eibbuy.com
একুরিয়ামের ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে

শখের বসে বাসায় একুরিয়ামে মাছ পালন স্বাভাবিক একটি বিষয়। একুরিয়াম বাসার সৌন্দর্যও বাড়ায়। যার কারনে বর্তমান সময়টাতে বাসায় একুরিয়াম রাখার প্রবনতাও দিন দিন বাড়ছে। সেই সাথে একুরিয়ামের ব্যবসার প্রসারতাও বাড়ছে। আজ আমরা একুরিয়ামের ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করব। আজকের আলোচনার শিরোনামগুলো তুলে ধরছি…

১. একুরিয়ামের ব্যবসা কেন করবেন?

২. কিভাবে একুরিয়ামের ব্যবসা শুরু করবেন?

৩. একুরিয়ামের জন্য মাছের তালিকা

৪. মাছ বা অন্যান্য উপাদান পাইকারি কিনবেন কোথা থেকে?

৫. একুরিয়ামের ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা পুঁজি লাগে?

৬. একুরিয়ামের ব্যবসাটিকে বড় পর্যায়ে নিয়ে যেতে করনীয় কি?

৭. এই ব্যবসার পাশাপাশি অন্য কি কি ব্যবসা করা যাবে?

 

এবার মূল আলোচনায় আসি…

১. একুরিয়ামের ব্যবসা কেন করবেন?

একুরিয়ামের ব্যবসা করার সবচেয়ে বড় কারন হল এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া। এখন মানুষ পোষা কুকুর, বিড়াল বা পোষা পাখি পালনের জন্য বেশি আগ্রহী। বাসার সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য বা বাসায় সামুদ্রিক একটা ছোয়া পেতে অনেকেই নিয়ে আসছেন একুরিয়াম। শহরের বাসাগুলোতে প্রায়ই পোষা কুকুর, বিড়াল বা বারান্দায় পাখি বা একুরিয়াম দেখা যায়। এখন হাজারখানিক টাকা হলেই বাসায় একটা একুরিয়াম আনা যায়। তাই মধ্যবিত্তদের মাঝেও এর ভাল চাহিদা রয়েছে। সাধারনত ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা দামের একুরিয়াম বাংলাদেশের বাজারে বেচাকেনা হয়। আবার একুরিয়ামের কাস্টমার দোকানে শুধু একুরিয়াম কিনতেই আসে না। মাছ, মাছের খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে আসে। সাধারনত একুরিয়ামে যেসব মাছ পালন করা হয় সেগুলো বিদেশি জাতের মাছ। একটা সময়ে এসব মাছের অনেক দাম থাকলেও এখন এখন সাধ্যের মধ্যে।  অনেকে আবার এত দাম দিয়ে একুরিয়াম না কিনে ছোট জার কিনেন এবং সেগুলোতে ছোট আকারের মাছ পালন করে থাকেন। শহর ছড়িয়ে গ্রামেও বিভিন্ন বাড়িতে এখন একুরিয়ামের দেখা মিলে।

অর্থাৎ বর্তমানে একুরিয়ামের বাজার সম্ভাবনাময় একটি বাজার। তাই আপনার একুরিয়ামের ব্যবসা করা উচিত।

 

২. কিভাবে একুরিয়ামের ব্যবসা শুরু করবেন?

একুরিয়ামের ব্যবসা শুরু করার আগে সর্বপ্রথম দেখে নিবেন যেখানে ব্যবসাটি করবেন সেখানে একুরিয়ামের চাহিদা আছে কিনা। যদি আপনি প্রত্যন্ত গ্রামে এই ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার জন্য পরামর্শ থাকবে আপনি অন্যান্য ব্যবসার আইডিয়াগুলো দেখতে পারেন। আপনার এলাকায় যদি একুরিয়ামের চাহিদা থাকে তাহলে দোকানের জন্য স্থান নির্বাচন করবেন। লোকসমাগম বেশি এমন স্থানে একুরিয়ামের দোকান দেওয়ার চেষ্টা করবেন। মেইন রোডের পাশে হলে ভালো হয়। দোকান ঠিক করার পর দোকানে ফার্নিচার সেট করবেন। ফার্নিচারগুলোর মধ্যে নিজের জন্য বড় দুটি একুরিয়াম রাখবেন যেখানে আপনার মাছগুলো রাখবেন। তারপর বিক্রির জন্য কয়েকটি একুরিয়াম বানিয়ে নিবেন। ১ থকে ৫ হাজার টাকা দামের একুরিয়াম দিয়ে শুরু করবেন। পাশাপাশি ছোট জার গুলোও আনবেন। মাছও নিয়ে আসবেন সাথে একুরিয়ামের জন্য পাথর, এয়ার মটর, ফিল্টার, রাবারের ফ্লেক্সিবল পাইপ ইত্যাদিও নিয়ে আসবেন। একুরিয়াম আপনি নিজে তৈরি করতে পারেন। একুরিয়ামের নিচে যে কাঠের ফার্নিচার থাকে সেটা তৈরির জন্য কোনো কাঠমিস্ত্রি বা ফার্নিচার ব্যবসায়িদের সাথে কথা বলে নিতে পারেন। তাদের সাথে একটা চুক্তি করে নিবেন। আর উপরের কাচের অংশ আপনি নিজেই বানিয়ে নিতে পারবেন। তারপর প্রচার শুরু করে দিবেন।

৩. একুরিয়ামের জন্য মাছের তালিকা

একটু আগেই বলেছি একুরিয়ামের মাছগুলো মূলত বিদেশি জাতের। বাংলাদেশে একুরিয়ামের জন্য যেসকল মাছের চাহিদা বেশি সেগুলোর তালিকা তুলে ধরছি…

·        গোল্ডফিশ

·        গাপ্পি

·        এঞ্জেল

·        মলি

·        ক্যাট ফিস

·        টেট্রা জেব্রা

·        টাইগার শার্ক

·        সিল্ভার শার্ক

·        রোজি বার্ব

·        টাইগার বার্ব

·        গ্লাস ফিশ

·        অ্যালিফেন্ট নোজ

·        সাকিং ক্যাট

·        ফ্লাওয়ার হর্ন

·        ব্লু আকড়া

·        ফাইটিং ফিশ

·        সোর্ড টেইল


উপরে উল্লেখিত মাছগুলো ছাড়াও দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ একুরিয়ামগুলোতে শোভা পায়। সেগুলোর তালিকাও তুলে ধরলাম…

·        টেংরা

·        খলিশা

·        পুটি

·        চান্দা

·        বায়িং

·        মলা

·        চিংড়ি জাতীয় ছোট মাছ।

দেশীয় মাছগুলো একুরিয়ামের জন্য দেশীয় মানুষের চেয়ে বেশি কদর করে ইউরোপের মানুষেরা। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই একুরিয়ামের মাছ হিসেবে উল্লেখিত মাছগুলো রপ্তানি করে থাকে।

৪. মাছ বা অন্যান্য উপাদান পাইকারি কিনবেন কোথা থেকে?

একুরিয়াম, একুরিয়ামের মাছ বা অন্যান্য উপাদানের জন্য ঢাকায় মুলত ২টি পাইকারি বাজার রয়েছে। একটি হল কাটাবন। আরেকটি হল মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট। গুলশানেও একুরিয়ামের পাইকারি মার্কেট আছে। পাইকারি মার্কেট থেকে এসব মাছ কিনতে গেলে নানা ধরনের সমস্যা হয়। তারা ভাল মাছ আপনাকে নাও দিতে পারে। যদি বুঝে কিনতে পারেন তাহলে কিনতে পারেন। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই এ ধরনের মাছের চাষ করে থাকেন, তাদের থেকে কিনতে পারেন। তাছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইটেও অনেকে পাইকারি একুরিয়ামের মাছ সরবরাহ করেন। তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

৫. একুরিয়ামের ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা পুঁজি লাগে?

কোন ব্যবসায় কত টাকা পুঁজি লাগে সেটা মূলত নির্ভর করে কোথায় এবং কেমন পরিসরে ব্যবসাটি শুরু করবেন তার উপর। তাই দোকানের ভাড়া এবং অ্যাডভান্স ছাড়াই আমরা হিসাব করব। আর দোকানের জন্য প্রথম তিন চার মাসের ভাড়া আগেই রেখে দিবেন। ওই টাকাটাও আমরা হিসাবের বাইরে রাখব। কারন এভাবে দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে গেলে প্রথম লাভ উঠতে কয়েক মাস পর্যন্ত লেগে যায়।

একুরিয়ামের ব্যবসা করতে প্রথমে ফার্নিচার বাবদ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে। আর মাছসহ অন্যান্য জিনিস কিনতে ধরুন আরও ১৫ হাজার টাকা। সরকারি বিভিন্ন বৈধ কাগজপত্রের জন্য আপনাকে আরও ২ থাকে ৫ হাজার টাকা খরচ করা লাগতে পারে। সবমিলিয়ে দোকানের এডভান্স আর প্রথম ৩ থেকে ৪ মাসের ভাড়া ছাড়া ৪০ হাজার টাকা হলেই আপনি একুরিয়ামের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

৬. একুরিয়ামের ব্যবসাটিকে বড় পর্যায়ে নিয়ে যেতে করনীয় কি?

আপনাকে শুধু একুরিয়াম আর একুরিয়ামের মাছ, যন্ত্রপাতি বিক্রি করলেই হবে না। এর পাশাপাশি আপনাকে এই সংক্রান্ত আরও অন্যান্য ব্যবসায় জড়াতে হবে। যেমন আপনি নিজে একুরিয়ামের মাছ চাষ করতে পারেন। তারপর এই মাছগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করবেন। বাংলাদেশের অনেক ব্যবসায়ীরাই এভাবে মাছ চাষ করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে থাকে। আপনিও করতে পারেন। তবে প্রথমেই মাছ চাষের পর্যায়ে না যাওয়াটাই ভালো। অফলাইনে ব্যবসার পাশাপাশি অনলাইনেও ব্যবসা করবেন। ফেসবুকে পেজ খুলে সেখানে নিয়মিত আপডেট দিবেন। কাস্টমারদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবেন। আপনি আপনার পন্য আমাদের এই ওয়েবসাইটেও বিক্রি করতে পারেন। এখানে যে কোনো ধরনের পন্য পাইকারি বা খুচরা বেচা কেনা করা যায়। সেলার একাউন্ট খুলতে বা পন্য বিক্রি করতে কোনো প্রকার চার্জ বা ফি প্রদান করতে হয় না।

 

৭. এই ব্যবসার পাশাপাশি অন্য কি কি ব্যবসা করা যাবে?

এই ব্যবসার পাশাপাশি আরও নানা ধরনের ব্যবসা করা যায়। যেমন পাখির ব্যবসা। কবুতরের ব্যবসা। পাখির ব্যবসা করলে একপর্যায়ে আপনি পাখির খামারও দিতে পারবেন। পাখি আর মাছ যদি একই দোকানে বিক্রি করেন তাহলে আপনি অতিরিক্ত কিছু কাস্টমার পাবেন। অনেকেই তাদের বাসার বারান্দায় পাখি পালন করে থাকে। যেসব পাখি এভাবে পালন করা হয় সেগুলো মূলত বিদেশি জাতের পাখি। এসব পাখির মধ্যে লাভ বার্ড, ককাটেইল, ফিঞ্চ, বাজরিগার, রেড লরি উল্যেখযোগ্য। আর পাখির ব্যবসা কিভাবে করবেন তা নিয়ে আমাদের আরেকটি আর্টিকেল আছে। পড়ার অনুরোধ থাকবে।

 

আবার আপনি চাইলে দোকান দেওয়া ছাড়াই বাসায় একুরিয়াম থেকে ব্যবসা করতে পারেন। বাংলাদেশে অনেকেই বিশেষ করে ছাত্ররা শুধু বাসায় একুরিয়ামে মাছ পালন করে প্রতি মাসে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করছে। তারা সাধারনভাবেই বাসায় মাছ পালন করে। আর একুরিয়ামের এসব মাছ ঘন ঘন বাচ্চা দেয়। অতিরিক্ত মাছ বিক্রি করে বাসা থেকেই টাকা আয় করা যায়। এভাবে বাসায় পাখি পালন করেও ব্যবসা করা যায়। পাখি ও একুরিয়ামে মাছ দুটি একসাথেও পালন করে টাকা আয় করা যায়।

 

আজকের আলোচনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

ধন্যবাদ।

বিস্তারিত
রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে

বর্তমানে বাংলাদেশে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আগে রেস্টুরেন্টের চাহিদা সীমিত থাকলেও, এখন মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ভিন্নধর্মী খাবারের প্রতি আকর্ষণের কারণে ব্যবসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে। মানুষ রেস্টুরেন্টে শুধুমাত্র খেতে নয়, পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা দিতে, ব্যবসায়িক মিটিং করতে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একত্রিত হতে আসে। এই প্রবণতা বাংলাদেশের রেস্টুরেন্ট শিল্পকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

 

কেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করবেন?

রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করার প্রধান কারণ হচ্ছে এর বিশাল চাহিদা এবং ক্রমবর্ধমান বাজার। বর্তমানে শহরের রাস্তায় বা বাজারের আশেপাশে প্রচুর রেস্টুরেন্ট দেখা গেলেও, অধিকাংশের মান গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করতে পারে না। তাই, মানসম্মত খাবার আকর্ষণীয় পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

 

তবে, ব্যবসা ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা না থাকলে এবং পর্যাপ্ত পুঁজির অভাব থাকলে, রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ক্ষতির দিকে যেতে পারে। তাই, ব্যবসায় নামার আগে সঠিক পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনা জরুরি।

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করার ধাপসমূহ

. পুঁজি নির্ধারণ করুন

প্রথম ধাপে, আপনার পুঁজির পরিমাণ নির্ধারণ করা জরুরি। আপনি কী পরিমাণ পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করবেন, তা নির্ধারণ করে তারপর ব্যবসার পরিকল্পনা তৈরি করুন। রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় কমপক্ষে ১০-১৫ লাখ টাকার প্রয়োজন হতে পারে, তবে এটি আপনার স্থান এবং রেস্টুরেন্টের আকার অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।

 

. স্থান নির্বাচন

রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সফলতার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো সঠিক স্থান নির্বাচন। স্থান নির্বাচন করার সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখুন:

 লাইভ বেকারি ব্যবসা করবেন? কিভাবে শুরু করবেন...

  • মানুষের চলাচল বেশি হয় এমন স্থান।
  • পার্কিং সুবিধা।
  • প্রধান সড়কের পাশের অবস্থান।
  • মার্কেটের কাছাকাছি অবস্থান।
  • পুঁজির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাড়া।

যেখানে বেশি মানুষ আসে এবং খাবারের চাহিদা বেশি, সেখানে রেস্টুরেন্ট খোলার সম্ভাবনা সফলতার বেশি। আপনার টার্গেট এলাকায় ইতিমধ্যে কতগুলো রেস্টুরেন্ট আছে এবং সেগুলোর মান ব্যবসা কেমন চলছে তা যাচাই করে দেখুন। এবং আপনার টার্গেট এলাকায় যদি অন্য রেস্টুরেন্ট থাকে, তবে তাদের ব্যবসার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করুন। যদি তারা লোকসানে থাকে, তবে সেটির কারণ বিশ্লেষণ করুন এবং সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনার রেস্টুরেন্ট পরিচালনার সময় সেসব বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন।

 

. খাবারের ধরন নির্ধারণ করুন

আপনার রেস্টুরেন্টে কোন ধরনের খাবার পরিবেশন করবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন। বর্তমানে চাইনিজ, থাই, ইন্ডিয়ান, দেশীয় খাবার ছাড়াও এরাবিক খাবারের চাহিদা বেড়েছে। আপনার এলাকার চাহিদা অনুযায়ী মেনু প্রস্তুত করুন। একাধিক খাবারের অপশন রাখলে গ্রাহক আকর্ষণ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

খাবারের মধ্যে ভিন্নতা আনার চেষ্টা করবেন। আপনার আশেপাশের অন্য রেস্টুরেন্টে নেই এমন আইটেম আনার চেষ্টা করবেন।

 

. রেস্টুরেন্টের সাজসজ্জা

রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন এবং পরিবেশ গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার একটি বড় মাধ্যম। আপনার রেস্টুরেন্ট এমনভাবে সাজান যেন এটি ক্যামেরা-বান্ধব হয়। আজকাল বেশিরভাগ গ্রাহক রেস্টুরেন্টে এসে ছবি তোলে এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে। তাই, আধুনিক চোখধাঁধানো ইন্টেরিয়র ডিজাইনের দিকে খেয়াল রাখুন।

 

ডেকোরেশন করার সময় টেবিলের পাশে কিছু বই বা ম্যাগাজিন রাখতে পারেন, যাতে গ্রাহকরা খাবার আসার সময় পড়ার মতো কিছু পায়। এছাড়া, রেস্টুরেন্টের পরিবেশ যেন পরিচ্ছন্ন স্বস্তিদায়ক হয়।

 

. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ

রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে হলে কিছু বৈধ কাগজপত্র প্রয়োজন। সেগুলো হলো:

 

ট্রেড লাইসেন্স: সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

টিন সার্টিফিকেট: অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।

মূসক/ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন: এটি রাজস্ব বোর্ড থেকে নিতে হবে।

এই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করতে কিছু ফি লাগতে পারে, যা আপনার বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে নিবেন।

 

কর্মচারী নিয়োগ

রেস্টুরেন্টের সাফল্যের একটি বড় অংশ নির্ভর করে দক্ষ কর্মচারীর উপর। তাই রাঁধুনি, ম্যানেজার, সার্ভ বয়, এবং পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ করার সময় তাদের দক্ষতা যাচাই করে নিন। রাঁধুনির গুণমান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রেস্টুরেন্টের খাবার কাস্টমারকে বারবার ফিরে আসতে বাধ্য করে।

 

মার্কেটিং এবং প্রচারণা

আপনার রেস্টুরেন্টের প্রসার ঘটানোর জন্য শুরুতেই সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষ করে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে পারেন। আকর্ষণীয় ছবি ইউনিক অফার দিয়ে প্রচারণা চালান। বিশেষ ছাড় বা ইভেন্ট প্ল্যান করলে তা প্রচার করতে ভুলবেন না।

বিভিন্ন ডিসকাউন্ট অফার দিবেন। এবং এই ডিসকাউন্ট অফার ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে দিবেন। এক্ষেত্রে পোস্ট বুস্টিং করতে হবে। অথবা আপনাদের অফারের কথা তার টাইমলাইনে শেয়ার করলে সে পাবে এক্সট্রা ডিসকাউন্ট। এতে আরও বেশি প্রচার হবে।

 বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা যায় এমন পন্য এবং গন্তব্য দেশ..

প্রথম মাস থেকে বছর লোকসানের প্রস্তুতি

প্রথমদিকে আপনার রেস্টুরেন্টে কাস্টমারের অভাব হতে পারে এবং আপনি লোকসানে চলতে পারেন। এই সময়ের জন্য অতিরিক্ত কিছু টাকা হাতে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। মানসম্মত খাবার এবং সেবা নিশ্চিত করে সময়ের সাথে সাথে লোকসান কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন।

রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগবে?

এই ব্যবসা শুরু করতে টাকা লাগতে পারে তা নির্ভর করে আপনি কোথায় রেস্টুরেন্ট দিচ্ছেন কত বড় আকারে দিচ্ছেন তার উপর। তারপরও ধারনা দেওয়ার জন্য আনুমানিক খরচ তুলে ধরলাম।

১. ভাড়া ও ডেকোরেশন:

স্থান ভাড়া:

আপনার রেস্টুরেন্টের অবস্থানের ওপর ভাড়ার পরিমাণ নির্ভর করবে। ঢাকার মতো শহরে একটি ভালো জায়গায় রেস্টুরেন্ট স্থাপনের জন্য মাসিক ভাড়া হতে পারে ৫০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে ৩-৬ মাসের অগ্রিম ভাড়া দিতে হতে পারে, যা হতে পারে ৩ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত।

 

ডেকোরেশন ও ইন্টেরিয়র ডিজাইন:

রেস্টুরেন্টের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার জন্য সাধারণত ৩ থেকে ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন হতে পারে। এটি নির্ভর করবে আপনার রেস্টুরেন্টের আকার এবং আপনি কতটা আকর্ষণীয়ভাবে সাজাতে চান তার উপর।

 

২. ফার্নিচার ও সরঞ্জামাদি:

ফার্নিচার:

টেবিল, চেয়ার, কাউন্টার ইত্যাদি ফার্নিচারের জন্য প্রাথমিকভাবে ২-৫ লাখ টাকা প্রয়োজন হতে পারে।

 

কিচেন সরঞ্জামাদি:

কিচেনের জন্য রান্নার চুলা, ফ্রিজ, ওভেন, ব্লেন্ডার, কিচেন টুলস ইত্যাদি কিনতে প্রায় ২-৪ লাখ টাকা প্রয়োজন হতে পারে।

 

৩. খাবার উপকরণ ও মেনু প্রস্তুতি:

প্রাথমিকভাবে ৫০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকার কাঁচামাল লাগতে পারে। এটি আপনার মেনুর খাবারের পরিমাণ এবং কাস্টমারের চাহিদার ওপর নির্ভর করে।

৪. লাইসেন্স ও কাগজপত্র:

ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট এবং ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সহ বিভিন্ন কাগজপত্রের জন্য প্রায় ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা প্রয়োজন হতে পারে।

৫. কর্মচারী বেতন:

প্রতিমাসে কর্মচারীদের বেতন হিসেবে ৫০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ টাকা লাগতে পারে। কর্মচারীর সংখ্যা এবং তাদের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে এই খরচ বাড়তে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একজন দক্ষ রাঁধুনির বেতন ২০,০০০-৩০,০০০ টাকা হতে পারে, আর ম্যানেজারের বেতন ২৫,০০০-৪০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

৬. বিপণন ও প্রচারণা:

প্রথমদিকে আপনার রেস্টুরেন্টের প্রচারণার জন্য ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা ব্যয় করতে হতে পারে। এই বাজেটের মাধ্যমে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন দেওয়া এবং বিশেষ ছাড়ের অফার করতে পারেন।

মোট খরচ:

সব মিলিয়ে একটি ছোট বা মাঝারি মানের রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে মোট খরচ হতে পারে প্রায় ১০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। তবে এই খরচ ব্যবসা আকার এবং স্থানভেদে কম বেশি হতে পারে।

সাফল্যের মূল চাবিকাঠি

রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় সফলতা পাওয়া নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ে:

 

  • সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া।
  • পরিশ্রম করা।
  • কর্মচারীদের সঠিকভাবে পরিচালনা করা।
  • সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা থাকা।

এই ব্যবসায় সফল হতে গেলে ধৈর্য, কৌশল এবং সঠিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদে সঠিক পরিকল্পনা পরিশ্রম করতে পারলে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় আপনার সাফল্য নিশ্চিত।

 অটোরিকশা ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে?

