বর্তমানে টি-শার্ট ব্যবসা একটি লাভজনক এবং সৃজনশীল উদ্যোগ হতে পারে। এ ব্যবসা শুরু করার জন্য সামান্য কিছু মূলধন, পরিকল্পনা এবং প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এই পোস্টে এখানে ধাপে ধাপে গাইড দেওয়া হলো যা আপনাকে আপনার টি-শার্ট ব্যবসা শুরু করতে পরিপুর্ন ভাবে সাহায্য করবে।
১. বাজার গবেষণা এবং পরিকল্পনা
বাজার গবেষণা:
শুধু টি শার্ট ব্যবসাই নয় যে কোন ব্যবসা শুরু করতে অবশ্যই আগে আপনাকে বাজাক গবেষণা করতে হবে ৷ টি-শার্ট ব্যবসা শুরু করার আগে বাজার গবেষণা করা জরুরি। প্রথমেই দেখতে হবে কোন ধরনের টি-শার্ট বর্তমানে খুব বেশী জনপ্রিয় এবং আপনার গ্রাহকরা কোন ধরনের ডিজাইন পছন্দ করেন। বাজারে যে সব টি শার্ট ব্রান্ড পপুলার তাদেরকেও বিশ্লেষণ করুন এবং তাদের ব্যবসায়ীক সফলতার দিক গুলি ও ব্যর্থতার দিক গুলি থেকে শিখুন। তাদের ডিজাইন গুলি ফলো করুন ৷ বাজারের ট্রেন্ডিং ডিজাইন গুলি দেখে সেগুলি থেকে ডিজাইনের ধারনা নিতে পারেন ৷ বর্তমানে ড্রপ সোল্ডার টি শার্টের কদর দিন দিন বেড়ে চলতেছে ৷ অনেকেই এই টি শার্ট নিয়ে ব্যবসা করে খুব ভালো প্রফিট করতেছেন ৷
ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি:
টি শার্ট ব্যবসার শুরুতেই একটি বিস্তারিত ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করুন। এতে আপনার ব্যবসার লক্ষ্য কি, টার্গেট গ্রাহক কত, প্রারম্ভিক বিনিয়োগ কি পরিমান, উৎপাদন প্রক্রিয়া কি ধরনের হবে, বিজ্ঞাপন কৌশল এবং বিক্রয় পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করুন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করুন ৷ এই পরিকল্পনা করতে প্রয়োজনে আপনি কয়েকজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী থেকে পরামর্শ নিতে পারেন ৷ অনলাইনে আজকাল অনেকেই তাদের ব্যবসায়ীক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন ৷ সেগুলি থেকেও ধারনা নিতে পারেন ৷
২. ডিজাইন ও ব্র্যান্ডিং
ডিজাইন তৈরি:
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এটা ৷ সঠিক ভাবে বাজার ট্রেন্ড অনুযায়ী যদি ডিজাইন করতে না পারেন তবে আপনি টি শার্ট বিক্রি করতে পারবেন না ৷ প্রথমেই আশে পাশের ব্রান্ড রিসার্স করে আপনার টি-শার্টের ডিজাইন কেমন হবে তা ঠিক করুন। নিজে ডিজাইন করতে পারেন অথবা ডিজাইনার হায়ার করতে পারেন। ডিজাইন ইউনিক এবং আকর্ষণীয় হতে হবে যা আপনার ব্র্যান্ডের পরিচয় তুলে ধরবে। গুগলে সার্চ করলে অনেক টি শার্টের ডিজাইন আইডিয়া পাবেন ৷ পিন্টারেস্টে সবচেয়ে বেশী টি শার্ট ডিজাইন পাবেন ৷ এছাড়া আপওয়ার্ক থেকেও ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে টি শার্ট ডিজাইন করিয়ে নিতে পারেন ৷
ব্র্যান্ডিং:
একটি সুন্দর ব্র্যান্ড নাম এবং লোগো নির্বাচন করুন। চেষ্টা করবেন টোটালি ডিফরেন্ট এবং ইউনিক একটি নাম নির্বাচন করতে ৷ একটু ছোট নাম দিবেন যাতে করে সহযে উচ্চারন করা যায় ৷ একটা ইউনিক ব্রান্ড নেম আপনার ব্যবসার পরিচিতি বাড়াবে এবং গ্রাহকদের কাছে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। এক্ষেত্রে আপনি পরিচিত মানুষের সহযোগিতা নিতে পারেন ৷ আবার অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্রান্ড নেম সাজেস্ট করে ৷
৩. সরবরাহকারী এবং উৎপাদন
সরবরাহকারী নির্বাচন:
টি শার্ট ব্যবসার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সরবরাহকারী নির্বাচনে করা ৷ আপনি শুরুতেই নিজে উৎপাদন করার চিন্তা না করাই ভালো ৷ এটা অনেক ব্যয়বহুল এবং রিস্কের ব্যাপার ৷ কয়েকটা ফ্যাক্টরি নির্বাচন করুন ৷ সবার থেকে স্যাম্পল নিন ৷ যার স্যাম্পল আপনার কাছে ভালো মনে হবে তার সাথে কথা বলুন ৷ টি শার্টের ফেব্রিক্স, কালার, জি এস এম, সেলাই, ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারনা নিন ৷
৪. ওয়েবসাইট ও অনলাইন স্টোর সেটআপ
ওয়েবসাইট তৈরি:
বার্তমানে অনলাইনে প্রচুর পরিমানে প্রডাক্ট বিক্রি হয়ে থাকে ৷ সোস্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন ৷ আপনার ব্রান্ডের নাম দিয়ে প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করুন যেখানে আপনার টি-শার্টের ডিজাইন শো করা হবে ৷ স্যোসাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপনের সময় ওয়েবসাইটের ঠিকানা দিয়ে দিবেন ৷ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন অর্ডার গ্রহণ এবং পেমেন্ট প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করতে পারেন ৷ এতে করে সহযে কাস্টমার অনলাইন থেকে পন্য ক্রয় করতে পারবে ৷
৫. বিপণন ও প্রচারণা
ডিজিটাল মার্কেটিং:
সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং এবং পেইড অ্যাডভার্টাইজিং ব্যবহার করে আপনার ব্র্যান্ডের প্রচারণা করুন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে আপনার টি-শার্ট প্রচার করুন। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো ফেসবুক মার্কেটিং ৷ আপনার ব্রান্ডের নামে একটা ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে আপনি টি শার্টের ছবি ডিটেইলস পোস্ট করতে পারেন ৷ এই পেজ থেকেই ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন ৷ সাথে সরাসরি ওর্ডার করার জন্য ওয়েবসাইটের ঠিকানা দিয়ে দিবেন ৷
অফলাইন প্রচারণা:
এটা অনেকটা ব্যয়বহুল ৷ বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় স্থানীয় ইভেন্ট, মেলা বা প্রদর্শনী অনুষ্ঠীত হয় ৷ আপনি চাইলে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এটি আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়াবে এবং স্থানীয় গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাবে। এ ছাড়া বিভিন্ন খেলা-দুলাতে আপনি টি শার্ট স্পন্সর করতে পারেন ৷
৬. বিক্রয় ও গ্রাহক সেবা
বিক্রয় ব্যবস্থাপনা:
ব্যবসাতে এটি খুবই গুরুত্বপুর্ন কাজ ৷ আপনার বিক্রি এবং ক্রয় হিসেব নিয়মিত করতে হবে ৷ অনলাইনে আজকাল বিভিন্ন সফটওয়্যার পাওয়া যায় ৷ এসব দিয়ে ক্রয় বিক্রয় ট্র্যাকিং করতে পারবেন এবং স্টক ম্যানেজমেন্ট মনিটর করতে পারবেন। মনে রাখবেন গ্রাহকদের অর্ডার সঠিকভাবে পূরণ করতে না পারলে বিজ্ঞাপনের টাকা পুরোটাই লস হবে আপনার ৷
গ্রাহক সেবা:
গ্রাহকদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা প্রদান করুন। কোন কাস্টমার টি শার্ট ক্রয় করলে তার থেকে কিছুদিন পর ফিডব্যাক সংগ্রহ করুন ৷ তারা যদি কোন ভালো বা খারাপ রিভিউ করে সেগুলি সংশোধন করার ব্যবস্থা করুন ৷ কাস্টমারের ফিডব্যাক অনুযায়ী আপনার পণ্য ও সেবা পরিবর্তন করুন।
৭. আইনগত বিষয়
লাইসেন্স ও নিবন্ধন:
ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স এবং নিবন্ধন নিন। ব্যবসার আইনগত দিক ঠিকভাবে মেনে চলুন। তবে প্রাথমিক ভাবে অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য লাইসেন্স না করলেও চলবে ৷ তবে করে নিলে ভালো হবে ৷ কারন পেমেন্ট গেটওয়ে বা ট্রেড মার্ক করতে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স সাবমিট করতে হবে ৷
কপিরাইট:
আপনার ডিজাইন এবং ব্র্যান্ড নামের জন্য কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করুন যাতে আপনার আইডিয়া সুরক্ষিত থাকে। কপিরাইট করতে প্রাথমিক ভাবে ১০০০০ টাকার মত খরচ হতে পারে ৷ বাংলাদেশে অনেক এজেন্সি আছে যারা আপনার হয়ে এসব কাজ করে দিবে ৷
টি-শার্ট ব্যবসা শুরু করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হলেও কিন্তু এটি খুব উৎসাহজনক একটি উদ্যোগ। আপনার সঠিক পরিকল্পনা, সৃজনশীলতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে একটি সফল টি শার্ট ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন।
ব্যবসা শুরু করতে অনেকেই অনলাইনকে বেছে নেন ৷ অল্প খরচে খুব সহজেই ই কমার্স শুরু করা যায় ৷ ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়। আজকের পোস্টে আমি আপনাদেরকে একটি সঠিক গাইডলাইন দেওয়ার চেষ্টা করব কিভাবে আপনারা একটি ই-কমার্স ব্যবসা শূন্য থেকে শুরু করতে পারেন ৷ এই গাইডটি আপনাকে সঠিকভাবে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে সাহায্য করবে।
প্রডাক্ট নির্বাচন:
আপনার প্রথম কাজ হবে একটি নির্দিষ্ট প্রডাক্ট ক্যাটাগরি (নিস) নির্বাচন করা, যে প্রডাক্ট নিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করতে চান। ক্যাটাগরি হতে পারে পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, হোম ডেকোর, বই ইত্যাদি। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে পোশাক এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য নিয়ে সবাই ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করে ৷
সিঙ্গেল ও মাল্টিভেন্ডর ই-কমার্সঃ
ই-কমার্স ব্যবসার সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি হচ্ছে মাল্টিভেন্ডর ই-কমার্স আর একটি হচ্ছে সিঙ্গেল ই কমার্স ৷ মাল্টি ভেন্ডর ই-কমার্স হচ্ছে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সাপ্লায়ারদেরকে যুক্ত করে তাদের পণ্য বিক্রির সুযোগ দিবেন আর সিঙ্গেল ই-কমার্স হচ্ছে শুধুমাত্র আপনি আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন ৷ আপনাকে প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে আপনি আসলে কি ধরনের ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন ৷
