eibbuy.com
বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?


বাংলাদেশ একটি কৃষি নির্ভর দেশ, যেখানে অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কৃষির উপর নির্ভরশীল। এদেশের কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী তরুণ উদ্যোক্তারা এখন বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এই ব্যবসা বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিদেশে সবজি রপ্তানি করার ফলে শুধু দেশের কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন না, বরং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি সবজির চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই চাহিদা পূরণ করতে তরুণরা বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসাকে আরও বেশি করে বেছে নিচ্ছেন। এইভাবে বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করছে।

আজ আমরা আলোচনা করব কেন আপনি সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন, কিভাবে বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন, সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগে, কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন, এবং এই ব্যবসা করে কত টাকা আয় করা যেতে পারেএসব বিষয় নিয়ে।

বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা কেন করবেন?

পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্যের চাহিদাও ক্রমাগত বাড়ছে। সময়ের সাথে এই চাহিদা আরও বাড়বে, যার অর্থ হলো বিশ্বজুড়ে ফুড ইন্ডাস্ট্রি কখনও খারাপ অবস্থায় পড়বে না। বাংলাদেশে প্রতি মৌসুমে কিছু ফসলের অতিরিক্ত উৎপাদন হয়, যেমনমরিচ। কখনও কখনও চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণে মরিচ উৎপাদিত হয়, যার ফলে অনেক মরিচ নষ্ট হয় বা কম দামে বিক্রি করতে হয়। এই ধরনের মৌসুমি ফসল বিদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে। এতে করে দেশে উৎপাদিত অতিরিক্ত ফসল থেকে আয় হবে এবং কৃষকরাও তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী বসবাস করেন, এবং তাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে তারা বাংলাদেশি সবজি ও তরিতরকারি ক্রয় করে থাকেন। অর্থাৎ, যেখানে বাঙালিরা বসবাস করছেন, সেখানে বাংলাদেশি সবজির চাহিদা রয়েছে। শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিরাই নয়, বিদেশিদের মধ্যেও বাংলাদেশি সবজির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কিভাবে বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন?

যদি আপনি একজন রপ্তানি ব্যবসায়ী হতে চান, তাহলে আপনার জন্য ইআরসি (Export Registration Certificate) প্রয়োজন হবে। ইআরসি হলো রপ্তানির জন্য অপরিহার্য একটি লাইসেন্স, যা একবার সংগ্রহ করলে ভবিষ্যতে যে কোনো পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে কাজে আসবে। এর জন্য আপনাকে বাংলাদেশ সরকারের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (EPB)-তে আবেদন করতে হবে। ইআরসি পাওয়ার জন্য আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, টিন (TIN) সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট এবং ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের মেম্বারশিপ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

 

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত হওয়ার পর, আপনার প্রধান কাজ হবে বায়ার খুঁজে পাওয়া। বিভিন্ন উপায়ে বায়ার খুঁজে পেতে পারেন:

 

  • ·        যে দেশে রপ্তানি করতে চান, সেখানে পরিচিত কেউ থাকলে তার মাধ্যমে বায়ার খুঁজে নিতে পারেন।
  • ·        বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা এবং প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে বায়ারের সাথে সরাসরি পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করুন।
  • ·        আলিবাবা, ইন্ডিয়ামার্ট, ইবাই ডটকম ইত্যাদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিদেশি বায়ার খুঁজে পাওয়া যায়।
  • ·        বিভিন্ন সরকারি বাণিজ্য সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে কাস্টমার সংগ্রহ করতে পারেন।
  • ·        বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বায়ারদের কন্টাক্টসহ লিস্টও পাওয়া যায়, যেখান থেকে আপনি সহজেই বায়ার খুঁজে নিতে পারেন।

রপ্তানি করার জন্য আপনি যেকোনো জায়গা থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন না। বিদেশে সবজি রপ্তানি করতে হলে, সেই সবজি কীটনাশক বা ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত হতে হবে এবং কোনো পোকামাকড়ও থাকতে পারবে না। যেসব ফসল বিদেশে রপ্তানির জন্য উপযুক্ত, সেগুলোর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে। এ বিষয়ে HACCP (Hazard Analysis Critical Control Points) বা ISO সার্টিফিকেশন প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষ করে যদি ইউরোপ বা আমেরিকার বাজারে রপ্তানি করতে চান। এই ধরনের ফসল কোথায় পাওয়া যায়, তার তথ্য কৃষি অধিদপ্তর থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে।

 

আপনি চাইলে নিজেও ক্ষতিকর সার বা কীটনাশক ছাড়া সবজি চাষ করতে পারেন, তবে এর জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে। শুধুমাত্র সবজি চাষের প্রশিক্ষণ নয়, রপ্তানি ব্যবস্থাপনা, প্যাকেজিং, এবং লজিস্টিক সম্পর্কিত প্রশিক্ষণও নিতে পারবেন। কৃষি অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের প্রশিক্ষণ পাওয়া যায়।

 

কৃষি অধিদপ্তরের সুপারিশ করা স্থান থেকে ফসলের বিবরণ নিয়ে বায়ারকে পণ্য কেনার জন্য রাজি করাবেন। বায়ার রাজি হলে, আপনি পিআই (প্রোফর্মা ইনভয়েস) তৈরি করে পাঠাবেন। পিআই অনুযায়ী বায়ার এলসি (Letter of Credit) করবে। এলসি করার পর, আপনি পণ্য প্যাকেজিং করবেন এবং পণ্যের ইনভয়েস তৈরি করে ব্যাংকে জমা দেবেন। ব্যাংক থেকে ইএক্সপি (EXP) ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।

 চীন থেকে বাংলাদেশে পন্য আমদানি করার নিয়ম

ইএক্সপি ফর্ম কী এবং কেন প্রয়োজন:

 

ইএক্সপি ফর্ম হলো রপ্তানি প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফর্মটি বাংলাদেশ ব্যংক থেকে নিতে হয়। এই ফর্মটি নিশ্চিত করে যে পণ্য বিদেশে সবজি রপ্তানির বিপরীতে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসবে। ইএক্সপি ফর্ম ছাড়া আপনি বিদেশে সবজি রপ্তানি করতে পারবেন না। এই ফর্মে পণ্যের বিবরণ, পরিমাণ, মূল্য, এবং রপ্তানির স্থান উল্লেখ করা থাকে।

 

এরপর, কৃষি অধিদপ্তর থেকে ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট নিতে হবে। এই সার্টিফিকেট নিশ্চিত করবে যে রপ্তানিযোগ্য পণ্য কীটনাশক মুক্ত, জীবাণুমুক্ত এবং গুণগত মান ঠিক আছে। ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট পেতে হলে কৃষি অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট পরীক্ষাগারে পণ্য পরীক্ষা করতে হবে।

 

সব কাগজপত্র প্রস্তুত করার পর, আপনি কোনো ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারের সাথে যোগাযোগ করবেন, যিনি এয়ার অথবা শিপের মাধ্যমে পণ্য পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। শিপে রেফ্রিজারেটর কন্টেইনার ব্যবহার করে পণ্য পাঠানো যেতে পারে, তবে এর জন্য আগে থেকেই বুকিং দিতে হবে। শিপিং করার সময় পণ্য যাতে সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

শিপিং ও লজিস্টিকসঃ শিপিং ও লজিস্টিকস বিষয়টি বিদেশে সবজি রপ্তানির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পণ্য পাঠানোর জন্য আপনি ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, যিনি আপনার পণ্য এয়ার বা শিপের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।  পণ্যের প্রকারভেদ অনুযায়ী, শিপমেন্টের জন্য আপনি রেফ্রিজারেটর কন্টেইনার ব্যবহার করতে পারেন। এয়ার শিপমেন্টের খরচ সাধারণত বেশি হয়, তাই অনেক সময় সি শিপমেন্টকে (মেরিটাইম) প্রাধান্য দেওয়া হয়। সঠিক শিপিং পরিকল্পনা এবং লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে, ভালো ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারের সাহায্য নেওয়া উচিত, যিনি আপনাকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও সহযোগিতা প্রদান করবেন।

সুপারশপ ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে?

বাংলাদেশের কি কি সবজির চাহিদা অন্য দেশে আছে?

বাংলাদেশের মৌসুমি বা বারমাসি সব ধরনের সবজির চাহিদা বিদেশে রয়েছে। এর মধ্যে বাধাকপি, ফুলকপি, লাউ, চাল কুমড়া, বিভিন্ন শাক (লাল শাক, ডাটা শাক, পাট শাক, পালন শাক, মুলা শাক, পুই শাক ইত্যাদি), কচু, কচুর লতি, ছড়া, ওলকচু, পঞ্চমুখ, মরিচ, পটল, টমেটো, করোল্লা, ধুন্দল, কাকড়োল ইত্যাদি সবজির চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। বিদেশে সবজি রপ্তানি করলে, এই পন্যগুলো দিয়ে শুরু করতে পারেন।

 

সবজির পাশাপাশি, বিভিন্ন ফলমূল যেমন কাঠাল, আম, লিচু, জাম, তরমুজ, বেল, তাল ইত্যাদিরও বিদেশে চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি বিদেশে সবজি রপ্তানি শুরু করেন, তবে ফলমূলও রপ্তানি করে আয় বাড়াতে পারেন। একবার বায়ার ধরতে পারলে, খুব সহজে ফলমূল রপ্তানি শুরু করে দিতে পারবেন।

কোন কোন দেশে সবজি রপ্তানি করা যায়?

যেসব দেশে বাঙালি বসবাস করেন, সেসব দেশে বাংলাদেশি সবজি ও ফলমূলের চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। কিছু কিছু সবজি যেমন ফুলকপি, বাধাকপি, মরিচ, টমেটো ইত্যাদির চাহিদা বিদেশিদের মধ্যেও রয়েছে। তাই এসব সবজি যেকোনো দেশে রপ্তানি করা যেতে পারে।

 

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যেমন সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, জর্ডান, আরব আমিরাত, ইরান ইত্যাদিতে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন। ফলে এসব দেশে বাংলাদেশি সবজি বেশি রপ্তানি হয়। ইউরোপের প্রায় সব দেশ, বিশেষ করে ইতালি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম ইত্যাদি, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়াসহ ৫৫টিরও অধিক দেশে বাংলাদেশের সবজি রপ্তানি করা হয়ে থাকে। যে দেশে প্রবাসী বাংলাদেশি বেশি থাকেন, সে দেশে চাহিদাও বেশি থাকে এবং বায়ার খুঁজে পাওয়াও তুলনামূলকভাবে সহজ।

সবজি রপ্তানি করে কত টাকা আয় করা যায়?

সবজি রপ্তানি করে সাধারণভাবে সবজির দামের ১০-১৫% পর্যন্ত লাভ করা যায়। কিছু কিছু সবজিতে লাভের পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে, তবে এটি বাজারের চাহিদা এবং অন্যান্য উপাদানের ওপর নির্ভর করে।

 

বাংলাদেশ সরকার বিদেশে সবজি রপ্তানির জন্য রপ্তানিকারকদের বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করে। পণ্যভেদে, এই প্রণোদনার পরিমাণ ১০-২০% পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ, যদি আপনার লাভ ১০০ টাকা হয়, সরকার আপনাকে অতিরিক্ত ১০-২০ টাকা পর্যন্ত প্রণোদনা হিসেবে দিতে পারে। তবে, প্রণোদনার পরিমাণ সরকারের নীতিমালা এবং বাজারের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

বায়িং হাউজ কিভাবে দিবেন? সম্পূর্ণ গাইডলাইন

বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগে?

কোনো ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগবে, তা মূলত ব্যবসার ধরন এবং পরিসরের ওপর নির্ভর করে। বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে কিছু প্রাথমিক খরচের মুখোমুখি হতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো কাগজপত্র সংগ্রহের খরচ, যার মধ্যে রয়েছে ইআরসি (Export Registration Certificate), ট্রেড লাইসেন্স, টিন (TIN) সার্টিফিকেট, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি। মোটামুটি, সব নথি সংগ্রহ করতে প্রায় ১৪,০০০-৩৫,০০০ টাকা খরচ হতে পারে। এই খরচগুলো স্থানীয় প্রশাসনিক ফি এবং অন্যান্য শর্তের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। আপনার ক্ষেত্রে কত টাকা লাগতে পারে, তা অনলাইনে অনুসন্ধান করে দেখে নিবেন।

 

এরপর, কৃষক থেকে সবজি ক্রয় করতে হবে। সবজি সংগ্রহের পর তা বাছাই, পরিস্কারকরণ এবং প্যাকেজিং বাবদ খরচ হবে। পরিবহন ও শিপমেন্টের খরচও বিবেচনায় নিতে হবে, যা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিবহনের ওপর নির্ভর করে। ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারের সেবার জন্যও একটি নির্দিষ্ট খরচ থাকে। আপনি কতো পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করবেন, কাস্টমারের প্যাকেজিং রিকোয়ারমেন্ট, এবং শিপমেন্টের ধরণ এসব বিষয়েও খরচ নির্ভর করবে।

 

সব মিলিয়ে, পাঁচ লাখ টাকা থেকে আট লাখ টাকা হলেই বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা মোটামুটি শুরু করা যাবে। শুরুতে বড়সড় অর্ডার না নিয়ে ছোটখাটো অর্ডার দিয়ে ব্যবসা শুরু করলে পুঁজির প্রয়োজন কম হবে এবং ঝুঁকি কম থাকবে।

প্যাকেজিং

সবজি রপ্তানিতে পণ্য বাছাই এবং প্যাকেজিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিকভাবে পণ্য বাছাই না করলে বা প্যাকেজিংয়ে ভুল হলে, পরিবহনের সময় পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে, কন্টেইনারগুলোতে পণ্য নিচে থাকে এবং তাদের উপর প্রচুর চাপ পড়ে, যা পণ্যের নষ্ট হওয়ার কারণ হতে পারে।

 

এই সমস্যা থেকে বাঁচতে, আপনাকে প্যাকেজিংয়ের জন্য কিছু অতিরিক্ত খরচ করতে হতে পারে, এতে করে আপনার পণ্য ভালো অবস্থায় পৌঁছাবে এবং আকর্ষণীয় দেখাবে। ভালো প্যাকেজিং শুধু পণ্যের গুণমান নিশ্চিত করে না, বরং এটি আপনার পণ্যের চেহারা এবং বাজারে গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি করে।

 

যদি আপনার পণ্য বায়ারের পছন্দ হয় এবং পণ্যের বিক্রয় ভাল হয়, তাহলে সেই বায়ার আপনার নিয়মিত বায়ার হয়ে যেতে পারে। তাই, বায়ার ধরে রাখার জন্য পণ্যের মান ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, পণ্যের মান মূলত প্যাকেজিংয়ের ওপর অনেকটা নির্ভর করে। তাই, প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে যত্নবান হওয়া এবং মানসম্পন্ন উপকরণ ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।

 সৌদি আরবে প্রবাসীদের জন্য সেরা ৫টি ব্যবসার আইডিয়া

আজকের আলোচনা থেকে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আমদানি বা রপ্তানির ক্ষেত্রে সি এন্ড এফ এজেন্ট এর প্রয়োজন হলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ। 

বিস্তারিত
সুপারশপ ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে?

