বাংলাদেশে এখন আমদানী প্রচুর পরিমানে বাড়তেছে ৷ অনেকেই খুজেন কিভাবে ক্ষুদ্র আমদানি ব্যবসা শুরু করা যায় ৷ কিন্তু ক্ষুদ্র আমদানি ব্যবসা শুরু করা
এত সহজ কাজ না ৷ আজকে আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে ক্ষুদ্র আমদানি ব্যবসা শুরু করা যাবে ৷
আমদানী ব্যবসার প্রথম ধাপ হলো কি পন্য আমদানী করবেন তা ঠিক করবেন ৷ যে পন্যই আপনি আমদানী করতে চান সেটি যেন কম পরিমানে আমদানী
ধরুন আপনি ১০০ কেজি পন্য আমদানী করবেন , সাগর পথে আমদানী করলে প্রতি কেজি ১ থেকে ২ ডলার করে ভাড়া হবে ৷ কিন্ত আকাশ
পথে ক্ষুদ্র আমদানি ব্যবসা করার জন্য পন্য আনলে ধরা খাবেন ১০০% ৷ কারন বিমানে প্রতি কেজি ৭-৮ ডলার করে নিবে ৷
সাগর পথে খুচরা পন্য আমদানী করাকে LCL বলে ৷ কিন্তু LCL করতে হলে ৪-৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত ফি ফরওয়াডার কে দিতে হবে ৷
যা বিমানে আনলে এত বেশী লাগবেনা পোর্ট থেকে যে কোন পন্য ১০ কেজি বা ১০০ কেজি, সব কিছু ছোট গাড়িতে করে বের করতে হবে সেজন্য অতিরিক্ত ২০০০ টাকা যোগ হবে ৷
এ ছাড়া
ছোট যে কোন সি এন্ড এফ কে মিনিমাম ৫০০০ টাকা খরচ দিতে হবে। ভাড়া ছাড়া ১০-১৫
হাজার টাকা খরচ ধরে নিবেন। সাথে ট্যাক্স, পরিবহন ভাড়া
জোগ হবে।
এবার কথা বলবো ঢাকা এয়ারপোর্ট নিয়ে। ঢাকা এয়ারপোর্ট দিয়ে পণ্য আনলে সি এন্ড এফ কে মিনিমাম ৫০০০ টাকা খরচ দিতে হবে।
ফরওয়াডার টাকা দিতে হবে ২-৩০০০ টাকা। টা ছাড়া বিমানে ভাড়া অনেক বেশী। প্রতি কেজি ৭-৮ ডলার প্রায়৷
আর যেকোনো পরিমাণ পণ্যের জন্য এলসি করতে ১০ হাজার টাকা খরচ হবে। যে কোন পরিমাণ পণ্য আমদানি করেন মিনিমাম এই খরচ আপনাকে দিতেই হবে।
তবে সবচেয়ে ভালো হয় সেলার কে বলা যে আপনার পণ্য চট্টগ্রাম বা ঢাকা এয়ার পোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে দিতে।
ক্ষুদ্র আমদানি ব্যবসা করার আগে পণ্য সঠিক ভাবে বাছাই করুন এবং পণ্যের মূল দামের সাথে এসব খরচ যোগ করে দেখুন বাজারে এই পণ্য কত দামে
সেল করা হয়। এর পর যদি মনে হয় আপনি লাভ করতে পারবেন তবে শুরু করে দিন । আর লস হলে এটা করা যাবেনা। কারণ একই খরচ ১০০০০ কেজি আনলেও
হবে। যদিও ট্যাক্স পণ্য অনুযায়ী হবে কিন্তু অন্যান্য খরচ একি হয়। এজন্য বড় আমদানি কারকদের সাথে ক্ষুদ্র আমদানি ব্যবসা টিকে থাকতে পারেনা।
যেদিন থেকে গুগল এ্যডসেন্স বাংলা অনুমোদন দিলো, সেদিন থেকে বাংলাদেশের ব্লগিং জগতে ঘটে গেল এক যুগান্তকারী ঘটনা ৷ এখন বংলা লেখা ব্লগ থেকে়ও আয়
করা সম্ভব ৷ মাত্র ১০০০ টাকায় ডোমেইন কিনে ব্লগস্পটে হোষ্টিং করে অনেকেই নিরবে টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে, আমরা যার চিটে ফোটাও টের পাইনা ৷
আজকের পোষ্টে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো ব্লগিং করে কিভাবে আয় করা যাবে ৷ ইনভেষ্ট মাত্র ১০০০ টাকা ৷ শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন ৷
ব্লগিং কি ??
আমাদের ওয়েবসাইট টা দেখেছেন নিশ্চয়ই ৷ এটা একটা ব্লগ সাইট দিয়ে করা ৷ ব্লগস্পটে বা ওয়ার্ড প্রেসে হোস্টিং করা ৷ ব্লগিং হলে আপনার জানা কোন বিষয় ইন্টারনেটের
মাধ্যমে সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়া ৷ সেটা যাই হোক ৷ কবিতা বা গল্প বা রন্নার ফর্মুলা ৷
কিভাবে শুরু করবেন ?
প্রথমে ব্লগস্পটে একটা ওয়েবসাইট খুলুন ৷ ধরুন আপনি বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান গুলো নিয়ে ব্লগ ওপেন করবেন ৷ নাম দিলেন visitbd.blogspot.com
এবার অনলাইন থেকে ফ্রী টেমপ্লেট নামিয়ে আপলোড করে নিন ৷ হয়ে গেল আপনার পার্সোনাল ব্লগ ।
কিভাবে ব্লগস্পটে ওয়েবসাইট ওপেন করবেন ??
