eibbuy.com
অল্প টাকায় শুরু করুন বইয়ের ব্যবসা

বই হল মানুষের শ্রেষ্ট বন্ধু। বই পড়ার ইতিহাস বেশ পুরোনো। তাই বইয়ের ব্যবসাও বলতে গেলে ভাল একটি ব্যবসা তবে যদি আপনি সঠিক উপায়ে ব্যবসাটি ধরতে পারেন। বইয়ের ব্যবসার মধ্যে অনেকগুলো ধরন আছে, আবার ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বইয়ের ব্যবসা ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে করা যায়। আজ আমরা কি কি ধরনের বইয়ের ব্যবসা কিভাবে কিভাবে করা যায়, বইয়ের ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা পুজি লাগবে, শুরুটা করব কিভাবে, কোথায় শুরু করব বইয়ের ব্যবসা এবং বই ব্যবসার অন্যান্য দিক নিয়ে আলোচনা করব।

 

বই ব্যবসার ধরন

বই জিনিসটার মধ্যে যেমন বিভিন্ন ধরন আছে ঠিক এর ব্যবসার মধ্যেও প্রকারভেদ আছে। স্কুল কলেজে যেসব বই পাঠদান হয়, বাচ্চাদের বই, গল্পের বই, বিদেশি বই, ইসলামিক বই, মাদরাসায় পাঠদান হয় এমন বই নিয়ে ব্যবসা করা যেতে পারে। এক দোকানে উপরে উল্লেখিত সব ধরনের বই সাধারনত বেচাকিনি করা হয় না।

পুরানো বইয়ের ব্যবসাও বর্তমানে খুব ভালো একটি ব্যবসা। বিভিন্ন স্থানে পুরাতন বইয়ের লট পাওয়া যায়। আবার ভাংরিমাল ওয়ালার কাছ থেকেও নাম মাত্র দামে পুরাতন বই কিনতে পারেন। বিভিন্ন প্রকাশনীর কাছে এমন বই থাকে যেগুলো ওরা দীর্ঘসময় ধরে বিক্রি করতে পারেনা সেগুলো লট আকারে কম দামে বিক্রি করে দেয়। পুরাতন বইয়ের মধ্যে কিছু বই আছে যেগুলো দুর্লভ ও দুষ্প্রাপ্য। এগুলো অনেক দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করা যায়।

ইসলামিক বইয়ের বাজার অনেক বড়। বর্তমানে সাধারন মানুষের মধ্যে ইসলামিক বই পড়ার প্রবনতা বেড়েছে। ইসলামিক বইয়ের বাজার দিন দিন বড় হয়েই চলছে। আপনাকে ইসলামিক বইয়ের বাজার ধরতে হলে দোকানের স্থান খুব ভাবনা চিন্তা করে নির্বাচন করতে হবে।

মাদরাসায় পাঠদান হয় এমন বইয়ের ব্যবসাও দারুন। সাধারনত মাদ্রাসায় পড়ানো হয় এরকম মূল কিতাবের বেচাকিনি হয় ঢাকার বাংলাবাজারকে ঘিরে। তাই ঢাকার বাহিরে বড় কোনো মাদরাসা থাকলে ঐ মাদরাসাকে ঘিরে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। মাদরাসার কিতাবের পাশাপাশি অন্যান্য ইসলামিক বই ও লাইব্রেরির ব্যবসা করা যেতে পারে।

আপনি চাইলে যেকোনো ধরনের বইয়ের ব্যবসা অনলাইনেও করতে পারেন। অনলাইনে অন্যান্য ব্যবসা করাটা একটু কঠিন হলেও বইয়ের ব্যবসাটা অনলাইনে অনেক সহজেই দাড় করানো যায়। ফেসবুকে পেইজ খুলে তার মাধ্যমে, নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করে অথবা অন্য ওয়েবসাইটে বই বিক্রি করতে পারেন। আপনি চাইলে সম্পূর্ন বিনামূল্যে আমাদের এই ওয়েবসাইটে বই বিক্রি করতে পারেন।

 

কিভাবে শুরু করবেন

যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসা শুরু করার আগে নিজে কাগজ কলম নিয়ে বসবেন। আপনি ঠিক কি কি পন্য নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন? এসব পন্যের কাস্টমার কারা? যেখানে দোকানটি দিতে চাচ্ছেন সেখানে ওইসব পন্যের কাস্টমার আসবে কি? এই পুঁজিতে এর চাইতে সুবিধাজনক অন্য কোন ব্যবসা শুরু করা যায় কি না? এসব প্রশ্নের উত্তর নিজে ঠিক করে তারপর ব্যবসায় আসার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।

বইয়ের ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে ঠিক করতে হবে কোথায় কোন ধরনের বই নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন। ব্যবসার স্থান, ব্যবসার পন্য ঠিক করে কাগজ কলম নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। যে কোন কাজের পরিকল্পনা ঠিকঠাক মত না থাকলে তার ফলাফল কাঙ্ক্ষিত মানের হয় না। ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। পুঁজির বিষয় মাথায় রেখে পরিকল্পনা তৈরি করবেন। দোকানের এডভান্স, দোকান ডেকোরেশন, মাসিক ভাড়া, প্রথমে যে পন্য দোকানে উঠাবেন তা কত টাকা লাগতে পারে, বিজ্ঞাপন দেয়া লাগলে কিভাবে বিজ্ঞাপন দিলে সর্বোচ্চো আউটপুট পাওয়া যাবে এসব বিষয় আপনার পরিকল্পনায় রাখবেন।

পরিকল্পনা তৈরি হলে মাঠে নেমে পড়ুন। দোকান ঠিক করে এডভান্স দিয়ে দোকান নিয়ে নিন। পছন্দ অনুযায়ী দোকান ডেকোরেশন করে পন্য উঠিয়ে ফেলুন।

আর যদি আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে চান তাহলে প্রথমে ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করুন। অনলাইনে পুরাতন বইয়ের ব্যবসাও জমজমাট হয়। ফেসবুকে বই বিক্রির জন্য পোস্ট বুস্ট করতে হবে। আর একসাথে অনেক বই কিনলে তাদেরকে ডিসকাউন্ট দিবেন, তাহলে কাস্টমার বাড়বে। বইয়ের কাস্টমার আবার আপনার থেকে বই কেনার সম্ভাবনা আছে। তাই কাস্টমার ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। কথায় আছে আপনি যদি একটি ভাল বই পড়েন তাহলে তা আপনাকে আরও বই পড়তে উৎসাহিত করবে। ফেসবুক পেইজ ভালোভাবে চালু হয়ে গেলে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন সেখানে বিভিন্ন বইয়ের রিভিউ দিবেন এতে আপনার কাস্টমার আরও বাড়বে। সাথে ইউটিউব ফেসবুক থেকে আয় করতেও পারবেন। এভাবে কিছুদূর যাওয়ার পর নিজে একটা ওয়েবসাইট খুলে ফেলুন। বর্তমানে বই বিক্রির জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো পজিশনে থাকা ওয়েবসাইট হল রকমারি ডটকম।

আবার আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি ব্যবসা করতে পারেন। এখানে সেলার একাউন্ট খুলে বিনামুল্যে বইয়ের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।  

স্থান নির্বাচন

স্কুল কলেজের আশেপাশে লাইব্রেরির মাধ্যমে স্কুল, কলেজের বই, বাচ্চাদের বই বিক্রি করা যেতে পারে। অবশ্য স্কুল কলেজের পাঠ্য বই বিক্রি করতে হলে স্কুল কলেজের পাশেই দোকান হতে হবে এমন কথা নেই। স্কুলের আশেপাশে হলে ব্যবসার সম্ভাবনা বেশি। জেলা শহরে দোকান হলে সেটা স্কুলের আশেপাশে না হলে সমস্যা নেই। শহরে মেইন রোডের পাশে দোকান হলে আপনি স্কুল কলেজের বই পাশাপাশি চাকুরির প্রস্তুতি বই, ভর্তি পরিক্ষার বই, গল্পের বই ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। ইসলামিক বই বিক্রির জন্য বড় কোন মসজিদ বা মাদ্রাসার আশেপাশে স্থান নির্বাচন করতে পারেন।

কত টাকা লাগবে?

কোনো ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগবে এটা মূলত ব্যবসার স্থান, ব্যবসার পরিসর এবং ধরন এর উপর নির্ভর করে।

আপনি যদি লাইব্রেরির দোকানের সাথে এই ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনার যেরকম পুঁজি লাগতে পারে তার একটি আইডিয়া নিচে তুলে ধরছি…

সাধারনভাবে ২সাটারের একটি দোকান দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। ধরে নেই দোকানটির এডভান্স ৫০হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। আসলে এই এডভান্সটা এলাকা ও দোকানের অবস্থানের উপর নির্ভর করে। দোকানের ডেকরেশনের জন্য আরও ২০০০০ (বিশ হাজার) টাকা, অন্যান্য স্টেশনারি পন্য বাবদ আরও ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা, বিভিন্ন বইপত্রের জন্য ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা, সরকারি কাগজপত্র ও অন্যান্য খচ সহ ১০০০০০ থেকে ১২০০০০ (এক লক্ষ থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।

আর যদি আপনি অনলাইনে বইয়ের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি কম টাকা বিনিয়োগ করে অথবা বিনিয়োগ ছাড়াই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

অনলাইনে আপনি যদি নতুন বই দিয়ে শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে কোনো বড় পাইকারি বইয়ের দোকানের সাথে কথা বলে নিতে হবে। আপনার কোন অর্ডার আসলে আপনি কাস্টমারের ঠিকানা তাকে মেসেজ করে দিবেন। তারপর সে ঐ ঠিকানায় বই কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিবে। এটা অনেকটা ড্রপ শিপিং এর মতই। এতে কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই আপনার ব্যবসা শুরু হয়ে গেল।

আর যদি পুরাতন বই দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে প্রথমে পুরাতন বই সংগ্রহ করতে হবে। পুরাতন বইয়ের অনেক বাজার আছে। আপনি খোজ নিলে আপনার আশে পাশে পুরাতন বইয়ের বাজার পাবেন। সেখান থেকে পাইকারি পুরাতন বই কিনে নিয়ে আসবেন। মতিঝিলে পুরাতন বই স্টক লট আকারে বিক্রি হয়, সেখান থেকে কিনে নিয়ে যেতে পারেন। অথবা বিভিন্ন প্রকাশনি থেকে বইয়ের লট কিনে নিয়ে আসবেন। তারপর বইগুলোর ছবি তুলে পোস্ট করবেন। দরকার হলে বুস্ট করবেন।

বই সংগ্রহ করবেন কোথা থেকে?

বাংলাবাজার

বই বিশেষ করে পাইকারি বই বেচাকেনার জন্য বাংলাবাজার বিখ্যাত। বাংলাবাজারে পাইকারি বইয়ের দোকানের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকাশনির অফিসও রয়েছে।

নীলক্ষেত

ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজের মাঝখানে অবস্থিত নীলক্ষেত। নীলক্ষেত বই বেচাকেনার জন্য বিখ্যাত। সব ধরনের বই আপনি এখানে পাবেন।

চকবাজার

কথায় আছে, এমন কোনো পন্য নেই যা চকবাজারে নেই। এখানে আপনি স্টেশনারি পন্য পাইকারি পাবেন।

ই-বাই ডটকম

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন পাইকারি বাজার হল ই-বাই ডটকম। এখানে প্রায় সবধরনের পন্য পাইকারি পাবেন। এখানে সেলার বিশ্বস্ত কিনা তা আপনি সবুজ টিকচিহ্ন দেখে বুঝতে পারবেন। শুধু তাই নয় আপনি এখানে বিনামূল্যে পন্য বিক্রিও করতে পারবেন।

সাথে অন্য কি কি পন্য বিক্রি করা যাবে?

বইয়ের ব্যবসা শুরু করার সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হল স্টেশনারি ব্যবসার সাথে শুরু করা। স্টেশনারি দোকান দিলে স্টেশনারি পন্য পাশাপাশি একটি কম্পিউটার নিয়ে অন্যান্য কাজ, বিকাশ, নগদ এর ব্যবসাও করতে পারেন। কম্পিউটারে কম্পোজ, গ্রাফিকস ডিজাইনিং, অনলাইনে বিভিন্ন চাকুরী, পরিক্ষার আবেদন ইত্যাদি ব্যবসা করতে পারবেন।

গিফট আইটেমের ব্যবসাও এই ব্যবসার পাশাপাশি করা যাবে। বিভিন্ন ছবি এলবাম ও টুকটাক ইলেক্ট্রনিক পন্যের ব্যবসাও এর সাথে করা যেতে পারে।

কত টাকা আয় হবে?

আপনি যদি মোটামুটিভাবে ব্যবসা ধরতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে ন্যুনতম ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। জেলা শহরে এমনও অনেক দোকান আছে যারা প্রতি মাসে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা আয় করে। আবার এমনও দোকান আছে যারা শুধু ইসলামিক বই বিক্রি করে মাসে ২-৩ লাখ টাকা আয় করছে। অর্থাৎ ব্যবসার আয় কি পরিমানে ঘবে এটা এভাবে বলে দেয়া যায় না। ব্যবসার পরিসর এবং ব্যবসার ধরনের উপর ব্যবসার আয় নির্ভর করে।

 

আজকের আলোচনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

ধন্যবাদ।

বিস্তারিত
আলি এক্সপ্রেস থেকে কেনাকাটার নিয়ম

বর্তমান সময়কার জনপ্রিয় একটি ই-কমার্স সাইট হল আলি এক্সপ্রেস Aliexpress। এটি একটি চাইনিজ প্রতিষ্ঠান। ফেসবুক ইউটিউবের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আলি এক্সপ্রেস এবং আলিবাবা নাম দুটি আমাদের প্রায় সবারই জানা। বিজ্ঞাপনে আকর্ষনীয় পন্য দেখে পন্য অর্ডার করতে গিয়ে প্রায় বেশিরভাগ মানুষই ফিরে আসেন। কারন অর্ডার কিভাবে করবেন সেটা বুঝতে পারেন না। আজ আমরা আলি এক্সপ্রেস Aliexpress থেকে আপনি কিভাবে পন্য কেনাকাটা করবেন, কিভাবে টাকা পেমেন্ট করবেন, আলি এক্সপ্রেস থেকে পন্য আনতে কি কি ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়, কত টাকা ট্যাক্স দিতে হয়, কিভাবে ট্যাক্স দিতে হয়, আলি এক্সপ্রেসের পন্য ডেলিভারির ভালো এবং খারাপ কিছু বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনা করব।

 

আলি এক্সপ্রেস থেকে পন্য অর্ডার করব কিভাবে?

আপনি যদি ইতিমধ্যে অন্য কোনো ই-কমার্স সাইট যেমন দারাজ, ই-বাই থেকে পন্য ক্রয় করে থাকেন তাহলে জেনে রাখুন দারাজ বা ই-বাই থেকে পন্য কেনাকাটার নিয়ম আর আলি এক্সপ্রেস Aliexpress থেকে পন্য কেনাকাটার নিয়ম অনেকটা একই।

আলি এক্সপ্রেস থেকে পন্য ক্রয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে আলি এক্সপ্রেস এর অ্যাপস বা ওয়েবসাইট aliexpress.com এ প্রবেশ করতে হবে।

তারপর আপনাকে লগ-ইন করতে হবে। ইমেইল বা ফেসবুক এর মাধ্যমে লগ ইন করতে হবে।

যেই পন্য আপনার পছন্দ হবে সেটির নিচে Add to Cart অপশনে ক্লিক করে কার্ট এ যোগ করে নিবেন। অথবা সরাসরি Buy Now অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে পারেন।

পন্যের দাম যা দেয়া থাকবে তাই পরিশোধ করতে হবে। দামাদামি করার সুযোগ নেই। অপশনে যাওয়ার পর পন্যের ডিটেইলসের নিচে পন্যের দাম দেয়া থাকবে। সাথে শিপিং চার্জ দেয়া থাকবে।

তারপর পেমেন্ট করে অর্ডার কমপ্লিট করতে হবে। আর পেমেন্ট অবশ্যই ডুয়াল কারেন্সির কার্ড এর মাধ্যমে করতে হবে। আর একটা কথা না বললেই নয় এখানে আপনার ক্যাশ অন ডেলিভারির কোন সিস্টেম নেই। আগেই আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে। পেমেন্ট কমপ্লিট করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আপনি আপনার পন্য পেয়ে যাবেন। সাধারনত বাংলাদেশের সরকারি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আপনার পন্য আসবে। তাই এতে একটু বেশি সময় লাগবে। আপনি যদি আরও কম সময়ের মধ্যে প্রোডাক্ট ডেলিভারি পেতে চান তাহলে অর্ডার কনফার্মের আগে অন্য কোনো শিপিং বা কুরিয়ার এর অপশন সিলেক্ট করতে পারবেন। যেমন- ডিএইচএল (DHL), ফেড-এক্স (Fed-ex) ইত্যাদি। তবে এতে বেশি কুরিয়ার চার্জ পড়বে। একেক কুরিয়ারে একেক রকম। ডিএইচএল এ ৭-১০ দিন এ প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেয়। আর সাধারন ডেলিভারিতে সময় নেয় ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন। এত সময় লাগার কারন হল আপনার পন্য চায়না থেকে আসবে। চায়না থেকে জাহাজে করে পন্য এসে বাংলাদেশের বন্দর থেকে খালাস পেতে অনেক দিন সময় লাগে।