বাংলাদেশের উঠতি ব্যবসাগুলোর মধ্যে সুপার শপ ব্যবসা অন্যতম একটি। সুপারশপ হলো একটি সেলফ সার্ভিস শপ যেখানে এক ছাদের নিচে বাসা-বাড়ির সব ধরনের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। এই সেবা সহজলভ্যতা এবং ফিক্সড প্রাইসের সুবিধার কারণে সুপারশপে কেনাকাটার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শহর এলাকায় বড় একটি জনসংখ্যা তাদের নিয়মিত বাজার সদাই সুপার শপ গুলোর মাধ্যমে করে থাকেন, যা কেনাকাটাকে আরও সাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে।

শহরের বিভিন্ন এলাকায় সুপার শপের চাহিদা থাকলেও বেশিরভাগ স্থানে কাছাকাছি কোনো সুপার শপ নেই। অর্থাৎ শহর এলাকায় সুপার শপ ব্যবসার ভাল সম্ভাবনা আছে।

আজ আমাদের আলোচনার বিষয় হল সুপার শপ ব্যবসা কেন করবেন, সুপারশপ ব্যবসা করতে কত টাকা লাগবে, সুপারশপ ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন, প্রতিযোগিতায় কিভাবে টিকে থাকবেন ইত্যাদি বিষয়াবলি।

সুপারশপ ব্যবসা কেন করবেন?

২০১৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের মানুষদের সুপারশপে কেনাকাটার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, শহরাঞ্চলে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সুপারশপের সংখ্যা কম। কিছু সুপারশপে শুধুমাত্র উচ্চমূল্যের পণ্য থাকায় সাধারণ মানুষ সেখানে কেনাকাটা করতে পারে না।

বর্তমানে, অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে সুপারশপ পরিচালনার সুবিধার কারণে গ্রাহকরা সহজেই কেনাকাটা করতে পারছেন, যা সুপারশপের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় বর্তমানে বাংলাদেশে সুপারশপ ব্যবসা প্রতিবছর ২৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থাৎ এ ব্যবসাটি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় একটি ব্যবসা।

কিভাবে শুরু করবেন সুপার শপ ব্যবসা?

যেকোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমেই দরকার একটি সুপরিকল্পিত রোডম্যাপ। প্রথমে আপনার পুঁজির পরিমাণ বিবেচনা করে বাকি পরিকল্পনা ঠিক করতে হবে। স্থান নির্বাচন: আপনার ব্যবসার লোকেশন নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন স্থানে সুপারশপ শুরু করার চেষ্টা করুন যেখানে আশেপাশে কোনো সুপারশপ নেই এবং যেখান থেকে যাতায়াত সহজ। বিশেষ করে মেইন রোডের পাশে এমন জায়গা বেছে নিন যা সহজেই মানুষের নজরে আসে।

নাম নির্বাচন: ব্যবসার জন্য একটি আকর্ষণীয় নাম নির্বাচন করুন, কারণ সুপারশপ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর।

স্পেস ভাড়া নিয়ে ডেকোরেশন শেষ করে পণ্য উঠানো শুরু করুন। এর মাঝে সরকারি বৈধ কাগজপত্র ঠিক করে নিন। এরপর বিজ্ঞাপন প্রচার করে ব্যবসা শুরু করুন।

সংক্ষিপ্তে বলতে ধাপগুলো এরকমঃ পরিকল্পনা স্থান নির্বাচন নাম নির্বাচন স্পেস ভাড়া ডেকোরেশন সরকারি কাগজপত্র পণ্য সংগ্রহ কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞাপন প্রচার ব্যবসা শুরু করা।

সুপার শপ ব্যবসা দুইভাবে করা যায়। প্রথমত, আপনি নিজে নতুন একটি সুপারশপ প্রতিষ্ঠা করে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, আপনি অন্য কোনো সুপারশপ ব্র্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনে নিতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সুপারশপ ব্র্যান্ড তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি দিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, "স্বপ্ন" সারা দেশে বিনামূল্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি দিচ্ছে। এতে করে যে কেউ স্বপ্নের আউটলেট চালু করতে পারবে এবং সেখানকার লাভের অংশ নিতে পারবে, তবে সব পণ্য স্বপ্ন থেকে নিতে হবে।

এতে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ যেমন লাভবান হয়, তেমনি এই সিস্টেমটি ব্যবসায়ীর জন্যও সুবিধাজনক। স্বপ্ন লাভবান হয় কারণ তাদের পণ্যই বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীও লাভবান হন কারণ স্বপ্নের মতো একটি বড় ব্র্যান্ডের নামে ব্যবসা করলে স্বাভাবিকভাবেই কাস্টমার বেশি আসে।

সুপারশপ ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগে?

সুপারশপ ব্যবসা শুরু করতে প্রয়োজনীয় পুঁজির পরিমাণ নির্ভর করে ব্যবসার আকার, অবস্থান, এবং ডেকোরেশনের মানের উপর। এখানে একটি সম্ভাব্য বাজেটের ধারণা দেওয়া হলো:

 

১. স্পেস ভাড়া ও এডভান্স

   - লোকেশন: ব্যবসার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ভাড়া ও এডভান্সের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।

   - প্রতি বর্গফুট ভাড়া (ঢাকার মতো শহরে): প্রতি বর্গফুটে ৮০ থেকে ২০০ টাকা। এই সংখ্যা ক্ষেত্রবিশেষ আরও বেশি হতে পারে।

   - এডভান্স: ৩ থেকে ১২ মাসের ভাড়া অগ্রিম দিতে হতে পারে, যা হতে পারে ৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে। এই সংখ্যাও ক্ষেত্রবিশেষ আরও বেশি হতে পারে।

 

২. ডেকোরেশন খরচ

   - মাঝারি মানের ডেকোরেশন: ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা।

   - উচ্চমানের ডেকোরেশন: ১২ থেকে ২৫ লাখ টাকা।

   - ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, চেকআউট কাউন্টার, ফ্রিজার, শেলভিং ইত্যাদি: ৩ থেকে ১০ লাখ টাকা।

 

৩. সরকারি কাগজপত্র ও লাইসেন্স ফি

সরকারি কাগজপত্র যেমন ট্রেড লাইসেন্স, সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন, ফায়ার সার্টিফিকেট ইত্যাদি বাবদ খরচ লাগবে ১ থেকে ২ লাখ টাকা। 

 

৪. পণ্য স্টক

   - শুরুর পণ্য স্টক: ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকা (মাঝারি আকারের সুপারশপের জন্য)।

   - বিস্তারিত পণ্য ভ্যারিয়েন্টস: পণ্যের ভ্যারিয়েন্ট ও পরিসরের উপর খরচ বাড়তে পারে।

 

৫. কর্মচারী বেতন ও প্রশিক্ষণ

   - প্রতি কর্মচারীর বেতন: ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা (বেতন স্কেল ও পজিশনের উপর নির্ভর করে)।

   - প্রথম ৩ মাসের বেতন: ২ থেকে ৪ লাখ টাকা (৬ থেকে ৮ জন কর্মচারীর জন্য)।

   - প্রশিক্ষণ খরচ: ৫০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা।

 

৬. বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা

   - প্রচারণার জন্য প্রাথমিক বাজেট: ১ থেকে ৫ লাখ টাকা (স্থানীয় ও অনলাইন বিজ্ঞাপনের জন্য)।

   - ওয়েবসাইট ও অনলাইন অর্ডার সিস্টেম: ৫০,০০০ থেকে ২ লাখ টাকা।

 

৭. অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ

   - ইলেকট্রিসিটি, পানি, এবং ইউটিলিটি বিল: মাসে ৩০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা।

   - সিকিউরিটি ও মেইনটেন্যান্স খরচ: ৫০,০০০ থেকে ২ লাখ টাকা।

 

মোট খরচের একটি ধারণা:

সাধারণত, একটি মাঝারি আকারের সুপারশপ ব্যবসা শুরু করতে ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকার প্রয়োজন হতে পারে। তবে, প্রিমিয়াম লোকেশনে বা বড় পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে এই বাজেট ৭৫ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার মধ্যে হতে পারে।

এই খরচের পরিমাণ আপনার ব্যবসার ধরন, অবস্থান, এবং পরিকল্পনার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সঠিক বাজেট পরিকল্পনা ও খরচের হিসাব করে নেয়া উচিৎ, যেন ব্যবসার শুরু থেকেই আপনি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেন।

যদি আপনি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে ব্যবসা করতে চান, তাহলে আপনার খরচ চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। সাধারণত, ফ্র্যাঞ্চাইজি গ্রহণের ক্ষেত্রে পূঁজি কিছুটা কম হতে পারে, কারণ আপনি একটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের নাম এবং সাপোর্ট পাচ্ছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করার সুবিধা হলো, আপনি একটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের অংশ হয়ে যাচ্ছেন, যা আপনার ব্যবসার প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায় এবং শুরুতেই কিছুটা মার্কেটিং সাপোর্ট প্রদান করে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিঃ লাভজনক ব্যবসা শুরু করার সম্পূর্ন পরিকল্পনা

সুপারশপ ব্যবসায় টিকে থাকার কৌশল

বাংলাদেশে সুপারশপ ব্যবসা একটি উঠতি এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল অনুসরণ করা উচিত:

 

১. নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কম রাখা

মূল্যসীমা: পণ্যের দাম কম রাখলে ক্রেতা আকৃষ্ট হয়।

মূল্যছাড়ের অফার: নিয়মিত ডিসকাউন্ট অফার দিন।

ডিরেক্ট সোর্সিং: পাইকারদের মাধ্যমে না কিনে সরাসরি উৎপাদনকারীর কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করুন। এটি মিডলম্যানের খরচ কমিয়ে দেবে এবং দাম কম রাখবে।

২. ডেকোরেশন ও সজ্জা

টেকনিক: সুপারশপের ডেকোরেশন এমনভাবে করুন যেন ক্রেতারা এক পণ্য কিনে পরবর্তী পণ্যের দিকে আকৃষ্ট হন।

ফ্লো: পণ্যগুলি এমনভাবে সাজান যাতে ক্রেতা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে যেতে পারে এবং নানা পণ্য দেখতে পায়।

৩. অফলাইন এবং অনলাইন ব্যবসা

ওয়েবসাইট: একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন যেখানে গ্রাহকরা অনলাইনে পণ্য অর্ডার করতে পারে।

অনলাইন প্রচারণা: সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আপনার ব্যবসার প্রচারণা করুন।

চীন থেকে বাংলাদেশে পন্য আমদানি করার নিয়ম

৪. প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হওয়া

মূদী দোকান ও অন্যান্য দোকানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা: আশেপাশের মূদী দোকান ও অন্যান্য ছোট দোকানের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা করতে হবে। এজন্য আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার সুপারশপে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পণ্য এবং সেবা আছে।

৫. কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স

গ্রাহক সেবা: ভালো গ্রাহক সেবা প্রদান করুন এবং ক্রেতাদের সাথে সদাচরণ বজায় রাখুন।

মেম্বারশিপ প্রোগ্রাম: নিয়মিত ক্রেতাদের জন্য মেম্বারশিপ অফার করুন, যা বিশেষ ছাড় ও সুবিধা প্রদান করবে।

কি কি পন্য বিক্রি করা যায় সুপারশপে?

মাছ তরকারি থেকে শুরু করে ছোটোখাটো ইলেকট্রনিক্স পন্য, জামাকাপড় পর্যন্ত বিক্রি হয় সুপারশপে।

একটি সুপারশপে পন্যের ভ্যারিয়েন্টের উপর ভিত্তি করে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়। সুপারশপে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি হয়, যা নিম্নলিখিতভাবে সাজাতে পারেন:

 

খাদ্য পণ্য: মাছ, তরকারি, মাংস, এবং অন্যান্য কাঁচা খাদ্যদ্রব্য একটি বিশেষ জোনে রাখতে পারেন।

ঘরোয়া প্রয়োজনীয় পণ্য: সাবান, কসমেটিক্স, এবং অন্যান্য পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী একটি আলাদা জোনে রাখবেন।

মূদি পণ্য: বিভিন্ন মূদি আইটেম যেমন চিনি, চাল, ডাল, মশলা ইত্যাদি।

বেকারি পণ্য: পেস্ট্রি, কেক, মিস্টি, দধি ইত্যাদি।

বাচ্চাদের খেলনা: বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও শিশুর প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

কুকওয়ার আইটেম: রান্নার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন কুকিং পট, প্যান, ইত্যাদি।

ইলেকট্রনিক্স পণ্য: ব্লেন্ডার, ইলেকট্রিক বিটার, ট্রিমার ইত্যাদি।

স্টেশনারি আইটেম: বিভিন্ন ধরনের স্টেশনারি সামগ্রী যেমন কাগজ, পেন্সিল, ইত্যাদি।

প্রতি সুপারশপে এই পণ্যের ভ্যারিয়েন্টের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জোন তৈরি করা হয়, যাতে গ্রাহক সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য খুঁজে পেতে পারেন।।

বাংলাদেশে স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স দিয়ে বৈধভাবে আমদানি কতটা সম্ভব?