আজকের আলোচনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

ধন্যবাদ।

 

বিস্তারিত
ইন্ডিয়া থেকে পোশাক আমদানি করবেন যেভাবে
বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান পোশাকের অনেক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান থ্রি পিসের চাহিদা এবং তারপর ইন্ডিয়ান শাড়ির চাহিদা উল্লেখ না করলেই নয়। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা নিজেরাই ইন্ডিয়া থেকে পোশাক আমদানি করতে চায়। বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান থ্রি পিস, শাড়ি বা অন্যান্য পোশাকের পাইকারি বাজার আছে। কিন্তু এগুলোর বেশিরভাগই আসল ইন্ডিয়ান নয়, কপি অর্থাৎ বাংলাদেশিই কিন্তু দেখতে পুরোপুরি ইন্ডিয়ান পন্যের মতো। এর কারনে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই ইন্ডিয়া গিয়ে অথবা সেলার থেকে সরাসরি কন্টাক্ট করে থ্রি পিস, শাড়ি বা অন্যান্য পোশাক এপারে নিয়ে আসে। বিভিন্ন উপায়ে ইন্ডিয়া থেকে পোশাক আমদানি করতে পারবেন। আজ আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনি ইন্ডিয়া থেকে পোশাক এনে ব্যবসা করবেন…

যেসব উপায়ে ইন্ডিয়া থেকে পোশাক আনা যায়…

✑ইন্ডিয়া ভ্রমনে গিয়ে আসার সময় ব্যাগেজে করে পন্য নিয়ে আসা যায়। যদিও এভাবে ব্যবসা না করাটাই উত্তম।
✑ডোর টু ডোর সার্ভিসে পন্য আনা যায়। ইন্ডিয়া থেকে পন্য আনার জন্য ডোর টু ডোর সিস্টেমটাই ভাল।
✑এলসি করে বেনাপোল, এয়ারপোর্ট বা সমুদ্র বন্দরে পন্য নিয়ে আসা যায়।

এবার বিস্তারিত বলি। যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তারা ডোর টু ডোর বা নরমাল পদ্ধতিতে পোশাক আনে না। কারন এগুলোর খরচ তুলনামুলক বেশি। তারা আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীসহ টুরিস্ট ভিসায় একসাথে ইন্ডিয়া যায়। আর যে কোনো দেশে কেউ গেলে আসার সময় কিছু পন্য কিনে নিয়ে আসা যায় যেগুলোর জন্য কোনো প্রকার ট্যাক্স বা অন্য কোনো ফি দিতে হয় না। এই সুবিধা নিয়ে ব্যবসায়ীরা ইন্ডিয়া থেকে ব্যবসার জন্য পোশাক নিয়ে আসেন। আবার আপনি চাইলে ইচ্ছেমত পন্য আনতে পারবেন না। সকল টুরিস্টদের জন্যই পন্য আনার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হয়। যেমন আপনি ২০ কেজি বা ৩০ কেজির বেশি পন্য আনতে পারবেন না। আবার একই পন্য তিনটির বেশি আনতে পারবেন না। এই যেমন ধরেন আপনি একই ধরনের শাড়ি চারটি কিনলেন। তখন এগুলো আনার সময় কাস্টমের লোকেরা ঝামেলা করবে। তারা একটি রেখেও দিতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা তাদের পন্য ভাগাভাগি করে নেয়। পরে দেশে এসে আবার যার যার পন্য যে যে নিয়ে নেয়। যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তারাই এভাবে পন্য আনে। কিন্তু প্রফেশনাল ভাবে ব্যবসার জন্য এভাবে পন্য আনা উচিত নয়।

এবার আসি ডোর টু ডোর সার্ভিস নিয়ে…

ইন্ডিয়া বা চায়না থেকে পন্য আনার জন্য ডোর টু ডোর সার্ভিস জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। প্রথমে জেনে নেই, ডোর টু ডোর সার্ভিস কি? ডোর টু ডোর সার্ভিস হল, আপনি কোনো পন্য কোনো এজেন্সির কাছে দিবেন। তারা তাদের নিজস্ব লাইসেন্স দিয়ে নিজস্ব ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার দিয়ে পন্য এনে দিবে। আপনি ইন্ডিয়াতে অনেক ডোর টু ডোর সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান পাবেন যারা আপনার পন্য দেশে এনে দিবে। তারা মূলত কেজিপ্রতি চার্জ নেয়। এভাবে ইন্ডিয়া থেকে পোশাক আনার জন্য কোনো প্রকার লাইসেন্স বা আলাদা কোনো ফি দিতে হবে না। এর জন্য কোনো এলসি বা আইআরসি করা লাগেনা। ডোর টু ডোর সার্ভিস মূলত দুই ধরনের হয়। একটি হল এয়ার শিপমেন্ট অপরটি হল সি শিপমেন্ট। এয়ার শিপমেন্ট করলে কেজিপ্রতি ৪৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত লাগে। অপরদিকে সি শিপমেন্টে ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা লাগে। এগুলো অবশ্যই কেজিপ্রতি হিসেবে হয়। এয়ার শিপমেন্ট এর শুবিধা হল ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পন্য পাওয়া যায়। আর সি শিপমেন্টে ৬০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত লাগে। 

তবে ডোর টু ডোর সার্ভিসের কিছু সমস্যাও আছে…

মনে করুন আপনি ডোর টু ডোর সার্ভিসে কিছু থ্রি পিস পাঠিয়েছেন। ঐ ডোর টু ডোর এজেন্সি কিন্তু আপনার পন্যের সাথে আরও আন্যান্য পন্য পাঠাবে। সেগুলোতে যদি কোনো অবৈধ পন্য থাকে তাহলে সেগুলো যখন কাস্টমে আটকে যাবে যাথে আপনার পন্যও আটকে যাবে। এতে আপনার পন্য ফেরত নাও পেতে পারেন। তাই ডোর টু ডোর একটু ঝুকিপূর্ণ। 

আর আরেকটি উপায় হল নিজে এয়ারে অথবা শিপে করে নিয়ে আসা। তবে এর জন্য আপনাকে অনেক কাগজপত্র করতে হবে। লাইসেন্স করতে হবে। শুধুমাত্র ইমপোর্টার লাইসেন্স করতেই এখন খরচ হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। তারপর আরও অনেক ঝামেলা তো আছেই। যেমন এলসি, আইআরসি করা, ইন্সুরেন্স করা ইত্যাদি। যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তারা এভাবে সাধারনত পোশাক আনে না। তারপরও যদি কেউ এভাবে আনতে চান, এটা নিয়ে আমাদের একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত দেওয়া আছে। পড়ে আসতে পারেন।

একটি বিষয় উল্লেখ করতে হয়। বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য ইন্ডিয়া থেকে বৈধ উপায়ে পোশাক এনে ব্যবসা করা যায়না। কারন তারা অবৈধ উপায়ে পোশাক নিয়ে আসে। ফলে তাদের কোনো প্রকার ট্যাক্স দিতে হয় না। শেষে এমন দেখা যায় যে আপনি কোনো থ্রি পিস আনতে যে খরচ হয় তার চেয়ে কমদামে তারা বিক্রিই করছে। আবার কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশি পোশাক ইন্ডিয়ান বলে বিক্রি করে। তার কারনে সত্যিকারের ইন্ডিয়ান পোশাক নিয়ে ব্যবসা করতে গেলে নানা ধরনের প্রতিকুলতার শিকার হতে হয়। তাই ইন্ডিয়া থেকে পোশাক এনে ব্যবসা করতে গেলে ভেবে চিন্তে করবেন।

আপনার যদি ইন্ডিয়া থেকে পোশাক আমদানি করতে C&F এর প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আজকের আলোচনা নিয়ে যদি কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে অথবা C&F এর দরকার পড়ে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
ধন্যবাদ।
বিস্তারিত
পাখির ব্যবসা কিভাবে করবেন
অনেকেই নিজের শখ এবং ব্যবসা একসাথে করতে চান। পাখি পালন করার শখ অনেকেরই আছে। কিন্তু এমনও তো হতে পারে যে শখ পালন হল পাশাপাশি সেখান থেকে কিছু টাকাও আসল। 

কেন করবেন পাখির ব্যবসা?

পাখির ডাক, কিচিরমিচির শব্দ কার না ভাল লাগে? নানা রঙের নানা বর্ণের পাখি মনকে মুগ্ধ করে দেয়। অনেকেই তাদের বাসার বারান্দায় পাখি পালন করে থাকেন। বারান্দায় পালন করার জন্য দেশি বিদেশি বিভিন্ন ধরনের পাখি রয়েছে। আগে বিদেশি পাখি তেমন একটা পাওয়া যেত না। যাই পাওয়া যেত দাম ছিল অনেক বেশি। কিন্তু এখন অনেকটা সহজলভ্য ভাবেই পাওয়া যায়। পাশাপাশি রঙ বেরঙের এসব পাখির চাহিদাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ভবিষ্যতে এসব পাখির চাহিদা আরও বাড়বে। তরুনদের মধ্যেই পাখি পালনের শখ বেশি। 
পাখির ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম। পাখির ব্যবসা শুরু করতে বেশি টাকা পুঁজি লাগেনা। আবার শিক্ষাগত যোগ্যতাও তেমন একটা দরকার হয় না। অন্যান্য পাখির পাশাপাশি কবুতর পালন করলে লাভের পরিমান আরও বেশি হবে। 

যে ধরনের পাখির ব্যবসা করবেন……

ব্যবসার জন্য পাখি নির্বাচনের সময় অনেকেই একটা ভুল করে থাকে। বিভিন্ন দেশি পাখিকে ব্যবসার জন্য নির্বাচন করে। কিন্তু বর্তমানে ব্যবসার জন্য বিদেশি পাখি বা কেসবার্ড ধরনের পাখিই ভাল। কেসবার্ড হল যেসকল পাখি খাচায় পালন করা যায় বা যেসকল পাখি খাচায় নিরাপদবোধ করে। এ ধরনের পাখিই বাসার সৌন্দর্য বর্ধন করে। বলছিনা যে দেশীয় পাখি দেখতে সুন্দর নয়। দেশীয় পাখিগুলো কেসবার্ড নয়। এগুলো বনে জঙ্গলে বা গাছে গাছে উড়ে বেড়াতে পছন্দ করে। খাচায় এগুলো নিরাপদ নয়। যে সকল পাখি আপনি বাসায় পালন করবেন এবং ব্যবসা করতে পারবেন তার একটি তালিকা তুলে ধরলাম...

✑ লাভ বার্ড 
✑ককাটেইল
✑ফিঞ্চ
✑বাজরিগার
✑ইলেক্টাস
✑রেড লরি
✑ডাভ 
✑ম্যাকাউ
✑কাইফ প্যারট
✑গ্রে গ্রিন সিনামন টারকুইজিন
✑রেড হেড অপলাইন টারকুইজিন
✑চ্যাটারি লরি
✑আলবিনো রিন
✑প্রিন্স অব অয়েলস
✑ভায়োলেট লেক লরি
✑সান কৌনর 
✑মুলাক্কান কাকাতুয়া
✑জাভা   ইত্যাদি

কিভাবে পাখির ব্যবসা শুরু করবেন...

প্রথমে স্থান নির্বাচন করবেন। বারান্দা, বাসার ছাদ বা বাড়ির উঠানে কোথায় পাখি পালন করবেন সে স্থান ঠিক করবেন। স্থান নির্বাচনের সময় নিরাপত্তার বিষয়টা খেয়াল রাখবেন। পাখি পালনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এগুলো চুরি হয়ে যায়। বারান্দা, উঠান এমনকি ছাদ বলেন প্রায় সময়ই পাখি চুরির খবর পাওয়া যায়। এমনকি অনেকের লাখ লাখ টাকার পাখি চুরি হওয়ার পর তাদের রাস্তায় বসার উপক্রম হয়েছে। 
যদি বারান্দায় পাখি পালন করেন তাহলে খোলামেলা বারান্দা নির্বাচন করবেন। তারপর কোন ধরনের পাখি দিয়ে শুরু করবেন তা ঠিক করবেন। সেগুলোর জন্য কি কি খাদ্য প্রয়োজন তা জেনে নিবেন। কি ধরনের খাচা লাগবে তাও জেনে নিবেন। তারপর জন্য খাচা ও খাবার কিনে আনবেন। কিছু অতিরিক্ত খাচা আনতে ভুলবেন না। কারন পাখি খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করে। এগুলোর সেট আপ সম্পন্ন করে পাখি কিনে আনবেন। প্রথমে বেশি টাকা বিনিয়োগ না করে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করা উচিত। এই টাকার দিয়েই প্রথমে খাচা ক্রয় করা, পাখি ও খাবারসহ যাবতীয় সকল কেনাকাটা করতে হবে। 


কিভাবে, কোথায় বিক্রি করবেন...

কোথায় বিক্রি করবেন এটা আপনার মার্কেটিং এর উপর নির্ভর করবে। অনেকে তাদের বন্ধু, আত্মীয় অথবা পরিচিতদের মাঝেই বিক্রি করে থাকেন। এর জন্যও মার্কেটিং এর প্রয়োজন হয়। পরিচিতজনদের মধ্যে পাখি পালনের জন্য একটা আকর্ষন তৈরি করতে হয়। পাখির অনেক মার্কেট আছে। বিভিন্ন বাজারে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে পাখি বিক্রি করা হয়। খোঁজ নিয়ে সেগুলোতেও বিক্রি করতে পারেন। যেখান থেকে পাখি কিনবেন তাদের থেকে মোটামুটি একটা ধারনা পাবেন যে কোথায় পাখি বিক্রি করবেন। আবার সোশিয়াল সাইটেও কাস্টমার পেতে পারেন। সেখানে পোস্ট বুস্টিং করতে হবে। ফেসবুকে পাখি ক্রয়বিক্রয়ের অনেক গ্রুপ আছে। সেখানে জয়েন থাকবেন। এলাকায় পোস্টার লাগিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারেন। আবার আপনি চাইলে এই ওয়েবসাইটেও পাখি বিক্রি করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে এখানে একটি সেলার অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এখানে কেনাবেচা করতে কোন প্রকার ফি বা কমিশন দিতে হবে না। 

পাখির দেখাশুনা কিভাবে করবেন...

