
Product Details
ঘিয়ের বহু গুণের কথা আমরা শুনে থাকলেও স্বাস্থ্য সচেতন, বলা ভাল ওজন সচেতন বর্তমান প্রজন্মের কাছে ঘি ভিলেন। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। ঘিয়ের বহু উপকারিতা তো রয়েছেই, ঘি কিন্তু ওজন কমাতেও সাহায্য করে। জেনে নিন কী কী কাজ করে ঘি।
১। স্ফুটনাঙ্ক- ঘি-এর স্ফুটনাঙ্ক খুব বেশি। ২৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত ঘি গরম করা যায়। অধিকাংশ তেলই এই তাপমাত্রায় গরম করলে ক্ষতিকারক হয়ে যায়।
২। নষ্ট হয় না- ঘি সহজে নষ্ট হয় না। প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে ঘি।
৩। স্বাদ- সুন্দর গন্ধ ও স্বাদ অথচ অধিকাংশ দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো ঘি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
৪। ভিটামিন- ভিটামিন এ ও ই থাকায় ঘি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
৫। কনজুগেটেড লিনোলেক অ্যাসিড- এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে। যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ডেলিভারির পর নতুন মায়েদের ঘি খাওয়ানো হয় এই কারণেই।
৬। ওজন ও এনার্জি- ঘিয়ের মধ্যে থাকা মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড খুব এনার্জি বাড়ায়। অধিকাংশ অ্যাথলিট দৌড়নোর আগে ঘি খান। এর ফলে ওজনও কমে।
৭। হজম ক্ষমতা- ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে বাটাইরিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
৮। রোগ প্রতিরোধ- বাটইরিক অ্যাসিড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৯। খিদে বাড়ায়- হজম ক্ষমতা বাড়ানোর কারণে ঘি খিদে বাড়ায়।
১০। পজিটিভ ফুড- বহু প্রাচীন কাল থেকেই ঘি পজিটিভ ফুড হিসেবে পরিচিত। আধুনিক গবেষণাও বলছে ঘি খেলে পজিটিভিটি বাড়ে। কনশাসনেস উন্নত হয়।
‘পদ্মার ইলিশ আর পাবনার ঘি
জামাইয়ের পাতে দিলে আর লাগে কি?’
শক্তি বৃদ্ধি করে:
ঘি’তে মধ্যম চেইন ফ্যাটি এসিড বিদ্যামান। যা, লিভার সরাসরি শোষণ করতে পারে এবং দ্রুত বার্ন করতে পারে। আমরা যে সকল কার্বযুক্ত খাবার গ্রহণ করি, তার মধ্যে এটি শক্তির একটি স্বাস্থ্যসম্মত উৎস
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে:
ঘিয়ে রয়েছে বুট্রিক অ্যাসিড, একটি সংক্ষিপ্ত চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড যার বেশ কিছু সুবিধা আছে। অনেক সুবিধার মধ্যে, সবচেয়ে কার্যকরী সুবিধা হল, এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। আমাদের শরীর ফাইবারকে butyric অ্যাসিডে রূপান্তর করে। তাই, ঘি খাবার ফলে Butyric অ্যাসিড পরিপাক নালীর কাজে সাহায্য করে এবং এটি সুস্থ রাখে।
ইমিউনিটি উন্নত করে:
Butyric অ্যাসিড শরীরের ইমিউন সিস্টেমের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। এটি শরীরের ক্ষতিকারক সেল ধ্বংস করতে পারে।
চোখের স্বাস্থ্য ভাল করে:
ঘি ভিটামিন ‘এ’ তে সমৃদ্ধ। যা আমাদের চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
তাই আর দেরি না করে এখনই অর্ডার দেই ।
আমরা দিচ্ছি পাবনার বিখ্যাত গাওয়া ঘি।
প্রতিদিন শিশুর খাবারে ঘি কেন জরুরি?