 

আজকের আলোচনা থেকে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

ধন্যবাদ। 

বিস্তারিত
চীন থেকে বাংলাদেশে পন্য আমদানী করার নিয়ম

বাংলাদেশে চীনা পন্যের চাহিদা বেশি হওয়ায় চীন থেকে বাংলাদেশে পন্য আমদানী করে ব্যবসা করে অনেক লাভবান হওয়া যায়। চীনের পণ্য উৎপাদন খরচ কম হওয়ার পাশাপাশি এর মান উন্নত হওয়ায় বাংলাদেশী বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চীন থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানী করতে হলে সঠিক নিয়ম-কানুন এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। এই নিবন্ধে আমরা চীন থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানী করার নিয়ম, খরচ, সুবিধা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

 

চীন থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানী করার ধাপসমূহ

চীন থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানী সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হলে নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নিচে এই ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো:

১. পণ্য বাছাই: বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক পণ্য নির্বাচন

পণ্য বাছাই চীন থেকে পন্য আমদানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোর একটি। আপনি যে পণ্যটি আমদানি করতে চান, তা অবশ্যই বাজারের চাহিদা এবং আপনার ব্যবসার ধরন অনুযায়ী হতে হবে। পণ্যের মান, বৈচিত্র্য, এবং গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী পণ্যটি বাছাই করা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স, গৃহস্থালি সামগ্রী, এবং পোশাকের চাহিদা অনেক বেশি। তাই এই ধরণের চাহিদাসম্পন্ন পণ্য বাছাই করতে হবে।

 

২. বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ: বিশ্বস্ত ও মানসম্পন্ন বিক্রেতার সাথে সম্পর্ক স্থাপন

সঠিক বিক্রেতা নির্বাচন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনে অনেক বিক্রেতা রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের পণ্য সরবরাহ করে, কিন্তু সকলেই মানসম্পন্ন এবং বিশ্বস্ত নয়। Alibaba, Global Sources, এবং Made-in-China এর মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে সহজ হবে। বিক্রেতা নির্বাচন করার আগে তাদের পণ্য, সরবরাহের সময়, এবং কাস্টমার রিভিউ যাচাই করে নিন। অর্ডার কনফার্ম করার আগে স্যাম্পল এনে পন্য এবং পন্যের মান যাচাই করে নিবেন। স্যাম্পল এর দাম এবং কুরিয়ার খরচ কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করে দিলে সাপ্লায়ার কুরিয়ারে করে স্যাম্পল পাঠিয়ে দিবে।

 

3. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করা

চীন থেকে পণ্য আমদানী করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট প্রস্তুত করে নিতে হবে। এগুলো হলো:

 ইম্পোর্টার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (IRC): বাংলাদেশে আমদানী করার জন্য এই সার্টিফিকেট থাকা আবশ্যক।

প্রফর্মা ইনভয়েস(PI): প্রোফর্মা ইনভয়েসে পণ্যের পরিমাণ, আনুমানিক মূল্য, শিপিং খরচ, শর্তাবলী, এবং অন্যান্য তথ্য উল্লেখ করা থাকে। এটি বিক্রেতা (সাপ্লায়ার) ক্রেতাকে (বায়ার) সরবরাহ করে।

লেটার অফ ক্রেডিট (LC): ব্যাংকের মাধ্যমে পণ্যের অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা হিসেবে এই নথি ব্যবহার করা হয়।

৪. শিপিং ব্যবস্থা করা: সঠিক পদ্ধতি নির্বাচন

পণ্য পরিবহনের জন্য সঠিক শিপিং পদ্ধতি অর্থাৎ চীন থেকে কিভাবে বাংলাদেশে পন্য আনবেন তা ঠিক করে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পণ্য পরিবহনের জন্য সাধারণত দুইটি প্রধান পদ্ধতি রয়েছে: এয়ার কার্গো, সি কার্গো। প্রতিটি পদ্ধতির খরচ, সময়, এবং নিরাপত্তা ভিন্ন রকম।

 এয়ার কার্গো: দ্রুততম পদ্ধতি হলেও খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি। সাধারণত ৫-১০ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছানো সম্ভব হয়। এই পদ্ধতি সাধারণত ছোট ও উচ্চমূল্যের পণ্য পরিবহনের জন্য উপযুক্ত।

সি কার্গো: খরচ কম, কিন্তু সময় লাগে ২৫-৩০ দিন। বড় ও ভারী পণ্য পরিবহনের জন্য এই পদ্ধতি উপযুক্ত।

৫. কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স

পণ্য বাংলাদেশের বন্দরে পৌঁছানোর পর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময় কাস্টমস ডিউটি, ট্যাক্স, এবং অন্যান্য ফি পরিশোধ করতে হয়। পণ্য আমদানির সমস্ত নথি এবং চালান উপস্থাপন করতে হবে। পণ্যটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরীক্ষা ও যাচাইয়ের পর মুক্তি পায়। দ্রুত ক্লিয়ারেন্স নিশ্চিত করতে হলে সমস্ত নথি সঠিক এবং সম্পূর্ণ হওয়া জরুরি। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের ক্ষেত্রে সি এন্ড এফ এজেন্টের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।

বিশ্বস্ত সিএন্ডএফ এজেন্ট পেতে ক্লিক করুন।

৬. এয়ারপোর্ট বা সি পোর্ট থেকে পণ্য সংগ্রহ

পণ্য কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের পর, পরবর্তী ধাপ হলো এয়ারপোর্ট বা সি পোর্ট থেকে পণ্য সংগ্রহ করা। পণ্য সংগ্রহের জন্য আপনাকে এয়ারপোর্ট বা সি পোর্টে যেতে হবে। পোর্টের অফিসিয়াল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং তাদের নির্দেশনা অনুসরণ করুন। পোর্টের নির্দিষ্ট স্থানে পণ্য সংগ্রহের জন্য একটি নির্ধারিত সময়সীমা থাকতে পারে, তাই সময়মতো উপস্থিত থাকতে হবে। পণ্য সংগ্রহ করার পর আপনার গুদাম বা বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে পাঠাতে হবে। আপনি ট্রাক, লরি বা অন্যান্য পরিবহন মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন।

 

চীন থেকে পণ্য আমদানির খরচ

চীন থেকে পণ্য আমদানির খরচ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।

 ১. পণ্যের মূল্য

পণ্যের মূল্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা পণ্যের ধরন এবং পরিমাণের উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, ইলেকট্রনিক্সের ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য বেশি হতে পারে, যেখানে সাধারণ গৃহস্থালি পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে কম।

 ২. শিপিং চার্জ

শিপিং খরচ নির্ভর করে শিপিং পদ্ধতি (এয়ার, সি), পণ্যের ওজন, এবং পরিবহন দূরত্বের উপর। সি কার্গো বা জাহাজে পন্য আনার খরচ সাধারণত এয়ার কার্গোর চেয়ে কম হয়, তবে এটি সময়সাপেক্ষ। উদাহরণস্বরূপ, সি কার্গোর মাধ্যমে ২০ ফুট কন্টেইনারে পণ্য পরিবহন করতে $১,৫০০-$২,৫০০ খরচ হতে পারে, যেখানে এয়ার কার্গোতে একই ওজনের পণ্য পরিবহন করতে $৫,০০০-এর বেশি খরচ হতে পারে।

৩. কাস্টমস ডিউটি

কাস্টমস ডিউটি পণ্যের মূল্য এবং প্রকারের উপর ভিত্তি করে ধার্য করা হয়। বাংলাদেশে সাধারণত আমদানীকৃত পণ্যের জন্য ১৫-২৫% কাস্টমস ডিউটি আরোপ করা হয়, তবে কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে এই হার বেশি হতে পারে।

 ৪. বীমা খরচ

শিপিংয়ের সময় পণ্যের নিরাপত্তার জন্য বীমা করতে হয়। বীমার খরচ সাধারণত পণ্যের মূল্যের ০.৫%-২% পর্যন্ত হতে পারে। বীমা করা হলে পরিবহনের সময় পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হলে আপনি ক্ষতিপূরণ পাবেন।

 ৫. স্থানীয় পরিবহন খরচ

বাংলাদেশের বন্দরে পৌঁছানোর পর পণ্য গুদাম বা বিক্রয় কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় পরিবহন খরচও যুক্ত হবে। এই খরচটি নির্ভর করে দূরত্ব, পণ্যের পরিমাণ, এবং পরিবহনের মাধ্যমের উপর।

 

চীন থেকে পণ্য আমদানির খরচ পরিবর্তনশীল, কারণ বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম, শিপিং খরচ, এবং কাস্টমস ডিউটির হার পরিবর্তিত হতে পারে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিনিময় হার, বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইনের পরিস্থিতি, এবং শুল্ক নীতি পরিবর্তনের ফলে খরচ বৃদ্ধি বা হ্রাস পেতে পারে। তাই আমদানির পরিকল্পনা করার সময় সবসময় বর্তমান বাজার পরিস্থিতি এবং খরচের একটি আপডেটেড ধারণা রাখা জরুরি।

চীন থেকে পণ্য আমদানির জন্য সাপ্লায়ার খুঁজে পাওয়ার উপায়

চীন থেকে পণ্য আমদানি করার জন্য উপযুক্ত সাপ্লায়ার খুঁজে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় অনুসরন করতে পারেন।

 ১. অনলাইন মার্কেটপ্লেস ব্যবহার

অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো যেমন Alibaba, Global Sources, এবং Made-in-China ব্যবহার করে চীনা সাপ্লায়ারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।  এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি সাপ্লায়ারদের সাথে সরাসরি আলোচনা করে দাম এবং অন্যান্য শর্তাবলী নির্ধারণ করে নিতে  পারেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলির মাধ্যমে আপনি সাপ্লায়ারদের প্রোফাইল, রেটিং, এবং কাস্টমার রিভিউ দেখতে পারবেন।

১ লাখ টাকার মধ্যে বাংলাদেশে শুরু করার মতো ৫টি লাভজনক ব্যবসা

 ২. চীনে ভ্রমণ করা

চীন থেকে পণ্য আমদানি করার জন্য সরাসরি চীনে যেয়ে পন্য ক্রয় করতে পারেন। এটি আপনাকে স্থানীয় বাজারের অবস্থা, উৎপাদন প্রক্রিয়া, এবং পণ্যের গুণমান সরাসরি পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ করে দিবে। বিভিন্ন ট্রেড শো, প্রদর্শনী, এবং কারখানা সফরের মাধ্যমে আপনি সরাসরি সাপ্লায়ারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

 ৩. এজেন্ট নিয়োগ করা

চীনে অবস্থানরত কাউকে স্থানীয় এজেন্ট বা ব্রোকার হিসেবে নিয়োগ করে নিতে পারেন। স্থানীয় এজেন্টরা চীনের বাজারে অভিজ্ঞ এবং তারা আপনাকে সঠিক সাপ্লায়ার খুঁজে পেতে, মূল্য নিয়ে আলোচনা করতে, এবং আমদানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহায়তা করতে পারে। এজেন্টরা সাধারণত স্থানীয় ভাষা জানেন এবং স্থানীয় সাপ্লায়ারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে সক্ষম। এছাড়া, তারা শিপিং, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজগুলো করতে সাহায্য করতে পারবে।

বায়িং হাউজ কিভাবে দিবেনঃ সম্পূর্ন গাইডলাইন



চীন থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানী করে ব্যবসা করা চ্যালেঞ্জিং হলেও লাভজনক প্রক্রিয়া। সঠিক পণ্য নির্বাচন, বিশ্বস্ত সাপ্লায়ার খুঁজে পাওয়া, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুতি, এবং কার্যকর শিপিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা আপনার সফলতা অর্জনের মূল চাবিকাঠি।

চীন থেকে বাংলাদেশে পন্য আমদানী বা যেকোনো দেশ থেকে পন্য আমদানী করা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ।

বিস্তারিত
ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি: লাভজনক ব্যবসা শুরু করার সম্পূর্ণ পরিকল্পনা

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি ব্যবসা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে অনলাইন মার্কেটিংয়ের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য সেবা প্রচারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির দিকে ঝুঁকছে। এই পরিস্থিতিতে, ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। আজ আমরা জানবো কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করা যায়, কেন এটি শুরু করবেন, কত টাকা লাগবে, এবং ধরনের একটি এজেন্সি চালাতে যা যা প্রয়োজন।

কেন ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করবেন?

বাজারের চাহিদা:

বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটিং খাত দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। বর্তমানে ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসাই তাদের অনলাইন উপস্থিতি বাড়াতে ইচ্ছুক। বিশেষ করে, -কমার্স, এফএমসিজি, এবং সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মার্কেটিং বাজেটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যয় করছে।

উন্নত প্রযুক্তি ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা:

বাংলাদেশে ইন্টারনেট সংযোগের সহজলভ্যতা এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এবং গুগল অ্যাডওয়ার্ডসের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিগুলোর জন্য বড় একটি বাজার তৈরি হয়েছে।

সক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগ:

ডিজিটাল মার্কেটিং খাতে বিনিয়োগ করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিক্রয় বাড়াতে সক্ষম হচ্ছে। এছাড়াও, ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কাস্টমারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব, যা ব্র্যান্ডের প্রতি কাস্টমারদের আস্থা বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি করে।

লাভজনক ব্যবসার সুযোগ:

ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করতে তুলনামূলকভাবে কম পুঁজি প্রয়োজন হয়। যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে দক্ষ হন,  তবে আপনার জন্য এটি একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। এছাড়াও, এই ব্যবসা সঠিক পরিকল্পনা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অনেক দ্রুত প্রতিষ্ঠিত করা যায়।

কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করবেন?

. বাজার গবেষণা করুন: ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করার আগে বাজার গবেষণা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার টার্গেট মার্কেট কারা হবে, তাদের কী কী চাহিদা আছে, এবং আপনার প্রতিযোগীরা কীভাবে কাজ করছেএগুলো বোঝা জরুরি। বাংলাদেশের বাজারে যে ধরনের সেবা বেশি চাহিদা রয়েছে, তা নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী আপনার এজেন্সির সেবা অফার করুন। 

. আপনার বিশেষজ্ঞ ক্ষেত্র নির্বাচন করুন: ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন শাখা রয়েছে, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), পেইড অ্যাডভার্টাইজিং (PPC), কন্টেন্ট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি। আপনি সবগুলো সার্ভিসই দিতে পারেন, তবে বিশেষ একটি ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করলে তা আপনার ব্যবসাকে দ্রুত সফল হতে সাহায্য করবে।

. সেবা পরিকল্পনা করুন: আপনার ক্লায়েন্টদের জন্য কি ধরনের সেবা অফার করবেন তা নির্ধারণ করুন। আপনি একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি চালাতে পারেন, যা সব ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা প্রদান করবে। অথবা, আপনি নির্দিষ্ট একটি ক্ষেত্রে ফোকাস করতে পারেন, যেমন শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা শুধুমাত্র SEO সেবা।

. টিম গঠন করুন: আপনার এজেন্সির জন্য দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ করুন। ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির জন্য সাধারণত কন্টেন্ট রাইটার, গ্রাফিক ডিজাইনার, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, SEO স্পেশালিস্ট, এবং পেইড অ্যাডভার্টাইজিং এক্সপার্ট প্রয়োজন হয়। আপনি চাইলে শুরুতে ফ্রিল্যান্সারদের সাথে কাজ করতে পারেন, তবে ব্যবসা বড় করার সাথে সাথে পার্মানেন্ট টিম গঠন করে নিতে হবে।

. টেকনোলজি টুলস নির্বাচন করুন: ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি পরিচালনার জন্য কিছু বিশেষ টেকনোলজি এবং টুলসের প্রয়োজন হবে। Google Analytics, SEMrush, Ahrefs, Hootsuite, Canva ইত্যাদি টুলস আপনার কাজে লাগতে পারে। এই টুলসগুলো ব্যবহার করে আপনি ক্লায়েন্টদের জন্য উন্নত সেবা প্রদান করতে পারবেন।

. একটি কার্যকর ওয়েবসাইট তৈরি করুন: আপনার এজেন্সির জন্য একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করুন। এখানে আপনার সেবাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিন, ক্লায়েন্টদের রিভিউ শেয়ার করুন, এবং আপনার পোর্টফোলিও প্রদর্শন করুন। ওয়েবসাইটটি অবশ্যই SEO ফ্রেন্ডলি হওয়া উচিত, যাতে আপনার সম্ভাব্য ক্লায়েন্টরা সহজেই আপনাকে খুঁজে পায়।

. ট্রেড লাইসেন্স নিবন্ধন করুন: আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি আইনত বৈধভাবে পরিচালনা করতে হলে একটি ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশে ব্যবসায়িক নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনেক সহজ, আপনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে লাইসেন্স পেতে পারেন। 

. সঠিক মূল্য নির্ধারণ করুন: আপনার সেবাগুলোর জন্য সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম দিকে কম মূল্যে সেবা দিতে পারেন, যাতে আপনি ক্লায়েন্ট আকর্ষণ করতে পারেন। তবে, সেবার গুণমান এবং প্রতিযোগীদের মূল্য বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণ করুন।

. ক্লায়েন্ট আকর্ষণ করতে মার্কেটিং পরিকল্পনা করুন: প্রথম দিকে ক্লায়েন্ট পাওয়ার জন্য মার্কেটিং প্ল্যানিং তৈরি করুন। সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং, এবং রেফারেল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট আকর্ষণ করুন। এছাড়া, Google My Business আপনার ব্যবসার নিবন্ধন করুন, যাতে স্থানীয় ক্লায়েন্টরা আপনাকে খুঁজে পায়।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করতে কত টাকা লাগবে?