পাখির ব্যবসায় আপনার লাভ মূলত নতুন যে বাচ্চা হবে সেগুলো বিক্রি করেই হবে। তাই বাচ্চাগুলোর প্রতি যত্নশীল থাকবেন। কোন পাখির যত্ন কিভাবে নিতে হবে তা জেনে নিবেন। এইসব সম্পর্কে ইউটিউবে নানা ভিডিও পাবেন। সেগুলো থেকেই মোটামোটি আইডিয়া পেয়ে যাবেন কিভাবে কোন পাখির যত্ন নিতে হবে। কোন পাখিকে কখন কি ঔষধ খাওয়াতে হবে তা জেনে রাখবেন। আর নিরাপত্তার বিষয়টা অবশ্যই খেয়ালে রাখবেন। অন্যান্য পাখির পাশাপাশি কবুতর পালন করবেন। কবুতর বছরে ১২ থেকে ১৩ জোড়া পর্যন্ত বাচ্চা দেয়। পাখি খাচার বাইরে ছাড়বেন না। কবুতরও অনেক সময় ছাড়লে আর ফেরত আসেনা। 



বর্তমানে এমন অনেক মানুষ আছে যারা শুরু করেছিল ৫-৬ হাজার টাকার পাখি দিয়ে। এখন তাদের খামারে কোটি টাকার পাখি এবং মাসিক আয় ৫-৬ লাখ টাকা। এমন মানুষের সংখা কিন্তু অনেক, হাতে গোনা কয়েকজন নয়।  

আজকের আলোচনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। 
ধন্যবাদ।
বিস্তারিত
ছাত্রদের ব্যবসার আইডিয়া

কোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য ছাত্রজীবন দারুণ একটি সময়। কিন্তু এ সময়ে চাইলেই যেকোনো ব্যবসা শুরু করা যায় না। এর কারন হল পুঁজি এবং সময়ের অভাব। ছাত্রাবস্থায় কোনো ব্যবসা শুরু করতে গেলে এসব বিষয় মাথায় রাখতে হয়। সব কিছু মাথায় রেখে বের করতে হয় ভাল একটি ব্যবসার আইডিয়া। আজ আমরা কয়েকটি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো ছাত্ররা খুব সহজেই করতে পারবে। আজকের আইডিয়াগুলো ছাত্রদের জন্য ব্যবসা এর আইডিয়া হিসেবে খুবই কার্যকরী। ফ্রিল্যান্সিং বা পার্টটাইম জব নয় আজকের আইডিয়া গুলো মূলত ব্যবসার আইডিয়া। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন। ছাত্ররা সাধারণত ব্যবসা হিসেবে পার্টটাইম ব্যবসার আইডিয়া খুজে থাকে।

আরও পড়ুন....

 ফ্রিল্যান্সিং করবেন যেভাবে


১. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল কোনো কোম্পানির পন্য আপনি নিজে মার্কেটিং করে বিক্রি করবেন, পন্য গ্রাহকের কাছে পৌছানো, পরিবহন খরচ ইত্যাদি কোম্পানি বহন করবে। শেষে কোম্পানি আপনাকে কমিশন দিবে। এ কমিশনের পরিমাণ আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে। পন্যের মুল্যের একটি অংশ কমিশন হিসেবে আপনাকে দেওয়া হবে। একটু সহজ ভাষায় ব্যাখা করি...

মনে করেন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাক বিক্রি করে। এখন তাদের সাথে আপনি একটি চুক্তি করলেন যে তাদেরকে আপনি কাস্টমার এনে দিবেন, বিনিময়ে আপনার এনে দেওয়া কাস্টমার থেকে যে লাভ হবে তার অর্ধেক বা একটি অংশ আপনাকে দিবে। এখন আপনি যে কাস্টমার আনবেন তার জন্য আপনাকে নিজে মার্কেটিং করতে হবে। অর্থাৎ বিজ্ঞাপন বা অন্য যে কোনো উপায়ে কাস্টমার আনবেন। অনেকটা দালালির মতো। এই কাজটি মূলত অনলাইনে হয়। অনলাইনে তারা আপনাকে পন্য অর্ডারের জন্য একটি লিংক প্রদান করবে। আপনি ফেসবুক বা যেকোনো সাইটে বুস্টিং করে অথবা মেসেজ করে যেভাবেই হোক কাস্টমার ম্যানেজ করবেন। তাদেরকে ঐ লিংকটিতে গিয়ে প্রোডাক্ট কিনতে বলবেন। তারপর যখন তারা প্রোডাক্ট কিনবে তখন আপনি লভ্যাংশ পেয়ে যাবেন।


এবার আসি, কোথায় আপনি এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ পাবেন?


বিভিন্ন অনলাইন বিজনেস প্লাটফর্ম রয়েছে যারা প্রায়সময়ই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য নিয়োগ দেয় এর মধ্যে  টেন মিনিট স্কুলও আছে। অন্যান্য দেশে বিখ্যাত অনলাইন মার্কেট আমজনেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সুযোগ রয়েছে। আশা করা যায় বাংলাদেশেও খুব শীঘ্রই এই সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে অন্যান্য আরও অনেক সাইটে আপনি এ কাজ পাবেন।



২. চা পাতার ব্যবসা



ছাত্রদের ব্যবসা হিসেবে চা পাতার ব্যবসার আইডিয়াটি খুবই লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া। তবে এই ব্যবসায় ধৈর্যশীলের পরিচয় দিতে হয়। প্রথমেই বলে নেই একজন ছাত্র হিসেবে কেনো এই চা পাতার ব্যবসা করবেন।


চা পাতার ব্যবসাটি ছাত্রদের জন্য দারুণ একটি ব্যবসা এর প্রধান কারণ হল এ ব্যবসা অল্প পুঁজি দিয়েই শুরু করা যায়। চা পাতার ব্যবসা করতে ঠিক কত টাকা প্রয়োজন হবে তার ধারণা পেতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

চা পাতার ব্যবসাটি ছাত্রদের জন্য ব্যবসা হওয়ার আরেকটি বড় কারন হল এটি একটি পার্টটাইম ব্যবসা। দৈনিক ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় দিলেই চলবে।


আপনার এলাকায় অনেকগুলো চায়ের দোকান আছে। এগুলোতে দোকানভেদে  দৈনিক ২৫০ গ্রাম থেকে ২ কেজি চা পাতার চাহিদা থাকে। চা-পাতার দাম কেজিপ্রতি ২৩০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আরও দামি চা পাতা অবশ্যই আছে কিন্তু দোকানগুলোতে সেগুলো চলেনা। সাধারণত ২৩০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা দামের চা পাতার চাহিদাই বেশি। চা পাতার বিশেষ ধরন আছে। আবার এগুলোর  আলাদা আলাদা নামও আছে। এইসব নিয়ে পড়াশোনা করে নিবেন। এ বিষয় নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে  বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। চাইলে পড়ে আসতে পারেন।


এবার আসি কিভাবে এ ব্যবসাটি করবেন।

প্রথমে খাতা কলম নিয়ে বসতে হবে। নিজ এলাকায় বা তার আশেপাশে মোট কয়টি চায়ের দোকান আছে তার একটি হিসাব করে নিতে হবে। তারপর এরমধ্যে আপনার পরিচিত দোকান কয়টি তার একটি হিসাব করে নিন। কারন পরিচিত দোকানগুলোতে ব্যবসা করাটা সহজ হবে। যদি পরিচিত কোনো দোকান না থাকে সমস্যা নেই।

একদিন সময় সময় করে একটা একটা করে দোকানে যাবেন। তাদেরকে বলবেন আপনার কাছ থেকে চা পাতা নিতে। আপনি অল্পদামে ভালো মানের চা পাতা দিবেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে হবে।


এভাবে হয়ত দোকানদারেরা প্রথমে আপনাকে তেমন একটা পাত্তা দিবে না। কয়েকদিন কয়েকটি দোকান ঘুরার পর আপনার মোটামুটি এক্সপেরিয়েন্স হলে দোকানদারদের বুঝাতে আরও সহজ হবে। প্রথম সপ্তাহে যে করেই হোক অন্তত ১০টি দোকান ম্যানেজ করবেন। এ ভাবে প্রথম মাসে যে করেই হোক ৩০টি দোকান ম্যানেজ করবেন, যেখানে আপনি চা-পাতা সাপ্লাই করবেন। এই ৩০টা দোকানে যদি দৈনিক ১২ কেজি চা পাতার চাহিদা থাকে তাহলে মাসে ৩৬০ কেজি চা-পাতা সরবরাহ করতে পারবেন। প্রতি কেজি চা-পাতায় আপনি ১৫ টাকা করে লাভ করলে ১৫×৩৬০=৫৪০০৳ অর্থাৎ ৫৪০০ টাকা আয় হবে ২য় মাস থেকেই। পার্টটাইম ব্যবসা হিসেবে এ আয় মোটামুটি ভাল।


আপনি যদি নতুন করে দোকান ঠিক না করেন তাহলে কিন্তু ব্যবসা কমতে থাকবে। প্রতি মাসেই নতুন নতুন দোকান ম্যানেজ করবেন। আপনি চাইলে এ ব্যবসাকে ফুলটাইম ব্যবসা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেন। একটি সাইকেল হলে দোকানে দোকানে যাওয়াটা খুব সহজ হবে।


এবার আসি চা-পাতা কিনবেন কোথা থেকে? আপনার কাছাকাছি কোনো পাইকারি বাজার থেকেই সংগ্রহ করতে পারবেন। ঢাকায় চা পাতার পাইকারি বাজার যেগুলো আছে, তার মধ্যে কাপ্তান বাজার আর চকবাজারের মৌলভীবাজার উল্লেখযোগ্য। আর আমাদের ওয়েবসাইট eibbuy.com এ অনেক পাইকারি চা-পাতা বিক্রেতা আছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।



৩.অনলাইনে গার্মেন্টস আইটেম বিক্রি


ছাত্রদের জন্য ব্যবসা হিসেবে অনলাইনে গার্মেন্টস আইটেম বিক্রির আইডিয়াটি চমৎকার একটি ব্যবসার আইডিয়া। অফলাইনে কোনো দোকান না থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না। ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম পেইজ থেকেই ব্যবসা করা যাবে।


গার্মেন্টস আইটেম গুলোর মধ্যে টি শার্ট, পলো শার্ট, জার্সি, ট্রাউজার, শার্ট, জিন্সের প্যান্ট,  আন্ডারওয়ার ইত্যাদি আইটেমগুলোই অনলাইনে সহজে বিক্রি করা যায়। মহিলাদের পোষাক যেমন থ্রি পিস, শাড়ি এবং বাচ্চাদের পোষাকের ব্যবসাও অনলাইনে করা যায়।


মনে করুন আপনি অনলাইনে থ্রি পিস বিক্রি করবেন। এর জন্য প্রথমে ১০-১৫টি থ্রি-পিস পাইকারি কিনে আনবেন। ৫-৮ হাজার টাকায় হয়ে যাবে। একটি ফেসবুক পেইজ খুলবেন। সেখানে এই থ্রিপিসগুলোর ছবি, কোয়ালিটি এবং দাম পোস্ট করবেন। কয়েকদিন টানা পোস্ট করতে থাকবেন। এইসব পোস্ট থেকে কাস্টমার আসার সম্ভাবনা কম। তাই আপনাকে পোস্ট বুস্ট করতে হবে। ১০০০ থেকে ১৫০০ হাজার টাকা খরচ করে পোস্ট বুস্ট করলে কাস্টমার পেতে শুরু করবেন।