আলি এক্সপ্রেস থেকে পন্য কিনতে গেলে যেসব ঝামেলা হয়

আলি এক্সপ্রেসে Aliexpress খুব কম পন্যই আছে যেগুলোতে তারা ফ্রি শিপিং সুবিধা দেয়। যে পন্যগুলোর ফ্রি শিপিং সুবিধা আছে সেটা Aliexpress ওয়েবসাইটে বা এপসেই দেখতে পাবেন। বেশিরভাগ পন্যই আপনাকে শিপিং চার্জ দিয়ে আনতে হবে। আর শিপিং চার্জটা একটু বেশিই থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এমনও হয় যে পন্যের দামের চেয়ে শিপিং চার্জ বেশি হয়ে যায়। আর আপনি যদি অন্য কুরিয়ারে পন্য আনতে চান তাহলে তো শিপিং খরচ অনেক বেশি পড়বে। খাজনা থেকে বাজনা বেশি হয়ে যাবে।

আলি এক্সপ্রেস থেকে পন্য কেনাকাটা করতে গেলে আর একটা ঝামেলা হয় সেটা হল ট্যাক্স। আপনি যদি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পন্য আনতে চান তাহলে পন্য রিসিভ করার সময় আপনাকে একটি ট্যাক্স স্লিপ ধরিয়ে দেয়া হবে। ট্যাক্স এর টাকা পরিশোধ করে প্রোডাক্ট রিসিভ করতে হবে। একেক ধরনের পন্যে একেক ধরনের ট্যাক্স। আবার কখনও ট্যাক্স ছাড়াই পন্য এসে পড়ে। সাধারনত যেসব প্রোডাক্ট এর দাম বেশি সেগুলোতে ট্যাক্স দিতে হয়। যেমন ধরুন আপনি মোবাইল, ঘড়ি ইত্যাদি কিনলে ট্যাক্স দিতে হবে। আবার আপনার সব পন্যের মোট দাম যদি বেশি টাকা হয়ে যায় তাহলেও আপনাকে ট্যাক্স দিতে হবে। সাধারনত ৩০ ডলারের কম মূল্যের পন্য আনলে ট্যাক্স দিতে হয় না।

আলি এক্সপ্রেস থেকে কোনো কিছু কিনলে সেটা যদি বাংলাদেশি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আসে তাহলে পোস্ট অফিসেও ঝামেলা হয়। সেখানে অনেক সময় পন্য হারিয়ে যায়। আপনি আপনার পন্য পেতে পোস্ট অফিসে কর্মরত ব্যক্তিকে চা-পানি খাওয়ানো লাগতে পারে।

আলি এক্সপ্রেসে কেনাকাটার আরেকটা ঝামেলা হল পেমেন্ট সিস্টেম। ডুয়াল কারেন্সি এভেইলেবল এমন কার্ডের মাধ্যমে আলি এক্সপ্রেসে পেমেন্ট করতে হয়। আপনি কিন্তু এখানে ক্যাশ অন ডেলিভারি পাচ্ছেন না। তবে আপনি যদি টাকা পেমেন্ট করার পর নির্দিষ্ট সময়ে পন্য না পান তাহলে আপনাকে পুরো টাকা রিফান্ড বা দেরি করে পাঠানোর কারনে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

ড্রোন এডাল্ট প্রোডাক্ট এবং আরও কিছু পন্য আছে সেগুলো এভাবে বাংলাদেশে আনা যায় না। আপনি অর্ডার করলে প্রোডাক্ট এয়ারপোর্টে আটকে যাবে। তাই এ ধরনের পন্য আলি এক্সপ্রেস থেকে কিনবেন না।

আপনার কাছে ডুয়াল কারেন্সি কার্ড না থাকলে অন্য কারও কার্ড ব্যবহার করে আপনি আলি এক্সপ্রেসে কেনাকাটা করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি আমাদের সাহায্য নিতে পারেন। নিচে আমাদের ফেইসবুক পেইজের লিংক দিয়ে দিব। প্রয়োজন হলে সেখানে মেসেজ করতে পারেন।

আপনি নিজেও ব্যাংক থেকে এ ধরনের কার্ড সংগ্রহ করে নিতে পারেন। তবে এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে পাসপোর্ট, কিছু ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ব্যাংকে গেলে ব্যাংকের লোকেরাই আপনাকে পরবর্তী কাজ সম্মপর্কে বলে দিবে। এখনকার সময়ে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট করা যায় এমন কার্ড করে রাখাই ভাল। 

আলি এক্সপ্রেসে কেনাকাটার সুবিধা

পন্য কেনাকাটার জন্য আলি এক্সপ্রেস বিশ্বস্ত একটি প্রতিষ্ঠান। আপনি যদি প্রোডাক্টের রিভিউ, সেলার কি রকম সেটা ভালভাবে দেখে বুঝে অর্ডার করতে পারেন তাহলে আপনি প্রতারিত হবেন না। যেসব সেলার পুরোনো তারা বেশি বিশ্বস্ত।

পন্যে ত্রুটি থাকলে পুরো টাকা পর্যন্ত রিফান্ড করে দেয়। কখনও দেরি করার কারনে তারা আলাদা গিফট পাঠায়। এক্ষেত্রে অর্ডার কনফার্ম করার আগে বায়ার প্রোটেকশন টা ভালো করে দেখে নিবেন। এখানে পন্য না পেলে টাকা রিফান্ড বা অন্যান্য বিষয়াবলি সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া থাকে।

আলিবাবা আর আলি এক্সপ্রেস কি একই?

আলিবাবা Alibaba এবং আলি এক্সপ্রেস Aliexpress দুটির মূল প্রতিষ্ঠান একই হলেও এই দুটি ভিন্ন। যদিও দুটিই ই কমার্স প্রতিষ্ঠান। আলিবাবা হল বি টু বি এবং আলি এক্সপ্রেস হল বি টু সি ধরনের ই কমার্স সাইট। অর্থাৎ আলিবাবা খুচরা পন্য বিক্রি করে না। যারা পাইকারি ক্রেতা তারা আলিবাবা থেকে পন্য আমদানি করে। আলিবাবাতে পন্যের দাম নিয়ে দামাদামি করা যায় যেটা আলি এক্সপ্রেসে সম্ভব নয়।

আপরদিকে আলি এক্সপ্রেস Aliexpress খুচরা পন্য বিক্রি করে। শেষে একটা কথা বলব যেসব পন্য বাংলাদেশেই পাওয়া যায় তা আলি এক্সপ্রেস থেকে না কেনাটাই উত্তম।

আজকের আলোচনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আর আলিবাবা বা আলি এক্সপ্রেস নিয়ে যেকোনো সমস্যায় পড়লে আমাদের ফেসবুক পেইজ এ মেসজ করবেন।

ধন্যবাদ।

বিস্তারিত
চায়না থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে পণ্য আমদানির নিয়ম - how to import product from China by courier

অনেকেই প্রশ্ন করে আমি নতুন আমদানি ব্যবসা শুরু করেছি, কোন লাইসেন্স নেই   বা দ্রুত সেম্পল আমদানি করতে চাই  অথবা আমার ইন্ডাস্ট্রি আছে আমি চায়না থেকে দ্রুত  পন্য আমদানি করতে চাই কিভাবে করব?? 

এ সমাধান দিতে পারবে একমাত্র কুরিয়ার সার্ভিস, নিছে কিভাবে চায়না থেকে কুরিয়ারে পন্য আমদানি করতে হয়  এ বিষয়ে বিস্তারিত অলোচনা করা হয়েছে। 


চায়না থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে পণ্য আমদানির নিয়ম 

আন্তর্জাতিক কুরিয়ার গুলি যেমন DHL, FedEx, TNT, UPS, ARAMEX,  SkyNet ইত্যাদি কুরিয়ারে বিশ্বের যে কোন দেশ থেকে যে কোন পরিমান পন্য বাংলাদেশে নিয়ে আসা যাবে  ৷ এজন্যে আপনার কোন আমদানী লাইসেন্স দরকার হবেনা ৷   প্রথমে আপনাকে চায়না থেকে পন্য আমদানি যে সাপ্লায়ার থেকে করবেন তার সাথে যোগাযোগ করুন, আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক আলিবাবা থেকে পন্য আমদানি করে থাকে,  তবে কিছু ব্যবসায়ী সরাসরি সৌরসিং করে সাপ্লায়ার এর সাথে  সরাসরি কথা বলে  । তারপর কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে পন্য আমদানি করবেন এ বিষয়টি সাপ্লায়ারকে বলুন। এবং সাপ্লায়ার কত দিনে পন্য পাঠাবে সঠিক ভাবে জানতে হবে। কুরিয়ারে পন্য আমদানী করতে আপনাকে  সাপ্লায়ারকে  কুরিয়ারের খরচ পন্যের মুল্যের সাথে  প্রদান করতে হবে ৷ 


চায়না থেকে পন্য কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে আমদানি করতে কিভাবে ডকুমেন্ট লিখতে হবে?? 

আপনার যদি কোন কিছু না থাকে শুধু ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকে তাহলে  সাপ্লায়ারকে বলতে হবে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নাম যেন ম্যানিফেষ্ট আর এয়ারওয়েবিলে দেয় ৷ সাথে আপনার ডকুমেন্ট রিসিভের ঠিকানায় সেম দেয়  ৷ কোন ভাবেই ম্যানিফেষ্টে এক নাম আর এয়ারওয়েবিলে আরেক নাম ঠিকানা দিবেন না।  কারন এটা করলে ডকুমেন্ট ছাড়াতে খুব কঠিন ও ব্যায়বহুল হবে ৷ এছাড়া আপনার যদি ভ্যাট রেজিট্রেশন করা প্রতিষ্ঠান থাকে তবে হুবহু সেই  প্রতিষ্ঠানের নামে আমদানী করতে পারবেন ৷ এক্ষেত্রে পন্য কাস্টম ক্লিযারেন্স করার সময় ভ্যাট নাম্বার দিতে হবে ৷ 


কি পরিমান ট্যাক্স আসতে পারে ?

কুরিয়ারে পন্য আমদানী করলে ট্যাক্স ইন্টারনেট ভ্যালুর ৩ ভাগের ১ ভাগের উপর ধরা হবে ৷ যেমন আপনার পন্যটি ইন্টারনেটে ৯০ টাকা ভ্যালু পাওয়া গেলে ট্যাক্স ধরা হবে ৩০ টাকার উপর ৷ কিন্তু এক্ষেত্রে এই ভ্যালু যদি ডিক্লার ভেলুর চেয়ে কম হয় তবে ডিক্লার ভেলুই গন্য করা হবে ৷ যদি আপনি ১০০ ডলারের পন্য ১০০ ডলার ই এয়ারওয়েবিলে ঘোষনা দিয়ে আমদানী করেন তবে ১০০ ডলারের উপরই ট্যাক্স ধরা হবে ৷ 

তবে পন্যের মুল্য যাই হোক ৫ ডলারের কমে কোন পন্যের ভ্যালু ধরা হয় না ৷ আপনি যদি ফ্রী স্যাম্পল ও নিয়ে আসেন যা বাজারে ১ ডলারের ভ্যালু নাই, তাহলেও ৫ ডলার ধরা হবে ৷ এ বিষয় আমাদের থেকে পরামর্শ নিতে এই পেইজে  ক্লিক করুন - Double S Express Bangladesh

 
কুরিয়ারে যে কোন পন্য আপনি নিজের নামে আমদানী করবেন সেটার উপর সরকার ৫০০-১ লাখ টাকা জরিমানা করবে ৷ 

কুরিয়ারের ফি কেমন হবে ?

কুরিয়ারের চার্জ কেজি প্রতি ১০ ডলার থেকে ২৫ ডলার ৷ কুরিয়ারে ভেদে চার্জের প্রকারভেদ ভিন্ন হয় ৷ তবে পন্যের ওজন যতি বেশি হবে রেট তত কম হবে ।


কুরিয়ারে কত দিন সময় লাগে ?

সাধারনত ৩-৪ দিন সময় লাগে বিশ্বের যে কোন দেশ থেকে কুরিয়ারে পন্য আমদানী করতে ৷ 


ট্যাক্স কিভাবে কমানো যাবে ? 

আপনি যদি ফ্রি স্যাম্পল নিয়ে আসেন তবে সাপ্লায়ারকে বলবেন ইনভয়েসে "No Commercial Value " লিখে দেয়ার জন্যে ৷ ডিক্লার ভেলু যে কোন কিছু লিখে দিতে ৷ পরে কাষ্টমস ইন্টারনেটের ভ্যালু অনুযায়ী ট্যাক্স ধরে নিবে ৷ 

 

পন্যের ডকুমেন্ট হাতে পাওয়ার পর পন্যের কাস্টম ক্লিয়ারিং করাতে দেরি করবেন না ৷ না হলে প্রতিদিন আপনার ওয়্যারহাউজ চার্জ বেড়ে তিন চার গুন হয়ে যাবে ৷ আর ডকুমেন্ট নিয়ে চার পাচ জনকে দিয়ে দরাদরি করতে যাবেন না ৷ এতে পন্য ছাড়াতে প্রবলেম হতে পারে ৷


 কাস্টম ক্লিয়ারিংঃ

কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে নিয়ে আসা পন্যের কাস্টমস ক্লিয়ারিং করতে হবে। আমাদের সার্ভিস সর্বদা আপনাদের পাশে আছে ৷ Double S Express Bangladesh

 

পন্য বাংলাদেশে আসার পর কুরিয়ার সার্ভিস গুলি আপনাকে ফোন করবে। তারা কাস্টমস ক্লিয়ারিং করে দিবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইবে। তারা যেহেতু অনেক পন্য ক্লিয়ারিং এর  কাজ করে তাই তাদের পন্য কাস্টমার ক্লিয়ারিং করতে দেরি হতে পারে। এবং কাস্টমস কোন ঝামেলা করলে আপনার উপর এর দায় ছেড়ে দিতে চাইবে এবং অনেক বেশি টাকা চাইবে তখন আপনার কিছু করার থাকে না।  আপনি চাইলে  তাদের থেকে ডকুমেন্ট নিয়ে আমাদের দিতে পারেন। যে কোন পেপার কন্টাক্ট করে বের করে  ৷ প্রথমে যে রেট দিব ক্লিয়ারিং করতে  পন্য আপনি হাতে পেয়ে তাই দিবেন ।  সরাসরি  ডকুমেন্ট দিতে পারেন  ৷ আমরা দুই কর্মদিবসে   কাস্টম ক্লিয়ারিং করার ব্যবস্থা করে দিবো । কেউ অযথা নক করবেন না ৷

WhatsApp only: 01931125727 


বাংলাদেশ হতে আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার নিয়ম
বিস্তারিত
আলিএক্সপ্রেস থেকে পণ্য কেনার নিয়ম

কিভাবে আলিএক্সপ্রেস থেকে পণ্য ক্রয় করবেন

আলিবাবা এবং আলিএক্সপ্রেস একই প্রতিষ্ঠানের দুটি ভিন্ন ওয়েবসাইট ৷ আলিবাবা থেকে কিভাবে কম খরচে পন্য আমদানী করতে হয় সেটা নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে অনেক পোষ্ট আছে দেখে নিতে পারেন ৷ আজকের পোষ্টে আমি দেখানোর চেষ্টা করবো কিভাবে আলিএক্সপ্রেস থেকে কম খরচে পন্য আমদানী করবেন ?

