eibbuy.com
ফার্মেসি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?


ভাবছেন ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করবেন, কিন্তু বুঝতে পারছেন না কোথা থেকে শুরু করবেন? শুরুর আগেই বাধা আসছে লাইসেন্স থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের চিন্তায়? আজ আমরা, “ফার্মেসি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন, ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগবে, কি কি লাইসেন্স বা কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে, কোথা থেকে কিভাবে সংগ্রহ করবেন এই লাইসেন্স বা কাগজপত্র এবং ফার্মেসি ব্যবসার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়” নিয়ে আলোচনা করবো।

ফার্মেসি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?

ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে গেলে প্রথমেই আপনাকে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করার সময় নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে:

১. বাজার বিশ্লেষণ

আপনার এলাকায় ফার্মেসির চাহিদা এবং প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। এর পাশাপাশি, লক্ষ্য করতে হবে কোন ধরনের ওষুধের চাহিদা বেশি।

২. ব্যবসার নাম এবং লোকেশন নির্বাচন

ফার্মেসির জন্য একটি আকর্ষণীয় নাম নির্বাচন করুন। ফার্মেসির জন্য ভালো লোকেশন নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাসপাতাল, ক্লিনিক বা চিকিৎসা কেন্দ্রের কাছে ফার্মেসি স্থাপন করলে ব্যবসায় দ্রুত সাফল্য পাওয়া সম্ভব। তবে এলাকা বা মহল্লায় ফার্মেসি স্থাপন করতে চাইলে রাস্তার মোড় বা যেখানে জনসমাগম বেশি সেখানে দোকান দিতে হবে।

৩. পন্য নির্বাচন

ফার্মেসিতে শুধুমাত্র সাধারণ ঔষধ নয়, প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পণ্য রাখুন। এটি আপনার ব্যবসার বৈচিত্র্যতা বাড়াবে।

এসব বিষয় নিয়ে বসে ব্যবসার পরিকল্পনা ঠিক করবেন।

 লাইভ বেকারি ব্যবসাঃ বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক সেরা ব্যবসার আইডিয়া

লাইসেন্স ও অনুমোদন

এবার আসি কি কি কাগজপত্রের দরকার হবে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে। কিছু ঔষধ দোকানে নিয়ে বসে বসে বিক্রি করাটা কিন্তু অবৈধ। আপনার থাকতে হবে ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট এবং ফার্মেসি ব্যবসায় যেই লাইসেন্স সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ড্রাগ লাইসেন্স।

ড্রাগ লাইসেন্স পেতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল থেকে ছয় মাসের একটি ফার্মাসিষ্ট ট্রেনিং কোর্স করতে হবে। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ঔষধ বিক্রি করা যায় না। আইনি ঝামেলায় পরতে হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যায়।

দোকান ডেকোরেশন

আপনার ফার্মেসির জন্য ঔষধ রাখার শেলফ, ক্যাশ বক্স, রেফ্রিজারেটর দরকার হবে। খুব গোছালোভাবে ডেকারেশনের কাজটি করতে হবে।

ঔষধ কেনা ও বিক্রি শুরু করা

আপনার ফার্মেসির দোকান নেওয়া এবং ডেকোরেশনের কাজ শেষ করার পর, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হচ্ছে ওষুধ কেনা এবং বিক্রি শুরু করা। প্রথম দিকে আপনাকে পাইকারি দোকান থেকে ঔষধ কিনে আনতে হবে। প্রায় প্রত্যেকটি জেলা শহরেই পাইকারি ঔষধের মার্কেট থাকে।

অনেক বড় ফার্মেসি মালিকরা সরাসরি ওষুধ কোম্পানির ডিলার বা প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করে পণ্য সংগ্রহ করেন। এভাবে আপনি সুনির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ সরাসরি কোম্পানির কাছ থেকে কিনতে পারবেন।

ঔষধ বিক্রি শুরু করবেন কিভাবে?

১. প্রাথমিক স্টক ম্যানেজমেন্ট

প্রথমে, আপনার ফার্মেসির জন্য একটি প্রাথমিক স্টক প্রস্তুত করতে হবে। আপনার এলাকায় কোন ধরনের ওষুধের চাহিদা বেশি তা জানার জন্য বাজার বিশ্লেষণ অনুযায়ী ওষুধ সংগ্রহ করুন। সাধারণত, প্রাথমিক অবস্থায় কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ওষুধ সবসময় ফার্মেসিতে রাখবেন যেমন:

 

  • জ্বর, সর্দি, কাশি, ব্যথার ওষুধ
  • অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ
  • ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ
  • প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট

২. ওষুধের মেয়াদ যাচাই করা

ওষুধ কেনার পর প্রতিটি ওষুধের মেয়াদ যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের কারণে আইনগত সমস্যা হতে পারে এবং এটি আপনার ব্যবসার সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে পারে। ওষুধের মেয়াদ সম্পর্কে একটি নির্দিষ্ট ট্র্যাকিং সিস্টেম রাখুন, যাতে কোন ওষুধের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা বিক্রি করতে পারেন।

 সুপারশপ ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে?

৩. পণ্য ডিসপ্লে ও স্টোর ম্যানেজমেন্ট

আপনার দোকানে ওষুধগুলো সঠিকভাবে ডিসপ্লে এবং সংরক্ষণ করবেন। ওষুধগুলো সহজেই খুঁজে পেতে এবং বিক্রি করতে সুবিধা হয় এমনভাবে স্টোর সাজান। ওষুধগুলো ধুলো-ময়লা থেকে রক্ষা করে ঠান্ডা, শুষ্ক, এবং সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন। কোনো কোনো ওষুধ ফ্রিজে রাখা লাগতে পারে, সেগুলো ফ্রিজে রাখবেন।

 

৪. গ্রাহক সেবা উন্নত করা

আপনার কর্মীদের এমন হতে হবে, যারা গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধের পরামর্শ দিতে পারে এবং তাদের যেকোনো প্রশ্নের সহজভাবে উত্তর দিতে পারে। যদি আপনি গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে তারা বারবার আপনার ফার্মেসিতে আসতে আগ্রহী হবে।

৫. প্রোমোশন ও বিজ্ঞাপন শুরু করা

আপনার ফার্মেসি নতুন খোলার পর স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞাপন দিন। লোকাল পোস্টার, পামফ্লেট, এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার শুরু করতে পারেন। (পামফ্লেট হল একটি ছোট, এক বা একাধিক পাতার মুদ্রিত বা ডিজিটাল নথি, যা সাধারণত তথ্য বা বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। এটি হাতে হাতে বিতরণ করা হয় বা জনসমাগম স্থানে রাখা হয়, যাতে মানুষ সহজেই পড়তে পারে) প্রাথমিক অবস্থায় কিছু ডিসকাউন্ট অফার করতে পারেন, যা নতুন গ্রাহক আকৃষ্ট করতে সহায়ক হতে পারে।

ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগতে পারে?

যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগবে এটা নির্ভর করবে কোন স্থানে কেমন পরিসরে ব্যবসা শুরু করবেন তার উপর। ছোট বা মাঝারি আকারের একটি ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে মোটামুটি ৩-১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। তবে খরচের বিবরণ কিছুটা ভিন্ন হতে পারে ব্যবসার ধরন ও স্কেল অনুযায়ী। নিচে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে কী কী খরচ লাগতে পারে, তার বিস্তারিত ধারনা দেওয়া হলো:

  • দোকান ভাড়া: দোকানের অবস্থানের উপর নির্ভর করে ভাড়া বিভিন্ন হতে পারে। ঢাকার অভিজাত এলাকায় ভাড়া তুলনামূলক বেশি, যেখানে মাসিক ভাড়া ৩০,০০০ - ৭০,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে। শহরের অন্যান্য জায়গায় ২০,০০০ - ৩০,০০০ টাকার মধ্যে দোকান পাওয়া যেতে পারে।
  • প্রথম তিন মাসের ভাড়া (অগ্রিম সহ): ৬০,০০০ - ২,০০,০০০ টাকা (অবস্থানের উপর নির্ভর করে)।
  • ডেকোরেশন খরচ: ৫০,০০০ - ৩,০০,০০০ টাকা।
  • ড্রাগ লাইসেন্স ও অন্যান্য লাইসেন্স ফি: ১৫,০০০ - ৫০,০০০ টাকা।
  • প্রাথমিক ঔষধ স্টক: ২,০০,০০০ - ৪,০০,০০০ টাকা (ফার্মেসির আকার ও চাহিদার উপর নির্ভর করে)।
  • ফ্রিজের খরচ: ১৫,০০০ - ৫০,০০০ টাকা।
  • প্রতি মাসে কর্মচারীর বেতন: ১৫,০০০ - ৩০,০০০ টাকা (প্রতি জন)।
  • প্রচার ও বিজ্ঞাপন খরচ: ৫,০০০ - ১৫,০০০ টাকা।

মোট বিনিয়োগের ধারনা:

উপরের হিসাব অনুযায়ী, একটি ছোট বা মাঝারি আকারের ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে মোটামুটি ৩,৫০,০০০ - ১০,০০,০০০ টাকা লাগতে পারে।

 বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে

উল্লেখ্য, খরচের এই পরিমাণ আপনার ব্যবসার স্থান, আকার এবং অন্যান্য বিষয় অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে।

চীন থেকে বাংলাদেশে পন্য আমদানি করার নিয়ম

ফার্মেসি ব্যবসা নিয়ে আপনাদের আরও প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ।

বিস্তারিত
40 Best Small Business Ideas for Women

In today’s world, more women are taking the leap into entrepreneurship, seeking financial independence and personal satisfaction. Whether you’re balancing family responsibilities or simply looking for a flexible career path, small business ideas for women are more accessible than ever. With technological advancements, social changes, and increased support for female entrepreneurs, it’s an excellent time to start your own business.

In this article, we’ll explore small business ideas for women that are particularly well-suited to women in the USA and Europe, with tips on how to make them successful.

 

1. Online Coaching and Consulting

The coaching and consulting industry has exploded in recent years, and many women are finding great success in offering their expertise online. If you have skills or experience in areas like career development, life coaching, nutrition, fitness, or even parenting, you can offer one-on-one sessions or group workshops.

 

Starting an online coaching business is a great way to share your knowledge while maintaining a flexible schedule. Many women in the USA and Europe are using this model to coach clients virtually, eliminating geographical barriers.

 

How to Get Started:

Choose a niche: Focus on an area you are passionate about, such as business consulting, health coaching, or life skills.

Set up a website: Use platforms like WordPress or Wix to create a professional online presence. Include testimonials and case studies to build trust.

Market your services: Use social media platforms like Instagram, LinkedIn, and Facebook to showcase your expertise in women consulting services.

2. Freelance Writing and Content Creation

If you love writing or have a talent for crafting engaging content, freelance writing is one of the most flexible and profitable small business ideas for women. Whether it’s blog writing, copywriting, or content marketing, many businesses in the USA and Europe are seeking skilled writers to handle their online content.

 

How to Get Started:

Create a portfolio: If you don’t already have a portfolio, start a blog or offer to write for free for some clients to build one.

Join freelancing platforms: Websites like Upwork, Fiverr, and Freelancer are excellent places to start finding work.

Network with businesses: Join LinkedIn groups related to your niche and engage with potential clients to build a successful freelance writing business.

3. Handmade Crafts Business

Crafting is not only a hobby; it can also be a lucrative business. Whether you enjoy making jewelry, knitting, or creating home decor, there is a growing demand for handmade, personalized items. Websites like Etsy have made it easier than ever for women to turn their hobbies into profitable businesses.

 

How to Get Started:

Pick a niche: Focus on specific products like handmade jewelry, personalized clothing, or eco-friendly home decor.

Create an online store: Etsy is a great platform for selling handmade items, but you can also use Shopify or create your own website.

Leverage social media: Instagram and Pinterest are excellent platforms for visual businesses like handmade crafts. Share beautiful images of your products to attract buyers.

4. Sell Art

If you have a talent for creating artwork, whether it’s painting, illustration, or digital design, selling art online can be a profitable venture. Many platforms allow artists to sell their work as prints, on products, or as originals.

 

How to Get Started:

Choose a niche: Focus on specific types of artwork such as abstract, portraits, or nature.

Set up an online store: Use platforms like Etsy, Redbubble, or your own website to sell your creations.

Market your art: Share your work on Instagram, Pinterest, or TikTok to attract potential buyers and art collectors.

5. Candlemaking

Candle-making has become increasingly popular as a small business idea, especially among those who enjoy working with their hands and want to create personalized, scented products.

 

How to Get Started:

Learn the craft: Research the different types of wax and wicks to create high-quality candles.

Choose a niche: Create candles with unique scents, designs, or eco-friendly ingredients.

Sell your candles: Use platforms like Etsy, Shopify, or local markets to sell your candles.

6. Voice Actress

Voice acting can be a great career for women with a talent for mimicking voices or reading scripts with emotion. This business allows you to work from home and take on various projects, from audiobooks to commercials.

 

How to Get Started:

Get training: Consider taking voice acting courses to refine your skills.

Create a demo reel: Record various voice samples to showcase your range.

Find clients: Join voiceover platforms like Voices.com or freelance websites to get started.

How to import garments from Bangladesh?

7. Cloud Kitchen

A cloud kitchen, also known as a ghost kitchen, operates solely through food delivery platforms. This is a great small business idea for women who love cooking but don’t want to invest in a physical restaurant.

 

How to Get Started:

Develop a menu: Focus on popular delivery items such as fast food, desserts, or specialized cuisine.

Partner with delivery apps: Work with platforms like UberEats, DoorDash, or Grubhub.

Market your kitchen: Use social media and food blogs to promote your dishes and attract local customers.

8. Virtual Assistant Services

Becoming a virtual assistant (VA) is another great small business idea for women, especially if you’re organized and good at managing tasks. As more businesses move online, there’s an increasing demand for virtual assistants to handle administrative tasks like scheduling, email management, and social media updates.

 

How to Get Started:

Identify your strengths: Do you excel at managing social media, handling emails, or customer support? Choose services based on your skills.

Create a website or portfolio: Use websites like WordPress to showcase your services, client testimonials, and pricing packages.

Find clients: Join virtual assistant groups on Facebook or market your services through freelance platforms to build a thriving virtual assistant business.

9. Social Media Management

Many businesses in the USA and Europe need help managing their social media presence. If you have a good understanding of social media platforms like Instagram, Facebook, and Twitter, you can start a social media management business. This business idea allows you to work from home and offers flexibility.

 How to import garments Product.

How to Get Started:

Offer niche services: Focus on a specific type of social media management, like influencer marketing or Instagram growth.

Use scheduling tools: Familiarize yourself with tools like Hootsuite or Buffer to manage multiple clients efficiently.

Build a portfolio: Showcase the results you’ve achieved for past clients, including growth in followers, engagement, or sales.

10. Personalized Gift Creator

People love giving and receiving personalized gifts, making this a great small business idea. Whether you make custom jewelry, engraved items, or personalized clothing, there’s a big market for unique, customized products.

 

How to Get Started:

Choose your products: Decide what kind of personalized items you want to create, such as custom mugs, clothing, or accessories.

Set up an online store: Use platforms like Etsy or Shopify to sell your items.

Market your products: Use Instagram and Pinterest to showcase your personalized gifts and attract buyers.

11. Salon

Opening a salon can be a highly lucrative small business for women, especially if you have a passion for beauty services like hairstyling, nails, or skincare. This business can be started from a home-based salon or a commercial space.

 

How to Get Started:

Get certified: Obtain certifications for services you wish to offer, like hairstyling, nail art, or facials.

Find a location: Start with a home salon or rent a small commercial space.

Build your client base: Promote your services through local advertising and social media platforms like Instagram.

12. Personal Fitness Trainer or Yoga Instructor

Health and wellness are major industries in both the USA and Europe. If you’re passionate about fitness, you can turn it into a business by becoming a personal trainer or yoga instructor. You can offer one-on-one training sessions, group classes, or even virtual fitness sessions.

 

How to Get Started:

Get certified: Obtain a personal trainer or yoga certification to enhance credibility.

Create packages: Offer a range of services, such as individual coaching, group classes, or specialized fitness programs.

Promote on social media: Share your fitness journey, workout tips, and testimonials from clients on Instagram or YouTube to grow your personal fitness business.

13. Home Bakery Business

If you enjoy baking and love experimenting with recipes, starting a home bakery could be the perfect small business idea. With a rise in demand for custom cakes, cookies, and treats, especially for special occasions, there’s a significant market in the USA and Europe for home bakers.

  

How to Get Started:

Research regulations: Ensure that you meet the local health and safety requirements for operating a food business from home.

Develop a niche: Focus on specialty cakes, vegan treats, or themed cupcakes to differentiate yourself.

Offer online ordering: Use Instagram, Facebook, or a simple website for customers to place orders.

14. Blogging and Affiliate Marketing

Blogging is a flexible business that allows you to work from home and grow at your own pace. Many women in the USA and Europe have turned blogging into a full-time career by monetizing their blogs through affiliate marketing, sponsored posts, and advertising.

 

How to Get Started:

Choose a niche: Focus on a topic you are passionate about, whether it’s fashion, parenting, travel, or fitness.

Build your audience: Use SEO strategies and social media marketing to grow your blog’s readership.

