কিভাবে বিনা পুঁজিতে রিসেলার বিজনেস শুরু করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করবেন ?

কিভাবে বিনা পুঁজিতে রিসেলার বিজনেস শুরু করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করবেন ?


Posted on: 2022-05-22 22:43:51 | Posted by: eibbuy.com
কিভাবে বিনা পুঁজিতে রিসেলার বিজনেস শুরু করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করবেন ?

যারা মূলত বিজনেস করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিতে চান। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। বলা যায়, বিজনেস করে যারা ক্যারিয়ার গড়তে চান। তাদের ক্যারিয়ার গড়ার সেই স্বপ্নটিকে এক ধাপ এগিয়ে দিতে যথেষ্ট সহায়তা করবে আজকের এই আর্টিকেলটি।

রিসেলার ব্যবসা বিনা পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসাইয় আপনার পণ্য উৎপাদন বা ডেলিভারি কিছুই দিতে হবে না । এইসব কিছুর ঝামেলা নেই। একজন রিসেলার কাজ হচ্ছে উৎপাদনকারী বা পাইকারি ব্যবসায়ি থেকে কম দামে পণ্য কিনে সেই পণ্য একটু বেশি দামে ক্রেতার কাছে বিক্রি করা । কোন জিনিস তার উৎপাদনকারী, বিক্রেতা কিংবা পাইকারী বিক্রেতার কাছ থেকে কম দামে ক্রয় করে সেটি পুনরায় বেশি দামে বিক্রয় করাই রিসেলার বিজনেস।

এক্ষেত্রে একজন রিসেলারের উদ্দেশ্য থাকে বেশ ভাল অঙ্কের একটি মুনাফা লাভ এবং আধুনিক ব্যবসায়িক যুগে নিজের অবস্থান পোক্ত করা। যদিও আমি অন্যান্য আর্টিকেল গুলোতে বিভিন্ন ব্যবসা করার আইডিয়া গুলো নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। কিন্তুু আমি আজ শুধমাএ রিসেলার ব্যবসা নিয়ে ধারনা দেয়ার চেস্টা করবো।

কেননা, বর্তমানে অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় রিসেলার ব্যবসা অনেক গুন এগিয়ে আছে। আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন, কারন এই Reseller Business এর অনেক সুবিধা রয়েছে। যদি আপনি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন ৷

তাহলেও আপনি এই রিসেলার ব্যবসা করতে পারবেন।

অথবা আপনি যদি একজন চাকুরীজীবি হয়ে থাকেন। তাহলেও আপনি পার্ট টাইম জব হিসেবে এই Reseller Business করে বাড়তি কিছু টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। শুধু এই সুবিধাটি নয় বরং আপনি আরও অনেক ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যদি আপনি ব্যবসা করার জন্য এই রিসেলার বিজনেস এ নিজেকে নিযুক্ত করেন।

আর সে কারনেই মূলত বর্তমান সময়ে আপনার মতো এমন অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত যোগ দিচ্ছে এই রিসেলার ব্যবসা তে। এখন আপনি একজন নতুন মানুষ হিসেবে যদি এই রিসেলার বিজনেসে যুক্ত হতে চান। তাহলে আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে, কিভাবে আপনি এই বিজনেস শুরু করবেন।

রিসেলার বিজনেস এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে একজন মার্কেটার কোনো কোম্পানীর পণ্যের প্রচার করেন। গ্রাহক তার লিঙ্ক দিয়ে সেই কোম্পানী থেকে সরাসরি নিজে জিনিস ক্রয় করেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের ইউনিক লিঙ্ক ব্যবহার করায় সেই কোম্পানী নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দেন। রিসেলার বিজনেস এ কোম্পানী রিসেলার কে কোনো কমিশন দিবেনা। একজন রিসেলার তার অনলাইন শপেই প্রোডাক্টটির অর্ডার নিবেন এবং পেমেন্ট গ্রহণ করবেন। পরবর্তীতে তিনি এই অর্ডার অন্য কোম্পানীকে ফরওয়ার্ড করবেন, তারাই ডেলিভারী করবে।

প্রশ্ন হলো তাহলে রিসেলার ব্যবসা করে লাভ কি? একজন রিসেলার তার শপে পণ্যের দাম অরিজিনাল কোম্পানীর বিক্রিত মূল্যের চেয়ে বেশি রাখেন। তিনি যতবেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন, সেটাই তার লাভ।