এভাবে নিয়মিত প্রোডাক্ট এর আপডেট শেয়ার করতে হবে। লাইভে আসতে হবে নিয়মিত।


ছাত্রদের জন্য খুব লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া এই অনলাইনে গার্মেন্টস আইটেম বিক্রি করা।


সহজে পাইকারি পন্য পেতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট eibbuy.com ।  এখানে চাইলে পন্য বিক্রিও করতে পারেন। eibbuy.com এ পাইকারি পন্যের পাশাপাশি খুচরা পন্যও ক্রয়-বিক্রয় করা যায়।


৪. অনলাইনে রিসেলিং


ছাত্রদের জন্য ব্যবসা হিসেবে রিসেলিং ব্যবসা চমৎকার একটি ব্যবসা। এটি পার্টটাইম একটি ব্যবসা। রিসেলিং হল কোনো পন্য ক্রয় করে তা পুনরায় বিক্রি করা। অর্থাৎ কোনো পন্য কমদামে ক্রয় করে ক্রয়মূল্য থেকে বেশি দামে বিক্রি করাই হল রিসেলিং ব্যবসা। বিশেষ করে ছাত্রদের জন্য দারুণ একটি পার্টটাইম ব্যবসা হল রিসেলিং ব্যবসা। রিসেলিং ব্যবসায় আপনার পন্য উৎপাদনের কোনো ঝামেলা নেই। শুধু তাই নয় পন্য মজুদ রাখারও ঝামেলা নেই। আর এ ব্যবসা শুরু করতে অল্প কিছু টাকা পুঁজি প্রয়োজন হতে পারে। পার্টটাইম ব্যবসায় প্রথমেই বেশি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ রিসেলিং ব্যবসায় অল্প টাকা ইনভেস্ট করেই আপনি শুরু করতে পারবেন। আপনি প্রথমে কোনো পন্য ক্রয় করে আপনার নিজের ফেসবুক পেইজ, ইনস্টাগ্রাম অথবা অন্যান্য সাইটে ঐ পন্যের প্রচার করবেন। তারপর অর্ডার আসলে যাদের থেকে পন্য ক্রয় করেছেন তাদের থেকে পন্য গ্রাহকের কাছে পৌছে দিবেন। এই পুরো পক্রিয়াটিকে ড্রপ শিপিং বলে। রিসেলিং ব্যবসা করতে আপনাকে একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করা লাগতে পারে। আবার রিসেলিং ব্যবসায় আপনি একাধিক ধরনের পন্যও বিক্রি করতে পারেন। যেমন ধরুন আপনি বিভিন্ন ধরনের পোষাক রিসেল করেন। পোষাকের পাশাপাশি আপনি ব্যাগ, জুতা ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। যারা আপনার সাইটে পোষাক কিনার জন্য আসবে তারা যখন জুতা ইত্যাদি দেখবে তখন সেগুলোও কিনতে পারে। এতে করে আপনি আরও লাভ করতে পারবেন। পার্টটাইম ব্যবসা বা ছাত্রদের জন্য ব্যবসা হিসেবে রিসেলিং ব্যবসা কিন্তু মন্দ নয়। 



5. গিফট আইটেম বিক্রি


আপনি ব্যবসা করতে চান কিন্তু আপনি একজন ছাত্র এবং আপনার কাছে পুঁজি নেই তাহলে আপনার জন্য এই আইডিয়া। এটা একপ্রকার পার্ট টাইম ব্যবসার আইডিয়া কারন এই ব্যবসায় বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না।

গিফট আইটেম বলতে হাতে তৈরি কোনো শো-পিস বা গিফট বক্স বুঝানো হয়েছে। বিভিন্ন কালারের কাগজ দিয়ে গিফট বক্স বানান যায়। শোপিসের চাহিদাও কম নয়। পুতি দিয়ে বিভিন্ন ফল, ফুল, টিস্যুবক্স তৈরি করা যায়। আপনি যদি নিজে না বানাতে পারেন তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। আপনার অন্যান্য ক্লাসমেটদের থেকে অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন। ইউটিউবে গিফট বক্স, শো-পিস তৈরির বিভিন্ন ভিডিও রয়েছে সেগুলো থেকে শিখে নিতে পারেন। 

এবার আসি কিভাবে এই ব্যবসা শুরু করবেন………

প্রথমে ২-৪টি স্যাম্পল বানিয়ে নিবেন। এগুলোর ছবি তুলে ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে আপলোড দিবেন। সেখান থেকে আপনি অনেক কাস্টমার পাবেন। প্রয়োজনে পোস্ট বুস্ট করবেন। আর কিভাবে আপনি এগুলো তৈরি করেন সেটা ভিডিও করে ইউটিউব ফেসবুকে আপলোড করে সেখান থেকেও আয় করতে পারেন। পরিচিতজনদের কাছে জানাবেন যে আপনি এই ব্যবসা করেন। তাদের থেকেও আপনি অর্ডার পেয়ে যেতে পারেন। আর পরিচিতজনদের কাছ থেকে টাকা নিতে লজ্জা পাবেন না।  আপনি চাইলে আপনার তৈরি জিনিসের বিজ্ঞাপন আমাদের এই ওয়েবসাইটে দিতে পারেন। এখানে বিজ্ঞাপন দিতে কোনো প্রকার ফি দিতে হয়না। 



আজকের আলোচনা নিয়ে কোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

ধন্যবাদ। 


বিস্তারিত
টি শার্টের ব্যবসা

টি শার্ট এর ব্যবসা বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। আমরা সকলেই জানি যে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি অনেক বড়। গার্মেন্টস শিল্পের জগতে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয় একটি দেশ। যার কারণে বাংলাদেশের মানুষ গার্মেন্টস আইটেম নিয়ে ব্যবসা করতে বেশি আগ্রহী। আর গার্মেন্টস আইটেমগুলোর মধ্যে টি শার্ট একটি উল্লেখযোগ্য আইটেম। সুতরাং টি শার্ট এর ব্যবসা খুব লাভজনক একটি ব্যবসা। তবে বর্তমান সময়ে টি শার্টের ব্যবসা করতে নেমে লোকসান করে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছেন এমন লোকের সংখ্যা কম নয়। আজ আমরা আলোচনা করব টি শার্ট ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন? কিভাবে অন্যদের থেকে ভিন্ন ভাবে থেকে টিকে থাকবেন? এ ব্যবসায় কিভাবে লোকসান হতে পারে? লোকসান থেকে বাঁচার উপায় কি? কত টাকা পুঁজি হলে টি শার্টের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন?

প্রথমেই আসি কিভাবে টি শার্ট ব্যবসা শুরু করবেন তা নিয়ে। স্টক লট বা পাইকারি ক্রয় করে পাইকারি বা খুচরা আকারে অনলাইন অথবা অফলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রথমে টি শার্ট ক্রয় করার পর সেগুলো মডিফাই করে নিতে পারেন।

আবার আপনি নিজেই অর্ডার দিয়ে গার্মেন্টস থেকে টি শার্ট বানিয়ে নিতে পারেন। তবে প্রথমে নিজে অর্ডার দিয়ে না বানানোই ভালো।

আপনি সলিড কালার অর্থাৎ এক কালারের টি শার্ট কিনে সেগুলো প্রিন্ট করে বিক্রি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে স্টক লটের টি শার্ট না কিনাটাই ভালো হবে। কারন এগুলিতে অনেক সমস্যা থেকে। তবে স্টক লটের পন্য ক্রয় করার আগে দেখে নিবেন সেগুলোর কত পার্সেন্ট পন্য ভালো। কারন স্টক লটের পন্যে সমস্যা থাকে। তবে সব পন্যে সমস্যা থাকে না। এটাই আগে দেখে নিবেন যে কি পরিমাণ পন্য ভালো আছে।

আপনি স্টক লটের বিকল্প হিসেবে ১০০% এক্সপোর্ট কোয়ালিটি ফ্রেস অর্ডার করা সলিড কালারের টি শার্ট ক্রয় করতে পারেন। । এসব প্রডাক্টের দাম একটু বেশি পড়ে । যাই হোক দেখে বুঝে টি শার্ট কিনবেন। তারপর আপনি চাইলে সেগুলো খুচরা বা পাইকারিভাবে বিক্রি করতে পারেন। আবার প্রিন্ট করেও বিক্রি করতে পারেন।

প্রথম আপনি ২ রকম টি শার্ট দিয়ে শুরু করতে পারেন। একটা হল প্রিন্টেড অর্থাৎ প্রিন্ট সহ টি শার্ট আর আরেকটি হল সলিড কালার অর্থাৎ প্রিন্ট ছাড়া এক কালারের টি শার্ট। আর সলিড কালার টি শার্টের মধ্যে সাদা আর নেভি ব্লু রঙের টি শার্ট নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এগুলোর চাহিদা বেশি। বাংলাদেশে প্রিন্টেড টি শার্টের চাহিদা প্রচুর। তাই আপনি প্রিন্টেড টি শার্টের ব্যবসা করতে পারেন।

আপনি প্রথম ২০০ প্রিন্টেড টি শার্ট কিনবেন। এগুলো ১২০ থেকে ১৫০ টাকা/পিস দরে পেয়ে যাবেন। আর এগুলো ২০০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি করবেন। সলিড কালার টি শার্ট এর দাম প্রিন্টেড টি শার্টের দাম থেকে কম থাকে। যেমন সাদা সলিড কালার টি শার্ট এর দাম ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে। অন্যান্য কালারের দাম একটু বেশি ।

এবার আসি টি শার্ট ব্যবসা শুরু করতে কি পরিমান পুঁজি প্রয়োজন।
টি শার্টের ব্যবসা সাধারণত ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা হলেই শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি চান ৫-৬ হাজার টাকায়ও টি শার্টের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আসলে টি শার্ট ব্যবসায় পুঁজির পরিমান নির্ভর করে আপনার ব্যবসার পরিধির উপর। আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন কত টাকা পুঁজি প্রয়োজন হতে পারে।


কোথা থেকে টি শার্ট কিনবেন?

টি শার্টের পাইকারি মার্কেট হিসেবে গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া মার্কেট মোটামুটি বিখ্যাত। ফুলাবাড়িয়ার সিটি প্লাজা ( ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট ২) এর ২য় তলায় অনেকগুলো টি শার্টের দোকান পাবেন। এছাড়াও গুলিস্তান আরও অনেক টি শার্টের পাইকারি মার্কেট পাবেন। টি শার্টের পাইকারি মার্কেট হিসেবে বঙ্গবাজারের খ্যাতি কম নয়। আবার নিউমার্কেটেও কম দামে টি শার্ট বিক্রি করা হয়। টঙ্গীবাজারেও টি শার্টের পাইকারি মার্কেট আছে। সেখানে টি শার্টের হোলসেল মার্কেটও আছে। তবে টঙ্গিতে যদি এক্সপোর্ট কোয়ালিটির টি শার্ট খুঁজেন তাহলে আশরাফ সেতু শপিং কমপ্লেক্স এ যেতে পারেন। নারায়ণগঞ্জে ২নং রেইলগেটে পাইকারি টি শার্ট এর অনেক দোকান আছে। আপনি যদি আরও কমদামে টি শার্ট চান তাহলে নারায়নগঞ্জের রিভারভিউ মার্কেটে যেতে পারেন।

তবে আপনি চালাক না হলে এসব মার্কেট থেকে টি শার্ট ক্রয় করে লাভ করতে পারবেন না। সে জন্য আমি আপনাদের একটি সরাসরি ফ্যাক্টরির সন্ধান দিচ্চি। সরসরি ফ্যাক্টরি থেকে আপনি পাইকারি দামে বেশী পরিমাণে এক কালার টি শার্ট ক্রয় করতে চাইলে Haque Textile এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এক্সপোর্ট ফেব্রিক্স দিয়ে তৈরি ভালো কোয়ালিটির টি শার্ট সরবরাহ করে থাকেন তারা।

হক টেক্সটাইল
ফ্যাক্টরি: মৃধা বাড়ি, ডেমরা রোড, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
০১৯৩১১২৫৭২৭, ০১৫৯০০৩৬৫৬৩