বাজার গবেষণা:
ক্যাটাগরি নির্বাচন করার পর, আপনার বাজার গবেষণা করা প্রয়োজন। আপনার টার্গেট করা গ্রাহকদের প্রডাক্ট চাহিদা, বাজারে অন্য ই কমার্স ওয়েবসাইটের এই প্রডাক্টের প্রতিযোগিতা এবং বাজারের ট্রেন্ড সম্বন্ধে জানতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন প্রোডাক্ট ই-কমার্স ওয়েবসাইটে অনেক কম ধরে বিক্রি হয়ে থাকে কারণ তারা বাল্ক পরিমাণে প্রোডাক্ট ক্রয় করে সেগুলি কম দরে বিক্রি করতে পারে ৷ সেসব প্রোডাক্ট নিয়ে যদি আপনি ব্যবসা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেশি পরিমাণে প্রোডাক্ট ক্রয় করে স্টক করে সেগুলি বিক্রি করতে হবে ৷ আবার অনেকেই ইউনিক প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি করে বিক্রি করে সে ক্ষেত্রে আপনাকে দেখতে হবে যে এই সব পন্য গুলো কোন দেশ থেকে আমদানী করা হয় এবং কিভাবে কম দরে আপনি আমদানি করে বাংলাদেশ বিক্রি করতে পারবেন ৷
আবার অনেক প্রোডাক্ট রয়েছে যেগুলোর মার্কেটে যোগান খুবই কম ৷ আপনি যদি এসব প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন সেক্ষেত্রে দেখা যাবে যে আপনি কিছুদিন বিক্রি করার পরে সেই প্রোডাক্ট আর মার্কেটে খুজে পাবেন না ৷ সেজন্য অবশ্যই প্রোডাক্টের ক্যাটাগরি নির্বাচনের সময় এমন প্রোডাক্ট নির্বাচন করবেন যেই প্রোডাক্টগুলো সব সময় মার্কেটে এভেইলেবেল থাকে অর্থাৎ আপনি পাইকারি মার্কেট থেকে এই প্রোডাক্টগুলো সবসময় ক্রয় করতে পারবেন এবং সবার সাথে তাল মিলিয়ে আপনি কম রেটে সেগুলো ক্রয় করে বিক্রি করার এবিলিটি থাকতে হবে ৷ এজন্য ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার আগে প্রোডাক্ট নির্বাচন খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ ৷
ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি:
ই কমার্স ব্যবসার শুরুতেই একটি বিস্তারিত ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করুন। এতে আপনার ব্যবসার লক্ষ্য কি, টার্গেট গ্রাহক কত, প্রারম্ভিক বিনিয়োগ কি পরিমান, সাপ্লায়ার প্রক্রিয়া কি ধরনের হবে, বিজ্ঞাপন কৌশল এবং বিক্রয় পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করুন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করুন ৷ এই পরিকল্পনা করতে প্রয়োজনে আপনি কয়েকজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী থেকে পরামর্শ নিতে পারেন ৷ অনলাইনে আজকাল অনেকেই তাদের ব্যবসায়ীক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন ৷ সেগুলি থেকেও ধারনা নিতে পারেন ৷
২. ব্যবসার নাম এবং ডোমেইন নিবন্ধন
ব্যবসার নাম নির্বাচন:
আপনার ব্যবসার জন্য একটি আকর্ষণীয় ও সহজে মনে রাখা যায় এমন নাম নির্বাচন করুন। চেষ্টা করবেন ছোট এবং সহজে লেখা যায় এই ধরনের নাম নির্বাচন করতে ৷ যেহেতু এটি ই-কমার্স ব্যবসা সেহেতু এই ওয়েবসাইটটি আপনি সবার মাঝে শেয়ার করতে হবে এবং এই ওয়েবসাইটের নামটি সবাই ব্রাউজারে টাইপ করে সেখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে ৷ সুতরাং নামটি যত ছোট এবং সহজে উচ্চারণ যোগ্য হবে তত সহজেই মানুষের ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করতে পারবে ৷ কঠিন কোন নাম যেটা উচ্চারণ করা বা বানান করা কঠিন হয় সেই ধরনের নাম যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে এটি কাস্টমার ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে সমস্যা হবে বা তারা নামের বানান ঠিকমতো না করতে পেরে অন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে এতে করে আপনি আপনার কাস্টমার হারাবেন ৷
নাম নির্বাচন করার আগেই অবশ্যই আপনি চেক করে নিবেন যে আপনার এই ব্যবসাটির নামে ডোমেইন অ্যাভেইলেবেল রয়েছে কিনা ৷ কারণ অনেক সময় দেখা যায় যে আপনি হয়তো একটা নাম নির্বাচন করেছেন কিন্তু আপনি যেই নামে ডোমেটি চাচ্ছেন অলরেডি সেই ডোমেটি অন্য কেউ ও তার নিজের ব্যবসা নামে নিয়েছে সুতরাং অবশ্যই নাম নির্বাচনের আগে ডোমেইন নাম ঠিক করবেন যদি দেখেন যে এই নামে ডোমেইন এভেইলেবেল রয়েছে তাহলে ডোমেইনটি আগে রেজিস্ট্রেশন করবেন তারপরে আপনার ব্যবসার অন্যান্য লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করবেন ৷
৩. ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন
ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যেতে পারে। জনপ্রিয় কিছু প্ল্যাটফর্ম হল Shopify, WooCommerce, BigCommerce ইত্যাদি। আপনার ব্যবসার জন্য সঠিক প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন। তবে এই ওয়েবসাইট ডিজাইন কিন্তু আপনি যদি একজন ওয়েবসাইট ডেভেলপার না হন তাহলে সহজে করতে পারবেন না ৷ যদি অনলাইনে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখে নিজে নিজে করার চেষ্টা করেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবেন ৷ সেজন্য আপনাকে কোন একজন ভালো মানের ওয়েবসাইট ডেভলপারের সহযোগিতা নিতে হবে ৷ বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা আপনাকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুব সহজে অল্প টাকার মধ্যে করে দিবে ৷
প্রাথমিকভাবে তত বড় কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করার প্রয়োজন নেই ছোটখাটো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অল্প টাকা ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্যবসাটা শুরু করবেন ৷ এরপরে যদি দেখেন যে আপনার ওয়েবসাইটে কাস্টমারের সংখ্যা দিন দিন বাড়তেছে এবং আপনার ইনভেস্টমেন্ট রিটার্ন সঠিকভাবে আসতেছে তখন বড় কোন ডেভলপার দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করিয়ে নিতে পারেন ৷
৪. ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট
ওয়েবসাইট ডিজাইন:
একটি আকর্ষণীয় ও ব্যবহারবান্ধব ওয়েবসাইট ডিজাইন করুন। আপনার পণ্য প্রদর্শনের জন্য সুন্দর ও প্রফেশনাল লেআউট ব্যবহার করুন। ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনি একটি ডেমো টেমপ্লেট দেখে নিবেন ৷ যে সব ডেভলপার দিয়ে কাজ করাবেন তাদের থেকে ওয়েবসাইটের ডেমো দেখে নিবেন ৷ ওয়েবসাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো একজন ভিজিটর ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় যেন সহজে আপনার ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট অর্ডার করতে পারে এবং এখানে যে সমস্ত ফিচারগুলো ব্যবহার করবেন সেগুলো যেন ইউজার ফ্রেন্ডলি হয় অর্থাৎ একজন কাস্টমার ওয়েবসাইটে এসে যেন অপেক্ষা করতে না হয় যে কিভাবে তিনি অর্ডারটা প্লেস করবেন এটা বুঝতে ৷ আপনি এমন ধরনের ইউজার ইন্টারফেস তৈরি করবেন যাতে করে ওয়েবসাইটে ঢুকে প্রোডাক্ট দেখা মাত্রই কাস্টমার অর্ডার প্লেস করতে পারে ৷
ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট:
ডিজাইনের পরে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট শুরু করুন। ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টে প্রয়োজনীয় ফিচার যেমন শপিং কার্ট, পেমেন্ট গেটওয়ে, প্রোডাক্ট ক্যাটালগ ইত্যাদি সংযোজন করুন। বাংলাদেশি অনেক কোম্পানি পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস দিয়ে থাকে ৷ তাদের পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে সকল ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং এবং ব্যাংকের কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করার ব্যবস্থা করা যায় ৷ ফলে একজন কাস্টমার খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটের প্রোডাক্টগুলি অর্ডার করতে পারবে ৷
৫. প্রোডাক্ট লিস্টিং এবং ম্যানেজমেন্ট
প্রোডাক্ট লিস্টিং:
আপনার ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট লিস্টিং করুন। প্রতিটি প্রোডাক্টের জন্য বিস্তারিত বিবরণ, মূল্য, ছবি এবং স্টক উল্লেখ করুন। প্রোডাক্ট লিস্টিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ক্লিয়ার ভাবে প্রোডাক্ট এর ছবি তুলে সেই ছবি পোস্টিং করা ছবি তোলার জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ বাজেট নির্ধারণ করতে হবে প্রয়োজনে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার দিয়ে আপনার প্রোডাক্টের ছবি তুলে সেই ছবি এডিট করে আপনি ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট এর ছবি পোস্ট করবেন ৷
৬. পেমেন্ট এবং শিপিং সেটআপ
পেমেন্ট গেটওয়ে:
আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন পেমেন্ট অপশন সংযোজন করুন। যেমন ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি। বাংলাদেশি অনেক কোম্পানি পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস দিয়ে থাকে ৷ তাদের পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে সকল ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং এবং ব্যাংকের কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করার ব্যবস্থা করা যায় ৷ ফলে একজন কাস্টমার খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটের প্রোডাক্টগুলি অর্ডার করতে পারবে ৷
শিপিং ম্যানেজমেন্ট:
ই-কমার্স এর পণ্য ডেলিভারি বাংলাদেশে একটি প্রধান সমস্যা হয়ে উঠছে ই-কমার্স ব্যবসার জন্য ৷ বাংলাদেশে অনেক ডেলিভারি কোম্পানি থাকা সত্ত্বেও ঠিকমতো প্রোডাক্ট ডেলেভারী মেনটেইন করাটা খুবই টিফিকাল্ট হয়ে উঠতেছে ৷ ডেলিভারি কুরিয়ার কোম্পানিগুলোর অব্যবস্থাপনা, পন্য ডেলিভারিতে দেরি করা, সঠিক সময়ে কাস্টমারের হাতে পণ্য পৌঁছে না দেওয়া, কাস্টমারদেরকে ভুল ইনফরমেশন দেওয়া, অনেক সময় কাস্টমারদের কে পণ্য ডেলিভারী না দিয়েই চলে আসা, অনেক সময় অন্য হারিয়ে ফেলা বা ড্যামেজ করা ফেলা ইত্যাদি কারণে আসলে বাংলাদেশে ই কমার্স পন্য ডেলিভারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটা খুবই বাজে হয়ে উঠতেছে ৷ বর্তমানে স্টেডফাস্ট, পাঠাও খুব জনপ্রিয় কুরিয়ার ৷ এরা ক্যাশ অন ডেলিভারী সিস্টেমে সারা দেশে পন্য হোম ডেলিভারী করে থাকে৷ কাস্টমার থেকে পাওয়া পেমেন্ট খুব সহযেই ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয় ৷
৭. বিপণন এবং প্রচারনা
ডিজিটাল মার্কেটিং:
ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করুন। সামাজিক মাধ্যম, ইমেইল মার্কেটিং, এসইও, পেইড অ্যাডভার্টাইজিং ইত্যাদি মাধ্যমে আপনার ব্যবসা প্রচার করুন। সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং এবং পেইড অ্যাডভার্টাইজিং ব্যবহার করে আপনার ব্র্যান্ডের প্রচারণা করুন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে আপনার ই কমার্স ওয়েবসাইট প্রচার করুন। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো ফেসবুক মার্কেটিং ৷ আপনার ব্রান্ডের নামে একটা ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে আপনি প্রডাক্টের ছবি ডিটেইলস পোস্ট করতে পারেন ৷ এই পেজ থেকেই ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন ৷ সাথে সরাসরি ওর্ডার করার জন্য ওয়েবসাইটের ঠিকানা দিয়ে দিবেন ৷
গ্রাহক সেবা:
২৪ ঘন্টা গ্রাহক সেবা দেবার সিস্টেম তৈরি করুন ৷ যাতে গ্রাহকদের যেকোনো সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যায়
৮. বিক্রয় এবং বিশ্লেষণ
বিক্রয় ট্র্যাকিং:
আপনার বিক্রি এবং ক্রয় হিসেব নিয়মিত করতে হবে ৷ অনলাইনে আজকাল বিভিন্ন সফটওয়্যার পাওয়া যায় ৷ এসব দিয়ে ক্রয় বিক্রয় ট্র্যাকিং করতে পারবেন এবং স্টক ম্যানেজমেন্ট মনিটর করতে পারবেন। মনে রাখবেন গ্রাহকদের অর্ডার সঠিকভাবে পূরণ করতে না পারলে বিজ্ঞাপনের টাকা পুরোটাই লস হবে আপনার ৷
ফিডব্যাক সংগ্রহ:
গ্রাহকদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা প্রদান করুন। কোন কাস্টমার টি শার্ট ক্রয় করলে তার থেকে কিছুদিন পর ফিডব্যাক সংগ্রহ করুন ৷ তারা যদি কোন ভালো বা খারাপ রিভিউ করে সেগুলি সংশোধন করার ব্যবস্থা করুন ৷ কাস্টমারের ফিডব্যাক অনুযায়ী আপনার পণ্য ও সেবা পরিবর্তন করুন।
ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করা একটি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা ও স্ট্রাটেজি ব্যবহার করে আপনি সফল ই-কমার্স ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন।
Bangladesh, a rapidly developing country in South Asia, offers many opportunities for aspiring entrepreneurs and business-minded individuals. With its growing economy, large population, and increasing consumer demand, the business landscape in Bangladesh is ripe for innovation and growth. In this description, we will explore some profitable business ideas that can succeed in the dynamic market of Bangladesh. Offers numerous opportunities for aspiring entrepreneurs and investors. Its strategic geographical location, improving infrastructure, and supportive business environment make it an attractive destination for business ventures. This article will explore promising business ideas in Bangladesh that can succeed and contribute to economic growth.
In recent years, Bangladesh has witnessed a significant surge in e-commerce, with many customers welcoming online shopping as a convenient and accessible way to purchase goods and services. Online marketplaces have recreated a crucial role in promoting this e-commerce. This article explores the emergence and impact of e-commerce online marketplaces in Bangladesh, highlighting their benefits, challenges, and contributions to the country's digital economy.
The source of affordable smartphones, increasing internet penetration, and the rising popularity of social media platforms have fueled the growth of e-commerce in Bangladesh. With a population of over 160 million, the country offers a vast market potential for online retailers. E-commerce online marketplaces have emerged as a preferred choice for established businesses and aspiring entrepreneurs to tap into this potential and reach a broader customer base.
a) Daraz Bangladesh:
Daraz is one of the largest e-commerce platforms in Bangladesh, offering a wide range of products across various categories, including electronics, fashion, home appliances, and more. Its reliable delivery system and robust customer support have gained popularity.
b) Evaly:
Evaly is another prominent online marketplace that has gained significant traction in Bangladesh. It offers various products, including groceries, fashion, electronics, and services like travel and hotel bookings. Evaly has gained popularity through innovative marketing campaigns and attractive discount offers.
c) Bagdoom:
Bagdoom is known for its focus on fashion and lifestyle products. It has created a niche in the market by curating trendy items for the younger demographic. Bagdoom also collaborates with local designers and artisans, promoting Bangladeshi craftsmanship.
d) Pickaboo: Pickaboo specializes in electronics and gadgets. It has gained a reputation for offering genuine products with warranty and reliable after-sales service. Pickaboo's focus on customer satisfaction has helped it establish a loyal customer base.
a) Increased market reach:
Online marketplaces allow sellers to expand their reach beyond physical store locations. Small and medium-sized enterprises (SMEs) can access a broader customer base and compete with more prominent players in the market.
b) Convenience and accessibility:
Online marketplaces offer convenience for consumers, allowing them to browse and purchase products from the comfort of their homes. With cash-on-delivery options and secure payment gateways, online shopping has become accessible to a larger population.
c) Competitive pricing and discounts:
Online marketplaces foster competition among sellers, leading to competitive pricing and attractive discounts. This benefits consumers by providing them with various choices and cost-effective options.
d) Empowering entrepreneurs:
Online marketplaces provide a platform for aspiring entrepreneurs to launch their businesses with relatively low investments. They can leverage the marketplace's existing infrastructure, logistics, and customer base, reducing the barriers to entry.
a) Logistics and delivery:
Efficient logistics and reliable delivery systems are crucial for the success of e-commerce. Online marketplaces must continue investing in improving their supply chain and delivery infrastructure to ensure timely and secure deliveries, especially in remote areas.
b) Trust and customer experience:
Building trust among consumers is essential for the sustained growth of e-commerce in Bangladesh. Online marketplaces should prioritize customer experience, address customer grievances promptly, and ensure the quality and authenticity of products sold on their platforms.
c) Regulatory framework:
The e-commerce sector in Bangladesh is still evolving, and there is a need for a comprehensive regulatory framework to address issues such as consumer protection, data privacy, and fair competition. The government and industry stakeholders should
Bangladesh, a country with a growing population and many agricultural resources, has increasingly focused on developing its agribusiness and food processing sector. With a rich agricultural heritage, favorable climatic conditions, and a vast workforce engaged in farming, Bangladesh has immense potential for agribusiness and food processing activities. This article explores the opportunities, challenges, and potential of Bangladesh's agribusiness and food processing industry.