রিসেলার বিজনেস কেন করবেন

বেশিরভাগ মানুষেরই ব্যবসায়িক পথ মসৃণ হয়না। সেক্ষেত্রে অনেকেই প্রথমে রিসেলার ব্যবসা নিয়ে একটু দ্বিধার মাঝে থাকতে পারেন এটাই স্বাভাবিক। তবে রিসেলার বিজনেসের সময় ও সুযোগ বিনিয়োগের ক্ষেত্র বেশ সমৃদ্ধশালী। যার ফলে আপনি আর্থিক লাভ থেকে শুরু করে আপনার ব্যবসায়িক দক্ষতাকে শাণিত করতে পারবেন।

রিসেলার ব্যবসা কে সম্ভাব্য ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়ার পেছনে কারণসমূহ নিম্নরূপ:


১। বিক্রয়ের বিস্তৃত অপশন

আপনি যদি একজন রিসেলার হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনার রয়েছে বিভিন্ন ধরণের পণ্য বিক্রয়ের সুযোগ। মনে করুন, আপনি পোশাক বিক্রয়ের মাধ্যমে আপনার রিসেলার বিজনেসটি চালু করতে চান। প্রাথমিক পর্যায়ে মুনাফা লাভের পর কিন্তু আপনি আপনার অনলাইন শপে আধুনিক ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল বিষয়ক আরো পণ্য যোগ করতে পারেন, হতে পারে সেগুলো জুতা, কসমেটিক্স, জুয়েলারি, হ্যান্ডব্যাগ ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে আপনার অনলাইন বিজনেসে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পণ্য কেনার খরচটি ছাড়া আর কোন খরচ আপনাকে বহন করতে হচ্ছে না।


২। অল্প বিনিয়োগে বেশি লাভের সুযোগ

রিসেলার বিজনেস শুরু করতে হলে আপনাকে বেশি পুঁজি বিনিয়োগ করতে হবে এমন কোন কথা নেই। একটি নির্দিষ্ট পণ্যের পাইকারি দামেই আপনি সেই পণ্যটি ক্রয় করতে পারছেন, এবং বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা সম্পূর্ণই আপনার স্বাধীনতা। সেক্ষেত্রে আপনি নির্ধারিত ক্রয়মূল্যের চেয়ে বেশি দামে আপনার পণ্যটি গ্রাহকের কাছে বিক্রয় করে বেশি মুনাফা লাভের একটি সুযোগ পাচ্ছেন। তবে হ্যাঁ, একচেটিয়া বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ না করে পণ্যের গুণগত মান অনুযায়ী একটি মানানসই মূল্য ধার্য করা শ্রেয়।
 

৩। ব্যবসা শীঘ্রই শুরুর দারুণ সুযোগ

একটি রিসেলার বিজনেস শুরুর জন্যে আপনাকে কোন নির্দিষ্ট সময় বা প্রক্রিয়ার অপেক্ষা করতে হবেনা। আপনি আপনার অনলাইন শপে পণ্যসামগ্রী যোগ করা এবং আনুষঙ্গিক আরো কিছু কাজ সারার পরমুহূর্তেই আপনার রিসেলার ব্যবসা প্রক্রিয়াটি চালু করতে পারেন। অর্থাৎ আপনার বিজনেস সেটআপ এবং উদ্বোধন দুটোই একই দিনে এবং কম সময়ের মধ্যে শুরু করার একটি দারুণ সুযোগ আপনার হাতের মুঠোয়।
 

৪। কোন ইনভেন্টরি চার্জ বহন করতে হয়না

আপনি যদি আপনার রিসেলার বিজনেসের জন্য কোন রিসেলার ড্রপশিপ মার্কেটপ্লেস (reseller dropship marketplace) এর সাহায্য নিয়ে থাকেন।

সেক্ষেত্রে আপনাকে পণ্যের জন্য কোন অগ্রিম বাল্ক ইনভেন্টরি চার্জ (bulk inventory charge) বহন করতে হবেনা। এক্ষেত্রে eBay, Amazon, AliExpress ইত্যাদি ড্রপশিপ মার্কেটপ্লেস বেশ নির্ভরযোগ্য এবং বহুল প্রচলিত। এখন অনেকের কাছেই হয়ত ড্রপশিপিং (dropshipping) শব্দটি নতুন মনে হতে পারে। তাদের জন্যে বলছি, মনে করুন  একজন রিসেলার হিসেবে আপনার অনলাইন শপে কোন পণ্যের অর্ডার আসার পর আপনি আপনার সাপ্লায়ার বা পাইকারী বিক্রেতার থেকে পণ্যটি ক্রয় করে অর্ডারকারী অর্থাৎ আপনার গ্রাহকের কাছে তার কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি বিক্রয় করলেন। এই পুরো প্রক্রিয়াটিই ড্রপশিপিং।

