পি আই
নিয়ে আনেকে হয়তো জানেন , আবার আনেকে জানলেও ভালো করে জানেন না । এই পোস্টে
আমি PI ( Proforma Invoice ) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো ।
আশা করি শেষ পর্যন্ত পোষ্ট টি পড়বেন।
PI ( Proforma Invoice )
হলো আপনি যখন প্রথম কোন সেলার থেকে কোন পণ্য ক্রয় করতে চাইবেন এবং তাদের
সাথে দরদাম ফাইনাল করবেন, তখন আপনাকে সেলার এটা প্রদান করবে।
এই পি আই নিয়ে আপনি ব্যংকে জমা দিলে ব্যাংক আপনাকে একটি এলসি করার অনুমতি দিবে । অর্থাৎ এটা আমদানী করার একটা দলীল ৷
PI ( Proforma Invoice ) তে কি কি বিষয় থাকে ?
পি
আইতে সাধারনত প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা থাকে, পন্যের বিবরণ ইত্যাদি থাকে।
সেলারের ঠিকানা এবং তাদের ইনভয়েস নাম্বার পি আই তে খুবই জরুরি ৷কেননা আপনি
যখন এলসি করবেন তখন ইনবয়েস নাম্বারটি দিতে হবে।
পি আই এর তারিখ
অর্থাৎ, কোন তারিখে PI ( Proforma Invoice ) টি ইস্যু করা হয়েছিলো । তবে
বিভিন্ন কম্পানি বিভিন্ন ফরমেটে PI ( Proforma Invoice ) টি তৈরি করে থাকে
। কিন্তু তথ্য মোটামুটি একই রকম ৷
পি
আই এর ডেসক্রিপশনে পন্যের বিস্তারিত বিবরন, এরপর পরিমান, নেট ওয়েট এবং
গ্রোস ওয়েট, তারপর ইউনিট প্রাইস তারপর টোটাল এ্যামাউন্ট উল্ল্যেখ থাকে ।
কোন
পন্যটি আনবেন তার বিষদ একটি বর্ননা ডেসক্রিপশন ঘরে থাকতে হবে । কি পরিমান
আনবেন তা থাকতে হবে । পন্যের নেট ওয়েট থাকতে হবে । নেট ওয়েট হলো আপনি যে
বক্সে করে পন্য আনবেন তার ওজন ব্যতিত মোট ওজন।
পি আই তে পন্যটির ইউনিট প্রাইস থাকতে হবে । তারপর ফ্রেইট চার্জ যোগ করে আর্থাৎ পন্যটির আমদানী ভাড়া সহ যোগ করে মোট দাম লেখা থাকে।
এবার পি আই এর শেষের আংশ নিয়ে আলোচনা করব।
শেষের আংশে ট্রমস্ এবং কন্ডিশন নিয়ে লেখা থাকে। প্রথমে পরিমান উল্লেখ থাকবে, তারপর লেখা থাকবে শিপমেন্ট কবে করা হবে ।
তারপর কোন পোর্টে শিপমেন্ট করা হবে সেটাও লেখা থাকবে ।
মোট
পন্য কত প্যাকেজ হবে , ইনসুরেন্স এবং ভেলেডিটি অথাৎ PI ( Proforma Invoice
) টি কত তারিখ পর্যন্ত ভেলেডিটি থাকবে সেটি লেখা থাকবে ।
তারপর
থাকবে ইনটারমিডিয়েরি ব্যাংকের নাম ৷ অর্থাৎ যে ব্যাংকের মাধ্যমে এল সি টাকা
প্রদান করা হবে তার একাউন্ট নাম্বার , সুইফট্ কোড ইত্যাদি ৷
তারপর বেনিফেসিয়ারি ব্যাংকের নাম এবং এ্যাকাউন্ট নাম্বার থাকবে এবং তাদের ইনভয়েস নাম্বার ও এলসি নাম্বার থাকবে ।
পি
আই কিন্তু আমদানীকারকের কাছে খুবই গুরুত্ব পুর্ণ ৷ ব্যাংকে সাবমিট করার
আগে ভালো করে চেক করে নিবেন ৷ প্রয়োজনে শংশোধন করে নিতে পারেন ৷ কিন্তু
সাবমিট করে ফেললে ব্যাংক সর্ভারে ডাটা এন্ট্রি করে ফেললে তা শংশোধন করার
কোন উপায় থাকবেনা ৷
পি আই অনুযায়ী প্যাকিং লিষ্ট, ইনভয়েস হতে
হবে ৷ কোন মতেই পন্যের টোটাল দাম পি আই থেকে কম হওয়া চলবেনা ৷ যদি
ইনভয়েসে দাম কম দেন, তবে কাষ্টমসের সফটওয়ারে ডকুমেন্ট এন্ট্রি দিতে
পারবেন না ৷
আপনারা যারা আমদানি রপ্তানি ব্যবসার সাথে জড়িত তারা সি এন্ড এফ শব্দটির সাথে পরিচিত। সি এন্ড এফ শব্দটি আসলে একটা সংক্ষিপ্ত রুপ।
পূর্ণ রুপ হল Customs Clearing and Forwarding । সি এন্ড এফ হল এক ধরণের মধ্যসত্ত্ব লোক । আমদানি কারক বা রপ্তানি কারক এবং সরকারের মাঝে থেকে
আপনার হয়ে কাজ করে দিবে। আজকের পোষ্টে আমি লেখার চেষ্টা করবো সি এন্ড এফ ব্যবসা কি? কিভাবে সি এন্ড এফ চাকরি করা যাবে? কিভাবে সি এন্ড এফ লাইসেন্স নিতে হবে?
প্রথমে যেনে নেই কিভাবে কিভাবে সি এন্ড এফ লাইসেন্স নিতে হবে?
ঢাকা এয়ারপোর্টে সকল প্রকার সি অ্যান্ড এফ সেবা নিতে আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলুন 01531173930
কিভাবে সি এন্ড এফ লাইসেন্স নিতে হবে?