Bangladesh is predominantly agricultural, contributing significantly to its GDP and employing a large portion of the population. The fertile deltaic plains, ample water resources, and favorable climatic conditions make it suitable for cultivating various crops, including rice, jute, tea, vegetables, and fruits. The agricultural sector is the foundation for the country's agribusiness and food processing activities.
a) Crop Production:
Bangladesh has made significant strides in crop production, particularly rice cultivation, the nation's staple food. High-yield varieties, improved farming techniques, and government support programs have enhanced productivity and created opportunities for agribusinesses in seed production, fertilizers, pesticides, and farm machinery.
b) Livestock and Fisheries:
The livestock and fisheries sectors have grown remarkably. There is a rising demand for poultry, dairy products, and fish due to the expanding middle class and changing dietary habits. Agribusinesses involved in livestock farming, dairy processing, and fish processing are witnessing significant growth and investment.
c) Horticulture and Floriculture:
Bangladesh has vast potential for horticulture and floriculture due to its diverse agro-climatic zones. The production of fruits, vegetables, and flowers is rising for domestic consumption and export. Agribusinesses engaged in horticulture, processing, and exporting these products are gaining momentum.
The food processing industry is crucial in adding value to agricultural products and reducing post-harvest losses. Bangladesh has gradually shifted towards processed and packaged food products, driven by changing consumer preferences and urbanization. Food processing includes milling, refining, canning, freezing, packaging, and preservation. Ready-to-eat meals, snacks, beverages, and processed dairy products have gained popularity. The government has taken initiatives to attract investments and develop industrial zones for food processing units.
The Government of Bangladesh has recognized the importance of agribusiness and food processing for economic development. It has implemented several initiatives to support the sector, including:
a) Policy Reforms:
The government has introduced policies and reforms to encourage private sector investment, facilitate agricultural modernization, and improve the ease of business in the agribusiness and food processing sectors.
b) Infrastructure Development:
Investments have been made in developing agro-industrial parks, cold storage facilities, and logistics infrastructure to promote food processing and reduce post-harvest losses.
c) Financial Assistance:
Various financial incentives, subsidies, and loans are provided to agribusinesses and food processing units to promote investment, technology adoption, and market access.
d) Research and Development: The government emphasizes research and development activities to enhance agricultural productivity, introduce advanced technologies, and develop new products.
Challenges and the Way Forward:
Despite the immense potential, the agribusiness and food processing sector in Bangladesh faces several challenges, including:
a) Infrastructure Limitations:
There needs to be more cold storage facilities, inadequate transport networks and unreliable power supplies hamper the sector's growth.
b) Lack of Technical Expertise:
Limited access to modern agricultural techniques, processing
Bangladesh, a populated country in South Asia, has recognized the urgent need to manage its energy challenges and transition towards sustainable development. The nation's increasing energy demands and vulnerability to climate change have necessitated a shift towards renewable energy solutions. In recent years, Bangladesh has made remarkable progress in embracing clean and renewable energy sources, presenting lucrative opportunities for businesses in the renewable energy sector.
Bangladesh's commitment to renewable energy has gained momentum due to various factors. The government has introduced favorable policies, established regulatory frameworks, and provided financial incentives to attract domestic and foreign investors. Additionally, the declining costs of renewable technologies and the country's abundant natural resources, including solar, wind, biomass, and hydropower potential, have further contributed to the sector's growth.
Solar Energy Potential:
With its geographical location and abundant sunlight, Bangladesh has immense potential for solar energy generation. The government's initiatives, such as installing solar home systems in rural areas and solar power plants, have paved the way for expanding solar energy businesses. Implementing the Net Metering System has encouraged individuals and companies to install solar panels and feed excess electricity into the grid. This creates opportunities for entrepreneurs in solar energy production and distribution.
Wind Energy Prospects:
While wind energy is still in its early stages of development in Bangladesh, the country's coastal regions offer considerable wind power potential. The government has identified several locations suitable for wind farms and initiated projects to harness this clean energy source. As the wind energy sector gains momentum, there will be ample prospects for businesses involved in wind turbine manufacturing, installation, and maintenance.
Bioenergy and Biomass:
Bangladesh's agricultural sector generates significant waste, including crop residues, animal manure, and agro-industrial byproducts. These biomass resources can effectively produce biogas, bioethanol, and biomass-based electricity. Businesses focusing on biogas plants, biomass power generation, and biofuel production can tap into this resource pool, contributing to waste management and renewable energy generation.
Hydropower Potential:
With numerous rivers and waterways flowing through the country, Bangladesh possesses considerable potential for hydropower generation. Small-scale hydropower projects can be developed in remote areas, providing electricity to communities not connected to the national grid. Entrepreneurs can explore hydropower plant construction, operation, and maintenance opportunities, thus contributing to rural electrification and sustainable energy access.
Government Support and Incentives:
The government of Bangladesh has been actively promoting renewable energy solutions by introducing policies and incentives to attract investment in the sector. These include tax benefits, subsidized loans, and regulatory frameworks that facilitate establishing and operating renewable energy businesses. Such favorable conditions create a conducive environment for entrepreneurs and investors interested in venturing into the renewable energy sector.
Ending:
Bangladesh's pursuit of renewable energy solutions presents a promising landscape for businesses aiming to contribute to sustainable development while tapping into a growing market. As the country continues to prioritize clean energy sources and address its challenges, entrepreneurs in solar energy, wind power, bioenergy, and hydropower can capitalize on the opportunities available. The government's support and the country's good natural resources make Bangladesh an attractive destination for renewable energy investments, fostering economic growth and environmental sustainability.
Bangladesh has emerged as a rising star in information technology and software development in recent years. With a rapidly growing economy and a skilled workforce, the country has attracted significant attention as a hub for IT services and software development. This article explores the flourishing IT industry in Bangladesh, highlighting its growth potential, key factors driving its success, and the opportunities it presents for local and international businesses.
The IT industry in Bangladesh has experienced remarkable growth over the past decade. Factors such as the availability of a young and educated workforce, government initiatives to promote the IT sector, and the increasing demand for software development services have contributed to this expansion. The industry has witnessed a significant rise in IT companies, startups, and freelancers, positioning Bangladesh as a competitive player in the global IT market.
Skilled Workforce:
One of the critical strengths of Bangladesh's IT industry is its talented and skilled workforce. The country boasts many IT graduates and professionals proficient in programming languages, software development methodologies, and emerging technologies. Bangladeshi IT professionals have gained recognition for their expertise and have successfully delivered projects for international clients.
Government Support and Initiatives:
The government of Bangladesh has recognized the potential of the IT industry. It has taken proactive measures to support its growth. Establishing software technology parks, such as the Bangabandhu Sheikh Mujib Hi-Tech Park, has provided a conducive environment for IT companies. The government has also implemented policies to encourage investment in the IT sector, including tax incentives, reduced bureaucracy, and supportive regulations.
Outsourcing Destination:
Bangladesh has emerged as a preferred outsourcing destination for software development services. With competitive pricing, high-quality work, and a faster turnaround time, Bangladeshi IT companies have successfully secured projects from clients worldwide. The country's proximity to major markets such as Europe, the Middle East, and Asia also adds to its appeal as an outsourcing hub.
Startups and Innovation:
The IT industry in Bangladesh has seen a surge in startup activity and innovation. Several homegrown startups have gained recognition both domestically and internationally. These startups leverage technology to address local challenges and provide solutions in various sectors, including e-commerce, fintech, healthcare, and education. The government and private industry have extended their support through funding programs, incubators, and mentorship initiatives to nurture the growth of these startups.
Challenges and Opportunities:
Despite its rapid growth, the IT industry in Bangladesh still needs some help. These include infrastructure limitations, access to capital, and the need for continuous skill development. However, these challenges also present opportunities for local and international businesses. By addressing these gaps, investing in infrastructure development, and partnering with local companies, businesses can tap into the immense potential offered by Bangladesh's IT industry.
Ending:
Bangladesh's IT industry and software development business is experiencing remarkable growth and offers vast opportunities for local and international companies. With a skilled workforce, government support, and a growing startup ecosystem, Bangladesh has positioned itself as a competitive player in the global IT market. As the country continues to invest in infrastructure and human capital, the IT industry is expected to thrive further, contributing to the overall economic development of Bangladesh.
ending
With its growing economy and favorable business environment, Bangladesh offers a range of opportunities for entrepreneurs and investors. The key to success lies in identifying promising sectors, conducting thorough market research, and leveraging the government's supportive policies. Whether e-commerce, agribusiness, renewable energy, tourism, IT, healthcare, or sustainable initiatives, great business ideas await exploration in Bangladesh. Aspiring entrepreneurs can make their mark in this dynamic and promising market with proper planning, innovation, and dedication.