Monetize your blog: Sign up for affiliate programs or reach out to brands for sponsored content opportunities.

15. Catering

For women who love cooking and organizing events, starting a catering business can be an exciting and profitable venture. Caterers are always in demand for weddings, corporate events, and parties.

 

How to Get Started:

Define your niche: Offer specific types of catering, such as vegan, wedding, or corporate catering.

Get certified: Ensure you have the proper licenses and certifications to prepare food for large groups.

Promote your services: Use word of mouth, local advertising, and social media to reach potential clients.

16. Photography Business

Photography is another excellent small business idea for women who have a talent for capturing beautiful moments. With the demand for professional photoshoots, especially for weddings, events, and social media content, photography offers many opportunities to turn your hobby into a business.

 

How to Get Started:

Invest in equipment: Purchase a good quality camera, lenses, and editing software.

Create a portfolio: Showcase your work through an Instagram page or a professional website.

Network locally: Join local business groups or participate in community events to build your client base.

17. Laundry Service

Offering a laundry service is a practical and flexible business idea that can cater to busy professionals or families who don’t have time for laundry. This business can be started from home with minimal investment.

 

How to Get Started:

Set up your service: Offer pickup and delivery laundry services to make it convenient for clients.

Invest in equipment: If needed, upgrade to commercial washers and dryers for larger loads.

Market your service: Promote your laundry business locally using flyers, online ads, or community groups.

18. Pet Sitting or Dog Walking Business

Many busy professionals need help with pet care, and if you love animals, this could be a fun and profitable small business. Pet sitting and dog walking are in high demand, particularly in urban areas across the USA and Europe.

 

How to Get Started:

Get insured: Ensure you have the necessary pet care insurance to cover any liabilities.

Advertise locally: Use community boards, social media, and local apps to find clients.

Offer personalized services: Provide add-ons like pet grooming, pet photography, or even dog training to increase your earnings.

19. Proofreader

If you have an eye for detail and a strong command of language, becoming a proofreader is a great business idea. Proofreading services are in demand by authors, businesses, students, and bloggers looking for error-free content.

 

How to Get Started:

Build your skills: Take online proofreading or editing courses to sharpen your skills.

Create a portfolio: Offer to proofread a few free samples to showcase your abilities.

Find clients: Join platforms like Upwork or Freelancer, or directly reach out to authors, bloggers, or businesses.

20. Content or PR Agency

Starting a content or public relations (PR) agency is an excellent idea for those skilled in communication, writing, and building relationships. Many businesses need content creation, media outreach, and brand management.

 

How to Get Started:

Develop a niche: Decide whether you want to specialize in blog writing, SEO, PR outreach, or content marketing.

Build a portfolio: Showcase past work on a professional website or social media.

Network: Reach out to potential clients through LinkedIn, and business events, or by joining content-related platforms.

21. Etsy Shop

Etsy is a popular online marketplace for handmade, vintage, and unique items. If you’re creative and craft-oriented, an Etsy shop can be a fantastic platform to sell your goods, such as jewelry, art, or home décor.

 

How to Get Started:

Identify your niche: Decide on the products you want to sell, such as jewelry, art, or custom-made goods.

Set up your shop: Create an account on Etsy, upload high-quality images of your products, and write engaging descriptions.

Promote your shop: Use social media platforms like Instagram and Pinterest to drive traffic to your shop.

22. Jewelry Brand

Starting a jewelry brand can be a highly rewarding business for women with a creative flair. Whether you focus on handmade pieces, custom designs, or even fine jewelry, the market for unique accessories is always in demand in the USA and Europe.

 

How to Get Started:

Choose your style: Focus on a niche such as fine jewelry, bohemian designs, or eco-friendly materials.

Build an online presence: Platforms like Instagram and Etsy are ideal for showcasing and selling your jewelry.

Invest in materials: High-quality materials will help your brand stand out and retain customers.

23. Personal Chef

For women who enjoy cooking and have a passion for food, becoming a personal chef is an exciting small business idea. Many busy professionals and families in the USA and Europe are looking for personalized, healthy meal services.

 

How to Get Started:

Create a menu: Offer customized meal plans for various dietary preferences, such as vegan, gluten-free, or paleo.

Market locally: Use social media and local networks to reach potential clients.

Obtain certifications: Consider getting food safety certifications to enhance credibility.

24. Makeup Artist

If you’re skilled in makeup and love making people look their best, a makeup artist business can be a lucrative option. You can offer services for events like weddings, photoshoots, and corporate functions.

 

How to Get Started:

Get trained: Attend a makeup artistry course to refine your skills.

Build a portfolio: Share before-and-after photos on social media platforms like Instagram.

Network: Collaborate with local photographers and wedding planners to expand your client base.

25. Ghostwriter

Ghostwriting is a great business for women with strong writing skills. Many professionals, bloggers, and influencers in the USA and Europe need ghostwriters to create blog posts, books, and articles under their names.

 

How to Get Started:

Build a portfolio: Start by writing articles for free or at a reduced rate to gain experience.

Market yourself: Join writing platforms or network on LinkedIn to find potential clients.

Specialize: Focus on a specific niche such as memoirs, business writing, or blog content.

26. Video Editor

With the rise of content creation, businesses and influencers are constantly in need of skilled video editors. This is a great business for women with a passion for storytelling through video and technical editing skills.

 

How to Get Started:

Learn editing software: Familiarize yourself with tools like Adobe Premiere or Final Cut Pro.

Create a demo reel: Showcase your editing skills with a portfolio of your work.

Market to content creators: Reach out to YouTubers, Instagram influencers, and businesses needing video content.

27. Travel Agency

For women who love travel, starting a travel agency can be both exciting and profitable. You can specialize in niche travel markets such as luxury trips, adventure travel, or family vacations.

 

How to Get Started:

Focus on a niche: Cater to specific types of travelers, such as honeymooners or eco-tourists.

Partner with suppliers: Build relationships with airlines, hotels, and tour operators for exclusive deals.

Use social media: Share travel tips and beautiful images to attract clients.

28. Content Creator

Becoming a content creator is one of the most flexible business ideas for women. Whether through blogs, YouTube, or social media, you can earn through brand partnerships, sponsored content, or advertising.

 

How to Get Started:

Choose a platform: Focus on one platform, such as Instagram, YouTube, or TikTok, to build your brand.

Create valuable content: Share tips, tutorials, or behind-the-scenes glimpses of your niche.

Monetize: Use affiliate marketing, brand collaborations, and sponsored content to generate income.

29. Wedding Planning

If you have strong organizational skills and enjoy event planning, starting a wedding planning business can be a fantastic small business idea for women. Many couples need help coordinating their big day.

 

How to Get Started:

Get experience: Start by helping friends or family members plan their weddings.

Build connections: Collaborate with florists, photographers, and venues to create a vendor network.

Market your services: Use social media platforms and wedding directories to attract clients.

30. Teach English

With the increasing demand for English language skills in many parts of the world, becoming an online English tutor is a great business idea for women. You can teach students from all over the globe, right from your home.

 

How to Get Started:

Get certified: Consider getting a TEFL or TESOL certification for teaching English as a foreign language.

Use teaching platforms: Websites like VIPKid and iTalki offer opportunities to connect with students.

Create lesson plans: Develop engaging and effective lesson plans for your students.

31. Home-based Daycare

Starting a home-based daycare is a rewarding and profitable business idea for women who love children and have a nurturing nature. As parents look for convenient and trustworthy daycare services, this can be a high-demand service.

 

How to Get Started:

Get licensed: Ensure you meet local childcare regulations and obtain necessary licenses.

Set up your space: Organize a safe and welcoming area in your home for children.

Market your daycare: Use local online platforms, community boards, and word of mouth to attract parents in need of childcare.

32. Woodworking – Furniture Repair and Restoration

If you have a knack for carpentry, woodworking, and restoring old furniture, this is a lucrative and creative business. Many people look for skilled artisans to repair or restore furniture.

 

How to Get Started:

Develop your skills: Take woodworking or restoration courses if you’re not already proficient.

Start small: Begin by offering services like furniture repair or refurbishing old pieces.

Market your services: Showcase before-and-after photos of your work on platforms like Instagram and Facebook to attract clients.

33. Grow Mushrooms

Growing mushrooms is a unique and profitable small business idea. As more people seek sustainable and local food sources, mushroom farming offers an opportunity to cater to this demand.

 

How to Get Started:

Research mushroom varieties: Popular types include oyster, shiitake, and button mushrooms.

Set up a growing area: Create a controlled environment such as a small indoor greenhouse or basement for growing mushrooms.

Market your mushrooms: Sell to local markets, restaurants, or directly to consumers through a website or farmer’s markets.

34. Sewing Business – Custom Clothes, Alterations

A sewing business is ideal for individuals who enjoy working with fabrics and design. You can offer services like custom-made clothing, alterations, or even designing fashion accessories.

 

How to Get Started:

Learn sewing techniques: Take classes to master sewing skills if you’re a beginner.

Start with alterations: Offer basic alterations for clothes to build a client base.

Market your services: Use local advertising, word of mouth, and social media platforms to promote your sewing business.

35. Massage Therapy

If you are skilled in therapeutic massage and wellness techniques, starting a massage therapy business can be a great way to help others and make a living. This is a business that often requires certification and licensing but offers a rewarding career.

 

How to Get Started:

Get certified: Obtain a massage therapy certification from a licensed program.

Set up a space: Create a relaxing and comfortable area in your home or rent a small commercial space.

Market your services: Use local ads, wellness events, or social media to reach people who are seeking massage therapy.

36. Music Teacher

If you are passionate about music and have a strong understanding of instruments or vocals, becoming a music teacher can be a rewarding business. You can offer lessons to students of all ages, either in person or online.

 

How to Get Started:

Determine your expertise: Whether you teach piano, guitar, voice, or any other instrument, decide what you’ll specialize in.

Create a lesson plan: Develop a structured curriculum to help students progress.

Promote your lessons: Advertise in local schools, music centers, and online platforms like Facebook or through word of mouth.

37. Data Entry

Data entry is an in-demand business that involves entering or updating data into systems, often for companies. It’s an ideal business for someone looking for flexible hours or work-from-home opportunities.

 

How to Get Started:

Develop your skills: Ensure you’re proficient with tools like Microsoft Excel or Google Sheets, and speed up your typing.

Find clients: Look for freelance opportunities on platforms like Upwork, Freelancer, or even directly reach out to small businesses that may need help with data entry.

Market your services: Build an online portfolio and leverage social media or business forums to promote your data entry services.

38. Dropshipping

Dropshipping is a business model where you sell products online without holding inventory. When a customer places an order, the product is shipped directly from the supplier to the customer. This is a popular option for those looking to start an online business with minimal upfront costs.

 

How to Get Started:

Choose a niche: Focus on a specific category of products like electronics, fashion, or home décor.

Partner with suppliers: Use platforms like AliExpress or Oberlo to find dropshipping suppliers.

Build an e-commerce site: Use Shopify or WooCommerce to create an online store and start selling.

39. Affiliate Marketing

Affiliate marketing allows you to earn income by promoting products or services from other companies. This can be a great passive income stream for bloggers, influencers, or anyone with an online presence.

 

How to Get Started:

Pick a niche: Focus on products or services that resonate with your audience.

Join affiliate programs: Sign up for affiliate networks like Amazon Associates or ShareASale.

Promote products: Use your blog, YouTube channel, or social media to recommend products, earning a commission for each sale made through your referral.

40. Social Media Influencer and YouTube Channel

For those who love creating content and sharing their thoughts, becoming a social media influencer or starting a YouTube channel can be both fun and profitable. Many women in the USA and Europe have found success by sharing their expertise or interests online.

 

How to Get Started:

Choose a niche: Whether it’s beauty, fitness, lifestyle, or travel, focus on content that resonates with you.

Build your following: Consistently post engaging content on platforms like Instagram, TikTok, or YouTube.

Monetize your channel: Through brand partnerships, sponsored content, or ads, you can turn your influence into income.

Bonus Idea*

41. Amazon FBA Reseller

Amazon FBA (Fulfillment by Amazon) allows you to sell products on Amazon, and Amazon handles the storage, shipping, and customer service. It’s a great option if you want to start an e-commerce business with less overhead.

 

How to Get Started:

Find a product: Research products that are in demand on Amazon and have a good profit margin.

Source your products: You can buy products in bulk from wholesalers or manufacturers and have them shipped to Amazon’s fulfillment centers.

Set up an Amazon Seller account: List your products, optimize product listings, and drive traffic to your store.

Why Women Should Consider Starting a Small Business

Starting a small business can be an empowering journey for women, providing financial independence, flexibility, and personal fulfillment. The small business ideas for women listed above offer diverse opportunities, from digital and service-based businesses to hands-on ventures like crafting or fitness training. With the right approach, dedication, and willingness to learn, any woman can turn her passion into a profitable business.

So why wait? Pick one of these small business ideas, and start building the business of your dreams today!

বিস্তারিত
বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা যায় এমন পণ্য এবং গন্তব্য দেশসমূহ


বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ হলেও বর্তমানে এটি একটি রপ্তানিকারক রাষ্ট্র হিসেবেও পরিচিত। দেশের বিভিন্ন খাত থেকে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে।

পোশাক বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিপণ্য এ ধারনা এখন পরিবর্তন হচ্ছে। বাংলাদেশের রপ্তানি পন্যের তালিকায় এখন নতুন নতুন পন্য যোগ হচ্ছে। কোন কোন পণ্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা যায় এবং সেগুলো কোন কোন দেশে রপ্তানি হচ্ছে এ বিষয় নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবো।

 

. গার্মেন্টস পোশাক

রপ্তানির গন্তব্য:

বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস রপ্তানি করা হয় মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, এবং অস্ট্রেলিয়া। বিশেষ করে H&M, Zara, Uniqlo, Primark, এবং Walmart-এর মতো বড় কোম্পানিগুলোর জন্য বাংলাদেশ গার্মেন্টস তৈরি করে থাকে।

 

রপ্তানিযোগ্য পণ্য:

 

টিশার্ট, শার্ট, জিন্স, প্যান্ট, সুয়েটার, স্পোর্টসওয়্যার, আন্ডারগার্মেন্টস।

বর্তমানে বেশ কিছুদিন ধরে নতুন নতুন গার্মেন্টস পন্য রপ্তানির তালিকায় যোগ হচ্ছে। এর বড় একটি উদাহরন হল টুপি।

 

. জুট জুটজাত পণ্য

রপ্তানির গন্তব্য:

ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, তুরস্ক, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, এবং ইউরোপের দেশগুলোতে জুট পণ্য রপ্তানি হয়।

 

রপ্তানিযোগ্য পণ্য:

 

জুট ব্যাগ, জুটের কার্পেট, জুট ফাইবার, জুটের তৈরি গৃহস্থালী পণ্য

জুট পণ্যের চাহিদা ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় বাড়ছে, বিশেষ করে পরিবেশ-বান্ধব ব্যাগ এবং প্যাকেজিং সামগ্রীর ক্ষেত্রে।

 

. চামড়া চামড়াজাত পণ্য

রপ্তানির গন্তব্য:

বাংলাদেশ থেকে চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করা হয় ইতালি, জার্মানি, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, এবং জাপানে।

 

রপ্তানিযোগ্য পণ্য:

 

চামড়ার জুতা, ব্যাগ, বেল্ট, চামড়ার জ্যাকেট

ইউরোপ এবং এশিয়ার দেশগুলিতে বাংলাদেশি চামড়া পণ্যের সুনাম রয়েছে, কারণ এখানকার চামড়ার গুণগত মান আন্তর্জাতিক মানের।

 

. খাদ্য পণ্য

রপ্তানির গন্তব্য:

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা হয় মূলত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মধ্যপ্রাচ্য, এবং কানাডায়।

 শেয়ার ব্যবসা কি? কিভাবে করবেন?

রপ্তানিযোগ্য পণ্য:

 

মাছ (চিংড়ি, ইলিশ), ফল (আম, কাঁঠাল), শাকসবজি, মসলা

বাংলাদেশের চিংড়ি এবং ইলিশ মাছ আন্তর্জাতিক বাজারে খুবই জনপ্রিয়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে এই মাছের বড় চাহিদা রয়েছে।

 

. মৎস্য

রপ্তানির গন্তব্য:

মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, এবং জাপানে মৎস্য পণ্য রপ্তানি করা হয়।

 

রপ্তানিযোগ্য পণ্য:

 

চিংড়ি, পাঙ্গাস, রুই, কাতলা

বিশ্বব্যাপী হালাল খাদ্য পণ্যের চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশি মাছের চাহিদা রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য এবং মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে।

 

. হ্যান্ডিক্রাফট সংস্কৃতিক পণ্য

রপ্তানির গন্তব্য:

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হ্যান্ডিক্রাফট পণ্য রপ্তানি করা হয়।

 

রপ্তানিযোগ্য পণ্য:

 

বাঁশের তৈরি সামগ্রী, হাতে তৈরি কাপড়, নকশিকাঁথা, মৃৎশিল্প

পশ্চিমা দেশে হাতে তৈরি এবং সাংস্কৃতিক পণ্যগুলোর চাহিদা রয়েছে। তারা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পকে বেশ গুরুত্ব দেয়।

 

. ঔষধ ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য

রপ্তানির গন্তব্য:

বাংলাদেশ থেকে ঔষধ রপ্তানি করা হয় ১৫০টিরও বেশি দেশে, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, কানাডা, এবং অস্ট্রেলিয়া।

 

রপ্তানিযোগ্য পণ্য:

 

এন্টিবায়োটিক, ভ্যাকসিন, জেনেরিক ড্রাগস

বাংলাদেশি ঔষধের গুণগত মান এবং কম দামের জন্য এগুলোর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল এবং নিম্নআয়ের দেশগুলোতে এই পণ্যগুলো রপ্তানি হচ্ছে।

 

. ইলেকট্রনিকস পণ্য

রপ্তানির গন্তব্য:

বাংলাদেশ থেকে ইলেকট্রনিকস পণ্য রপ্তানি করা হয় ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে।

 

রপ্তানিযোগ্য পণ্য:

 

টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, ফ্যান, মোবাইল ফোন

বাংলাদেশের তৈরি ওয়ালটন এবং স্যামসাং-এর মতো ব্র্যান্ডের পণ্য মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে ভালো বিক্রি হচ্ছে।

কিভাবে রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন? 