প্রত্যেকটা সি এন্ড এফ লাইসেন্স নেবার জন্য সি এন্ড এফ লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ থেকে পূর্বানুমতি নিতে আবেদন করতে হবে। লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স প্রদান করার পূর্বে
সংশ্লিষ্ট কাস্টমস স্টেশনের বিদ্যমান লাইসেন্স সংখ্যা এবং বিগত ৫ (পাঁচ) বৎসরের আমদানি রপ্তানির পরিসংখ্যান এবং নূতন করে লাইসেন্স প্রদানের যৌক্তিকতা উল্লেখপূর্বক
অনুমতি গ্রহণের জন বোর্ডে লিখিত ভাবে আবেদন করতে হবে।
বোর্ড আবেদন প্রাপ্তির পর সেটা যাচাই বাছাই করে নতুন করে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস স্টেশনে লাইসেন্স প্রদানের যৌক্তিকতা বিবেচনা করবে। যদি তারা মনে করেন যে নতুন করে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস স্টেশনে
লাইসেন্স প্রদানের যৌক্তিকতা রয়েছে তাহলে তারা লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষকে নতুন করে লাইসেন্স প্রদানের অনুমতি দান করেবে।
লাইসেন্সের আবেদন করার সময় আপনাকে নিম্ন বর্ণিত কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের নিকট প্রদান করতে হবে
(১) জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা সত্যায়িত ফটো কপি
(২) হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটো কপি
(৩) হালনাগাদ ই টিআইএন প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা সত্যায়িত ফটো কপি
(৪) আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটো কপি
(৫) আর্থিক সচ্ছলতার পক্ষে বাংকের সনদপত্র
(৬) আমদানি ও রপ্তানি নীতি, মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এবং কাস্টমস প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতার প্রমাণ সম্পর্কিত প্রত্যয়ন পত্র (যদি থাকে)
(৭) কম পক্ষে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রীর সনদপত্রের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা সত্যায়িত কপি
(৮) আবেদনকারী নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে, তার এলাকার চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কমিশনার প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা প্রত্যায়িত চারিত্রিক সনদপত্র;
(৯) আবেদনকারী কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী কোম্পানি হইলে কোম্পানির মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন এবং আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনের কপি , ১৯৩২ অনুযায়ী যৌথ মালিকানাধীন ফার্ম
হইলে যৌথ কারবারের চুক্তিপত্রের শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা সত্যায়িত ফটো কপি ।
(১০) ৫ (পাঁচ) হাজার টাকার অফেরতযোগ ̈ট্রেজারী চালান বা বাংক ড্রাফট বা পে অর্ডার লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের অনুকূলে আবেদনের সাথে দিতে হবে।
যদি আপনার আবেদনপত্র প্রাথমিকভাবে গৃহীত হয় তাহলে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে আপনাকে আমদানি ও রপ্তানি নীতি, মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এবং কাস্টমস প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনার
অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিতে আপনার থেকে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে। যদি আপনি পরীক্ষায় সফল ভাবে উত্তীর্ণ হতে পারেন তবে আপনাকে নিন্মবর্ণিত ফি সহ দলিলাদি কাস্টম হাউসে দাখিল করতে হবে।
ক) ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং কাস্টম হাউসের ক্ষেত্রে ১০ (দশ) হাজার টাকার ট্রেজারী চালান বা বাংক ড্রাফট বা পে অর্ডার জমা দিতে হবে।
(খ) কাস্টম হাউসে কাস্টমস এেজন্ট হিসাবে কাজ করার ক্ষেত্রে ৩ (তিন) লক্ষ টাকা এবং ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনে কাজ করার ক্ষেত্রে ১.৫ দেড় লক্ষ টাকা মূল্য মানের
সঞ্চয়পত্র দাখিল করতে হবে।
ঢাকা এয়ারপোর্টে সকল প্রকার সি অ্যান্ড এফ সেবা নিতে আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলুন 01531173930
সি এন্ড এফ ব্যবসা কি ?
সি এন্ড এফ ব্যবসা টা খুব জটিল একটা ব্যবসা। যে কেউ চাইলেই এই ব্যবসায় নামতে পারবেন না। সি এন্ড এফ ব্যবসা করার আগে সি এন্ড এফ এর
কাজে প্রচুর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে আপনার। সি এন্ড এফ ব্যবসা করার জন্য সরকার থেকে একটা বিশেষ ধরণের লাইসেন্স নিতে হয়। এটাকে সরকারি
ভাষায় প্রোপাইটর কার্ড বলে। এই লাইসেঞ্চের অধীনে সরকার একটা ইউনিক নম্বর দিবে। প্রত্যেকটা পেপার কাস্টমসে সাবমিট করার আগে সি এন্ড এফ কে
এই বিশেষ নম্বার ব্যবহার করতে হয়। এই ব্যবসা যেমন লাভের তেমনি প্রচুর রিস্কের। সি এন্ড এফ ব্যবসা করে অনেকেই রাতারাতি কোটি পতি বনে যান, আবার অনেকেই
ফকির হয়ে যান। আসলে সরকার সি এন্ড এফ দের জন্য টোটাল আসেসমেন্ট ভ্যালুর ০০.৫০% কমিশন নির্ধারণ করে দিয়েছিলো । কিন্তু পণ্য ভেদে সি এন্ড এফ রা এই কমিশন
২% ও নিয়ে থাকেন। আবার অনেকে সি এন্ড এফ এর সাথে কন্টাক্ট করেন ট্যাক্স সহ। এখান থেকেও অনেক আয় আসে। সি এন্ড এফ পেশা সম্মান জনক হলেও বর্তমানে অনেকেই
এটাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে অবৈধ পথে আয়ের উৎস বানিয়ে ফেলেছেন।
সি এন্ড এফ চাকরি
অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন কিভাবে সি এন্ড এফ চাকরি করা যাবে। আসলে সি এন্ড এফ চাকরি করতে হলে আপনাকে কাস্টমস এজেন্ট বা একজন কাস্টমস সরকারের কার্ড নিতে হবে।
এটা এক বিশেষ ধরণের কার্ড। এই কার্ডের বিপরীতে আপনাকে একটা নাম্বার দেয়া হবে। আপনি যখন কাস্টমসে কোন পেপার সাবমিট করবেন তখন এই কার্ড এর নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
তবে কাস্টমস এজেন্ট বা একজন কাস্টমস সরকারের বেতন বেশী দেয়া হয় না। ৫০০০ বা ৭০০০ টাকা দেয়া হয়। মূলত সি এন্ড এফ চাকরি করা হয় সি এন্ড এফ এর কাজ শিখার জন্য ।
একবার সি এন্ড এফ চাকরি করে কাজ শিখতে পারলে আপনি নিজেই ছোট খাট ব্যবসা চালিয়ে নিতে পারবেন।
ঢাকা এয়ারপোর্টে সকল প্রকার সি অ্যান্ড এফ সেবা নিতে আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলুন 01531173930
আপনাকে কাস্টমস এজেন্ট বা একজন কাস্টমস সরকারের কার্ড নিতে হলে নিচের কাগজ পত্র জমা দিতে হবে।
(ক)জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটো কপি
(খ) কম পক্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পাস সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সনদপত্রের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটো কপি
(গ) নিজ এলাকার চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কমিশনার অথবা জাতীয় প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত চারিত্রিক সনদপত্র
সি এন্ড এফ এর শাস্তি
যদি কেন সি এন্ড এফ অবৈধ কাজে লিপ্ত হন অথবা সকারের সূল্ক প্রদানে ফাঁকি দেন তবে সরকর নিচের বিধি মোতাবেক শাস্তি প্রদান করে থাকে।
ক) সি এন্ড এফ এর অবৈধ কাজ যদি শুল্ক কর ফাঁকির সাথে সংশ্লিষ্ট না হয় তবে কমপক্ষে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্ছ ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে
ধন্যবাদ আমাদের পোষ্ট এ ক্লিক করার জন্য। আপনারা অনেকেই জেনেছেন যে Aliexpress থেকে বাংলাদেশে সহজে পণ্য আমদানি করা যায়।
এই পোষ্ট এ আমি দেখাবো কিভাবে আপনারা Aliexpress টাকা পরিশোধ করবেন
।Aliexpress টাকা বিভন্ন ভাবে পরিশোধ করার যায় এদের মধ্যে আছে Visa,
MasterCard, Maestro, American Express, Wire Transfer, Webmoney,
Yandex.Money,
Western Union, QIWI, DOKU, Mercado Pago, Boleto,
bancontact, TEF, iDeal, Giropay, Sofort Banking, Carte Bancaire (Carte
Blue), Przelewy24, SMS Payment in Russia (MTC, MegaFon, Beeline, TELE2),
Cash Payment (Euroset, Syvaony, Russian Post), and AliExpress Pocket
ইত্যাদি।
তবে বাংলাদেশ থেকে Visa, MasterCard, Maestro, American Express, Wire Transfer, Webmoney,Western Union করতে পারবেন।
কিন্তু বাংলাদেশে Visa, MasterCard,American Express প্রচলিত ।
অনেকেই
মনে করেন আমদের দেশের প্রচলিত মাস্টার বা ভিসা কার্ড দিয়ে মনে হয় টাকা
পরিশোধ করা যাবে। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আপনাকে ডুয়েল কারেন্সির মাস্টার
কার্ড করতে হবে।
আর এই কার্ড সাধারণত ক্রেডিট কার্ড হয়। তবে বাংলাদেশে
ক্রেডিট কার্ড করা অনেক ঝামেলার । যে কেউ চাইলেই এই কার্ড করতে পারবেন না।
সে জন্য আপনাকে বিকল্প কার্ড ব্যবহার করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে Aliexpress টাকা পরিশোধ করার নিয়মঃ
যেহেতু বাংলাদেশে এখন এই ধরনের ক্রেডিট কার্ড নিতে আপানকে অনেক টাকা খরচ করতে হবে। এজন্য আপনাকে বিকল্প পথ বেঁছে নিতে হবে।
ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে EBL MasterCard Aqua Prepaid Card নামে একটা কার্ড ইস্যু করে।
এই
কার্ড ইস্যু করতে আপানকে খুব বেশী কষ্ট করতে হবেনা। আপনাকে জাস্ট ৭০০
টাকা খরচ করলেই হবে । প্রত্যেকটা কার্ডের মেয়াদ তিন বছর। তবে আপনার অবশ্যই
পাসপোর্ট থাকতে হবে। না থাকলে টাকা এন্ডোরস করতে পারেবন না।
আপনি
আপনার ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে ঢাকাতে ইস্টার্ন ব্যাংকের যে কোন ব্রাঞ্চে
গিয়ে বলবেন আপনি EBL MasterCard Aqua Prepaid Card করতে চান।
একটা ফর্ম
পূরণ করলেই হবে। এক মাসের মধ্যে কার্ড পেয়ে যাবেন। কার্ড পাবার পর
ইস্টার্ন ব্যাংকের সেই ব্রাঞ্চে গিয়ে বলবেন ডলার এন্ডোরস করে দিতে।
ডলার এন্ডোরস করতে আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট সাথে করে নিতে হবে।
কিভাবে কার্ডে EBL MasterCard Aqua Prepaid Card ডলার রিচার্জ করবেন ?