আলিএক্সপ্রেস হলো চায়না প্রতিষ্ঠান ৷ যেখান থেকে বিভিন্ন পন্য খুচরা সেল করা হয় ৷ এরা আন্তর্জাতিক ই-কমার্স ওয়েবসাইট ৷ এখান থেকে সারা বিশ্বে পন্য ডেলিভারি করা হয় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ৷ ফলে আপনার সামান্য ডেলিভারি চার্জ লাগলেও কাস্টসের কোন ঝামেলা করা লাগবেনা ৷

কিভাবে ওর্ডার প্লেস করবেন ?
বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি আলিএক্সপ্রেসের পন্য ওর্ডার করতে চান তবে প্রথমেই আপনাকে আলিএক্সপ্রেসের এ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে ৷ এর পর সেখানে একটা ইমেইল আই ডি দিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে ৷ এবার পছন্দ করুন আপনার পন্যটি ৷ ওর্ডার প্লেস করার সময় আপনার ঠিকানাটি দিয়ে দিন ৷ ওর্ডার প্লেস হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার পন্য চলে আসবে ৷

কিভাবে পেমেন্ট করবেন ?
বাংলাদেশে পন্য পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে চলে আসলেও পেমেন্ট করাটা খুবই কঠিন ৷ যে কেউ চাইলে পেমেন্ট করতে পারবেন না ৷ এ জন্য আপনার থাকতে হনে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট কার্ড ৷ যেটা দিয়ে আপনি একই সাথে টাকা এবং ডলার পেমেন্ট করতে পারবেন ৷

কিভাবে ডুয়েল কারেন্সি পেমেন্ট কার্ড তৈরি করবেন ?
ডুয়েল কারেন্সি পেমেন্ট কার্ড করাটা একটু ডিফিকাল্ট ৷ যে কেউ চাইলে এটা করতে পারবেনা ৷ প্রথম কাজ হলো আপনার একটি ভ্যালিড পার্সপোর্ট থাকতে হবে ৷ যে পার্সপোর্টে ডলার এন্ডোর্স করা হবে ৷ এখন বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ট্রেড লাইসেন্স ও চাওয়া হচ্চে ৷ কারন অনেকে এই কার্ড দিয়ে বিভিন্ন জুয়া খেলার ওয়েবসাইটে পেমেন্ট করে থাকে ৷ বাংলাদেশে প্রায় সকল ব্যাংক থেকে এই কার্ড ইস্যু করে থাকে ৷ তবে বিশেষ করে ইষ্টার্ন ব্যাংক থেকে একুয়া বা লাইফস্টাইল কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করা অনেক নিরাপদ ও ঝামেলা মুক্ত ৷ আপনার যদি সকল ডকুমেন্ট থাকে তবে আপনি এসব ডকুমেন্ট নিয়ে ব্যাংকে যোগাযোগ করতে পারেন ৷ এছাড়াও পেপাল, পেয়নিয়ার ইত্যাদি দিয়েও পেমেন্ট করতে পারবেন ৷

ডেলিভারি কিভাবে হবে ?
আলিএক্সপ্রেস সাধারনত কুরিয়ারে ডেলিভারি করেনা ৷ পোষ্ট অফিসের আন্তজার্তিক কুরিয়ারে পন্য ডেলিভারি করে থাকে ৷ এটা খুব কম খরচে পন্য ডেলিভারি করে ৷ তবে ডেলিভারি করতে অনেক সময় নিবে ৷ প্রায় ৩৯-৫০ দিন সময় লাগবে ৷

ট্যাক্স লাগবে কিনা ?
ছোটখাট পন্য ডেলিভারি করতে কোন প্রকার ট্যাক্স লাগবে না ৷ তবে আপনি যদি বড় পন্য ওর্ডার করেন যেটার ওজন বেশী বা আকারে বড়, সেসব ক্ষেত্রে কাস্টম চার্জ আসতে পারে ৷ তবে এটা খুবই সামান্য ৷ তত বেশী চার্জ ধরবে না ৷ যে ট্যাক্স ধরা হবে সেটার রিসিট আপনাকে দেয়া হবে ৷

পন্য রিটার্ন হবে কিনা ?
আলিএক্সপ্রেসের পন্য রিটার্ন করার কোন সুযোগ নেই ৷ পন্য যদি আপনার মন মত না হয় তবে আপনি সেটা কম্প্লেইন করতে পারবেন ৷ ওরা টাকা রিটার্ন করবে ৷

কি কি ধরনের পন্য আমদানী নিষিদ্ধ ?
বাংলাদেশ আমদানী নীতিমালা অনুযায়ী যেসব পন্য আমদানী নিষিদ্ধ সেসব পন্য আপনি আমদানী করতে পারবেন না ৷

কোন এজেন্সি দিয়ে আমদানী করাতে চাইলে কি করবেন ?
বাংলাদেশে অনেক এজেন্সি আছে যারা আলিবাবা থেকে পন্য আমদানী করে দেন ৷ আমরা  eibbuy.com থেকেও এই সেবা দিয়ে থাকি ৷ আপনি চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে ওর্ডার প্লেস করতে পারবেন ৷
আমরা আপনার হয়ে পেমেন্ট করে দিবো ৷ পন্য আসলে আপনাকে ডেলিভারি করে দিবো ৷ ডলার রেট সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান ৷ যে সময় যে রেট থাকবে আপনাকে সে রেটেই ডলার দেয়া হবে ৷

01931125727 (WhatsApp)


বিস্তারিত
কিভাবে বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্র উৎপাদন ব্যবসা শুরু করবেন

কাঠের আসবাবপত্রের বদলে বাঁশের তৈরী আসবাবপত্র বিকল্প হিসাবে এখন  মানুষ ব্যবহার করতে শুরু করছে। বাঁশ দিয়ে বানানো আসবাবপত্রের দাম কম এবং ভাল ভাবে মানের এবং বেশ মানান সই।  কাঠ দিয়ে বানানো খাটের দাম যদি ২০ হাজার টাকা হয় সেখানে বাঁশ দিয়ে বানানো খাটের দাম হবে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। কাঠের খাটটি বিক্রি করে যদি শতকরা ২৫ ভাগ লাভ হয় সেখানে বাঁশের খাটটি বিক্রি করে শতকরা ৩০ ভাগ লাভ করা যেতে পারে। নিজেকে একজন স্বাবলম্বী ও মাঝারী মানের আসবাবপত্র উৎপাদন  উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরী ব্যবসাটি হতে পারে আপনার জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা।  বর্তমানে আমাদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র,  যেমন: খাট, সোফা, ডাইনিং টেবিল, সাধারন টেবিল, চেয়ার, মোড়া, দোলনা ইত্যাদি  বাঁশ ও বেত দিয়েও বানানো হয় । যেগুলো দেখতে খুব সুন্দর এবং টেকসই।দেশীয় ডিজাইন ছাড়াও বিদেশি ডিজাইনের বাশেঁর তৈরী আসবাবপত্র বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন। তাই বলা যায় বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্র উৎপাদন ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। আজকের পর্বে আমরা অলোচনা করব  , কিভাবে বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্র উৎপাদন ব্যবসায় করবেন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত অলোচনা করব। বিস্তারিত জানতে পুরো পোস্ট পড়ুন।

কিভাবে বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্র উৎপাদন ব্যবসায় শুরু করবেনঃ

প্রথমে চাই একটি সঠিক বিজনেস প্ল্যান।এটি সকল ক্ষেত্রে একই অবস্থা। আপনি সঠিক প্ল্যান থাকতে হবে। তা না হলে যে কোন লাভজনক ব্যবসায় আপনি লোকসানে সমুক্ষীন হবেন। বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্র উৎপাদন ব্যবসায় শুরু করার প্রথম  বাঁশ কোথা থেকে কিনবেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিবেন, কারণ এ ব্যবসায় আপনার প্রচুর পরিমাণ বাঁশ এর প্রয়োজন হবে। এর আমাদের জানতে হবে  দাম কি রকম, বছরে সব সময় দাম একই রকম থাকে কিনা, কি জাঁতের বাঁশ আসবাবপত্র তৈরীর জন্য ভাল তা জানতে , এবং পরিবহন খরচ কত হবে। এবং কি পরিমাণ বাঁশ আনলে কি পরিমাণ পরিবহন খরচ তা বিস্তারিত জানতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি আপনার কাছাকাছি লোকেশন থেকে বাঁশ সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন এতে করে পরিবহন খরচ কম হবে। এবং আপনি ব্যবসা লাভবান হতে পারবেন। বাঁশের তৈরী আসবাবপত্র তৈরী করতে প্রথমে মেশিনের মাধ্যমে আপনি যে আসবাব পত্র তৈরী করতে চান সে সাইজ অনুযায়ী  বাঁশ কাটতে হবে। এর পর কাস্টমার এর চাহিদা অনুযায়ী এবং আপনারা এলাকায় চাহিদা  অনুযায়ী বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করে দিতে পারেন। তবে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন করা হয় খাট, সোফা, সাধারন টেবিল, ডাইনিং টেবিল, চেয়ার ইত্যাদি তৈরী করা হয়। বিভিন্ন ডিজাইনের নকশা দিয়ে আসবাবপত্র তৈরী করা হয়। পণ্যটিকে সুন্দর দেখাতে বিভিন্ন রং ব্যবহার করা যায়। এই ভাবে বাঁশের আসবাবপত্র তৈরী করা যায়। আপনি চেষ্টা করুন যেন আপনার উৎপাদিত পন্যটি খুব সুন্দর হয়।

কেন আপনি  বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্র উৎপাদন ব্যবসায়  শুরু করবেনঃ

এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। সময়ের সাথে সাথে এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাশেঁর তৈরী আসবাবপত্র ব্যবসাটিতে ঝুঁকির পরিমান কম। এই জন্য অনেক তরুণ উদ্যোক্তা এই ব্যবসাটি শুরু করতে আগ্রহী। এই ব্যবসাটি বাড়ির নারীরাও করতে পারে। এটি একটি জনপ্রিয় ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। অল্প টাকা বিনিয়োগ করে অনেক টাকা আয় করা যায় এই ব্যবসায়ের মাধ্যমে। ভালমানের আসবাবপত্র তৈরী করে বিদেশেও রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে।

কি কি আসবাবপত্র উৎপাদন করতে পারেন??

বাড়িতে প্রবেশের মুখেই রাখা  বাঁশের তৈরি ফুলদানি। ড্রয়িংরুমে থাকা বাঁশের তৈরি সোফা,  বাঁশের তৈরি কফি,  দেয়ালে বাঁশের তৈরি ছবির ফ্রেম, ঘর সাজানো শোপিস, বুকশেলফ আর কোনায় বাঁশের তৈরি লম্বা ফুলদানি। বাঁশের তৈরি ডাইনিং টেবিল–চেয়ার, বাঁশের তৈরি বিভিন্ন আকৃতির ঝুড়ি। শোবার ঘরের খাটের পাশে বাঁশের তৈরি সাইড টেবিল,  বাঁশ দিয়ে বানানো টেবিল ল্যাম্প, কিংবা ঘরে ঝোলানো ল্যাম্পশেডও,  বাঁশের তৈরি প্রয়োজনীয় ক্যাবিনেট।
রান্নাঘর পরিপাটি রাখতে এখন মানুষ বাঁশ দিয়ে উৎপাদন করা আসবাবপত্র ব্যবহার করছে। তাই আপনি উৎপাদন করতে পারেন  মসলার বক্স, প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার র‍্যাক বা শেলফ, বাঁশের তৈরি টিস্যু হোল্ডার  বারান্দায় রাখা   বাঁশের মোড়া,  বাসার সামনে বা ছাদে যদি ছোট বাগান থাকে, সেখানে এক জোড়া বাঁশের চেয়ার আর টি–টেবিল।

সম্ভাব্য পুঁজি
বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্র উৎপাদন ব্যবসায় আপনি কি ধরনের পন্য উৎপাদন করতে চান তার উপর নির্ভর করে আপনার ইনভেস্ট  কত টাকা লাগবে। তাহলে এখন এটি বলা সহজ নয়। কিছু পন্য উৎপাদন এর ক্ষেত্রে  ব্যবসাটি শুরু করতে হলে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি করে নিতে হবে। তবে স্থানীয় প্রযুক্তিতে বানিয়ে নিতে পারেন ।

বাজারজাত করনঃ
বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরির ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে বাজারজাত করন কেন্দ্র  করতে হবে । একটি কারখানার জন্য আর একটি শোরুম বা বিক্রয়কেন্দ্রের জন্য। যেখানে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো এবং মানুষের চলাচল বেশি সেখানে এই ব্যবসাটি শুরু করা ভালো। বাজারে বা মার্কেটের পাশে একটি দোকানে এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। শোরুমের পিছনে বা নীচে কারখানা থাকলে পরিবহন খরচ লাগে না। বাড়িতেও এই ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে। অনলাইনে আপনি ফেসবুক পেইজ খুলে  বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনার ব্যবসার প্রচার করতে পারেন। এবং আপনি চাইলে আমাদের  eibbuy.com সাইটে সাপ্লায়ার হিসেবে ফ্রীতে নিবন্ধন করে পন্য বিক্রি করতে পারেন। এতে কোন টাকা লাগবে না। আমাদের সাইটে আছে অনেকেই যারা বাঁশ দিয়ে পন্য উৎপাদন করে এখানে পাইকারি বাজার সেল করে । এ ছাড়া আপনার প্রথম লক্ষ থাকতে হবে লোকাল মার্কেট যা আপনি নিজে তৈরি করে নিবেন।
যোগ্যতা: পণ্যের বিভিন্ন রকম ডিজাইন করতে প্রশিক্ষনের প্রয়োজন রয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। আপনার যদি প্রশিক্ষন না দেওয়া থাকে তাহলে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিবেন। এবার আসি আপনার উৎপাদন যদি অনেক বেশি হয়  তাহলে দক্ষ কারিগর নিয়োগ দিতে হবে। উৎপাদন ও বিক্রি একই সাথে চালাতে হবে। তাছাড়া গ্রাহকের পছন্দের মত আসবাবপত্র বানিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা থাকতে হবে।

বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্র ব্যবসায় লাভ কেমন :
এই ব্যবসাটি করে বেশ ভালই লাভবান হওয়া যায়। এই ব্যবসাটি থেকে শতকরা ৩২ ভাগ লাভ বের করা সম্ভব।
সবধরনের বাঁশ কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় না। যেসব বাঁশ হালকা, নমনীয় এবং প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালী, সেগুলোই ব্যবহৃত হয়। বাড়ির সাজসজ্জায় ব্যবহার করা যায়, এমন একটি চমৎকার উপাদান বাঁশ। বাঁশের সেরা সুবিধা হলো, এটি সবধরনের আবহাওয়ার উপযোগী। তাই এটি যেকোনো জায়গার জন্য উপযুক্ত।
আজ এই পর্যন্ত, আপনি বাঁশ আসবাবপত্র উৎপাদন ব্যবসায় করতে চাইলে আপনার আশেপাশে এলাকার বাস্তবতা সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন তারা কি বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র ব্যবহার করছে কিনা বা করবে কিনা, এবং কোথায় এর ভালো মানের মার্কেট রয়েছে, ব্যবসাকে ভালোবাসুন সফলতা একদিন আসবেই। আমাদের পোস্ট এ-ই পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

বিস্তারিত
কিভাবে বিনা পুঁজিতে রিসেলার বিজনেস শুরু করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করবেন ?

যারা মূলত বিজনেস করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিতে চান। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। বলা যায়, বিজনেস করে যারা ক্যারিয়ার গড়তে চান। তাদের ক্যারিয়ার গড়ার সেই স্বপ্নটিকে এক ধাপ এগিয়ে দিতে যথেষ্ট সহায়তা করবে আজকের এই আর্টিকেলটি।

রিসেলার ব্যবসা বিনা পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসাইয় আপনার পণ্য উৎপাদন বা ডেলিভারি কিছুই দিতে হবে না । এইসব কিছুর ঝামেলা নেই। একজন রিসেলার কাজ হচ্ছে উৎপাদনকারী বা পাইকারি ব্যবসায়ি থেকে কম দামে পণ্য কিনে সেই পণ্য একটু বেশি দামে ক্রেতার কাছে বিক্রি করা । কোন জিনিস তার উৎপাদনকারী, বিক্রেতা কিংবা পাইকারী বিক্রেতার কাছ থেকে কম দামে ক্রয় করে সেটি পুনরায় বেশি দামে বিক্রয় করাই রিসেলার বিজনেস।

এক্ষেত্রে একজন রিসেলারের উদ্দেশ্য থাকে বেশ ভাল অঙ্কের একটি মুনাফা লাভ এবং আধুনিক ব্যবসায়িক যুগে নিজের অবস্থান পোক্ত করা। যদিও আমি অন্যান্য আর্টিকেল গুলোতে বিভিন্ন ব্যবসা করার আইডিয়া গুলো নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। কিন্তুু আমি আজ শুধমাএ রিসেলার ব্যবসা নিয়ে ধারনা দেয়ার চেস্টা করবো।

কেননা, বর্তমানে অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় রিসেলার ব্যবসা অনেক গুন এগিয়ে আছে। আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন, কারন এই Reseller Business এর অনেক সুবিধা রয়েছে। যদি আপনি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন ৷

তাহলেও আপনি এই রিসেলার ব্যবসা করতে পারবেন।

অথবা আপনি যদি একজন চাকুরীজীবি হয়ে থাকেন। তাহলেও আপনি পার্ট টাইম জব হিসেবে এই Reseller Business করে বাড়তি কিছু টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। শুধু এই সুবিধাটি নয় বরং আপনি আরও অনেক ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যদি আপনি ব্যবসা করার জন্য এই রিসেলার বিজনেস এ নিজেকে নিযুক্ত করেন।

আর সে কারনেই মূলত বর্তমান সময়ে আপনার মতো এমন অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত যোগ দিচ্ছে এই রিসেলার ব্যবসা তে। এখন আপনি একজন নতুন মানুষ হিসেবে যদি এই রিসেলার বিজনেসে যুক্ত হতে চান। তাহলে আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে, কিভাবে আপনি এই বিজনেস শুরু করবেন।

রিসেলার বিজনেস এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে একজন মার্কেটার কোনো কোম্পানীর পণ্যের প্রচার করেন। গ্রাহক তার লিঙ্ক দিয়ে সেই কোম্পানী থেকে সরাসরি নিজে জিনিস ক্রয় করেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের ইউনিক লিঙ্ক ব্যবহার করায় সেই কোম্পানী নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দেন। রিসেলার বিজনেস এ কোম্পানী রিসেলার কে কোনো কমিশন দিবেনা। একজন রিসেলার তার অনলাইন শপেই প্রোডাক্টটির অর্ডার নিবেন এবং পেমেন্ট গ্রহণ করবেন। পরবর্তীতে তিনি এই অর্ডার অন্য কোম্পানীকে ফরওয়ার্ড করবেন, তারাই ডেলিভারী করবে।

