EibBuy
EibBuy
Sell
Menu

নতুন নিয়মে পণ্যের শুল্কায়ন হবে

  • 2022-09-21 05:48:37
  • Posted by: eibbuy.com
নতুন নিয়মে পণ্যের শুল্কায়ন হবে

আমদানি পণ্য শুল্কায়নে নতুন নিয়ম চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অভিন্ন মূল্যে পণ্যের শুল্কায়ন করতে দেশের সব কাস্টম হাউজ ও শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর। সম্প্রতি এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এত দিন প্রতিটি কাস্টম হাউজ পৃথকভাবে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে শুল্কায়ন করত। নতুন নিয়মে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে আমদানি করা পণ্য যে মূল্যে শুল্কায়ন করা হবে, একই মূল্যে সব কাস্টম হাউজ ও শুল্ক স্টেশনে শুল্কায়ন করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘রাজস্ব আহরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার স্বার্থে এক ও অভিন্ন মূল্যে পণ্যের শুল্কায়ন এবং শুল্কায়নযোগ্য পণ্যের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ অবস্থায় এনবিআরের অধিভুক্ত সব কাস্টম হাউজ ও কাস্টম স্টেশনে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য চালানের যথাযথ পরিমাণ নিশ্চিতকরণ এবং এক ও অভিন্ন মূল্যে শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। এনবিআর বছরে যে পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহ করে, তার প্রায় ৩০ শতাংশই আসে আমদানি শুল্ক থেকে।

প্রসঙ্গত, এখন এনবিআরের অধীনে পূর্ণাঙ্গ কাস্টম হাউজ আছে ১২টি আর সক্রিয় শুল্ক স্টেশন রয়েছে ৩৬টি।

রাজস্ব সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা মনে করেন যে এই নিয়ম যদি বাংলাদেশে চালু হয় তাহলে আমদানি-রপ্তানির ব্যবসায় ক্ষেত্রে আমদানিকারক আরো স্বচ্ছতার সহিত আমদানী করতে পারবেন। কারণ বিভিন্ন পোর্টে বিভিন্ন ধরনের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু থাকার কারণে অনেকেই সেই সমস্ত  পোর্ট দিয়ে আমদানি করতে চাচ্ছে না । যেমন বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট কাস্টমসে সকল পণ্যের খুব বেশি এসেমেন্ট ভ্যালু ধরা হয়। যে কারণে সেখানে আমদানি করতে চাইলেও আমদানি করেন না। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটা ব্যাহত হয়ে থাকে । ফলে এ নতুন এই নিয়ম চালু করা হলে মানুষের আমদানি করার ক্ষেত্রে অনেকটা আগ্রহ বাড়বে এবং খুব জরুরি ভিত্তিতে মানুষে বিভিন্ন পোর্টে  আমদানি করবে।

নবিআরে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০০০ সালের শুল্ক মূল্যায়ন বিধিমালা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার স্বার্থে এক ও অভিন্ন মূল্যে কোনো পণ্যের শুল্কায়ন এবং শুল্কায়নযোগ্য পণ্যের সঠিক মূল্যায়ন নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি।

বর্তমানে প্রতিটি কাস্টম হাউস পৃথকভাবে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে শুল্কায়ন করে থাকে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে আমদানি করা কোনো পণ্যের চালান যে মূল্যে শুল্কায়ন করা হবে, ঠিক একই মূল্যে দেশের অন্যসব কাস্টমস হাউস এবং শুল্ক স্টেশনেও তা করতে হবে।

তবে এনবিআরের নতুন নির্দেশনায় সমস্যাও আছে। যেমন চীন ও ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের দামের ও গুণগত মানের পার্থক্য থাকত পারে। আবার জাপান থেকে যে পণ্য ২০০ ডলারে আমদানি করা হয়, সেটি ভারত থেকে আনলে ১০০ ডলার লাগতে পারে। তাহলে শুল্কায়নযোগ্য মূল্য কোনটি ধরা হবে, এ রকম প্রশ্নই উঠেছে ব্যবসায়ী মহল থেকে।

বাংলাদেশ সি অ্যান্ড এফের লোকজন  মনে করেন,  এই বিষয়টা হলে কাস্টমস এর ক্ষেত্রে যে সমস্ত ভুল বুঝাবুঝি তৈরি হয়েছে সেটা দূর হবে।  কারণ আমদানিকারকরা  অনেকেই মনে করে যে সি অ্যান্ড এফরা এই সমস্যা তৈরি করেন। এক্ষেত্রে তাদের ভিতর থেকে এই ভুলধারনা  দূর হবে এবং সবাই খুব সহজে পণ্য  আমদানি করতে পারবেন। 

এনবিআরের শুল্ক বিভাগের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, অনেক আমদানিকারক কম মূল্য দেখিয়ে শুল্ক-কর ফাঁকি দেন। এই প্রবণতা রোধ করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তথ্য সুত্রঃ ittefaq



🔗 Related Posts

alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
Latest Products
2017 © 2025 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By eibbuy.com react js next js