যেকোনো
ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্রাঞ্চে গিয়ে বলবেন আপনি EBL MasterCard Aqua Prepaid
Card এ ডলার রিচার্জ করবেন। ওরা আপনাকে একটি ফর্ম দিবে।
সেখানে দেখবেন ডলার জমা দেয়ার একটা অপশন আছে। সরবনিন্ম ৪৫০০ টাকা জমা দিতে পারবেন। এর কমে জমা দিতে পারবেন না।
যারা প্রথম Aliexpress থেকে আমাদানি করে ব্যবসা করতে চান তাদের অনেকেরই অভিযোগ থাকে যে Aliexpress পণ্য অর্ডার করে কোন পণ্য পাননাই।
এটা
খুবই হতাশা জনক কথা। আপনি যখন দেখবেন আপনার ট্র্যাকিং অনুযায়ী সকল পণ্য
বাংলাদেশে চলে এসেছে কিন্তু মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও আপনি কাঙ্ক্ষিত
পণ্য পান নাই, তখন Aliexpress কে দোষারোপ করা ছাড়া আর কোন গতি থাকেনা।
আজকের পোষ্টে আমি আপনাদের দেখানোর চেষ্টা করবো
সত্যই কি Aliexpress থেকে পণ্য ডেলিভারি দেয় নাকি ওরা পেমেন্ট নিয়ে পণ্য নিয়ে বাট পারি করে।
প্রথমে জেনে নেই কিভাবে Aliexpress.com থেকে পণ্য ডেলিভারি দেয়া হয়?
Aliexpress.com
থেকে পণ্য থেকে বিভিন্ন ভাবে পণ্য ডেলিভারি দেয়া হয় তার মধ্যে অন্যতম PS,
FedEx, DHL, TNT, EMS, TOLL, e-EMS, ePacket, China Post Registered Air
Mail, China Post Air Parcel,
China Post Ordinary Small Packet Plus,
HongKong Post Air Mail, HongKong Post Air Parcel, Singapore Post, Swiss
Post, Sweden Post, Russian Air, Special Line-YW, DHL Global Mail and
S.F. Express etc.
আসলে Aliexpress.com থেকে পণ্য খুব নিরাপদ ক্যারিয়ারে করে পাঠানো হয়। যাতে সেলার বা বায়ার কেউ ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়।
Aliexpress.com তাদের সেলার দের জন্য বিশেষ এক ধরণের ডেলিভারি সিস্টেম চালু করেছে যাতে বায়ার কে অতিরিক্ত টাকা খরছ করতে না হয়।
তবে কেউ চাইলে চাইলে অধিক টাকা খরচ করে UPS, FedEx, DHL, TNT, EMS, TOLL, e-EMS দিয়ে পণ্য আমদানি করতে পারবেন।
সাধারনত Aliexpress.com থেকে পণ্য পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে ePacket,
China
Post Registered Air Mail, China Post Air Parcel, China Post Ordinary
Small Packet Plus, HongKong Post Air Mail, HongKong Post Air Parcel,
Singapore Post, Swiss Post পোষ্ট গুলি ব্যবহার করা হয়। তাহলে পণ্য কোথায়
গেল?? আসুন জেনে নেই Aliexpress.com থেকে পণ্য সত্যই কি ডেলিভারী দেয়?
Aliexpress.com থেকে পণ্য সত্যই কি ডেলিভারী দেয়?
Aliexpress.com
থেকে পণ্য ১০০% ডেলিভারি দেয়। প্রতি হাজারে দুই একটা মিস হতে পারে। তবে
মিস হলে টাকা ফেরত দিবে তারা। আসল সমস্যা হলো আমদের পোষ্ট অফিসে।
আসলে আমাদের পোষ্ট অফিস আপানকে পণ্যটি ডেলিভারি দেয়না।
আপনি
অর্ডার করার আগে অবশ্যই আপনার পোষ্ট অফিসের পিয়ন কে বলে দিবেন। আপনার নামে
কোন প্যাকেট আসলে যেন টা আপনাকে পৌঁছে দেয়া হয়। চেষ্টা করবেন গ্রামের
পোষ্ট অফিসের ঠিকানা না দিয়ে মফস্বলের কোন পোষ্ট অফিসের ঠিকানা দিতে। তবে
টেস্ট করার জন্য আপনি প্রথমে ১ ডলারের পণ্য অর্ডার করে দেখতে পারেন। এর পর
বেশী পরিমাণে পণ্য অর্ডার করবেন।
আমদানী রপ্তানি ব্যবসার আরেকটু গভীরে আজকের আলোচনা৷ আজকে
আমি আলোচনা করবো বিল অব লেডিং নিয়ে ৷ যারা সী পোর্টে আমদানী করেন অথবা
করবেন তাদের জন্য আজকের আলোচনা খুবই গুরুত্ব পুর্ণ৷ পোষ্টটি ফেসবুকে শেয়ার
করার অনুরোধ থাকলো ৷
প্রথমেই বলে নেই বি এল কি??
