০০০ পিস সিঙ্গারা এবং সমুচা সরবরাহের লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনি যদি ২০টি দোকানে পণ্য সরবরাহ করেন, তবে প্রতিটি দোকানে গড়ে ৫০ পিস সরবরাহ করা হবে। এই খাবার সরবরাহ ব্যবসা সময়ের সাথে আরও বড় করার চেষ্টা করবেন।
কিভাবে সিঙ্গারা এবং সমুচা তৈরি করবেন?
সিঙ্গারা এবং সমুচা বানানো তেমন কঠিন কিছু নয়। প্রথমে নিজের ঘরেই ট্রাই করতে পারেন। এক কেজি আলু দিয়ে শুরু করুন এবং কয়েকবার চেষ্টা করলে খুব সহজেই এটি রপ্ত করতে পারবেন। আজকাল ইউটিউবে অনেক ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়, সেগুলো দেখে শিখতে পারেন।
সিঙ্গারা ও চমুচার অনেক ধরন
রয়েছে। আপনি গরু বা মুরগির কলিজা দিয়ে বিশেষ সিঙ্গারা বানাতে পারেন, যার চাহিদা অনেক বেশি।
ব্যবসা শুরু করতে প্রয়োজনীয় মুলধন
এটি একটি রোলিং ব্যবসা, তাই খুব বেশি মূলধন দরকার হয় না। ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কিছু প্রাথমিক সামগ্রী কিনতে হবে। যেমন:
প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৪,০০০ টাকার প্রয়োজন হবে।
সিঙ্গারা ও চমুচা তৈরির প্রধান উপকরণ হলো পেঁয়াজ, আলু, ময়দা, ও তেল। এসব উপকরণ পাইকারি বাজার থেকে কিনে নিলে কম দামে পাওয়া যাবে। পাম তেল খোলা কিনতে পারেন, যা সাধারণ বাজারের তুলনায় সস্তা। ময়দার বস্তা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ কিনতে চেষ্টা করবেন, কারণ এগুলো তুলনামূলকভাবে সস্তা।
প্রতি পিস সিঙ্গারা ও চমুচা বানাতে ২.৫ - ৩ টাকা খরচ হয়, এবং এই সিঙ্গারা ও চমুচা বাজারে ৫-৮ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। সুতরাং, প্রতিদিন ১০০০ পিস খাবার তৈরি করতে প্রায় ৩,০০০ টাকা কাঁচা মাল খরচ হবে।
লাভের হিসাব
প্রত্যেকটি সিঙ্গারা বা চমুচা থেকে আপনি ১-২ টাকা লাভ করতে পারবেন। আপনি যদি দোকানদারের কাছে ৪ টাকা প্রতি পিস হিসেবে বিক্রি করেন, তবে ১০০০ পিস সিঙ্গারা ও চমুচা বিক্রি করে ৪,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এতে আপনার প্রতিদিনের লাভ হবে ১,০০০ টাকা।
এই ব্যবসার নিয়ম হলো প্রতিদিনের আয়ের টাকা বিকেলে বা সন্ধ্যায় সংগ্রহ করতে হয়, কারণ অনেক দোকান নগদ টাকা দেয় না।
এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে—সিঙ্গারা ও চমুচা কিন্তু খুব ভোরে বিক্রি হয় না। তাই আপনি সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে দোকানে সরবরাহ শুরু করবেন। দোকানদারদের সন্তুষ্ট রাখতে প্রতিটি সরবরাহের সাথে ১৫-২০টি কাঁচা মরিচ দিয়ে দিতে পারেন।
চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়:
এই ব্যবসায় সরবরাহ করা সময় মতো নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দোকানদারদের সন্তুষ্ট রাখা এবং নিয়মিত খাবার সরবরাহ বজায় রাখা একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এছাড়াও, খাবারের গুণমান ঠিক রাখা ও নতুন নতুন দোকানের সাথে চুক্তি করা আপনার ব্যবসাকে বড় করতে সহায়তা করবে।
এই স্বল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে আপনার যদি সঠিক পরিকল্পনা থাকে এবং নিয়মিতভাবে পণ্য সরবরাহ করতে পারেন, তবে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করে সহজেই সাবলম্বী হওয়া সম্ভব।