শুরুতে কম বিনিয়োগ:

ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করতে তুলনামূলকভাবে কম পুঁজি প্রয়োজন হয়। আপনি যদি বাসায় থেকে ব্যবসা শুরু করেন, তবে অফিস ভাড়ার খরচ বাঁচাতে পারবেন। সাধারণত, একটি ছোট এজেন্সি শুরু করতে ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকার মধ্যে প্রয়োজন হতে পারে। এই খরচের মধ্যে থাকবে অফিস সেটআপ, টিম গঠন, এবং প্রাথমিক মার্কেটিং খরচ।

যদি বাসা থেকেই কাজ শুরু করেন, তবে অফিস ভাড়ার খরচ এড়ানো সম্ভব। তবে, অফিসের জন্য প্রাথমিক সরঞ্জামাদি যেমন একটি কম্পিউটার, প্রিন্টার, এবং ইন্টারনেট কানেকশন এর জন্য প্রায় ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা লাগতে পারে।

টুলস সফটওয়্যার খরচ:

ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি পরিচালনার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টুলস এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে, যার জন্য কিছু টাকা খরচ করতে করতে হবে। SEO টুলস, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুলস, এবং গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়ারের জন্য মোটামুটি ৫,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা প্রতি মাসে খরচ হতে পারে। তবে, অনেক টুলসের ফ্রি বা ট্রায়াল ভার্সন পাওয়া যায়, যা শুরুতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

টিম এবং কর্মীদের বেতন:

আপনি যদি শুরুতেই একটি টিম নিয়ে কাজ করতে চান, তবে তাদের বেতন খরচ বিবেচনা করতে হবে। তবে, ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে কাজ করালে এই খরচ কিছুটা কমানো সম্ভব। শুরুতে এক বা দুইজন কর্মী নিয়োগ দিলে তাদের বেতন হবে প্রতি মাসে প্রায় ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা। ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে কাজ করালে বেতন খরচ কিছুটা কমানো সম্ভব, যেখানে প্রতি কন্ট্রাকের জন্য ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা খরচ হতে পারে।

মার্কেটিং খরচ:

আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির প্রচারের জন্য কিছু খরচ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডভার্টাইজিং, Google Ads, এবং ইমেইল মার্কেটিংয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে কিছু বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। আপনার এজেন্সির প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ও Google Ads ব্যবহার করতে প্রাথমিকভাবে ৫,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা বাজেট বরাদ্দ করা উচিত। এতে করে আপনার ব্যবসার পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন ক্লায়েন্ট আকর্ষণ করতে সহায়তা করবে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি সফল করতে করণীয়

গুণগত সেবা প্রদান:

আপনার ক্লায়েন্টদের সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদান করতে হবে। আপনার কাজের মান যদি ভালো হয়, তবে ক্লায়েন্টরা আবার আপনার কাছে আসবে এবং রেফারেল দেবে।

সততা স্বচ্ছতা:

ক্লায়েন্টদের সাথে সততা স্বচ্ছতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন এবং তাদের কাজের আপডেট দিন। যদি কোনো সমস্যা হয়, তবে সেটি ক্লায়েন্টকে জানিয়ে দ্রুত সমাধান করুন।

শেখা উন্নতি করা:

ডিজিটাল মার্কেটিং খাত দ্রুত পরিবর্তনশীল। তাই, আপনাকে সবসময় নতুন ট্রেন্ড এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে শিখতে হবে। আপনার টিমকে প্রশিক্ষণ দিন এবং নিজেদের দক্ষতা উন্নয়ন করুন।

নেটওয়ার্কিং:

ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রিতে নেটওয়ার্কিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ইভেন্ট, ওয়ার্কশপ, এবং কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করুন। এখান থেকে আপনি নতুন ক্লায়েন্ট পেতে পারেন এবং আপনার ব্যবসা সম্পর্কে প্রচার বাড়াতে পারবেন।

 ১ লাখ টাকার মধ্যে বাংলাদেশে শুরু করার মতো ৫টি লাভজনক ব্যবসা

ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি ব্যবসা শুরু করা আজকের দিনে একটি লাভজনক এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে, এবং এই খাতে সঠিক পরিকল্পনা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।

আশা করি আজকের আলোচনা থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েছেন। সঠিক পরিকল্পনা, দক্ষতা, এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনি আপনার এজেন্সিকে দ্রুত সফল করতে পারবেন।

শেয়ার ব্যবসা কি? কিভাবে করবেন?

বিস্তারিত
১ লাখ টাকার মধ্যে বাংলাদেশে শুরু করার মতো ৫টি লাভজনক ব্যবসা

মাত্র ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে তা অল্পদিনের মধ্যেই কোটি টাকার ব্যবসায় রুপ দেওয়া সম্ভব। তবে এর জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা এবং কার্যকরী পদ্ধতি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য ১ লাখ টাকা খুব বড় অংক না হলেও আজ আমরা আলোচনা করব কিভাবে এত অল্প পূজি দিয়ে ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেলবেন। আজ আমরা বেশ কয়েকটি বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো ১ লাখ টাকার মধ্যে শুরু করা সম্ভব।

 

১. ক্যাটারিং সার্ভিস

বিভিন্ন অফিস বা দোকানে ব্যস্ত জীবনের দুপুরের খাবারের সহজ সমাধান হল ক্যাটারিং সার্ভিস। ক্যাটারিং সার্ভিস বলতে মূলত খাবার প্রস্তুত ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে বুঝায়। ক্যাটারিং সার্ভিসে টার্গেট কাস্টমার হবে চাকরিজীবী এবং বিভিন্ন দোকানদার। তাদের সাথে দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক চুক্তির মাধমে খাবার সরবরাহ করতে হবে। কোনো অফিস বা স্পেস ভাড়া না নিয়ে বাসায় থেকেই এ ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। এবার আসি কিভাবে শুরু করবেন ক্যাটারিং সার্ভিস ব্যবসা।

প্রথমে খাবার প্রস্তুতকারী অর্থাৎ রাধুনি নির্ধারন করে নিতে হবে। আপনি নিজে বা পরিবারের কেউ এ দায়িত্ব নিতে পারেন। অথবা রাধুনি নিয়োগ দিতে পারেন। তারপর খাবারের মেনু ঠিক করে নিতে হবে। ন্যূনতম ৫ থেকে ৬ টি মেনু ঠিক করে নিতে হবে। বাংলাদেশে দুপুরের খাবারে সাধারনত ভাত তরকারি থাকে। তাই মেনুর মধ্যে ভাত, পোলাউ, মাছ, মাংস, ডাল ইত্যাদি আইটেমকে প্রাধান্য দিতে হবে।

তারপর বিজ্ঞাপনের কাজ শুরু করে দিতে হবে। বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে অফলাইন এবং অনলাইন দুইভাবেই প্রচার করা যেতে পারে। অফলাইনের ক্ষেত্রে ভিজিটিং কার্ড বা পোস্টার ব্যবহার করতে হবে। এবং বিভিন্ন অফিস আদালতে যে লোকেরা পত্রিকা সরবরাহ করে তাদের সাথে কন্টাক্ট করে পত্রিকার সাথে করে বিজ্ঞাপনের পোস্টার দিলে তা তুলনামূলক বেশি নজরে আসবে।

এভাবে বিজ্ঞাপন দেওয়ার কিছুদিনের ভিতর অর্ডার আসা শুরু করবে। কোনো একটা অফিস থেকে  ২/৩ জন কাস্টমার আসলে তাদের দেখাদেখি ওখান থেকে আরও কাস্টমার আসা শুরু করবে। তাই খাবারের মানের দিকে ফোকাস দিতে হবে।

এখানে আমরা যে ক্যাটারিং ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করলাম এটা মূলত ড্রপ-অফ-ক্যাটারিং সার্ভিস। এ ব্যবসা শুরু করতে খুব সামান্য পুঁজি দরকার হবে। বিজ্ঞাপন খরচ, রান্না করতে প্রয়োজনীয় বাসন-পত্র আর খাবার সরবরাহের জন্য জিনিসপত্র কিনতে যা খরচ শুধু তাই ই। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করেই এ ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।

 

২. অনলাইন নার্সারি

বর্তমান বাংলাদেশে নতুন পরিচিত হওয়া ব্যবসাগুলোর মধ্যে অনলাইন নার্সারি ব্যবসা অন্যতম একটি। অনলাইনে নার্সারি ব্যবসা করার জন্য আপনাকে ছোটোখাটো ভাবে একটি নার্সারি দিতে হবে। ছোটোখাটো বলতে ১ থেকে ২ কাঠা জমির মধ্যে দিতে পারেন। এতে অনলাইনের কাস্টমারের পাশাপাশি সরাসরি গাছ বিক্রি করা যাবে।

তবে আরেকটি উপায় আছে। আশেপাশে কোনো নার্সারি থাকলে তাদের সাথে চুক্তি করে নিতে পারেন। আপনার অর্ডার আসলে তাদের থেকে নিয়ে বিক্রি করবেন।

অনলাইন নার্সারি ব্যবসা করার জন্য প্রথমে একটি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম পেইজ খুলে নিতে হবে। সেখানে গাছ, ছাদ বাগানের গাছ বা বারান্দার গাছের যত্ন নিয়ে পোস্ট করতে হবে। এতে ফলোয়ার বাড়বে। মনে রাখতে হবে এ ফলোয়াররাই পটেনশিয়াল কাস্টমার। কিছুদিন যাওয়ার পর সেল পোস্ট দেওয়া শুরু করতে হবে।

সেল পোস্ট দেওয়ার পর পোস্ট বুস্টিং করতে হবে। অনলাইনে নার্সারি ব্যবসা করলে শুধু যে গাছ বা গাছের চারা বিক্রি হবে এমনটা নয়। এর সাথে আরও অনেক ধরনের পন্যও বিক্রি করা যাবে। যেমন...

  • গাছের বীজ
  • বিভিন্ন গাছের জন্য উপযুক্ত মাটি
  • সার
  • গাছের টব (প্লাস্টিক, মাটি, কাচ বা সিরামিকের টব)
  • কীটনাশক
  • পানি দেওয়ার পাত্র
  • গাছের যত্ন নেওয়া বা সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র
  •  হরমোন পাউডার ইত্যাদি

এ ব্যবসা শুরু করতে গেলে খুবই অল্প টাকা লাগবে পুঁজি হিসেবে। নিজে সরাসরি নার্সারি না দিয়ে অন্য কোনো নার্সারির সাথে চুক্তি করে ব্যবসা শুরু করলে কিছু টব, সার, কীটনাশক পাইকারি কেনা বাবদ টাকা, ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন চালানো বাবদ খরচ সব মিলিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পূঁজি দিয়েই শুরু করা যাবে। ধীরে ধীরে কাস্টমার আসা শুরু করলে বিজ্ঞাপন বাবদ খরচ কমিয়ে দিলেও হবে। এ ব্যবসায় পন্যের মান ভালো ধরে রাখতে পারলে রিপিট কাস্টমার আসবে।

তবে নিজে সরাসরি নার্সারি দিলে তাতে নার্সারির জন্য জায়গা ভাড়া নেওয়া, গাছ-মাটি কেনা, গাছে পানি দেওয়াসহ অন্যান্য খরচ মিলে আরও ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার মধ্যে এ ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।

 

৩. অনলাইনে কোর্স বিক্রি করা

আপনি যদি কোনো একটি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনে ঐ বিষয়ের উপর কোর্স তৈরি করে বিক্রি করে ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন। অনলাইনে কোর্স বিক্রি করার একটি বড় সুবিধা হল, বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে আপনি কাস্টমার পাবেন। আর এ কোর্স তৈরি করা এবং বিক্রি করার জন্য বড় আকারের কোনো মূল্ধনের প্রয়োজন নেই। একবার একটি কোর্স তৈরি করলে তা বারবার বিক্রি করা যাবে, যা আপনাকে এনে দিবে প্যাসিভ ইনকাম।

এবার আসি কিভাবে শুরু করবেন। প্রথমে বিষয়বস্তু নির্ধারন করে নিতে হবে। অবশ্যই এমন বিষয় ঠিক করে নিবেন যেটায় আপনি নিজে দক্ষ এবং বাজার চাহিদাও আছে। তারপর ঐ বিষয়ে অন্য যারা কোর্স তৈরি করে তাদের কোর্স দেখে নিবেন। তাদের কোর্সের দুর্বলতা খুজে বের করে নিজের কোর্স তৈরিতে সেসব বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। তারপর ভিডিও তৈরি করে সাথে শিক্ষার্থীদের জন্য নোট, প্র্যাকটিস শীট, কুইজ ইত্যাদি তৈরি করতে পারেন।

তারপর প্লাটফর্ম নির্বাচন করুন। কোর্স বিক্রি করার জন্য বেশ কয়েকটি প্লাটফর্ম রয়েছে। যেমন-

  • ·         উডেমি (Udemy)
  • ·         টিচেবল (Teachable)
  • ·         থিংগিফিক (Thinkific)

এসব প্লাটফর্মে কোর্স আপলোড করার পর তা বিক্রি করার জন্য মার্কেটিং করতে হবে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং লিংকড-ইনে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে অর্থাৎ অন্যদের দিয়ে কোর্সের প্রচার করাবেন এবং তাদের কমিশন দিবেন। উপরে দেওয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার ছাড়াও কোর্স বিক্রি করা যাবে। সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করে কোর্স বিক্রি করা যাবে।