সহজ
ভাষায় ট্রান্সপোর্ট চালান ৷ ধরুন আপনি ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম কুরিয়ারে পন্য
পাঠাবেন৷ পন্য পাঠানোর পর সুন্দরবন কুরিয়ার থেকে একটা ট্রাকিং নাম্বার,
পন্যের বিবরন, পরিমান, ওজন , সেন্ডার , রিসিভার ইত্যাদি তথ্যা থাকবে ৷ ঠিক
বি এল টাও মোটামুটি সেম ৷ চলুন বিস্তারিত দেখে নেই কি কি থাকে বি এল এ
Shipper
প্রথমেই থাকবে সিপারের নাম ৷ Shipper হলো যার থেকে আপনি পন্যটি ক্রয় করেছেন ৷ তার ঠিকানা বিস্তারিত থাকবে ৷এখানে আপনার সাপ্লায়ার কোম্পানির পরিপূর্ণ নাম থিকানাদেয়া থাকবে।
Consignee
সাধারনত
Consignee বলতে আমরা বুঝি আমদানীকারককে ৷ কিন্তু আপনি যখন ব্যাংক থেকে
এলসি করবেন তখন Consignee হিসাবে ব্যাংকের নাম দেয়া থাকে ৷
Notify to
ব্যাংক Consignee হলেও আমদানীকারক কিন্তু আপনি ৷ সেহেতু আপনার নাম থাকাটা খুবই জরুরি ৷ তাই Notify to অংশে আপনার নাম দেয়া থাকবে ৷
Bill if Landing Number
সবচেয়ে গুরুত্ব পুন্য অংশ ৷ একটা ইউনিক নাম্বার দেয়া হয় এই অংশে ৷ মুলত কাস্টমসে এই নাম্বারটাই এন্ট্রি দিতে হয় ৷
Shipping Lines
এই ঘরে আপনি শিপিং লাইনের লোগো সহ নাম ঠিকানা দেখতে পাবেন ৷
For delivery
এই
অংশে ফরওয়ার্ডারের নাম ঠিকানা থাকে ৷ যদি আপনি সরাসরি শিপিং লাইনে পন্য
না এনে এল সিএল নিয়ে আসেন , তাহলে ফরওর্ডার থেকে DO ( Delivery Order)
নিতে হবে ৷ এসব নিয়ে পরে আলোচনা করবো ৷
Port of Loading
এই অংশে যে পোর্ট থেকে পন্য শিপে লোডিং করা হয়েছে তার নাম থাকবে
Place of Delivery
বুঝতেই পারতেছেন এই অংশে ডেলিভারি পোর্টের নাম, যেমন চট্রগ্রাম পোর্ট, মংলা পোর্ট ইত্যাদি ৷
Vessel
এখানে যে শিপে করে পন্য আমদানী করা হয়েছে তার নাম লেখা থাকে ৷
Marks and Number
পন্যের প্যাকেটের গায়ে যে লেখাটি থাকবে তা এখানে লেখা থাকে ৷ যেমন আমদানী করকের নাম, বিশেষ কোন নাম্বার ইত্যাদি ৷
Net weight and Gross weight
নেট ওয়েট হলো পন্যের টোটাল ওজন ৷ প্যাকিং সহ৷ গ্রোস হলো শুধু মাত্র পন্যের ওজন ৷
এই হলো মোটামুটি বিষয় ৷ আর কিছু জটিল বিষয় আছে যেগুলি পরনর্তি পোস্টো দেয়ার চেষ্টা করবো ৷
বন্ধুরা
আজকের পোষ্টে আমি একটি প্রচলিত ব্যবসাকে ভিন্ন ভাবে উপস্তাহপন করার চেষ্টা
করবো।আপনারা অনেকেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দই বিক্রি করতে দেখেছেন। আমি
একজনের সাথে থেকে তার ব্যবসা ধিরঘ দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আপনাদের সাথে
ব্যবসার পুরো আইডিয়া আজকে শেয়ার করবো। প্রথমেই বলে
নেই এই ব্যবসাটিতে যেমন লাভ রয়েছে তেমনি লোকসান ও আছে। আপনি যদি কোন ভাবে অসতর্ক হন তবে পুরো ইনভেস্টমেন্ট লসের সম্মুখীন হতে হবে।
কিভাবে শুরু করবেন ?
এই ব্যবসা আপনি দুই ভাবে শুরু করতে পারবেন। প্রথমত নিজে বিক্রি করে , দ্বিতীয়ত দোকানে/ রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করে।
তবে
প্রথমে আপনি দোকানে সরবরাহ না করে নিজে বিক্রি করলে ভালো আয় করতে পারবেন।
বাস স্ট্যান্ড, রেল ষ্টেশন, স্কুল কলেজের পাশে অথবা যেকোনো জনাকীর্ণ স্থানে
বিক্রি করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
প্রথমেই আপনাকে কিছু সারাঞ্জম ক্রয় করতে হবে। এগুলি আপনি অনেক দিন ধরে ব্যবহার করতে পারবেন।
বড় কড়াই- ২ ---- ২০০০ টাকা
চুলা- ১০০০ টাকা
দুধ-২০ কেজি - ১২০০ টাকা
চিনি, কাপ-৫০০ টাকা।
অন্নান-২০০ টাকা
----------------------
মোট- ৫০০০ টাকা
দই উৎপাদন।
দুধ এবং চিনি সহ এক কাপ দই বানাতে আপনার ১৫ টাকা খরচ করতে হবে। প্রতি কেজি দুধ দিয়ে আপানকে ৫ কাপ দই বানানোর চেষ্টা করতে হবে। ৪০
কেজি দুধ দিয়ে আপনি অনয়সে ২০০ কাপ দই তৈরি করে
নিতে পারবেন। খুচরা বাজারে এক কাপ দই ২৫ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবেন। ১০০ কাপ দই থেকে আপনি ১০০০ টাকা লাভ করতে পারবেন।
মাসে ২৫ দিন যদি বিক্রি করতে পারেন তবে মাসে ২৫০০০ টাকা
অনয়সে আয় করা সম্ভব । আপনাদের কাছে মনে হতে পারে ১০০ কাপ দই মনে হয় বিক্রি করা খুব কঠিন হয়ে যাবে। আসলে কিন্তু তা নয়।
আমার দেখা মতে ঢাকা এয়ারপোর্ট রেল ষ্টেশন এর কাছে প্রতিদিন ২০০ কাপ
দই বিক্রি হয়।
সমস্যা
দই উৎপাদনের প্রধান সমস্যা হচ্ছে দই জমাট না হওয়া। আপনি যতই দক্ষ হোন, আপনাকে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবেই। তবে অরিজিনাল গরুর দুধ
ক্রয় করার চেষ্টা করবেন। অনেকে না না রকম অপদব্র মিশিয়ে
দইকে কালার করে।
এসব করবেননা। চেষ্টা করবেন অরজিনাল দুধ দিয়ে দই তৈরি করতে। প্যাকেটের তরল দুধ, পাউডার মিশিয়ে দুধ তৈরি করা
থেকে বিরত থাকুন। যেই দই নষ্ট হয়ে যাবে সেটা ফেলে দিন। তবে
ফ্রিজ রাখতে পারেন। যাতে করে অবিক্রিত দই পরের দিন বিক্রি করতে পারেন।
ব্যবসা বাড়াবেন কিভাবে?