অর্থাৎ ড্রপশিপিং এমন একটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া বা ধাপ, যার মাধ্যমে আপনি একজন পাইকারী বিক্রেতা বা পণ্য নির্মাতা এবং একজন গ্রাহকের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন।

৫। নিম্ন আর্থিক ঝুঁকি

একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি যদি পাইকারী বিক্রয় বা হোলসেলিং (wholesaling) এর মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে ব্যয়বহুল বাল্ক ইনভেন্টরি চার্জ এবং শিপিং ফি (shipping fee) এর বিনিময়ে পণ্য নির্বাচনের বিস্তৃত সুযোগটি অর্জন করে নিতে হবে।

পক্ষান্তরে, রিসেলার বিজনেসের ক্ষেত্রে কম ঝামেলায় কম পুঁজিতেই আপনি পণ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতাগুলোকে এড়িয়ে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে বাল্ক ইনভেন্টরি যেমন কিনতে হচ্ছেনা, তেমনি চড়ামূল্যে শিপিং ফিও প্রদান করা লাগছেনা। গ্রাহকরা তাদের পছন্দসই পণ্য আপনার অনলাইন শপে অর্ডার করামাত্রই আপনাকে শুধুমাত্র সেই পণ্যের জন্য সাপ্লায়ারকে অর্থ প্রদান করতে হচ্ছে।

৬। সময়ের পর্যাপ্ততা

রিসেলার বিজনেসের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে, আপনাকে এতে পুরো সময় ব্যয় করতে হবেনা। রিসেলার ব্যবসার বেশিরভাগ প্রক্রিয়াই স্বয়ংক্রিয় এবং অটোমেটিক্যালি নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে এটি সহজেই পরিচালনা করা সম্ভব।

এছাড়াও ড্রপশিপিং এর কারণে পণ্য প্যাকেজিং এবং শিপিং এর ঝামেলা না থাকায় রিসেলারের অনেকখানি সময় বেঁচে যায়। তাই বর্তমান সময়ে ছাত্রছাত্রী এবং চাকুরিজীবীদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় পার্টটাইম ইনকাম সোর্স।

রিসেলার বিজনেস কীভাবে করবেন

আধুনিক যুগের ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় নিজের একটি সুদৃঢ় স্থান গড়ে তোলার জন্য আপনাকে প্রথমেই রিসেলার বিজনেসের কয়েকটি মূলশর্ত বা ধাপ অতিক্রম করতে হবে। যেমন:

রিসেলার বিজনেস


১। ই-কমার্স (e-commerce) সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান

যেহেতু রিসেলার ব্যবসা সম্পূর্ণই অনলাইন ভিত্তিক, সেহেতু একজন রিসেলার হিসেবে আপনার মূলশর্ত হচ্ছে ই কমার্স সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান এবং দক্ষতা। সেক্ষেত্রে আপনার যদি নিজস্ব ফেসবু্ক একাউন্ট/পেইজ থাকে, সেটি অবশ্যই ভাল।

তবে রিসেলার বিজনেসের ক্ষেত্রে আপনাকে কম ঝামেলায় বেশি সাহায্য করবে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটিই আপনার নিজস্ব অনলাইন শপ হিসেবে কাজ করবে।


২। উন্নতমানের ই-কমার্স ওয়েবসাইট/অনলাইন শপ তৈরি


একটি উন্নতমানের ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির জন্য আপনাকে বেশকিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হতে পারে। এখন আপনার মনে এই প্রশ্ন আসতে পারে যে, একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সুবিধাগুলো কি কি।

প্রথমত, আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট তথা অনলাইন শপটি যেমন আপনার বিজনেসের পরিচয় বহন করবে, তেমনি একশ্রেণীর নির্দিষ্ট গ্রাহকের একটি ট্র্যাক পরিচালনা করতে আপনাকে সাহায্য করবে। এতে করে আপনার বিজনেসের গুরুত্ব বাড়ার পাশাপাশি একজন রিসেলার হিসেবে আপনার সুনামও অক্ষুণ্ণ থাকবে।

দ্বিতীয়ত, একজন রিসেলার এবং গ্রাহকের মাঝে একটি আধুনিক ই-কমার্স ওয়েবসাইট তথা অনলাইন শপ একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন। পণ্য ক্রয় করার আগে একজন গ্রাহক সাধারণত অনলাইন শপটির গ্রহণযোগ্যতা, ডিমান্ড এবং পারফর্মেন্সের উপর ভিত্তি করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

