EibBuy
EibBuy
Sell
Menu

ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন ব্যবসা ।। Use of Trichoderma in Agriculture

  • 2020-03-21 21:37:14
  • Posted by: eibbuy.com
ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন ব্যবসা ।। Use of Trichoderma in Agriculture

আনেকেই এই ট্রাইকোডার্মা ভার্মিকম্পোষ্ট কেঁচো সার সম্পর্কে জানেন ৷ জমিতে রাসয়নিক সার ব্যবহার করার ফলে জমির উর্ভরতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে ৷ ফলে জমিতে ফসল উৎপাদনে দেখা দিচ্ছে নানান জটিলতা ৷ এসব কিছু থেকে মুক্তি দিবে ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার ৷ সম্পুর্ন প্রাকৃতিক ভাবে এ সার উৎপাদন করা হয় ৷


কিভাবে শুরু করবেন এ ব্যবসা

এটা শুরু করা তেমন কোন কঠিন কাজ না ৷ প্রথমে শিখতে হবে কিভাবে ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার তৈরি করতে হয় ৷ ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও পাবেন এসব নিয়ে ৷ এ ছাড়া নিকটস্থ কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার তৈরির পদ্ধতি জেনে নিতে পারবেন ৷


ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার ব্যবহারে উপকারীতা সমূহ

১|মাটির জৈব চাহিদা পুরন করে।

২|মাটির স্বাস্হ্য রক্ষা করে।

৩|মাটিকে বন্ধ্যাত্বের হাত হতে রক্ষা করে।

৪|মাটির অম্লত্য ও খারত্ব 'কে সঠিক রাখে।

৫|পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৬|অনুজৈবিক কার্যাবলী বৃদ্ধি পায়।

৭| বীজ সহজে গজায়।

৮|শেকড় কে শক্ত করে।

৯|খাদ্য গ্রহন সহজলভ্য হয়।

১০| রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

১১|মাটির প্রয়োজনীয় তাপমাএা রক্ষা করে।

১২। ট্রাইকোডার্মা মিশ্রিত থাকায় গাছের মাটিবাহিত সকল ফাংগিসাইড নিয়ন্ত্রন ও ধ্বংস করে।


গোল্ড এবং সিলভার ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার এর মধ্যে পার্থক্য:

গোল্ড ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার হলো চুক্তিভিত্তিক কিছু প্রোফেশনাল কোম্পানির নিজস্ব সেটআপে অতি যত্নসহকারে সকল প্রকার নিয়ম, ব্যাবসায়িক গোপনিয় কিছু টেকনিক ও গুনগত মান বজায় রেখে তৈরি করা হয় যা ব্যায়বহুল। যা সাধারন খামারিদের উৎপাদিত ভার্মির চেয়ে অধিক কার্যকরি। 


পক্ষান্তরে সিলভার ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার  দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারন খামারিদের থেকে কম দামে সংগ্রহ করা হয় যার কার্যকারিতা স্বাভাবিক মাত্রায় কম বেশি হয়ে থাকে, যার ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা প্রদান করা কস্ট সাধ্য।

আপনি শুরু করলে গোল্ড ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার দিয়ে শুরু করতে পারেন ৷

ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার গুদামজাতকরন-

ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট সার শুষ্ক ও ছায়া যুক্ত স্থানে বস্তার মুখ বন্ধ রেখে ৬-৮ মাস পর্যন্ত রেখে দিত পারবেন ৷ ফলে অনেক দিন রেখেও বিক্রি করা সম্ভব ৷ এ ছাড়া আপনি এই ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার সারা দেশে বস্তুতে ভরে বিক্রি করতে পারবেন ৷


ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির উপকরণ : বিশেষ প্রজাতির কেঁচো, গ্যাস মুক্ত তাজা গোবর, স্যানেটারি রিং বা পাকা হাউস অথবা পাকা চাড়ি, চালা দেয়ার জন্য টিন বা খড়।

রিং পদ্ধতিতে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি : প্রথমে একটা উঁচু স্থান নির্বাচন করতে হবে, যেখানে সহজে পানি জমবে না বা সমতল জায়গার ওপর ১ ফুট উঁচু করে মাটি

ফেলতে হবে। মাটিকে ভালোভাবে পিটিয়ে শক্ত করে তার ওপর পলিথিন বিছিয়ে দিতে হবে। পলিথিনের ওপর পর্যায়ক্রমে ২টি স্যানেটারি রিং বসাতে হবে অথবা ৪