নিজে
বিক্রি করে খুব বড় ব্যবসা করতে পারবেন না। দুই একটা স্পট ঠিক করুন। এখানে
লোক সেট করুন। তাদেরকে প্রতি পিসে আপনি ৫ টাকা করে লাভ দিতে পারেন। ১০০ পিস
করে তিনটি স্পটে ৩০০ পিস দই অনয়সে বিক্রি করতে পারবেন। ৩০০ পিসে ১৫০০ টাকা
আর নিজের স্পটে ১০০০ টাকা। মোট ২৫০০ টাকা। এজন্য আপনাকে অতিরিক্ত ৩ থেকে ৪
হাজার
টাকা মূলধন যোগ করতে হবে। এছাড়া দোকানে বা রেস্টুরেন্টে
পাইকারি সরবরাহ করতে পারবেন। ব্যবসা বড় করলে এখান থেকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন অনয়সে।
কিভাবে চায়না থেকে মোবাইল আমদানি করবেন তা নিয়ে আজকে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করবো। পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করবেন । বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি। প্রতিমাসে বৈধ পথেই হ্যান্ডসেট আমদানি হয়ে থাকে প্রায় ২৪ লাখ।
অনেকেই নতুন করে চায়না থেকে মোবাইল আমদানি করে ব্যবসা করতে চান। আজকের পোস্টটি এসব নিয়েই। চায়না থেকে মোবাইল আমদানি করে ব্যবসা করতে
চাইলে আপনাকে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। তবে আমি এখানে সম্পূর্ণ বৈধ পথে কিভাবে আমদানি করতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করবো।
বাজারে অবৈধ পথে আমদানিকারকরা কি পরিমাণ সমস্যা তৈরি করতেছে সেটা নিয়েও আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
আমদানি করার ধাপঃ
কাস্টমার এবং ব্র্যান্ড বাছাই করা
প্রথমে আপনাকে সিন্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন লেভেলের কাস্তমার দের জন্য আমদানি করবেন। বাজারে প্রচুর পরিমাণে চায়না ব্র্যান্ডের মোবাইল আছে।
যেমন সাওমি, স্যাম্পনি, লাভা ইত্যাদি। এরা কিন্তু বাজারে খুব ভালো দখল করে আছে। আপনি যদি ওদের কাস্তমার ধরতে চান তবে আপনাকে ওই লেভেলের কিছু ব্র্যান্ড সিলেক্ট করতে হবে।
চায়নাতে প্রচুর নতুন নতুন ব্র্যান্ড আছে । আপনি যে কার সাথে আলোচনা করে আমদানি করতে পারেন। তবে মোবাইল বিক্রির জন্য প্রচুর বিজ্ঞাপন করতে হবে। আপনি অবশ্যই
চেষ্টা করবেন এই বিষয়টা রপাতানি কারকের সাথে আলোচনা করে নিতে । কারণ আপনি মার্কেটিং এ ব্যায় করতে গেলে লোকসানের মুখে পরতে পারেন।
সাম্পল আমদানি করা
যদি সম্ভব হয় তবে নিজে চায়না গিয়ে আপনি যে কয়টি মডেলের মোবাইল বাজারজাত করতে চান তার স্যাম্পল নিয়ে আসবেন। সম্ভব হলে প্রত্যেক মডেলের দুইটি করে নিয়ে আসবেন।
মিনিমাম ছয় মাস নিজে এবং পরিচিত জন দিয়ে টেস্ট করাবেন। যত প্রকারের টেস্ট করা সম্ভব হয়। প্রয়োজনে মোবাইল খুলে দক্ষ কাউকে দিয়ে প্রত্যেকটা পার্টস টেস্ট করাবেন। এর পর
সিধান্ত নিবেন কোন মডেল আমদানি করবেন। কারণ প্রতিযোগিতার বাজার কিন্তু এটা। বুঝে শুনে আমদানি না করলে কিন্তু বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
পি আই আনা
এবারের কাজ হল সেলারের কাছ থেকে পি আই আনা। পি আই নিয়ে বিশাল পোষ্ট আছে। দেখে নিবেন। পি আই তে আপনার কোম্পানির একটি সিল মেরে সাইন দিয়ে
আপনি যে ব্যাংক থেকে এলসি করতে চান সে ব্যাংকে চলে যাবেন। পি আইতে আপনার পণ্যের দাম, ওজন, পরিমাণ, আমদানিকারকের নাম, রপাতানি কারকের নাম,
রপ্তানি কারকের ব্যাংক আকাউন্ট নাম্বার ইত্যাদি উল্লেখ থাকবে।
এলসি করা
এবার পি আই নিয়ে কোন একটা ব্যাংকে চলে যাবেন। যত ডলার এল সি করতে চান তাদের বলবেন। তবে এলসিতে আপনি যে পণ্য আমদানি করবেন মূল ক্রয় দাম উল্লেখ করতে হয়।
খুব সাবধানে এলসি ফর্ম পুরন করতে হবে। এখানে আপনি যে পণ্য আনবেন তার নাম এবং HS কোড এবং ফুল ভালু উল্লেখ করতে হবে। কোন ভাবেই জেন HS কোড ভুল না হয়।
এবার ব্যাংক সকল কাগজ পত্র সেলারকে পাঠাবে। সেলার সব যাচাই বাছাই করে, ট্রাক চালান, এল সি ফর্ম, পি আই, কমার্শিয়াল ইনভএস, প্যাকিং লিস্ট পুনরায় বাঙ্কে পাঠাবে।
ব্যাংক সকল কাগজ পত্র সাইন করে আপনাকে দিয়ে দিবে।
চায়না থেকে মোবাইল আমদানিতে প্রতি সেটে কত ট্যাক্স দিতে হবে??
এই বিষয়টা খুব জটিল অনেকেই হিসেব করতে পারেননা কত ট্যাক্স আসতে পারে। কিভাবে পণ্যের ট্যাক্স বের করতে হয় এসব নিয়ে আমার পোষ্ট আছে দেখে নিতে পারবেন।
তবে আমার কাছে Cellular Phone HS Code হিসাবে নিচের HS Code টি অধিক যুক্তি যুক্ত মনে হচ্ছে।
85171210
Cellular (Mobile/fixed wireless) telephone set
CD 10.00
SD 0.00
VAT 15.00
AIT 2.00
RD 0.00
ATV 0.00
EXD 0.00
------------------
TT 28.50
টোটাল
ট্যাক্স আসে ২৮.৫০ টাকা । তার মানে আপনি ১০০০ টাকা দিয়ে একটা চায়না
মোবাইল আমদানি করেন তবে আপনাকে ৩১০ টাকা ট্যাক্স দিতে হবে ( কম বেশী)
তবে কাস্টমস প্রত্যেকটি চায়না মোবাইলের একটা রেট ধরে আসেসমেন্ট করবে। অর্থাৎ আপনি যদি যত ডলার ঘোষণা দেন না কেন, কাস্টমস নির্দিষ্ট রেট ধরেই আসেসমেন্ট করবে।
পণ্য ছাড় করানো
চায়না থেকে মোবাইল ঢাকা এয়ারপোর্ট দিয়ে আমাদনি করা হয়। তবে মোবাইল কাস্টমস থেকে ছাড় করানো অন্য পণ্যের মত স্বাভাবিক প্রক্রিয়া না।
এর জন্য বিশেষ প্রক্রিয়া করতে হবে। কোন সি এন্ড এফের মাধ্যমে আপনার কাগজ পত্র কাস্টমে জমা দিবেন। সি এন্ড এফে আপনাকে ৩-৪ দিনে পণ্য খালাস করে দিবে।
সি এন্ড এফ কি তা নিয়ে বিশাল পোষ্ট আছে। দেখে নিবেন ।
এবার আলোচনা করবো মোবাইলফোন হ্যান্ডসেট / USB Modem আমদানীর জন্য প্রয়য়োজনীয় সরকারী নির্দেশনাবলী
প্রথমে
আপনাকে বিটিআরসি হতে Radio Equipment Importer and vendor Enlistment
তালিকাভূক্ত হতে হবে । এই তালিকাভুক্তি হওয়া এখন খুবই কঠিন ব্যাপার হয়ে
দাঁড়িয়েছে। তবে বেশ ভালো মানের একটা টাকা আপনাকে খরচ করতে হবে। বিটিআরসি যোগাযোগ করলেই জানতে পারবেন।
এর পর মোবাইল কাস্টমস থেকে খালাস করার আগে নিচের প্রক্রিয়া গুলি শেষ করতে হবে।
১। সকল