প্রথমে বলে রাখি ওয়ার্ড প্রেসে ব্লগ খুলতে হোস্টিং কিনতে হয় ২-৫০০০ টাকা দিয়ে। সে জন্য আমি blogger.com নিয়ে কথা বলবো। কারণ সেটা ফ্রি হোস্টিং।
প্রথমে blogger.com এ ক্লিক করুন ৷ এখানে আপনার যদি জিমেইল একাউন্ট থাকে তবে সেটা দিয়েই সব করতে পারবেন। যদি না থাকে তবে তবে একটা
জিমেইল একাউন্ট করে নিন। এর পর create blog এ ক্লিক করুন ৷ এবার নাম সিলেক্ট করুন ৷ ব্যাস হয়ে গেল ব্লগ ৷ না পারলে ইউটিউব এ গিয়ে
ভিডিও দেখে নিন ৷ কিভাবে blogger.com ব্লগস্পটে ওয়েবসাইট ওপেন করতে হয় এসব নিয়ে বাংলায় প্রচুর ভিডিও আছে।
কিভাবে .com ডোমেইন নিবেন ?
প্রথমে ব্লগস্পটে ফ্রী ডোমেইন দিয়ে ব্লগিং শিখুন ৷ পোষ্ট করতে থাকুন। মাঝে মাঝে ফেসবুকে শেয়ার করুন । এবার দেখুন ভিজিটর কি রকম আসে।
দুই তিন মাস পর দেখবেন অল্প অল্প ভিজিটর গুগল থেকে আসা শুরু হয়েছে। এবার webmasters tools এ গিয়ে
আপনার সাইট এর একটি সাইট ম্যাপ সাবমিট করুন। কিভাবে করবেন ইউটিউব এ গিয়ে ভিডিও দেখে নিন ৷ Webmasters এর কাজ হলো আপনার পোষ্ট গুলি
কিভাবে টাকা আয় করবো।
এবার আসি আসল কথায়। কিভাবে আপনি এই ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। এখন থেকে গুগল এ্যডসেন্স বাংলা অনুমোদন দিয়েছে। এবার কাজ হল
গুগল এ্যডসেন্সে আপ্লাই করার পালা। Earning অপশন থেকে এ্যডসেন্সে ক্লিক করুন। এক সপ্তাহ অপেক্ষা করুন । এ্যডসেন্স অনুমোদন নিতে সময় লাগবে । আরও পড়ুন
আজকাল চট দিয়ে পাপোশ, ম্যাট, পকেট, ব্যাগ, ও ঘর সাজানোর সামগ্রী খুবই জনপ্রীয় ৷ মানুষ চটের নানা ধরনের ব্যবহার সমগ্রী ব্যবহার করে ।
আমাদের দেশের বাজারে চটের তৈরী জিনিসপত্রের বেশ চাহিদা আছে। আমাদের দেশে চটের তৈরী অসংখ্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গড়ে উঠেছে।
অনেকে চটের পণ্য তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ করে আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছেন। চটের ম্যাট, পাপোশ, ব্যাগ ও ঘর সাজানোর সামগ্রী তৈরী
করে আপনিও শুরু করতে পারেন আত্ন কর্ম সংস্থান ৷
Woolen Carpet or Floor Rug । পাটের তৈরি কার্পেট , পাটের তৈরি ব্যাগ। পাট ও পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন ও সবরাহকারি
চটের পাপোশ কি
পাপোশ চিনেন না এমন লোক কম আছে ৷ আজকাল প্লাস্টিকের পাপোশের সাথে সাথে চটের পাপোশের চাহিদাও কম নয় ৷ চটের পাপোশ নানা ধরনের ও নানা
নকশার হতে পারে৷ পাপোশের নকশা বিভিন্নভাবে করা যায়৷ যেমন- ব্লক করা, সুতার কাজ করা বা কাপড় কেটে নকশা করার মাধ্যমে ৷
কিভাবে শুরু করবেন ?
এই ব্যবসা তেমন কঠিন কিছু না ৷ বেকার অথচ কিছু করতে চান তারা ব্যক্তিগকভাবে বা বানিজ্যিক ভাবে এই পন্য উৎপাদন করতে পারেন ৷ প্রথমেই বাজার
যাচাই করে নিন ৷ পাটের চট কত দামে গজ কিনতে হবে, কত দামে পাইকারি এবং খুচরা পাপোশ বিক্রি হয় এসব জেনে নিন ৷ পাপোশ গ্রামের চেয়ে শহরে বেশী বিক্রি হয় ৷
কারন ফ্লাটের প্রতি দরজার সামনে পাপোশ লাগে ৷ প্রতি ফ্লাটে ৮-১০ টি পাপোশ লাগবেই ৷ পাপোশ দ্রুত নষ্ট হয় বিধায় এগুলি দ্রুত পাল্টাতে হয় ৷ এজন্য পাপোশের
চাহিদা সব সময় থাকেই।
কি কি উপকরণ দরকার হয়
একটি চটের পাপোশ তৈরি করার জন্য যেসব জিনিস দরকার সেগুলো নিচে দেয়া হল। আপনি যখন বাণিজ্যিক ভাবে করবেন
তখন এসব বেশী পরিমাণে ক্রয় করতে হবে। সাদা বা রঙিন চট দেড় মিটার এবং সুতি রঙিন কাপড় আধা মিটার
সুতা ১ কাটিম
সুঁচ (১৮ নং) ১ টা
মেশিন ১ টা
গজ ফিতা ১ টা
কাঁচি ১ টা
ইত্যাদি ৷
কিভাবে চটের পাপোশ তৈরি করতে হবে
চটের পাপোশ তৈরি করার পদ্ধতি বেশ সহজ৷ সেইসাথে এর উৎপাদন ও বিক্রয় ব্যবসার জন্য মূলধন কম লাগে বলে গ্রাম বা শহর যেকোন স্থানেই এটি একটি