আপনি হয়তো অনেক জায়গায় শুনেছেন ব্লগ শব্দটি কিন্তু এখনো জানেন না আসলে ব্লগ কি বা কিভাবে করতে হয়। যারা ব্লগ সম্পর্কে জানে ইতিমধ্যে তারা ব্লগিং করে আয় শুরু করেছে কিন্তু যারা জানেন না।তাদের জন্য ব্লগিং বলতে শুধু ওয়েবসাইট আর্টিকেল লিখা বুঝি । এবং ওয়েব সাইট এ অটিকেল এর পাশাপাশি এড শো করে টাকা আয় করাব্লগিং এমন একটি টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে আপনি ভিবিন্ন ব্লগ বা আটিকেল শেয়ার করে ভালো পরিমাণে অর্থ আয় করতে পারবেন । আমাদের মধ্যে অনেকেই ব্লগ করতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক ধারনা এবং গাইড লাইনের কারনে শুরু করতে পারছেন ন। আজকের এই আটিকেল ব্লগ সাইট থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সোজা ভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে ব্লগ সেটাকে বোঝায় যেখানে অনলাইনে আমরা কোন কিছু লিখতে পারি । আরও সহজভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে অনলাইনে কোন কিছু লিখালিখি করে পাবলিশ করার পর কেউ পরতে পারে তাকেই ব্লগ বলে। আপনার নিজের যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেটাকে ব্লগসাইট বলা হয়। ব্লগ সাইট এর ভিতরে সব চাইতে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম দখল করে নিয়েছে ওয়ার্ডপ্রেস
ব্লগিং কিভাবে করে এই বিষয়টি জানতে হলে প্রথমে আপনাকে বলবো যে আপনি কোন বিষয় নিয়ে বেশি ধারনা রাখেন সে বিষয় নিয়ে শুরু করুন । প্রথমে বলে রাখি যে ব্লগিং করার জন্য আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকতে হবে। হতে পারে এটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট অথবা ব্লগস্পট ওয়েবসাইট। আথবা আপনি কাস্টমাইজ করা কোন ওয়েবসাইট । আপনি যদি এ বিষয়ে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে বলব আপনি আমেদের আজকের এই আটিকেল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য । না হলে ব্লগ বা ব্লগিং সম্পর্কে সঠিক ধারনা পাবেন না । এখন আপনার ওয়েবসাইট নেওয়া শেষ হলে একটি ডোমেন নিতে হবে। যেটা সম্পুর্ন ইউনিক হতে হবে। এর পর হোস্টিং নিতে হবে। ব্লগ সাইট থেকে খুব সহজে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে প্রতিদিন নতুন ব্লগ বা আটিকেল তৈরি করতে হবে। যা মান সম্মত হতে হবে। অন্য কোন ব্লগ সাইট থেকে ব্লগ নিয়ে আপনি প্রকাশ করলে আপনি আয় করতে পারবে না । এভাবে শুরু করতে হবে। চলুন স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা যাক ।
আপনি যদি প্রথমিক আবস্থায় ফ্রিতে ব্লগিং করতে চান তাহলে প্রথম আপনার ইউনিক নামে একটি ডোমেন কিনতে হবে প্রথমিক আবস্থায় । আর তা না চান তাহলে গুগলে ব্লগস্পট Blogger.com ওয়েবসাইট এ একউন্ট করলে তারা তাদের এক্সটেনশন যুক্ত একটি ডোমেন দিবে এর পর তাদের অনেক ধরনের ওয়েব সাইট থিম ফ্রিতেই ব্যবহার সহজে পেয়ে যাবেন। আপনার ইচ্ছা মত ব্লগার থিম ডাউনলোড করে আপনার ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারবেন। ওয়েবসাইটে খুব সুন্দরভাবে কাস্টমাইজ করে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। blogger.com থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করলে কোন ধরনের টাকাপয়সা প্রদান করতে হবে না।তবে আপনি ইচ্ছা করলে ওয়াডপ্রেস থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে যেকোন ওয়েবসাইট থেকে হোস্টিং এবং ডোমেইন কিনে সেটাতে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করে খুব সহজেই ব্লগিং শুরু করতে পারেন।মনে রাখা ভাল যে ওয়াডপ্রেস একটি প্যাইড প্ল্যাটফর্ম এখানে আপনাকে প্রত্যেক বছর ডোমেইন এবং হোস্টিং এর জন্য টাকা প্রদান করতে হবে। তবে গুগল ব্লগার থেকে ওয়াডপ্রেস প্লাটফর্মে অনেক বেশি সুবিদা পাবেন।আমাদের সাজেশন থাকবে আপনি যদি ব্লগিং করে টাকা আয় করার ইচ্ছে থাকে তাহলে একটি ডোমেন এবং একটি পেইড ওয়েব থিম ক্রয় করে নিবেন । এতে কোন আপনার ওয়েব সাইট হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা থাকে না । আর হোস্টিং যে কোন কারো কাছে করতে পাবেন ।
ডোমেন কিভাবে কিনবেন ?
আপনি বাংলাদেশে ভিবিন্ন সাইট আছে যেখান থেকে আপনার ইউনিক নাম দিয়ে ডোমেন ক্রয় কর পারেন । এছাড়া অনেক বিদেশী সাইট আছে যেখান থেকে আপনি ডোমেন নিতে পারেন । exonhost.com এরা বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান যারা ডোমেন হোস্টিং দিয়ে থাকে
For Example:
.Com
.NET
.Info
.Org
.xyz
বাংলাদেশের অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে বিকাশ এবং রকেটের মাধ্যমে আপনি ডোমেইন ক্রয় করতে পারবেন।আপনি ডোমেইন কিনেছেন বলে এটি আপনার জন্য সারা জীবনের জন্য হয়ে যাবে না। তার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রতিবছর এটার জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকা ডোমাইন প্রোভাইডারকে দিতে হবে।
একটি ব্লগ সাইটে মুল হলো সুন্দর টপিক বা আটিকেল । আমরা আপনাকে প্রথমে বলে রেখেছি আপনি যে বিষয় উপর সবচেয়ে বেশি ধরনা রাখেন সে বিষয় নিয়ে ব্লগ তৈরি করতে । আপনি যদি টেকনোলজি বিষয়ে ভালো জানেন তাহলে আপনি টেকনোলজি নিয়ে আপনার ব্লগ সাইটে শুরু করতে পারেন।আপনি যদি ইডুকেশন ইনফরমেশন সম্পর্কে ভাল বুঝেন তাহলে আপনি সেই অনুযায়ী আপনার ব্লগ সাইটে বানাতে পারেন।ব্লগের সঠিক টপিক নির্বাচন একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । সঠিক টপিক অনুযায়ী আপনার ব্লগ সাইট তৈরি না করলে পরবর্তী সময়ে ওয়েবসাইট জনপ্রিয় করতে অনেক সময় লেগে যায়।
নিম্নে কিছু টপিক এর নাম তুলে ধরা হলো।
টেকনোলজি বিষয় নিয়ে
ব্লগিং বিষয় নিয়ে
অনলাইন থেকে আয় বিষয় নিয়ে
গানের লিরিক্স নিয়ে বিষয় নিয়ে
ফিশিং বিষয় নিয়ে
গল্প বিষয় নিয়ে
কবিতা বিষয় নিয়ে
ইসলামিক বিষয় নিয়ে
পড়াশোনা নিয়ে
বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ নিয়ে
আপনি প্রথমে একটি সুন্দর টপিক নির্বাচন করবেন । তার পর সেখানে আপনি কি কি বিষয় জানেন সেটি লিখুন । এবং কিভাবে লিখলে মানুষ আপনার ব্লগ থেকে বিস্তারিত ধারনা পাবে সেটি খেয়াল রেখে লিখা শুরু করুন । অন্যের আর্টিকেল কপি করে আপনার ব্লগে পোস্ট করলে করা থেকে বিরত থাকুন । অন্যের ব্লগ বা আটিকেল পোস্ট করলে হয়তো বা সুন্দর দেখা যাবে কিন্তু গুগল থেকে আপনি কখনো রেংকিংয়ে আগে যেতে পারবেন না। সর্বোপরি চেষ্টা করবেন নিজের লেখা আরটিকেল পাবলিশ করার জন্য এবং আরটিকেল পড়ে যাতে কিছু জানতে পারে। আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন তখন আপনার মনকে স্থির করে নিবেন যে কি বিষয় আপনি আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন এবং সুন্দর গুছিয়ে আপনার কথাগুলো উপস্থাপন করবেন।একটা ব্লগে ইউনিক আর্টিকেল লেখার পাশাপাশি মনে রাখতে হবে যাতে আপনার আর্টিকেলের কথাগুলো অন্য কোন ব্লগ সাইটের সাথে হুবহু মিলে না যায়। আপনি যদি আপনার টপিক এর উপর গুগলে সার্চ দিয়ে দেখবেন অন্যরা কিভাবে লিখছে তাদের কাছ থেকে আইডিয়া নিতে পারেন।
আপনার আটিকেল এর টপিক এর সাথে মিল রেখে ডোমেইন নাম রেজিস্ট্রেশন করতে চেস্টা করবেন । আপনি যদি প্রযুক্তিবিষয় নিয়ে ব্লগে লেখালেখি করতে চান তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইটের ডোমাইন রেজিস্ট্রেশন করবেন।
আপনি যখন আপনার ব্লগ সাইটের জন্য ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করবেন সেটির নাম যেন ছোট হয় ।
আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার জন্য কনটেন্ট এর পাশাপাশি অবশ্যই ওয়েবসাইটের ভালো ডিজাইনের কাস্টমাইজ থাকতে হবে। অন্যথায় আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটররা চলে যাবে আর ফিরে আসবেনা। তাই ব্লগিং সাইট চালু করার সাথে সাথে আপনার ওয়েবসাইটকে সুন্দর একটি ডিজাইনের কাস্টমাইজ করে নিবেন যাতে সহজেই ভিজিটরদের দৃষ্টিগোচর হয় এবং আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট মনে হয়।অবশ্যই চেষ্টা করবেন যাতে আপনার ওয়েবসাইট ডিজাইন টি সাধারণ হয় এবং দৃষ্টিগোচর হয় যাতে ইউজারের সহজে কি চাচ্ছে তা খুঁজে পেতে খুব সহজ হয়।ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করতে হলে আবশ্যক আপনাকে কোডিং বা ওয়েব সাইট লেংগুয়েজ সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে । এ ছড়া যদি খুব বেশি কাস্টমাইজ করার প্রয়োজন না হয় তা হলে আপনি নিজে পারবেন। কোন ভলো মানের ওয়েব ডেভোলপার দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার পরার্শ থাকবে।
ব্লগ সাইট থেকে আয় করার জন্য অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে ভালো মানের কনটেন্ট থাকতে হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর থাকতে হবে। আপনার ব্লগ সাইটে কয়েকটি উপায় আয় করতে পারবেন। তবে সবকিছুর মূলে হচ্ছে ভিজিটর কারণ ভিজিটর ছাড়া আপনি কোন কিছুই করতে পারবেন না। সঠিক নিয়মে ব্লগ ওয়েব সাইটে প্রকাশ করলে আপনার ওয়েব সাইটে ভালো ভিজিটর আসতে শুরু করবে । একটি আটিকেল রেঙ্ক এ আসতে বেশ কিছু দিন সময় লেগতে পারে তাই ব্লগ করে টাকা আয় করতে কিছু দিন সময় দিতে হবে । আপনি লেগে থাকলে সফলাতা একদিন আসবে । এখন আমরা জানব কত উপায়ে ব্লগ করে আপনা খুব সহজে টাকা আয় করতে পারবেন ।
গুগল এডসেন্স হচ্ছে এখনকার সময়ে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম । যাদের মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক দিয়ে কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে পারবেন।আপনি প্রতিদিন নতুন নতুন ব্লগ বা আটিকেল আপনার ওয়েব সাইটে প্রকাশ করতে থাকবেন । একসময় আপনার ব্লগ যখন ১০ থেকে ১৫ টির মত হবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স এ গিয়ে আপনার ওয়েব সাইট এ গুগল এড বসানোর জন্য অবেদন করবেন । গুগল এডসেন্স আপনার ওয়েব সাইট এ দেখবে যে আপনার ওয়েব সাইটে এড বসানোর জন্য উপযুক্ত কিনা । যদি আপনার ওয়েব সাইট এ কোন আটিকেল করো কাছ থেকে কপি করা না হয়ে থাকে তাহলে তারা আপনার ওয়েব সাইট এর গুগল এডসেন্স এর এড বসানোর অনুমতি দিবে । গুগল এডসেন্স এর এড আপনার ওয়েব সাইট এ আপনি দিয়ে দিলে গুগল এডসেন্স তাদের এড পার ক্লিক এর উপর নির্ভর করে আপনাকে গুগল এডসেন্স টাকা প্রধান করবে । কিভাবে গুগল গুগল এডসেন্স এর এড এর জন্য অবেদন করতে হয় সেটা আপনি ইউটিউব এ প্রচুর ভিডিও পাবেন সেখান থেকে দেখতে পারেন । পরামর্শ হলো কোন অভিজ্ঞ লোকের পরার্শ নেওয়া ।
গুগল এডসেন্স একাউন্টে আপনার ১০০ ডলার প্লাস হয়ে। নির্দিষ্ট একটি দিনে গুগল এডসেন্স আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা সেন্ড করে দিবে।তবে বলে রাখা ভালো যে, আপনার এডসেন্স একাউন্টে যখন ১০ ডলার হবে গুগল এডসেন্স থেকে আপনার এড্রেস এ একটি চিঠি পাঠাবে এবং সেই চিঠিতে একটি পিন নম্বর থাকবে যা ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার একাউন্টে জায়গা থাকবে। পিন বসানোর পর সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে আপনি খুব সহজে একটি ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন ।
অন্য কোন এড বা বিজ্ঞাপন দিয়ে আয়
আপনার ওয়েবসাইট যদি ভালো মানের ভিজিটর আসে তাহেলে আপনার লোকাল কোন প্রতিষ্ঠান আপনার ওয়েব সাইটে এড দিতে চাইবে । আপনি তাদের বিজ্ঞাপন বা এড দিয়ে ভালো পরিমান আয় করতে পরবেন । প্রথমিক আবস্থায় আপনি ফ্রিতে এড দিতে পারেন এতে করে আপনি যারা লোকাল এড দিবে তাদের খুব সহজে খুজে পাবেন ।
কিভাবে ওয়েব সাইট রেঙ্ক করানো যায় :
যে কোন ওয়েব সাইট রেঙ্ক হতে বেশ সময় প্রয়োজন হয় । আপনি যদি নিদিষ্ট নিয়ম মেনে আপনার ব্লগ সাইটে নিয়মিত পোষ্ট করতে থাকেন তাহলে খুব সহজে ওয়েব সাইট রেঙ্কে এসে যাবে । আপনার সব ব্লগ পোস্ট একই সাথে কিন্তু রেঙ্ক হবে । ভয়ের কিছু নেই । আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি ভিজিটর পেতে চান তাহলে ফেসবুকে আপনার ব্লগ পোস্ট এর এড দিতে পারেন । গুগল সার্চ এ রেঙ্কে আনার জন্য গুগলে এড দিতে পারেন । এড দেওয়া ছাড়া আপনার ব্লগ সাইটি এস ই ইউ করে রেঙ্ক করাতে পারেন । SEO করার ফলে আপনার ওয়েবসাইট এর কিওয়ার্ড কেও সার্চ করলেই সেটা ফার্স্ট পেইজ এ শো করবে। ফলে স্বভাবগত কারনে ব্যক্তি টি আপনার ওয়েবসাইট এই ঢুকবে এবং সেখান থেকে তার পছন্দসই ব্লগ পড়বে। এতে আপনার আগের থেকে অনেক বেশি ভিজিটর আপনার ব্লগ সাইটে আসবে ।
বিশেষ সতর্কতা :
যে সকল ব্লগ সাইট রেঙ্কে আসে সে সকল ওয়েব সাইট হ্যাক করার জন্য হ্যাকাররা বলে যে আপনার সাইটে আমরা এড দিব । এড দেওয়ার কথা বলে তারা আপনাকে ভিবিন্ন ভাইরাস পাঠাবে বলবে এটাতে তাদের এড দেওয়া আছে । তখন আপনি যখন সেই লিংকে ক্লিক করবেন তখন আপনার কম্পিউটার বা মোবইল তাদের নিয়ন্ত্রনে চলে যায় । এভাবে আমাদের ওয়েব সাইট হ্যাক হয়ে যায় । তাই আমরা এসব লিংক বা ভাইরাস যুক্ত যে কোন ফাইল খুলা থেকে বিরত থাকব । এসব ফাইল দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন সেটার লিখা আসাভাবিক ।
আশা আপনি খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে ব্লগিং থেকে আয় করা যায়।আপনি খুব সহজে ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন । ব্লগ সাইটে আটিকেল লিখতে থাকুন একদিন আপনি খুব সহজে ভালো পরমান আয় করতে পারবেন । আমাদের আর্টিকেলটি এই পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ যদি আমাদের আজকের এই আটিকেলটি ভলো লাগে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
উদ্যোক্তা বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আপনাদের সামনে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করবো। উদ্যোক্তা বিজনেস আইডিয়া বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে । নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আজকের এই উদ্যোক্তা বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আমি আলোচনা করব। নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আমাদের আজকের এই বিজনেস আইডিয়াটি খুবই খুবই একটি কার্যকরী উদ্যোক্তা বিজনেস আইডিয়া হবে। খুবই কম টাকায় আপনারা এই উদ্যোক্তা বিজনেস আইডিয়া দিয়ে বিজনেসটা শুরু করতে পারবেন।
আজকের উদ্যোক্তা বিজনেস আইডিয়া হলো ঘানিতে সরিষার তেল ভাঙ্গিয়ে বিক্রি করার ব্যবসা। আপনারা হয়তো অবাক হতে পারেন যে ঘানিতে সরিষার তেল ভাঙ্গিয়ে সেটি বিক্রি করে কি বা আয় করা সম্ভব। আজকে আমি আপনাদেরকে কয়েকটি উপায় বলে দিব যেভাবে আপনারা সরিষার তেল ভাঙ্গিয়ে সেখান থেকে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন।
সরিষা ভাঙ্গানোর মেশিন বেশি বড় আকারের কেনার প্রয়োজন নেই। মোটামুটি ছোট আকারের একটি সরিষার তেলের মেশিন কিনে সেটি দিয়ে প্রথমে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আমার দেখা একটি বাস্তব উদাহরণ থেকে আপনাদেরকে বলতে পারি যে ঢাকাতে একটি দোকানে এইরকম সরিষার তেলের ঘানি বসিয়ে সেখান থেকে তারা ভালো মানের সরিষার তেল বিক্রি করতেছে। কারণ তাদের সরিষার তেল বিক্রির একটা ঐতিহ্য রয়েছে এবং সাথে তারা অন্যান্য প্রোডাক্ট বিক্রি করে।