এসব দিকগুলোর কথা মাথায় রেখে একজন রিসেলারকে তার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড, কর্মদক্ষতা ও আনুষঙ্গিক ডিজাইন ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরি। আর সেক্ষেত্রে তার ওয়েবসাইটে উন্নতমানের ডোমেইন হোস্টিং সিস্টেম সেটআপ করতে হবে।


৩। সৃজনশীল কন্টেন্ট তৈরি

একজন রিসেলার হিসেবে উন্নতমানের কন্টেন্ট তৈরির দক্ষতা আপনার পণ্যের দ্রুত প্রচার, প্রসার এবং বিপণনের জন্য বেশ কার্যকর। আপনি যত ধারাবাহিকভাবে আপনার পণ্য সম্পর্কিত কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন, গ্রাহকের কাছে ততই আপনার পণ্যের গ্রহনযোগ্যতা বাড়বে।

এজন্য আপনার ব্লগ কন্টেন্ট এবং ভিডিও কন্টেন্ট উভয়ই মনেটাইজিং (monetizing) করা জরুরি।


৪। বিজ্ঞাপন তৈরি

বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষাই আপনার পণ্যের জন্য সুনির্দিষ্ট মানের বিজ্ঞাপন তৈরিতে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে ফেসবুকে প্রতিযোগিতামূলক বিজ্ঞাপন আসার সম্ভাবনা খুব কম বলে রিসেলার এবং ড্রপশিপারদের জন্য এই মাধ্যমটি বেশ জনপ্রিয়।


৫। পণ্যের বাজারদর এবং গ্রাহকের চাহিদা সম্পর্কে জ্ঞান

রিসেলার বিজনেসে ভাল করার অন্যতম শর্ত হচ্ছে গ্রাহকের মনস্তত্ত্ব এবং পণ্যের গুণাগত মান অনুযায়ী এর দরদাম সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের চাহিদায় এবং স্বভাবে বেশ পরিবর্তন আসে। সে দিকটা মাথায় রেখেই একজন রিসেলারকে তার গ্রাহকের জন্য সঠিক পণ্য নির্বাচন করতে হয়। তাছাড়া একশ্রেণীর গ্রাহককে হাতে রাখবার জন্য পণ্যের একটি সুলভ মূল্য নির্ধারণ করার আইডিয়াও থাকা জরুরি।

রিসেলার ব্যবসা কি? কিভাবে রিসেলার ব্যবসা শুরু করবেন ?

রিসেলার ব্যবসা অনেকটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মতো। পড়ালেখা পাশাপাশি ঘরে বসে টাকা আয় করার জন্য রিসেলার ব্যবসা একটা ভালো উপায়। রিসেলার বিজনেস করে অনেক মুনাফা অর্জন করার সুযোগ রয়েছে।

রিসেলার ব্যবসা কেন করবেন

ব্যবসা করার জন্য সময়ে সাথে নানা রকম কৌশল ও দক্ষতা অবলম্বন করতে হবে। রিসেলার ব্যবসার মধ্যে ও আপনাকে নানা রকম কৌশল অবলম্বন করতে হবে। একবার যদি এই ব্যবসা সফল হয়ে যান তাহলে এটিকে আপনি আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবেন।

রিসেলার ব্যবসা কিভাবে করবেন


রিসেলার ব্যবসা অনলাইন - অফলাইন দুই রকম ভাবে করা যায়। রিসেলার ব্যবসা করার জন্য কোনো দোকান বা ঘরের প্রয়োজন হয় না। তাই ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করা যায় যেমন ফেসবুক পেজ , ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ও কিছু টাকা ইনভেস্ট করে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে তৈরি করে ইত্যাদি তে ব্যবসা করা যায়।

এছাড়া বাংলা দেশে অন্যতম রিসেলার প্লেটর্ফম  eibbuy.com সাহায্য আপনারা রিসেলিং বিজনেস শুরু করতে পারবেন। eibbuy.com ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন দিয়ে একটি ফর্ম পূরণ করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখান থেকে প্রডাক্ট নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই আর্টিকেলে বিস্তারিত দেয়া আছে কিভাবে eibbuy.com ওয়েবসাইট দিয়ে আপনি রিসেলিং ব্যবসা শুরু করবেন।   বিনা পুঁজিতে পণ্য রিসেল করে টাকা আয়

এছাড়াও বাংলাদেশে আরো কিছু রিসেলার ওয়েব সাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি পণ্য নিয়ে রিসেল ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

কিভাবে অফলাইন রিসেলার ব্যবসা শুরু করবেন?