৪.কাগজের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা

কাগজের ব্যাগ এখন একটি জনপ্রিয় এবং প্রয়োজনীয় পণ্য হয়ে উঠেছে। এই চাহিদার প্রেক্ষিতে, কাগজের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা এখন একটি লাভজনক উদ্যোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রথমে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কাগজের ব্যাগ উৎপাদন করতে হবে। এতে অল্প পূঁজি দিয়ে শুরু করা যাবে। পাইকারিভাবে ১০০ – ২০০ কেজি কাগজ, আঁঠা এবং অন্যান্য উপকরন কিনে নিতে হবে। ব্যাগ তৈরি করে তা সরাসরি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে হবে।

ম্যানুয়াল সরঞ্জাম এবং উপকরণ কিনতে ৩০,০০০৳ থেকে ৪০,০০০৳ খরচ হবে। কাগজ তৈরির কাঁচামাল কিনতে ২০,০০০৳ থেকে ২৫,০০০৳ খরচ হবে। সবমিলিয়ে ৫০,০০০৳ থেকে ৭০,০০০৳ বিনিয়োগ করে এ ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।

এক লাখ টাকার মধ্যে খুব ছোট আকারে কাগজের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। তবে এটি হবে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এবং সীমিত উৎপাদনের মধ্যে। যদি ব্যবসাটি লাভজনকভাবে চালাতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বিনিয়োগ করে অটোমেটিক মেশিন কিনে এবং উৎপাদন বাড়িয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবেন।

৫.বেকারি ব্যবসা

ছোট পরিসরে বেকারি ব্যবসা শুরু করা কম খরচে একটি লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে। এক লাখ টাকার মধ্যে বাড়ি থেকেই মজাদার কেক, কুকি, এবং অন্যান্য বেকারি পণ্য তৈরি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি শুরু করা সম্ভব, যা ক্রমে একটি সফল ব্যবসায় পরিণত হতে পারে।

এ ব্যবসা শুরু করার আগে মার্কেট টার্গেট করে নিতে হবে এবং ঐ মার্কেটের কাস্টমারদের পছন্দ অপছন্দ নিয়ে জানতে হবে। কী ধরনের পণ্য (কেক, পাউরুটি, বিস্কুট ইত্যাদি) বেশি জনপ্রিয় তা বোঝার চেষ্টা করুন। প্রাথমিকভাবে কিছু জনপ্রিয় পণ্য (যেমন কেক, মাফিন, কুকি) তৈরি করে বিক্রি শুরু করুন। তারপর মেনু ঠিক করে উৎপাদন এবং বিক্রি শুরু করে দিন।

এ ব্যবসা শুরু করতে প্রথমে বেকিং সরঞ্জাম কিনতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হবে। আর বিভিন্ন কাঁচামাল কিনতে আরও ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাগবে। পন্য প্যাকেজিং, বিপণন এবং অন্যান্য খরচ বাবদ আরও ২০ হাজার টাকা লাগবে। অর্থাৎ ৭০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যেই এ ব্যবসা দাঁড় করানো যাবে।

ক্যাটারিং সার্ভিস, অনলাইন নার্সারি, অনলাইনে কোর্স বিক্রি, কাগজের ব্যাগ তৈরি, এবং বেকারি ব্যবসাএমন কিছু উদ্যোগ যা অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এবং সঠিকভাবে পরিচালনা করা হলে বড় আকারের লাভজনক ব্যবসায় রূপান্তরিত হতে পারে। প্রতিটি ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে মনোযোগ, পরিশ্রম, এবং ধৈর্যের প্রয়োজন, যা ভবিষ্যতে আরও বড় বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে। সঠিকভাবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে পারলে, এই ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলোই হতে পারে আপনার ভবিষ্যতের বিশাল সাফল্যের ভিত্তি।

বিস্তারিত
সৌদি আরবে প্রবাসীদের জন্য সেরা ১০টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

সৌদি আরবে প্রবাসী বা যেকোনো দেশে প্রবাসী হিসেবে জীবনযাপন করার সময় অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। তবে, সৌদি আরবে প্রবাসী জীবন মানেই যে সবসময় অন্যের অধীনে কাজ করতে হবে, তা নয়। যেসব সৌদি আরবে প্রবাসী নিজস্ব ব্যবসার মাধ্যমে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে চান, তাদের জন্য সৌদি আরবের বাজারে রয়েছে অনেক সুযোগ। এখানে আমরা আলোচনা করবো সৌদি আরবে প্রবাসীদেরজন্য কিছু লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া, যা আপনাকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হতে সহায়তা করবে।

 আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা: 

সৌদি আরব একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র, যেখানে বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য, কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, এবং গার্মেন্টস পণ্যগুলির চাহিদা অনেক বেশি। আপনি বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি যদি বাংলাদেশি হয়ে থাকেন তাহলে তাহলে সৌদি আরবে আমদানি রপ্তানি ব্যবসা করার সুযোগ সুবিধা অন্যদের তুলনায় বেশি পাবেন। বাংলাদেশি খাদ্যদ্রব্য যেমন মাছ, শাক-সবজি, বিভিন্ন আঁচার ইত্যাদি পন্যের চাহিদা সৌদি আরবের স্থানীয় এবং বাংলাদেশিসহ অন্যান্য প্রবাসীদের মধ্যেও বেশি। একজন সৌদি আরবে প্রবাসী হিসেবে আপনি আবার বাংলাদেশ থেকে ভালো মানের গার্মেন্টস আইটেম নিয়ে সহজেই ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। 

খাবারের দোকান বা রেস্টুরেন্ট: 

সৌদি আরবে নানা ধরনের খাবারের প্রতি মানুষের আগ্রহ রয়েছে। আপনি যদি বিভিন্ন দেশের খাবার রান্না করতে জানেন, তবে একটি খাবারের দোকান বা রেস্টুরেন্ট চালু করতে পারেন। বিশেষ করে, বাংলাদেশী, ভারতীয়, এবং পাকিস্তানী খাবারের জনপ্রিয়তা রয়েছে এখানে। এছাড়া, স্বাস্থ্যসম্মত হালাল খাবার সরবরাহ করেও আপনি ভালো লাভ করতে পারেন।
সৌদি আরবে প্রবাসী হিসেবে আবার আবার যৌথভাবেও শুরু করতে পারেন খাবারের দোকান বা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। আপনি বাংলাদেশি রান্না জানলে, ভারতীয় এবং পাকিস্তানি রান্না জানা লোককে শেয়ারে নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অথবা ভিন্ন ভিন্ন দেশের স্বাদ দেওয়ার জন্য কয়েকজন রাধুনি নিয়োগ দিতে পারেন। এতে একটু বেশি পূজি দরকার হবে।

কনস্ট্রাকশন বা নির্মাণ ব্যবসা:

সৌদি আরবে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে, যা কনস্ট্রাকশন ব্যবসার জন্য একটি ভালো সুযোগ। আপনি যদি নির্মাণ শিল্পে অভিজ্ঞতা রাখেন, তবে একটি নির্মাণ কোম্পানি গঠন করে কাজ করতে পারেন। বিশেষ করে, বাণিজ্যিক এবং আবাসিক ভবন নির্মাণে আপনার দক্ষতা কাজে লাগতে পারেন।

আইটি এবং ডিজিটাল সার্ভিস:

সৌদি আরবে প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আইটি এবং ডিজিটাল সার্ভিসের চাহিদা বৃদ্ধি করেছে। আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, বা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে দক্ষ হন, তবে আপনি এই সেক্টরে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়া, -কমার্স সাইট নির্মাণ বা পরিচালনার সেবাও দিতে পারেন।

প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস:

অনেক প্রবাসী সৌদি আরবে দীর্ঘমেয়াদি থাকার জন্য সম্পত্তি কিনে থাকেন। তবে, দেশে যাওয়ার সময় তাদের সম্পত্তি পরিচালনার জন্য একজন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির প্রয়োজন হয়। প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস প্রদান করে আপনি এই চাহিদা পূরণ করতে পারেন। এটি একটি লাভজনক ব্যবসার সুযোগ হতে পারে।

গৃহস্থালি সেবা (হাউজহোল্ড সার্ভিস):

সৌদি আরবে অনেক পরিবারের জন্য গৃহস্থালি সেবা, যেমন পরিচ্ছন্নতা, রান্না, এবং বাচ্চাদের যত্ন একটি প্রয়োজনীয় সেবা। আপনি যদি দক্ষ কর্মী সংগ্রহ করতে পারেন, তবে এই ধরনের সেবা প্রদান করে একটি ভালো ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসায় আপনি অন্য প্রবাসীদের চাকরি দিবেন। এক্ষেত্রে দক্ষ কর্মী সংগ্রহ করে তাদের প্রশিক্ষন দিতে হবে।

অটোমোবাইল সার্ভিস সেন্টার:

সৌদি আরবে গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি, যা অটোমোবাইল সার্ভিসের চাহিদা বৃদ্ধি করেছে। আপনি যদি গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ বা মেরামতের কাজ জানেন, তবে একটি অটোমোবাইল সার্ভিস সেন্টার চালু করতে পারেন। এটি একটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে।

টিউশন বা ট্রেনিং সেন্টার:

প্রবাসী পরিবারগুলির মধ্যে অনেকেই সন্তানের শিক্ষার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেন। আপনি যদি ভালো শিক্ষক হন, তবে টিউশন বা ট্রেনিং সেন্টার চালু করতে পারেন। বিশেষ করে, ইংরেজি, গণিত, এবং বিজ্ঞান বিষয়ে টিউশন বা আইইএলটিএস এবং টোফেল প্রস্তুতির কোর্স চালু করতে পারেন।

আবার আপনি টিউশন মিডিয়া হিসেবে কাজ করতে পারেন। কয়েকজন মিলে বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স করানোর ট্রেনিং সেন্টার খুলতেও পারেন।

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট:

সৌদি আরবে বিভিন্ন সামাজিক কর্পোরেট ইভেন্টের আয়োজন করার চাহিদা রয়েছে। বিয়ে, জন্মদিন, কর্পোরেট মিটিং বা অন্যান্য ইভেন্টের আয়োজন করে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ধরনের সেবা প্রদান করে আপনি ভালো লাভ করতে পারেন। সৌদি আরবে প্রবাসী হিসেবে ব্যবসা শুরু করা একটি সাহসী এবং সম্ভাবনাময় পদক্ষেপ হতে পারে। আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সঠিক এবং পারফেক্ট ব্যবসার আইডিয়া বেছে নিন, এবং ব্যবসার পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে চোখ কান খোলা রাখুন। নিয়মিত বাজার বিশ্লেষণ এবং স্থানীয় আইন নীতিমালা মেনে চলার মাধ্যমে আপনি সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে পারেন।

স্থানীয় আইন ও নীতিমালা বলতে যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে অনেক কাগজপ্ত্র করতে হয়। এসব ঠিক করে ব্যবসা শুরু করতে হবে। অন্যথায় আইনি অনেক ঝামেলায় জড়াতে হবে। একটু অনলাইনে ঘাটাঘাটি করে নিবেন কোন ব্যবসা শুরু করতে আপনি প্রবাসী হিসেবে কি কি কাগজপত্র করা লাগবে। যদি আপনি সঠিক এবং সুন্দরভাবে পরিকল্পনা করেন এবং আপনার ব্যবসার প্রতিটি দিক ভালোভাবে পরিচালনা করেন, তাহলে আপনি অল্প টাকা বিনিয়োগ করে ভালো পরিমান লাভ করতে পারবেন।

যদি আপনি ধৈর্য্য ধরে কাজ করেন, এবং ব্যবসায় লেগে থাকেন তাহলে সৌদি আরবে প্রবাসী হিসেবে একটি সফল ব্যবসা গড়ে তোলা কঠিন কোনো বিষয় নয়।

 

বিস্তারিত
বায়িং হাউজ কিভাবে দিবেন: একটি সম্পূর্ণ গাইড লাইন

বায়িং হাউজ কিভাবে দিবেন: একটি সম্পূর্ণ গাইড লাইন 

গার্মেন্টস শিল্পে বায়িং হাউজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি বায়ার এবং গার্মেন্টসের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করে যা উভয় পক্ষের জন্য সুবিধাজনক হিসেবে কাজ করে ৷ অনেক বায়িং হাউজ আছে যারা নিজেরা উৎপাদন না করেও ব্যবসা পরিচালনা করেন । যদি আপনি একটি বায়িং হাউজ শুরু করতে চান, তবে এই গাইডটি আপনার জন্য। এখানে আমরা বায়িং হাউজ শুরু করার ধাপগুলি আলোচনা করব।

১. বাজার গবেষণা

প্রথম ধাপ:
বায়িং হাউজ করার প্রথম ধাপ হচ্ছে বাজার গবেষণা করা ৷ আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে বাজার জব করতে চাচ্ছেন বা বিদেশ বায়েদের কাছে বিক্রি করতে চাচ্ছেন সেই প্রোডাক্ট নিয়ে আপনাকে অবশ্যই বাজার গবেষণা করতে হবে কোন কোন মার্কেটে আপনি আপনার প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করতে চাচ্ছেন বা কোন দেশীয় মার্কেটগুলো আপনি ধরতে চাচ্ছেন এটা নিয়ে আপনাকে অনেক বিশাল একটি গবেষণা করতে হবে ৷  কোন ধরনের পণ্য বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে, কারা আপনার প্রতিযোগী, এবং তাদের কৌশল কী তা বুঝে নিন।

যেমন আপনি যদি নিটওয়ার আইটেম বিক্রি করার চিন্তা করেন তাহলে আপনাকে কিছু বেসিক আইটেম যেমন টি-শার্ট, সুইট শার্ট,হুডি, বক্সার এই টাইপের প্রোডাক্ট গুলোর কথা চিন্তা করতে হবে এবং এই প্রোডাক্টগুলো আপনি কোন মার্কেটে বিক্রি করবেন সেগুলো আপনার গবেষণা করতে হবে ৷ আপনি যদি এই প্রোডাক্টগুলো ইউরোপের কোন মার্কেটে বিক্রি করতে চান তাহলে সেখানে অনেক হাই ফেব্রিক্স জিএসএম প্রয়োজন হবে ৷ আবার যদি আপনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই বিক্রি করার চিন্তা করেন তাহলে অনেক ল জিএমএস ফেব্রিক্স দিয়ে টি-শার্ট তৈরি করতে হবে ৷