আমরা সাধারণত মানুষরা চাই যে আমাদের চোখের সামনে যা কিছু ও তৈরি করা হয় সেটাকে আমরা অরিজিনাল হিসাবে ধরে সেটা ক্রয় করতে চাই। সরিষার তেলে ভেজালের বিষয়ে অনেকেরই ধারণা থাকে যে সরিষার তেলে সাধারণত ভেজাল দেওয়া হয় কিন্তু যখন আপনি সরিষার তেলটা সবার সামনে ভাঙিয়ে সেটাতে বিক্রি করবেন তখন তারা ধরে নিবে যে সরিষার তেলটি অরজিনাল। এভাবে তারা খুব ভালো মানের একটি ব্যবসা পরিচালনা করতেছে।
এছাড়া তাদের BSTI লাইসেন্স করার ও প্রয়োজন হয় না কারণ তারা সরিষা নগদে ভাঙ্গিয়ে নগদে বিক্রি করতেছে এবং এটাকে কোন ব্র্যান্ডের নাম দিয়ে বাজারজাত করতেছে না। ফলে তাদের জন্য আলাদা করে আবার কোন একটা বিএসটিআই লাইসেন্স বা অন্যান্য লাইসেন্স নেবার প্রয়োজন পড়ে না । আপনারা চাইলে ঠিক এ ভাবেও একটি সরিষার তেলের ঘানি ভাঙ্গানোর বিজনেস করতে পারেন। এখানে নতুন করে আপনার মার্কেটিং এর প্রয়োজন হবে না সাধারণত যারা আপনার দোকান থেকে এতদিন বিভিন্ন ধরনের ভোজ্য তেল ক্রয় করত তারাই আপনার রেগুলার কাস্টমার হয়ে যাবে। যেহেতু তারা আপনার অলরেডি আপনাকে আপনার বিশ্বস্ত কাস্টমার এবং তারা চোখের সামনে দেখতেছে যে আপনি সরিষাটা ভাঙ্গিয়ে তাদেরকে তেল দিচ্ছেন সুতরাং তাদের কাছ থেকে আপনি ভাল একটা দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও তারা আপনার নিয়মিত কাস্টমার হয়ে যাবে।
এটা খুবই একটি ভালো একটা আইডিয়া এবং এই ভ্রাম্যমান গাড়ির ক্ষেত্রে আপনার দোকান ভাড়া বা স্পেস ভাড়া প্রয়োজন হবে না। এটার সবচেয়ে সুবিধা হচ্ছে যখন আপনি দেখবেন যে আপনার নির্দিষ্ট একটা স্থানে প্রোডাক্ট সেল হচ্ছে না তখন আপনি সে স্থান ত্যাগ করে যেখানে বেশি জনসমাগম হবে সেখানে চলে যেতে পারবেন। কেবল ঢাকা শহরেই নয় এমন কি গ্রামেও এই আইডিয়াটা প্রচুর পরিমাণে মানুষ ব্যবহার করে এটা থেকে লাভবান হচ্ছে।
অনেকেই রয়েছে একটি গাড়ি দিয়ে ব্যবসা শুরু করে অনেকগুলো ভ্যান গাড়ি এখন তার এবং সেখান থেকে সে ভালো মানের একটি টাকা আয় করতেছে। আপনি চাইলে ছোটখাট একটা ভ্যানের মাধ্যমেও এটা করতে পারেন এবং ছোট একটা শ্যালো মেশিনের সাথে যদি সরিষা তেল ভাঙ্গানোর মেশিনটা যুক্ত করে নেন তাহলে মোটামুটি এক থেকে দুই লাখ টাকা পুঁজির মধ্য দিয়ে আপনি এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারবেন।
আর পূর্বেই বলেছি যে আসলে মানুষ চোখে যা দেখে সেটাকেই বেশি বিশ্বাস করে । যেহেতু আপনি সামনে মানুষকে সরিষার তেল ভাঙ্গিয়ে দিচ্ছেন সেহেতু মানুষ বিশ্বাস করবে যে এটা অরজিনাল প্রোডাক্ট এবং তারা অন্যান্য সরিষার তেল থেকে আপনার সরিষার তেলটি নিতে বেশি আগ্রহী হবে। আপনি চাইলে তাদেরকে আপনার মোবাইল নাম্বারও দিয়ে আসতে পারেন যদি পরবর্তীতে তাদের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে আপনি গাড়িটি নিয়ে ওই এলাকায় চলে যেতে পারেন গিয়ে তাদেরকে কল দিবেন যে আপনি এখানে এসেছেন আপনাদের যদি সরিষার তেল কাস্টমারের প্রয়োজন হয় তাহলে আপনার থেকে নিয়ে যেতে অথবা আপনি তাদেরকে হোম ডেলিভারি দিয়ে আসতে পারবেন।
অথবা আপনি যদি এমন কোথাও চাকরি করেন যেখানে লোকসমাগম রয়েছে যেমন আপনি কোথাও একটা সেলসম্যানের চাকরি করেন কোন একটা দোকানে অথবা কোথাও সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন বা কোন একটা বাসা বাড়িতে অথবা কোন একটা এটিএম বুথে কাজ করেন। আপনি চাইলে সেখানে যারা আসা-যাওয়া করে তাদের সাথে কথা বলতে পারেন এবং তাদেরকে যদি আপনি বুঝাতে পারেন যে আপনি যে প্রোডাক্টটা নিয়ে আসছেন সেটা খুবই ভালো একটা প্রোডাক্ট তাহলে তারা একবার ব্যবহার করে যদি সন্তুষ্ট হয় তাহলে বারবার আপনার থেকেই প্রোডাক্টটা নিবে।
একটা ফ্যামিলিতে মোটামুটি মাসে প্রায় চার থেকে পাঁচ লিটার তেল প্রয়োজন হয় । যদি আপনি মোটামুটি ১০০ টা ফ্যামিলিতে তেল দিতে পারেন তাহলে আপনি চিন্তা করতেছেন প্রায় ৫০০ লিটার তেল আপনি প্রতি মাসে দিতে পারবেন। যদি আপনি প্রতি লিটারে ৩০ টাকা করেও সেখান থেকে আয় করতে পারেন তাহলে আপনার প্রতি মাসে ১৫০০০০ টাকার মতো লাভ করতে পারবেন। আস্তে আস্তে এই পরিধি যদি আপনি বাড়াতে পারেন তাহলে প্রফিট আরো বেশি হবে। এই ৫০০ লিটার আপনাকে একসাথে ক্রয় করতে হবেনা।২০ লিটার নিয়ে আসলেন। বিক্রি করে আবার নিয়ে আসবেন।
আমাদের মধ্য অনেকেই আছেন যারা ড্রপশিপিং সম্পর্কে যানেন । কিন্তু সঠিক গাইড লাইন এবং তথ্য না থাকার কারনে ড্রপশিপিং ব্যবসাটি করতে পারছেন না । যারা বিষয়টি যানেন না , তাদের জন্য এখানে ড্রপশিপিং ব্যবসাটি হলো, আপনি যে ওয়েব সাইটে ড্রপশিপিং এর জন্য আবেদন করবেন তখন তার আপনাকে ভিবিন্ন পন্যের অফার দেখাবে । তারা একটি পন্য যেমন , একটি টি-শার্ট ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছে তখন আপনি যে কোন মাধ্যমে আপনি সেই পন্যটি যদি ১৫০ টাকা থেকে বেশি বিক্রয় করতে পাবেরন তাহলে সেই ব্যবসাকে বলে ড্রপশিপিং ব্যবসা । এটি যে কোন মাধ্যমে আপনি যে কারো কাছে বিক্রয় করতে পারেন ।
ডোমেইনের ব্যবস্থা করা
হোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা
একটি সুন্দর E-Commerce ওয়েবসাইট থিম কালেক্ট করা বা কিনে নেওয়া
আপনি যদি প্রথমিক অবস্থায় E-Commerce সাইট দিয়ে শুরু না করতে চান তাহলে ফেসবুক পেইজ দিয়ে শুরু করলেই হবে । পন্যের কাঙ্খিত সেল আনতে বুস্ট বা ফেসবুক পেইজে এড দিতে হবে ।
আপনার বিক্রয় করার দক্ষতা
ড্রপশিপিং বিজনেস শুরু করতে প্রাথমিকভাবে যা যা লাগবে তা হলোঃ
প্রত্যেক ব্যবসার আগেই প্রথমে নিশ সিলেক্ট করতে হয়। নিশ বলতে বোঝানো হচ্ছে আপনি যে ওয়েব সাইট নিয়ে কাজ করবেন সেখানে কোন প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে ব্যবসা করবেন সেটি। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ট্রেন্ড মেইনটেইন করতে হবে। অর্থাৎ ট্রেন্ডিং প্রোডাক্ট বা যে পন্য গুলো খুব বেশি মানুষ খুজে সে গুলো খুঁজে নিয়ে সেগুলোর উপর রিসার্চ করবেন। এবং একটা বা দুটো পন্য নিয়ে কাজ শুরু করবেন ।
এটি সর্বপ্রথমে দরকার। আপনি যেই প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করবেন সে প্রোডাক্টটি কম দামে কোথায় পাওয়া যাবে সেটি আগে আপনাকে রিসার্চ করে বের করতে হবে। আপনি যে সাইটে ড্রপশিপিং হিসেবে এড হয়ে তাদের পন্য এড দিচ্ছেন তাদের পন্য বিক্রয় করতে হবে বিষয়টি এমন নয় । আপনি যেখানে পন্যর দাম কম পাবেন সেখান থেকে আপনার কাস্টমারের জন্য পন্য সংগ্রহ করবেন । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ড্রপশিপাররা আলি এক্সপ্রেসকে প্রোডাক্ট সোর্স হিসেবে ব্যবহার করে।
আপনি যেহেতু পুরোপরি ড্রপশিপিং এর জন্য প্রস্তুত তাই এই ব্যবসাটি ভালো ভাবে এগিয়ে নিতে একটি ওয়েব সাইট খুলতে হবে । আপনার বিজনেসের একটি নাম সিলেক্ট করে সেই নামে একটি ডট কম ডোমেইন কিনে নিতে হবে। এটি একটা ব্যবসার জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেহেতু ড্রপশিপিং বিজনেসটি পুরোই অনলাইন কেন্দ্রীক তাই আপনাকে অবশ্যই ডোমেইন কিনে নিতে হবে।
শপিফাই মেইনলি একটি সিএমএস। এটি তৈরি করা হয়েছে ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর জন্য। আপনার একটি ডোমেইন থাকলে আপনি সেই ডোমেইন দিয়ে সহজেই একটি প্রিমিয়াম লুকিং ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারেন শপিফাই দিয়ে। তারা আপনার কাছে মাসিক টাকার নিয়ে এ সেবা দিয়ে থাকে
ওয়ার্ডপ্রেস