লাভজনক ব্যবসা হিসাবে দেখা যেতে পারে৷ এখন পাপোশ কিভাবে তৈরি করতে হবে তার প্রথমিক কিছু ধারণা দেওয়া হলোঃ
প্রথমে একটি পাটের চট লম্বায় ৫৪ ইঞ্চি ও চওড়ায় ১৪ ইঞ্চি নিয়ে মেপে দাগ দিয়ে নিতে হবে। এরপর চটটাকে সমান ৩ ভাঁজ করে ধারালো কাঁচি দিয়ে মাপমত চটটি
কেটে নিতে হবে । এবার চটের চারদিক থেকে আধা ইঞ্চি পরিমাণ ভাঁজ করে ভাঁজটি ভিতরের দিকে ঢুকিয়ে দিতে হবে; এরপর চটের চারদিকে হাতের সাহায্যে
লম্বা লম্বা ফোঁড় দিয়ে দিতে হবে। এবার পছন্দমত যেকোনো রঙের সুতি কাপড় নিয়ে তা ৩ ইঞ্চি চওড়া করে কাটবো৷ এরপর আমরা কাটা কাপড়গুলো
সেলাই করে লম্বা ফিতার মত তৈরি করে চটের চারদিকে সেলাই করে লাগিয়ে দিলেই চটের পাপোশ তৈরি হয়ে যাবে৷
এখন তৈরি পাপোশে পছন্দমত ব্লক বা ফেব্রিক্সের নকশা, পছন্দমত যেকোনো রঙের সুতা বা উল দিয়ে নকশা বা এপলিকের নকশা করে জিনিসটি সুন্দর করা যেতে পারে৷
Woolen Carpet or Floor Rug । পাটের তৈরি কার্পেট , পাটের তৈরি ব্যাগ। পাট ও পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন ও সবরাহকারি
কত লাভ লোকসান হতে পারে
একটি সুন্দর ডিজাইন করা চটের পাপোশ দোকানে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা খুচরা বিক্রি হয়ে থাকে। আজকাল অনলাইনেও এসব পণ্য সমানে
বিক্রি হচ্ছে। যেমন এ প্রত্যেকটি চটের পাপোশ ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা বিক্রি
হয়ে থাকে। আপনি চাইলে নিজেও খুলে নিতে পারেন একটা ফেসবুক অনলাইন শপ। একটা পাপোশ তৈরি করতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা খরচ হবে ।
এখানে আপনার যে সময় ব্যায় হবে সেটাই বড় ইনভেস্ট হবে। পাপোশ বানাতে তেমন কিছু লাগেনা। ফেলনা আর টুকরো করা কাপড় দিয়েও এসব করা যাবে।
প্রত্যেকটা পাপোশে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আয় করা সম্ভব। দৈনিক ১০ টা পাপোশ তৈরি করতে পারলে আপনি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
প্রশিক্ষণ কোথা থেকে নিবেন
বিসিক থেকে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে । তবে আজকাল ইউটিউবে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও পাওয়া যায় । আপনি চাইলে সেখান থেকেও শিখে নিয়ে কাজটি
করতে পারেন। আপনাদের জন্য একটা ভিডিও লিঙ্ক দিয়ে দিলাম ভিডিও ১ ভিডিও ২
। এছাড়া যারা এসব ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের থেকেও প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
কত মূলধন লাগবে
মাত্র ৫০০০ টাকা হলেই যথেষ্ট। এর বেশী লাগবেনা।
ব্যবসার সুভিধা
>খুব কম জায়গায় এই পাপোশ উৎপাদন করতে পারবেন।
>ব্যবসার জন্য মূলধন কম লাগে
>চটের পাপোশ তৈরি করার পদ্ধতি বেশ সহজ
>উৎপন্ন পণ্য সহজে নষ্ট হয়না।
>পরিবেশ বান্ধব।
ব্যবসার সমস্যা গুলি
> বাজারে অনেক প্রতিযোগী পাবেন।
>প্রথমে ডিজাইন শিখাটা একটু কঠিন।
>প্রচুর সময় দিতে হবে।
আপাদত তেমন আর কোন অসুবিধা দেখিনা। তবে নিজে ট্রাই করে দেখতে পারেন। আসা করি এখান থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাগণ ভালো করতে পারবেন।
লাইব্রেরি এবং স্টেশনারি ব্যবসা বর্তমানে বাংলাদেশে একটি লাভজনক ও সম্ভাবনাময় উদ্যোগ হিসেবে পরিচিত। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এই শিক্ষার্থীদের নিয়মিতভাবে প্রয়োজন হচ্ছে বই ও স্টেশনারি সামগ্রী। ফলে লাইব্রেরি ও স্টেশনারি দোকানের চাহিদাও বাড়ছে। তবে প্রচুর দোকান থাকা সত্ত্বেও মানসম্মত এবং আধুনিক লাইব্রেরি ও স্টেশনারি দোকানের সংখ্যা এখনও কম।
লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসা কেন করবেন?
লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসা করার মূল কারণ হলো এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং স্থায়ী লাভের সুযোগ। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বাড়ছে, ফলে শিক্ষার্থীদের বই, খাতা, কলম, এবং অন্যান্য স্টেশনারি সামগ্রীর প্রয়োজনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধরনের পণ্যের চাহিদা বছরব্যাপী থাকে, বিশেষ করে পরীক্ষার সময়গুলোতে এই চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। বই এবং স্টেশনারি পণ্যে তুলনামূলকভাবে উচ্চ মুনাফা পাওয়া যায়, এবং পণ্যের বৈচিত্র্য থাকা সত্ত্বেও ব্যবসার ঝুঁকি কম থাকে। তাছাড়া, একটি শিক্ষামূলক ব্যবসা হিসেবে লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসা সমাজের সেবা করতেও সহায়ক, যা ব্যবসার প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা বৃদ্ধি করে।
এবার আসি কিভাবে শুরু করবেন লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসা। নিচে শুরু করার প্রতিটি
ধাপ ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছি।
উপযুক্ত স্থান নির্বাচন
ব্যবসার সফলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক স্থানে দোকান নির্বাচন করা। লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসার জন্য প্রধানত বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন স্কুল, মাদরাসা,
কলেজের কাছাকাছি একটি স্থান নির্বাচন করা উত্তম। কারণ, শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা প্রায়শই বই ও স্টেশনারি পণ্যের ক্রেতা হয়। এছাড়া এমন জায়গায় দোকান দিন যেখানে মানুষের চলাচল বেশি বা যাতায়াত সুবিধা ভালো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দূরে হলে গ্রাহক সংখ্যা কমে যেতে পারে, তাই এ বিষয়টি মাথায় রাখুন।
লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন
যেকোনো ধরনের ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসার জন্য স্থানীয় প্রশাসন থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করে নিতে হবে। এটি না থাকলে, ব্যবসা পরিচালনায় বিভিন্ন ধরনের আইনি সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও, ট্যাক্স রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অনুমতিও সংগ্রহ করে নিবেন।
ডেকোরেশন এবং দোকান সাজসজ্জা
কাস্টমার আকর্ষণ করার জন্য দোকানের সাজসজ্জা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আকর্ষণীয় এবং পরিচ্ছন্ন ডেকোরেশন গ্রাহকের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা তৈরি করে। দোকানে পণ্যের সঠিক বিন্যাস, আলোর ব্যবস্থাপনা, এবং প্রপার ডিসপ্লে আপনার দোকানের মান বৃদ্ধি করবে। আপনি আশেপাশের দোকানগুলো দেখে কিছু আইডিয়া নিতে পারেন এবং নিজের দোকানকে আরও সুন্দরভাবে সাজাতে পারেন।
পণ্য সংগ্রহ
লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসার সফলতা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের পণ্য সরবরাহ করছেন তার উপর। বইয়ের জন্য ঢাকার বাংলা বাজার এবং স্টেশনারি আইটেমের জন্য চকবাজার বিখ্যাত। আপনি যদি ঢাকার বাইরে থাকেন, তাহলে স্থানীয় বই ডিলারদের থেকে প্রথমিক পর্যায়ে পণ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়াও, স্টেশনারি পণ্যের জন্য শহরের বড় হোলসেলারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। বইয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা হলো, অবিক্রিত বই বছরের শেষে ফেরত দিতে পারবেন, তাই প্রথমে বেশি বই কিনে মজুদ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
পণ্য তালিকা এবং বৈচিত্র্য
লাইব্রেরি বলতে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বই না ধরে, অন্যান্য ধর্মীয় বই, উপন্যাস, এবং শিক্ষামূলক বিভিন্ন পণ্য রাখতে পারেন। এছাড়া, খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, স্কেল ইত্যাদি স্টেশনারি পণ্যগুলো অবশ্যই মজুদে রাখতে হবে। ছোট ছোট গিফট আইটেম যেমন,
কাস্টমাইজড ডায়েরি, পেনসিল, বুকমার্ক ইত্যাদি রাখতে পারেন। এমনকি মোবাইল ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশ সার্ভিসের ব্যবস্থাও রাখতে পারেন, যা বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সেবা এবং আপনার ব্যবসায় বাড়তি আকর্ষণ যোগ করবে।
এই দোকানে একটি কম্পিউটার রাখলে ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন সেবা দেওয়া যাবে। যেমন অনলাইনে বিভিন্ন চাকরির আবেদন করে দেওয়া, জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে দেওয়া ইত্যাদি সেবা দিয়ে আয় করা যাবে। পাশাপাশি ফটোকপি ও লেমিনেশন সার্ভিস রাখলে ব্যবসা আরও জমজমাট হবে।
লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা
লাগবে?
মোটামুটি ১ লাখ টাকার মধ্যে লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। প্রথমে, দোকান ভাড়া ও ডেকোরেশন বাবদ আনুমানিক ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা লাগবে, যার মধ্যে শেলফ, র্যাক, ডেস্ক এবং আলো-ফ্যানের খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বই কেনার ক্ষেত্রে গাইড বই ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণের জন্য ৫০,০০০ টাকার একটি বাজেট রাখতে পারেন। এর মধ্যে গাইড বই, পাঠ্যবই, এবং কিছু জনপ্রিয় উপন্যাস বা ধর্মীয় বইও রাখতে হবে।