যেসব কারনে ঘি বাচ্চার খাবারে দিবেন -
ঘি চর্বির জন্য একটি হেলদি উৎসএবং দৈহিক শক্তির জন্য উত্তম উৎস যা শৈশবের সময় দৈহিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য প্রয়োজন।
যেহেতু শৈশবের সময় গ্রোথ রেত হাই থাকে তাই বাচ্চার শরীর বেশী পরিমানে ক্যালরি চায়। ১ গ্রাম ঘিতে ৯ ক্যালরি থাকে। কাজেই খাবারে ঘির পরিমান যোগ করা যেমনি সহজ তেমনি শিশুকে একটিভ রাখার স্বাস্থ্যকর উপায়।
প্রথম এক বছর শিশুর মস্তিক গঠনের জন্য গুরুত্তপুরন সময়। সুস্থ পরিবেশ এবং পুষ্টিকর খাবার মস্তিক গঠনে সাহায্য করে। আর এই মস্তিস্কের ৬০% তৈরি হয় ফ্যাট থেকেই। Docosahexaenoic acid (DHA) এক ধরনের হেলদি ফ্যাট যা ব্রেন গ্রোথ এবং ডেভেলপমেন্টের জন্য দায়ি। এবং রিসার্চে পাওয়া গেছে যে বাড়িতে তৈরি করা ঘিতে প্রচুর পরিমানে DHA বিদ্যমান থাকে। তাই খাবারে ঘি যোগ করে শিশুর ব্রেন ডেভেলপমেন্ট প্রসেসকে বুস্ট করবে। শুধু তাই নয় এই ডিএইচএ ব্রেন ডেভেলপমেন্টের সাথে সাথে চোখের জুতি বাড়াতে সাহায্য করে।
Ghee-For-Babies
এছাড়া ঘি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের একটি দারুণ উৎস। অতএব আপনার শিশুর খাদ্যে ঘি যোগ করা মানে সংক্রমণ এবং রোগের সূত্রপাত রোধ করা।
ঘি ভিটামিনে থাকা দ্রবণীয় চর্বি শোষণ করতে সাহায্য করে। যদি খাবারে ঘি যোগ করা হয় তবে শিশু সহজে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে শোষণ করতে পারে। এই ভিটামিন পরিপূর্ণ শোষণের ফলে শিশুর হেলদি গ্রোথ ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেমকে বুস্ট করে ঘি।
আপনার সোনামণির কতটুকু ঘি খাওয়া দরকারি ?
বাচ্চার বয়স এবং ওজনের উপর নির্ভর করে দৈনন্দিন খাবারের সাথে ঘি দিতে হবে। অনেকে ৬ মাসের আগে থেকেই বাচ্চার খাবারে ঘি দিয়ে থাকেন। তবে এত অল্প বয়সে হজমে বাচ্চাদের একটু সমস্যা হয় তাই কমপক্ষে ৬ মাস বয়স থেকে দেয়া উত্তম। দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দেয়ার দিন থেকেই একটু একটু ঘি দেয়া শুরু করুন। কেননা এই সময় থেকে বাচ্চা বসা, হামাগুড়ি এবং হাঁটার চেষ্টা করে, কাজেই ক্যালোরি খরচ করার অবস্থায় আসে। তাই প্রথমে খিচুড়ির সাথে কয়েক ফোঁটা দিয়ে অভ্যস্ত করুন এরপর ধীরে ধীরে পরিমান বাড়াতে থাকুন।
আপনার সোনামণি যদি আন্ডার ওয়েট হয়ে থাকে তবে বেশী পরিমানে দিন। আর যদি ওভার ওয়েট হয়ে থাকে তবে ঘির পরিমাণটা কমিয়ে দিন।
সবই তো বলা হল কিন্তু পরিমাণটাই তো বলা হল না! বাড়িতে ৮ মাসের বাচ্চা থাকলে শুরু করুন ১চা চামচ ঘি দিয়ে। এরপর গ্রাজুয়ালি ৩ – ৪ চা চামচ করে ঘি দিন। পরিমান হুট করে বাড়িয়ে দিবেন না। ধীরে ধীরে বাড়ান এবং ওজনের দিকে খেয়াল রাখুন। কেননা ওভারওয়েট হয়ে গেলে ঘি’র পরিমান কমিয়ে দিতে হবে।