ওয়ার্ডপ্রেস এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সিএমএস। ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে আপনাকে ডোমেইনের সাথে হোস্টিংও দরকার হবে। তারপরে দরকার হবে ই-কমার্স নামক একটি প্লাগিন। যার মাধ্যমে আপনি কয়েক ক্লিকেই একটি প্রিমিয়াম লুকিং ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারবেন।
আপনার বিজনেসের নামে সব ধরনের সোশ্যাল প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এটি আপনার প্রতি মানুষের আস্থা আরো বাড়াবে। সোশ্যাল প্রোফাইল তৈরির সময় নিজের বিজনেসের লগো এবং ব্যানার যুক্ত করতে হবে। সব মিলিয়ে প্রোফেশনাল হতে হবে।
আপনাকে যখন আপনার কাস্টমার পেমেন্ট করবে এবং এই পেমেন্ট আপনাকে রিসিভ করতে হবে। কিন্তু হতে পারে কাস্টমার যে মেথডে পেমেন্ট করতে চায় আপনার কাছে সেটি এভেইলএবেল নেই। তাহলে কি হবে? আবার এমনো হতে পারে আপনাকে পেমেন্ট করার পরে আপনি প্রোডাক্ট দিলেন না। কিভাবে কাস্টমার আপনাকে বিশ্বাস করবে? এসব সমস্যার সমাধান এর জন্য পেমেন্ট গেটওয়ে দরকার হয়।
পেমেন্ট গেটওয়ের কাজ হলো সে কাস্টমার থেকে পেমেন্ট নিবে এবং তাদের কাছে রাখবে যখন কাস্টমার প্রডাক্ট রিসিভ এনসিউর করবে তখন পেমেন্টটা আপনার একাউন্টে চলে আসবে। এমন জনপ্রিয় দুটি পেমেন্ট গেটওয়ে হলো পেপাল এবং স্ট্রাইপ৷
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো এ দুটি পেমেন্ট গেটওয়ে বাংলাদেশ সাপোর্ট করে না। আমি মনে করি বাংলাদেশর ড্রপশিপারদের জন্য এটি বেশ বিশাল একটি সমস্যা। সেক্ষেত্রে অনেকে অন্য দেশের ভেরিফাইড পেপাল একাউন্ট কিনে নেই। তার সত্তেও সেসব একাউন্ট অনেক দাম এবং ব্যান হওয়ার একটি ঝুঁকি তো থাকেই। আপনার যদি কেউ দুবাই বা সিঙ্গপুর থাকে তাদের মাধ্যমে আপনি পেপাল একউন্ট খুলে পেমেন্ট গ্রহন করতে পারেন । আপনি যদি সরাসরি যাদের পন্য নিয়ে কাজ করেন তাদের কাছে সরাসরি আর্ডার করলে তা তাদের পেমেন্ট লিংক ব্যবহার করে পেমেন্ট দিলে এ সমস্য আর হবে না । তারা আপনার লাভের অংশ আপনার ব্যংক একউন্ট এ দিয়ে দিবে । আর কাস্টমার যদি বাংলাদেশের হয় তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না ।
ড্রপশিপিং মানেইতো আপনি বুঝেছেন অন্যের পণ্য আপনি বেশি দামে বিক্রি করে মাঝখানে একটি প্রোফিট জেনারেট করবেন৷ কিন্তু আপনি কি ভেবে দেখেছেন কেন মানুষ কম দামে পণ্য না কিনে বেশি দামে আপনার থেকে পণ্য কিনে আপনাকে লাভবান করবে? তার কারণ হলো মার্কেটিং স্কিল।
আপনার মধ্যে যেই মার্কেটিং স্কিল থাকবে আপনি সেটি দিয়েই কাস্টমার পাবেন বলতে গেলে আপনি যার পণ্য বিক্রি করবেন তার চেয়ে আপনার মার্কেটিং স্কিল ভালো তাই সে পণ্য বিক্রি করতে পারে না আপনি পারেন। আর যদি আপনার মার্কেটিং স্কিল না থাকে তাহলে আপনি এই সেক্টরে হতাশ হবেন প্রচুর। আমি বলব ড্রপশিপিংয়ে আসার আগে আপনি নিজের মার্কেটিং স্কিল ডেভেলপ করুন।
উপরুক্ত বিষয় আলোচনা করার পর একটি কথা থেকেই যায় কিভাবে শুর করব ড্রপশিপিং ব্যবসা । কিভাবে শুরু করবেন এ বিষয় জানতে আমরা অনেক এর সাথে এ বিষয় নিয়ে জানতে চেয়েছি । সেই বিষয় নিয়ে আজ আপনাদের আজকে জানাব ।
প্রথমেই আপনি যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন সেই পণ্য কোথায় পাওয়া যায় এবং কত দামে পাওয়া যায় তা দেখবেন।
মনে করুন আপনি টি-শার্ট এর ব্যবসা করবেন এখন আপনি দেখলেন যে আলি এক্সপ্রেসে টি-শার্ট দাম ৩-৫ ডলারের মধ্যে তারপরে আপনি অন্য মার্কেট গুলো রিসার্চ করে দেখলেন যেমন এমাজন ইবে। এসব মার্কেটে দেখলেন একই টি-শার্ট ১০ ডলারে বিক্রি হচ্ছেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আলীএক্সপ্রেস থেকে ঐ পণ্য নিয়ে আপনি প্রোফিট করতে পারবেন।
আপনার পণ্যের খরচ, ডেলিভারি চার্জ সহ যাবতীয় সকল খরচ একটি জায়গায়
নোট করে আপনার পণ্যের দাম নির্ধারণ করুন। মনে রাখবেন অতিরিক্ত লাভের আশায় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করবেন না এতে ক্ষতির সম্মুখীনই হবেন। কারন একটি পন্যে যোক্তিক দাম আছে যা আপনার মাথায় রাখতে হবে । আপনি পন্যের দাম কাস্টমার এর কাছে ডেলিভারি ফ্রি ছাড়া দেখাতে পারেন ।
এবার আপনার পণ্যের আর্কষণীয় কিছু ছবি নিয়ে তা আপনার ওয়েবসাইটে
পাবলিশ করুন সাথে পণ্যের ডেসক্রিপশন এবং দাম যুক্ত করবেন। আপনার ওয়েবসাইটকে প্রোপারলি এসইও অপটিমাইজড করুন। সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইট এড করুন৷
ওয়েবসাইটের ডিজাইনসহ যাবতীয় কাজ শেষে কয়েকটি প্রোডাক্ট এড করুন
এবং পেমেন্ট গেটওয়ে সেটিং করুন। ওয়েবসাইটে পণ্যে ছবি, ডেসক্রিপশন এবং টাইটেল আর্কষণীয় হতে হবে। এছাড়া এসইও’র দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
আপনার ওয়েবসাইট রেডি। এবার আপনার পণ্যের ছবিগুলো নিয়ে সুন্দর কিছু
ব্যানার তৈরি করুন সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডের জন্য। তারপরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেগুলো শেয়ার করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সময় কিছু নিয়ম মেইনটেইন করবেন:-
ডেইলি বেসিসে পোস্ট করার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার এনগেজমেন্ট বাড়বে।
মানুষকে সরাসরি আপনার পণ্য কিনতে বলবেন না। প্রথমে আপনার পণ্যটির উপকারীতা নিয়ে কথা বলুন তারপরে কিনতে বলুন।
পোস্টে সরাসরি লিংক ব্যবহার করবেন না। কমেন্টে লিংক ব্যবহার করবেন।
সব সময় সেল পোস্ট করবেন না মানুষের উপকারী আসে এমন কিছু ইনফরমেটিভ পোস্টও করবেন।
প্রয়োজনে ফেসবুকে এড দিতে পারেন । এতে আপনার বিক্রয় ভালো হবে ।
আপনি উপরের দেওয়া পুরো নিয়ম ফলো করে যদি দেখেন ভালো সেল না আসে তাহলে আপনি এবার যাবেন পেইড মার্কেটিংয়ে। আপনাকে প্রথমেই এনালাইসিস করে নিতে হবে কোন পণ্য কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালো চলবে। তার জন্য অল্প বাজেটে সব সোশ্যাল মিডিয়ায় সব প্রোডাক্টের এড রান করতে পারেন । তারপরে রিপোর্ট দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যেমন:- ইনস্টাগ্রামে একটি পণ্য অনেক রেসপন্স পাচ্ছে কিন্তু সেটি ফেসবুকে পাচ্ছে না তাহলে সেই পণ্যটি আপনি ইনস্টাগ্রামেই বেশি মার্কেটিং করুন। আর যেটি ফেসবুকে ভালো রেসপন্স পাবে সেটি ফেসবুকে প্রমোট করুন।
প্রথমে চেষ্টা করবেন মুনাফা কম রেখে পণ্যের দাম কম দিতে। এতে করে আপনার কাস্টমার আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে। আর আপনি কাস্টমারদের তাদের রিভিউ শেয়ার করতে বলবেন ওয়েবসাইটে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায়। আপনার প্রতি যখন সবার একটি বিশ্বাস তৈরী হবে তখন আপনি ভালো সাপোর্ট পাবেন। আবার নিয়মিত কাস্টমারদের সাথে এনগেজড থাকার চেষ্টা করবেন। কাস্টমারদের প্রতিটি মতামতকে প্রাধান্য দিবেন হোক ভালো কিংবা খারাপ মতামত।
বর্তমানে অনেক সাইট ড্রপশিপিং এর অফার করে । যারা বাংলাদেশে বাসে এ ব্যবসাটি করতে চানে তারা aliexpress বা amazon সাইট দিয়ে শুরু করতে পারেন ।
ভালো ভাবে শুরু করতে হলে অবশ্যক প্রশিক্ষন নিতে হবে । আপনি যখন এ বিষয় নিয়ে অনলাইনে অনুসন্ধান করতে যাবেন এ বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষন দেয় এরুপ অনেক প্রশিক্ষক পাবেন । বিস্তারিত যেনে তাদের কাছে সরাসরি বা অনলাইনে প্রশিক্ষন নিতে পারেন ।
এই পুরো পোস্টে আপনাদের ড্রপশিপিং ব্যবসা নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে । আশাকরি আপনাকে বুঝাতে পেরেছি। আসলে এখানে অনেক প্রাকটিকাল বিষয় আছে যা লিখে বুঝানো সম্ভব নয়। এ বিষয়ে অনেক অনেক ভিডিও আছে ইউটিউবে সেগুলো দেখবেন আরো বেশি জ্ঞান অর্জন করবেন রিসার্চ করবেন। আমাদের আজকের এই আটিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।