প্রশ্ন হলো তাহলে রিসেলার ব্যবসা করে লাভ কি? একজন রিসেলার তার শপে পণ্যের দাম অরিজিনাল কোম্পানীর বিক্রিত মূল্যের চেয়ে বেশি রাখেন। তিনি যতবেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন, সেটাই তার লাভ।


রিসেলার বিজনেস কেন করবেন

বেশিরভাগ মানুষেরই ব্যবসায়িক পথ মসৃণ হয়না। সেক্ষেত্রে অনেকেই প্রথমে রিসেলার ব্যবসা নিয়ে একটু দ্বিধার মাঝে থাকতে পারেন এটাই স্বাভাবিক। তবে রিসেলার বিজনেসের সময় ও সুযোগ বিনিয়োগের ক্ষেত্র বেশ সমৃদ্ধশালী। যার ফলে আপনি আর্থিক লাভ থেকে শুরু করে আপনার ব্যবসায়িক দক্ষতাকে শাণিত করতে পারবেন।

রিসেলার ব্যবসা কে সম্ভাব্য ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়ার পেছনে কারণসমূহ নিম্নরূপ:


১। বিক্রয়ের বিস্তৃত অপশন

আপনি যদি একজন রিসেলার হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনার রয়েছে বিভিন্ন ধরণের পণ্য বিক্রয়ের সুযোগ। মনে করুন, আপনি পোশাক বিক্রয়ের মাধ্যমে আপনার রিসেলার বিজনেসটি চালু করতে চান। প্রাথমিক পর্যায়ে মুনাফা লাভের পর কিন্তু আপনি আপনার অনলাইন শপে আধুনিক ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল বিষয়ক আরো পণ্য যোগ করতে পারেন, হতে পারে সেগুলো জুতা, কসমেটিক্স, জুয়েলারি, হ্যান্ডব্যাগ ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে আপনার অনলাইন বিজনেসে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পণ্য কেনার খরচটি ছাড়া আর কোন খরচ আপনাকে বহন করতে হচ্ছে না।


২। অল্প বিনিয়োগে বেশি লাভের সুযোগ

রিসেলার বিজনেস শুরু করতে হলে আপনাকে বেশি পুঁজি বিনিয়োগ করতে হবে এমন কোন কথা নেই। একটি নির্দিষ্ট পণ্যের পাইকারি দামেই আপনি সেই পণ্যটি ক্রয় করতে পারছেন, এবং বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা সম্পূর্ণই আপনার স্বাধীনতা। সেক্ষেত্রে আপনি নির্ধারিত ক্রয়মূল্যের চেয়ে বেশি দামে আপনার পণ্যটি গ্রাহকের কাছে বিক্রয় করে বেশি মুনাফা লাভের একটি সুযোগ পাচ্ছেন। তবে হ্যাঁ, একচেটিয়া বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ না করে পণ্যের গুণগত মান অনুযায়ী একটি মানানসই মূল্য ধার্য করা শ্রেয়।
 

৩। ব্যবসা শীঘ্রই শুরুর দারুণ সুযোগ

একটি রিসেলার বিজনেস শুরুর জন্যে আপনাকে কোন নির্দিষ্ট সময় বা প্রক্রিয়ার অপেক্ষা করতে হবেনা। আপনি আপনার অনলাইন শপে পণ্যসামগ্রী যোগ করা এবং আনুষঙ্গিক আরো কিছু কাজ সারার পরমুহূর্তেই আপনার রিসেলার ব্যবসা প্রক্রিয়াটি চালু করতে পারেন। অর্থাৎ আপনার বিজনেস সেটআপ এবং উদ্বোধন দুটোই একই দিনে এবং কম সময়ের মধ্যে শুরু করার একটি দারুণ সুযোগ আপনার হাতের মুঠোয়।
 

৪। কোন ইনভেন্টরি চার্জ বহন করতে হয়না

আপনি যদি আপনার রিসেলার বিজনেসের জন্য কোন রিসেলার ড্রপশিপ মার্কেটপ্লেস (reseller dropship marketplace) এর সাহায্য নিয়ে থাকেন।

সেক্ষেত্রে আপনাকে পণ্যের জন্য কোন অগ্রিম বাল্ক ইনভেন্টরি চার্জ (bulk inventory charge) বহন করতে হবেনা। এক্ষেত্রে eBay, Amazon, AliExpress ইত্যাদি ড্রপশিপ মার্কেটপ্লেস বেশ নির্ভরযোগ্য এবং বহুল প্রচলিত। এখন অনেকের কাছেই হয়ত ড্রপশিপিং (dropshipping) শব্দটি নতুন মনে হতে পারে। তাদের জন্যে বলছি, মনে করুন  একজন রিসেলার হিসেবে আপনার অনলাইন শপে কোন পণ্যের অর্ডার আসার পর আপনি আপনার সাপ্লায়ার বা পাইকারী বিক্রেতার থেকে পণ্যটি ক্রয় করে অর্ডারকারী অর্থাৎ আপনার গ্রাহকের কাছে তার কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি বিক্রয় করলেন। এই পুরো প্রক্রিয়াটিই ড্রপশিপিং।

অর্থাৎ ড্রপশিপিং এমন একটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া বা ধাপ, যার মাধ্যমে আপনি একজন পাইকারী বিক্রেতা বা পণ্য নির্মাতা এবং একজন গ্রাহকের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন।

৫। নিম্ন আর্থিক ঝুঁকি

একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি যদি পাইকারী বিক্রয় বা হোলসেলিং (wholesaling) এর মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে ব্যয়বহুল বাল্ক ইনভেন্টরি চার্জ এবং শিপিং ফি (shipping fee) এর বিনিময়ে পণ্য নির্বাচনের বিস্তৃত সুযোগটি অর্জন করে নিতে হবে।

পক্ষান্তরে, রিসেলার বিজনেসের ক্ষেত্রে কম ঝামেলায় কম পুঁজিতেই আপনি পণ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতাগুলোকে এড়িয়ে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে বাল্ক ইনভেন্টরি যেমন কিনতে হচ্ছেনা, তেমনি চড়ামূল্যে শিপিং ফিও প্রদান করা লাগছেনা। গ্রাহকরা তাদের পছন্দসই পণ্য আপনার অনলাইন শপে অর্ডার করামাত্রই আপনাকে শুধুমাত্র সেই পণ্যের জন্য সাপ্লায়ারকে অর্থ প্রদান করতে হচ্ছে।

৬। সময়ের পর্যাপ্ততা

রিসেলার বিজনেসের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে, আপনাকে এতে পুরো সময় ব্যয় করতে হবেনা। রিসেলার ব্যবসার বেশিরভাগ প্রক্রিয়াই স্বয়ংক্রিয় এবং অটোমেটিক্যালি নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে এটি সহজেই পরিচালনা করা সম্ভব।

এছাড়াও ড্রপশিপিং এর কারণে পণ্য প্যাকেজিং এবং শিপিং এর ঝামেলা না থাকায় রিসেলারের অনেকখানি সময় বেঁচে যায়। তাই বর্তমান সময়ে ছাত্রছাত্রী এবং চাকুরিজীবীদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় পার্টটাইম ইনকাম সোর্স।

রিসেলার বিজনেস কীভাবে করবেন

আধুনিক যুগের ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় নিজের একটি সুদৃঢ় স্থান গড়ে তোলার জন্য আপনাকে প্রথমেই রিসেলার বিজনেসের কয়েকটি মূলশর্ত বা ধাপ অতিক্রম করতে হবে। যেমন:

রিসেলার বিজনেস


১। ই-কমার্স (e-commerce) সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান

যেহেতু রিসেলার ব্যবসা সম্পূর্ণই অনলাইন ভিত্তিক, সেহেতু একজন রিসেলার হিসেবে আপনার মূলশর্ত হচ্ছে ই কমার্স সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান এবং দক্ষতা। সেক্ষেত্রে আপনার যদি নিজস্ব ফেসবু্ক একাউন্ট/পেইজ থাকে, সেটি অবশ্যই ভাল।

তবে রিসেলার বিজনেসের ক্ষেত্রে আপনাকে কম ঝামেলায় বেশি সাহায্য করবে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটিই আপনার নিজস্ব অনলাইন শপ হিসেবে কাজ করবে।


২। উন্নতমানের ই-কমার্স ওয়েবসাইট/অনলাইন শপ তৈরি


একটি উন্নতমানের ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির জন্য আপনাকে বেশকিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হতে পারে। এখন আপনার মনে এই প্রশ্ন আসতে পারে যে, একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সুবিধাগুলো কি কি।

প্রথমত, আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট তথা অনলাইন শপটি যেমন আপনার বিজনেসের পরিচয় বহন করবে, তেমনি একশ্রেণীর নির্দিষ্ট গ্রাহকের একটি ট্র্যাক পরিচালনা করতে আপনাকে সাহায্য করবে। এতে করে আপনার বিজনেসের গুরুত্ব বাড়ার পাশাপাশি একজন রিসেলার হিসেবে আপনার সুনামও অক্ষুণ্ণ থাকবে।

দ্বিতীয়ত, একজন রিসেলার এবং গ্রাহকের মাঝে একটি আধুনিক ই-কমার্স ওয়েবসাইট তথা অনলাইন শপ একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন। পণ্য ক্রয় করার আগে একজন গ্রাহক সাধারণত অনলাইন শপটির গ্রহণযোগ্যতা, ডিমান্ড এবং পারফর্মেন্সের উপর ভিত্তি করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

এসব দিকগুলোর কথা মাথায় রেখে একজন রিসেলারকে তার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড, কর্মদক্ষতা ও আনুষঙ্গিক ডিজাইন ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরি। আর সেক্ষেত্রে তার ওয়েবসাইটে উন্নতমানের ডোমেইন হোস্টিং সিস্টেম সেটআপ করতে হবে।


৩। সৃজনশীল কন্টেন্ট তৈরি

একজন রিসেলার হিসেবে উন্নতমানের কন্টেন্ট তৈরির দক্ষতা আপনার পণ্যের দ্রুত প্রচার, প্রসার এবং বিপণনের জন্য বেশ কার্যকর। আপনি যত ধারাবাহিকভাবে আপনার পণ্য সম্পর্কিত কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন, গ্রাহকের কাছে ততই আপনার পণ্যের গ্রহনযোগ্যতা বাড়বে।

এজন্য আপনার ব্লগ কন্টেন্ট এবং ভিডিও কন্টেন্ট উভয়ই মনেটাইজিং (monetizing) করা জরুরি।


৪। বিজ্ঞাপন তৈরি

বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষাই আপনার পণ্যের জন্য সুনির্দিষ্ট মানের বিজ্ঞাপন তৈরিতে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে ফেসবুকে প্রতিযোগিতামূলক বিজ্ঞাপন আসার সম্ভাবনা খুব কম বলে রিসেলার এবং ড্রপশিপারদের জন্য এই মাধ্যমটি বেশ জনপ্রিয়।


৫। পণ্যের বাজারদর এবং গ্রাহকের চাহিদা সম্পর্কে জ্ঞান

রিসেলার বিজনেসে ভাল করার অন্যতম শর্ত হচ্ছে গ্রাহকের মনস্তত্ত্ব এবং পণ্যের গুণাগত মান অনুযায়ী এর দরদাম সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের চাহিদায় এবং স্বভাবে বেশ পরিবর্তন আসে। সে দিকটা মাথায় রেখেই একজন রিসেলারকে তার গ্রাহকের জন্য সঠিক পণ্য নির্বাচন করতে হয়। তাছাড়া একশ্রেণীর গ্রাহককে হাতে রাখবার জন্য পণ্যের একটি সুলভ মূল্য নির্ধারণ করার আইডিয়াও থাকা জরুরি।

রিসেলার ব্যবসা কি? কিভাবে রিসেলার ব্যবসা শুরু করবেন ?

রিসেলার ব্যবসা অনেকটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মতো। পড়ালেখা পাশাপাশি ঘরে বসে টাকা আয় করার জন্য রিসেলার ব্যবসা একটা ভালো উপায়। রিসেলার বিজনেস করে অনেক মুনাফা অর্জন করার সুযোগ রয়েছে।

রিসেলার ব্যবসা কেন করবেন

ব্যবসা করার জন্য সময়ে সাথে নানা রকম কৌশল ও দক্ষতা অবলম্বন করতে হবে। রিসেলার ব্যবসার মধ্যে ও আপনাকে নানা রকম কৌশল অবলম্বন করতে হবে। একবার যদি এই ব্যবসা সফল হয়ে যান তাহলে এটিকে আপনি আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবেন।

রিসেলার ব্যবসা কিভাবে করবেন


রিসেলার ব্যবসা অনলাইন - অফলাইন দুই রকম ভাবে করা যায়। রিসেলার ব্যবসা করার জন্য কোনো দোকান বা ঘরের প্রয়োজন হয় না। তাই ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করা যায় যেমন ফেসবুক পেজ , ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ও কিছু টাকা ইনভেস্ট করে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে তৈরি করে ইত্যাদি তে ব্যবসা করা যায়।

এছাড়া বাংলা দেশে অন্যতম রিসেলার প্লেটর্ফম  eibbuy.com সাহায্য আপনারা রিসেলিং বিজনেস শুরু করতে পারবেন। eibbuy.com ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন দিয়ে একটি ফর্ম পূরণ করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখান থেকে প্রডাক্ট নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই আর্টিকেলে বিস্তারিত দেয়া আছে কিভাবে eibbuy.com ওয়েবসাইট দিয়ে আপনি রিসেলিং ব্যবসা শুরু করবেন।   বিনা পুঁজিতে পণ্য রিসেল করে টাকা আয়

এছাড়াও বাংলাদেশে আরো কিছু রিসেলার ওয়েব সাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি পণ্য নিয়ে রিসেল ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

কিভাবে অফলাইন রিসেলার ব্যবসা শুরু করবেন?

যদি আপনি রিসেলার ব্যবসা করার জন্য অনলাইন পদ্ধতি কে বেছে নেন। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। যদি আপনি সঠিকভাবে এই ধাপ গুলো অতিক্রম করতে পারেন। তাহলে আপনার সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশে বেড়ে যাবে।

ধাপ-১ঃ যেহুতু আপনি অফলাইনে রিসেল করার বিজনেস করবেন। সেহুতু আপনাকে সব কাজ ম্যানুয়ালি করতে হবে। এবং সেভাবেই আপনাকে শুরু থেকে প্রস্তুুতি নিতে হবে।

ধাপ-২ঃ এরপর আপনাকে কোনো এক বা একাধিক পন্য নির্বাচন করে নিতে হবে। যে পন্য গুলো কে দিয়ে আপনি রিসেলার ব্যবসা করতে চান।

ধাপ-৩ঃ যখন আপনি আপনার ব্যবসা করার পন্যকে বাছাই করতে পারবেন ৷ তখন আপনাকে খুজে নিতে হবে আপনার পন্য গুলো কোথা থেকে নিলে অনেক কম দামে নেওয়া যাবে। কেননা, এই পন্য গুলো আপনি যতো কম দাম দিয়ে কিনতে পারবেন ৷ আপনার আয় এর পরিমান ঠিক ততোটুকুই বৃদ্ধি পাবে।

ধাপ-৪ঃ এরপর যখন আপনি উপরোক্ত ধাপ গুলো সঠিকভাবে অতিক্রম করতে পারবেন। তখন আপনার পরবর্তী ধাপ হবে আপনার কিনে নেয়া সেই পন্য গুলো কে কোথায় সেল করবেন। আর এই স্থান নির্বাচন করার সময় অবশ্যই লোকবহুল স্থানকে বেশি প্রাধান্য দিবেন ৷ কারন যদি আপনি পর্যাপ্ত কাস্টমার না পান। তাহলে কিন্তুু আপনি আশানুরূপ সেল করতে পারবেন না ৷

ধাপ-০৫ঃ এরপর আপনাকে আর তেমন কিছু করতে হবে না। বরং আপনি উপরোক্ত ধাপ গুলো পুনরাবৃত্তি করে যাবেন। এবং রিসেলিং বিজনেস কে কন্টিনিউ ভাবে পরিচালনা করবেন। তো যদি আপনি অফলাইনে রিসেলার বিজনেস করতে চান। তাহলে উপরোক্ত ধাপ গুলো সঠিকভাবে অতিক্রম করতে হবে। এবং যদি আপনি এই ধাপ গুলো অতিক্রম করতে পারেন।

তাহলে আমার বিশ্বাস যে আপনি খুব কম সময়ের মধ্যে এই বিজনেস থেকে অধিক পরিমান টাকা লাভ করে নিতে পারবেন।
কিভাবে অনলাইন রিসেলার বিজনেস শুরু করবেন?