মাল্টিপাল হেলথ বেনিফিটের জন্য ঘি একটি দারুণ উৎস হতে পারে। বাড়ন্ত শিশুর খাদ্যের সাথে সীমিত পরিমাণ ঘি যোগ করা তার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে অতিরিক্ত কোন কিছুই শুভ ফল বয়ে আনে না এই কথাটি ঘি’র বেলায় শতভাগ প্রযোজ্য।যদি শিশু ওজনে ভারসাম্য আনতে গিয়ে বেশী পরিমানে ঘি খাইয়ে ফেলেন তবে ঘি’র উপকারিতার থেকে অপকারিতাই বেশী হবে।
শেষে আরেকটি জিনিস মনে করিয়ে দেই, বাচ্চাদের অবশ্যই দেশি খাঁটি ঘি মানে গরুর দুধ থেকে যে ঘি তৈরি করা হয় তা খাওয়াবেন। বাজারে এখন ঘিয়ের সাবস্টিটিউট হিসেবে বনস্পতি ঘি পাওয়া যায়, যা দামের দিক থেকে গরুর ঘিয়ের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু এই বনস্পতি ঘি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা এটা টাইপ ২ ডায়বেটিস, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
শুষ্ক আবহাওয়ায় রূপচর্চায় ঘি এর ব্যবহার ।
রূপচর্চায়ও রয়েছে ঘি এর বহুবিধ ব্যবহার। একসময় ভুল ধারণা ছিল, ঘি লাগলে নাকি চুল, ভ্রূ ও চোখের পাপড়ি সাদা হয়ে যায়! কিন্তু না, রূপসীর ত্বকের যত্নের সবটা করে চুলের দ্রুত বৃদ্ধি, মসৃণতা ও কন্ডিশনিংয়ের কাজটাও দারুণ করে সুগন্ধময় এ প্রাকৃতিক উপাদান। শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক ও চুলের আর্দ্রতা রক্ষায় ঘিকে সঙ্গী করে নিন।
ঠোঁটের যত্নে
রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে এক ফোঁটা ঘি লাগিয়ে ঘুমান। এটি ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখে ও ঠোঁটকে নরম করে। কালচে ঠোঁটে টানা কয়েক সপ্তাহ ঘি লাগান। কালচে ভাব কেটে গিয়ে গোলাপি আভা ফুটে উঠবে।
চোখের যত্নে
চোখের ক্লান্তি দূর করতে রোজ চোখের নিচে এক ফোঁটা ঘি লাগান। বেশ কয়েক দিনেই উজ্জ্বলতা ও সতেজ ভাব ফিরে আসবে। তাছাড়া ডার্ক সার্কেল দূর করতেও ঘি বেশ কার্যকর।
চুলের জন্য
শুষ্ক ও আগা ফাটা চুলে ঘি গরম করে লাগান। ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। উষ্কখুষ্ক ও রুক্ষ চুলকে বশে আনতে সমপরিমাণ অলিভ অয়েল ও ঘি হালকা গরম করে চুলে ১৫-২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এর পর কোমল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এছাড়া ঘি চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। সমপরিমাণ নারকেল তেল ও ঘি গরম করে স্কাল্পে ম্যাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
জেল্লা
ত্বকের জেল্লা বাড়াতে রোজ একটু করে ঘি খেতে পারেন। মাস্ক হিসেবেও লাগানো যায়। মাস্ক তৈরির জন্য বেসন ও সমপরিমাণ দুধ ঘির সঙ্গে মিশিয়ে মুখে, গলায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এর পর ধুয়ে ফেলুন। তাত্ক্ষণিকভাবেই ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখতে পাবেন।
বয়স ধরে রাখতে
যারা ত্বকে নিয়মিত ঘি ব্যবহার করেন, তাদের ত্বক বহুদিন পর্যন্ত টান টান, মসৃণ ও তারুণ্যদীপ্ত থাকে। ঘি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ও ভেতর থেকে ত্বককে রাখে সজীব।
ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার
শরীরের তুলনায় মুখের ত্বক অনেক বেশি পাতলা ও সূক্ষ্ম। মুখের ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সমপরিমাণ ঘি ও পানি একসঙ্গে মিশিয়ে কটনবল দিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে আলতো হাতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শীতে ত্বক নরম ও কোমল রাখতে সপ্তাহে একবার এ মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।
হাইড্রেশন
ঘির মধ্যকার ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে রাখে হাইড্রেটেড। যাদের ত্বক খুব বেশি শুষ্ক, তারা গোসলের আগে সারা দেহে ঘি ম্যাসাজ করতে পারেন। প্রয়োজনমতো ঘি একটু গরম করে শরীরে ৩-৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এর পর হালকা গরম পানি ও তোয়ালে দিয়ে ত্বক রগড়ে রগড়ে গোসল সেরে ফেলুন। এতে ত্বকে জমা মৃত কোষ ঝরে গিয়ে ত্বকে লাবণ্য ফিরে আসবে। শীতের শুষ্কতা এড়াতে স্বাভাবিক ত্বকের অধিকারীরাও সপ্তাহে একবার এটি করতে পারেন।
তাই আর দেরি না করে এখনই অর্ডার দেই ।
১। স্ফুটনাঙ্ক- ঘি-এর স্ফুটনাঙ্ক খুব বেশি। ২৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত ঘি গরম করা যায়। অধিকাংশ তেলই এই তাপমাত্রায় গরম করলে ক্ষতিকারক হয়ে যায়।
২। নষ্ট হয় না- ঘি সহজে নষ্ট হয় না। প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে ঘি।
৩। স্বাদ- সুন্দর গন্ধ ও স্বাদ অথচ অধিকাংশ দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো ঘি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
৪। ভিটামিন- ভিটামিন এ ও ই থাকায় ঘি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
৫। কনজুগেটেড লিনোলেক অ্যাসিড- এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে। যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ডেলিভারির পর নতুন মায়েদের ঘি খাওয়ানো হয় এই কারণেই।
৬। ওজন ও এনার্জি- ঘিয়ের মধ্যে থাকা মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড খুব এনার্জি বাড়ায়। অধিকাংশ অ্যাথলিট দৌড়নোর আগে ঘি খান। এর ফলে ওজনও কমে।
৭। হজম ক্ষমতা- ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে বাটাইরিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
৮। রোগ প্রতিরোধ- বাটইরিক অ্যাসিড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৯। খিদে বাড়ায়- হজম ক্ষমতা বাড়ানোর কারণে ঘি খিদে বাড়ায়।
১০। পজিটিভ ফুড- বহু প্রাচীন কাল থেকেই ঘি পজিটিভ ফুড হিসেবে পরিচিত। আধুনিক গবেষণাও বলছে ঘি খেলে পজিটিভিটি বাড়ে। কনশাসনেস উন্নত হয়।
‘পদ্মার ইলিশ আর পাবনার ঘি
জামাইয়ের পাতে দিলে আর লাগে কি?’