আমদানীকারককে বিটিআরসি হতে ‘‘Radio Equipment Importer and vendor
Enlistment” তালিকাভূক্ত হতে হবে এবং চলতি বছরের জন ̈নবায়নকত থাকতে হবে।
২। বাংলা কী প্যাড/UTF 16/UCS 2 সম্বলিত মোবাইল ফোনসেট (BAR/QWERTY) আমদানীর লক্ষে ̈আবেদনকৃত সেট ̧গুলির বাংলা কী প্যাড সম্বলিত হ্যান্ডসেটের Sample দেখাতে হবে।
৩। নতুন ব্রান্ডের ক্ষেত্রে সত্যায়িত
(ক) Manufacturer Certificate, (Original Language Native and English Version)
(খ) Quality Assurance Certificate, (গ) Copy of Agreement,(ঘ) Sample Mobile Set/USB Modem (ঙ) Distribution Certificate,
(চ) Manufacturer specification test Condition & test result ((নতুন মডেলের ক্ষেত্রে)), (ছ) Sample IMEI/MEID নম্বর
(জ) Battery Test Report for All Mobile Set Ges (নতুন মডেলের ক্ষেত্রে) দাখিল ক রতে হবে।
৪। পরীক্ষার জন Sample Mobile Set/IMEI সহ বিশেষজ্ঞের সাথে Presentation/ আলোচনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হলো।
৫। আবেদনকৃত মোবাইলসেট এর Warranty নিশ্চিত করার লক্ষে ̈Warranty কার্ড/সার্ভিসিং সেন্টার সমূহের ঠিকানা জমা দিতে হবে।
৬। আমদানীর পর এ যাবৎ বিটিআরসি কর্তৃক NOC এর মাধ্যমে কতটি সেট আমদানী করেছেন তার Database BTRC কে প্রদান করতে হবে।
৭। প্রতেক মডেলের Brochure প্রোপ্রাইটার কর্তৃক সত্যাায়িত করে জমা দিতে হবে।
৮। Proforma Invoice (ডলারসহ এবং ডলারবিহীন) উভয়ভাবেই প্রোপ্রাইটার কত্রিক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে।
৯। প্রতেক মডেলের সঠিক Sample IMEI/MEID নম্বর (এক্সেল ফরমেট) সিডিতে জমা দিতে হবে।
১০। সর্বশেষ আমদানীকৃত মোবাইলফোন হতে নমূনা সেট দেখাতে হবে (বিটিআরসি’র চাহিদা অনুযায়ী)।
১১। সর্বশেষ আমদানীকৃত সকল মোবাইলফোন হ্যান্ডসেট/USB Modem এর IMEI/MEID নম্বর (এক্সেল ফরমেট) সিডিতে জমা দিতে হবে।
১২। সকল আবেদন চেয়ারম্যান, বিটিআরসি বরাবর করতে হবে
উপরক্ত কাজ গুলি সম্পরন না করতে পারলে আমদানি করা মোবাইল কাস্টমস থেকে ছাড়াতে পারবেন না। সরকার এগুলি নিলামে তুলে দিবে।
বর্তমানে চায়না মোবাইল পণ্যের বাজারে বিশৃঙ্খলা
বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চায়নার ফ্যাক্টরি গুলি থেকে চোরাই পথে মোবাইল নিয়ে আসতেছে। যেমন গার্মেন্টসের বণ্ড করা পণ্যের ভিতরে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে
নিয়ে আসতেছে। এর কারনে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে এসব মোবাইল IMEI/MEID নম্বর দিয়ে মোবাইল ট্র্যাকিং করতে সম্ভব হবেনা।
হারানো গেলে খুজে পাবেন না। মাঝে মধ্যে লাগেজে করেও অনেকে মোবাইল নিয়ে আসেন। এগুলি সম্পূর্ণ অবৈধ। ধরা খেলে কাস্টমস সব মোবাইল বাজেয়প্ত করবে।
কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কোন পোষ্ট কেউ দেয় নাই। আজকে আমি আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার নিয়ম নিয়ে পূর্ণাঙ্গ পোষ্ট দেয়ার চেষ্টা করবো। যারা আলিবাবা নিয়ে মুটামটি ধারনা রাখে তারা আমাদের এই পোস্ট পড়লে বিস্তারিত ধারনা পেয়ে যাবেন । আর যারা মোটেই কোন ধারনা রাখেন না তারা আমাদের আজকের এই পোস্ট পড়লে খুব জামেলা মনে হবে । তাদের জন্য আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করার সহজ সমাধান এই সার্ভিসটি চালু আছে । এই পোষ্ট এর নিছে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রথমেই
বলে নেই আলিবাবা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় বি টু বি সাইট। এখান থেকে আপনি
যেকোনো পণ্য পাইকারি দরে ক্রয় করতে পারবেন। এখানে কেবল চায়না কোম্পানি না,
সারা বিশ্বের হাজার হাজার সেলার তাদের পণ্য বিক্রি কর থাকেন আলিবাবতে।
এমনকি বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর রপ্তানিকারক আছে যারা আলিবাবা ডট কমে পণ্য
বিক্রি করে থাকেন।
আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার নিয়ম কয়েকটি ধাপে বর্ণনা করবো।
প্রথম ধাপ (এ্যাকাউন্ট খোলা)
আলিবাবাতে
এ্যাকাউন্ট খোলা। আলিবাবাতে এ্যাকাউন্ট খোলা খুবই সহজ প্রক্রিয়া। আলিবাবার
এ্যাকাউন্ট দুই ধরনের হয় ৷ একটি হলো সেলার এ্যাকাউন্ট ৷ আরেকটি হলো
বায়ার এ্যাকাউন্ট ৷
সেলার হলো তাদের এ্যাকাউন্ট, যারা আলিবাবাতে পণ্য
বিক্রয় করবেন ৷ আর বায়ার এ্যাকাউন্ট হলো আমরা যারা আলিবাবা থেকে পণ্য
ক্রয় করবেন ৷ তবে আলিবাবাতে একটি এ্যাকাউন্ট দিয়ে বায়ার সেলার দুটোই
হতে পারবেন ৷ আলিবাবাতে এ্যাকাউন্ট করতে প্রথমে একটি অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিন ৷
এবার আপনার ভ্যালিড ইমেইল দিয়ে alibaba.com অ্যাপ্সে একটি এ্যাকাউন্ট করুন খুব
সহজেই ৷
আপনি আপনার ইমেইল দিয়ে দিন। এবার
তারা আপনাকে একটি ভেরিফিকেসন কোড পাঠাবে। ইমেইল থেকে সেন্ড লিঙ্ক এ ক্লিক
করে ভেরিফিকেসন কোড দিয়ে আকাউন্ট কনফার্ম করুন। এখানে আপনি বায়ার হলে
খুব বেশী তথ্য দিতে হবেনা। তবে আপনি যদি সেলার হোন তবে অনেক কিছু দিতে
হবে। আপনার যথা সম্ভব তথ্য দিয়ে ফর্ম টি পূরণ করে এ্যাকাউন্ট খোলার কাজটি শেষ করুন।
দ্বিতীয় ধাপঃ (পণ্যের সাপ্লায়ার, দাম সহ সকল বিষয় কনফার্ম করা)
একটি কথা প্রথমেই বলে রাখি , আপনি alibaba.com এ একাউন্ট না করেও পন্য ক্রয়
করতে পারবেন না ৷ কারন আকাউন্ট করা না থাকলে সেলারের সাথে যোগাযোগ করতে
পারবেন না । আলিবাবা থেকে পন্য ক্রয় করার জন্য প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে alibaba.com অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন ৷অ্যাপের উপরে একটি সার্চ বার দেখতে পাবেন ৷ সেখানে আপনার
কাঙ্ক্ষিত পন্য এর নাম লিখে সার্চ করুন । যেমন কলম কিনতে চাইলে pen লেখে
সার্স করলে দেখবেন কয়েক শ , কলম সেলারের সাইট চলে আসবে ৷ এবারের