যেহুতু আপনি উপরের আলোচনা থেকে অফলাইন Reseller Business সম্পর্কে জানতে পারলেন ৷ সেহুতু অবশ্যই আপনাকে অনলাইন রিসেলার বিজনেস শুরু করার পদ্ধতি গুলো সম্পর্কেও জেনে নিতে হবে। কেননা, অফলাইন এর চাইতে আপনি অনলাইনে অধিক পরিমান সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তো যদি আপনি অনলাইন কে কেন্দ্র করে রিসেলার ব্যবসা করতে চান। তাহলে আপনার সামনে এমন অনেক ধরনের পথ চলে আসবে ৷ এখন আপনি এই যে কোনো একটি পথকে অনুসরন করে এই ধরনের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন।

এখন জানার বিষয় হলো যে, আপনি এই অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা মোট দুইভাবে করতে পারবেন। যেমন
 

নিজস্ব ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে এবং 

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে

মূলত বর্তমান সময়ে যারা যারা অনলাইন প্লাটফর্মে রিসেলার ব্যবসা করেন। তারা মূলত এই দুই মাধ্যমে এই বিজনেসটি পরিচালনা করে থাকে।

তো এই দুটি মাধ্যম নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।  নিজস্ব ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে অনলাইনে রিসেলিং বিজনেস

যেহুতু আপনি রেগুলার একজন অনলাইন ইউজার। সেহুতু আপনার অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে ধারনা থেকে থাকবে। এখন আপনি কিন্তুু এই ওয়েবসাইটে এর মাধ্যমে খুব সহজেই এই ধরনের রিসেলিং বিজনেস করতে পারবেন। যা আপনার মতো অনেক মানুষ ই দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে।


বিস্তারিত
কিভাবে ড্রোন আমদানি করবেন , ড্রোন আমদানি নীতিমালা ২০২০ ( How to import drone, Drone Import Policy 2020 )

বর্তমান এই প্রযুক্তির যুগে মনুষ্যবিহীন আকাশযান বা ড্রোন আর বিরল নয়। বর্তমানে  গবেষণার কাজে এবং  দুর্গম স্থানের চিত্র ধারণে ও সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নানা কাজে,  ব্যক্তিগত শখ পূরনে  এখন ড্রোন ব্যবহার হচ্ছে। সর্ব সাধারনের যে কোন স্থানে  ড্রোন যথেচ্ছ ব্যবহারে বিমান উড্ডয়নে  বাধাগ্রস্ত হতে পারে বা  জননিরাপত্তা এমনকি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পর্যন্ত বিঘ্নিত  হতে পারে এই কথা ভেবে বাংলাদেশ সরকার  ড্রোন আমদানি নীতিমালা এবং  ড্রোন উড্ডয়ন  নীতিমালা ২০২০ প্রনয়ণ করেছেন । কিন্তু সে নীতিমালায় ড্রোন আমদানি নীতিমালা বিস্তারিত ভাবে বর্ননা নেই। যে সকল ড্রোন ৫ কেজির উপরে সেগুলো নিয়ে বর্ননা রয়েছে। কিন্তু এর নিচে হলে কি হবে সেটা লিখা নেই। ড্রোন আমদানি ও উড্ডয়ন নীতিমালা ২০২০ এ ড্রোন উড্ডয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে।  ড্রোন আমদানি বা বানানোর অনুমতি কঠিন হয়ে পড়ায় বর্তমানে দেশে  চাহিদার দিকে তাকিয়ে এখন প্রচুর ড্রোন আমদানি হচ্ছে অবৈধভাবে। আজকের পর্বে আমরা অলোচনা করব কিভাবে ড্রোন আমদানি করবেন, ড্রোন আমদানি নীতিমালা বিস্তারিত ভাবে অলোচনা করব। 

বাংলাদেশ হতে আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার নিয়ম সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন ।

  উড্ডয়নের অনুমতি প্রদানের সুবিধার্থে ব্যবহারের ভিত্তিতে ড্রোনকে ৪টি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে 

ক-শ্রেণি বিনোদনের জন্য ব্যবহার

খ-শ্রেণি : শিক্ষা ও গবেষণার মতো অ-বাণিজ্যিক কাজে সরকারি/বেসরকারি সংস্থা/ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহার

গ-শ্রেণি : জরিপ (Survey), স্থিরচিত্র, চলচ্চিত্র নির্মাণ, পণ্য পরিবহণ-এর ন্যায় বাণিজ্যিক ও পেশাদার কাজে ব্যবহার

ঘ-শ্রেণি রাষ্ট্রীয়/সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহার।

এখন আমরা আলোচনা করব কিভাবে বিদেশ থেকে ড্রোন আমদানি করতে হয়। এবং বাংলাদেশ সরকার এর থেকে প্রনয়ন করা ড্রোন আমদানি নীতিমালা ২০২০।

আমদানী রপ্তানি লাইসেন্স ফি কত এবং কত দিন সময় লাগতে পারে বিস্তরিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

(*) ড্রোন আমদানি, তৈরি ও সংযোজন-ড্রোন বা ড্রোনের যন্ত্রাংশ আমদানি, তৈরি ও সংযোজন-এর ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী পালন করতে হবে 

(১) সরকারের আমদানি নীতিমালা অনুসারে এবং শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত পদ্ধতিতে ড্রোন বা ড্রোনের যন্ত্রাংশ আমদানি অথবা ড্রোন তৈরি ও সংযোজনের কারখানা স্থাপন করতে হবে। ৫ (পাঁচ) কেজির (Payload-সহ) বেশি ওজনের ড্রোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে জননিরাপত্তা বিভাগের অনাপত্তি গ্রহণ করতে হবে। তবে খেলনা জাতীয় ড্রোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অনুমতি গ্রহণের প্রয়োজন হবে না। 

(খ) ক, খ ও গ শ্রেণির জন্য ৫ (পাঁচ) কেজির (Payload-সহ) বেশি ওজনের ড্রোন বা ড্রোনের যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে, আমদানির পূর্বেই, ড্রোন বা ড্রোনের যন্ত্রাংশের বিস্তারিত সুনির্দিষ্ট বর্ণনা (Specification) স্পেসিফিকেশন ও সংখ্যা উল্লেখসহ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি গ্রহণ করতে হবে। 

(গ) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র ইস্যুর ১ (এক) বছরের মধ্যে অনুমোদিত স্পেসিফিকেশন মোতাবেক ড্রোন ড্রোন যন্ত্রাংশসমূহ আমদানি করা যাবে এবং আমদানি পরবর্তী সময়ের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্য কোনো নির্দেশনা থাকলে তা প্রতিপালন করতে হবে

(ঘ) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তির কপি ও অনুমোদিত স্পেসিফিকেশনের কপিসহ কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রযোজ্য শুল্ক পরিশোধ করে ৫ (পাঁচ) কেজির (Payload-সহ) বেশি ওজনের ক, খ ও গ শ্রেণিভুক্ত ড্রোন আমদানি করা যাবে এবং এ সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তির মূলকপি ও অনুমোদিত স্পেসিফিকেশনের মূলকপি প্রদর্শনে আমদানিকারী বাধ্য থাকবে। 

(ঙ) ড্রোন তৈরি ও সংযোজনের কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে ড্রোনের বিস্তারিত স্পেসিফিকেশন উল্লেখসহ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি গ্রহণ করতে হবে এবং অনুমোদিত স্পেসিফিকেশনের বাইরে নতুন স্পেসিফিকেশনের ড্রোন তৈরির ক্ষেত্রেও পুনরায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি গ্রহণ করতে হবে।

(*)বিবেচনামূলক ক্ষমতা—এ নীতিমালার পূর্বোক্ত অনুচ্ছেদসমূহে যা কিছুই থাকুক না কেন, বেসামরিক বিমান চলাচল, রাষ্ট্রীয় এবং জননিরাপত্তার স্বার্থে অথবা অন্য কোনো কারণে সরকার যে কোনো সময়ে যে কোনো বেসামরিক ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়নের অনুমোদন মঞ্জুর/বাতিল/প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা সংরক্ষণ করবে।

সুতরাং উপরের বিষয় থেকে আমরা বুঝতে পারলাম, আপনি যে পোর্ট দিয়ে ড্রোন আমদানি করবেন সে পোর্টে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সমসাময়িক বিষয় খেয়াল রেখে এবং পোর্ট এর রুলস মেনে আপনার ড্রোন ক্লিয়ারিং এর অনুমোদন দিবে। তাই যারা বৈধ ভাবে ড্রোন আমদানি করবেন তারা আমদানি করার পূর্বে যে পোর্ট দিয়ে ড্রোন আমদানি করবেন সে পোর্টে কাস্টমস ডাটা শিট নিয়ে নিবেন । এবং সে পোর্ট দিয়ে ড্রোন ক্লিয়ারিং হয়েছে কিনা হলে কিভাবে ক্লিয়ারিং এর অনুমোদন দিয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিবেন। তা না হলে আপনি লোকসানে সমুক্ষিন হবেন।

PI কি আমদানিতে PI এর গুরুত্ব কেন বেশি ? বিস্তরিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ।

(*)  ড্রোন নিবন্ধীকরণঃ 

যারা ড্রোন উড্ডয়ন করতে চান তারা ড্রোন এর নিবন্ধন করতে হবে। তবে সকল শ্রেণির ড্রোন এর জন্য নিবন্ধন করার প্রয়োজন নেই। 

(ক) ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির ড্রোন বেবিচক-এর ANO-তে নির্ধারিত ফর্মে ও পদ্ধতিতে আবেদন করে বেবিচক-এর নিকট হতে ড্রোনের নিবন্ধন/পরিচিতি নম্বর গ্রহণ করতে হবে;

(খ) ‘ক’ শ্রেণির ড্রোন ১০০ (একশত) ফুটের (৩০.৪৮ মিটার) বেশি উচ্চতায় উড্ডয়ন ক্ষমতাসম্পন্ন হলে অথবা ৫ (পাঁচ) কেজির (Payload-সহ) বেশি ওজনের হলে উক্ত ড্রোনের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক;

(গ) ড্রোন নিবন্ধনের জন্য নিম্নবর্ণিত কাগজপত্রাদি বেবিচক-এর নিকট দাখিল করতে হবে

(১) ড্রোন ব্যবহারের উদ্দেশ্য;

(২) স্পেসিফিকেশনের কপি;

৩) ড্রোন ক্রয়ের রশিদ,

(৪) বিটিআরসি-এর প্রত্যয়নের কপি;

(৫) আবেদনকারীর ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি;

(৬) মোবাইল ফোন নম্বর;

(৭) ড্রোন উড্ডয়নকালে সৃষ্ট যে-কোনো অ্যাচিত জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার পরিকল্পনা;

(৮) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র (প্রযোজ্যক্ষেত্রে); এবং

(৯) বেবিচক-এর চাহিদা মোতাবেক অন্যান্য কাগজপত্র/তথ্য।

(ঘ) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, ও বেবিচক তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ‘অনাপত্তি’ / প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ, নিবন্ধন ও উড্ডয়নের অনুমতি প্রাপ্তির পদ্ধতি সম্পর্কে জনসাধারণের অবগতির জন্য প্রচার করবে।

(ঙ) ড্রোন উড্ডয়নকালে সৃষ্ট যে-কোনো অ্যাচিত জরুরি পরিস্থিতি, যেমন : ড্রোনের ব্যাটারি/ উড্ডয়নের শক্তি ফুরিয়ে যাওয়া, ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণসীমার বাইরে চলে যাওয়া, ড্রোনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা, অনিচ্ছাকৃত কারণে কোনো প্রাণি সম্পত্তির জন্য হুমকি/ক্ষতির সম্ভাবনা ইত্যাদি সৃষ্টি হলে তা মোকাবিলার জন্য লিখিত পরিকল্পনা থাকতে হবে।

(চ) ‘ক’ {৫ (পাঁচ) কেজির (Payload-সহ) ঊর্ধ্বে}, ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির ড্রোনের ফ্রিকোয়েন্সি অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থার (রেডিও, টেলিভিশন, মোবাইল, স্যাটেলাইট ও এভিয়েশন) জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী নয় মর্মে বিটিআরসি-এর প্রত্যয়ন সংগ্রহ করতে হবে।

(*) বাংলাদেশ সরকার ড্রোন উড্ডয়ন  জোন বিমান ও জনসাধারণের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ড্রোন উড্ডয়ন জোনকে  ৩ ভাগে বিভক্ত করে।  

(ক)  গ্রিন জোন (এ জোনে ড্রোন উড্ডয়নে  কোনো প্রকার অনুমতির প্রয়োজন হবে না)

(১) বিমানবন্দর /কেপিআই-এ ই-এর ৩ কিলোমিটার বাইরে এবং ৫ (পাঁচ) কিলোমিটার-এর কম দূরত্বে ৫০ (পঞ্চাশ) ফুটের (১৫.২৪) মিটার অধিক উচ্চতায় ড্রোন উড্ডয়ন কোন অনুমতি লাগবে না। 

(২) বিমানবন্দর/কেপিআই-এর ৫ (পাঁচ) কিলোমিটার বাইরে এবং ১০০ (একশত)

ফুটের (৩০.৪৮ মিটার) অধিক উচ্চতায় 

(খ) ইয়োলো জোন (অনুমতি সাপেক্ষে পরিচালনা) সংরক্ষিত এলাকা (Restricted Area), সামরিক এলাকা (Military Area), ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা (Populated Area), জনসমাগমপূর্ণ এলাকা (Congested Area) আবশ্যক অনুমতি নিয়ে ড্রোন উড্ডয়ন করতে হবে। 

(গ) রেড জোন (বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে পরিচালনা) : নিষিদ্ধ এলাকা (Prohibited Area), বিপজ্জনক এলাকা (Danger Area), বিমানবন্দর ( Airport)/কেপিআই (KPI)/ বিশেষ কেপিআই (Special KPI) এ জোনে ড্রোন উড্ডয়ন সর্বসাধারণ এর জন্য উন্মুক্ত নয়। 

বাংলাদেশ সরকার থেকে প্রনয়ন করা ড্রোন আমদানি নীতিমালার পূর্বোক্ত অনুচ্ছেদ সমূহে যা কিছুই থাকুক না কেন, বেসামরিক বিমান চলাচল, রাষ্ট্রীয় এবং জননিরাপত্তার স্বার্থে অথবা অন্য কোনো কারণে সরকার যে কোনো সময়ে যে কোনো বেসামরিক ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়নের অনুমোদন মঞ্জুর/বাতিল/প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা সংরক্ষণ করবে। তাই আমাদের উচিত অযথা ড্রোন উড্ডয়ন না করা । এবং দেশের আইন মেনে বিদেশ থেকে ড্রোন আমদানি করা ।

ড্রোন আমদানি নীতিমালা ২০২০ বিস্তরিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন


বিস্তারিত
বিনা পুঁজিতে পণ্য রিসেল করে টাকা আয়

পণ্য রিসেল করে বিনা পুঁজিতে আপনিও টাকা আয় করতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে । এখানে আপনি খুব সহজেই একটা একাউন্ট খুলে আমাদের পণ্য খুব সহজেই বিক্রি শুরু করতে পারবেন।ছেলে মেয়ে , যে কেউ, যে কোন বয়সী ব্যাক্তি মাত্রই ঘরে বসে মোবাইলে এই রিসেল  ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। নিচে রিসেল ব্যবসা করার সহজ নিয়ম কানুন আলোচনা করা হলো। মনে রাখবেন এখানে আপনার নিজের ১ টাকাও ইনভেস্ট করার প্রয়োজন নেই। একটা আন্ড্রয়েড মোবাইল হলেই খুব সহজেই এই কাজটি করা যাবে।


প্রথমে জয়েন করে নিন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।  এই লিংকে ক্লিক করে জয়েন করুন। eibbuy reseller group

এ ছাড়া জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে WhatsApp Resell Group

কিভাবে রিসেল একাউন্ট খুলবেন ?