গ্রাহক চাহিদা:
গ্রাহকরা কী চাচ্ছেন এবং কোন দামে তা চাচ্ছেন তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে সঠিকভাবে পণ্য নির্বাচন করতে এবং মূল্য নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। আপনি যে দেশে পন্য রপ্তানি করতে চান সে দেশের ফ্যাশন সম্পর্কে ভালো করে জানুন ৷ যেমন রাশিয়া ঠান্ডা প্রধান দেশ ৷ রাশিয়াতে আপনি জ্যাকেট সেল করতে পারবেন আনেক ভালো দামে ৷ আবার মধ্যপ্রাচ্য গরমের দেশ ৷ সেখানে রাশিয়ার মত জ্যাকেট বিক্রি করতে পারবেন না ৷

২. ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি

ব্যবসায়িক কাঠামোঃ 
আপনার ব্যবসায়িক কাঠামো কী হবে তা নির্ধারণ করুন। এটি একটি সলো প্রোপ্রাইটরশিপ, পার্টনারশিপ, এলএলসি বা কর্পোরেশন হতে পারে। তবে বাংলাদেশে সাধারনত বায়িং হাউজ দিতে তেমন কোন লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না ৷ আপনি চাইলে যে ফ্যাক্টরি থেকে প্রডাক্ট তৈরি করবেন সেখান থেকেই রপ্তানি করতে পারবেন ৷ বাংলাদেশ বায়িং হাউজ এসোসিয়েশন নামে একটা সংগঠন আছে ৷ সেখান থেকে সদস্যপদ নিয়েও ব্যবসা শুরু করতে পারেন ৷ এ জন্য ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে ৷

বাজেট ও অর্থায়ন:
বায়িং হাউজের প্রাথমিক বিনিয়োগ হলো একটা সুন্দর ডেকোরেশন করা অফিস ৷ এই অফিসটি খুব সুন্দরভাবে সাজাতে হবে যাতে করে একজন বায়ার এসে আপনার এবিলিটি সম্পর্কে খুব ভালো ধারনা করতে পারে ৷ এর পরের খরচ হলো মার্কেটিং করার কাজে ৷ যেহেতু বায়ার বাংলাদেশে থাকেনা, বিদেশ থেকে একজন বায়ার বাংলাদেশে নিয়ে আসতে আপনাকে প্রচুর খরচ করতে হবে ৷ সম্ভাব্য যত রকমের মার্কেটিং করা সম্ভব সবকিছুই করতে হবে ৷ অনেক সময় বিদেশের মেলাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন ৷ এক্ষেত্রে ১০-২০ লাখ টাকাও খরচ হয়ে যেতে পারে ৷ 
সুতরাং এসব বিষয় মাথা রেখে সামনে আগাতে হবে ৷

কৌশলগত পরিকল্পনা:
আপনার বায়িং হাউজের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করুন, যেখানে লক্ষ্য, উদ্দশ্য এবং কৌশল নির্ধারণ করা থাকবে। বায়িং হাউজ একটি চলমান এবং দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ৷ হুট করেই বায়ার পেয়ে যাবেন, এটা ভাবা মোটেও ঠিক নায় ৷ এখানে আপনাকে একজন পারফেক্ট বায়ার পেতে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হবে ৷ এই সময়টাতে আপনাকে লং টাইম খরচ করে যেতে হবে ৷ এই পরিমাণ ইনভেস্টমেন্ট এবং ধৈয্য নিয়েই আপনাকে বায়িং হাউজের ব্যাবসায় নামতে হবে ৷

৩. আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন

লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন:


বাংলাদেশে সাধারনত বায়িং হাউজ দিতে তেমন কোন লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না ৷ আপনি চাইলে যে ফ্যাক্টরি থেকে প্রডাক্ট তৈরি করবেন সেখান থেকেই রপ্তানি করতে পারবেন ৷ বাংলাদেশ বায়িং হাউজ এসোসিয়েশন নামে একটা সংগঠন আছে ৷ সেখান থেকে সদস্যপদ নিয়েও ব্যবসা শুরু করতে পারেন ৷ এ জন্য ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে ৷

ট্রেডমার্ক:
আপনি যদি কোন নিজস্ব ব্রান্ড নিয়ে কাজ করতে চান তবে নিজে একটা ইউনিক নাম দিয়ে ট্রেড মার্ক করিয়ে নিতে পারেন ৷ অনেক ফ্যাক্টরি আছেন যারা এসব নিয়ে চিন্তা করেন না ৷ বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা গার্মেন্টস উৎপাদনকারী হয়েও নিজস্ব কোন ব্রান্ডের প্রডাক্ট বিশ্ব বাজারে তৈরি করতে পারেনি ৷ ছোট থেকে যদি সবাই এরকম চিন্তা করে একটা করে ব্রান্ড রেডি করতে পারে তাহলে একসময় আমাদের বায়ার খুজতে হবে না ৷ নিজেরাই একটা ব্রান্ড হতে পারবো ৷ ভিয়েতনামের অনেক ব্রান্ড এখন বিশ্বব্যাপী পপুলার ৷

৪. সাপ্লায়ার ও ম্যানুফ্যাকচারারদের সাথে সম্পর্ক তৈরি

উৎপাদনকারীর নির্বাচন:
যেহেতু আপনি বাইং হাউজ সেহেতু আপনার ফ্যাক্টরি না থাকারই কথা সুতরাং আপনাকে বিভিন্ন ফ্যাক্টরি থেকে প্রডাক্ট সোর্সি করতে হবে যে জন্য বিশ্বস্ত এবং মানসম্পন্ন উৎপাদনকারীদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করুন। তাদের উৎপাদন ক্ষমতা, গুণগত মান এবং ডেলিভারি সময় সম্পর্কে নিশ্চিত হন। প্রথমত আপনি তাদের কাছ বিভিন্ন প্রডাক্টের স্যাম্পল কালেক্ট করুন ৷ তাদের থেকে বাল্ক ওর্ডারের প্রাইস নেগোসিয়েশন করুন ৷ এতে করে যখনই আপনি কোন ওর্ডার পাবেন, সাথে সাথেই বায়ারকে আপনি প্রাইস দিতে পারবেন ৷

৫. টিম গঠন ও প্রশিক্ষণ

বিশেষজ্ঞ দল:

একটি দক্ষ এবং অভিজ্ঞ দল গঠন করুন। প্রোডাক্ট ম্যানেজার, কাস্টমার সার্ভিস প্রতিনিধি, কোয়ালিটি কন্ট্রোল এক্সপার্ট ইত্যাদি পদে লোক নিয়োগ করুন। বিশেষ করে আপনাকে মার্চেন্ডাইজার নিয়োগ করতে হবে কারণ তারা আপনার প্রোডাক্ট এর কস্টিং করতে সাহায্য করবে এবং বায়ারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে ৷ বিভিন্ন ফ্যাক্টরি থেকে যখন আপনি প্রোডাক্ট তৈরি করতে যাবেন তখন মার্চেন্ডাইজারদের একটি বিশাল ভূমিকা থাকবে কারণ তারা ফ্যাক্টরি এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের মাঝে একটি সেতুবন্ধ হিসেব কাজ করবে ৷ প্রডাক্টের কোয়ালিটি ঠিক রাখা, সঠিক পরিমাণ প্রডাক্ট উৎপাদন করা ইত্যাদি বিষয় মার্চেন্ডাইজাররাই তদারকি করে থাকে ৷

৬. কার্যকর মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং

কোম্পানি পরিচিতি:
একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড পরিচিতি গড়ে তুলুন। লোগো, ওয়েবসাইট, এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল তৈরি করুন। একটা সুন্দর করে সাজিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজগুলো করে রাখবেন ৷ এতে মোটামুটি প্রাথমিকভাবে ভালো একটা ইনভেস্টমেন্ট বাজেট রাখবেন ৷ যেমন এক থেকে দুই লাখ টাকার মত খরচ করে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে সেই ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করিয়ে নেবেব ৷ বর্তমানে পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি অনেক ফ্রিল্যান্সার পাবেন যেমন আপ ওয়ার্ক, ফাইবার ৷ মোটামুটি এই সমস্ত ওয়েবসাইট থেকে আপনি খুব কম খরচে একজন ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে নিতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং এসইও কমপ্লিট করার জন্য ৷ মনে রাখবেন শুধুমাত্র ওয়েবসাইট তৈরি করলেই হবেনা আপনাকে অবশ্যই সেটার সঠিক সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করিয়ে নিতে হবে না হলে ওয়েবসাইট দিয়ে আপনি বায়ার পাওয়ার আশা করতে পারবেন না ৷ আর ঠিক মত সারসিফিন অপটিমাইজেশন করিয়ে নিতে পারলে আপনি ওয়েবসাইট দিয়েও অনেক বায়ার পেতে পারবেন ৷ 

মার্কেটিং কৌশল:
বিভিন্ন মার্কেটিং চ্যানেলের মাধ্যমে আপনার বায়িং হাউজের প্রচার করুন। সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং, এবং অনলাইন বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে গ্রাহকদের আকর্ষণ করুন। কিভাবে আপনি অনলাইন থেকে বা অফলাইন থেকে আপনার বাইং হাউজের জন্য বায়ার পাবেন সেটি নিয়ে আমাদের আরেকটি বিস্তারিত পোস্ট রয়েছে নিচের লিং থেকে সেটা বিস্তারিত দেখে নিবেন ৷ এখানে আমি সরাসরি ইমেইল মার্কেটিং এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলাম আশা করি এটি আপনারা এখান থেকে দেখে উপকৃত হবেন ৷

সরাসরি ইমেইল মার্কেটিং

ইমেইল লিস্ট সংগ্রহ:
বিভিন্ন বিজনেস ডিরেক্টরি এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে বায়ারদের ইমেইল সংগ্রহ করুন। তারপর তাদের কাছে আপনার পণ্যের তথ্যসহ ইমেইল পাঠান।

নিচে কিছু বিজনেস ডিরেক্টরী এবং ডাটাবেজের ঠিকানা দেওয়া হল এগুলো থেকে আপনি প্রাথমিকভাবে ফ্রিতে কিছু বায়ারের ইমেইল লিস্ট কালেক্ট করতে পারবেন তবে বেশি পরিমাণে কালেক্ট করতে গেলে সেখানে আপনি পেইড অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে ৷

Business Directories and Databases:

LinkedIn Sales Navigator: Allows you to filter and find business owners based on various criteria.

ZoomInfo:Provides detailed information about businesses and their key contacts.

Hoover's: Offers business data, including contacts for many companies.

Dun & Bradstreet: Has a comprehensive database of business information.

UpLead: Offers access to business contacts and email lists.

Lead411: Provides targeted sales leads and email lists.

InfoUSA: Sells business contact lists that can be filtered by various criteria.


ইমেইল মার্কেটিং:
একটি প্রফেশনাল ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করুন, যেখানে আপনার পণ্যের বিবরণ, ছবি এবং আপনার কোম্পানির তথ্য থাকবে। এটি বায়ারদের আকর্ষণ করতে সাহায্য করবে।
একটা বিষয় মনে রাখবেন সেটি হচ্ছে যে আপনি যদি নিজে হাজার হাজার বায়ারের কাছে একত্রে ইমেইল পাঠাতে চান সেটি আপনার জন্য অনেক ডিফিকাল্ট হয়ে যাবে ৷ কারণ আপনার নিজস্ব ইমেইল দিয়ে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ইমেইল পাঠাতে পারবেন এবং একই ইমেইল যদি মানুষের কাছে বারবার ফরওয়ার্ড করে সে ক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব ইমেইল আইডি স্পাম হিসেবে ধরে নিতে পারে এবং সেই ক্ষেত্রে আপনার সমস্ত ইমেইল বায়ারের স্পাম বক্সে গিয়ে জমা হবে এবং অনেক ক্ষেত্রে বায়াররা ইমেইল গুলি ওপেন করে দেখেন না এজন্য আপনি প্রফেশনালদের থেকে অল্প কিছু টাকা খরচ করে সার্ভিস নিতে পারেন ৷

বাল্ক ইমেইল সেন্ডিং সার্ভিস নিতে হলে আপনি ফাইবার থেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে নিতে পারেন ৷ এক্ষেত্রে আপনাকে ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা সর্বোচ্চ খরচ করা লাগতে পারে ৷ এই টাকা দিয়ে তারা আপনাকে প্রতি দিন পাঁচ থেকে দশ হাজার ইমেল আইডিতে মেইল করার ব্যবস্থা করে দেবে ৷ সুতরাং এটা আপনার জন্য বেস্ট হবে ৷ নিজে একটা একটা করে মেইল যদি আপনি পাঠাতে চান সেক্ষেত্রে আপনার প্রচুর সময় লাগবে ৷


উপসংহার
বায়িং হাউজ শুরু করা একটি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা, দক্ষ টিম, মানসম্পন্ন সাপ্লায়ার, এবং কার্যকর মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করে আপনি সফল হতে পারেন। উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার বায়িং হাউজকে একটি সফল ব্যবসায় পরিণত করতে পারবেন।

বিস্তারিত
পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

আজকের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে শুধুমাত্র একাডেমিক জ্ঞান দিয়ে সফল হওয়া কঠিন। আনার সবাই যে কেবল পড়াশুনা করে চাকরি করবে সেটাও ঠিক নয়৷ অনেকেরই ইচ্চা থাকে পড়াশুনা শেষ করে ব্যবসা শুরু করবেন ৷ শিক্ষার্থীরা এখন নিজেদের পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা এবং ভবিষ্যত জীবেনর জন্য বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের চেষ্টা করছে। এই আর্টিকেলে আমরা পড়ালেখার পাশাপাশি কি ধরনের ব্যবসা শুরু করা যায় এবং পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসা করার চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করব।

পড়ালেখার পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায়: কিছু সম্ভাব্য ধারণা


এখানে আমরা কিছু সম্ভাব্য ব্যবসার ধারণা নিয়ে আলোচনা করব, যা শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি করতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং:
সবচেয়ে কম ইনভেষ্টে ছাত্ররা শুরু করতে পারে ফ্রিল্যান্সিং ৷

১. লেখালেখি:
যারা লেখালেখিতে দক্ষ, তারা ফ্রিল্যান্স রাইটিং বা ব্লগিং করতে পারে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং কোম্পানি কনটেন্ট লেখার জন্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজে থাকে। বর্তমানে কনটেন্ট রাইটারদের খুব ভালো চাহিদা আছে ৷ ওয়েবসাইটে কন্টেট লেখার জন্য অনেক বড় বড় আর্টিকেল রাইটের হায়ার করে থাকে ৷ যত ভালো মান সম্পন্য আর্টিকেল লিখতে পারবেন, তত ভালো টাকা আয় করা সম্ভব ৷

২. গ্রাফিক ডিজাইন:
গ্রাফিক ডিজাইনে দক্ষ শিক্ষার্থীরা ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনিং কাজ করতে পারে। বিভিন্ন কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠান তাদের ডিজাইন প্রয়োজন মেটানোর জন্য ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করে থাকে। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশী চাহিদা হলো গ্রাফিক ডিজাইনারদের ৷ সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং সব কোম্পানীরাই করে থাকে ৷ গ্রাফিক ডিজাইনারদের কাজ হলো সোসাল মিডিয়ার পোষ্ট গুলি সুন্দর ভাবে তৈরি করা ৷ এছড়া ই কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য প্রডাক্টের ছবি তৈরি করতেও গ্রাফিক ডিজাইনারদের ব্যাপক কদর রয়েছে ৷