স্টেশনারি পণ্য কেনার জন্য ২০,০০০ টাকার বাজেট ধরা যেতে পারে, যেখানে খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, স্কেল ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সব মিলিয়ে, ১ লাখ টাকার মধ্যে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব, যা ধীরে ধীরে ব্যবসার আকার ও চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
তবে অবস্থান ও পরিস্থিতি অনুযায়ী এই খরচ কিছুটা কম
বা বেশি হতে পারে।
লাভের হিসাব
লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসায় লোকসানের সম্ভাবনা অনেক কম। একটি ভালো মানের বইয়ের বিক্রিতে আপনি কমপক্ষে ১৫% লাভ করতে পারেন, এবং যেসব বইয়ের চাহিদা তুলনামূলক কম, সেগুলোতে ২০% থেকে ২২% পর্যন্ত লাভ সম্ভব। এছাড়া স্টেশনারি আইটেমে ২০% থেকে ২৮% পর্যন্ত এবং কিছু ক্ষেত্রে ৪০% পর্যন্ত লাভ করা যায়। লাভের পরিমাণ মূলত পণ্য ক্রয়ের উপর নির্ভর করে।
মোটামুটি হিসাব অনুযায়ী, যদি আপনি মাসিক ১ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেন, তবে গাইড বই ও স্টেশনারি পণ্য মিশ্রণে আপনার মোট লাভ ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা হতে পারে। লাভের পরিমাণ নির্ভর করবে পণ্যের ধরন, বিক্রির পরিমাণ এবং বাজার পরিস্থিতির ওপর। ব্যবসা শুরু করার প্রথম ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে লাভের পরিমাণ স্থিতিশীল হতে শুরু করবে, এবং বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে লাভের হারও বাড়তে পারে।
ব্যবসার বিশেষ কৌশল
বই বা স্টেশনারি পণ্য কিনতে সবসময় এমন সময়ে কেনাকাটা করতে হবে যখন কোম্পানিগুলো বিশেষ অফার দেয়। বছরের শুরুতে বই কিনলে কোম্পানিগুলো বিশেষ কমিশন দেয়। বাংলা নববর্ষের সময়ে অনেক কোম্পানি ১০% পর্যন্ত ছাড় দেয়। কাস্টমারের প্রতি সবসময় ভালো ব্যবহার এবং প্রথমিক অবস্থায় কিছু গিফট দিয়ে তাদের আকৃষ্ট করা যেতে পারে। এছাড়াও, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য পণ্যের দাম অন্য দোকানের তুলনায় কিছুটা কম রাখতে চেষ্টা করতে হবে।
সতর্কতা
ব্যবসা শুরু করার আগে ভালোভাবে পরিকল্পনা করে নেয়া জরুরি। একবার ব্যবসা শুরু করে বন্ধ করলে লোকসানের সম্ভাবনা থাকে। বই কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই আসল এবং মানসম্মত বই সংগ্রহ করতে হবে। বছরের শুরুতে বই সংগ্রহ করলে বছরের শেষে বিক্রি না হওয়া বই ফেরত দেয়ার সুযোগ থাকে, যা ব্যবসার লোকসান কমাতে সহায়তা করে। সঠিক সময়ে বই ফেরত দিতে না পারলে লোকসানের মুখোমুখি হতে হবে।
আজকের আলোচনা এপর্যন্তই। কোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
কত দাম পড়বে?
সলিড টি শার্ট বিভিন্ন দামে হয়ে থাকে। আপনি দুই ধরনের সলিড টি শার্ট ক্রয় করতে পারবেন। একটা হল বাংলাদেশে তৈরি করা টি শার্ট আরেকটি হল এক্সপোর্ট রিজেক্ট টি শার্ট। সাধারণত বাংলাদেশে ছোট ছোট অনেক গার্মেন্টস আছে যারা নিজেরাই সলিড টি শার্ট তৈরি করে বিক্রি করে। বাংলাদেশে প্রচুর গার্মেন্টস আছে। মাঝে মধ্যে তাদের অনেক টি শার্ট এর লট বাতিল হয়ে যায়। অনেক সময় ভালো টি শার্ট ও লট আকারে বিক্রি করা হয়।তবে ইদানীং এটা খুব কম পরিমানে হচ্ছে। অনেকেই ফ্যাক্টরিতে তৈরি করে সেটাকে এক্সপোর্ট কেন্সেল বলে চালিয়ে দেন।
কোথায় পাবেন সলিড টি শার্ট ?
ঢাকার গুলিস্তানে এরকম একটি মার্কেট আছে । মার্কেট টি হচ্ছে গুলিস্তান ফায়ার সার্ভিসের ঠিক পিছনে। এখানে অনেক গুলি দোকান পাবেন যারা পাইকারিতে আপনার চাহিদা মাফিক টি শার্ট সরবরাহ করে থাকে।সরসরি ফ্যাক্টরি থেকে আপনি পাইকারি দামে বেশী পরিমাণে এক কালার টি শার্ট ক্রয় করতে চাইলে Haque Textile এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এক্সপোর্ট ফেব্রিক্স দিয়ে তৈরি ভালো কোয়ালিটির টি শার্ট সরবরাহ করে থাকেন তারা।
এছাড়া আপনি অনলাইনে দেখতে পারেন পলো শার্ট । কলার গেঞ্জি । পি কে পলো । ২০০ জি এস এম পলো শার্ট ।। US Polo Shirt , পলো শার্ট । কলার গেঞ্জি । পি কে পলো । ২০০ জি এস এম পলো শার্ট ।। US Polo Shirt , বড়দের টি-শার্ট । পোলো শার্ট । টি শার্ট ডিজাইন । টি শার্ট প্রিন্ট । T-Shirts - Buy TShirt For Men, Women & Kids Online in Bangladesh , পাইকারি দামে কলার টি শার্ট । টি শার্ট কালেকশন । টি শার্ট ডিজাইন । টি শার্ট প্রিন্ট । Women & Kids Online in Bangladesh , টি শার্ট কালেকশন । টি শার্ট ডিজাইন । টি শার্ট প্রিন্ট । T-Shirts - Buy TShirt For Men, Women & Kids Online in Bangladesh ।
কত দাম পড়বে?
দেশী গুলি থেকে আপনি ১০ পিস থেকে ১০ লাখ পিস সলিড টি শার্ট ক্রয় করতে পারবেন। দাম পড়বে ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত । ১২০ টাকার গুলি প্রিন্ট করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। তবে এসব টি শার্ট রপ্তানি মানের করে তৈরি করা। আর এক্সপোর্ট রিজেক্ট গুলি ৫-১০ পিস বিক্রি করা হয়না। আপনি লট আকারে ক্রয় করতে হবে। এক সাথে ১০০০ পিস বা ৫০০০ পিস। দাম ৫০ টাকা হতে ১০০ টাকা।
এখানে হালকা সমস্যা থাকে। যেটা আমারা সাধারণ ভাবে বের করতে পারবোনা। তবে ছেড়া ফাটা যাই থাকুক আপনাকে তাই নিতে হবে। কোন পরিবর্তন করা যাবেনা।
কোনটার মান ভালো হবে?