প্রথমে আপনি জে কোন ব্রাউজার দিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে eibbuy প্রবেশ করুন এই লিঙ্ক থেকে বায়ার লগইন বাটনে ক্লিক করুন। নিচের ভিডিওতে বিস্তারিত দেয়া আছে।

 

এর পর ক্রয়ের জন্য একাউন্ট খুলুন লিঙ্কে ক্লিক করুন। এই পর আপনার সকল সঠিক  তথ্য দিয়ে ফাঁকা ঘর গুলি পুরন করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। আপনার একটি নতুন ইউজার একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। উপর থেকে সেটিং বাটনে ক্লিক করে আপনার প্যানেলে চলে যাবেন। নিজে দেখবেন রিসেল নামে একটি বাটন আছে।
এবার রিসেল বাটনে ক্লিক করুন। সকল প্রকার তথ্য দিয়ে ফর্ম পুরন করুন। এখানে আপনার ব্যাংক একাউন্ট না থাকলেও চলবে। এই ঘরে আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে পুরন করুন। বর্তমানে আপনার এন আই ডি কার্ড না থাকলেও চলবে। আপনি ব্যাবসাটি করে যেতে পারবেন। এই এন আই ডি ঘরে আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে দিবেন অথবা পাসপোর্ট নাম্বার দিলেও হবে। যদি আপনার নিজের বিকাশ না থাকে, তবে অন্য কারো বিকাশ দিয়ে আপনি টাকা রিসিভ করতে পারবেন। বর্তমানে আপনাকে ফোন কল ছাড়াই ভেরিফিকেসন করে দেয়া হবে।

সবকিছু ঠিক মত পুরন হয়ে গেলে এপ্লাই বাটনে ক্লিক করে অপেক্ষা করুন। আমরা অ্যাডমিন প্যানেল থেকে সকল তথ্য পরীক্ষা করে আপনার একাউন্ট আপ্রুভ করে দিলে প্যানেলে আরো তিনটি অপশন যুক্ত হবে। রিসেল প্যানেল, রিসেল অর্ডার প্যানেল এবং টাকা উত্তোলনের প্যানেল। নিচে সকল পেনেলের কাজ বিসারিত আলোচনা করা হলো। 
রিসেল প্যানেলঃ
রিসেল বাটনে ক্লিক করলে আপনি অনেক গুলি ইনফরমেশন দেখতে পাবেন। প্রথমে আপনার বর্তমান ফাইনাল উপার্জনের পরিমান দেখা যাবে। আপনার পণ্য কনফার্ম ডেলিভারি হলে এখানে টাকা যোগ হবে।
পেন্ডিং বাটনে অপশনে আপনি দেখবেন আপনার যত অর্ডার প্লেস কয়ার হয়েছে কিন্তু এখনো পণ্য ডেলিভারি করে টাকা পাওয়া জায়নি। কমপ্লিট অপশনে আপনার যেসব অর্ডার কমপ্লিট করে টাকা নেওয়া হয়েছে তা দেখাবে। এখান থেকে আমাদের ফি বাবদ শতকরা ১০ টাকা কেটে নেওয়া হবে। বাকি টাকা আপনার নেট ইনকামে দেখানো হবে।


কেন্সেল অপশনে আপনার যত অর্ডার গুলি কেন্সেল হয়েছে সেগুলি দেখানো হবে।  ভিও অপশনে ক্লিক করে আপনি সকল তথ্য দেখতে পারবেন।  

রিসেল প্যানেলঃ
রিসেল বাটনে ক্লিক করলে আপনি অনেক গুলি ইনফরমেশন দেখতে পাবেন। প্রথমে আপনার বর্তমান ফাইনাল উপার্জনের পরিমান দেখা যাবে। আপনার পণ্য কনফার্ম ডেলিভারি হলে এখানে টাকা যোগ হবে।
পেন্ডিং বাটনে অপশনে আপনি দেখবেন আপনার যত অর্ডার প্লেস কয়ার হয়েছে কিন্তু এখনো পণ্য ডেলিভারি করে টাকা পাওয়া জায়নি। কমপ্লিট অপশনে আপনার যেসব অর্ডার কমপ্লিট করে টাকা নেওয়া হয়েছে তা দেখাবে। এখান থেকে আমাদের ফি বাবদ শতকরা ১০ টাকা কেটে নেওয়া হবে। বাকি টাকা আপনার নেট ইনকামে দেখানো হবে। কেন্সেল অপশনে আপনার যত অর্ডার গুলি কেন্সেল হয়েছে সেগুলি দেখানো হবে।  ভিও অপশনে ক্লিক করে আপনি সকল তথ্য দেখতে পারবেন।


কিভাবে অর্ডার প্লেস করবেন ?

আগেই বলেছি জে, আপনার একাউন্ট আপ্রুভ হলেই রিসেল প্যানেলে পণ্য দেখাবে। এখানে সকল রিসেল যোগ্য পণ্যের আসল দাম দেয়া থাকবে। এই দামের সাথে যোগ হবে হোম ডেলিভারি চার্জ ঢাকার বাইরে ১৩০ টাকা এবং ঢাকাতে ৬০ টাকা। এবারের কাজ হলো আপনি যে দামে পণ্য সেল করতে চান সে দামটি লিখুন। যদি এক পিসের বেশী পণ্য সেল করতে চান তবে প্লাস বাটনে ক্লিক করে সেটা বাড়িয়ে নিন। এবার Create Order বাটনে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করলে আপানকে অন্য আরেকটি পেজে নিয়ে  যাবে। এই পেজে আপনার কাস্টমারের সকল তথ্য দিয়ে দিন। এখানে কাস্টমারের নাম, মোবাইল নাম্বার, বাড়ি, ইউনিয়ন, জেলা এবং থানা সঠিক ভাবে পুরন করবেন। কোন তথ্য মিসিং হলে পণ্য ডেলিভারি করতে সমস্যা তৈরি হবে।

ফাইনাল অর্ডার করার আগে কিছু নিয়
কোন ক্রেতা থেকে অর্ডার পেলে সেটা ফাইনাল করার আগে অবশ্যই ভালো করে কাস্টমারকে বলে নিবেন। যাতে করে ক্রেতা পণ্য ফেরত না করে।  কারন একটা পণ্য ফেরত দিলে আমাদের ডেলিভারি চার্জের টাকা লস হবে। এছাড়া আপনার ক্রতা যদি পরিচিত হয় তবে আপনি পণ্যটা আপনার নামে নিয়ে যেতে পারেন। পরে তাকে দিয়ে দিবেন। তাহলে পণ্য ফেরতের আশঙ্কা থাকবেনা।  


কিভাবে পণ্য বিক্রি করবেন ?
রিসেল পণ্য সেল করা একদম সহজ। রিসেল অপশন থেকে প্রথমে দেখে নিন কি কি পণ্য রিসেল করা যাবে। এর পর আপনি আপনার কাছের বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে দেখুন তাদের এসব পণ্য দরকার আছে কিনা। যদি থাকে তবে তবে তাদের ঠিকানায় পণ্য অর্ডার করে দিন। এছাড়া অনলাইনে ফেসবুকে, ইউটিউবে পেজ খুলে, বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে পণ্যের ছবি, ডিটেইলস শেয়ার করেও পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন।

সবচেয়ে ভালো হবে আপনার পরিচিতজনদের নিয়ে একটা ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ বা ফেসবুক গ্রুপ খুলে ফেলুন। এবার সেখানে রিসেলের জন্য বাচাই করা পণ্য শেয়ার করুন । সাথে দামও জানিয়ে দিন। কেউ আগ্রহী হলে আপনাকে ইনবক্স করতে বলুন।  আবার হোয়াটসঅ্যাপের জন্যও গ্রুপ করে নিতে পারেন। সেই গ্রুপে আপনার পণ্য গুলি শেয়ার করতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে আপনার ফেসবুক স্টরি বা  হোয়াটসঅ্যাপের স্টরিতেও শেয়ার করা। আবার ইমোতেও আপনার পরিচিত মানুষের গ্রুপ খুলে শেয়ার করতে পারেন। যারা নিতে চাইবে তারা আপনাকে ইমোতে নক করতে পারবে।

এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলতে পারেন। সেখানে আপানর ক্রেতাদের যুক্ত করুন। প্রতিদিন আপনার পণ্য গুলি শেয়ার করুন। পণ্যের দাম, ছবি ইত্যাদি শেয়ার করতে পারেন । তবে বাংলাতে তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করবেন। এতে করে ক্রতারা আপনার পণ্য কিনতে বেশী আগ্রহী হবে। আপনি অনলাইন থেকে অনেক তথ্য পাবেন এসব পণ্য সম্পর্কে। যদি অন্য ভাষা হয় তবে গুগলের সাহায্যে ভাষান্তর করে নিয়ে শেয়ার করতে পারবেন। তবে অতিরিক্ত বা অসত্য তথ্য লেখা যাবেনা।

কি কি পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করবেন ?
আমাদের বর্তমানে তেমন বেশী পণ্য দেয়া নেই। তবে যেসব পণ্য দেয়া আছে সেগুলি অনেক হট আইটেম। অনলাইন মার্কেট প্লেসে এসব পণ্য খুব বেশী পরিমাণে সেল হয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে এসব পণ্য সেল করতে তেমন বেশী মার্কেটিং করতে হবেনা। কারন অনেকেই এসবের মার্কেট ভালু জানেন। আপনার কাজ হলো অনলাইনে একটু রিসার্চ করে মার্কেট ভালুর চাইতে কমে পণ্যটি সেল করার ব্যবস্থা করা। তাহলে দেখবেন আপনার পণ্য খুব সহজেই মার্কেটে চলতেছে।

কত টাকায় পণ্য সেল করবেন ?
আপনি পণ্য ইচ্ছামত দামে বিক্রি করতে পারবেন। যেমন ৩৫০ টাকার পণ্য আপনি ৪০০ টাকা বিক্রি করলে ৫০ টাকা লাভ হবে। তবে অনলাইনে আগে দেখে নিবেন এসব পণ্য কেমন দামে সেল করা হয়। অনলাইনে দেখার সহজ নিয়ম হলো, পণ্যের নাম লেখে আপনি গুগলে সার্চ করুন। দেখবেন বাংলাদেশি অনেক ওয়েবসাইটে এসব পণ্য দেখাচ্ছে। এভারেজ দাম যদি দেখেন আপনার ৪৫০ টাকা, তবে আপনি সেটাকে ৪৪০ টাকা সেল করবেন। যদি দেখেন এসব পণ্য আরো কম টাকায় সেল করে তবে আপনিও সেটাকে আরো কম দামেই সেল করার চেষ্টা করবেন। তাহলে সেল বাড়ার সুযোগ থাকবে। প্রথম অবস্থায়  লাভ কম করার চেষ্টা করবেন। আস্তে আস্তে লাভের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। তবে অফলাইনে যদি সেল করেন কাস্টমারের ধরন অনুযায়ী দাম কম বেশী করতে পারেন।

কুরিয়ার ফি কত টাকা ?
আমরা পণ্য হোম ডেলিভারি করে থাকি। সমগ্র বাংলাদেশে পণ্য হোম ডেলিভারি করা হবে। ১২০ টাকা কুরিয়ার ফি যুক্ত হবে পণ্যের মূল দামের সাথে। আপনি যখন অর্ডার করবেন তখন কেবল মাত্র আপনার বিক্রির দাম যুক্ত করে অর্ডার করবেন। কিন্তু কাস্টমারকে বলবেন আপনার পণ্যের দামের সাথে ১২০ টাকা পরিবহন ফি যুক্ত হবে। ঢাকার বাইরে ১২০ টাকা আর ঢাকাতে ৬০ টাকা।

অ্যাডভাঞ্চ নাকি ক্যাশ অন ডেলিভারি করবেন ?
বর্তমানে আমরা সকল পণ্য ক্যাশ অন ডেলিভারি দিয়ে থাকি। তবে আপনাদের কাছে অনুরধ থাকবে, আপনারা ক্রেতাকে ভালো করে যাচাই করে অর্ডার প্লেস করবেন। যদি সেটা না করেন তাহলে ডেলিভারি চার্জটা আমাদের লস হবে।  

কত দিনে পণ্য ডেলিভারি হবে ?

সাধারনত ৩-৭ দিনে পণ্য ডেলিভারি হয়। অনেক সময় আমরা অনেক গুলি পণ্য একত্র করে ডেলিভারি করে থাকি। এজন্য ২-৩ দিন বেশি সময় লাগতে পারে।

আপনার লাভের টাকা কিভাবে যোগ হবে ?
পণ্য সেল করার পর পণ্যটি ডেলিভারি করে যখন আমরা মূল্য রিসিভ করবো তখন আপনার একাউন্টে লাভের টাকা জমা হয়ে যাবে। এবং সেই টাকা আপনি তৎক্ষণাৎ ক্যাশ আউট করতে পারবেন। তবে আপনার লাভের টাকা থেকে ১০% টাকা কেটে নেওয়া হবে। ক্যাশ অন ডেলিভারির টাকা কালেকশন ফি, পণ্য প্যাকিং ফি, টাকা পাঠানোর ফি এবং আমাদের সার্ভিস চার্জ সহ। অর্থাৎ আপনি যদি ১০০ টাকা লাভ করেন তবে আমাদের ১০ টাকা দিবেন। বাকি ৯০ টাকা আপনি মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইল রিচার্জ করে নিতে পারবেন। টাকার পরিমাণ বেশি হলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের একাউন্টে নিতে পারবেন। সেলফিন অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি ঘরে বসেই ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের একাউন্ট করতে পারবেন। তবে সর্ব নিন্ম ক্যাশ আউট ১০ টাকা ।

রিসেলার এজেন্ট কিভাবে হবেন ?

আমাদের ওয়েবসাইটের রিসেল সিস্টেমের একটা নতুন সংযোযন  হচ্ছে রিসেলার এজেন্ট । এই সিস্টেমে আপনি  যদি কোন রিসেলার কে আমাদের ওয়েবসাইতে জয়েন করান তাহলে আপনি সেই রিসেলারের সেল করবে তার  ৫%  টাকা বোনাস হিসাবে পাবেন। তবে এতে আপনার রেফারে জয়েন করা রিসেলারের আয় থেকে কোন কম হবেনা। তবে সবাইকে এই রিসেলার এজেন্ট দেয়া হবেনা । আপনার সেলের পরিমান আর আয়ের পরিমাণের উপর নির্ভর করে আপনাকে রিসেলার এজেন্ট হতে অফার করা হবে । ১০ জন রিসেলার যদি আপনি জয়েন করাতে পারেন আর তারা যদি মাসে ৫০০০ করে আয় করে তবে ৫০০০০ এর ৫% মানে ২৫০০ টাকা খুব সহজেই আয় করতে পারবেন। ২০ জন জয়েন রেফার করতে পারলে ১ লাখ টাকা সেল হলে ৫০০০ টাকা খুব সহজেই আয় করতে পারবেন। সাথে আপনি যদি ৫০০০ টাকা আয় করতে পারেন তাহলে ১০০০০ টাকা  প্রতি মাসে আয় করা একদম সহজ হবে।

বিস্তারিত
কিভাবে শুরু করবেন সোনালী মুরগির খামার, সোনালী মুরগি পালন পদ্ধতি
মাংস বা ডিম উৎপাদন এর জন্য কক মুরগী হিসেবে সোনালী মুরগি পালন বেশ  জনপ্রিয়তা পাচ্ছে । কারণ হিসেবে খামারিরা বলছে  সোনালি মুরগির রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং এর বাজার চাহিদা খুব ভালো থাকা।  নতুন করে যারা খামার করতে চান, তাদের অনেকেই প্রথমে সোনালি মুরগি দিয়ে খামার শুরু করার কথা চিন্তা করেন। আজকের পর্বে আমরা অলোচনা করব, 
কেন সোনালী মুরগির পালন লাভজনক,, কিভাবে সোনালী মুরগির বাচ্চা নির্ধারণ করতে হয়,, সোনালী মুরগির খামারের সেড কিভাবে নির্মাণ করতে হয়,, খাদ্য ব্যবস্থাপনা,, সোনালী মুরগির টিকা কি??   ,,  সোনালী মুরগির খামারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস এবং সর্বশেষ আলোচনা করব সোনালী মুরগির বিক্রির বিষয় নিয়ে।  

কেন সোনালি মুরগী পালন লাভজনক??
সোনালি মুরগির জাত বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী। অপরদিকে সোনালী মুরগির  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই ভালো।হাইব্রিড জাতের তুলনায় সোনালি মুরগির রোগ-বালাই বেশ কম। সোনালী মুরগির  আবহাওয়া পরিবর্তনের তেমন প্রভাব এর উপর পড়েনা।আপনি যদি  নিয়মিত টীকা প্রদান করেন  এবং খামারের  জৈব নিরাপত্তা মেনে চললে খামারে রোগ-বালাই আনুপাতিক হারে কম দেখা যায়। অপরদিকে ব্রয়লার মুরগির মাংসের প্রতি অনেকের অনীহা থাকলেও সোনালি মুরগির মাংসের চাহিদা ব্যাপক। বাজার দর বেশ ভালো থাকায় এর বানিজ্যিক গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং খামারিদের কাছ থেকে খুচরা ব্যাবসায়ীরা ভালো দামে ক্রয় করছে। এতে খামারিদের ভালো লাভ হচ্ছে।  

সোনালী মুরগির বাচ্চা নির্বাচন
সোনালি একটি স্বতন্ত্র মুরগির জাত হলেও বর্তমানে এর কিছু ভ্যারিয়েশন বাজারে বিদ্যমান রয়েছে যেমনঃ সোনালি ক্লাসিক ও হাইব্রিড সোনালি। 
সত্যিকার সোনালি অর্থাৎ আর-আই-আর ও ফাউমি মুরগির সংকরায়নে সোনালী মুরগির জাত উদ্ভাবিত হলেও ইনব্রিডিং ও বিভিন্ন কারনে এর মূল জাতের বৈশিষ্ট্য লোপ পেয়েছে। ফলে জাত উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন হ্যাচারি অন্যান্য ভারি জাতের মুরগির সাথে ক্রসব্রিড করে সোনালির জাত উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্যই বাজারে সোনালী মুরগীর বিভিন্ন ভ্যারিয়ান্ট বিদ্যমান। তবে অনেক খামারিদের কাছে আলোচনা করে তারা বলছেন হাইব্রিড জাতের সোনালী মুরগির ভালো নয় কারণ এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম। তবে এ জাতের সোনালী মুরগির খুব বড় হবে। আপনি যদি নতুন খামারি হয়ে থাকেন তাহলে প্রথমত এই জাতের সোনালী মুরগির না অনাই ভালো। এর পরেও যদি মনে হয় তাহলে আপনার আশে পাশের খামারি বা আপনার জেলা বা উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসে গিয়ে পরামর্শ নিবেন। তারা আবশ্যই তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে। 
এবার আলোচনা করব ভালো মানের সোনালি মুরগির বাচ্চার বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১। একটি ভালো মানের বাচ্চার ওজন
সোনালি (ক্ল্যাসিক) মুরগির বাচ্চার ওজন ২৫ – ৩০ গ্রাম হয়ে থাকে।
 সোনালি (হাইব্রিড) মুরগির বাচ্চার ওজন ৩০ – ৩৫ গ্রাম হয়ে থাকে।
২। ভালো মানের মুরগির বাচ্চা লম্বায় ১৭.৫ সেঃমিঃ হয়ে থাকে। ভালো মানের বাচ্চার ওজন ও আকারের মধ্যে সমতা থাকে।
৩। মুরগির ভালো মানের বাচ্চা ঝড়ঝড়ে, শুষ্ক ও কিচিরমিচির শব্দ করে থাকে।
৪। ভালো মানের মুরগির বাচ্চার আচরণ হবে সতর্কমূলক এবং শব্দের প্রতি সংবেদনশীল।
৫। ভালো মানের বাচ্চার নাভীর চারিপাশ শুষ্ক এবং ডাউন ফেদারবিহীন হবে না অর্থাৎ পশম থাকবে। ডাউনফেদার শুষ্ক, নরম এবং সমস্ত শরীরকে ঢেকে রাখবে।
৬। ভালো মানের বাচ্চার পায়ের অনাবৃত অংশ সচ্ছ এবং চকচকে হবে। হক জয়েন্ট ফোলা বা লাল হবেনা কিন্তু হলুদ হবে।
৭। ভালো বাচ্চার মৃত্যুর হার ১% বেশী হবে না এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে তা ১.৫% এর বেশী হবেনা।
৮। বাচ্চার পা এবং ঠোট বাকা বা কোঁকড়ানো হবে না। এছাড়াও পায়ুপথ শুকনো হবে।
সোনালী মুরগির বাচ্চা ক্রয় করার সময় এসব বিষয় গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাড়াতাড়ি করে নিয়ে আসা যাবে না এর কোনটা অনুপস্থিত থাকলে আপনি লোকসানে সমুখীন হবেন। 