Website: Haque Textile


এবার আসি টি শার্ট ব্যবসায় কিভাবে লোকসান হয়

টি শার্টের ব্যবসায় লোকসানের অন্যতম একটি কারন হল কোন ধরনের পন্যের চাহিদা কখন বেশি সেটা বুঝতে না পারা। যার কারনে এক ধরনের টি শার্ট কেনার পর দেখা যায় বাজারে ঐ টি শার্টের চাহিদা তেমন একটা নেই। তখন লোকসান হয়। একেক সময়ে একেক রঙের টি শার্টের চাহিদা বেশি থাকে। আবার রঙ, প্রিন্ট এসবের চাহিদা অঞ্চল ভেদে ভিন্ন হয়।
এ ধরনের লোকসান এড়ানোর জন্য বাজারের চাহিদা সময়মত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রথম প্রথম একটু ভুল হতে পারে। কিন্তু অভিজ্ঞতার সাথে এ ধরনের লোকসানের সম্ভাবনা কমে।
টি শার্ট ব্যবসায় আরেক ধরনের লোকসান হতে পারে। যেটা কাপড়ের কোয়ালিটি না বুঝার কারনে। তাই কাপড়ের কোয়ালিটি নিয়ে একটু পড়াশোনা করে নিতে হবে। কাপড়ের মান নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে বেশ কয়েকটি আর্টিকেল রয়েছে, পড়ে আসতে পারেন।

যদি টি শার্ট ব্যবসায় নেমে পড়েন তাহলে ব্যবসায়ী হিসেবে নিজের পরিচিতি বাড়াবেন। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউবসহ অন্যান্য সোশ্যাল সাইটে প্রচার চালিয়ে যাবেন। পাশাপাশি eibbuy.com এ একটি seller account খুলে নিবেন। eibbuy.com এ আপনি প্রচুর কাস্টমার পাবেন। বর্তমানে ইবাই ডট কমে পাইকারি পন্য বিক্রির পাশাপাশি খুচরা পন্যও বিক্রি করা যায়। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বুস্ট করতে পারেন। বিভিন্ন ইভেন্টে টি শার্ট সাপ্লাই দিতে হবে। তবে এর জন্য আপনার পরিচিতি মহল অনেক বড় করতে হবে।

ছাত্রাবস্থায় টি শার্টের ব্যবসা শুরু করতে চাইলে সেটা সম্ভব। আপনি প্রথমে কোনো ইভেন্টকে টার্গেট করতে পারেন। প্রায় সময় কোনো রেলি, পার্টি বা গেট টুগেদার পার্টিতে সবাই এক রকমের টি শার্ট পরিধান করে। এসকল জায়গায় আপনি টি শার্টের সেল দিবেন। যদি টি শার্টে প্রিন্ট করানোর প্রয়োজন হয়, করিয়ে দিবেন। এ ক্ষেত্রে টি শার্টে প্রিন্ট করে এমন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে নিবেন। প্রতি টি শার্টে খরচ কেমন পড়বে সেটাও জেনে নিবেন। সাধারণত সংখ্যা যত বেশি হবে টি শার্ট প্রতি প্রিন্ট খরচও সে হারে কমবে। একটা আইডিয়া দিয়ে রাখি। টি শার্ট প্রিন্ট করতে সাধারণভাবে প্রতি পিসে ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত হয়। তবে যদি টি শার্টের পরিমান কম হয় তাহলে খরচ আরও বাড়বে।

ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি বিষয় না বললেই নয়, বাকিতে পন্য বিক্রি করবেন না। বাকিতে পন্য বিক্রি করলে প্রচুর টাকা কাস্টমারদের কাছে আটকে যায়। আপন মানুষদের কাছেও চেষ্টা করবেন নগদে পন্য বিক্রি করতে।

আজকের আলোচনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ।
বিস্তারিত
ওয়েবসাইটে সাপ্লায়ার হবার নীতিমালা
১। সাপ্লায়ার হতে কোন প্রকার ট্রেড লাইসেন্স, টিন , ভ্যাট, এন আইডি লাগবেনা।

২। সাপ্লায়ারের দোকান বা অফিস থাকা বাধ্যতামুলক নয়।

৩। পেমেন্ট নেয়ার জন্য ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং, ইচ্চা মত সিলেক্ট করা যাবে।

৪। সাপ্লায়ারদের পেমেন্ট অর্ডার ডেলিভারি করার পর থেকে ১০ দিনের মধ্যে দেয়া হবে।

৫। কোন সেলার স্টকে মাল না থাকলে সেটাকে অবশ্যই স্টক আউট ঘোষণা দিতে হবে। কেউ  যদি ইচ্চা করে পর পর ৩ বার এটা করেন তবে তার সেলার একাউন্ট সাসপেন্ড করা হবে। অর্ডার ক্যান্সেলের ৩ দিনের মধ্যে কাস্টমারকে অর্ডারের টাকা রিফান্ড দেয়া হবে।

৬। সেলারের সাথে কাস্টমারের যোগাযোগ ব্যাবস্থার জন্য প্রত্যেকটা সপে সেলারের নাম্বার যুক্ত করা হবে। কাস্টমার চাইলে অর্ডারের আগে সেলারের সাথে সরাসরি আলাপ করতে পারে।

৭। পণ্যের দাম সেলার তার ইচ্চা মত সেট করতে পারবে। কিন্তু একবার খুচরা সেলের  এপ্রুভাল পেলে আর দাম কমানো বা বাড়াতে পারবেন না। দাম কমানো বা বাড়াতে গেলে অবশ্যই অ্যাডমিনকে মেইলে জানাতে হবে। অ্যাডমিন যুক্তি যুক্ত মনে হলে দাম পরিবর্তন করে দিবেন।

৮। প্রত্যেকটা পণ্য আমাদের হাবে আগে পাঠাতে হবে। আমরা অবশ্যই কোয়ালিটি চেক করে বায়ারকে পণ্য শিপিং করবো। যদি আপনার পণ্য ওয়েবসাইটের বর্ণনা অনুযায়ী ঠিক না হয় তবে পণ্য সেলারকে ফেরত পাঠানো হবে। পর পর ৩ বার এটা করলে সেলার একাউন্ট সাসপেন্ড করা হবে।

৯। প্রত্যেকটা সেলার শপ খোলার আগে আমাদের চ্যানেলের ভিডিও দেখে নিতে হবে। পণ্যের ছবি কম্পিউটারে আপলোড করতে হবে। মোবাইলে আবছা ছবি বা লো কোয়ালিটি ছবি দিলে সেটা খুচরা সেলের অনুমতি পাবেনা।

১০। যদি পণ্য বায়ারের পছন্দমত না হয় তবে সেটা বায়ার রিটার্ন করতে পারবে।

১১। যেকোন ক্যাম্পেইনের জন্য নীতিমালা তৈরি হলে , তা সেলারদেরকে ১০ দিন আগে অবহিত করা হবে।

১২। বায়ার অর্ডার দেয়ার ৩ দিনের মধ্যে পণ্য ই বাই হাবে পাঠাতে হবে। এর অধিক সময় হলে বায়ারকে রিফান্ড দেয়া হবে।

বিস্তারিত
কীভাবে ভাল কাপড় চিনবেন তার কিছু কিছু কৌশল ।

পোশাক কেনার ক্ষেত্রে আমরা কিন্তু কম টাকা খরচ করিনা! আমাদের সংসারের বাজেটের বেশ একটা বড় অংশ পোশাক খাতে ব্যয় করি। মাঝেমাঝে এমন হয় যে আমরা অনেক বেশি টাকা খরচ করে কোন পোশাক কিনি কিন্তু সেটি এক ধোয়ার পরেই আর পরার যোগ্য থাকেনা! তাই আজ আপনাদের জন্য এমন কিছুদিন টিপস নিয়ে এসেছি যা আপনাকে ভালো কোয়ালিটির পোশাক শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।

পোশাকের একটি অংশ হাতের মুঠোয় নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখতে হবে। এটি যদি কুঁচকে যাওয়া কাগজের মত দেখায় তাহলে বুঝে নিতে হবে যে এই পোশাকটির সংরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছে। এবং কয়েক ধোয়ার পরে এই পোশাকটি পরার যোগ্য থাকবে না।

পোশাকের যে অংশটি সেলাই দিয়ে জোড়া দেয়া আছে সেখানে ধরে জোরে টান দিয়ে দেখুন। যদি সেলাইয়ের সুতা গুলো সহজেই আলগা হয়ে মাঝখানে ফাঁক দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে যে পোশাকের কোয়ালিটি খুব একটা বেশি ভালো না।

জিপার এর অবস্থা দেখেও আপনি আপনার পোশাকের কোয়ালিটি বুঝতে পারবেন। যেসব জিপার মেটালের এবং দুই পাশের স্ট্র‍্যাপ দিয়ে ঢাকা সেগুলো ভালো কোয়ালিটির পোশাক। খোলা প্লাস্টিকের জিপার সাধারণত ভালো কোয়ালিটির পোশাকে থাকে না।

জামা কাপড়ের নিচে যেসব হেম সেলাই দেয়া থাকে, সেগুলোর একটি স্ট্যান্ডার্ড মাপ রয়েছে। প্যান্ট এবং স্কার্টের নিচে যে হেম সেলাই থাকে সেটা প্রস্থে ৪ সে.মি। হওয়াটাই স্ট্যান্ডার্ড মাপ। ব্লাউজ এবং শার্টের ক্ষেত্রে সেটি ২ সে.মি। যদি কোন পোশাকের নিচে হেম না থাকে অথবা খুব সাধারন ভাবে সেলাই করা থাকে, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে আপনি হাতে একটি লো কোয়ালিটির পোশাক হাতে ধরে আছেন।

যেসব পোশাক স্ট্রেচ করে অর্থাৎ টানলে বড় হয় সেসব পোশাক হাতে নিয়ে একটু জোরে টান দিয়ে দেখুন। ভাল কোয়ালিটির পোশাক যেকোনো অবস্থা থেকে এর আগের অবস্থায় ফিরে যেতে সক্ষম। যদি টান দেয়ার পরে আপনার পোশাকের ফেব্রিক টি ঢিলে হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে পোশাকটি ভাল কোয়ালিটির নয়।

যে কোন পোশাকে সেলাই এর আকৃতি, সুতার রং অবশ্যই একই রকম থাকবে। সেলাই এর আকৃতি এবং সুতার রঙ ভিন্ন হলে বুঝতে হবে যে, খুব তাড়াহুড়ার মধ্যে পোশাকগুলো তৈরি করা হয়েছে। এবং সে পোশাক না কেনাই ভালো।

খারাপ কোয়ালিটির পোশাকে সাধারণত ছোটছোট ব্যাপারগুলোকে তেমন পাত্তা দেয়া হয়না। কিন্তু ভাল মানের পোশাকে খুব ছোট ডিটেলগুলোর ব্যাপারে নজরদারি করা হয়। সবসময় পোশাক কেনার ক্ষেত্রে বোতামের ঘরগুলো চেক করুন। যদি ঘরগুলো সুন্দর পরিপাটি ভাবে করে দেয়া থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এটি একটি ভালো মানের পোশাক।

যে কোন ভালো পোশাকে জিপারের শেষ দিকের আকৃতি থাকবে একেবারে সমান।

আপনি যেই কাপড় কিনছেন সেটি যে ব্র্যান্ডেড কাপড় সেটা চিনবেন কীভাবে?[2]

চলুন দেখে নেওয়া যাক এর কয়েকটি উপায়।প্রত্যেক নামী কোম্পানির ট্যাগ লাগানোর একটা বিশেষ জায়গা আর নকশা থাকে। যা দেখে সহজেই চিনতে পারা যায়।জামাকাপড় কিনতে দোকানে গেলেই ব্যবসায়ীরা ব্র্যান্ডেড বলে যে সব পোশাক আপনাকে গছায়, জানেন কি সেগুলো আদৌ ব্র্যান্ডেড কি না?