আপনি যদি বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চান তবে আপনার জন্য দেশী গুলি ভালো হবে। কারণ এখানে আপনি আপনার চাহিদা মত অর্ডার করে তৈরি করে নিতে পারবেন। এক্সপোর্ট গুলি হল তাদের জন্য যারা বিদেশে এক্সপোর্ট করতে চান। কারণ এক্সপোর্টের টি শার্ট গুলি সাধারণত বিদেশের সাইজে তৈরি করা হয়ে থাকে। তো আপনি এগুলি বাংলাদেশে বিক্রি করতে চাইলে একটু সমস্যা হবে। কারণ সেলাই , কাপড়ের মান ভালো হলেও সাইজ অনেক ক্ষেত্রেই মিলেনা।
এবারের বাজেটে পুরোনো গাড়ি আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বর্তমানে বিদ্যমান অবচয় সুবিধা বছরভিত্তিক আরো ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এ জন্য এখন আমদানী করা রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম সিসি ভেদে এক লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এ সংবাদ দিয়েছেন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) নেতারা।
এ জন্য নতুন , পুরোনো বা রিকন্ডিশন্ড গাড়ির শুল্কবৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) নেতারা। সংগঠনটির সুপারিশ, ইয়েলো বুকের ( যে মুল্য ধরে রিকন্ডিসন গাড়ির মুল দাম ধরা হয় ) নতুন মূল্য হতে ডলার বা ট্রেড ডিসকাউন্ট বাবদ ১০ শতাংশ বিয়োজন করার পাশাপাশি বছরভিত্তিক অবচয় হার আগের মতো রাখা হোক।
আনেকেই এই ট্রাইকোডার্মা ভার্মিকম্পোষ্ট কেঁচো সার সম্পর্কে জানেন ৷ জমিতে রাসয়নিক সার ব্যবহার করার ফলে জমির উর্ভরতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে ৷ ফলে জমিতে ফসল উৎপাদনে দেখা দিচ্ছে নানান জটিলতা ৷ এসব কিছু থেকে মুক্তি দিবে ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার ৷ সম্পুর্ন প্রাকৃতিক ভাবে এ সার উৎপাদন করা হয় ৷
কিভাবে শুরু করবেন এ ব্যবসা
এটা শুরু করা তেমন কোন কঠিন কাজ না ৷ প্রথমে শিখতে হবে কিভাবে ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার তৈরি করতে হয় ৷ ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও পাবেন এসব নিয়ে ৷ এ ছাড়া নিকটস্থ কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার তৈরির পদ্ধতি জেনে নিতে পারবেন ৷
ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার ব্যবহারে উপকারীতা সমূহ
১|মাটির জৈব চাহিদা পুরন করে।
২|মাটির স্বাস্হ্য রক্ষা করে।
৩|মাটিকে বন্ধ্যাত্বের হাত হতে রক্ষা করে।
৪|মাটির অম্লত্য ও খারত্ব 'কে সঠিক রাখে।
৫|পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৬|অনুজৈবিক কার্যাবলী বৃদ্ধি পায়।
৭| বীজ সহজে গজায়।
৮|শেকড় কে শক্ত করে।
৯|খাদ্য গ্রহন সহজলভ্য হয়।
১০| রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
১১|মাটির প্রয়োজনীয় তাপমাএা রক্ষা করে।
১২। ট্রাইকোডার্মা মিশ্রিত থাকায় গাছের মাটিবাহিত সকল ফাংগিসাইড নিয়ন্ত্রন ও ধ্বংস করে।
গোল্ড এবং সিলভার ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার এর মধ্যে পার্থক্য:
গোল্ড ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার হলো চুক্তিভিত্তিক কিছু প্রোফেশনাল কোম্পানির নিজস্ব সেটআপে অতি যত্নসহকারে সকল প্রকার নিয়ম, ব্যাবসায়িক গোপনিয় কিছু টেকনিক ও গুনগত মান বজায় রেখে তৈরি করা হয় যা ব্যায়বহুল। যা সাধারন খামারিদের উৎপাদিত ভার্মির চেয়ে অধিক কার্যকরি।
পক্ষান্তরে সিলভার ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারন খামারিদের থেকে কম দামে সংগ্রহ করা হয় যার কার্যকারিতা স্বাভাবিক মাত্রায় কম বেশি হয়ে থাকে, যার ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা প্রদান করা কস্ট সাধ্য।
আপনি শুরু করলে গোল্ড ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার দিয়ে শুরু করতে পারেন ৷
ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার গুদামজাতকরন-
ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট সার শুষ্ক ও ছায়া যুক্ত স্থানে বস্তার মুখ বন্ধ রেখে ৬-৮ মাস পর্যন্ত রেখে দিত পারবেন ৷ ফলে অনেক দিন রেখেও বিক্রি করা সম্ভব ৷ এ ছাড়া আপনি এই ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার সারা দেশে বস্তুতে ভরে বিক্রি করতে পারবেন ৷
ভার্মি
কম্পোস্ট তৈরির উপকরণ : বিশেষ প্রজাতির কেঁচো, গ্যাস মুক্ত তাজা গোবর,
স্যানেটারি রিং বা পাকা হাউস অথবা পাকা চাড়ি, চালা দেয়ার জন্য টিন বা খড়।
রিং পদ্ধতিতে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি : প্রথমে একটা উঁচু স্থান নির্বাচন করতে হবে, যেখানে সহজে পানি জমবে না বা সমতল জায়গার ওপর ১ ফুট উঁচু করে মাটি
ফেলতে হবে। মাটিকে ভালোভাবে পিটিয়ে শক্ত করে তার ওপর পলিথিন বিছিয়ে দিতে হবে। পলিথিনের ওপর পর্যায়ক্রমে ২টি স্যানেটারি রিং বসাতে হবে অথবা ৪
ফুটx৩ ফুট x ১.৫ ফুট (দৈর্ঘ্যx প্রস্থx গভীরতা) পাকা হাউস তৈরি করে তার ওপর টিন, খড় বা পলিথিন দিয়ে চালা দিতে হবে। রিং এর মাঝে ১ ইঞ্চি পরিমাণ ফাঁকা রাখতে হবে