যদি আপনি রিসেলার ব্যবসা করার জন্য অনলাইন পদ্ধতি কে বেছে নেন। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। যদি আপনি সঠিকভাবে এই ধাপ গুলো অতিক্রম করতে পারেন। তাহলে আপনার সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশে বেড়ে যাবে।

ধাপ-১ঃ যেহুতু আপনি অফলাইনে রিসেল করার বিজনেস করবেন। সেহুতু আপনাকে সব কাজ ম্যানুয়ালি করতে হবে। এবং সেভাবেই আপনাকে শুরু থেকে প্রস্তুুতি নিতে হবে।

ধাপ-২ঃ এরপর আপনাকে কোনো এক বা একাধিক পন্য নির্বাচন করে নিতে হবে। যে পন্য গুলো কে দিয়ে আপনি রিসেলার ব্যবসা করতে চান।

ধাপ-৩ঃ যখন আপনি আপনার ব্যবসা করার পন্যকে বাছাই করতে পারবেন ৷ তখন আপনাকে খুজে নিতে হবে আপনার পন্য গুলো কোথা থেকে নিলে অনেক কম দামে নেওয়া যাবে। কেননা, এই পন্য গুলো আপনি যতো কম দাম দিয়ে কিনতে পারবেন ৷ আপনার আয় এর পরিমান ঠিক ততোটুকুই বৃদ্ধি পাবে।

ধাপ-৪ঃ এরপর যখন আপনি উপরোক্ত ধাপ গুলো সঠিকভাবে অতিক্রম করতে পারবেন। তখন আপনার পরবর্তী ধাপ হবে আপনার কিনে নেয়া সেই পন্য গুলো কে কোথায় সেল করবেন। আর এই স্থান নির্বাচন করার সময় অবশ্যই লোকবহুল স্থানকে বেশি প্রাধান্য দিবেন ৷ কারন যদি আপনি পর্যাপ্ত কাস্টমার না পান। তাহলে কিন্তুু আপনি আশানুরূপ সেল করতে পারবেন না ৷

ধাপ-০৫ঃ এরপর আপনাকে আর তেমন কিছু করতে হবে না। বরং আপনি উপরোক্ত ধাপ গুলো পুনরাবৃত্তি করে যাবেন। এবং রিসেলিং বিজনেস কে কন্টিনিউ ভাবে পরিচালনা করবেন। তো যদি আপনি অফলাইনে রিসেলার বিজনেস করতে চান। তাহলে উপরোক্ত ধাপ গুলো সঠিকভাবে অতিক্রম করতে হবে। এবং যদি আপনি এই ধাপ গুলো অতিক্রম করতে পারেন।

তাহলে আমার বিশ্বাস যে আপনি খুব কম সময়ের মধ্যে এই বিজনেস থেকে অধিক পরিমান টাকা লাভ করে নিতে পারবেন।
কিভাবে অনলাইন রিসেলার বিজনেস শুরু করবেন?


যেহুতু আপনি উপরের আলোচনা থেকে অফলাইন Reseller Business সম্পর্কে জানতে পারলেন ৷ সেহুতু অবশ্যই আপনাকে অনলাইন রিসেলার বিজনেস শুরু করার পদ্ধতি গুলো সম্পর্কেও জেনে নিতে হবে। কেননা, অফলাইন এর চাইতে আপনি অনলাইনে অধিক পরিমান সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তো যদি আপনি অনলাইন কে কেন্দ্র করে রিসেলার ব্যবসা করতে চান। তাহলে আপনার সামনে এমন অনেক ধরনের পথ চলে আসবে ৷ এখন আপনি এই যে কোনো একটি পথকে অনুসরন করে এই ধরনের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন।

এখন জানার বিষয় হলো যে, আপনি এই অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা মোট দুইভাবে করতে পারবেন। যেমন
 

নিজস্ব ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে এবং 

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে

মূলত বর্তমান সময়ে যারা যারা অনলাইন প্লাটফর্মে রিসেলার ব্যবসা করেন। তারা মূলত এই দুই মাধ্যমে এই বিজনেসটি পরিচালনা করে থাকে।

তো এই দুটি মাধ্যম নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।  নিজস্ব ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে অনলাইনে রিসেলিং বিজনেস

যেহুতু আপনি রেগুলার একজন অনলাইন ইউজার। সেহুতু আপনার অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে ধারনা থেকে থাকবে। এখন আপনি কিন্তুু এই ওয়েবসাইটে এর মাধ্যমে খুব সহজেই এই ধরনের রিসেলিং বিজনেস করতে পারবেন। যা আপনার মতো অনেক মানুষ ই দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে।



Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:

Comment as:

alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js