. কাঁচামাল

রপ্তানির গন্তব্য:

চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন কাঁচামাল রপ্তানি হয়।

 

রপ্তানিযোগ্য পণ্য:

 

রাবার, বালু, পাথর, বস্ত্রের কাঁচামাল

বিশ্বের অনেক দেশের বাজার বাংলাদেশের কাঁচামালের উপর নির্ভর করে, বিশেষ করে বস্ত্রের জন্য কাঁচামালের বড় চাহিদা রয়েছে।

 

১০. বিউটি পারফিউম

রপ্তানির গন্তব্য:

বাংলাদেশ থেকে বিউটি পারফিউম পণ্য রপ্তানি করা হয় মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।

 

রপ্তানিযোগ্য পণ্য:

 

সুরভিত তেল, স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টস, কসমেটিক্স।

বাংলাদেশি প্রাকৃতিক উপাদানের স্কিন কেয়ার পণ্য এবং সুরভিত তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো চাহিদা রয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা সম্ভব এমন অনেক অপ্রচলিত পণ্য রয়েছে, যেগুলোর বৈশ্বিক চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আগে যেসব পণ্য আমাদের দেশে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকত বা নষ্ট হয়ে যেত, বর্তমানে সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। এখন দেখব, বাংলাদেশ থেকে কোন কোন অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি করা যায় এবং কোন দেশে এদের চাহিদা রয়েছে। নিচে অপ্রচলিত রপ্তানি পন্যের তালিকা দেওয়া হলঃ-

  • পরচুলা
  • মশারি
  • জাহাজ ও সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার
  • খেলনা
  • ফুলের ঝাড়ু
  • নারকেলের ছোবরা
  • আগর
  • সাইকেল
  • গরুর নাড়িভুঁড়ি
  • টেক্সটাইলের পরিত্যক্ত ববিন
  • পরিত্যক্ত গাড়ির টায়ার
  • লুংগি সহ তাঁত শিল্প জাত পণ্য

কোন কোন দেশে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়?

এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের রপ্তানি পন্যের গন্তব্যের তালিকায় শীর্ষ ১০ টি দেশ হলো USA, জার্মানি, UK, স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, ভারত, ইতালি, জাপান, পোল্যান্ড।

বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করা হচ্ছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গার্মেন্টস, জুট, চামড়া, খাদ্য পণ্য, মৎস্য, ঔষধ, এবং ইলেকট্রনিকসের মতো পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।

 বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?

বিশ্বব্যাপী রপ্তানি বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন পণ্য যোগ করা হচ্ছে এবং সেই সাথে বাংলাদেশি পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

 

 

বিস্তারিত
লাইভ বেকারি ব্যবসা: বর্তমানে সবচেয়ে লাভ জনক সেরা ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমান যুগে প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে মানুষের জীবনযাত্রায় বেশ কিছু অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে। সেই পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো লাইভ বেকারি মেশিন। এটি একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র যা একটি বেকারির বেকিং প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় করে তুলেছে এবং মচমচে তাজা রুটি, কেক, পেস্ট্রি সহ বিভিন্ন বেকারি পণ্যের সরাসরি উৎপাদন এবং বিক্রিকে সহজতর করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক জায়গায় লাইভ বেকারির মেশিন দিয়ে সরাসরি কাস্টমারের সামনে উৎপাদন করে বিক্রি করে থাকে ৷  এতে যেমন কাস্টমারের বিশ্বাস তৈরি হয় সাথে বিক্রিও অনেক বেশি হয় ৷

চলুন এই যুগান্তকারী লাইভ বেকারির ব্যাবসা কার্যক্রম, সুবিধা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।

লাইভ বেকারি মেশিন কী?

গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় আমরা যেই ধরনের বেকারি দেখি সেখানে সাধারণত একটি বড় চুল্লির ভিতরে ময়দার খামির দেওয়া হয় ৷ কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি সর্বসাধারণের সামনে করা সম্ভব হয় না ৷ দেখা যায় বেকারি শহরের বাহিরে থাকে কিন্তু বিক্রি হয় শহরের ভিতরে ৷ এক্ষেত্রে রুটি বা বিস্কিট গুলো গরম গরম পরিবেশন করা সম্ভব হয় না ৷ সাধারণত পাউরুটির ক্ষেত্রে মানুষ গরম পাউরুটি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে এবং সবাই চায় যে এটা যদি তাদের সামনে তৈরি করা হয় তাহলে সেটার মান এবং কোয়ালিটি ভালো থাকবে ৷ লাইভ বেকারি মেশিন দিয়ে এমন একভাবে রুটি প্রস্তুত করা হয় যাতে এটি দিয়ে একটানা তাজা এবং গরম বেকারি পণ্য প্রস্তুত করতে সক্ষম। লাইভ বেকারিতে কেবলমাত্র পাউরুটি তৈরি করা হয় না বিভিন্ন ধরনের বিস্কিটও তৈরি করা হয়৷  বিভিন্ন প্রকার রেসিপি অনুসরণ করে তাজা বেকারি পণ্য প্রস্তুত করে এবং গ্রাহকদের কাছে সরাসরি গরম পণ্য পৌঁছে দেয়।

তবে লাইভ বেকারীতে সব সময় চেষ্টা করা হয় যে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করতে যাতে করে মানুষের হাতের ছোঁয়ার প্রয়োজন না হয় এতে করে লাইভ বেকারিতে উৎপন্ন পন্য সবচেয়ে বেশি হাইজেনিক হয়ে থাকে এবং যেহেতু মানুষ এই লাইভ বেকারিটি চোখের সামনে দেখে থাকে সেহেতু কাষ্টমারা মনে করে যে এটি খুবই পরিষ্কার পরিছন্নভাবে উৎপাদিত হয়েছে ৷ 

লাইভ বেকারির কাজের প্রক্রিয়া

লাইভ বেকারি মূলত কয়েকটি ধাপে কাজ করে:

খামির প্রস্তুত করা:

বেকারির মূল উপাদানই হলো ময়দা কারণ বেকারির অধিকাংশ পণ্যই ময়দা দিয়ে উৎপাদন করা হয়ে থাকে ৷ ময়দার খামির মিক্সার করার জন্য বেকারিতে এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় মেশিন ব্যবহার করা হয় আপনারা চাইলে এই লিংক থেকে ময়দা প্রস্তুতির ময়দার খামির তৈরির মেশিন বাংলাদেশ থেকে ক্রয় করতে পারেন ৷ সাধারণত গতানুগতিক বেকারি গুলোতে খামির তৈরীর ক্ষেত্রে অনেক নোংরা পরিবেশে করা হয় তো আপনি যখন লাইভ বেকারিতে খুব পরিচ্ছন্নভাবে খামির তৈরির প্রক্রিয়াটি সবাইকে দেখাবেন তখন আপনার তৈরি পাউরুটি কে সবাই খুব আগ্রহের সাথে ক্রয় করবে ৷

আকৃতি প্রদান:

একবার ময়দা তৈরি হয়ে গেলে সেটিকে বিভিন্ন পণ্যের আকার অনুযায়ী নির্দিষ্ট ফর্মাতে ফেলা হয় ৷ তবে এই গোলা তৈরির বিষয়টি খুব সাবধানে করতে হবে কারণ এই ক্ষেত্রে আপনাকে সরাসরি হাতের সাহায্য নিতে হবে সুতরাং আপনি ভালো করে হ্যান্ড গ্লাভস পরে এই কাজটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সহিত করতে হবে ৷ এবং রুটি কেক বা বিস্কিট তৈরিতে যে সমস্ত ফর্মা গুলো যেগুলো ব্যবহার করবেন সেগুলো খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবেন কারণ লাইভ বেকারির সব কাজগুলোই মানুষের সামনে করা হচ্ছে ৷ সুতরাং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না হলে আপনার এই পণ্যগুলো বিক্রি করা কঠিন হবে ৷

বেকিং:

ময়দা প্রস্তুত হওয়ার পর সেটি একটি নির্ধারিত তাপমাত্রায় বেক করা হয়। লাইভ বেকারির সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যায়টি হল সবার সামনে সেটিকে বেকিং করা ৷ লাইভ বেকারিতে বেকিং করার জন্য বড় ধরনের ওভেন ব্যবহার করা হয় এগুলি আপনি বাংলাদেশে বিভিন্ন মার্কেট থেকে ক্রয় করতে পারবেন ৷ বাংলাদেশে লাইভ বেকারি সবচেয়ে বড় মার্কেট হচ্ছে ঢাকা ফার্মগেট ৷ সেখানে আপনি এই লাইভ বেকারির বিভিন্ন ধরনের মেশিন বিক্রি করার দোকান পাবেন ৷ এছাড়াও আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকেও লাইভ বেকারি সমস্ত প্রকার মেশিন ক্রয় করতে পারবেন নিচে লাইভ বেকারি তৈরি বিভিন্ন মেশিনের লিংক দেওয়া হল ৷ 

গরম পণ্য বিতরণ: বেকিং সম্পন্ন হলে মেশিন থেকে সরাসরি গরম এবং তাজা পণ্য গ্রাহকের জন্য প্রস্তুত হয়। ওমেন থেকে বের করে গরম গরম পাউরুটি কে বিস্কিট আপনি যখন সরাসরি কাস্টমারকে দিবেন তখন এটা ভ্যালু অন্যরকম থাকবে ৷ সাধারণ পাউরুটি থেকে আপনি বেশি দামে এটা বিক্রি করতে পারবেন ৷ 

লাইভ বেকারির সুবিধা 

তাজা পণ্যের নিশ্চয়তা: লাইভ বেকারির মাধ্যমে আপনি সবসময় কাস্টমারকে তাজা পণ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হবেন, ফলে গ্রাহকরা সবসময় গরম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার পাবেন ৷ 

হাইজিনিক এবং নিরাপদ: যেহেতু মেশিনে হাতের ব্যবহার খুব কম হয়ে থাকে এবং যা প্রয়োজন সেই অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন করা হয়ে থাকে, তাই লাইভ বেকারির পণ্য পাউরুটি কেক বা বিস্কিট খুবই স্বাস্থ্যসম্মত। এবং যেহেতু সবার সামনে এই পণ্যগুলো উৎপাদন করা হয় সেহেতু চাইলেও এই পণ্য নোংরা ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হয় না ফলে লাইভ বেকারিতে উৎপন্ন পাউরুটি একবার বিস্কিট স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ হয়ে থাকে ৷ 

কোন জায়গায় উৎপাদন: লাইভ বেকারি মেশিন সাধারণত ছোট আকারের ও পোর্টেবল হয়, ফলে এটি সহজেই বিভিন্ন দোকানে স্থাপন করা যায়। গতানুগতিক বেকারির জন্য আপনাকে বড় ধরনের কোন জায়গার নির্বাচন করতে হবে কিন্তু লাইভ বেকারির জন্য ছোটখাটো দোকানেই আপনি শুরু করতে পারবেন ৷ ফলে আপনার উৎপাদন খরচ অনেক কম হবে ৷

লাইভ বেকারির সমস্ত মেশিন কোথায় পাবেন জেনে নিন।

লাইভ বেকারির মেশিনগুলি আপনি বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে পেয়ে যাবেন এছাড়া অনেকেই বিদেশ থেকে লাইভ বেকারি মেশিন আমদানি করে অফিসিয়ালি বিক্রি করে থাকেন আপনি তাদের থেকেও লাইভ বেকারি মেশিন ক্রয় করতে পারবেন ৷ 

সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ

যারা ছোট আকারে বেকারি ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য লাইভ বেকারি ব্যবসা একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বিশেষ করে রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং সুপারমার্কেটগুলিতে লাইভ বেকারি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এছাড়া লাইভ বেকারি মেশিন ব্যবহার করে উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারছেন।

বিস্তারিত
How to Import Garments from Bangladesh

Bangladesh has made a name for itself as one of the largest garment manufacturers in the world. If you’re considering venturing into the clothing import business, you’re in for a treat! Importing garments from Bangladesh not only promises high quality at competitive prices but also opens up a world of diverse styles. In this article, we’ll share my insights on how to import garments from Bangladesh, covering everything from finding reliable suppliers to navigating the legalities.

Why Import Garments from Bangladesh?
You might wonder why Bangladesh stands out in the garment industry. Here are some compelling reasons based on our research and experiences:

  • Cost Efficiency: The labor costs in Bangladesh are among the lowest globally, which translates into more affordable products. If you’re just starting, this is a major plus for keeping your initial costs down.
  • Skilled Workforce: The country boasts a highly skilled workforce dedicated to producing quality garments. Many factories have experienced artisans who can create intricate designs.
  • Diverse Product Range: From trendy T-shirts to elegant dresses, the variety is astounding. Whether you’re catering to fast fashion or high-end markets, you’ll find what you need.
  • Sustainability Efforts: Increasingly, many manufacturers are adopting eco-friendly practices, which can appeal to conscious consumers in your target market.

Types of Garments Available for Import
When you import garments from Bangladesh, you can expect a rich variety. Here are some categories you might consider:

1.     Knitwear: Think cozy sweaters and stylish hoodies, perfect for the fall season.

2.     Woven Wear: High-quality shirts and trousers are abundant, suitable for both casual and formal occasions.

3.     Sportswear: Activewear is a booming segment, with options for every fitness enthusiast out there.

4.     Children’s Apparel: The vibrant kids' clothing market offers everything from playful outfits to practical wear.

5.     Workwear: Don’t overlook uniforms and industrial clothing, which are always in demand.

Steps to Import Garments from Bangladesh

1.     Find Reliable Suppliers
The first step is crucial: finding the right supplier. We recommend starting with online platforms like Alibaba or local B2B sites like Eibbuy.com. Additionally, attending trade shows can provide firsthand insights and help build connections. We once attended a trade fair where we met a supplier who not only had a fantastic product line but also understood my market needs perfectly.

2.     Understand the Regulatory Requirements
Importing isn’t just about making purchases; it involves understanding the rules of the game. Each country has specific regulations regarding tariffs and customs clearance. Here’s what you need to know:

o    Import License: Check if your country requires an import license for garments.

o    Customs Clearance: Make sure you’re familiar with your local customs laws to avoid delays.

o    Certification of Origin: This document proves your garments are made in Bangladesh, which is essential for customs.

o    Safety and Quality Standards: Ensuring that the garments meet your target market's safety regulations is crucial.

3.     Place Your Order
Once you’ve found a reliable supplier, it’s time to place your order. Here are some key points to discuss:

o    Minimum Order Quantity (MOQ): Be aware of the MOQ; it can vary significantly from supplier to supplier.

o    Lead Time: Ask how long production will take to align with your sales cycle.

o    Payment Terms: Common options include Letters of Credit (LC) or advance payments. We prefer using LCs as they provide security for both parties.

o    Shipping: Discuss shipping terms to understand how the goods will reach you.

4.     Quality Assurance and Inspections
Quality control is vital. We’ve learned the hard way that assuming quality based on photos alone can lead to disappointment. Consider hiring a third-party inspection agency in Bangladesh to conduct pre-shipment inspections. This way, you can ensure that what you receive matches your expectations.

5.     Shipping and Logistics
Bangladesh’s main seaports, like Chittagong, are well-equipped to handle garment exports. When shipping, consider these aspects:

o    Freight Forwarder: A reputable freight forwarder can streamline the process, helping with paperwork and logistics.

o    Shipping Mode: Depending on your budget and urgency, choose between air and sea freight. Sea freight is usually more economical for larger shipments.

o    Customs Handling: Make sure you have all the necessary documents ready for a smooth customs clearance process.

Consider Our Factory for Quality Garments
If you're looking for high-quality garments at competitive prices, consider partnering with our factory in Bangladesh. We specialize in producing a wide range of clothing tailored to meet your specific needs. 
Visit our website  to learn more about our offerings and how we can assist you in your importing journey.

Costs Involved in Importing Garments from Bangladesh
Several factors impact the overall cost of importing garments:

  • Production Costs: This includes materials and labor.
  • Shipping Costs: These vary based on order size and destination, so it’s wise to compare quotes.
  • Customs Duties and Taxes: Different countries impose various tariffs on imported garments, so research your local rates.
  • Logistics and Insurance: Always consider insuring your shipment to protect against potential losses.