যাতে করে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে।
পাকা
হাউসের দেয়ালে ১ ফুট পরপর ১ ইঞ্চি সাইজের পিভিসি পাইপ কেটে বসানো যেতে
পারে। রিং বা হাউসে তাজা গোবর ভরাট করে এক সপ্তাহ রেখে দিতে হবে। যাতে করে
গোবরের গ্যাস বের হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে গোবরগুলো নেড়ে-চেড়ে দিলে ভালো হয়।
বিশেষ প্রজাতির কেঁচো প্রতি হাউসে ৫০০-৭০০টি করে ছাড়তে হবে। রিং বা হাউসের
ওপরে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং মাঝে মধ্যে আর্দ্রতা ধরে রাখার
জন্য পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। রিং বা হাউসের বাইরের চারিদিকে মাঝে
মধ্যে কেরোসিন ছিটিয়ে বা স্প্রে করে দিতে হবে, যেন কোন ধরনের পিঁপড়া আক্রমণ করতে না পারে।
এভাবে ৩ মাস থাকার পর রিং বা হাউসের রাখা গোবর
সম্পূর্ণ সার হয়ে যাবে। যা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার নামে পরিচিত। রিং বা হাউসের গোবর যখন দেখা যাবে চা পাতার ঝুরঝুরে হয়েছে, তখন রিং বা হাউস
থেকে তুলে নিয়ে চালুনি দিয়ে চালতে হবে। চালার পর চালুনের মধ্যে কেঁচো থেকে যাবে এবং সার নিচে পড়বে। সার পলি ব্যাগে প্যাকেট করে ১৮-২০% আদ্রতায়
রাখা যায় ১ বছর পর্যন্ত। সার থেকে কেঁচো বের করার পূর্বেই কিছু গোবর গ্যাসমুক্ত করে প্রস্তুত রাখতে হবে। তারপর সার থেকে কেঁচো সংগ্রহ করে ওই নতুন গোবর
কেঁচোগুলো কিছুদিন রাখা যাবে। তারপর পুনরায় রিং বা হাউসটি গোবর দিয়ে ভরাট করে কেঁচো ছাড়তে হবে। যা আগের মতো আবার সার হতে থাকবে।
কত মুলধন লাগবে ?
প্রথমিক ভাবে ৪০০০ কেজি ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করতে ১ লক্ষ টাকা মুলধন লাগবে ৷ এছাড়া নিজস্ব জমির প্রয়োজন হবে যেখানে ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করা হবে ৷
লাভলোকসান
ভার্মি গোল্ড এর মুল্য:
প্রতি ৫০ কেজির ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারের বস্তা ১১০০ টাকায় বিক্রি হয় ৷ এছাড়া প্রতি ১০ কেজির প্যাক ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হয় ৷ ভার্মি সিলভার এর মুল্য ৫০ কেজির বস্তা ৭০০ টাকা ৪০০০ কেজি ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করতে খরচ হবে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা ৷ বিক্রি করতে পারবেন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা ৷ প্রতি বারে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার অনায়সে লাভ করতে পারবেন ৷
বিস্তারিত জানতে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন ৷
GREEN PANDA AGRO FARM (Banasree Branch)
Block-A, Road-7, House-1, Banasree,Rampura,Dhaka., 01765-125-126
গ্রীন পান্ডা এগ্রো ফার্ম (বনশ্রী শাখা)
বাড়ি নং - ১, রোড নং - ৭, ব্লক নং - এ
০১৭৬৫-১২৫-১২৬
এফ-কমার্স পেজের লিংক
একজন ভার্মিকোম্পষ্ট উদ্যোগ্তা, গুনগত মানের সাথে আপস করিনা,যোগাযোগের ঠিকানা,মো:শাহাজান খাঁন চুয়াডাঙ্গা জেলা।মোবা:০১৯৩৬১৮০৪০০
যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ২৮ দেশ সহ বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি বাইসাইকেলের এখন ব্যাপক চাহিদা । সাইকেল রপ্তানিতে বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে। শীর্ষ দুই অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে তাইওয়ান ও কম্বোডিয়া।
ইউরোপিয়ান
কমিশনের তথ্যানুযায়ী ইইউভুক্ত ২৮ দেশ বিভিন্ন দেশ থেকে ২০১৭ সালে প্রায় ১০৮
কোটি ইউরোর বাইসাইকেল কিনেছে । তার মধ্যে বাংলাদেশ থেকেই ক্রয় করেছে প্রায় ৬ কোটি ৫৪ লাখ ইউরো বা ৬৪২ কোটি টাকার বাইসাইকেল । ২০১৬ সালে রপ্তানি হয়েছিল
৬ কোটি ৫১ লাখ ইউরোর বাইসাইকেল। সেই হিসাবে গত বছর রপ্তানি বেড়েছে দশমিক ৪৬ শতাংশ। ১০ বছর আগেও ইইউতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল মাত্র
আড়াই কোটি ইউরো। ইইউতে গত বছর সর্বোচ্চ বাইসাইকেল রপ্তানি করেছে তাইওয়ান। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা কম্বোডিয়া। তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ।
কেবল ইইউ
নয় এর বাইরেও বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ বাইসাইকেল রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশ
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে গত অর্থবছরে
প্রায় ৮ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের বাইসাইকেল রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এই আয় তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেশি।
দেশের
বাইসাইকেল রপ্তানিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে মেঘনা গ্রুপ। ১৯৯৬ সালে ঢাকার
তেজগাঁওয়ে সরকারি বাইসাইকেল তৈরির প্রতিষ্ঠান কিনে নেয় তারা। তিন বছর পর রপ্তানি
শুরু করে। বর্তমানে ট্রান্সওয়ার্ল্ড বাইসাইকেল, ইউনিগ্লোরি ও মাহিন সাইকেল
ইন্ডাস্ট্রিজ নামে তিনটি ইউনিটে সাইকেল উৎপাদন করছে মেঘনা গ্রুপ।