৩. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট:
যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্টে দক্ষ, তারা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট তৈরি এবং মেইনটেনেন্সের কাজ করতে পারে।  ওয়েবসাইট তৈরি করা তেমন কঠিন কাজ নয় ৷ ওয়েবসাইট তৈরির ল্যাংগুয়েজ গুলি ২-৩ বছরের মধ্যে রপ্ত করা যায় ৷
এ ছড়া কিছু CMS আছে যেগুলি দিয়ে খুব সহযেই ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় ৷ যেমন ওয়ার্ড প্রেস দিয়ে খুব সহযেই ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব ৷ এবং ওয়ার্ড প্রেস সেখা তেমন কোন কঠিন কাজ না ৷ আজকাল অনলাইনে টিউটোরিয়াল দেখেও আপনি ওয়ার্ড প্রেস শিখতে পারবেন ৷

অনলাইন ব্যবসা:


১. ই-কমার্স:
বাংলাদেশে অনলাইনে ই কমার্স ব্যবসা করা খুবই সহয ৷ তেমন কোন লাইসেন্স প্রয়োজম হয়নি বলে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ই-কমার্স সাইট, সোসাল নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইট যেমন ফেসবুক, ইউটিউবে পণ্য বিক্রি করা যেতে পারে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হ্যান্ডমেড পণ্য, ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট, গার্মেন্টস আইটেম বিক্রি করতে পারেন ৷

২. ড্রপশিপিং:
ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করা সহজ এবং কম মূলধনে করা যায়। এতে শিক্ষার্থীরা তৃতীয় পক্ষের সরবরাহকারীর কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে গ্রাহকদের কাছে সরাসরি পাঠিয়ে দেয়। বাংলাদেশে বসে অনেকেই এ্যামাজনে ড্রপ সিপিং ব্যবসা করতে পারেন ৷ অনলাইনে খুজলে অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন যেগুলি দিয়ে শিখতে পারেন কিভাবে আপনি এ্যামাজনে ড্রপ শিপিং ব্যবসা করতে পারেন ৷

টিউশনি:

১. একাডেমিক টিউশন:
যারা একাডেমিকভাবে ভালো, তারা ছোট বা বড় শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন দিতে পারে। এটি একটি প্রচলিত এবং লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। নিজে টিউশন করার পাশাপাশি কোচিং সেন্টার খুলেও ব্যবসা করা সম্ভব ৷ অনেকেই কোচিং সেন্টার খুল ভালো মানের আয় করে থাকেন ৷ সেখানে ব্যাচ আকারে ২০-৩০ জন লোক একত্রে পড়িয়ে থাকেন ৷ নিজে শিক্ষকতা করার পাশাপাশি বেতন ভুক্ত শিক্ষকও নিয়োগ দিয়ে থাকেন ৷

২. ভাষা শিক্ষা:
যারা একাধিক ভাষায় দক্ষ, তারা ভাষা শেখানোর ক্লাস নিতে পারে। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ভাষা শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। ইংরেজিতে দক্ষ হতে পারলে এটা অনলাইনে শিখিয়ে আপনি অনেক ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন ৷
এছাড়া বাংলাদেশে আরবি শিক্ষার একটা ব্যপক চাহিদা আছে ৷ এখন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা অনলাইনে আরবি শিক্ষা দিয়ে থাকেন ৷ এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠান আছে যারা অনলাইনে শিক্ষাদানের কাজ করে থাকেন ৷

হস্তশিল্প ও কারুকার্য:

১.হ্যান্ডমেড জুয়েলারি:
শিক্ষার্থীরা হ্যান্ডমেড জুয়েলারি তৈরি করে স্থানীয় বাজার বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারে। এটা খুব সহয একটা কাজ ৷ অনেকেই বাংলাদেশে মাটির জুয়েলারী, কাঠের জুয়েলারী, ফাইবারের জুয়েলারী তৈরি করে অনেকেই অনলাইনে বা অফলাইনে বিক্রি করে থাকেন ৷

২.আর্ট এবং ক্রাফ্টস:
যারা শিল্পকর্মে পারদর্শী, তারা তাদের তৈরি আর্ট ও ক্রাফ্টস বিক্রি করতে পারে। যেমন অপনি বিভিন্ন চিত্র কর্ম তৈরি করে সেটা অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন ৷ তেমন কোন ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন হবে না ৷ কিছু কালি আর আর্ট কাপড়ের প্রযোজন হবে ৷

অন্যান্য ব্যবসা:

১. ফটোগ্রাফি:
যারা ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী, তারা ইভেন্ট ফটোগ্রাফি, পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি, বা স্টক ফটোগ্রাফি করে আয় করতে পারে। বর্তমানে ফটোগ্রাফির ব্যপক চাহিদা আছে মার্কেটে ৷ বিশেষ করে লোকাল অনুষ্ঠানগুলিতে ফটোগ্রাফির ব্যপক চাহিদা এবং ভালো আয়ের সুযোগ রয়েছে।

২. ফিটনেস ট্রেনিং:
যারা ফিটনেসে আগ্রহী এবং জ্ঞান রাখে, তারা পার্সোনাল ট্রেনার হিসেবে কাজ করতে পারে। বিভিন্ন জিম বা ফিটনেস সেন্টারে এই ধরনের ট্রেনারদের প্রয়োজন হয়।

এবার আমরা জানবো পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসা করার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে ৷


চ্যালেঞ্জসমূহ:

১. সময় ব্যবস্থাপনা:
পড়ালেখা এবং ব্যবসা উভয়েই প্রচুর সময় এবং মনোযোগের প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের অনেক সময়ই উভয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে কঠিন হয়ে যায়।

২. অর্থনৈতিক চাপ:
একটি ব্যবসা শুরু করতে এবং চালাতে প্রাথমিক মূলধনের প্রয়োজন হয়। অনেক শিক্ষার্থীর জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়, বিশেষ করে যদি তাদের কোন নির্দিষ্ট মুলধনের যোগান না থাকে। কারন অধিকাংশ সময় বাংলাদেশের অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের বিস্বাস করতে চায়না ৷ এবং তারা চায়না পড়াশুনা ছাড়া অন্য কিছু পাশাপাশি করুক ৷ ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য মুলধন যোগাড় করাটাই সবচেয়ে বড় টেনশনের কারন হয়ে থাকে ৷

৩. মানসিক চাপ:
ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জ এবং একাডেমিক চাপ একসঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দীর্ঘ সময় কাজ করা, ব্যবসায়িক ব্যর্থতা, এবং পরীক্ষার চাপ সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক চাপের কারণ হতে পারে।

৪. অভিজ্ঞতার অভাব:
প্রথমবারের মতো ব্যবসা শুরু করা শিক্ষার্থীদের অনেকেই অভিজ্ঞতার অভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হতে পারে। এটি তাদের ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অধিকাংশ সময় ভুল ইনভেস্টমেন্টের কারনে তারা মুলধন হারিয়ে ফেলে ৷

সম্ভাবনাসমূহ:


১. আর্থিক স্বনির্ভরতা:
পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসা করলে শিক্ষার্থীরা নিজের খরচ নিজেই বহন করতে পারে, যা তাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করে।

২. বাস্তব অভিজ্ঞতা:
ব্যবসা পরিচালনা করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জন করে, যা তাদের ভবিষ্যতের পেশাগত জীবনে সহায়ক হতে পারে।

৩. নেটওয়ার্কিং:
ব্যবসা করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে, যা তাদের নেটওয়ার্কিং দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

৪. নতুন দক্ষতা অর্জন:
ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব, সময় ব্যবস্থাপনা, এবং যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত করতে পারে। এই দক্ষতাগুলি তাদের পেশাগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সর্বপরি পড়াশুনার পাশাপাশি ব্যবসার মাধ্যমে ছোট থেকে আমাদের একটা স্বনির্ভরতা গড়ে উঠে ৷ ফলে আমরা

উপসংহার:
পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনা করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ, কিন্তু এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অসংখ্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা, সময় ব্যবস্থাপনা, এবং সমর্থনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সফলভাবে এই দুটি ক্ষেত্রেই উন্নতি করতে পারে।

বিস্তারিত
কেন টি-শার্টের ব্যবসা করবেন?

কেন টি-শার্টের ব্যবসা করবেন ?

টি-শার্ট একটি বহুল ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় পোশাক। সহজলভ্যতা, আরামদায়কতা এবং বহুমুখীতা এ পোশাকটিকে সকল বয়সী মানুষের প্রিয় করে তুলেছে। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশী বিক্রিত পোষাক হলো টি শার্ট ৷ এটিকে আপনি ডিসপোজেবল পোষাক হিসেবে ভাবতে পারেন ৷ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে আমেরিকাতে প্রতি বছর গড়ে একজন লোক ১০-১৫ টি টি শার্ট ব্যবহার করে থাকে ৷  বাংলাদেশেও টি শার্ট দিন দিন পপুলারিটি পাচ্চে ৷ ফলে টি-শার্টের ব্যবসা একটি লাভজনক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই আর্টিকেলে আমরা টি-শার্ট ব্যবসা করার কিছু কারণ নিয়ে আলোচনা করবো।

১. কম বিনিয়োগ ও সহযে শুরু করা যায় ৷

স্বল্প মূলধন:
টি-শার্টের ব্যবসা শুরু করতে তুলনামূলকভাবে কম মূলধন প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি ডিজাইন এবং অল্প কিছু টি শার্ট নিয়ে ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। আপনি যদি ২০ পিস ইউনিক ডিজাইনের টি শার্ট নিয়ে ব্যবসা করতে চান তবে আপনাকে সর্বোচ্চ ৪০০০-৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে ৷ ৪০০০ টাকার টি শার্ট ক্রয় করে ডিজাইন করার খরচ, বাকি ১০০০ টাকা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন খরচ হবে ৷

সহজলভ্যতা:
বাংলাদেশ যেহেতু একটি গার্মেন্টস রপ্তানি প্রদান দেশ যেহেতু এখানে গার্মেন্টসের সকল প্রকার মালামাল এবং টি-শার্ট খুব সহজেই পাওয়া যায় এবং খুব সহজেই আপনি বাংলাদেশের টি-শার্ট উৎপাদন করতে পারবেন ৷এছাড়া রপ্তানি গার্মেন্টস এভেলেবেল বিধায় আপনি এই পণ্য উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কাঁচামাল যেমন তুলা, পলিয়েস্টার এবং অন্যান্য ফ্যাব্রিক খুব সহজে বাজারে পেয়ে যাবেন।

আপনি চাইলে বিভিন্ন ছোট ফ্যাক্টরি থেকে কম পরিমাণে টি-শার্ট উৎপাদন করিয়ে নিতে পারবেন ৷

২. জনপ্রিয়তা ও চাহিদা

বৈশ্বিক চাহিদা:
টি-শার্টের চাহিদা সর্বত্র বিদ্যমান। এটি একটি বহুমুখী পোশাক যা সব ঋতুতে এবং সব উপলক্ষে পরিধান করা যায়। এজন্য এই পোশাক সবাই পরিধান করে থাকে এবং একটি অনেক বেশি পরিমাণে ক্রয় করা হয় ৷ ফলে আপনি চাইলে এই মার্কেটে একটি টি-শার্টের ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন এটি যেমন লাভজনক তেমনি একটি চাহিদাও অনেক বেশি থাকায় এটি বিক্রি করার জন্য আপনার তেমন বেশি বেগ পেতে হবে না ৷

বিভিন্ন ডিজাইন:
টি-শার্টের নকশা করার সুযোগ অসীম। বিভিন্ন প্রিন্ট, রঙ এবং নকশার মাধ্যমে ভোক্তাদের আকৃষ্ট করা যায়। জনপ্রিয় টপিক, মুভি, সেলিব্রিটি, ইভেন্ট, এবং স্লোগানের প্রিন্ট করা টি-শার্ট ভোক্তাদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। যেটা অন্যান্য পোশাকের ক্ষেত্রে খুবই সীমিত কারণ টি-শার্টে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান বা বিভিন্ন টপিক এবং বিভিন্ন ছবি বিভিন্ন সময় শেয়ার আর প্রিন্ট করে সেগুলি মার্কেটে বিক্রি করা হয়ে থাকে এবং লক্ষ লক্ষ টি-শার্টের ডিজাইন আপনি অনলাইনে পাবেন যেটা অন্যান্য পোষাকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ এই টি-শার্টেই এক মাত্র বিভিন্ন ধরনের প্রিন্ট হয়ে থাকে ৷

৩.লাভজনকতা

উচ্চ মার্জিন:
টি-শার্টের উৎপাদন খরচ কম হওয়ার ফলে লাভের মার্জিন বেশি থাকে। বিশেষ করে কাস্টম ডিজাইন এবং লিমিটেড এডিশনের টি-শার্টের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি লাভজনক। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ট্রেন্ড বাজারে থাকে যেই ট্রেন্ড অনুযায়ী টি শার্ট বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে এবং এক্ষেত্রে আপনি অনেক ভালো পরিমাণে লাভ করতে পারবেন ৷ যেমন বর্তমানে ড্রপ সোল্ডার টি-শার্টের খুব বেশি চাহিদা এখন ৷ এই টি-শার্ট গুলো মার্কেটে খুব বেশি পরিমাণে সেল হয়ে থাকে ৷ কিছুটা নরমাল টি-শার্টের ডিজাইন পরিবর্তন করে ড্রপ সোল্ডার টি শার্ট তৈরি করা হয়ে থাকে ৷ কিন্তু দামের ক্ষেত্রে নরমাল টি শার্ট থেকে দুইগুন বেশী দামে বিক্রি হয়ে থাকে ৷

বাল্ক অর্ডার:
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ইভেন্ট বা উৎসবের জন্য বাল্ক অর্ডার পাওয়া যায়, যা ব্যবসার সর্বোচ্চ লাভ নিশ্চিত করে। কেবল খুব খুচরা নয় আপনি পাইকারি বিক্রি করেও টি শার্ট ভালো পরিমাণে সেল করতে পারবেন ৷

৪. ই-কমার্স সুবিধা

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম:
বর্তমান ডিজিটাল যুগে, অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টি-শার্ট বিক্রি করা সহজ। ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে কেবল দেশেই নয় সারা বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। অনেকেই ফেসবুকে পেজ খুলে বুষ্টিং করে টি শার্ট বিক্রি করে খুব ভালো টাকা পয়সা আয় করতেছেন ৷ বাংলাদেশে আপনি এই কাজটি খুব সহযে করতে পারবেন ৷