Tips for a Successful Garment Import Business

  • Build Strong Relationships: Regular communication with your suppliers can make a world of difference. Trust and reliability are key!
  • Stay Updated on Fashion Trends: Keeping an eye on trends will help you stock products that sell well.
  • Consider Ethical and Sustainable Sourcing: Consumers today are more conscious of where their products come from. Ethically sourced garments can help you stand out in a crowded market.


Importing garments from Bangladesh can be a rewarding venture if approached correctly. With its competitive pricing and high-quality production, Bangladesh offers a wealth of opportunities for aspiring importers. By following the steps outlined in this guide and infusing your personal touch into the process, you can successfully navigate the world of garment importing and watch your business thrive. If you need reliable partners in this journey, don’t hesitate to 
visit our website  for more information on how we can support your needs.

 

বিস্তারিত
অটোরিকশা ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে

বাংলাদেশে অটোরিকশা ব্যবসা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গ্রাম থেকে শহর, প্রত্যেক অঞ্চলে অটোরিকশার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অটোরিকশা কিনে দৈনিক ভিত্তিতে চালকদের কাছে ভাড়া দেওয়াই মূলত অটোরিকশা ব্যবসা। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া মালিককে প্রদান করে, চালকরা বাকি আয় নিজেরা রাখেন। এ ব্যবসায় বিনিয়োগকারীরা সহজে লাভবান হচ্ছেন। আজ আমরা আলোচনা করবো অটোরিকশা ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন, অটোরিকশা ব্যবসা করে কেমন লাভ করা যায়, এ ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে, এবং অটোরিকশা ব্যবসায় যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং সমস্যাগুলোর সমাধান।

 

অটোরিকশা ব্যবসার সুযোগ ও সম্ভাবনা

বাংলাদেশে পরিবহন ব্যবস্থা অত্যন্ত ব্যস্ত এবং প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করেন। তাদের অনেকেই কম খরচে অটোরিকশা ব্যবহার করেন। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে ট্রাফিক জ্যাম এবং সরু সড়কে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য অটোরিকশার চাহিদা অত্যন্ত বেশি। এই চাহিদা আপনার ব্যবসার সফলতার ভিত্তি হতে পারে।

এছাড়া, ইলেকট্রিক অটোরিকশা পরিবেশবান্ধব বাহন হিসেবে এগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সাশ্রয়ী হওয়ায় ইলেকট্রিক অটোরিকশার চার্জ খরচ কম। অটোরিকশা চার্জ দেওয়া সহজ এবং একবার পূর্ণ চার্জ হলে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার চলতে পারে, যা শহরের অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলের জন্য যথেষ্ট।

 

অটোরিকশার ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?

. বাজার বিশ্লেষণ করুন: অটোরিকশা ব্যবসা শুরু করার আগে প্রথমেই বাজার বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। কোন এলাকায় অটোরিকশার চাহিদা বেশি, কতজন প্রতিযোগী রয়েছে, কিভাবে ভাড়া নির্ধারণ করা হবে, তা ভালোভাবে জানতে হবে।

 

. অটোরিকশা ক্রয়: আপনার ব্যবসার প্রথম ধাপ হবে অটোরিকশা কেনা। আপনি নতুন বা পুরাতন অটোরিকশা কিনতে পারেন। নতুন অটোরিকশার দাম তুলনামূলক বেশি হলেও এগুলির আয়ু বেশি হয়। পুরাতন অটোরিকশা সস্তায় পাওয়া গেলেও মেরামত খরচ বেশি হতে পারে। নিচে অটোরিকশা ক্রয় নিয়ে বিস্তারিত রয়েছে।

 

. ড্রাইভার নিয়োগ: একজন দক্ষ এবং বিশ্বস্ত ড্রাইভার নিয়োগ করা অটোরিকশা ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ড্রাইভার বলতে যার কাছে আপনার অটোরিকশা ভাড়া দিবেন। আপনার অটোরিকশা একটি হলে চেষ্টা করবেন নির্দিষ্ট একজন ড্রাইভারের কাছে ভাড়া দিতে। এবং ড্রাইভার হতে হবে বিশ্বস্ত এবং অভিজ্ঞ। ড্রাইভারের বিভিন্ন ডকুমেন্ট যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র বা অন্যান্য কাগজপত্র রেখে দিবেন।

 

. লাইসেন্স এবং অনুমতি প্রাপ্তি: অটোরিকশা চালানোর জন্য আপনার নির্দিষ্ট লাইসেন্স এবং সরকারের অনুমতি নিতে হবে। তবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকায় অটোরিকশা চালানোর জন্য এখনও কোনো অনুমতি বা লাইসেন্স এর দরকার হয় না। তাই আপনার এলাকায় অটোরিকশার জন্য লাইসেন্স বা অনুমতি দরকার হবে কিনা সেটা জেনে নিবেন। লাইসেন্স এর জন্য স্থানীয় ট্রাফিক অফিসে আবেদন করতে হবে। লাইসেন্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর অটোরিকশা চালানো আইনত বৈধ হবে।

তারপর গ্যারেজ ঠিক করে অটোরিকশা রাস্তায় নামিয়ে দিন। শুরু হয়ে গেল ব্যবসা।

অটোরিকশা ব্যবসার লাভ কেমন হবে?

অটোরিকশা ভাড়া ব্যবসায় লাভের পরিমাণ নির্ভর করে গাড়ির সংখ্যা, চালকের দক্ষতা এবং এলাকাভেদে চাহিদার উপর। সাধারণত, ছোট সাইজের একটি অটোরিকশা (মিশুক) থেকে প্রতিদিন ৩০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া পাওয়া যায়। গ্রাম এলাকা থেকে শহর এলাকায় অনেক বেশি ভাড়া পাওয়া যায়।

ছোট সাইজের একটি অটোরিকশা (মিশুক) থেকে প্রতিদিন ৩০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া পাওয়া যায়। প্রতিদিন চার্জ দেওয়ার জন্য গ্যারেজ মালিককে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দিতে হয়, আর গ্যারেজ ভাড়া মাসিক ভিত্তিতে প্রদান করতে হয়। মাসিক ভিত্তিতে এই আয় ১০,০০০ থেকে ১৮,০০০ টাকার মতো হতে পারে, যা একাধিক অটোরিকশা থাকলে আরও বেশি হবে।

বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?

কোথায় অটোরিকশা কিনতে পাওয়া যায়?

বাংলাদেশে বেশিরভাগ ইলেকট্রিক অটোরিকশা চীন থেকে আমদানি করা হয়। বিভিন্ন শহরের প্রধান যানবাহন মার্কেটগুলোতে অটোরিকশা পাওয়া যায়। ঢাকার চাঁদনী চক, চট্টগ্রামের রেয়াজউদ্দিন বাজার, এবং কুমিল্লার মনোহরপুর বাজারে ইলেকট্রিক অটোরিকশার বড় মার্কেট রয়েছে। এছাড়া সরাসরি আমদানিকারকদের কাছ থেকেও কেনার সুযোগ আছে।

 

অনলাইনে অর্ডার করার সুবিধাও রয়েছে, যেমন Alibaba বা Dhgate এর মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে চীনের সরবরাহকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিনতে পারেন।

অটোরিকশার দাম কেমন?

বাংলাদেশে বেশ কিছু জনপ্রিয় চীনা ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক অটোরিকশা পাওয়া যায়, যেগুলো ব্যাটারি স্থায়িত্ব এবং পারফরম্যান্সের কারণে চালকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। নিচে কয়েকটি ব্র্যান্ড এবং তাদের দাম উল্লেখ করা হলো:

 

1. ChangLi 

   দাম: ,৮০,০০০ - ,০০,০০০ টাকা 

   চাহিদা: ChangLi ব্র্যান্ডের অটোরিকশা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন, কারণ এটি সাশ্রয়ী এবং এর ব্যাটারি পারফরম্যান্স খুবই ভালো।

 

2. Jinan KingDon 

   দাম: ,০০,০০০ - ,৩০,০০০ টাকা 

   চাহিদা: KingDon ব্র্যান্ডের অটোরিকশা বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় জনপ্রিয়, কারণ এটি দীর্ঘ সময় ধরে চার্জ ধরে রাখতে সক্ষম এবং রক্ষণাবেক্ষণ সহজ।

 

3. Yufeng Electric 

   দাম: ,৭০,০০০ - ,১০,০০০ টাকা 

   চাহিদা: Yufeng Electric অটোরিকশা বেশিরভাগ শহরাঞ্চলে ব্যবহৃত হয়। এর ব্যাটারির স্থায়িত্ব সাশ্রয়ী মূল্য এটিকে চালকদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছে।

 

4. Jinpeng Electric 

   দাম: ,০০,০০০ - ,৫০,০০০ টাকা 

   চাহিদা: Jinpeng ব্র্যান্ডের অটোরিকশা শহর এবং গ্রামীণ উভয় এলাকায় সমানভাবে  ব্যবহৃত হয়। এর টেকসই গঠন শক্তিশালী ব্যাটারির কারণে এর চাহিদা বেশ ভালো।

 

বর্তমানে ChangLi এবং Yufeng Electric ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক অটোরিকশার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ChangLi এর সাশ্রয়ী মূল্য এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়। অন্যদিকে, Yufeng Electric ব্যাটারির স্থায়িত্ব এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কম হওয়ায় চালকদের কাছে খুবই প্রিয়।

সুপারশপ ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে?

অটোরিকশা ব্যবসার চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান

যেকোনো ব্যবসার মতো, অটোরিকশা ব্যবসারও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যা ব্যবসার লাভজনকতা স্থায়িত্বকে প্রভাবিত করতে পারে। চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে মোকাবেলা করা না হলে ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। এখানে কিছু প্রধান চ্যালেঞ্জ এবং তাদের সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো:

 

. ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের কারণে জরিমানা

অটোরিকশা ব্যবসার অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো ট্রাফিক আইন মেনে না চলার কারণে জরিমানা হওয়া। অনেক সময় চালকরা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে গাড়ি চালান, যা জরিমানা এবং আইনি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে চালকদের নিয়মিত ট্রেনিং প্রদান করা উচিত যাতে তারা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন হন এবং আইন অনুযায়ী গাড়ি চালান। এছাড়া, ব্যবসার মালিক হিসেবে আপনার উচিত ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জানাশোনা রাখা এবং চালকদের নিয়মিতভাবে এই বিষয়ে আপডেট করে রাখা।

 

. মেরামতের প্রয়োজনীয়তা এবং খরচ

অটোরিকশার নিয়মিত মেরামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি চালকরা সময়মতো মেরামত না করেন, তবে অটোরিকশার কার্যকারিতা কমে যেতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। মেরামতের খরচ এবং ইঞ্জিনের ত্রুটি ব্যবসার জন্য বাড়তি খরচ তৈরি করতে পারে। এসব সমস্যার সমাধানে, চালকদের জন্য নিয়মিত মেরামত রক্ষণাবেক্ষণের প্রশিক্ষণ প্রদান করা উচিত এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ উপকরণে সহজ অ্যাক্সেস নিশ্চিত করতে হবে।

 

. অটোরিকশা চুরির সমস্যা

অটোরিকশা চুরি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে, বিশেষত যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত। অনেক সময় যাত্রী সেজে চোরেরা অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এছাড়া, কখনও জরুরি প্রয়োজনে অটোরিকশা রেখে সামান্য সময়ের জন্য দূরে গেলেও, চুরির ঘটনা ঘটতে পারে।

 

এই সমস্যার সমাধানে কার্যকরী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। অটোরিকশার সেফটি লক, সিকিউরিটি ক্যামেরা, এবং ট্র্যাকিং ডিভাইসের ব্যবহার চুরি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া, চালকদের সতর্ক থাকা এবং অটোরিকশা নিরাপদ স্থানে পার্ক করার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। নিয়মিত নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে চুরির ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসাঃ চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

 

অটোরিকশা ব্যবসায় এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে একটি সফল লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠা সম্ভব। যথাযথ প্রশিক্ষণ, নিয়মিত মেরামত, এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই চ্যালেঞ্জগুলো সামাল দেওয়া যেতে পারে।

আজকের আলোচনা থেকে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ।

বিস্তারিত
বাংলাদেশী গার্মেন্টস ভেজিটাবল রপ্তানি পন্যের বায়ার খোঁজার ৬ টি সহজ পদ্ধতি

রপ্তানির সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট বিষয় হচ্ছে রপ্তানির পণ্যের বায়ার । আপনি বাংলাদেশে হাত বাড়ালেই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি পাবেন । হাত বাড়ালেই আপনি যে কাঁচামাল শাকসবজি এগুলা ক্রয় করতে পারবেন । কিন্তু আপনি এক্সপোর্ট করার জন্য যে বায়ার দরকার, আপনার প্রোডাক্ট ক্রয় করার জন্য যে বায়ার দরকার, সেটা খুঁজে পাবেন কিভাবে ? সেটা কিন্তু অনেক ডিফিকাল্ট । সেটা কেউ বলে না এবং যারা পেয়েছেন তারা পেয়ে চুপ থাকতেছেন । কিভাবে পেতে হবে নতুন করে সেটা অনেকেই শেয়ার করে না । 

তবে আজকে আমি বায়ার পাওয়ার একটা পেইড অপশন এবং কয়েকটা ফ্রি অপশন আপনাদের সামনে শেয়ার করব । যেহেতু যারা আর্টিকেল পড়ে এক্সপোর্ট ব্যবসা শিখেন তারা সাধারণত চাচ্ছেন যে ছোট আকারে ইনভেস্টমেন্ট করে বা ফ্রিতে যদি এরকম কোন ওয়ে থাকে যেখান থেকে বায়ার পাওয়া যায় সেই অপশন গুলো ব্যবহার করার জন্য । আপনারা জানেন যে আমাদের নিজস্ব ফ্যাক্টরি রয়েছে । আমাদের বায়িং হাউস রয়েছে । তো আমরা যেভাবে বায়ার গুলো সোর্সিং করি পেইড যে অপশন গুলো রয়েছে সেগুলো আপনাদেরকে বলার চেষ্টা করব এবং আমরা ফ্রি যে অপশন গুলো ব্যবহার করি সেগুলো ব্যবহার বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব ।

কিভাবে ফেসবুক থেকে গার্মেন্টস বায়ার পাবেন ? 

রপ্তানি পণ্যের জন্য বায়ার খোঁজার ক্ষেত্রে প্রথম ফ্রি যে অপশনটা ব্যবহার করতে পারেন সেটা হচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গুলো । এটার মধ্যে প্রথম যে অপশন সেটা হচ্ছে facebook । 

আপনারা হয়তো চিন্তা করতে পারেন যে ফেসবুক থেকে কিভাবে বায়ার পাওয়া যায পাওয়া যায় ? আমিও আসলে এরকম চিন্তা করতাম । প্রথমে একজন আমাকে এরকম পরামর্শ দিয়েছিল যে ভাই আপনি ফেসবুকে থেকে বায়ার পেতে পারেন । তো আমি আসলে চিন্তা করছিলাম যে ফেসবুক থেকে আসলে বায়ার কিভাবে পাওয়া যায় ? এটা মনে হয় যে এটা ফেইক কথাবার্তা উনি বলতেছেন । কিন্তু সম্প্রতি এসে আমি যেটা দেখলাম যে facebook থেকেও কিন্তু বায়ার পাওয়া সম্ভব । 

এটা কিভাবে সম্ভব ? আমরা যেটা করি যে facebook এ দেখবেন যে প্রচুর গ্রুপ রয়েছে এক্সপোর্ট ইম্পোর্টের অথবা ধরুন আমি গার্মেন্টস নিয়ে উদাহরণ দিলাম যেহেতু আমরা গার্মেন্টস নিয়ে কাজ করি।দেখবেন যে গার্মেন্টস এর প্রোডাক্ট রিলেটেড প্রচুর বিদেশী গ্রুপ রয়েছে এবং এক্সপোর্ট ইম্পোর্টের প্রচুর বিদেশী গ্রুপ রয়েছে যেখানে লক্ষ লক্ষ মেম্বার দেখবেন । 