ফুটx৩ ফুট x ১.৫ ফুট (দৈর্ঘ্যx প্রস্থx গভীরতা) পাকা হাউস তৈরি করে তার ওপর টিন, খড় বা পলিথিন দিয়ে চালা দিতে হবে। রিং এর মাঝে ১ ইঞ্চি পরিমাণ ফাঁকা রাখতে হবে

যাতে করে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে।


পাকা হাউসের দেয়ালে ১ ফুট পরপর ১ ইঞ্চি সাইজের পিভিসি পাইপ কেটে বসানো যেতে পারে। রিং বা হাউসে তাজা গোবর ভরাট করে এক সপ্তাহ রেখে দিতে হবে। যাতে করে গোবরের গ্যাস বের হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে গোবরগুলো নেড়ে-চেড়ে দিলে ভালো হয়। বিশেষ প্রজাতির কেঁচো প্রতি হাউসে ৫০০-৭০০টি করে ছাড়তে হবে। রিং বা হাউসের ওপরে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং মাঝে মধ্যে আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। রিং বা হাউসের বাইরের চারিদিকে মাঝে

মধ্যে কেরোসিন ছিটিয়ে বা স্প্রে করে দিতে হবে, যেন কোন ধরনের পিঁপড়া আক্রমণ করতে না পারে।


এভাবে ৩ মাস থাকার পর রিং বা হাউসের রাখা গোবর

সম্পূর্ণ সার হয়ে যাবে। যা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার নামে পরিচিত। রিং বা হাউসের গোবর যখন দেখা যাবে চা পাতার ঝুরঝুরে হয়েছে, তখন রিং বা হাউস

থেকে তুলে নিয়ে চালুনি দিয়ে চালতে হবে। চালার পর চালুনের মধ্যে কেঁচো থেকে যাবে এবং সার নিচে পড়বে। সার পলি ব্যাগে প্যাকেট করে ১৮-২০% আদ্রতায়

রাখা যায় ১ বছর পর্যন্ত। সার থেকে কেঁচো বের করার পূর্বেই কিছু গোবর গ্যাসমুক্ত করে প্রস্তুত রাখতে হবে। তারপর সার থেকে কেঁচো সংগ্রহ করে ওই নতুন গোবর

কেঁচোগুলো কিছুদিন রাখা যাবে। তারপর পুনরায় রিং বা হাউসটি গোবর দিয়ে ভরাট করে কেঁচো ছাড়তে হবে। যা আগের মতো আবার সার হতে থাকবে।


কত মুলধন লাগবে ?

প্রথমিক ভাবে ৪০০০ কেজি ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করতে ১ লক্ষ টাকা মুলধন লাগবে ৷ এছাড়া নিজস্ব জমির প্রয়োজন  হবে যেখানে ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করা হবে ৷

লাভলোকসান


ভার্মি গোল্ড এর মুল্য:

প্রতি ৫০ কেজির ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারের বস্তা ১১০০ টাকায় বিক্রি হয় ৷ এছাড়া প্রতি ১০ কেজির প্যাক ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হয় ৷  ভার্মি সিলভার এর মুল্য ৫০ কেজির বস্তা ৭০০ টাকা ৪০০০ কেজি ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করতে খরচ হবে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা ৷ বিক্রি করতে পারবেন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা ৷ প্রতি বারে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার অনায়সে লাভ করতে পারবেন ৷

বিস্তারিত জানতে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন ৷


GREEN PANDA AGRO FARM (Banasree Branch)

Block-A, Road-7, House-1, Banasree,Rampura,Dhaka., 01765-125-126


গ্রীন পান্ডা এগ্রো ফার্ম (বনশ্রী শাখা)

বাড়ি নং - ১, রোড নং - ৭, ব্লক নং - এ

০১৭৬৫-১২৫-১২৬

এফ-কমার্স পেজের লিংক


একজন ভার্মিকোম্পষ্ট উদ্যোগ্তা, গুনগত মানের সাথে আপস করিনা,যোগাযোগের ঠিকানা,মো:শাহাজান খাঁন চুয়াডাঙ্গা জেলা।মোবা:০১৯৩৬১৮০৪০০

🔗 Related Posts

alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
Latest Products
2017 © 2025 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By eibbuy.com react js next js