এসব কারখানায় প্রতিটিতে ৪০০ শ্রমিক কাজ করেন। তা ছাড়া ইউনিগ্লোরি হুইলস নামের কারখানায় সিট, প্যাডেল, গ্রিপসহ সাইকেলের বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং মেঘনা
রাবার ইন্ডাস্ট্রিজে টায়ার ও টিউব উৎপাদন হচ্ছে। সব মিলিয়ে সাইকেলের ৯০ শতাংশ যন্ত্রাংশ তৈরি করছে মেঘনা গ্রুপ।
জানা যায়, মেঘনা গ্রুপ গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রায় সাড়ে চার কোটি ডলারের বাইসাইকেল রপ্তানি করেছে। এ ছাড়া তাদের কারখানায় উৎপাদিত টায়ার ও
টিউব বিশ্বের ১৮ দেশে সরাসরি রপ্তানি হয়েছে। যার পরিমাণ ২০ লাখ ডলারের কাছাকাছি। রপ্তানির পাশাপাশি দেশের বাজারেও সাইকেল বিক্রি করছে তারা।
বাংলাদেশিদের জন্য এতদিন চায়না ভিসা পেতে অনেক সমস্যা হত। অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্তেও চায়না ভিসা পাচ্ছেন না।
তবে খুশীর বিষয় হল বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নতুন করে ‘প্রবেশ মাত্রই’ (অন অ্যারাইভাল) ভিসা দিবে চীন।
তার মানে যারা এখন চায়না যেতে চান তারা এখন থেকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে চীনের অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাবেন বাংলাদেশিরা।
২২-১১-২০১৮ তারিখে চায়নার পোর্ট-ভিসা ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়ে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস।
এখন থেকে যে কেউ জরুরি এবং মানবিক প্রয়োজন, বাণিজ্যিক কাজ, প্রকল্প মেরামত, পর্যটন অথবা অন্য কোনো জরুরি কাজের জন্য চীনের
‘পোর্ট ভিসা’ সহজেই পাবেন।
আরও পড়ুন
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভ্রমণের জন্য সেদেশের পর্যটন
সংস্থাগুলোর মাধ্যমে যেতে হবে এবং বাণিজ্যিক কাজ, প্রকল্পের মেরামত বা
অন্য কোনো জরুরি কাজের জন্য কোনো চীনা পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেতে হবে। অন্যথায় যেতে পারবেন না।
ঢাকায়
চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর চেন ওয়েই এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি বলেন,
বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সুবিধার্থে ‘পোর্ট-ভিসাব্যবস্থা’
তথা
‘অ্যারাইভাল ভিসা’ দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে চীন সরকার। ‘গণপ্রজাতন্ত্রী
চীনের বহিরাগমন ও প্রবেশ প্রশাসন আইন’ অনুযায়ী, এই ব্যবস্থা কোনো নির্দিষ্ট রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য করা হয়নি। এই ব্যবস্থা অনুসারে, বিদেশিরা শর্তসাপেক্ষে চীনের
বিমানবন্দরে এসে ‘পোর্ট ভিসা’র জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ভিসার মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৩০ দিন।
বাংলাদেশের সকল ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সুখবর নিয়ে আসছে ব্যাংক এশিয়া। এখন থেকে ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাংক এশিয়ার
ডিজিটাল পেমেন্ট ‘স্বাধীন’ কার্ডের মাধ্যমে তাদের অর্জিত টাকা নিয়ে আসতে পারবেন। ব্যাংক এশিয়া এবং মাস্টারকার্ড পেওনিয়ারের
সঙ্গে একত্রে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে পেওনিয়ার একটি জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।
পেওনিয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা upwork.com, freelancer.com-এর মতো মার্কেটপ্লেস থেকে তাদের ফ্রিল্যান্সিং আয় গ্রহণ করে থাকেন।
ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাংক এশিয়ার স্বাধীন মাস্টারকার্ড, স্মার্টফোনে ব্যাংক এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ এবং পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হবে।
বেসিস, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড এবং মাস্টারকার্ডের সহযোগিতায় চলতি বছরের শুরুতে এই স্বাধীন মাস্টারকার্ড চালু করে ব্যাংক এশিয়া ।
ব্যাংক এশিয়ার স্বাধীন মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রথম পেমেন্ট সিস্টেম। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের উপার্জন অনলাইন
মাস্টারকার্ডের সহযোগিতায় মাধ্যমেই পাবেন। তবে তারা এই বিষয়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবে এবং বাংলাদেশের
ফ্রিল্যান্সারদের ডিজিটাল কমিউনিটির চাহিদাও পূরণ করবে।
প্রথমে ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংক এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ ব্যবহার করে তাঁদের স্বাধীন মাস্টারকার্ডের সঙ্গে নিজস্ব পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত করবেন। একবার স্বাধীন কার্ড
পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত হলে, ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংক এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সাররা তাঁদের পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে যেকোনো সময় স্বাধীন কার্ডে টাকা পাঠাতে পারবেন।