তো আপনার যেটা কাজ সেটা হচ্ছে আপনি সুন্দর করে একটা বিজ্ঞাপনের মত একটা ব্যানার তৈরি করবে আপনার ফ্যাক্টরি বা আপনার বায়িং হাউজের । আপনার প্রতিষ্ঠানের একটা ব্যানার তৈরি করবেন । একটা পোস্টটা  তৈরি করবেন অনলাইনে খুব সুন্দর করে ।  কিন্তু এটা এট্রাক্টিভ হতে হবে । এই ব্যানারটা এবং সাথে কিছু লেখা লিখে দিবেন যে আপনার আসলে কি কি ধরনের সার্ভিস আপনারা অফার করতেছেন এবং একটা ওয়েবসাইট অবশ্যই রেডি করে রাখবেন । যেখানে গেলে আপনার কি কি প্রোডাক্ট থাকবে বা আপনার প্রোডাক্টের প্রাইস কিরকম বা আপনি কি কি ধরনের সার্ভিস অফার করতেছেন প্রোডাক্ট অফার করতেছেন এগুলা থাকবে । তো সেই রকম একটা ওয়েবসাইট প্রথমে রাখবেন এবং তখন এই ব্যানারটা এবং লেখাগুলো সহকারে আপনি বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করবেন আপনি চেষ্টা করবেন কমপক্ষে 50 টা গ্রুপে জয়েন করার জন্য এবং প্রতি দুইদিন পর পর দুই থেকে তিন দিন পর পরে এই গ্রুপগুলোতে আপনার যে প্রোডাক্টের ব্যানারটা এবং আপনার কি কি সার্ভিস অফার করেন সেগুলো শেয়ার করবেন । প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার শেয়ার করবেন । এবং এই ব্যানারটা চেঞ্জ করবেন । এরকম  না যে আপনি একটা ব্যানারই বারবার ইউজ করতেছেন । এইরকম টেমপ্লেট কিন্তু অনলাইনে এভেলেবেল পাওয়া যায় । বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনারা খুব সহজে এইরকম টেমপ্লেট তৈরি করতে পারবেন । যেমন ক্যানভা নামে একটা ওয়েবসাইট রয়েছে । সেখান থেকে তৈরি করতে পারবেন। আরেকটা কথা বলি , একদম ফ্রিতে কিন্তু সবকিছু হয় না একবারেই যে আপনি একবারে খালি থালা নিয়ে নেমে যাবেন আর সবাই আপনারে বায়াররা একদম লক করবে এরকম না আপনি প্রাথমিকভাবে কিছু টাকা পয়সা খরচ করে সুন্দর ডিজাইন গুলো করতে হবে । একটা ওয়েবসাইট বানাবেন ধরুন মিনিমাম 20 থেকে 50 হাজার টাকা খরচ করে একটা ওয়েবসাইট বানাবেন সুন্দর করে এবং এসইও ফ্রেন্ডলি যেটাকে বলা হয় । ভালো একজন ডেভেলপারের সাথে কথা বললে এসইও জিনিসটা কি তারা আপনাকে বুঝিয়ে দিবে অর্থাৎ সার্চ করলে, যেমন ধরুন আপনি টিশার্ট তৈরি করেন কেউ যদি টিশার্ট ম্যানুফ্যাকচারার ইন বাংলাদেশ লিখে সার্চ করে তাহলে যেন আপনার ওয়েবসাইটটাকে রাংকিং্যে উপরে এনে দেখায় এইরকম কাজ ওরা করে দিবে এবং এটার জন্য মোটামুটি ভালো একটা অ্যামাউন্ট ওনারা আপনা থেকে ডিমান্ড করবে । এসইও সার্ভিস যারা দেয় তো এইরকম একটা ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এরপরে আপনার এই ওয়েবসাইট এবং এই ব্যানারটা আপনি বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করবেন আপনার প্রোফাইলে শেয়ার করবেন । আরেকটা কথা বলি অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের নিজস্ব প্রোফাইল যেমন আমি আমার নিজস্ব প্রোফাইলে কোন ধরনের ব্যবসায়িক কোন কিছুই শেয়ার করি না । 

এটার কারণ হচ্ছে অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের অনেক যারা থাকে অনেকেই থাকে যে আসলে এটা পছন্দ করে না নিজের প্রোফাইল থেকে ব্যবসায়িক বিষয়গুলো শেয়ার করা তো আপনি চাইলে একটা ফেসবুকে একটা ফেক একাউন্ট খুলে নিতে পারেন এবং অনেক সময় যেটা হয় যে অনেকেই ছেলেদের একাউন্ট দেখলে সে সেখানে ইন্টারেস্টেড ফিল করে না । যে না একটা ছেলের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সেখানে এসে একটা অ্যাড দিলে সেই অ্যাডে ক্লিক করতে ইন্টারেস্ট বোধ করে না । তো সেখানে আপনি চাইলে কিন্তু একটা মেয়ের ফেসবুক নাম দিয়ে আপনি সেটা খুলে তারপরে গ্রুপে জয়েন করতে পারেন । 

আবার আরেকটা জিনিস বলি আপনি ফেসবুক একটা পেইজ খুলবেন অনেক সুন্দর করে এবং পেইজে নিয়মিত আপনার প্রোডাক্টের আপডেট দিবেন সাথে আপনি যেই ওয়েবসাইটটা আপনি তৈরি করেছেন সেখানে প্রোডাক্ট গুলো যে আপনি লিস্টিং করতে চান সেই প্রোডাক্ট গুলো আবার আপনি পেইজে শেয়ার করবেন । তো এইভাবে কিন্তু আপনি প্রোফাইল এবং পেইজের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে আপনি যুক্ত হতে পারেন । তবে পেইজ দিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট শেয়ার করাটা রেস্ট্রিক্টেড করা থাকে । তো আপনি প্রোফাইলের মাধ্যমেই শেয়ার করতে হবে । 

এইভাবে হচ্ছে ফেসবুক থেকে আপনি বায়ার নিতে পারবেন এবং এটা আপনাদেরকে বলি যে এটা অত্যন্ত একটা ভালো মানের কার্যকরী একটা মার্কেটিং এই ক্ষেত্রে আপনি যে সমস্ত বায়ার পাবেন সেটা হচ্ছে আপনি ইন্ডিয়ান বায়ারদেরকে পাবেন । মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বায়ার পাবেন, আফ্রিকান অনেক বায়ার পাবেন মিশরের অনেক বায়ার পাবেন অর্থাৎ আমাদের সাবকন্টিনেন্ট এশিয়া মহাদেশের বায়ার গুলোকে আপনি এই facebook থেকে পেয়ে যাবেন খুব ইজিলি । 

কিভাবে youtube থেকে বায়ার পাবেন ? 

এবার আসুন আরেকটা মাধ্যম আপনাদেরকে বলি যেটা আমরা ব্যবহার করি সেটা হচ্ছে  youtube।  এটাও কিন্তু খুব ভালো একটা মাধ্যম । যেটার মাধ্যমে আপনারা বায়ার পেতে পারেন । এইখানে বায়ারটা কিভাবে পাবেন ? আপনি আপনার প্রোডাক্টের একটা ডেসক্রিপশন তৈরি করবেন । আপনি যদি  নিজে ইংলিশে পারেন সেটা তো খুবই ভালো হবে । আমরা নিজেরাও ইংলিশে কন্টেন্ট তৈরি করে আমাদের ফেসবুকে youtube  চ্যানেল রয়েছে সেখানে আমরা শেয়ার করি । তো আপনি যদি নিজে youtube এ পারেন সেটা তো অনেক ভালো।  না হলে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভয়েস দিয়ে আপনি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন এবং সেখানে আপনার  লেখাকে আপনি অডিওতে কনভার্ট করতে পারবেন । অনেক সুন্দর করে অডিও কনভার্ট করা যায় । 

একটা টেক্সট টু স্পিচ বলা হয় । এমনভাবে স্পিচে তৈরি করবেন কেউ বুঝতেই পারবে না এটা কোন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে করা নাকি একদম সরাসরি মানুষে তৈরি করা । আপনার ৳1000 টাকার মতো খরচ হবে । আপনি AI এর একটা শেয়ার সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন । একটা ওয়েবসাইট রয়েছে শেয়ারিং সাবস্ক্রিপশ টাইপের । একটা ওয়েবসাইট রয়েছে  bdseotools.com  নামে সেখান থেকে আপনারা কিন্তু এই সাবস্ক্রিপশন গুলা শেয়ারে পার্চেস করতে পারবেন ।

 ধরুন এই টেক্সট টু স্পিচ এবং বিভিন্ন শর্ট ভিডিও রয়েছে, ছোট ছোট ভিডিও পাবেন যেগুলো দিয়ে আপনি আপনার যেই ডিসক্রিপশনের সাথে সাথে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর ভিডিওর ছোট ছোট ক্লিপ সংযুক্ত করেন তাহলে আপনার ভিডিওটা অনেক এট্রাক্টিভ হবে এবং এইভাবে আপনি কিন্তু ভিডিও তৈরি করতে পারেন অথবা যদি আপনার ফ্যাক্টরি থাকে তাহলে তো আরো ভালো হবে । আপনি ডিরেক্টলি ফ্যাক্টরির ভিডিও গুলো আপনি আপনার youtub এ শেয়ার করলেন । আপনি একটা টিশার্ট তৈরি করতেছেন । একদম টপ টু বটম অর্থাৎ আপনি একদম কাটিং থেকে সুইং ফিনিশিং সবকিছু আপনি শেয়ার করলেন । শেয়ার করলে হবে কি ? দেখবেন যে একটা বায়ার যখন দেখবে যে একটা ডিরেক্টলি ফ্যাক্টরি থেকে আপনি এই ভিডিও গুলো করতেছেন তখন আরো এট্রাক্টিভ হবে ।  সে আপনার থেকে প্রোডাক্ট কেনার ব্যাপারে আরো আগ্রহী হবে । আমরা নিজেরাও দেখবেন যে কোন একটা প্রোডাক্টের ভিডিও যখন একটা সেলার দেয় যখন আমরা একদম কাছ থেকে সেলারের ভিডিও গুলো দেখি । তখন কিন্তু আমরা নিজেরাও আকর্ষিত হই । 

 তো এইভাবে কিন্তু ভিডিও করে আপনারা ইনকামও  করতে পারবেন সেখান থেকেও কিন্তু বায়ার পাবেন এবং এই ভিডিও থেকেও কিন্তু আমরা বায়ার পাই । 

এক্সপোর্টের বিজনেসটা এরকম না যে আপনি আজকে ভিডিও তৈরি করলেন , আজকে ফেসবুকে শেয়ার করলেন কালকে পেয়ে যাবেন।  আপনি বছরকে বছর এখানে লেগে থাকতে হবে । আপনি হয়তো এই বছর পাচ্ছেন না পরের বছর পাবেন । পরের বছর পাচ্ছেন না এর পরের বছর পাবেন । এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে আপনার বায়ার তো অনেক দরকার নেই । আপনার বায়ার দরকার একজন বা দুইজন । এক দুইজন বায়ার দিয়েই কিন্তু আপনি একদম ভালো মানের ব্যবসা করতে পারবেন 

তো এইভাবে কিন্তু আপনি ইউটিউব থেকেও কিন্তু বায়ার পেতে পারেন । ইউটিউবে যদি আপনি না বুঝেন যেই কথাগুলো আমি বললাম চাইলে কোন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের হেল্প নিন কয়েকটা ভিডিও বানান বানিয়ে সেই ভিডিও গুলো আস্তে আস্তে আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেন তাহলে দেখবেন সেখান থেকে একটা ন ভালো মানের বায়ার পাচ্ছেন । 

কিভাবে linkedin.com থেকে বায়ার পাবেন ? 

এরপরে যেটা ফ্রিতে আপনি বায়ার পেতে পারেন সোশ্যাল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে linkedin.com আপনি সম্পর্কে অনেকেই জানেন বা অনেকেই জানেন না linkedন হচ্ছে একটা প্রফেশনালদের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অর্থাৎ linkedin.com এ  আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সিইও বিভিন্ন কোম্পানির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর বিভিন্ন কোম্পানির চেয়ারম্যান বিভিন্ন প্রফেশনাল বিভিন্ন এক্সিকিউটিভ এদেরকে আপনি linkedin.com এ পাবেন । তো সেখানে আপনি কিভাবে বিজনেস  শুরু করবেন ? 

 facebook এর মত linkedin.com এও কিন্তু অনেক গ্রুপ রয়েছে। অনেক গ্রুপ থাকে facebook এর মতো যেখানে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষের গ্রুপ থাকে। তো সেখানেও আপনি ফেসবুকে যে পোস্টটা শেয়ার করেছেন সেইম পোস্ট আপনি linkedin.com এও শেয়ার করতে পারবেন ।

 প্রথমেই আপনি আপনার একটা প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করবেন । এখানে আপনি কোন কোম্পানির এমডি  বা আপনি কোন কোম্পানির সিইও আপনি কোন কোম্পানির চাকরি করেন এটা আপনি একটা লিস্ট আকারে দিয়ে দিবেন এবং আপনি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বিষয়গুলো  শেয়ার করবেন ? ধরুন আপনি গার্মেন্টস রিলেটেড প্রোডাক্ট শেয়ার করবেন। গার্মেন্টস রিলেটেড ইস্যুগুলো বা ভালো মন্দের ব্যাপারগুলো আপনি linkedin.com এ শেয়ার করবেন।  আপনার linkedin.com  প্রোফাইলে শেয়ার করলে যেটা হবে যে আপনি দেখবেন এখানেও আপনার আস্তে আস্তে কিছু লোক এখানে যেহেতু প্রফেশনালরা থাকে এবং তারা অ্যাড দেখলে বিভিন্ন সময় linkedin.com  থেকেও কিন্তু আপনার বায়ার আপনি পেতে পারেন । 

 এইভাবেও কিন্তু আমরা বায়ার পাই  linkedin.com  থেকে । আপনি হয়তো বলতে পারেন যে ভাই আপনারা তো হাজার হাজার বায়ার পান । সবখান থেকে বায়ার তো পাবেনই । তবে সব বায়ারের সাথে তো কাজ করতে পারবেন না । আপনাকে শত শত নক দিবে কিন্তু সেখান থেকে দেখা যায় যে  ১০০০ মানুষ নক দিলেও সেখান থেকে এক দুইজন একদম পারফেক্ট বায়ার পাওয়াটাও কিন্তু ডিফিকাল্ট হয় হয়ে যায় । সবাই তো আর আপনা থেকে নিবে না । কারণ একটা লোক যে পাইকারি বিজনেস করতেছে সে অলরেডি কোন একটা সাপ্লাইয়ারের সাথে এঙ্গেজ থাকে । তো যারা সাধারণত নতুন স্টার্টআপ তারাই সাধারণত এই সমস্ত সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বা অন্যান্য জায়গা থেকে অনলাইন থেকে সাপ্লাইয়ারের নাম্বার কালেক্ট করে । 

প্রবাসীদের দিয়ে বায়ার

এরপরে রয়েছে প্রবাসীদের থেকে । আপনার পরিচিত অনেক প্রবাসী বিদেশে থাকে ধরুন আপনার কেউ সৌদি আরবে থাকে আপনি চাচ্ছেন যে সৌদি আরবে আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং করবেন । সেক্ষেত্রে আপনি আপনার একটা লিস্ট তৈরি করবেন কারা কারা প্রবাসে আছে । সবাই কিন্তু আপনার কাজ করতে পারবে না । কারণ সেখানে সবাই তাদের নিজস্ব চাকরি বাকরি ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকে । তো সবার সাথে যোগাযোগ করে দেখবেন যে কে ফ্রি রয়েছে ।  তাদেরকে আপনার কিছু টিশার্ট এবং আপনার ভিজিটিং কার্ড দিয়ে দিতে পারেন । 

যদি সম্ভব হয় আপনি কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাবেন । সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি কোন যাত্রীর মাধ্যমে পাঠাতে পারেন তাহলে আপনার এক্সট্রা খরচটা হবে না । 

ধরুন 20 টা টিশার্ট তাকে পাঠালেন সাথে হচ্ছে আপনি কিছু ভিজিটিং কার্ড পাঠাবেন যদি সম্ভব হয় কিছু ক্যাটালগ আপনি তৈরি করলেন আপনার কোম্পানির নামে সেই ক্যাটালগও পাঠিয়ে দিলেন এবং এই  মিলে আপনি তাকে বলবেন যে ভাই তুমি এই ক্যাটালগ এবং ভিজিটিং কার্ড তুমি যে যারা আমাদের দেশ থেকে গার্মেন্টস আইটেম ক্রয় করতে ইচ্ছুক তাদেরকে দিবে এবং আপনি ভিজিটিং কার্ডের মধ্যে যেটা করবেন যে আপনার যে প্রবাসি প্রতিনিধি যার কাছে পাঠিয়েছেন তার একটা মবাইল নাম্বার দিয়ে সেখানে একটা ভিজিটিং কার্ড তাকে করে দিবেন । হ্যাঁ আপনার  নাম্বারও দিবেন এবং যে হচ্ছে প্রবাসে থাকে তার নাম্বারও দিবেন । দিয়ে তারপরে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করলে দেখবেন যে এই ভিজিটিং কার্ডে যখন ওই সৌদির বা অন্যান্য কান্ট্রি যারা যোগাযোগ করবে ওই ভিজিটিং কার্ডে যে নাম্বার দেওয়া থাকবে সেখানে তারা আপনার যে প্রতিনিধি থাকে তার সাথে যোগাযোগ করবে । এভাবে আপনি যারা প্রবাসীদের থেকে কিন্তু বায়ার পেতে পারেন । 

এতক্ষণ যেগুলো বললাম সেগুলো হচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক । তবে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থেকে আপনারা যেই মানের বায়ার গুলো পাবেন সেগুলো ততটা অ্যাডভান্স লেভেলের বায়ার নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হয়তোবা আপনার সাথে তারা কোন একটা বিষয় নিয়ে নেগোসিয়েশন করবে । করার পরে দেখা যাবে যে আর তারা প্রোডাক্ট পার্চেস করতেছে না । অথবা যারাই পারচেস করতেছে ততটা বড় ভলিউমে আপনাদেরকে পারচেস করতেছে না । কিন্তু এই যে একটা ব্যবসা শুরু করাটা এটা এখান থেকেই আপনি শুরু করতে পারেন। 

কিভাবে আলিবাবা থেকে গার্মেন্টস বায়ার পাবেন? 