শক্তি বৃদ্ধি করে:
ঘি’তে মধ্যম চেইন ফ্যাটি এসিড বিদ্যামান। যা, লিভার সরাসরি শোষণ করতে পারে এবং দ্রুত বার্ন করতে পারে। আমরা যে সকল কার্বযুক্ত খাবার গ্রহণ করি, তার মধ্যে এটি শক্তির একটি স্বাস্থ্যসম্মত উৎস
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে:
ঘিয়ে রয়েছে বুট্রিক অ্যাসিড, একটি সংক্ষিপ্ত চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড যার বেশ কিছু সুবিধা আছে। অনেক সুবিধার মধ্যে, সবচেয়ে কার্যকরী সুবিধা হল, এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। আমাদের শরীর ফাইবারকে butyric অ্যাসিডে রূপান্তর করে। তাই, ঘি খাবার ফলে Butyric অ্যাসিড পরিপাক নালীর কাজে সাহায্য করে এবং এটি সুস্থ রাখে।
ইমিউনিটি উন্নত করে:
Butyric অ্যাসিড শরীরের ইমিউন সিস্টেমের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। এটি শরীরের ক্ষতিকারক সেল ধ্বংস করতে পারে।
চোখের স্বাস্থ্য ভাল করে:
ঘি ভিটামিন ‘এ’ তে সমৃদ্ধ। যা আমাদের চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
তাই আর দেরি না করে এখনই অর্ডার দেই ।
আমরা দিচ্ছি পাবনার বিখ্যাত গাওয়া ঘি।
প্রতিদিন শিশুর খাবারে ঘি কেন জরুরি?
প্রাচীনকাল থেকেই খাবারে ঘি ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে আজকাল আমরা বাবা-মায়েরা এতটাই স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠেছি যে ফ্যাটের ভয়ে বাচ্চাদের এই ঘি খাওয়ানো এক প্রকার বন্ধই করে দিয়েছি। ‘আপনি কি জানেন বাজারে যত ফ্যাট পাওয়া যায় তার মধ্যে ঘি সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এবং স্বাস্থ্যকর। নির্দিষ্ট পরিমান ঘি একটি শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে আবশ্যক। আর তাই আজ আমরা জানবো, শিশুর সুস্বাস্থ্য গঠনে ঘি কতখানি দরকারি এবং কি পরিমানে ঘি দেয়া উচিত।
ঘি চর্বির জন্য একটি হেলদি উৎসএবং দৈহিক শক্তির জন্য উত্তম উৎস যা শৈশবের সময় দৈহিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য প্রয়োজন।
শৈশব থেকে সুসাস্থের অধিকারী হবার জন্য ঘি অন্যতম। এতে থাকা প্রাকৃতিক চর্বি এবং এনার্জি সঠিক গ্রোথ এবং ডেভেলপমেন্টে কাজ করে। সাধারনত জন্মের সময়ের ওজন ১ বছরে তিনগুন হয় এটাই স্বাভাবিক। কাজেই ৬ মাসের পর থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবারে একটু ঘি শিশুর সঠিক ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
প্রথম এক বছর শিশুর মস্তিক গঠনের জন্য গুরুত্তপুরন সময়। সুস্থ পরিবেশ এবং পুষ্টিকর খাবার মস্তিক গঠনে সাহায্য করে। আর এই মস্তিস্কের ৬০% তৈরি হয় ফ্যাট থেকেই। Docosahexaenoic acid (DHA) এক ধরনের হেলদি ফ্যাট যা ব্রেন গ্রোথ এবং ডেভেলপমেন্টের জন্য দায়ি। এবং রিসার্চে পাওয়া গেছে যে বাড়িতে তৈরি করা ঘিতে প্রচুর পরিমানে DHA বিদ্যমান থাকে। তাই খাবারে ঘি যোগ করে শিশুর ব্রেন ডেভেলপমেন্ট প্রসেসকে বুস্ট করবে। শুধু তাই নয় এই ডিএইচএ ব্রেন ডেভেলপমেন্টের সাথে সাথে চোখের জুতি বাড়াতে সাহায্য করে।
Ghee-For-Babies
এছাড়া ঘি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের একটি দারুণ উৎস। অতএব আপনার শিশুর খাদ্যে ঘি যোগ করা মানে সংক্রমণ এবং রোগের সূত্রপাত রোধ করা।
ঘি ভিটামিনে থাকা দ্রবণীয় চর্বি শোষণ করতে সাহায্য করে। যদি খাবারে ঘি যোগ করা হয় তবে শিশু সহজে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে শোষণ করতে পারে। এই ভিটামিন পরিপূর্ণ শোষণের ফলে শিশুর হেলদি গ্রোথ ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেমকে বুস্ট করে ঘি।
আপনার সোনামণির কতটুকু ঘি খাওয়া দরকারি ?