কিভাবে  সোনালী মুরগির ঘর প্রস্তুত করতে হয়ঃ 
সোনালী মুরগী পালনে ঘর হবে পূর্ব-পশ্চিম বরাবর লম্বা। অথবা বাতাস চলাচল করে এরুপ অবস্থানে যেন একদিক দিয়ে বাতাস ডুকে অপর দিক দিয়ে বের হয়ে যায়।  প্রস্থ সাধারনত ২০ থেকে ২৫ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ১৫০ ফুট বা চাহিদা অনুযায়ী করা যেতে পারে।
মেঝে হবে মাটি থেকে কমপক্ষে এক ফুট উচুতে। এবং চারপাশ ভালোভাবে নেট দিয়ে ঘেরা দিতে হবে এমন নেট ব্যবহার করতে হবে যেন আলো বাতাস ডুকে । নেট উপর পর্দা দিতে হবে যেন ঝড় বা  বৃষ্টি  এবং শীতের সময় ডেকে রাখা যায়।  এরুপ ভাবে তৈরি করতে হবে  যেন বাহির হতে কোন কিছু শেডে প্রবেশ করতে না পারে।
ডিমের জন্য পালন করলে প্রতিটি মুরগির জন্য ১.৫ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন।
বয়স ও ধরণ অনুযায়ী সোনালি মুরগির প্রয়োজনীয় জায়গার পরিমাণঃ  
সোনালি ক্ল্যাসিক
বয়স (সপ্তাহ)            বর্গফুট/বাচ্চা
১ম সপ্তাহ ০.২০ বর্গফুট
২য় সপ্তাহ ০.৪০ বর্গফুট
৩য় সপ্তাহ                ০.৫০ বর্গফুট
৪র্থ সপ্তাহ ০.৬০ বর্গফুট
৫ম সপ্তাহ ০.৭০ বর্গফুট
৬ষ্ঠ সপ্তাহের অধিক ০.৮৫ বর্গফুট
সোনালি হাইব্রিড
বয়স (সপ্তাহ) বর্গফুট/বাচ্চা
১ম সপ্তাহ ০.২০ বর্গফুট
২য় সপ্তাহ ০.৪০ বর্গফুট
৩য় সপ্তাহ ০.৬০ বর্গফুট
৪র্থ সপ্তাহ ০.৮০ বর্গফুট
৫ম সপ্তাহ ০.৯০ বর্গফুট
৬ষ্ঠ সপ্তাহের অধিক ১.০০ বর্গফুট
একটি সোনালী মুরগির বাচ্চা হিসেবে। 


ব্রুডিং ব্যবস্থাপনাঃ 
 সোনালী মুরগির বাচ্চা সঠিক পরিচর্যা মাধ্যমে আপনার ব্যবসা হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা। পোল্টি ব্যবসায় ব্রুডিং হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ সময়ে কি কি করতে হবে তা সকল খামারিদের জানা আবশ্যক। নিচে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 
ব্রুডিং কতদিন করতে হয়?
আমাদের দেশের আবহাওয়ায় গ্রীষ্মকালে ব্রয়লার, সোনালী, লেয়ার মুরগি, হাঁস ও কোয়েল পাখির ক্ষেত্রে পরিবেশ ও বাচ্চার অবস্থার উপর ভিত্তি করে বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ২ সপ্তাহ থেকে ৩ সপ্তাহ হতে পারে তবে শীতকালে এ সময়সীমা আরো কিছুদিন বেড়ে যায়। সাধারণত শীতে ব্রয়লার, সোনালী, লেয়ার মুরগি, হাঁস ও কোয়েল পাখির ক্ষেত্রে ৩ সপ্তাহ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্রুডিং করা উচিত।

ব্রুডার যেভাবে প্রস্তুত করতে হবেঃ
(*) প্রথমেই যে জায়গায় ব্রুডিং করা হবে সেটি জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং  সেখানে ২-৩ ইঞ্চি পুরো করে  লিটার বিছিয়ে নিতে হবে। ব্রুডিং এ লিটার হিসাবে ধানের তুষ সবচেয়ে ভাল।  ব্রুডিং এ লিটার হিসাবে কাঠের গুড়া দেয়া যাবে না। কারন  কাঠের গুড়ার কণাগুলো অতিক্ষুদ্র হওয়ায় তা বাতাসে উড়ে এবং বাচ্চার নাক মুখ দিয়ে প্রবেশ করে ইনফেকশন সৃষ্টি করে। ফলে বাচ্চা সর্দি ও নিউমোনিয়ায় ও Aspergilloses রোগে ভুগে। ব্রুডিং এ কাঠের গুড়া ব্যবহার অনুচিত। ধানের তুষ না পাওয়া গেলে পরিবর্তে চটের বস্তা ব্যবহার করা যেতে পারে।
(*) এর পর  বাচ্চার পরিমাণ অনুপাতে চিকগার্ড বসাতে হবে। চিকগার্ড বসানোর পর জীবাণুমুক্ত পুরাতন খবরের কাগজ একটা একটা করে স্তরে স্তরে বিছিয়ে দিতে হবে। বাচ্চা ব্রুডারে আনার অন্তত ১-২দিন আগে ব্রুডার সেটআপ করে রাখতে হবে।
(*) বাচ্চার পরিমাণের অনুপাতে হোবার সেট করতে হবে। প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা অর্থাৎ ৩৫ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপ যাতে হয় সে অনুযায়ী হোবারে বাল্ব দিতে হবে। বাচ্চা ব্রুডারে দেওয়ার অন্তত ২-৪ ঘন্টা আগে হোবার জ্বালিয়ে রাখতে হবে। আগেই নিশ্চত হতে হবে যাতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়।
(*) বাচ্চা আনার ২-১ দিন আগেই খাবার ও পানির পাত্র জীবানুনাশক যেমনঃ টিমসেন, জিপিসি-৮, ভাইরোসিড, পভিসেপ-১০%, পটাশ, ভারকন এস, ফার্ম-৩০ ইত্যাদি মেশানো পানি দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে রেডি রাখতে হবে।
(*) ব্রুডিং হতে ২-৩ ইঞ্চি উপরে থার্মোমিটার ঝুলিয়ে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে বেশী উপরে বা বেশী নিচে এবং হোবারের ঠিক নিচে থার্মোমিটার রাখা যাবেনা। তাহলে সঠিক তাপ পরিমাপ করা সম্ভব হবেনা।
(*)  ব্রুডিং ঘরের আদ্রতা পরিমাপের জন্য ঘরের একপাশে হাইগ্রোমিটার ঝুলিয়ে রাখতে হবে। তবে খোলামেলা খামারের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। 
(*) শীতকালে ব্রুডিং এ প্রয়োজনীয় তাপ পেতে অনেকে ব্রুডারের উপরাংশ ঢেকে দেয়। যা অনেক বড় একটা ভুল। এমনটা কখনোই করা যাবেনা। প্রয়োজনে বাল্ব বাড়িয়ে দিয়ে তাপ বাড়াতে হবে।

সোনালি মুরগির বাচ্চার ব্রুডিং তাপমাত্রাঃ
বয়স (সপ্তাহ)
তাপমাত্রা (সেলসিয়াস) তাপমাত্রা (ফারেনহাইট)
১ম সপ্তাহ ৩৫     ডিগ্রি ৯৫  ডিগ্রি
২য় সপ্তাহ ৩২.২  ডিগ্রি ৯০  ডিগ্রি
৩য় সপ্তাহ ২৯.৫  ডিগ্রি ৮৫  ডিগ্রি
৪র্থ সপ্তাহ ২৭.৬  ডিগ্রি ৮০  ডিগ্রি
৫ম সপ্তাহ ২৩.৮৮ ডিগ্রি ৭৫  ডিগ্রি
অধিকাংশ খামারিদের মতে ব্রুডিং এমন যায়গায় হওয়া উচিত যেখানে শুধু ব্রুডিং করা হয়ে এবং বাচ্চা মুরগির ব্রুডিং শেষ সেটি জীবানু মুক্ত করে পেলে রাখা। এখন ব্রুডিং থেকে বাচ্চা বের করে অন্য স্থানে রাখা। সোনালী মুরগির খাবার নিয়ে আপনার জানা আছে মনে করি এখন আমরা জানবো বয়স অনুযায়ী সোনালি মুরগির খাবার ও পানির পাত্রের সংখ্যা (১০০০ মুরগির জন্য)ঃ
বয়স (সপ্তাহ) খাবার পাত্রের সংখ্যা পানির পাত্রের সংখ্যা
১ম সপ্তাহ ১০ টি ১০ টি
২য় সপ্তাহ ১৫ টি ১৫ টি
৩য় সপ্তাহ ২০ টি ২০ টি
৪র্থ সপ্তাহ ২৫ টি ২৫ টি
৫ম সপ্তাহ ৩০ টি ৩০ টি
৬ষ্ঠ সপ্তাহ ৩৫ টি ৩৫ টি
৭ম সপ্তাহ ৪০ টি ৪০ টি
৮ম সপ্তাহের অধিক ৪৫ টি
সোনালি মুরগির রোগ সমূহ এবং ভ্যাকসিন সিডিউলঃ

সোনালি মুরগির সাধারন রোগ সমূহের মধ্যে রয়েছে, রানিক্ষেত, গাম্বুরো, কক্সিডিওসিস, করাইজা, কলেরা সহ বেশ কিছু ঠান্ডা জনিত রোগ। নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রদান করলে এবং খামারে সঠিক জৈব নিরাপত্তা মেনে চললে অধিকাংশ রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
সোনালি মুরগির ভ্যাকসিন শিডিউল
বয়স (দিন) রোগের নাম ভ্যাক্সিনের নাম প্রয়োগের স্থানঃ 
(১) ৩-৫ দিন রানীক্ষেত ও ব্রংকাইটিস আইবি+এনডি এক চোখে এক ফোঁটা
(২) ১০-১২ দিন  গামবোরো আই বি ডি মুখে এক ফোঁটা
(৩) ১৮-২২ দিন  গামবোরো আই বি ডি খাবার পানিতে
(৪) ২৪-২৬ রানীক্ষেত এন ডি এক চোখে এক ফোঁটা
(৫)৩০- ৩৫ দিন ফাউল পক্স ভ্যাকসিন ফাউল পক্স মুরগির পাখার পালকবিহীন চামড়ায় বিশেষ সুচ ফুটিয়ে দিতে হয় 
(৬) ৪৪-৪৮ দিন  রানীক্ষেত মাংস পেশিতে 
 নির্দিষ্ট এলাকায় রোগের প্রকোপ এবং মুরগির শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে এলাকাভেদে ভ্যাকসিনেশন শিডিউল ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এক্ষেত্রে উক্ত এলাকার একজন রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ানের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আপনার ফার্মের জন্য ভ্যাকসিন শিডিউল তৈরি করিয়ে নিতে পারেন। শিতল স্থানে ভ্যাক্সিন সংরক্ষণ করুন। 

খামারের বায়োসিকিউরিটি বা জৈবনিরাপত্তা
যেকোনো খামারের সাফল্যের পিছনে বায়োসিকিউরিটি বা জৈব–নিরাপত্তা বিশেষ ভূমিকা রাখে। কারন জৈব নিরাপত্তা মেনে চললে খামারে রোগ–বালাই হওয়ার প্রবণতা কম থাকে। তাই সঠিকভাবে খামারের বায়োসিকিউরিটি বজায় রাখতে পারলে খামার করে সফল হওয়া সম্ভব। নিচে এ সকল বিষয়ে অলোচনা করব, 

ঘর প্রস্তুতের ক্ষেত্রেঃ

   খামার ঘরটি যথাসম্ভব বসতবাড়ি থেকে দূরে হওয়া উচিত।
   একটি খামার থেকে অন্য একটি খামারের দূরত্ব কমপক্ষে ১০০ মিটার হওয়া উচিত।
    খামার ঘরটি অবশ্যই পূর্ব–পশ্চিম বরাবর লম্বা হতে হবে।
    ঘরের উত্তর ও দক্ষিণ দিক খোলা রাখতে হবে।
    খামারের আশে–পাশে কোনো জলাশয় বা ডোবা থাকা উচিত নয়।
    ঘরে পর্যাপ্ত আলো–বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা থাকা।
    খামারে প্রবেশের পথে (দরজার সামনে) একটি ফুটবাথ তৈরি করা। ফুটবাথ হচ্ছে খামারের প্রবেশ পথে একটি ছোট বাথ ট্যাব বা কুয়ার মত পাকা করে তৈরি করা এবং         সেখানে সবসময় জীবাণুনাশক মিশ্রিত পানি পূর্ণ থাকবে। যখন কেউ খামারে প্রবেশ করবে তখন যেন সে তার পা এই পানিতে ডুবিয়ে তারপরে খামারে প্রবেশ করে।            এতে খামারি বা দর্শণার্থীর পায়ের সাহায্যে খামারে কোনো জীবাণু প্রবেশ করতে পারবে না।

 মুরগী বিক্রি করার পর খামারের লিটার এমন স্থানে পেলা যাতে খামারে যেন তার দুরগন্ধ না আসে। 
খামারের অবশিষ্ট লিটার এর সঠিক ব্যবস্থা করা।  এমন স্থানে  না পেলা  যার পচা গন্ধ মানুষ এর ক্ষতির কারণ না হয়। 

দর্শণার্থী প্রবেশের ক্ষেত্রেঃ
খামারে বিনা প্রয়োজনে বাইরের কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া উচিত না। এতে যেকোনো সময় জীবাণুর আক্রমন হতে পারে।অনেক সময় সৌজন্যতার জন্য আমরা বন্ধু–বান্ধব বা আত্মীয়–স্বজনদের খামারে ঢুকতে দেই। কিন্তু এটা খামারের জৈব–নিরাপত্তার ক্ষেত্রে করা উচিত নয়।যদি বিশেষ কাউকে ঢুকতে দিতে হয় তবে ঢোকার আগে অবশ্যই তাকে ভালভাবে জীবাণু নাশক স্প্রে করে নিতে হবে। ফুটবাথে পা ডুবিয়ে তারপরে খামারে ঢুকাতে হবে। বেশি ভাল হয় যদি খামারে কাজ করার জন্য আলাদা পোশাক এবং আলাদা জুতা বা স্যান্ডেল থাকে। যখন কেউ খামারে প্রবেশ করবে তখন সেই পোশাক পড়ে প্রবেশ করবে এবং এই পোশাক গুলা নিয়মিত জীবানুমুক্ত রাখতে হবে।
খামারে কোনো কারনে কোনো মুরগি মারা গেলে তা এদিক সেদিকে না ফেলে দিয়ে একটা নির্দিষ্ট গর্ত করে সেখানে মাটি চাপা দিন। এতে ওই মৃত মুরগি থেকে রোগ-জীবাণু ছড়াতে পারবে না। এই বিষয় টা একটু গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।

সোনালী মুরগির বিক্রিঃ
যে কোন ব্যবসার প্রথম শর্ত হলো আপনি কোথায় কিভাবে বিক্রি করবেন। মুরগির খামারে এর ক্ষেত্রে আপনি একটি বিক্রয় সেন্টার খুলতে পারেন, যেটি আপনার খামারের সামনে হতে পারে বা যে কোন স্থানে হতে পারে। এতে করে আপনি কিছু মুরগী খুচরা বিক্রি করতে পারবেন এতে করে ভালো মানের লাভ করতে পারবেন। এর পর যারা খুচরা বিক্রি করে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন, এ ছাড়া কিছু  মুরগীর খাদ্য বিক্রেতা যারা নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে মুরগী বিক্রি করিয়ে দেয়। আপনারা এলাকায় এরুপ থাকলে যোগাযোগ করুন। সোনালী মুরগির একটি নিদিষ্ট ওজনের সময় বিক্রি করতে হয় যেমন ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মধ্যে চাহিদা বেশি। এর বেশি ওজন হলে লোকসান হবে। এছাড়া সোনালী মুরগির বাড়িতে পালন করতে দেখা যায় আপনার এলাকায় যদি এরুপ থাকে তাহলে খাচায় করে বিক্রি করতে পারেন। মুরগী বিক্রি করার সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিদিষ্ট সময়ে বিক্রি করা। বছরের কোন সময় বেশি বিক্রি হয় সে বিষয় খেয়াল রেখে মুরগির বাচ্চা উঠাতে হবে। সর্বপরি সফলতা একদিন আসবেই আপনাকে এ ব্যবসায় লেগে থাকতে হবে। আমাদের পোস্ট এ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। 
বিস্তারিত
ট্রেডমার্ক (Trade Mark) কি ? ট্রেডমার্ক করার নিয়ম ২০২২
 উৎপাদন ব্যবসায় উৎপাদিত পন্যের ট্রেড মার্ক করা একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। আমরা দৈনন্দিন জীবনে নানা প্রয়োজনে বাজার থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত পণ্য ক্রয় করে থাকি।ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে প্যাকেটের গায়ে কোনো নিদির্ষ্ট ব্র্যান্ডের একটি স্বতন্ত্র লোগো কিংবা চিহ্ন  থাকে। এই চিহ্নটিই মূলত ট্রেডমার্ক। ট্রেডমার্ক নিয়ে অনেকেই ইমেইল করে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন।  আজকের পর্বে তাদের জন্য।  আজকের পর্বে আমরা অলোচনা করব , ট্রেডমার্ক কি ?? কেন ট্রেডমার্ক করবেন? কিভাবে ট্রেডমার্ক করতে হয় ?  ট্রেড মার্ক করতে কি কি কাগজ পত্র লাগে ?  অনলাইন ট্রেডমার্ক রেজিষ্ট্রেশন ।  ট্রেডমার্ক প্রতীক এর অর্থ কি ? ট্রেডমার্ক আইন,  এ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

ট্রেডমার্ক কি??