যে মাধ্যমগুলো আপনাদেরকে বললাম যে আপনারা প্রবাসীদেরকে ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে পারেন অথবা ফেসবুক linked এ টুইটার বা whatsapp এ এইসব মাধ্যম দিয়ে কিন্তু ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন এবং যেহেতু ফ্রি টুলস গুলো ব্যবহার করবেন সেহেতু আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে আপনি সেখানে হয়তো দুই বছর অপেক্ষা করলেন তিন বছর অপেক্ষা করলেন বা দেখা গেল যে ভাগ্য ভালো থাকলে এক দুই বছরের মধ্যেই আপনি একটা বায়ার পেয়ে যেতে পারেন । 

যা হোক এগুলো হচ্ছে ফ্রি টুলস এবার পেইড টুলস এর ব্যাপারে বলি । যেগুলোতে আপনার টাকা খরচ করতে হবে । এখান থেকে আপনি কনফার্ম বায়ার পাবেন । 

একদম বাস্তব  থেকে আপনাকে বলতেছি প্রথম যেই টাকা দিয়ে খরচ করে যেখান থেকে বায়ার পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে আলিবাবা । আপনারা যারা আমার এই চ্যানেল দেখে থাকেন তারা জানেন যে আমি আলিবাবা থেকে প্রোডাক্ট আমদানি নিয়ে বাংলাদেশে অনেক ভিডিও করেছি এবং মোটামুটি আলিবাবার উপরে ভিডিও করে যতগুলো চ্যানেল তার মধ্যে বেস্ট হচ্ছে আমাদের এই চ্যানেলটি যা হোক এখন আজকে আমি আপনাদেরকে বলব যে আলিবাবা দিয়ে কিভাবে আপনারা রপ্তানি করতে পারেন । যেমন আলিবাবা থেকে সাপ্লাইয়ারের সাথে যোগাযোগ করে আপনারা আমদানি করেন ঠিক সেইম ওয়েতে আপনারা আলিবাতে একটা সাপ্লাইয়ার একাউন্ট খুলতে পারেন । 

কিন্তু আলিবাতে সাপ্লাইয়ার অ্যাকাউন্ট খুলতে অনেক টাকা খরচ করতে হবে । প্রায় 2000 ডলারের মতো । বর্তমান হিসাবে যদি আপনি ধরেন এরাউন্ড 2 লক্ষ 40 হাজার টাকার মতো । 

সাপ্লাইয়ার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনার ট্রেড লাইসেন্স লাগবে আপনার পার্সোনাল টিন লাগবে এবং আপনার এনআইডি কার্ড দিলেই তারা একটা সাপ্লাইয়ার অ্যাকাউন্ট খুলে দিবে ।

আপনাকে এবং বাংলাদেশে আলিবাবার প্রতিনিধি দল রয়েছে ত্রিদেশী ডট কম নামে একটা প্রতিষ্ঠান বনানীতে তাদের অফিস আপনি সেখানে গিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন । info@tradeshi.net, +880 29836682 এটা হলো তাদের মোবাইল নাম্বার। আপনাকে আলিবাবার বাংলাদেশের গোল্ড সাপ্লাইয়ারের একাউন্ট খোলার ব্যাপারে হেল্প করবে । এখানে আপনি এরাউন্ড 2000 প্রোডাক্টের ছবি আপলোড করতে পারবেন। মোটামুটি 2000 প্রোডাক্টের ছবি আপলোড করা কিন্তু অনেক হিউজ ছবি ।  আপনি নিটওয়ার নিয়ে কাজ করলেন নিটওয়ারের যত আইটেম রয়েছে 2000 প্রোডাক্ট আপনি যদি সেখানে মোটামুটি অ্যাড করেন , দেখা গেল যে প্রথম ছয় মাস আপনার চলে যাবে প্রোডাক্ট অ্যাড করতে করতেই  ছয় মাস চলে যাবে। যদি আপনি ভালো করে প্রোডাক্টের লিস্টিং করতে পারেন  আপনি সেখান থেকে বায়ার পাবেন । 

মোটামুটি যারাই আলিবাতেএকাউন্ট করে তারা বায়ার পায় কিন্তু এইখানে কথা হচ্ছে যে বায়ার যে আপনি পাবেন সেটা একদম টপ লেভেলের বায়ার না । কারণ যারা অনেক বড় মানের ব্যবসা করে তাদের সাধারণত এই অনলাইন থেকে সোর্সিং করে প্রোডাক্ট কেনা বা কেনার সময় কিন্তু তাদের থাকে না। 

তারা সরাসরি বাংলাদেশে আসে এসে বিজিএমএ থেকে অথবা বিকেএমএ থেকে তাদের মেম্বার ডিরেক্টরি নেয় । সেখান থেকে তারা বিভিন্ন মেম্বারদের সাথে লিস্টেড মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের মাধ্যমে তারা প্রোডাক্ট উৎপাদন করিয়ে নেয় । কিন্তু আলিবাতে যারা আসে তারা সাধারণত হচ্ছে স্টার্টআপ অর্থাৎ মাত্র শুরু করেছে এই ধরনের ব্যবসায়ীরই আলিবা থেকে প্রোডাক্ট পারচেস করে থাকে এবং আমাদের গত দুই বছরের অভিজ্ঞতা থেকে যেটা বলতে পারি যে আপনি যে একদম প্রথমবারই অনেক ভালো বায়ার পেয়ে যাবেন আপনার ইনভেস্টমেন্টটা রিটার্ন আসবে এটা চিন্তা করার কোন কারণ নেই ।

দেখা গেল যে আলিবাবাতে দুই বছর তিন বছর চার বছর পর্যন্ত আপনি গোল্ড সাপ্লাইয়ার আছেন কিন্তু এখান থেকে আপনি প্রফিটটা পাচ্ছেন না আপনি সেখানে ওই রকম বায়ার পাচ্ছেন না পঞ্চম বছরে গিয়ে আপনি অনেক ভালো বায়ার পাবেন । কারণ আলিবাবার একটা সিস্টেম হচ্ছে যে আপনি যত বছরের পুরাতন গোল্ড সাপ্লাই যেমন আমি ইম্পোর্টের ব্যাপারে আপনাদেরকে বলি যে মিনিমাম চার থেকে পাঁচ বছরের গোল্ড সাপ্লাই এইজের আপনি দেখবেন যে গোল্ড সাপ্লাইয়ার যারা তাদের থেকে প্রোডাক্ট নিবেন । 

তো সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও কিন্তু সেইম । 

নিজের সাপ্লাইয়ার হন তাহলে একটা বায়ার চিন্তা করবে যে এর যদি দুই থেকে তিন বছরের গোল্ড সাপ্লাইয়ার একটা এজ হয় তাহলে তার থেকে নেওয়া যায় এবং দেখবেন যে অনেকেই 14 বছর 15 বছর 10 বছর আট বছর কন্টিনিউয়াসলি ওরা আলিবাদের সাপ্লাইয়ার রিনিউ করে যাচ্ছে । যদি বায়ার না পেত তাহলে অবশ্যই তারা রিনিউ করতো না । অবশ্যই বায়ার পেয়েছেন বলে 15 20 বছর পর্যন্ত অনেক সাপ্লাইয়ার বাংলাদেশী রয়েছেন যারা 15 থেকে 20 বছর বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস আইটেম আলিবাবার মাধ্যমে রপ্তানি করে যাচ্ছেন । তো এই এই যে সিস্টেমটা এটার মাধ্যমে কিন্তু আপনি বায়ার পেতে পারেন তবে এইখানে আপনি আপনাকে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে । আপনার অনলাইনে বা আপনার এই ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স করা এগুলার কিন্তু একটা ভালো অভিজ্ঞতা আপনার থাকতে হবে অথবা আপনার অভিজ্ঞ লোক নিয়ে কাজ করতে হবে কারণ দেখুন  বাংলাদেশে যখন রাত্র হয় ইউএসএতে তখন দিন শুরু হয় তো যারা বিদেশের বায়ার গুলো থাকে তারা সাধারণত যেটা করে যে তাদের ওয়ার্কিং আওয়ার গুলোতে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে সেজন্য আপনাকে মোটামুটি রাত্রে বেলায় সাপ্লাইয়ারদেরকে রিপ্লাই দেওয়ার জন্য জেগে থাকতে হবে এবং আপনি চেষ্টা করবেন এই টাইপের কাউকে দিয়ে বা আপনার একাউন্টটা মেইনটেনেন্স করার জন্য যারা রাতের বেলায় আপনার বায়ারদেরক রিপ্লাই দিতে পারবে এবং ইংলিশ তো অবশ্যই আপনার জানা থাকতে হবে । বাংলায় ট্রান্সলেশন করে আপনি অনেক সময় যোগাযোগ করতে পারবেন । তবে এটা অনেকটা ডিফিকাল্ট । 

কারণ ফাইনাল আপনার প্রোডাক্ট অর্ডার করার পূর্বে অনেক বায়ারই হচ্ছে কল দেয় এবং ভিডিও কল দিয়ে দেখে কারণ অনলাইনের ব্যাপার-স্যাপার দেখা গেল যে আপনি অনেকেই এইরকম করে যে টাকা নেয় কিন্তু প্রোডাক্ট দেয় না তো সেজন্য তারা অনলাইনে ভিডিও কল দিয়ে ভেরিফিকেশন করে যে আসলেই কি এই সাপ্লাইটা সঠিক কিনা তারপরে তারা পেমেন্টটা করে । 

তো আলিবাতে মোটামুটি আমি আমরা যেহেতু গোল্ড মেম্বারশিপ নিয়েছি আমরা আমি ব্যক্তিগতভাবে একাউন্টটা পরিচালনা করি এবং আমি দেখেছি যে আলিবা থেকে বায়ার পাওয়া সম্ভব তবে সেখানে অপেক্ষা করতে হবে । আপনাকে প্রচুর পরিমাণে স্যাম্পলের জন্য খরচ করতে হবে দেখা গেল যে একটা বায়ার আপনাকে বলল যে একটা স্যাম্পল পাঠান আপনি হয়তোবা তার দুইটা অপশন থাকে একটা হচ্ছে শিপিং চার্জ আরেকটা হচ্ছে স্যাম্পল তৈরি করার চার্জ আপনি তাকে হয় শিপিং চার্জটা ফ্রি দিবেন অথবা স্যাম্পল তৈরি করার চার্জটা ফ্রি দিবেন । 

এখন আপনার যদি নিজস্ব গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি না থাকে অন্যখান থেকে একটা স্যাম্পল বানাতে তিন চার হাজার টাকা খরচ হয়ে যায় । আর পাঠানোর ক্ষেত্রেও কিন্ত চার পাঁচ হাজার টাকা লেগে যায় কুরিয়ারে পাঠানোর ক্ষেত্রে । তো এই ইনভেস্টমেন্ট গুলো আপনার রাখতে হবে আপনি 2 লাখ 20000 বা 30000 টাকা দিয়ে একাউন্ট খুললেই হবে না আপনার এক কমসে কম আপনাকে তিন থেকে চার লাখ টাকা পার ইয়ার আপনার এটার পিছনে খরচ হিসাব করে রাখতে হবে তারপরে হচ্ছে  ব্যবসাটা করবেন । এরপরে এই আলিবাতে কিন্তু বুস্ট করার সিস্টেম রয়েছে ফেসবুকে যেমন বুস্ট করা যায় আলিবাতেও কিন্তু বুস্ট করা যায় । তো আপনি এই বুস্টিং এর কাজগুলো করতেও কিন্তু আবার খরচ হবে মিনিমাম 20 ডলার পার ডে বুস্ট করতে হয় । তো বুস্টিং করেও কিন্তু আপনি বায়ারের আপনার রেসপন্স বাড়াতে 


বিস্তারিত
বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?


বাংলাদেশ একটি কৃষি নির্ভর দেশ, যেখানে অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কৃষির উপর নির্ভরশীল। এদেশের কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী তরুণ উদ্যোক্তারা এখন বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এই ব্যবসা বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিদেশে সবজি রপ্তানি করার ফলে শুধু দেশের কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন না, বরং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি সবজির চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই চাহিদা পূরণ করতে তরুণরা বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসাকে আরও বেশি করে বেছে নিচ্ছেন। এইভাবে বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করছে।

আজ আমরা আলোচনা করব কেন আপনি সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন, কিভাবে বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন, সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগে, কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন, এবং এই ব্যবসা করে কত টাকা আয় করা যেতে পারেএসব বিষয় নিয়ে।

বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা কেন করবেন?

পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্যের চাহিদাও ক্রমাগত বাড়ছে। সময়ের সাথে এই চাহিদা আরও বাড়বে, যার অর্থ হলো বিশ্বজুড়ে ফুড ইন্ডাস্ট্রি কখনও খারাপ অবস্থায় পড়বে না। বাংলাদেশে প্রতি মৌসুমে কিছু ফসলের অতিরিক্ত উৎপাদন হয়, যেমনমরিচ। কখনও কখনও চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণে মরিচ উৎপাদিত হয়, যার ফলে অনেক মরিচ নষ্ট হয় বা কম দামে বিক্রি করতে হয়। এই ধরনের মৌসুমি ফসল বিদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে। এতে করে দেশে উৎপাদিত অতিরিক্ত ফসল থেকে আয় হবে এবং কৃষকরাও তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী বসবাস করেন, এবং তাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে তারা বাংলাদেশি সবজি ও তরিতরকারি ক্রয় করে থাকেন। অর্থাৎ, যেখানে বাঙালিরা বসবাস করছেন, সেখানে বাংলাদেশি সবজির চাহিদা রয়েছে। শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিরাই নয়, বিদেশিদের মধ্যেও বাংলাদেশি সবজির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কিভাবে বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন?

যদি আপনি একজন রপ্তানি ব্যবসায়ী হতে চান, তাহলে আপনার জন্য ইআরসি (Export Registration Certificate) প্রয়োজন হবে। ইআরসি হলো রপ্তানির জন্য অপরিহার্য একটি লাইসেন্স, যা একবার সংগ্রহ করলে ভবিষ্যতে যে কোনো পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে কাজে আসবে। এর জন্য আপনাকে বাংলাদেশ সরকারের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (EPB)-তে আবেদন করতে হবে। ইআরসি পাওয়ার জন্য আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, টিন (TIN) সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট এবং ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের মেম্বারশিপ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

 

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত হওয়ার পর, আপনার প্রধান কাজ হবে বায়ার খুঁজে পাওয়া। বিভিন্ন উপায়ে বায়ার খুঁজে পেতে পারেন:

 

  • ·        যে দেশে রপ্তানি করতে চান, সেখানে পরিচিত কেউ থাকলে তার মাধ্যমে বায়ার খুঁজে নিতে পারেন।
  • ·        বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা এবং প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে বায়ারের সাথে সরাসরি পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করুন।
  • ·        আলিবাবা, ইন্ডিয়ামার্ট, ইবাই ডটকম ইত্যাদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিদেশি বায়ার খুঁজে পাওয়া যায়।
  • ·        বিভিন্ন সরকারি বাণিজ্য সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে কাস্টমার সংগ্রহ করতে পারেন।
  • ·        বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বায়ারদের কন্টাক্টসহ লিস্টও পাওয়া যায়, যেখান থেকে আপনি সহজেই বায়ার খুঁজে নিতে পারেন।

রপ্তানি করার জন্য আপনি যেকোনো জায়গা থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন না। বিদেশে সবজি রপ্তানি করতে হলে, সেই সবজি কীটনাশক বা ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত হতে হবে এবং কোনো পোকামাকড়ও থাকতে পারবে না। যেসব ফসল বিদেশে রপ্তানির জন্য উপযুক্ত, সেগুলোর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে। এ বিষয়ে HACCP (Hazard Analysis Critical Control Points) বা ISO সার্টিফিকেশন প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষ করে যদি ইউরোপ বা আমেরিকার বাজারে রপ্তানি করতে চান। এই ধরনের ফসল কোথায় পাওয়া যায়, তার তথ্য কৃষি অধিদপ্তর থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে।

 

আপনি চাইলে নিজেও ক্ষতিকর সার বা কীটনাশক ছাড়া সবজি চাষ করতে পারেন, তবে এর জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে। শুধুমাত্র সবজি চাষের প্রশিক্ষণ নয়, রপ্তানি ব্যবস্থাপনা, প্যাকেজিং, এবং লজিস্টিক সম্পর্কিত প্রশিক্ষণও নিতে পারবেন। কৃষি অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের প্রশিক্ষণ পাওয়া যায়।

 

কৃষি অধিদপ্তরের সুপারিশ করা স্থান থেকে ফসলের বিবরণ নিয়ে বায়ারকে পণ্য কেনার জন্য রাজি করাবেন। বায়ার রাজি হলে, আপনি পিআই (প্রোফর্মা ইনভয়েস) তৈরি করে পাঠাবেন। পিআই অনুযায়ী বায়ার এলসি (Letter of Credit) করবে। এলসি করার পর, আপনি পণ্য প্যাকেজিং করবেন এবং পণ্যের ইনভয়েস তৈরি করে ব্যাংকে জমা দেবেন। ব্যাংক থেকে ইএক্সপি (EXP) ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।

 চীন থেকে বাংলাদেশে পন্য আমদানি করার নিয়ম

ইএক্সপি ফর্ম কী এবং কেন প্রয়োজন:

 

ইএক্সপি ফর্ম হলো রপ্তানি প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফর্মটি বাংলাদেশ ব্যংক থেকে নিতে হয়। এই ফর্মটি নিশ্চিত করে যে পণ্য বিদেশে সবজি রপ্তানির বিপরীতে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসবে। ইএক্সপি ফর্ম ছাড়া আপনি বিদেশে সবজি রপ্তানি করতে পারবেন না। এই ফর্মে পণ্যের বিবরণ, পরিমাণ, মূল্য, এবং রপ্তানির স্থান উল্লেখ করা থাকে।

 

এরপর, কৃষি অধিদপ্তর থেকে ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট নিতে হবে। এই সার্টিফিকেট নিশ্চিত করবে যে রপ্তানিযোগ্য পণ্য কীটনাশক মুক্ত, জীবাণুমুক্ত এবং গুণগত মান ঠিক আছে। ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট পেতে হলে কৃষি অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট পরীক্ষাগারে পণ্য পরীক্ষা করতে হবে।

 

সব কাগজপত্র প্রস্তুত করার পর, আপনি কোনো ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারের সাথে যোগাযোগ করবেন, যিনি এয়ার অথবা শিপের মাধ্যমে পণ্য পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। শিপে রেফ্রিজারেটর কন্টেইনার ব্যবহার করে পণ্য পাঠানো যেতে পারে, তবে এর জন্য আগে থেকেই বুকিং দিতে হবে। শিপিং করার সময় পণ্য যাতে সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

শিপিং ও লজিস্টিকসঃ শিপিং ও লজিস্টিকস বিষয়টি বিদেশে সবজি রপ্তানির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পণ্য পাঠানোর জন্য আপনি ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, যিনি আপনার পণ্য এয়ার বা শিপের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।  পণ্যের প্রকারভেদ অনুযায়ী, শিপমেন্টের জন্য আপনি রেফ্রিজারেটর কন্টেইনার ব্যবহার করতে পারেন। এয়ার শিপমেন্টের খরচ সাধারণত বেশি হয়, তাই অনেক সময় সি শিপমেন্টকে (মেরিটাইম) প্রাধান্য দেওয়া হয়। সঠিক শিপিং পরিকল্পনা এবং লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে, ভালো ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারের সাহায্য নেওয়া উচিত, যিনি আপনাকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও সহযোগিতা প্রদান করবেন।

সুপারশপ ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে?