বাচ্চার বয়স এবং ওজনের উপর নির্ভর করে দৈনন্দিন খাবারের সাথে ঘি দিতে হবে। অনেকে ৬ মাসের আগে থেকেই বাচ্চার খাবারে ঘি দিয়ে থাকেন। তবে এত অল্প বয়সে হজমে বাচ্চাদের একটু সমস্যা হয় তাই কমপক্ষে ৬ মাস বয়স থেকে দেয়া উত্তম। দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দেয়ার দিন থেকেই একটু একটু ঘি দেয়া শুরু করুন। কেননা এই সময় থেকে বাচ্চা বসা, হামাগুড়ি এবং হাঁটার চেষ্টা করে, কাজেই ক্যালোরি খরচ করার অবস্থায় আসে। তাই প্রথমে খিচুড়ির সাথে কয়েক ফোঁটা দিয়ে অভ্যস্ত করুন এরপর ধীরে ধীরে পরিমান বাড়াতে থাকুন।
আপনার সোনামণি যদি আন্ডার ওয়েট হয়ে থাকে তবে বেশী পরিমানে দিন। আর যদি ওভার ওয়েট হয়ে থাকে তবে ঘির পরিমাণটা কমিয়ে দিন।
সবই তো বলা হল কিন্তু পরিমাণটাই তো বলা হল না! বাড়িতে ৮ মাসের বাচ্চা থাকলে শুরু করুন ১চা চামচ ঘি দিয়ে। এরপর গ্রাজুয়ালি ৩ – ৪ চা চামচ করে ঘি দিন। পরিমান হুট করে বাড়িয়ে দিবেন না। ধীরে ধীরে বাড়ান এবং ওজনের দিকে খেয়াল রাখুন। কেননা ওভারওয়েট হয়ে গেলে ঘি’র পরিমান কমিয়ে দিতে হবে।
মাল্টিপাল হেলথ বেনিফিটের জন্য ঘি একটি দারুণ উৎস হতে পারে। বাড়ন্ত শিশুর খাদ্যের সাথে সীমিত পরিমাণ ঘি যোগ করা তার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে অতিরিক্ত কোন কিছুই শুভ ফল বয়ে আনে না এই কথাটি ঘি’র বেলায় শতভাগ প্রযোজ্য।যদি শিশু ওজনে ভারসাম্য আনতে গিয়ে বেশী পরিমানে ঘি খাইয়ে ফেলেন তবে ঘি’র উপকারিতার থেকে অপকারিতাই বেশী হবে।
শেষে আরেকটি জিনিস মনে করিয়ে দেই, বাচ্চাদের অবশ্যই দেশি খাঁটি ঘি মানে গরুর দুধ থেকে যে ঘি তৈরি করা হয় তা খাওয়াবেন। বাজারে এখন ঘিয়ের সাবস্টিটিউট হিসেবে বনস্পতি ঘি পাওয়া যায়, যা দামের দিক থেকে গরুর ঘিয়ের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু এই বনস্পতি ঘি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা এটা টাইপ ২ ডায়বেটিস, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
শুষ্ক আবহাওয়ায় রূপচর্চায় ঘি এর ব্যবহার ।
রূপচর্চায়ও রয়েছে ঘি এর বহুবিধ ব্যবহার। একসময় ভুল ধারণা ছিল, ঘি লাগলে নাকি চুল, ভ্রূ ও চোখের পাপড়ি সাদা হয়ে যায়! কিন্তু না, রূপসীর ত্বকের যত্নের সবটা করে চুলের দ্রুত বৃদ্ধি, মসৃণতা ও কন্ডিশনিংয়ের কাজটাও দারুণ করে সুগন্ধময় এ প্রাকৃতিক উপাদান। শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক ও চুলের আর্দ্রতা রক্ষায় ঘিকে সঙ্গী করে নিন।
ঠোঁটের যত্নে
রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে এক ফোঁটা ঘি লাগিয়ে ঘুমান। এটি ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখে ও ঠোঁটকে নরম করে। কালচে ঠোঁটে টানা কয়েক সপ্তাহ ঘি লাগান। কালচে ভাব কেটে গিয়ে গোলাপি আভা ফুটে উঠবে।
চোখের যত্নে
চোখের ক্লান্তি দূর করতে রোজ চোখের নিচে এক ফোঁটা ঘি লাগান। বেশ কয়েক দিনেই উজ্জ্বলতা ও সতেজ ভাব ফিরে আসবে। তাছাড়া ডার্ক সার্কেল দূর করতেও ঘি বেশ কার্যকর।