  • ব্র্যান্ডেড কোম্পানির ট্যাগ লাগানো দেখলেই আমরা সেই পোশাক কেনার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ি। অথচ একবারও ভাবি না, এত সস্তায় কী ভাবে তা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা!ব্র্যান্ডেড পোশাকের পরিচয় তার ট্যাগ। ট্যাগ লাগানোর জায়গা দেখেই বুঝে নিতে পারেন এটা আসল কি না।প্রত্যেক নামী কোম্পানির ট্যাগ লাগানোর একটা বিশেষ জায়গা আর নকশা থাকে। যা দেখে সহজেই চিনতে পারা যায়।কোনও ব্র্যান্ডেড পোশাক কেনার আগে সঠিক দোকান বেছে নেওয়াটা জরুরি।
  • যখনই পোশাক কিনবেন, তা অবশ্যই পরে দেখবেন। কারণ ব্র্যান্ডেড পোশাকের ফিটিংস অন্য পোশাকের থেকে ভাল হয়।
  • কোনও ব্র্যান্ডেড পোশাকের জাত চেনা যায় তার কোয়ালিটি দেখে। কারণ ব্র্যান্ডেড পোশাকের কাপড় অন্য কাপড়ের তুলনায় অনেক মোলায়েম হয়।
  • অনেক সময় দেখা যায়, ব্র্যান্ডেড পোশাকে প্রচুর ডিসকাউন্ট দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। সেই লোভে আমরা কিনে ফেলি। কিন্তু মনে রাখা দরকার, গুচি, লিভাই’স এবং লুই ভিতোর মতো ব্র্যান্ডেড পোশাকে ২০-৩০ পারসেন্ট ছাড় দেওয়া হয়। যদি এর থেকেও বেশি মাত্রায় ছাড় দেওয়া হয় তা হলে সেই পোশাক কেনা থেকে সাবধান হওয়া উচিত।
  • ব্র্যান্ডেড পোশাকের লিনিং যথেষ্ট ভাল হয়। অর্থাত্ পোশাকের ভিতরের কাপড় ভাল কোয়ালিটির হয়। যেমন, কোনও কোটের ভিতরের কাপড় বা জিন্সের পকেটের কাপড়। এর সেলাইও যথেষ্ট ভাল হয়।
  • ব্র্যান্ডেড পোশাকের অ্যাসসরিজের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। যেমন, কোনও জিন্স বা শার্ট কিনতে গেলে জিপার, বোতাম কেমন তা খেয়াল রাখা দরকার। ব্র্যান্ডেড কাপড়ে এই অ্যাসেসরিজগুলোর কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল হয়।
  • ব্র্যান্ডেড পোশাক চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হল তার সেলাই। পোশাকের সব জায়গায় সেলাই মজবুত হবে।

আশা করি টিপসগুলো উপকারে আসবে।ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ????।

বিস্তারিত
অনলাইনে টাকা আয় করার উপায়

অনলাইনে টাকা আয় করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। সঠিক গাইডলাইনের অভাবে বাংলাদেশে অনলাইনে টাকা আয়ের ব্যাপারটি মানুষ তেমন একটা হজম করতে পারে না। আপনার যদি কোনো বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকে তাহলেই আপনি অনলাইনে আয় শুরু করে দিতে পারেন। ধরুন আপনি মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি তুলতে পারেন। তাহলে আপনি আপনার তোলা ছবি বিক্রি করে আয় করতে পারেন। ছবি বিক্রির অনেক ওয়েবসাইট আছে, সেখানে ছবি বিক্রি করতে পারেন। আবার ধরুন আপনি ভালো ছবি আঁকতে পারেন, তাহলে অনলাইনে মার্কেটিং করে আপনি আপনার ছবি বিক্রি করতে পারেন। তারপর আপনি অনলাইনে আরও নানা কাজ করতে পারেন, যেমন ধরুন ওয়েব ডিজাইনিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, ওয়েব ডেভেলপিং,কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি অনেক কাজ আছে। এগুলোর কোনো একটি শিখে খুব সহজেই অনলাইনে টাকা আয় শুরু করে দিতে পারেন। অনেকই গুগল ইউটিউব ইত্যাদিতে অনলাইনে টাকা আয়ের উপায় খুজে থাকেন। হ্যাঁ, অনলাইনে টাকা আয় করা সহজ একটি ব্যাপার, তবে আপনাকে কোনো বিষয়ে ভালো দক্ষ হতে হবে। ইউটিউবে এরকম অনেক ভিডিও পাবেন, যেখানে বলা হয় অমুক ওয়েবসাইটে লগইন করে টাকা আয় করুন, গেম খেলে টাকা আয় করুন ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো একপ্রকার সময় অপচয় করার মাধ্যম। আজকে আমরা আলোচনা করবো অনলাইনে টাকা আয় করার নানা উপায় নিয়ে।

১.কপি রাইটিং


যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে নতুন তাদের জন্য কপিরাইটিং খুব ভালো একটি আইডিয়া। এটি খুব সহজ একটি কাজ। কিন্তু ধৈর্য ধরে কাজটি করতে হয়। আপনাকে কোনো লেখালেখির পিডিএফ ফাইল বা ছবি দিয়ে বলা হবে সেটি টাইপ করে দেওয়ার জন্য। তাছাড়া ভিডিও বা অডিও স্ক্রিপ্ট টাইপ করতে বলতেও পারে। যাদের কম্পিউটারে অন্যান্য কাজ এখনও শিখা হয়নি তাদের জন্য কপিরাইটিং করা অনলাইনে টাকা আয়ের একটি ভালো উপায়। কপি রাইটিং এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট সময় দেয়া হবে যে সময়ের মধ্যে লেখা কপি করে টাইপ করে দিতে হবে। কপি রাইটিং শুরু করার আগে টাইপিং স্কিল বাড়িয়ে নিবেন যাতে অল্প সময়ে বেশি টাইপ করতে পারেন। অনলাইনে কাজ করে  টাকা আয় করা যায়, এটা অনেকেই জানেন কিন্তু ঠিক কোথায় কিভাবে কাজ পাবেন, সেটা খুব কম মানুষই জানেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনি কপি রাইটিং এর কাজ পাবেন। যেমন..

১. upwork.com
২. freelancer.com
৩. fiverr.com
৪. payoneer.com



অনলাইনে সহজে কাজ পাওয়ার উপায়ও আজকের পর্বে উল্লেখিত রয়েছে। জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

২.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংকে অনেকেই রিসেলিং এর সাথে গুলিয়ে ফেলেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আর রিসেলিং এক নয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল কোনো কোম্পানির পন্য আপনি নিজে মার্কেটিং করে বিক্রি করবেন, পন্য গ্রাহকের কাছে পৌছানো, পরিবহন খরচ ইত্যাদি কোম্পানি বহন করবে। শেষে কোম্পানি আপনাকে কমিশন দিবে। এ কমিশনের পরিমাণ আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে। পন্যের মুল্যের একটি অংশ কমিশন হিসেবে আপনাকে দেওয়া হবে। অনলাইনে টাকা আয়ের যতগুলো উপায় আছে তার মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম একটি উপায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রায়ই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য নিয়োগ দেয়। সেখানে আবেদন করে আপনিও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে কোম্পানি আপনাকে একটি ইউনিক লিংক প্রদান করবে। আপনার মাধ্যমে যখন কোনো কাস্টমার ঐ কোম্পানির পন্য কিনবে তখন আপনি কাস্টমারকে ঐ লিংকটি ব্যবহার করতে বলবেন। এর মাধ্যমে কোম্পানি হিসাব করতে পারে আপনি কি পরিমাণ বিক্রি করতে পেরেছেন। আপনি যদি পোষাতে পারেন, নিজেই ঐ পন্যের এডভারটাইজিং করতে পারেন।

৩. রিসেলিং ব্যবসা

অনলাইনে রিসেলিং ব্যবসা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কমিশন থাকে নির্দিষ্ট কিন্তু রিসেলিং ব্যবসায় এ কমিশনের পরিমাণ অনির্দিষ্ট। রিসেলিং ব্যবসায় কি পরিমাণ লাভ করতে পারবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার বিক্রি করার দক্ষতার উপর। কোনো পন্য ক্রয় করে তা পুনরায় বিক্রি করাই হল রিসেলিং। যাদের পন্য রিসেল করবেন তাদের সাথে চুক্তি করে নিবেন যে, আপনি অর্ডার পেলে তাদের জানাবেন এবং সাথে সাথেই যেন তারা পন্যের শিপমেন্টের ব্যবস্থা করে। শিপমেন্ট খরচ যে কারও পকেট থেকে যেতে পারে। গ্রাহক যদি শিপমেন্ট খরচ দেয় সেটা আগেই উল্লেখ করে দিতে হবে। রিসেলিং ব্যবসায় পন্যের দাম ক্রয়মুল্য থেকে বাড়ানোর জন্য পন্যকে মডিফাই করতে পারেন। যেমন ধরুন আপনি খেজুর রিসেল করবেন। এর জন্য খেজুর কিনে সেগুলো উন্নত মানের প্যাকেটজাত করবেন। ভালো মানের খেজুর আলাদা করবেন। এমনকি নামও পরিবর্তন করতে পারেন। খেজুর তো একটি উদাহরণ মাত্র। যেকোনো পন্য একটু মডিফাই করে দাম বাড়ানো যায়।
রিসেলিং ব্যবসায় পুঁজি প্রয়োজন হবে। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ব্যবসা পুঁজি ছাড়াই শুরু করতে পারেন।

৪. অনলাইন কোর্স তৈরি

অনলাইনে টাকা আয় করতে চান কিন্তু আপনার কোনো বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকবেনা, সেটা চলবেনা। কোনো না কোনো বিষয়ের উপর আপনাকে মোটামুটিভাবে দক্ষ হতে হবে, যদি আপনি অনলাইনে টাকা আয় করতে চান। যদি দক্ষতা না থাকে তাহলে অর্জন করুন। আরও শিখুন। কোর্স করুন।  টিউটোরিয়াল দেখুন। এভাবে যখন আপনি কোনো বিষয়ে এমন দক্ষ হবেন যে অন্যকেও শিখাতে পারবেন তখন অনলাইন কোর্স তৈরি শুরু করে দিতে পারেন। মনে করুন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর এক্সপার্ট। এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর কোর্স আপলোড করে দিতে পারেন। যখন কেউ এ কোর্স কিনবে তখন আপনি টাকা পেয়ে যাবেন। তবে কোর্স বিক্রির জন্য ভালোভাবে মার্কেটিং করতে হবে। কিছু ভিডিও ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত আপলোড করতে হবে। এতে ওখান থেকেও আয় হবে। তবে কোর্সের সব ভিডিও আপলোড দিবেন না। প্রথম প্রথম হয়ত আপনার ভিডিওর মান তত একটা ভালো হবেনা। তাই বলে হাল ছেড়ে দিবেন না। আপনার অভিজ্ঞতা যত বাড়বে ভিডিও কোয়ালিটিও তত ভালো হবে। এতে আপনার গ্রাহক, ভিউয়ার উভয়ই বাড়বে। আপনার ভিডিও কোয়ালিটি বা কোর্সের কোয়ালিটি বাড়ানোর জন্য কয়েক বছর সময়ও লাগতে পারে। সমস্যা নেই, সময় লাগুক। ছেড়ে দিবেন না।

ইউডেমি,লিন্ডা, স্কিলশেয়ার এসকল সাইট আপনাকে অনলাইনে কোর্স বিক্রির ব্যবসা করতে সহযোগিতা করবে। ধীরে ধীরে এ ব্যবসায় আয় বাড়তে থাকে। সুতরাং অনলাইনে টাকা আয়ের উপায় হিসেবে অনলাইন কোর্সের ব্যবসার আইডিয়াটি দারুণ একটি আইডিয়া।

৫. অনলাইন শিক্ষকতা

অনলাইনে শিক্ষকতার প্রয়োজন কেমন সেটা খুব ভালো করেই টের পেয়েছি আমরা করোনা মহামারী থেকে। বিশেষ করে যাদের শিক্ষকতা বা টিউশনির অভিজ্ঞতা আছে তাদের  জন্য খুব সহজ হবে অনলাইন শিক্ষকতা শুরু করা। অনলাইন শিক্ষকতা শুরু করার প্রথম ধাপ হল ফেসবুক পেইজ এবং গ্রুপ খোলা। গ্রুপে শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারবে। সাথে ইউটিউব চ্যানেল খোলা। অনলাইন শিক্ষকতায়  তিনভাবে আয় হতে পারে। প্রথমটি হল ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে আয়। সেখানে ভিউ অনুযায়ী আয় হবে। দ্বিতীয়টি হল কোর্স বিক্রি করে। কোর্স বিক্রি করে কিভাবে আয় করবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। আর তৃতীয় উপায়টি হল পেইড ক্লাস। এর জন্য ফেসবুকে একটি প্রাইভেট গ্রুপ থাকতে হবে যেখানে যারা প্রতি মাসে টাকা পেমেন্ট করবে তারাই থাকবে। এখানে নিয়মিত লাইভ ক্লাস নিবেন। লাইভ ক্লাস জুম অথবা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে করতে পারেন। গুগল ফর্মের মাধ্যমে নিয়মিত পরিক্ষা নিবেন। এভাবে অনলাইন শিক্ষকতা করে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়।