বাংলাদেশের কি কি সবজির চাহিদা অন্য দেশে আছে?

বাংলাদেশের মৌসুমি বা বারমাসি সব ধরনের সবজির চাহিদা বিদেশে রয়েছে। এর মধ্যে বাধাকপি, ফুলকপি, লাউ, চাল কুমড়া, বিভিন্ন শাক (লাল শাক, ডাটা শাক, পাট শাক, পালন শাক, মুলা শাক, পুই শাক ইত্যাদি), কচু, কচুর লতি, ছড়া, ওলকচু, পঞ্চমুখ, মরিচ, পটল, টমেটো, করোল্লা, ধুন্দল, কাকড়োল ইত্যাদি সবজির চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। বিদেশে সবজি রপ্তানি করলে, এই পন্যগুলো দিয়ে শুরু করতে পারেন।

 

সবজির পাশাপাশি, বিভিন্ন ফলমূল যেমন কাঠাল, আম, লিচু, জাম, তরমুজ, বেল, তাল ইত্যাদিরও বিদেশে চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি বিদেশে সবজি রপ্তানি শুরু করেন, তবে ফলমূলও রপ্তানি করে আয় বাড়াতে পারেন। একবার বায়ার ধরতে পারলে, খুব সহজে ফলমূল রপ্তানি শুরু করে দিতে পারবেন।

কোন কোন দেশে সবজি রপ্তানি করা যায়?

যেসব দেশে বাঙালি বসবাস করেন, সেসব দেশে বাংলাদেশি সবজি ও ফলমূলের চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। কিছু কিছু সবজি যেমন ফুলকপি, বাধাকপি, মরিচ, টমেটো ইত্যাদির চাহিদা বিদেশিদের মধ্যেও রয়েছে। তাই এসব সবজি যেকোনো দেশে রপ্তানি করা যেতে পারে।

 

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যেমন সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, জর্ডান, আরব আমিরাত, ইরান ইত্যাদিতে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন। ফলে এসব দেশে বাংলাদেশি সবজি বেশি রপ্তানি হয়। ইউরোপের প্রায় সব দেশ, বিশেষ করে ইতালি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম ইত্যাদি, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়াসহ ৫৫টিরও অধিক দেশে বাংলাদেশের সবজি রপ্তানি করা হয়ে থাকে। যে দেশে প্রবাসী বাংলাদেশি বেশি থাকেন, সে দেশে চাহিদাও বেশি থাকে এবং বায়ার খুঁজে পাওয়াও তুলনামূলকভাবে সহজ।

সবজি রপ্তানি করে কত টাকা আয় করা যায়?

সবজি রপ্তানি করে সাধারণভাবে সবজির দামের ১০-১৫% পর্যন্ত লাভ করা যায়। কিছু কিছু সবজিতে লাভের পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে, তবে এটি বাজারের চাহিদা এবং অন্যান্য উপাদানের ওপর নির্ভর করে।

 

বাংলাদেশ সরকার বিদেশে সবজি রপ্তানির জন্য রপ্তানিকারকদের বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করে। পণ্যভেদে, এই প্রণোদনার পরিমাণ ১০-২০% পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ, যদি আপনার লাভ ১০০ টাকা হয়, সরকার আপনাকে অতিরিক্ত ১০-২০ টাকা পর্যন্ত প্রণোদনা হিসেবে দিতে পারে। তবে, প্রণোদনার পরিমাণ সরকারের নীতিমালা এবং বাজারের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

বায়িং হাউজ কিভাবে দিবেন? সম্পূর্ণ গাইডলাইন

বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগে?

কোনো ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগবে, তা মূলত ব্যবসার ধরন এবং পরিসরের ওপর নির্ভর করে। বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে কিছু প্রাথমিক খরচের মুখোমুখি হতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো কাগজপত্র সংগ্রহের খরচ, যার মধ্যে রয়েছে ইআরসি (Export Registration Certificate), ট্রেড লাইসেন্স, টিন (TIN) সার্টিফিকেট, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি। মোটামুটি, সব নথি সংগ্রহ করতে প্রায় ১৪,০০০-৩৫,০০০ টাকা খরচ হতে পারে। এই খরচগুলো স্থানীয় প্রশাসনিক ফি এবং অন্যান্য শর্তের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। আপনার ক্ষেত্রে কত টাকা লাগতে পারে, তা অনলাইনে অনুসন্ধান করে দেখে নিবেন।

 

এরপর, কৃষক থেকে সবজি ক্রয় করতে হবে। সবজি সংগ্রহের পর তা বাছাই, পরিস্কারকরণ এবং প্যাকেজিং বাবদ খরচ হবে। পরিবহন ও শিপমেন্টের খরচও বিবেচনায় নিতে হবে, যা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিবহনের ওপর নির্ভর করে। ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারের সেবার জন্যও একটি নির্দিষ্ট খরচ থাকে। আপনি কতো পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করবেন, কাস্টমারের প্যাকেজিং রিকোয়ারমেন্ট, এবং শিপমেন্টের ধরণ এসব বিষয়েও খরচ নির্ভর করবে।

 

সব মিলিয়ে, পাঁচ লাখ টাকা থেকে আট লাখ টাকা হলেই বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা মোটামুটি শুরু করা যাবে। শুরুতে বড়সড় অর্ডার না নিয়ে ছোটখাটো অর্ডার দিয়ে ব্যবসা শুরু করলে পুঁজির প্রয়োজন কম হবে এবং ঝুঁকি কম থাকবে।

প্যাকেজিং

সবজি রপ্তানিতে পণ্য বাছাই এবং প্যাকেজিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিকভাবে পণ্য বাছাই না করলে বা প্যাকেজিংয়ে ভুল হলে, পরিবহনের সময় পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে, কন্টেইনারগুলোতে পণ্য নিচে থাকে এবং তাদের উপর প্রচুর চাপ পড়ে, যা পণ্যের নষ্ট হওয়ার কারণ হতে পারে।

 

এই সমস্যা থেকে বাঁচতে, আপনাকে প্যাকেজিংয়ের জন্য কিছু অতিরিক্ত খরচ করতে হতে পারে, এতে করে আপনার পণ্য ভালো অবস্থায় পৌঁছাবে এবং আকর্ষণীয় দেখাবে। ভালো প্যাকেজিং শুধু পণ্যের গুণমান নিশ্চিত করে না, বরং এটি আপনার পণ্যের চেহারা এবং বাজারে গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি করে।

 

যদি আপনার পণ্য বায়ারের পছন্দ হয় এবং পণ্যের বিক্রয় ভাল হয়, তাহলে সেই বায়ার আপনার নিয়মিত বায়ার হয়ে যেতে পারে। তাই, বায়ার ধরে রাখার জন্য পণ্যের মান ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, পণ্যের মান মূলত প্যাকেজিংয়ের ওপর অনেকটা নির্ভর করে। তাই, প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে যত্নবান হওয়া এবং মানসম্পন্ন উপকরণ ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।

 সৌদি আরবে প্রবাসীদের জন্য সেরা ৫টি ব্যবসার আইডিয়া

আজকের আলোচনা থেকে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আমদানি বা রপ্তানির ক্ষেত্রে সি এন্ড এফ এজেন্ট এর প্রয়োজন হলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ। 

বিস্তারিত
সুপারশপ ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে?

বাংলাদেশের উঠতি ব্যবসাগুলোর মধ্যে সুপার শপ ব্যবসা অন্যতম একটি। সুপারশপ হলো একটি সেলফ সার্ভিস শপ যেখানে এক ছাদের নিচে বাসা-বাড়ির সব ধরনের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। এই সেবা সহজলভ্যতা এবং ফিক্সড প্রাইসের সুবিধার কারণে সুপারশপে কেনাকাটার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শহর এলাকায় বড় একটি জনসংখ্যা তাদের নিয়মিত বাজার সদাই সুপার শপ গুলোর মাধ্যমে করে থাকেন, যা কেনাকাটাকে আরও সাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে।

শহরের বিভিন্ন এলাকায় সুপার শপের চাহিদা থাকলেও বেশিরভাগ স্থানে কাছাকাছি কোনো সুপার শপ নেই। অর্থাৎ শহর এলাকায় সুপার শপ ব্যবসার ভাল সম্ভাবনা আছে।

আজ আমাদের আলোচনার বিষয় হল সুপার শপ ব্যবসা কেন করবেন, সুপারশপ ব্যবসা করতে কত টাকা লাগবে, সুপারশপ ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন, প্রতিযোগিতায় কিভাবে টিকে থাকবেন ইত্যাদি বিষয়াবলি।

সুপারশপ ব্যবসা কেন করবেন?

২০১৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের মানুষদের সুপারশপে কেনাকাটার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, শহরাঞ্চলে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সুপারশপের সংখ্যা কম। কিছু সুপারশপে শুধুমাত্র উচ্চমূল্যের পণ্য থাকায় সাধারণ মানুষ সেখানে কেনাকাটা করতে পারে না।

বর্তমানে, অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে সুপারশপ পরিচালনার সুবিধার কারণে গ্রাহকরা সহজেই কেনাকাটা করতে পারছেন, যা সুপারশপের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় বর্তমানে বাংলাদেশে সুপারশপ ব্যবসা প্রতিবছর ২৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থাৎ এ ব্যবসাটি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় একটি ব্যবসা।

কিভাবে শুরু করবেন সুপার শপ ব্যবসা?

যেকোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমেই দরকার একটি সুপরিকল্পিত রোডম্যাপ। প্রথমে আপনার পুঁজির পরিমাণ বিবেচনা করে বাকি পরিকল্পনা ঠিক করতে হবে। স্থান নির্বাচন: আপনার ব্যবসার লোকেশন নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন স্থানে সুপারশপ শুরু করার চেষ্টা করুন যেখানে আশেপাশে কোনো সুপারশপ নেই এবং যেখান থেকে যাতায়াত সহজ। বিশেষ করে মেইন রোডের পাশে এমন জায়গা বেছে নিন যা সহজেই মানুষের নজরে আসে।

নাম নির্বাচন: ব্যবসার জন্য একটি আকর্ষণীয় নাম নির্বাচন করুন, কারণ সুপারশপ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর।

স্পেস ভাড়া নিয়ে ডেকোরেশন শেষ করে পণ্য উঠানো শুরু করুন। এর মাঝে সরকারি বৈধ কাগজপত্র ঠিক করে নিন। এরপর বিজ্ঞাপন প্রচার করে ব্যবসা শুরু করুন।

সংক্ষিপ্তে বলতে ধাপগুলো এরকমঃ পরিকল্পনা স্থান নির্বাচন নাম নির্বাচন স্পেস ভাড়া ডেকোরেশন সরকারি কাগজপত্র পণ্য সংগ্রহ কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞাপন প্রচার ব্যবসা শুরু করা।

সুপার শপ ব্যবসা দুইভাবে করা যায়। প্রথমত, আপনি নিজে নতুন একটি সুপারশপ প্রতিষ্ঠা করে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, আপনি অন্য কোনো সুপারশপ ব্র্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনে নিতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সুপারশপ ব্র্যান্ড তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি দিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, "স্বপ্ন" সারা দেশে বিনামূল্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি দিচ্ছে। এতে করে যে কেউ স্বপ্নের আউটলেট চালু করতে পারবে এবং সেখানকার লাভের অংশ নিতে পারবে, তবে সব পণ্য স্বপ্ন থেকে নিতে হবে।

এতে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ যেমন লাভবান হয়, তেমনি এই সিস্টেমটি ব্যবসায়ীর জন্যও সুবিধাজনক। স্বপ্ন লাভবান হয় কারণ তাদের পণ্যই বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীও লাভবান হন কারণ স্বপ্নের মতো একটি বড় ব্র্যান্ডের নামে ব্যবসা করলে স্বাভাবিকভাবেই কাস্টমার বেশি আসে।

সুপারশপ ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগে?

সুপারশপ ব্যবসা শুরু করতে প্রয়োজনীয় পুঁজির পরিমাণ নির্ভর করে ব্যবসার আকার, অবস্থান, এবং ডেকোরেশনের মানের উপর। এখানে একটি সম্ভাব্য বাজেটের ধারণা দেওয়া হলো:

 

১. স্পেস ভাড়া ও এডভান্স

   - লোকেশন: ব্যবসার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ভাড়া ও এডভান্সের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।

   - প্রতি বর্গফুট ভাড়া (ঢাকার মতো শহরে): প্রতি বর্গফুটে ৮০ থেকে ২০০ টাকা। এই সংখ্যা ক্ষেত্রবিশেষ আরও বেশি হতে পারে।

   - এডভান্স: ৩ থেকে ১২ মাসের ভাড়া অগ্রিম দিতে হতে পারে, যা হতে পারে ৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে। এই সংখ্যাও ক্ষেত্রবিশেষ আরও বেশি হতে পারে।

 

২. ডেকোরেশন খরচ

   - মাঝারি মানের ডেকোরেশন: ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা।

   - উচ্চমানের ডেকোরেশন: ১২ থেকে ২৫ লাখ টাকা।

   - ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, চেকআউট কাউন্টার, ফ্রিজার, শেলভিং ইত্যাদি: ৩ থেকে ১০ লাখ টাকা।

 

৩. সরকারি কাগজপত্র ও লাইসেন্স ফি

সরকারি কাগজপত্র যেমন ট্রেড লাইসেন্স, সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন, ফায়ার সার্টিফিকেট ইত্যাদি বাবদ খরচ লাগবে ১ থেকে ২ লাখ টাকা। 

 

৪. পণ্য স্টক

   - শুরুর পণ্য স্টক: ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকা (মাঝারি আকারের সুপারশপের জন্য)।

   - বিস্তারিত পণ্য ভ্যারিয়েন্টস: পণ্যের ভ্যারিয়েন্ট ও পরিসরের উপর খরচ বাড়তে পারে।

 

৫. কর্মচারী বেতন ও প্রশিক্ষণ

   - প্রতি কর্মচারীর বেতন: ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা (বেতন স্কেল ও পজিশনের উপর নির্ভর করে)।

   - প্রথম ৩ মাসের বেতন: ২ থেকে ৪ লাখ টাকা (৬ থেকে ৮ জন কর্মচারীর জন্য)।

   - প্রশিক্ষণ খরচ: ৫০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা।

 

৬. বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা

   - প্রচারণার জন্য প্রাথমিক বাজেট: ১ থেকে ৫ লাখ টাকা (স্থানীয় ও অনলাইন বিজ্ঞাপনের জন্য)।

   - ওয়েবসাইট ও অনলাইন অর্ডার সিস্টেম: ৫০,০০০ থেকে ২ লাখ টাকা।

 

৭. অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ

   - ইলেকট্রিসিটি, পানি, এবং ইউটিলিটি বিল: মাসে ৩০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা।

   - সিকিউরিটি ও মেইনটেন্যান্স খরচ: ৫০,০০০ থেকে ২ লাখ টাকা।

 

মোট খরচের একটি ধারণা:

সাধারণত, একটি মাঝারি আকারের সুপারশপ ব্যবসা শুরু করতে ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকার প্রয়োজন হতে পারে। তবে, প্রিমিয়াম লোকেশনে বা বড় পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে এই বাজেট ৭৫ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার মধ্যে হতে পারে।

এই খরচের পরিমাণ আপনার ব্যবসার ধরন, অবস্থান, এবং পরিকল্পনার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সঠিক বাজেট পরিকল্পনা ও খরচের হিসাব করে নেয়া উচিৎ, যেন ব্যবসার শুরু থেকেই আপনি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেন।

যদি আপনি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে ব্যবসা করতে চান, তাহলে আপনার খরচ চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। সাধারণত, ফ্র্যাঞ্চাইজি গ্রহণের ক্ষেত্রে পূঁজি কিছুটা কম হতে পারে, কারণ আপনি একটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের নাম এবং সাপোর্ট পাচ্ছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করার সুবিধা হলো, আপনি একটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের অংশ হয়ে যাচ্ছেন, যা আপনার ব্যবসার প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায় এবং শুরুতেই কিছুটা মার্কেটিং সাপোর্ট প্রদান করে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিঃ লাভজনক ব্যবসা শুরু করার সম্পূর্ন পরিকল্পনা

সুপারশপ ব্যবসায় টিকে থাকার কৌশল

বাংলাদেশে সুপারশপ ব্যবসা একটি উঠতি এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল অনুসরণ করা উচিত:

 

১. নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কম রাখা

মূল্যসীমা: পণ্যের দাম কম রাখলে ক্রেতা আকৃষ্ট হয়।

মূল্যছাড়ের অফার: নিয়মিত ডিসকাউন্ট অফার দিন।

ডিরেক্ট সোর্সিং: পাইকারদের মাধ্যমে না কিনে সরাসরি উৎপাদনকারীর কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করুন। এটি মিডলম্যানের খরচ কমিয়ে দেবে এবং দাম কম রাখবে।

২. ডেকোরেশন ও সজ্জা

টেকনিক: সুপারশপের ডেকোরেশন এমনভাবে করুন যেন ক্রেতারা এক পণ্য কিনে পরবর্তী পণ্যের দিকে আকৃষ্ট হন।

ফ্লো: পণ্যগুলি এমনভাবে সাজান যাতে ক্রেতা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে যেতে পারে এবং নানা পণ্য দেখতে পায়।

৩. অফলাইন এবং অনলাইন ব্যবসা

ওয়েবসাইট: একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন যেখানে গ্রাহকরা অনলাইনে পণ্য অর্ডার করতে পারে।

অনলাইন প্রচারণা: সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আপনার ব্যবসার প্রচারণা করুন।

চীন থেকে বাংলাদেশে পন্য আমদানি করার নিয়ম

৪. প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হওয়া

মূদী দোকান ও অন্যান্য দোকানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা: আশেপাশের মূদী দোকান ও অন্যান্য ছোট দোকানের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা করতে হবে। এজন্য আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার সুপারশপে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পণ্য এবং সেবা আছে।

৫. কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স

গ্রাহক সেবা: ভালো গ্রাহক সেবা প্রদান করুন এবং ক্রেতাদের সাথে সদাচরণ বজায় রাখুন।

মেম্বারশিপ প্রোগ্রাম: নিয়মিত ক্রেতাদের জন্য মেম্বারশিপ অফার করুন, যা বিশেষ ছাড় ও সুবিধা প্রদান করবে।

কি কি পন্য বিক্রি করা যায় সুপারশপে?

মাছ তরকারি থেকে শুরু করে ছোটোখাটো ইলেকট্রনিক্স পন্য, জামাকাপড় পর্যন্ত বিক্রি হয় সুপারশপে।

একটি সুপারশপে পন্যের ভ্যারিয়েন্টের উপর ভিত্তি করে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়। সুপারশপে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি হয়, যা নিম্নলিখিতভাবে সাজাতে পারেন:

 

খাদ্য পণ্য: মাছ, তরকারি, মাংস, এবং অন্যান্য কাঁচা খাদ্যদ্রব্য একটি বিশেষ জোনে রাখতে পারেন।

ঘরোয়া প্রয়োজনীয় পণ্য: সাবান, কসমেটিক্স, এবং অন্যান্য পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী একটি আলাদা জোনে রাখবেন।

মূদি পণ্য: বিভিন্ন মূদি আইটেম যেমন চিনি, চাল, ডাল, মশলা ইত্যাদি।

বেকারি পণ্য: পেস্ট্রি, কেক, মিস্টি, দধি ইত্যাদি।

বাচ্চাদের খেলনা: বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও শিশুর প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

কুকওয়ার আইটেম: রান্নার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন কুকিং পট, প্যান, ইত্যাদি।

ইলেকট্রনিক্স পণ্য: ব্লেন্ডার, ইলেকট্রিক বিটার, ট্রিমার ইত্যাদি।

স্টেশনারি আইটেম: বিভিন্ন ধরনের স্টেশনারি সামগ্রী যেমন কাগজ, পেন্সিল, ইত্যাদি।

প্রতি সুপারশপে এই পণ্যের ভ্যারিয়েন্টের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জোন তৈরি করা হয়, যাতে গ্রাহক সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য খুঁজে পেতে পারেন।।

বাংলাদেশে স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স দিয়ে বৈধভাবে আমদানি কতটা সম্ভব?

 

আজকের আলোচনা থেকে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

ধন্যবাদ। 

বিস্তারিত
চীন থেকে বাংলাদেশে পন্য আমদানী করার নিয়ম

বাংলাদেশে চীনা পন্যের চাহিদা বেশি হওয়ায় চীন থেকে বাংলাদেশে পন্য আমদানী করে ব্যবসা করে অনেক লাভবান হওয়া যায়। চীনের পণ্য উৎপাদন খরচ কম হওয়ার পাশাপাশি এর মান উন্নত হওয়ায় বাংলাদেশী বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চীন থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানী করতে হলে সঠিক নিয়ম-কানুন এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। এই নিবন্ধে আমরা চীন থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানী করার নিয়ম, খরচ, সুবিধা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

 

চীন থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানী করার ধাপসমূহ

চীন থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানী সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হলে নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নিচে এই ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো:

১. পণ্য বাছাই: বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক পণ্য নির্বাচন

পণ্য বাছাই চীন থেকে পন্য আমদানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোর একটি। আপনি যে পণ্যটি আমদানি করতে চান, তা অবশ্যই বাজারের চাহিদা এবং আপনার ব্যবসার ধরন অনুযায়ী হতে হবে। পণ্যের মান, বৈচিত্র্য, এবং গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী পণ্যটি বাছাই করা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স, গৃহস্থালি সামগ্রী, এবং পোশাকের চাহিদা অনেক বেশি। তাই এই ধরণের চাহিদাসম্পন্ন পণ্য বাছাই করতে হবে।

 

২. বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ: বিশ্বস্ত ও মানসম্পন্ন বিক্রেতার সাথে সম্পর্ক স্থাপন

সঠিক বিক্রেতা নির্বাচন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনে অনেক বিক্রেতা রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের পণ্য সরবরাহ করে, কিন্তু সকলেই মানসম্পন্ন এবং বিশ্বস্ত নয়। Alibaba, Global Sources, এবং Made-in-China এর মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে সহজ হবে। বিক্রেতা নির্বাচন করার আগে তাদের পণ্য, সরবরাহের সময়, এবং কাস্টমার রিভিউ যাচাই করে নিন। অর্ডার কনফার্ম করার আগে স্যাম্পল এনে পন্য এবং পন্যের মান যাচাই করে নিবেন। স্যাম্পল এর দাম এবং কুরিয়ার খরচ কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করে দিলে সাপ্লায়ার কুরিয়ারে করে স্যাম্পল পাঠিয়ে দিবে।

 

3. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করা

চীন থেকে পণ্য আমদানী করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট প্রস্তুত করে নিতে হবে। এগুলো হলো:

 ইম্পোর্টার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (IRC): বাংলাদেশে আমদানী করার জন্য এই সার্টিফিকেট থাকা আবশ্যক।

প্রফর্মা ইনভয়েস(PI): প্রোফর্মা ইনভয়েসে পণ্যের পরিমাণ, আনুমানিক মূল্য, শিপিং খরচ, শর্তাবলী, এবং অন্যান্য তথ্য উল্লেখ করা থাকে। এটি বিক্রেতা (সাপ্লায়ার) ক্রেতাকে (বায়ার) সরবরাহ করে।

লেটার অফ ক্রেডিট (LC): ব্যাংকের মাধ্যমে পণ্যের অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা হিসেবে এই নথি ব্যবহার করা হয়।

৪. শিপিং ব্যবস্থা করা: সঠিক পদ্ধতি নির্বাচন

পণ্য পরিবহনের জন্য সঠিক শিপিং পদ্ধতি অর্থাৎ চীন থেকে কিভাবে বাংলাদেশে পন্য আনবেন তা ঠিক করে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পণ্য পরিবহনের জন্য সাধারণত দুইটি প্রধান পদ্ধতি রয়েছে: এয়ার কার্গো, সি কার্গো। প্রতিটি পদ্ধতির খরচ, সময়, এবং নিরাপত্তা ভিন্ন রকম।

 এয়ার কার্গো: দ্রুততম পদ্ধতি হলেও খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি। সাধারণত ৫-১০ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছানো সম্ভব হয়। এই পদ্ধতি সাধারণত ছোট ও উচ্চমূল্যের পণ্য পরিবহনের জন্য উপযুক্ত।

সি কার্গো: খরচ কম, কিন্তু সময় লাগে ২৫-৩০ দিন। বড় ও ভারী পণ্য পরিবহনের জন্য এই পদ্ধতি উপযুক্ত।

৫. কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স

পণ্য বাংলাদেশের বন্দরে পৌঁছানোর পর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময় কাস্টমস ডিউটি, ট্যাক্স, এবং অন্যান্য ফি পরিশোধ করতে হয়। পণ্য আমদানির সমস্ত নথি এবং চালান উপস্থাপন করতে হবে। পণ্যটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরীক্ষা ও যাচাইয়ের পর মুক্তি পায়। দ্রুত ক্লিয়ারেন্স নিশ্চিত করতে হলে সমস্ত নথি সঠিক এবং সম্পূর্ণ হওয়া জরুরি। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের ক্ষেত্রে সি এন্ড এফ এজেন্টের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।

বিশ্বস্ত সিএন্ডএফ এজেন্ট পেতে ক্লিক করুন।

৬. এয়ারপোর্ট বা সি পোর্ট থেকে পণ্য সংগ্রহ

পণ্য কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের পর, পরবর্তী ধাপ হলো এয়ারপোর্ট বা সি পোর্ট থেকে পণ্য সংগ্রহ করা। পণ্য সংগ্রহের জন্য আপনাকে এয়ারপোর্ট বা সি পোর্টে যেতে হবে। পোর্টের অফিসিয়াল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং তাদের নির্দেশনা অনুসরণ করুন। পোর্টের নির্দিষ্ট স্থানে পণ্য সংগ্রহের জন্য একটি নির্ধারিত সময়সীমা থাকতে পারে, তাই সময়মতো উপস্থিত থাকতে হবে। পণ্য সংগ্রহ করার পর আপনার গুদাম বা বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে পাঠাতে হবে। আপনি ট্রাক, লরি বা অন্যান্য পরিবহন মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন।

 

চীন থেকে পণ্য আমদানির খরচ

চীন থেকে পণ্য আমদানির খরচ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।

 ১. পণ্যের মূল্য

পণ্যের মূল্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা পণ্যের ধরন এবং পরিমাণের উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, ইলেকট্রনিক্সের ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য বেশি হতে পারে, যেখানে সাধারণ গৃহস্থালি পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে কম।

 ২. শিপিং চার্জ

শিপিং খরচ নির্ভর করে শিপিং পদ্ধতি (এয়ার, সি), পণ্যের ওজন, এবং পরিবহন দূরত্বের উপর। সি কার্গো বা জাহাজে পন্য আনার খরচ সাধারণত এয়ার কার্গোর চেয়ে কম হয়, তবে এটি সময়সাপেক্ষ। উদাহরণস্বরূপ, সি কার্গোর মাধ্যমে ২০ ফুট কন্টেইনারে পণ্য পরিবহন করতে $১,৫০০-$২,৫০০ খরচ হতে পারে, যেখানে এয়ার কার্গোতে একই ওজনের পণ্য পরিবহন করতে $৫,০০০-এর বেশি খরচ হতে পারে।

৩. কাস্টমস ডিউটি

কাস্টমস ডিউটি পণ্যের মূল্য এবং প্রকারের উপর ভিত্তি করে ধার্য করা হয়। বাংলাদেশে সাধারণত আমদানীকৃত পণ্যের জন্য ১৫-২৫% কাস্টমস ডিউটি আরোপ করা হয়, তবে কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে এই হার বেশি হতে পারে।

 ৪. বীমা খরচ

শিপিংয়ের সময় পণ্যের নিরাপত্তার জন্য বীমা করতে হয়। বীমার খরচ সাধারণত পণ্যের মূল্যের ০.৫%-২% পর্যন্ত হতে পারে। বীমা করা হলে পরিবহনের সময় পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হলে আপনি ক্ষতিপূরণ পাবেন।

 ৫. স্থানীয় পরিবহন খরচ

বাংলাদেশের বন্দরে পৌঁছানোর পর পণ্য গুদাম বা বিক্রয় কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় পরিবহন খরচও যুক্ত হবে। এই খরচটি নির্ভর করে দূরত্ব, পণ্যের পরিমাণ, এবং পরিবহনের মাধ্যমের উপর।

 

চীন থেকে পণ্য আমদানির খরচ পরিবর্তনশীল, কারণ বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম, শিপিং খরচ, এবং কাস্টমস ডিউটির হার পরিবর্তিত হতে পারে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিনিময় হার, বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইনের পরিস্থিতি, এবং শুল্ক নীতি পরিবর্তনের ফলে খরচ বৃদ্ধি বা হ্রাস পেতে পারে। তাই আমদানির পরিকল্পনা করার সময় সবসময় বর্তমান বাজার পরিস্থিতি এবং খরচের একটি আপডেটেড ধারণা রাখা জরুরি।

চীন থেকে পণ্য আমদানির জন্য সাপ্লায়ার খুঁজে পাওয়ার উপায়

চীন থেকে পণ্য আমদানি করার জন্য উপযুক্ত সাপ্লায়ার খুঁজে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় অনুসরন করতে পারেন।

 ১. অনলাইন মার্কেটপ্লেস ব্যবহার

অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো যেমন Alibaba, Global Sources, এবং Made-in-China ব্যবহার করে চীনা সাপ্লায়ারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।  এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি সাপ্লায়ারদের সাথে সরাসরি আলোচনা করে দাম এবং অন্যান্য শর্তাবলী নির্ধারণ করে নিতে  পারেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলির মাধ্যমে আপনি সাপ্লায়ারদের প্রোফাইল, রেটিং, এবং কাস্টমার রিভিউ দেখতে পারবেন।

১ লাখ টাকার মধ্যে বাংলাদেশে শুরু করার মতো ৫টি লাভজনক ব্যবসা

 ২. চীনে ভ্রমণ করা

চীন থেকে পণ্য আমদানি করার জন্য সরাসরি চীনে যেয়ে পন্য ক্রয় করতে পারেন। এটি আপনাকে স্থানীয় বাজারের অবস্থা, উৎপাদন প্রক্রিয়া, এবং পণ্যের গুণমান সরাসরি পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ করে দিবে। বিভিন্ন ট্রেড শো, প্রদর্শনী, এবং কারখানা সফরের মাধ্যমে আপনি সরাসরি সাপ্লায়ারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

 ৩. এজেন্ট নিয়োগ করা

চীনে অবস্থানরত কাউকে স্থানীয় এজেন্ট বা ব্রোকার হিসেবে নিয়োগ করে নিতে পারেন। স্থানীয় এজেন্টরা চীনের বাজারে অভিজ্ঞ এবং তারা আপনাকে সঠিক সাপ্লায়ার খুঁজে পেতে, মূল্য নিয়ে আলোচনা করতে, এবং আমদানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহায়তা করতে পারে। এজেন্টরা সাধারণত স্থানীয় ভাষা জানেন এবং স্থানীয় সাপ্লায়ারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে সক্ষম। এছাড়া, তারা শিপিং, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজগুলো করতে সাহায্য করতে পারবে।

বায়িং হাউজ কিভাবে দিবেনঃ সম্পূর্ন গাইডলাইন



চীন থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানী করে ব্যবসা করা চ্যালেঞ্জিং হলেও লাভজনক প্রক্রিয়া। সঠিক পণ্য নির্বাচন, বিশ্বস্ত সাপ্লায়ার খুঁজে পাওয়া, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুতি, এবং কার্যকর শিপিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা আপনার সফলতা অর্জনের মূল চাবিকাঠি।

চীন থেকে বাংলাদেশে পন্য আমদানী বা যেকোনো দেশ থেকে পন্য আমদানী করা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ।

বিস্তারিত
Alibaba & Import Export Expert

আমদানি,রপ্তানি,আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন।

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js