ট্রেড মার্ক হলো এমন একটি অলাদা এবং নিদিষ্ট নাম বা চিহ্ন বা প্রতিক যা একটি কোম্পানীর পণ্যকে অন্য যে কোন কোম্পানীর পণ্য থেকে পৃথক করে একটি স্বতন্ত্র পণ্য বা সেবা হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে সহযোগীতা করে । হিসাব বিজ্ঞানের ভাষায় ট্রেডমার্ক একটি অদৃশ্য সম্পদ যা কোন কোন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান সম্পদ থেকেও অনেক মূল্যবান, যেমন এ্যাপলের ট্রেডমার্ক/ব্র্যান্ড ভ্যালু মোট সম্পদ মূল্যের ১৫% বা ১৪৬.৩ বিলিয়ন ডলার। একইভাবে সামস্যাং ট্রেডমার্ক/ব্র্যান্ড ভ্যালু মোট সম্পদের ২৮% বা ৯২.৩ বিলিয়ন ডলার। ট্রেডমার্ক যে কোন প্রতিষ্ঠানের একটি নিদিষ্ট চিহ্ন বা কোন উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পন্যর নাম বা চিহ্ন হতে পারে যা দ্বারা সহজে পরিচয় লাভ করে ।  এটি সরকারী আইন দ্বার অনুমোদিত অত্র প্রতিষ্ঠান ব্যতীত  কেউ এই চিহ্ন লোগ বা নাম ব্যবহার করলে সে প্রতিষ্ঠান আইনের অশ্রয় নিতে পারবেন .

ট্রেডমার্ক প্রতীক এর অর্থ কি ?

ট্রেডমার্কের ধরন বোঝানোর জন্য কিছু প্রতীক ব্যবহৃত হয়। সেসব প্রতীকের বিশেষ অর্থ রয়েছে। সাধারনত R, TM, SM এই তিনটি প্রতীক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিম্নে প্রতীকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো

১) R প্রতীক : ইংরেজী বর্ণ “R” কে গোল চিহ্নের ভিতরে রেখে ট্রেডমার্ক বা লোগোর পাশে কিংবা কোণায় এটি বসানো হয়। এটি দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ট্রেডমার্কটি যথাযথ রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত ও নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক।
২)™ প্রতীক : ইংরেজি বর্ন “T” এবং “M” এর সমন্বয়ে (Trade Mark) যে প্রতীকটি ব্যবহৃত হয় সেটি হলো অনিবন্ধিত পণ্যের লোগোতে ব্যবহৃত প্রতীকটি। এই প্রতীকটি নিবন্ধিত পণ্যের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায়। এটি সাধারণত ক্রেতার কাছে পণ্যের ব্র্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে খুব কাজে লাগে।
৩) ‍‌℠ প্রতীক : Service Mark বা “SM” প্রতীকটি পণ্যের মতো অনিবন্ধিত সেবার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ অনিবন্ধিত পণ্যের ক্ষেত্রে যেমন ™ প্রতীক ব্যবহৃত হয় তেমনি অনিবন্ধিত সেবার ক্ষেত্রে ℠ প্রতীক ব্যবহৃত হয়। সেবা বলতে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিমান, হাসপাতাল পরিসেবা ইত্যাদিকে বোঝানো হয়। তবে এসব প্রতিক ব্যবহার করার পূর্বে ভালো ভাবে যেনে নিতে হবে।

কেন ট্রেডমার্ক করা প্রয়োজন?

ট্রেডমার্ক যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর গুরুত্ব এরুপ যেমন,  আপনি যেকোনো ইউনিক নামে একটি  ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু করলেন এবং ওই নামের একটা ব্র্যান্ড তৈরী করলেন এবং
সেম  নামে অন্য একজন আরেকটি প্রতিষ্ঠান খুলে আপনার ব্র্যান্ডের ব্যবহার করল এবং আপনারা ব্যবসাত বারোটা বাজিয়ে দিলো।  এসব সমস্যা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো ট্রেডমার্ক। এই ট্রেডমার্ক কেবল স্বত্ত্বাধিকারীর প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারবে। অত্র প্রতিষ্ঠান  ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি  পণ্যের ট্রেডমার্ক নিয়ে ব্যবহার  করলে বা বিজ্ঞাপন দিলে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং অত্র প্রতিষ্ঠান তার  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। ট্রেডমার্কের লাইসেন্স ও করা যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহ ট্রেডমার্কের লাইসেন্স করেন এবং এর মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা ও পণ্য বিপণন করে থাকেন। এ সব কারণে আপনি আপনার উৎপাদন প্রতিষ্ঠান এর পন্যের ট্রেডমার্ক করতে পারেন।

ট্রেডমার্ক নিবন্ধন আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ট্রেডমার্ক নিবন্ধন আবেদন করার জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে তার একটি লিস্ট দেওয়া হলো।

১) পে-অর্ডারের মাধ্যমে ফিস জমা দেওয়ার নথি।
২) মনোগ্রাম সংযুক্তি (নয় কপি)।
৩) মার্ক/লোগো/ডিভাইসের নাম, প্রতিরূপ অথবা বিবরণ।
২) আবেদনকারীর নাম।
৩) আবেদনকারীর ঠিকানা ও জাতীয়তা।
৪) আবেদনকারীর পদমর্যাদা
৫) মার্ক ব্যবহারের তারিখ (তা বাংলাদেশে ব্যবহৃত হোক কিংবা ব্যবহারের জন্য প্রস্তাবিত হোক)

ট্রেডমার্ক নিবন্ধন বা রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম

ধাপঃ১) ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের জন্য পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কের অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমটি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিংবা অনলাইনে (www.dpdt.gov.bd) এই লিংক হতে ডাউনলোড করে নিতে হবে। নির্দিষ্ট আবেদন ফরমের মাধ্যমে মালিকানা আছে এমন যেকোনো ব্যক্তি কিংবা উক্ত ব্যক্তি আইনজীবীর সাহায্যে নিয়ে  আবেদন করতে পারবেন। উল্লেখিত ফরমটি ডাউনলোড করে যথাযথভাবে কম্পিউটারে ৪ সেট পূরণ করে নিতে হবে। এরপর পূরণকৃত ফরমটি নির্দিষ্ট দলিলপত্রাদি সহকারে পেটেন্ট,ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরে ( ৯১,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা) নিচ তলায় অবস্থিত তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে জমা দিয়ে আসতে হবে। চট্টগ্রামের শাখা অফিস এর ঠিকানাঃ কক্ষ নং-২১৮, সরকারি কার্য ভবন-১, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম।

ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করার পূর্বে যে সব বিষয় জানা গুরুত্বপূর্ণ

১) ভিন্ন  ভিন্ন শ্রেণীভুক্ত পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা আবেদন করতে হবে । কোন ধরণের পণ্য বা সেবা কোন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত তা আগেই জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
৩) লেবেল বা মার্ক প্রমাণ সাইজের টেকসই কাগজের হতে হবে এবং আবেদনপত্রের নির্ধারিত জায়গায় আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। মার্ক বা  লেবেল হিসেবে কোনো প্যাকেট/ফটোকপি গ্রহণযোগ্য হবে না এবং  লেবেলের মধ্যে কোনো ধরনের ট্রেডমার্ক তা সুনির্দিষ্টভাবে (TM) চিহ্নিত করে দিতে হবে। ‍
উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া লেবেলে ®,BSTI,ISO বা অন্য কোন সংস্থার চিহ্ন রাখা যাবে না। মার্ক/লেবেল/লোগোতে বাংলা/ইংরেজী ব্যতীত অন্য যেকোনো ভাষা ব্যবহৃত হলে আবেদনপত্রের ৬নং কলামে সেটির ট্রান্সলেশন এবং ট্রান্সলিটারেশন দিতে হবে।মার্ক/লোগোতে কোনো মানুষের ছবি ব্যবহার করা হলে সংশ্লিষ্ট মানুষটির/অভিভাবকের অনাপত্তিপত্র জমা দিতে হবে।
৪) আবেদন ফরমটির ৩ নম্বর কলামে মার্কের/ লোগোর বর্ণনা বা বিবরণ দিতে হবে।
৫) আবেদন ফরমটির নির্ধারিত স্থানে পণ্য আথবা সেবার বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে।
৬) আবেদন ফরমটির ৭নম্বর কলামের (ক) অংশে ব্যক্তির নাম ও তথ্যাবলি এবং (খ) অংশে কোম্পানির নাম ও তথ্যাদি উল্লেখ করতে হবে। আবেদনকারী যদি কোম্পানি হয় তবে কোম্পানিটি কোন দেশের আইনে গঠিত তা উল্লেখ করতে হবে।
৭) আবেদন ফরমটির ৭ নম্বর কলামের (গ) অংশে কোম্পানির ব্যবসার ধরণ জানাতে হবে। যেমন-প্রস্তুতকারক, আমদানিকারক অথবা সেবাদানকারী ইত্যাদি।
৮) আবেদন ফরমটির ৭ নম্বর কলামের (ক) অথবা (খ) অংশে আবেদনকারীর চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
৯) আবেদন ফরমটির ১০নম্বর কলামে মার্কের সুনির্দিষ্ট তারিখসহ ব্যবহারকাল উল্লেখ করতে হবে। মার্কটি ব্যবহৃত না হয়ে থাকলে উক্ত স্থানে “Proposed to be used” লিখে দিতে হবে।
১০) আবেদন ফরমটির নির্ধারিত স্থানে আবেদনকারীর পুরো নাম, স্বাক্ষর, পদবী, ই-মেইল, মোবাইল/টেলিফোন নম্বর লিখতে হবে।
১১) আবেদনকারী ‘Priority Claim’  এর আবেদন করলে এর সমর্থনে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র যুক্ত করতে হবে এবং আবেদনের ১১ নম্বর কলামে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
১২) যদি স্বত্বাধিকারী আইনজীবী বা তালিকাভুক্ত এজেন্ট এর মাধ্যমে আবেদনপত্র দাখিল করেন তবে মূল/সত্যায়িত GPA/PA (টিএম-১০) ফরমে যথাযথ স্ট্যাম্পসহ (GPA এর ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা এবং PA এর ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা) দিতে হবে।
১৩) আবেদন ফি রেজিস্ট্রার, ডিপিডিটি এর অনুকূলে যেকোন তফসিল ব্যাংকের মাধ্যমে অথবা পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে দাখিল করতে হবে।
১৪) আবেদন জমা দেওয়ার পূর্বে আবেদনকারী যদি চান আকাঙ্খিত মার্কটি ইতিমধ্যে কোন পণ্য/সেবার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত কিনা তা নির্দিষ্ট  ফি সহ (১০০০/-) টিম-৪ ফরমে আবেদনের মাধ্যমে দুই সপ্তাহের মধ্যে জানতে পারবে।

ট্রেডমার্ক রেজিষ্ট্রেশন ফি?

পণ্যের পরিমাণের উপর নির্ভর করে  রেজিষ্ট্রেশনের ব্যাপারটি। পণ্যের পরিমাণ-আবেদন ফি-নবায়ন ফি

১টি পণ্য- ১৫০০ টাকা- ৫০০০ টাকা
২-৪টি পণ্য- ২৫০০ টাকা- ১০০০০ টাকা
৫ এবং ততোধিক পণ্য- ৩৫০০ টাকা-১৫০০০ টাকা

ট্রেডমার্ক রেজিষ্ট্রেশনের সময়সীমাঃ

ট্রেডমার্ক রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদ থাকে ৭ বছরের জন্য। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার  আগেই নবায়নের আবেদন করলে ১০ বছরের জন্য নবায়ন করা যায়। মেয়াদ উত্তীর্ণ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এটি হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কোন ধরনের মার্ক নিবন্ধন করা যায় না?

ট্রেডমার্ক আইনের ধারা ৬ এবং ৮ অনুসারে কুৎসামূলক বা দৃষ্টিকটু মার্ক; বিদ্যমান কোনো আইনের পরিপন্থী মার্ক, প্রতারণামূলক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী মার্ক, সাদৃশ্যপূণ মার্ক, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টি করতে পারে এমন
মার্ক; কোন দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা বা অফিসের নাম, মনোগ্রাম, মানচিত্র, পতাকা, জাতীয় প্রতীকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো মার্ক, ব্যবহার করা যাবে না।

ট্রেডমার্ক আইন ?

২০০৯ সালে বাংলাদেশে ট্রেডমার্ক সম্পর্কিত বিভিন্ন আইন-কানুন প্রণীত হয়েছে। এর মধ্যে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ অধীনে ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি আইনকানুন রয়েছে।

ট্রেড মার্কের দেওয়ানি আইনঃ
২০০৯ সালের ট্রেডমার্ক আইন ৯৬ ধারার অধীনে কোন নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের লঙ্ঘন, নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক সংশ্লিষ্ট কোনো অধিকার, নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের সংশোধিত কোনো অধিকার এবং সাদৃশ্যপূর্ণ কোনো ট্রেডমার্ক বা প্রতারণামূলকভাবে কোনো ট্রেডমার্ক নিবন্ধিত হয়েছে বা হয়নি চালানো হলে যেকোনো স্বত্বাধিকারী অবশ্যই জেলা জজ আদালতে মামলা এবং অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।
 এই ধারায় নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত  যেকোনো ট্রেডমার্ক নিয়ম-কানুন লঙ্ঘনে উপযুক্ত সাজা,জরিমানা এবং প্রতিকারের ব্যবস্থা রয়েছে।

ট্রেড মার্কের ফৌজদারী আইনঃ
মিথ্যা ট্রেডমার্ক বা ট্রেডমার্কের বর্ণনা ব্যবহার, ট্রেডমার্ক জাল করা ও ট্রেডমার্ক জাল করার যন্ত্র আত্মসাৎ করা ইত্যাদি হলো দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৮২, ৪৮৩ এবং ৪৮৫ ধারার অপরাধ। এই কাজের শাস্তি হলো সর্বোচ্চ ২ বছর থেকে সর্বনিম্ন ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং সেই সাথে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।

ট্রেডমার্ক নকল করলে এর প্রতিকার

নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক নকল করা হলে এর জন্য যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়। এর জন্য জেলা জজ আদালতে মামলা করতে হয়। আবার অনিবন্ধিত ট্রেডমার্ক নকল করা হলে তবে পাসিং অফের মামলা করা যায়।  পাসিং অফ বলতে বোঝায়, অন্যের পণ্য নিজের নামে চালানো। এছাড়া মিথ্যা ট্রেডমার্ক ব্যবহার করা হলে এর জন্য মহানগর বিচারক হাকিম কিংবা প্রথম শ্রেণীর বিচারকের আদালতে মামলা করা যাবে। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত জেল এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকার জরিমানা হতে পারে।
আপনি যদি ট্রেডমার্ক আইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন :
(http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-1010.html)
উৎপাদন ব্যবসায় ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই পর্যন্ত আমাদের এই পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বিস্তারিত
Alibaba & Import Export Expert

আমদানি,রপ্তানি,আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন।

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2025 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js