ড্রপশিপিং সুবিধা:
ড্রপশিপিং মডেলের মাধ্যমে বিনিয়োগ ছাড়াই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। এই মডেলে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন এবং সরবরাহ করা হয়। আপনি প্রি অর্ডার নিয়ে সাপ্লায়ার থেকে প্রডাক্ট নিয়ে ডেলিভারী করতে পারেন ৷ এভাবেও অনেকে ব্যবসা করে থাকেন ৷

৫. ক্রিয়েটিভিটি ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা

ডিজাইনের স্বাধীনতা:
টি শার্ট ব্যবসার নিজস্ব ডিজাইন তৈরি করার মাধ্যমে সৃজনশীলতা প্রদর্শন করা যায়। নিজস্ব ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করে একটি ভালো মানের ব্যবসা তৈরি করা সম্ভব। টি শার্টের হাজার হাজার ডিজাইন করা সম্ভব ৷ যেটা অন্যান্য ব্যবসায় করা সম্ভব হয়না ৷ এছাড়া অনলাইনে টি শার্টের অনেক ডিজাইন পাওয়া যায় ৷ আপনি খুব সহযেই এসব ডিজাইন কপি করে বিক্রি করতে পারবেন ৷

কাস্টমাইজেশন:
খুব সহযেই গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজড টি-শার্ট তৈরি করা যায়। এটি গ্রাহকদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ দেয়। অনেকেই অনলাইনে ব্যক্তি ডিজাইনার হিসেবে ভালো প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন ৷ আপনি চাইলে নিজের একটা ডিজাইন করে নিতে পারেন ৷

৬. সম্প্রসারণের সুযোগ

বিভিন্ন পণ্য:
টি শার্ট হলো নিটওয়ার পন্য ৷ সাধারানত এই ফ্যাক্টরিগুলিতে টি-শার্টের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য যেমন হুডি, স্যুইটশার্ট, ট্যাঙ্ক টপ ইত্যাদি তৈরি হয় ৷ আপনি এসব পন্য টি শার্টের পাশাপাশি বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবেন ৷

উপসংহার
টি-শার্টের ব্যবসা শুরু করা সহজ, লাভজনক এবং ক্রিয়েটিভ হতে পারে। কম মূলধনে শুরু করে ধীরে ধীরে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা, মানসম্মত পণ্য, এবং কার্যকর মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে একটি সফল টি-শার্ট ব্যবসা গড়ে তোলা সম্ভব। তাই, যারা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তাদের জন্য টি-শার্টের ব্যবসা একটি আদর্শ বিকল্প হতে পারে

বিস্তারিত
কিভাবে বিনামূল্যে গার্মেন্ট বায়ার কিভাবে খুঁজে পাবেন

 কিভাবে বিনামূল্যে গার্মেন্ট বায়ার কিভাবে খুঁজে পাবেন

 বাংলাদেশের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি সুবিশাল  এখানে নতুন নতুন ফ্যাক্টরি আর বায়িং হাউজ প্রতি বছর যুক্ত হচ্ছে  সে জন্য এসব ফ্যাক্টরি আর বায়িং হাউজে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বায়ারের প্রয়োজন হয়। আমরা সাধারনত জানি যে বায়ার খুজে পেতে আমাদের অনেক টাকা পয়সা খরচ করতে হয়  তবে অনেকেই জানেন না কীভাবে বিনামূল্যে গার্মেন্টস বায়ার খুঁজে পাওয়া যায়। এই আর্টিকেলে আমরা কিছু কার্যকরী উপায় নিয়ে আলোচনা করবযা আপনাকে গার্মেন্টস বায়ার খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।

 অনলাইন মার্কেটপ্লেস  বিজনেস ডিরেক্টরি

 আলিবাবা (Alibaba.com):

আলিবাবা একটি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসযেখানে আপনি সহজেই বিভিন্ন দেশের বায়ারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। একটি ফ্রী একাউন্ট খুলে প্রোফাইল তৈরি করে এবং আপনার পণ্য যোগ করে বিনামূল্যে বায়ারদের আকর্ষণ করতে পারেন। তবে বর্তমানে আলিবাবার ফ্রী একাউন্ট খোলা একটু কঠিন  অনেক ধরনের ভেরিফিকেশন করতে হয়৷ কিছু লিড আপনি আলিবাবা থেকে নিতে পারবেন 

ইন্ডিয়া মার্ট (IndiaMART):

ইন্ডিয়া মার্ট একটি ব্যবসা থেকে ব্যবসার (B2B) অনলাইন মার্কেটপ্লেস। এখানে বিভিন্ন গার্মেন্টস বায়ারের প্রোফাইল এবং যোগাযোগের তথ্য পাওয়া যায়। ফ্রী সাপ্লায়ার একাউন্ট খুলে আপনি এই মার্কেট থেকে বায়ারের তথ্য খুজে পেতে পারেন 

গ্লোবাল সোর্সেস (Global Sources):

গ্লোবাল সোর্সেস একটি অনলাইন বিজনেস ডিরেক্টরিযেখানে আপনি বিভিন্ন বায়ারের তালিকা পেতে পারেন। বিনামূল্যে প্রোফাইল তৈরি করে বায়ারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

এই তিনটা ছাড়াও আরো অনেক বি টু বি ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে আপনি বি টু বি বায়ারের লিড নিতে পারবেন 

Google map:

বর্তমানে বায়ারের তথ্য খুজে বের করার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে গুগল ম্যাপ  গুগল ম্যাপ থেকে ডাটা স্ক্রাপিং করে আপনি বায়ারের সকল তথ্য খুজে বের করতে পারবেন  যেমন বায়ারের  মেইল আইডিমোবাইল নাম্বার ইত্যাদি  এসব দিয়ে খুব সহযেই বায়ারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন  গুগল ম্যাপে সকল অফলাইন বায়ারদের স্টোরের ঠিকানাইমেইল আইডিমোবাইল নাম্বার দেয়া থাকে 

সোশ্যাল মিডিয়া  প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং

লিঙ্কডইন (LinkedIn):

লিঙ্কডইন একটি প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি গার্মেন্টস বায়ারদের খুঁজে পেতে পারেন। আপনার প্রোফাইলটি সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রাখুন যাতে করে আপনাকে একজন প্রফেশনাল উৎপাদনকারী মনে হয়  এবার আপনার গার্মেন্ট ব্যবসা রিলেটেড গ্রুপগুলোতে যোগ দিন। নিয়মিত বিভিন্ন পোষ্টের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করুন  নিজেও মাঝে মধ্যে পোষ্ট করুন  সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল লিখুন  আজকাল চ্যাট জি পি টি দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল লেখা যায়  আপনার ব্যবসা রিলেটেড আর্টিকেল লেখে ওসব গ্রুপে পাবলিক করুন  কিছুদিনের মধ্যেই আপনি একটা পপুলারিটি পাবেন  দু এক জন বিজ ওনারের পোষ্টে কমেন্ট করুন  তাদের সাথে সাখ্যাতা গড়ে তুলুন  এক সময় আপনি তাদেরকে আপনার সার্ভিস অফার করুন 

ফেসবুক গ্রুপ:

ফেসবুকে বিভিন্ন গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল সম্পর্কিত গ্রুপ রয়েছে। এই গ্রুপগুলোতে যোগ দিয়ে আপনি বায়ারদের খুঁজে পেতে পারেন এবং আপনার পণ্য সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করতে পারেন এছাড়া আমদানি রপ্তানি সম্পর্কিত অনেক বড় বড় গ্রুপ আছে  সেখানে আপনার পন্য বা সার্ভিস নিয়মিত পোষ্ট করুন  একটা বিষয় মনে রাখবেনহুট করেই কিন্ত আপনি বায়ার খুজে পাবেন না  এটার জন্য ধৈয্য ধরে পড়ে থাকতে হবে  নিয়মিত আপনার কাজ চালিয়ে গেলে কিছু দিন পর আপনি ফল পেতে শুরু করবেন 

ইন্সটাগ্রাম:

ইন্সটাগ্রাম একটি ভিজ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম।আপনার পণ্যের সুন্দর ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করে এবং পন্য রিলেটেড কিছু হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেও কিন্ত আপনি বায়ারদের আকর্ষণ করতে পারেন। কারন এসব প্লাটফর্মে অনেক গার্মেন্টস রিলেটেড মানুষের বিচরন থাকে  একটা বিষয় খেয়াল রাখবেনপ্রতিদিন আপনাকে এসব কাজ চালিয়ে যেতে হবে  মাঝে মধ্যে করলে হবে না  

বিজনেস ফোরাম  অনলাইন কমিউনিটি

রেডিট (Reddit):

রেডিটে বিভিন্ন বিজনেস এবং উদ্যোক্তা সম্পর্কিত সাবরেডিট রয়েছে। এখানে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে এবং পরামর্শ নিয়ে বায়ার খুঁজে পেতে পারেন। এছাড়া অনেকেই এখানে সাপ্লায়ার খোজার জন্য পোস্ট করে থাকেনতাদেরকে আপনি আপনার সার্ভিস অফার করতে পারেন 

কোরা (Quora):

কোরা একটি প্রশ্ন-উত্তরের প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি গার্মেন্টস বায়ার খোঁজার উপায় সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন এবং বিশেষজ্ঞদের থেকে উত্তর পেতে পারেন। অনেকে কোরাতে সাপ্লায়ার কিভাবে পেতে পারে সেসব নিয়েও প্রশ্ন করে থাকেন  আপনি কৌশলে সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন  সাথে তাদেরকে আপনার সার্ভিস অফার করতে পারেন  তবে এসব করতে হবে সুকৌশলে  যাতে করে বায়াররা বুঝতে না পারে আপনি বিজ্ঞাপন করতেছেন 

সরাসরি ইমেইল মার্কেটিং

ইমেইল লিস্ট সংগ্রহ:

বিভিন্ন বিজনেস ডিরেক্টরি এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে বায়ারদের ইমেইল সংগ্রহ করুন। তারপর তাদের কাছে আপনার পণ্যের তথ্যসহ ইমেইল পাঠান।

নিচে কিছু বিজনেস ডিরেক্টরী এবং ডাটাবেজের ঠিকানা দেওয়া হল এগুলো থেকে আপনি প্রাথমিকভাবে ফ্রিতে কিছু বায়ারের ইমেইল লিস্ট কালেক্ট করতে পারবেন তবে বেশি পরিমাণে কালেক্ট করতে গেলে সেখানে আপনি পেইড অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে 

Business Directories and Databases:

LinkedIn SalesNavigator: Allows you to filter and find business owners based on various criteria.

ZoomInfo:Provides detailed information about businesses and their key contacts.

 Hoover's: Offers business data, including contacts for many companies.

 Dun & Bradstreet: Has a comprehensive database of business information.

 UpLead: Offers access to business contacts and email lists.

 Lead411: Provides targeted sales leads and email lists.

 InfoUSA: Sells business contact lists that can be filtered by various criteria.

 

ইমেইল মার্কেটিং:

একটি প্রফেশনাল ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করুনযেখানে আপনার পণ্যের বিবরণছবি এবং আপনার কোম্পানির তথ্য থাকবে। এটি বায়ারদের আকর্ষণ করতে সাহায্য করবে।

একটা বিষয় মনে রাখবেন সেটি হচ্ছে যে আপনি যদি নিজে হাজার হাজার বায়ারের কাছে একত্রে ইমেইল পাঠাতে চান সেটি আপনার জন্য অনেক ডিফিকাল্ট হয়ে যাবে  কারণ আপনার নিজস্ব ইমেইল দিয়ে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ইমেইল পাঠাতে পারবেন এবং একই ইমেইল যদি মানুষের কাছে বারবার ফরওয়ার্ড করে সে ক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব ইমেইল আইডি স্পাম হিসেবে ধরে নিতে পারে এবং সেই ক্ষেত্রে আপনার সমস্ত ইমেইল বায়ারের স্পাম বক্সে গিয়ে জমা হবে এবং অনেক ক্ষেত্রে বায়াররা ইমেইল গুলি ওপেন করে দেখেন না এজন্য আপনি প্রফেশনালদের থেকে অল্প কিছু টাকা খরচ করে সার্ভিস নিতে পারেন 

 

বাল্ক ইমেইল সেন্ডিং সার্ভিস নিতে হলে আপনি ফাইবার থেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে নিতে পারেন  এক্ষেত্রে আপনাকে ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা সর্বোচ্চ খরচ করা লাগতে পারে  এই টাকা দিয়ে তারা আপনাকে প্রতি দিন পাঁচ থেকে দশ হাজার ইমেল আইডিতে মেইল করার ব্যবস্থা করে দেবে  সুতরাং এটা আপনার জন্য বেস্ট হবে  নিজে একটা একটা করে মেইল যদি আপনি পাঠাতে চান সেক্ষেত্রে আপনার প্রচুর সময় লাগবে 

 

বিনামূল্যে বিজনেস ইভেন্ট  এক্সিবিশন

 অনলাইন ওয়েবিনার:

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনলাইন ওয়েবিনার এবং ভার্চুয়াল এক্সিবিশন আয়োজন করেযেখানে বিনামূল্যে অংশগ্রহণ করে বায়ারদের সাথে পরিচিত হওয়া যায়।

 বিজনেস মিটআপ:

স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বিজনেস মিটআপ এবং নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে যোগ দিন। এটি বায়ারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের একটি ভালো উপায়। 

তবে উপরের এই দুটি অপশন খুবই লিমিটেড  এই ভাবে আপনি বায়ার খুব কমই খুঁজে পাবেন  আপনি চাইলে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল মেলা গুলোতে বায়ার হিসাবে অংশগ্রহণ করে আশেপাশের দু চারজন বায়ারের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন যে তারা কোন প্রোডাক্ট নেওয়ার আগ্রহ রয়েছে কিনা  চাইলে আপনার সাথে তারা যোগাযোগ করতে পারেন  তবে এটা খুব সাবধানে করতে হবে কারণ যারা স্টল নিয়ে থাকেন তারা সাধারণত এই ধরনের কোন গেস্ট এলাউ করে থাকে না৷

উপসংহার

 গার্মেন্টস বায়ার খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারেতবে সঠিক প্ল্যাটফর্ম এবং পদ্ধতি ব্যবহার করলে এটি সহজ হতে পারে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসসোশ্যাল মিডিয়াবিজনেস ফোরামসরাসরি ইমেইল মার্কেটিং এবং বিনামূল্যে বিজনেস ইভেন্টের মাধ্যমে আপনি বিনামূল্যে গার্মেন্টস বায়ার খুঁজে পেতে পারেন। এই উপায়গুলো ব্যবহার করে আপনার ব্যবসার পরিধি বাড়ান এবং সফলতার পথে আরও একধাপ এগিয়ে যান।

বিস্তারিত
Alibaba & Import Export Expert

আমদানি,রপ্তানি,আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন।

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2025 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js