চুলের জন্য
শুষ্ক ও আগা ফাটা চুলে ঘি গরম করে লাগান। ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। উষ্কখুষ্ক ও রুক্ষ চুলকে বশে আনতে সমপরিমাণ অলিভ অয়েল ও ঘি হালকা গরম করে চুলে ১৫-২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এর পর কোমল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এছাড়া ঘি চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। সমপরিমাণ নারকেল তেল ও ঘি গরম করে স্কাল্পে ম্যাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
জেল্লা
ত্বকের জেল্লা বাড়াতে রোজ একটু করে ঘি খেতে পারেন। মাস্ক হিসেবেও লাগানো যায়। মাস্ক তৈরির জন্য বেসন ও সমপরিমাণ দুধ ঘির সঙ্গে মিশিয়ে মুখে, গলায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এর পর ধুয়ে ফেলুন। তাত্ক্ষণিকভাবেই ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখতে পাবেন।
বয়স ধরে রাখতে
যারা ত্বকে নিয়মিত ঘি ব্যবহার করেন, তাদের ত্বক বহুদিন পর্যন্ত টান টান, মসৃণ ও তারুণ্যদীপ্ত থাকে। ঘি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ও ভেতর থেকে ত্বককে রাখে সজীব।
ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার
শরীরের তুলনায় মুখের ত্বক অনেক বেশি পাতলা ও সূক্ষ্ম। মুখের ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সমপরিমাণ ঘি ও পানি একসঙ্গে মিশিয়ে কটনবল দিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে আলতো হাতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শীতে ত্বক নরম ও কোমল রাখতে সপ্তাহে একবার এ মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।
হাইড্রেশন
ঘির মধ্যকার ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে রাখে হাইড্রেটেড। যাদের ত্বক খুব বেশি শুষ্ক, তারা গোসলের আগে সারা দেহে ঘি ম্যাসাজ করতে পারেন। প্রয়োজনমতো ঘি একটু গরম করে শরীরে ৩-৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এর পর হালকা গরম পানি ও তোয়ালে দিয়ে ত্বক রগড়ে রগড়ে গোসল সেরে ফেলুন। এতে ত্বকে জমা মৃত কোষ ঝরে গিয়ে ত্বকে লাবণ্য ফিরে আসবে। শীতের শুষ্কতা এড়াতে স্বাভাবিক ত্বকের অধিকারীরাও সপ্তাহে একবার এটি করতে পারেন।
তাই আর দেরি না করে এখনই অর্ডার দেই ।
খাঁটি গাওয়া ঘি
⭐ Special Price
৳999
0 items in stock
Minimum Order
১
১
Delivery Time
৩ দিন
৩ দিন
Brand
খাঁটি গাওয়া ঘি
খাঁটি গাওয়া ঘি
Weight
800 G
800 G
পণ্যটি পাইকারি সেল করা হবে। পাইকারি ক্রয় করতে সাপ্লায়ারের সাথে যোগাযোগ করুন।
Supplier Information

খাঁটি গাওয়া ঘি
(256 reviews)
150+ Products
Joined 2020
Premium quality products with excellent customer service. Trusted by thousands of customers worldwide.
Verified Supplier
Fast Shipping
Quality Guaranteed
2017
© 2025 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By
eibbuy.com