কাজ হলো গোল্ড সাপ্লায়ার খুজে বের করা ৷ চেষ্টা করবেন 5 Years gold
suppliers চিহ্ন আছে এরকম কাউকে বেছে নেবার জন্য । তবে আপনি চাইলে তার কমও
নিতে পারেন ৷ কিন্তু সাবধানে কাজ করবেন ৷ কিন্তু একজন ফাইনাল সেলার নির্বাচন করার আগে যে কয়টি বিষয় খুব জরুরি তার মধ্যে গুরুত্ব পূর্ণ হলো
ঢাকা এয়ারপোর্টে বা চট্টগ্রাম পোর্টে আমদানি করা পণ্যের কাস্টমস ক্লিয়ারিং করতে সি এন্ড এফ দরকার হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন । সি এন্ড এফ
১৷ অবশ্যই তাদের গোল্ড সাপ্লায়ার থাকতে হবে ।
২৷ দাম কি FOB নাকি CFR এটা ভালো করে দেখে নিবেন ৷
৩৷
Country of origin কোথায়, এটাও দেখে নিবেন ৷ না হয় চায়না পন্য, তাইওয়ান
বলে চালিয়ে দিতে পারে ৷ অনেক সময় তারা এক দেশের সেলার আরেক দেশের পণ্য
সেল করে । এটা করা যায় । কিন্তু আপনি চেষ্টা করবেন যে দেশের পণ্য সে
দেশের সেলার থেকে ক্রয় করতে ।
৪৷ পন্য তারা কি উৎপাদন করে নাকি
সোর্সি করে এটাও জানবেন । যদি তারা পন্য নিজেরা উৎপাদন না করে তবে তারা দাম
বেশী চাইবে । কারন তারা Middle man হিসাবে কাজ করে । আর যদি তারা নিজেরা
সরাসরি উৎপাদন করে তবে তারা অন্যদের চেয়ে কম দামে দিতে পারবে ।যাহোক
পন্য সিলেক্ট করলেই দেখবেন, পাশে Contact Seller বা Get latest price নামে
সেলার কে মেসেজ বা ইমেইল করার বাটন আছে৷ বাটনে ক্লিক করে সেলারকে একটা
মেসেজ করে আপনার কি পণ্য লাগবে সেটা বিস্তারিত বলুন। সাথে
আপনার পারসোনাল ইমেইল আইডিটা দিয়ে দিবেন৷ যাতে তারা পরবরতিতে আপনার সাথে
যোগাযোগ করতে পারে । তবে যা কিছু লেখবেন অবশ্যই সেটা English এ হতে হবে
।নাহয় তারা বুঝবেনা । তবে ইংরেজিতে এক্সপার্ট হওয়া লাগবেনা ৷ স্বাভাবিক ভাবে লেখলেই চলবে ৷ এবার সাপ্লায়ার কে পণ্যের দাম জিজ্ঞাসা করবেন। যদি দাম আপনার মন মত হয় তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন পণ্যটি আমদানি করার ব্যাপারে।
সবকিছুর ফাইনাল হলে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আমরা আপনাকে পণ্যটি ক্রয় করে বাংলাদেশে আমদানি করে দেয়ার ব্যবস্থা করে দিবো। তবে অবশ্যই আপনাকে সাপ্লায়রের সাথে কথা বলে পণ্যের কোয়ালিটি, দাম ইত্যাদি সকল বিষয় কনফার্ম করে নিতে হবে।
বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমি বাংলাদেশের একটি প্রচলিত ব্যবসাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করব। বাংলাদেশে বাধাই করা খাতার ব্যপক চাহিদা রয়েছে ।
মানুষ এখন আর বাড়িতে তৈরি করা খাতা ব্যবহার করছেনা। Student থেকে শুরু করে চাকুরী প্রত্যাশিদের এখন খাতার প্রয়োজন। তাই বাধাই করা খাতা বিক্রির ব্যবসাকে হতে পারে আপনার আয়ের উৎস ।
কারন এই ব্যবসাতে লাভ বেশ ৷ পরিচিত Stationary Business সাথে আলোচনা করে আজকে আপনদের জন্য এই লাভ জনক ব্যবসার পুরো আইডিয়াটি শেয়ার করব। আশা করি ভিডিও শেষ পর্যন্ত দেখবেন।
কিভাবে শুরু করবেন ?
এই ব্যবসাটি আপনি Stationary
দোকানগুলিতে পাইকারি দরে সরবরাহ করে শুরু করতে পারবেন ৷ তাছাডা বর্তমানে
প্রয় সব ধরনের দোকানে খাতা,কলম বিক্রয় করা হয় । এসব দোকানে আপনি বাধাই করা
খাতা
সরবরাহ করতে পারবেন। তবে আপনার প্রোডাক্ট টি যখন মার্কেটে জনপ্রিয়তা লাভ করবে এবং সেল বাড়বে তখন আপনি কিছু মুলধনী যন্ত্রাংশ কিনে কারখনা গড়ে তুলতে পারেন এবং পর্যায়ক্রমে ডিলার এর মাধ্যমে
বিক্রয় করতে পারবেন। বাংলাদেশে এরুপ প্রচুর ব্যবসায়ী রয়েছে যারা প্রতিমাসে এই ব্যবসা করে হাজার হাজার টাকা আয় করে।
তাছাড়া ঢাকা শহরে বাধাই করা খাতা ভ্যানে করে বিক্রি করা হয় ৷ এদের প্রচুর সেল হয় ৷ আপনি চাইলে চার পাচঁটি ভ্যান দিয়ে খাতা বিক্রি করতে পারেন ৷
তবে শুরুর আগে অবশ্যই বিক্রির পরি কল্পনা করে নিবেন ৷
প্রয়োজনীয় উপকরণ
আপনি প্রথম
আবস্থায় আপনার পরিচিত কোন কারখানা থেকে বাধাই করার কাজটি করে ব্যবসাটি
শুরু করতে পারেন। নিজে পাইকারী দরে কাগজ ঢাকা থেকে কিনে নিবেন ৷তবে বাধাই
ভালো মানের হতে হবে।
নিজে উৎপাদন করে বিক্রয় করতে চাইলে কিছু বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেন ৷ প্রথমে সিদ্বান্ত নিতে হবে আপনি কোন ধরনের খাতা তৈরি করবেন । এবং কোন ধরনের কাগজ ব্যবহার করবেন ।
আমদের দেশে প্রচলিত খাতার মধ্যে লম্বা খাতাটি বেশ জনপ্রীয় অর্থৎ ১০.৫০ বাই ১৭ ইন্চি । কাগজের মধ্যে রয়েছে News Print Paper অথবা Offset Paper।
এর মধ্যে রযেছে ৪২ গ্রাম ৫০ গ্রাম ৫৫ গ্রাম উল্ল্যেখ যোগ্য ।
আজকে আমি এই পোস্টে News Print Paper এবং Offset Paper ৪২ গ্রাম ১০.৫০/১৭ ইঞ্চি খাতা তৈরির আইডিয়া শেয়ার করবো ।
এবার আলোচনা করব আপনি কত আইটেম খাতা বানাতে পারেন
১ . ৮৪ পেজ ।
২. ১২৪ পেজ ।
৩. ১৬০ পেজ ।
৪. ২০০ পেজ ।
৫. ৩০০ পেজ ।
তবে আপনার মন মত ভিবিন্ন পেজের খাতা এড করতে পারেন।
পেজ গনানর
ক্ষেত্রে একটি পাতাকে ৪ টি পেজ হিসাবে ধরা হয় । প্রথম আবস্থায় আপনি মার্জিন
ছাড়া খাতা বানাবেন । মর্জিন দেওয়ার জন্য আরেকটু খরচের প্রয়োজন হবে।
প্রথামে সেটি না হলেও চলবে।
আপনি যদি প্রথম আবস্থায় মোটামুটি এই ৫ ধরনের খাতা ৫০ টি করে তৈরি করেন তাহলে আপনার নিন্মের কাচামাল গুলো লাগবে ।
১ . আপনার পেজ লাগবে = প্রয় ১১৫০০ থেকে ১১৭০০ টি ।
২ . প্রতি রীমে পেজ থাকে ৫০০ টি করে প্রায় ৷
৩ . কাগজের রীম লাগবে প্রায় ২৪ থেকে রীম ।
৪. প্রতিটি খাতা শুরুতে এটি কভার লাগবে যা আপনি ১-২ টাকা দিয়ে বাংলা বাজার থেকে কিনতে পাবেন। তবে ব্যপক ভাবে শুরু করলে আপনি নিজের
নাম দিয়ে কভার তৈরি করতে পারবেন ৷এজন্য আপনার প্রোডাক্টির একটি নিদিষ্ট নাম বেছে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন যেন আপনার খাতার কভারটি মানসম্মত হয়।
#এবার আলোচনা করবো খাতা বাধাই করতে কি কি লাগবে ?