৬. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল জগতে আমাদের বিচরণ দিন দিন বেড়েই চলছে। সেই সাথে বাড়ছে ভার্চুয়াল জগতে আয় করার মাধ্যম। ভার্চুয়ালি ব্যবসাগুলোই আজ সবার উপরে। প্রায় সময়ই মানুষ গুগল সার্চ করে অনলাইনে কিভাবে টাকা আয় করা যায়। অনলাইনে কাজ করাও এক প্রকার ভার্চুয়াল কাজ। এ ভার্চুয়াল কাজে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজন হয়। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ কি?  ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্ট এর কাজ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আপনাকে ফেসবুকে বিভিন্ন কমেন্টের উত্তর দেওয়ার জন্য বলা হতে পারে। আবার কাস্টমার কেয়ারের কাজ দিতে পারে। ফেসবুক পেইজ বা গ্রুপ মেইনটেন করার কাজ দিতে পারে। হিসাব নিকাশ থেকে শুরু করে ওয়েব ডিজাইনিং সহ যেকোনো কাজই একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ হতে পারে। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনি এ কাজ পাবেন। তবে এ ধরনের কাজ শুরু করার আগে কাজের নিয়ম, পেমেন্ট সিস্টেম এসব বিষয় ভালো করে দেখে নিবেন। বাংলাদেশের মানুষ খুব কম সময়ই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেয়। এ কাজ উন্নত দেশগুলো থেকেই বেশি আসে। তাই তাদের সাথে কমিউনিকেশনটা ভালোভাবে করতে হবে। তাই ইংরেজি ভাষায় ভালো দক্ষ হলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ভালো করা যায়।

৭. ট্রান্সক্রাইবিং

ট্রান্সক্রাইবিং অনেকটা কপি রাইটিং এর মতোই। অনলাইনে টাকা আয়ের উপায় হিসেবে ট্রান্সক্রাইবিং জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। ট্রান্সক্রাইবিং হল কোনো ভিডিও বা অডিওর বক্তব্যকে হুবহু লেখা। আপনাকে একটি ভিডিও বা অডিও ফাইল দেয়া হবে। বলা হবে এখানে যে কথাগুলো বলা হয়েছে তা লিখে দিতে হবে।  ট্রান্সক্রাইবিং এর বেশিরভাগ কাজ হয় ইংরেজিতে। তাই এ কাজ করার জন্য ইংরেজি ভাষায় পটু হতে হবে। পাশাপাশি রাইটিং স্কিলও ভালো থাকতে হবে। এ ধরনের কাজও আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে পাবেন।

৮. অনলাইন ডোমেইন ফ্লিপিং

ডোমেইন ফ্লিপিং মূলত এক প্রকার ব্যবসা। অনলাইন ডোমেইন ফ্লিপিং হল কোনো ডোমেইন নেইম কিনে রেখে দেওয়া। পরে বেশি দামে বিক্রি করে লাভ করা। এ ব্যবসায় একটু ঝুঁকি আছে। তাই ডোমেইন ফ্লিপিং ব্যবসা শুরু করার আগে একটু পড়াশোনা করে নিবেন।

দেখে নিতে হবে কোন ধরনের ডোমেইন নেইমের চাহিদা বেশি। সেই অনুযায়ী আপনাকে ডোমেইন নেইম কিনতে হবে। এক্ষেত্রে এখোনো কেনা হয়নি এমন ডোমেইন নাম খুজতে আপনাকে অনেক ঘাটাঘাটি করতে হবে। আবার ডোমেইন নাম রিনিউ করা হয়নি এমন ডোমেইনও কিনতে পারেন। এবার আসি কোন কোন সাইটে ডোমেইন নাম কেনাবেচা করবেন....
১. flippa.com
২. freemarket.com
৩. sedo.com

এগুলো ডোমেইন নাম কেনাবেচার জনপ্রিয় সাইট।


অনেকেই কাজ করতে পারেন কিন্তু কাজ পান না। অনলাইনে সহজে কাজ পেতে হলে আপনাকে আপনার স্কিল প্রেজেন্টেশন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে আপনার কাজের নমুনা সংযুক্ত করা যায়। সেখানে গুরুত্ব দিতে হবে। বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে আপনার কাজগুলো শেয়ার করবেন। এভাবেই আপনি সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন।

আজকের আলোচনা নিয়ে যদি কোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ।

বিস্তারিত
ucb ব্যাংক এর মোবাইল ব্যাংকিং সেবা "উপায় upay " A to Z.

ইউনাইটেড কমাশিয়াল ব্যাংক এর নতুন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হচ্ছে  "উপায়  upay "। ব্যাংকটি দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ইউক্যাশের মাধ্যমে মোবাইল  ব্যাংকিং সেবা দিলেও এ বছর চলতি মাসে আলাদা সাবসিডিয়ারির মাধ্যমে নতুন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা "উপায়  upay " চালু করেছে। এর ফলে ইউক্যাশ এর গ্রহক স্বয়ক্রিয় ভাবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা "উপায়  upay " এর মধ্যে যুক্ত হবে। আজকে পর্বে আলোচনা করব মোবাইল ব্যাংকিং সেবা "উপায়  upay " এর সেবা সমুহ।  মোবাইল ব্যাংকিং সেবা "উপায়  upay " এর গ্রহক কিভাবে হব। উপায় এর কোড ক্যাশ অউট খরচ উপায় এর পিন কোড ভুলে গেলে করনীয় এবং সর্বশেষ আলোচনা করব কিভাবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা "উপায়  upay " এর এজেন্ট হব উপায় এজেন্ট দের কমিশন কত এ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব চলুন শুরু করা যাক।

*  মোবাইল ব্যাংকিং সেবা "উপায়  upay "  এর সুবিধা বা  সেবা সমুহ।


বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্টস সার্ভিস গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ইউসিবির সাবসিডিয়ারি ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেডকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
ট্রাফিক ফাইন, ইন্ডিয়ান ভিসা ফি, তিতাস গ্যাসের বিল পেমেন্টসহ বেশ কিছু সেবা  আট বছর যাবত ইউক্যাশের মাধ্যমে সফলভাবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে ইউসিবিএল ব্যাংক।

ইউক্যাশের সুফলতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা আরও বিস্তৃত আকারে দিতে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় ইউসিইবি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদনের পরপ্রেক্ষিতে গত ২৮ ডিসেম্বর ইউসিবি ফিনটেকের অনুকুলে লাইসেন্স দেওয়া হয়।

সাইদুল হক খন্দকার বলেন, ‘উপায়’ সেবা চালু হওয়ার দিন থেকেই ইউক্যাশের গ্রাহকরা নতুন মোবাইল সেবার গ্রাহক হয়ে যাবেন। ‘উপায়’-এর এমএফএস প্ল্যাটফর্ম হবে ব্লক চেইনভিত্তিক। এখানে গ্রাহক নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। উপায়ের গ্রাহকেরা ইউএসএসডি ও মোবাইল অ্যাপ উভয়ই ব্যবহার করে লেনদেন করতে পারবেন।

‘উপায়’-এর মাধ্যমে মোবাইলে টাকা লেনদেন, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, কেনাকাটার মূল্য পরিশোধ, রেমিট্যান্স গ্রহণ, বেতন প্রদান, এয়ারটাইম ক্রয়, ইন্ডিয়ান ভিসা ফি, ট্রাফিক ফাইন পেমেন্টসহ নানা ধরনের ভ্যালু অ্যাডেড সেবা পাওয়া যাবে। গ্রাহকেরা দেশজুড়ে ‘উপায়’-এর এজেন্ট এবং মার্চেন্ট নেটওয়ার্ক থেকে এই সেবা নিতে পারবেন।  
সাইদুল হক খন্দকার বলেন,গ্রাহক চাহিদাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে, উৎকৃষ্ট গ্রাহকসেবা,  নিরাপদ লেনদেন আর নিত্যনতুন উদ্ভাবন নিয়ে সর্বদা তাদের পাশে থেকে কাজ করবে ‘উপায়’।  

* কিভাবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা "উপায়  upay " এর গ্রাহক হবো।


ইউসিবি এর অনুমোদিত যে কোন এজেন্ট পয়েন্ট থেকে রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে গ্রাহক হতে পারেন। গ্রাহক হতে হলে আপনার এন আইডি কার্ড থাকতে হবে।

* মোবাইল ব্যাংকিং সেবা "উপায়  upay " এর কোড


উপায় এর কোড হলো *২৬৮# হেল্পলাইন ১৬২৬৮


উপায় এর ক্যাশ আউট খরচ হাজারে ১৪ টাকা এপ্সে বা ডায়াল উভয় ক্ষেত্রে। এবং ucb এটি এম থেকে ৮ টাকা খরচ হবে।

যদি কোন গ্রহক পিন কোড ভুলে যায় তাহলে হেল্পলাইনে যোগাযোগ করলে তার সমাধান পাবে।

* কিভাবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা "উপায়  upay " এর এজেন্ট নিবেন।

প্রথমে জানব মোবাইল ব্যাংকিং সেবা "উপায়  upay " এর এজেন্ট নিতে কি কি কাগজ পত্র লাগে,
এজেন্ট নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র।
(১) দোকানের ট্রেড লাইসেন্স যার মেয়াদ রয়েছে।
(২) যার নামে ট্রেড লাইসেন্স তার তিন কপি ছবি।
(৩) তার ন্যাশনাল অইডি কার্ডের ফটকপি
(৪) আয়কর বা টিন সাটিফিকেট এর ফটোকপি।
(৫) দোকানের সিল।
(৬) একটি সিম কার্ড যাতে উপায় এর কোন একাউন্ট নেই।
উপায় ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে গিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দিয়ে আসুন তারা যাছাই বাছাই করে আপনাকে এজেন্ট দেওয়ার উপযুক্ত হলে তারা এজেন্ট দিয়ে দিবে।
* এখন অনেকে প্রশ্ন করবেন আমার পাশে  ডিস্ট্রিবিউটর অফিস কোথায় পাবো এর সমাধন হলো তাদের হেল্পলাইনে কল করুন বা তাদের ফেসবুক পেইজ " উপায় " তে নক করুন তারা আপনাকে এজেন্ট হতে সহায়তা করবে।
অথবা কোন এজেন্ট পয়েন্ট হতে তাদের নাম্বার সংগ্রহ করতে পারেন।

* মোবাইল ব্যাংকিং সেবা "উপায়  upay " এর এজেন্টদের কমিশন বা লাভ কত??

প্রতি ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট এ প্রতি হাজারে ৪টাকা১০ পয়সা। অথাৎ কাস্টমারকে টাকা পাঠালে প্রতি হাজারে ৪.১০ টাকা এবং কাস্টমার ক্যাশ আউট বা আপনার কাছ থেকে টাকা উঠালে প্রতি হাজারে ৪.১০ টাকা পাবেন। প্রতি লাখে ৪১০ টাকা পাবেন।  টাকা সাথে সাথে আপনার এজেন্ট একাউন্টে যোগ হয়ে যাবে। কাস্টমার এর এ সকল টাকা আপনি বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিস এর কর্মকর্তা ডিএসও এর কাছ থেকে তুলতে হবে। এতে কোন প্রকার চার্জ নেই। এ ছাড়া যাদের কাস্টমার একাউন্ট খুলে দিলে একটা এমাউন্ট আপনার একাউন্টে যোগ হয়ে যাবে। তবে বিভিন্ন সময়ে এর থেকে বেশি হতে পারে।

 মোবাইল ব্যাংকিং সেবা "উপায়  upay " এর সম্পর্কে যদি আরও কিছু জানার থাকে তাহলে তাদের ফেসবুক পেইজে নক করুন "উপায় "। মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায় খুব সতর্কতা অবলম্বন করুন সফলতা আসবেই।

বিস্তারিত
Alibaba & Import Export Expert

আমদানি,রপ্তানি,আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন।

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2025 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js