যদি দোকান থেকে বাধাই করান তবে ঝামেলা কম৷ প্রতি খাতায় ৩/৪ টাকা দিতে হবে ৷ তবে নিজে বাধাই করতে চাইলে প্রথমে আপনি সুতা দিয়ে বাধাই করতে পারেন অথবা স্টেপলার পিন দিয়েও বাধাই করতে পারেন ।
কিন্তু বড় খাতা তৈরি করতে আপনাকে সুতা ব্যবহার করতে হবে ।
২ . কভার লাগাতে ঘাম ব্যবহার করতে পারেন । তবে দেশীয় পদ্বতিতে ময়দার সাথে পানি,তুঁতের দ্রবণ,আঠা দিয়ে ও তৈরি করতে পারেন।
৩ . আপনি যখন খাতা বাধাই করবেন সামনের দিকে কিছু এলোমেলো থাকবে এগুলো আপনি কাটিং মেশিন দিয়ে কাটতে হবে প্রথম আবস্থায় আপনি আন্য স্থান থেকে কেটে আনতে পারেন।
শহরে এরপ প্রচুর দোকান রয়েছে। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার খাতার বাধাই যেন ভালো হয়। এবং মানসম্মত হয়।
*এবার আলোচনা করবো প্রতি খাতা তৈরিতে কিরুপ খরচ হতে পারে ?
আপনি প্রথম আবস্থায় সব আইটেম খাতা তৈরি করতে পারেন। নিন্মে আনুমানিক খরচ দেওয়া হলো।
১ . ৮৪ পেজ আপসেট ৯.৭০ পয়সা নিউজপ্রিন্ট ৫.৬০ পয়সা (কম বেশী হতে পারে)
২. ১২৪ পেজ আপসেট ১৫.৩৬ নিউজপ্রিন্ট ৮.৯০ (কম বেশী হতে পারে)
৩. ১৬০ পেজ আপসেট১৯.২০ নিউজপ্রিন্ট ১১.২০ (কম বেশী হতে পারে)
৪. ২০০ পেজ আপসেট২৩.৪ নিউজপ্রিন্ট ১৩.৪৪ (কম বেশী হতে পারে)
৫. ৩০০ পেজ আপসেট ৩৪.৫৫ নিউজপ্রিন্ট ২০.১৬ (কম বেশী হতে পারে)
প্রতিটি
খাতা তৈরিতে একটি কভার ও বাধাই মিলে ৬ থেকে ৭ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। তবে
আপনি যদি বেশি পরিমানে উৎপাদন করেন তাহলে খরচ আরো কমবে।
এবার দেখবো খুচরা বজারে কি দামে বিক্রয় হয়।
১. ৮৪ পেজ ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা
২. ১২৪ পেজ ৩৫ টাকা
৩. ১৬০ পেজ ৪০ টাকা
৪. ২০০ পেজ ৫০টাকা
৫. ৩০০ পেজ ৬০ টাকা
তবে কাগজের দাম বাড়ার কারনে আপনি আরো বেশি দামে বিক্রয় করতে পারেন। নিউজপ্রিন্ট আপসেট খাতা থেকে ৫ থেকে ১০ টাকা কম রাখতে পারেন।
কোথায় থেকে কাচামা সংগ্রহ করবেন?
১. কাগজ ঢাকার বাংলাবাজার ও আরামবাগ থেকে।
২. সুতা বাংলাবাজার, আরামবাগ ও চকে পাওয়া যায়
৩. কভার বাংলাবাজার পাওয়া যায়।
কত টাকা ইনভেস্টমেন্ট করবেন?
আপনি যদি উভয় প্রকার কাগজ দিয়ে খাতা তৈরি করেন তাহলে প্রাথমিক মূলধন লাগবে।
১. কাগজ বাবদ ৯৫০০ টাকা।
২. কভার ও বাধাই বাবদ ৪৫০০ টাকা।
৩. আন্যন্য খরচ বাবদ ১০০০ টাকা।
তাহলে আপনার মোট খরচ হবে ১৫ হাজার টাকা।
কোথায় বিক্রয় করবেন?
আপনি সাধারণত কোন স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসার পাশে, জনাকীর্ণ এলাকায় বিক্রি ভ্যানে করে বিক্রি করতে পারেন। তবে আপনি যদি পাইকারি বিক্রয় করতে চান, তাহলে ষ্টেশনারী দোকানে সরবরাহ করতে পারেন।
এবং আশে পাশের দোকানে যারা খাতা,কলম বিক্রি করে তাদের কাছে বিক্রয় করতে পারেন। তাছাড়া ঢাকা শহরের রাস্তায় ভ্যানে করে বিক্রি করতে চাইলে নিজে আথবা
আন্য কারো মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন। আপনার পণ্যটির সুনামের জন্য আপনি খাতাটি আন্যদের চেয়ে একটু কম দামে দিতে পারেন। তবে চেষ্টা করবে খুচরা বিক্রি করতে।
পাইকারি বিক্রি করলে আপনার লাভ কম হবে। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ টি খাতা বিক্রির চেষ্টা করবেন।
এ ব্যবসাতে লোকসান নেই
তবে আপনার কারনে আপনার লোকসান হতে পারে। বলে নেওয়া ভালো কাগজে বাতাস এবং আতি তাপ পড়লে কাগজের কালার নষ্ট হয়ে যায়। তাই চেস্টা করবেন কোন শুষ্ক , পরিস্কার কোন টেবিল বা
কাঠের উপর রাখতে।
আপনি যদি প্রতিদিন খুচরা ১০০ থেকে ১৫০ টি খাতা বিক্রয় করতে পারেন তাহলে আপনার প্রতিমাসে লাভ হবে খরচ বাদে ৩০-৫০ হাজার টাকা লাভ হবে। সাথে নিউজপ্রিন্ট যদি বিক্রি করেন তাহলে
আরো ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি লাভ হবে। তবে আপনি যদি ভ্যান নিজে না কিনেন এবং নিজে বিক্রি না করেন তাহলে প্রতিমাসে আরো বাড়তি ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে ।
মনে রাখবেন, আপনার প্রচারের প্রসারের উপর লাভ নির্ভর করে। আপনার ব্যবসা চেষ্টা করবেন সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে।