মুল পাতা

কেন ইসরায়েল-এর বিপক্ষে কোনো রাষ্ট্র কথা বলছে না?


Posted on: 2021-05-17 23:25:48 | Posted by: Jabed mojumder

কেউ সখ করে বিপদকে আমন্ত্রন করে না। আপনি কী গদি হারাতে চান? আপনি কী আর্থিক অস্বচ্ছলতায় পড়তে চান, আপনি কি ক্ষমতাহীন হতে চান, আপনি কী অপদস্থ হতে চান, আপনি কী আপনার প্রাণটা দিয়ে দিতে চান ? কোন ব্যক্তি, সরকার, রাষ্ট্র - কেউই তা চায় না। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কথা বলার ফলাফল, উপরের যে কোনটিই হতে পারে। তাই কেউই কঠোরভাবে ইসরায়েলের বিপক্ষে কথা বলে না।

পেটে দানা ঢুকলে মুখ বন্ধ হয়ে যায়। যার সাথে রাতের সম্পর্ক, দিনে তার জন্য মুখটা বন্ধ রাখাই শ্রেয়। অথবা , অন্যভাবে বলা যায়, সারা-রাত দানা-পানি ভোগ করলে আপনা থেকেই দিনে মুখ বন্ধ থাকবে। আমেরিকা + ইসরায়েলের দানা-পানি সবার পেটে ঢুকে (প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে)।

(দানা-পানি কী? এটি আঞ্চলিক কথা- যার অর্থ , বিত্ত-বৈভব, ক্ষম্মতা, বিনোদন, রাজনীতি- এ সবই দানা-পানির অন্তুর্ভূ ক্ত।

ইসলাইল খুবই ছোট একটি দেশ।

কিন্তু ইসরাইল - শুধু ইসরাইলই নয়-

এর সাথে রয়েছে বিশ্বের ১ নম্বর পরাশক্তি আমেরিকা।

আমেরিকাকে সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে - আমেরিকার 20টি শিল্পগ্রুফ। যেগুলোর মালিক ইহুদি।

এ বিশ্ব নিয়ন্ত্রন করে আমেরিকা-অর্তাত - আমেরিকারই 20 জন শিল্পপতি।

প্রকারাস্তে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে 20 জন ইহুদী যাদের হাতে আমেরিকার অর্থনীতি। অর্থনীতি নিয়ন্ত্রন করে রাজনীতি, সমাজনীতি- সকল নীতি।

তাহলে, ইসরাইলের বিপক্ষে কথা বলার অর্থ- আমেরিকাকে নাখোশ করা।

আামেরিকার উপর ইসরায়েলে প্রভাব কেমন তার একটি উদাহরণ হিসেবে (ডক্টর মাহমুদ আহমদ, লেখক ও গবেষক।) নিচের লেখাটি উপস্থাপন করলাম। এটি ধৈয্যসহকারে পড়লে, বুঝতে পারবেন, আমেরিকার রাজনীতি, অর্থনীতিতে ইসায়েলের প্রভাব কীরকম।

” ড. স্টিফেন কার লিওন এর মতে, পৃথিবীতে ইহুদীদের মোট সংখ্যা দেড় কোটির মতো। একটি মাত্র ইহুদী রাষ্ট্র – ইসরাইল। ইসরাইলে ইহুদীর সংখ্যা ৫৪ লাখ, অবশিষ্ট প্রায় এক কোটি ইহুদী সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে আমেরিকাতে ৭০ লাখ, কানাডাতে ৪ লাখ আর ব্রিটেনে ৩ লাখ ইহুদী থাকে। ইহুদীরা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২%, আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২%।

অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদী! কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে ঢাকা শহরের কাছাকাছি হলেও বিশ্বে ইহুদি সম্প্রদায় থেকে যুগে যুগে বেরিয়ে এসেছে অসংখ্য প্রতিভাবান ব্যক্তি। প্রধান ধর্মগুলোর পর পৃথিবীতে যে মতবাদটি সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলেছে সেই কমিউনিজমের স্বপ্নদ্রষ্টা কার্ল মার্কস ইহুদি সম্প্রদায় থেকে এসেছেন।

বিশ্বের মানুষকে মুগ্ধ করে রাখা যাদু শিল্পি হুডিনি ও বর্তমানে ডেভিড কপারফিল্ড এসেছেন একই কমিউনিটি থেকে। এসেছেন আলবার্ট আইনস্টাইনের মতো বিজ্ঞানী, যাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলা হয় আর প্রফেসর নোয়াম চমস্কি-র মতো শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক যাকে প্রদত্ত ডক্টরেটের সংখ্যা আশিটিরও বেশি। এর অন্যতম কারণ সাধারণ আমেরিকানরা যেখানে হাই স্কুল পাশকেই যথেষ্ট মনে করে সেখানে আমেরিকান ইহুদীদের ৮৫% বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া। আর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমনঃ ওআইসি-র ৫৭টি দেশে বিশ্ববিদ্যালয় আছে পাঁচ হাজারের মত, আর এ দেশগুলোর একটা বিশ্ববিদ্যালয়ও যেখানে The World University Ranking সাইট এর প্রথম ১০০টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পায়নি, সেখানে প্রথম একশোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে আমেরিকার ৪৫টা বিশ্ববিদ্যালয়। (প্রথম দশটার মধ্যে সাতটা) যেখানে প্রথম ২০০ র মধ্যে ওআইসি-ভুক্ত ৫৭ টি মুসলিম দেশের একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে তুরস্কের Bogazici University (১৯৯ তম), সেখানে আমেরিকার বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ২০% স্টুডেন্টস ইহুদী সম্প্রদায় থেকে আসা।

আমেরিকান নোবেল বিজয়ীদের মোটামুটি ৪০% ইহুদী অর্থাৎ নোবেল বিজয়ী প্রতি চার থেকে পাঁচ জনের একজন ইহুদী। আমেরিকার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসররা ইহুদী। আমেরিকার উত্তর পূর্ব উপকূলের ১২টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়কে এক সাথে আইভি লীগ বলা হয়। ২০০৯ সালের ১টি জরিপে দেখা গেছে আইভি লীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক’জন ভিসি-ই ইহুদী। হতে পারে ইহুদীরা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ, কিন্তু আমেরিকান রাজনীতিতে তাদের প্রভাব একচেটিয়া। আমেরিকার ১০০ জন সিনেটরের ১৩ জন ইহুদী।

এর চেয়ে ভয়ংকর তথ্য হলো ইহুদীদের সমর্থন ব্যতীত কোন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হতে পারে না, কোনো প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট থাকতে পারে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব যতখানি- আমেরিকান রাজনীতিতে ইহুদীদের প্রভাব তার চেয়েও অনেক অনেক বেশি।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচনী ফাণ্ড বা তহবিল সংগ্রহ একটা বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ। বারাক ওবামা বা ক্লিনটন নিজের টাকায় প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না।ডোনেশান এবং পার্টির টাকায় তাদের নির্বাচনী ব্যয় মিটাতে হয়েছে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ফাণ্ড দাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে – AIPAC – America Israel Public Affairs Committee. ::

আমেরিকার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকগুলো ইহুদীদের দখলে। ফলে আমেরিকার কেউ চাইলেও এদের কিছু করতে পারবে না। বরং জিউশ কমিউনিটি বা ইহুদি সম্প্রদাকে হাতে না-রাখলে ক্ষমতায় টেকা যাবে না। এসব কারণে শুধু জিউশ কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যেতে হয়।

আমেরিকার রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে মূলতঃ কর্পোরেট হাউজগুলো। তারা প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বানাতে পারে, এবং প্রেসিডেন্টকে সরাতে পারে। এসব কর্পোরেট হাউজগুলোর দিকে তাঁকালে দেখা যায় এদের মালিক কিংবা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কম্পানিগুলোর মূল দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা চীফ এক্সজিকিউটিভ অফিসার, সিইও হলেন ইহুদী কমিউনিটির মানুষ। এই কথা মাইক্রোসফটের ক্ষেত্রে যেমন সত্য তেমনি জাপানিজ কোম্পানি সনির আমেরিকান অফিসের জন্যও সত্য। প্রায় অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদে জিউশ আমেরিকানরা কাজ করছেন। জিউশ কমিউনিটির ক্ষমতাধর বিলিয়নেয়াররা মিলিতভাবে যে-কোনো ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারেন।

মিডিয়া জগতে যদি আপনি তাঁকান তাহলে দেখবেন;

CNN, AOL, HBO, Cartoon Network, New line cinema, Warner Bross, Sports illustrated, People – Gerald Levin – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।

ABC, Disney Channel, ESPN, Touchstone pictures – Michael Eisner – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।

Fox Network, National Geographic, 20th century Fox Rupert Murdoch – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।

Top 4 famous Newspapers of USA & their editors

New York Times – Arthur Sulzberger

New York Post – Rupert Murdoch

Washington Post – K.M. Graham

Wall street journal – Robert Thomson

সব কয়টি খবরের কাগজ ই ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।

আপনার প্রিয় মিডিয়া ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা Mark Zuckerberg পর্যন্ত একজন ইহুদী।

ইরাকের বিরুদ্ধে আমেরিকার আগ্রাসনকে সাধারণ আমেরিকানদের কাছে বৈধ হিসেবে চিত্রায়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ফক্স নিউজ। বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া মুগল রুপার্ট মারডকের নিয়ন্ত্রণাধীন এরকম প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই জিউশদের সমর্থন দিয়ে এসেছে। রুপার্ট মারডকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সারা বিশ্বের ১৮৫ টি পত্রপত্রিকা ও অসংখ্য টিভি চ্যানেল। বলা হয় পৃথিবীর মোট তথ্য প্রবাহের ৬০% ই কোনো না কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করে রুপার্ট মারডকের The News Corporation.

টিভি চ্যানেলগুলোর মধ্যে এবিসি, স্পোর্টস চ্যানেল, ইএসপিএন, ইতিহাস বিষয়ক হিস্টৃ চ্যানেলসহ আমেরিকার প্রভাবশালী অধিকাংশ টিভি-ই ইহুদিরা নিয়ন্ত্রণ করছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।

আমেরিকায় দৈনিক পত্রিকা বিক্রি হয় প্রতিদিন কমপক্ষে ৫৮ মিলিয়ন কপি। জাতীয় ও স্থানীয় মিলিয়ে দেড় হাজার পত্রিকা সেখানে প্রকাশিত হয়। এসব পত্রিকাসহ বিশ্বের অধিকাংশ পত্রিকা যে নিউজ সার্ভিসের সাহায্য নেয় তার নাম দি এসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি (AP)। এ প্রতিষ্ঠানটি এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন এর ইহুদি ম্যানেজিং এডিটর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল সিলভারম্যান। তিনি প্রতিদিনের খবর কী যাবে, না-যাবে তা ঠিক করেন।

আমেরিকার পত্রিকাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী তিনটি পত্রিকা হলো নিউইয়র্ক টাইমস্ , ওয়াল ষ্টৃট জার্ণাল এবং ওয়াশিংটন পোষ্ট। এ তিনটি পত্রিকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইহুদিদের হাতে।

ওয়াটারগেট কেলেংকারীর জন্য প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলো ওয়াশিংটন পোষ্ট। এর বর্তমান সিইও ডোনাল্ড গ্রেহাম ইহুদি মালিকানার তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে কাজ করছেন। উগ্রবাদী ইহুদী হিসেবে তিনি পরিচিত। ওয়াশিংটন পোষ্ট আরও অনেক পত্রিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে আর্মিদের জন্যই করে ১১টি পত্রিকা। এই গ্রুপের আরেকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত। টাইম এর পরে বিশ্বের দ্বিতীয় প্রভাবশালী এই সাপ্তাহিক পত্রিকাটির নাম নিউজউইক।

আমেরিকার রাজনৈতিক জগতে প্রভাবশালী নিউইয়র্ক টাইমস্-এর প্রকাশক প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ইহুদিরা হয়ে আসছেন। বর্তমান প্রকাশক ও চেয়ারম্যান আর্থার সালজবার্গার প্রেসিডেন্ট ও সিইও রাসেল টি লুইস এবং ভাইস চেয়ারম্যান মাইকেল গোলডেন সবাই ইহুদি।

বিশ্বের অর্থনীতি যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের নিয়ন্ত্রণ করে ওয়াল ষ্টৃট জার্নাল। আঠারো লাখেরও বেশী কপি চলা এই পত্রিকার ইহুদি প্রকাশক ও চেয়ারম্যান পিটার আর কান তেত্রিশটিরও বেশী পত্রিকা ও প্রকাশনা সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন।

প্রিয় পাঠক, এবার প্রশ্ন হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ৩২টা দেশের ৩২ × ২৩ জন খেলোয়াড়ের কতজন ইহুদী???

উত্তর হচ্ছে – একজনও না। অথবা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৬টা দেশের ১৬ × ১৫ জন খেলোয়াড়ের কতজন ইহুদী???? যদি প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন ফুটবলারের কতোজন ইহুদী? কিংবা পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন ক্রিকেটারের কতোজন ইহুদী?

উত্তর হচ্ছে – একজনও না।

কেন??????

বছরের কিছু সময় টি টুয়েন্টি আর ফ্ল্যাশ মব, কিছু সময় আইপিএল আর চিয়ার্স লিডার, কিছু সময় ফিফা বিশ্বকাপ বা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ, বাকি সময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ আর স্প্যানিশ প্রিমিয়ার লীগ বা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ নিয়ে ব্যস্ত থাকা আমাদের মনের মধ্যে কী কখনো এই প্রশ্ন আসে না?

ক্যামনে আসবে ভাই, পয়লা বৈশাখ, পয়লা ফাল্গুন, চৈত্র সংক্রান্তি, থার্টি ফার্স্ট আছে না? এতো এতো কাজের ভিড়ে এই ধরণের হাইপোথিটিকাল চিন্তা মাথায় আসবে ক্যামনে? হ্যাঁ, আসেনা বলেই আমি আপনি বসবাসের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে অযোগ্য শহরের বাসিন্দা, এই প্রশ্নগুলো আমাদের আসেনা বলেই আমরা এমন একটা দেশের এমন

একটা জাতির একজন – যে দেশের নাম নেইমার মেসিরা শুনেই নি, যে দেশকে ভিক্ষুকের দেশ হিসেবে পৃথিবী চিনে, কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে চিনে মজুর আর কাজের বুয়ার দেশ হিসেবে, যে দেশটি আন্তর্জাতিকভাবে টানা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের রেকর্ড গড়ে।

আমার লেখার এটুকু পড়েই অনেকের উত্তর শোনার গরজ থাকার কথা না, তবু উত্তরটা দিয়ে দেই, কেনো ইহুদীরা ফুটবল ক্রিকেটে এতো পিছিয়ে।

একটা ফুটবলের ব্যাস হয়ত ২০ – ৩০ সে.মি. বা একটা ক্রিকেট বলের ব্যাস আরও কম হয়ত ১০ – ১২ সে.মি. । ইহুদীরা বিশ্ববাসীকে ১০ – ৩০ সেন্টিমিটারের এই ফুটবল ক্রিকেটের বল নিয়ে ব্যস্ত রেখে ১২৮০০ কিলোমিটার ব্যাসের বেশ বড় একটা ফুটবল নিয়ে খেলছে – আর এই বড় ফুটবলটাই হচ্ছে পৃথিবী।

কেউ কেউ বলেন, এই খেলার চুড়ান্ত দিন হল এমন এক দিন যেদিন মার্কিন ডলার বাতিল ঘোষণা করে পৃথিবীর তাবৎ কাগজী মুদ্রা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে মানব জাতিকে অন্ধকারে ফেলে দিতে পারে ইহুদিরা । কিন্তু তাদের তেমন কোনো সমস্যা হবে না, তাদের সুবিধাজনক অবস্থানের কারণে। সেদিন বিশ্ব নেতৃত্বের একক ক্ষমতা ওয়াশিংটন থেকে জেরুজালেমে চলে যাবে এক ঘোষণায়, যেমনটি গিয়েছিল ক্ষমতা লন্ডন থেকে ওয়াশিংটনে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ব্রেটনউডস কনফারেন্সে ঘোষণার মাধ্যমে। এ ব্যাপারে কাজ তারা এগিয়ে রেখেছে। ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কে দিয়ে জেরুজালেমকে ইসরাইল রাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছে এবং জেরুজালেমের আশপাশের এলাকা গুলো ক্রমশ দখল করা হচ্ছে। ইহুদিদের প্রায় সকল ক্ষেত্রে ক্ষমতা বর্তমান থাকার কারণে এবং অস্ত্র বলে অর্থ ও বাণিজ্য বিহীন হঠাৎ বিপন্ন পৃথিবীকে একক শাসনাধীনে নিয়ে আসতে পারে ইহুদিরা । সেদিন স্বর্ণ ও রৌপ্য যার ঘরে থাকবে সে ই কেবল দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করতে পারবে। এ কারণে যখনই ডলারের মূল্য পড়ে যায় আর স্বর্ণের দাম বেড়ে যায় তখনই ভয় হয় এই বুঝি এলো রে!! অতএব, সাধু সাবধান! “

কোন দেশ, আমেরিকাকে নাখোশ করে ক্ষমতা হারানো সহ বিভিন্ন অবরোধের মাধ্যমে পঙ্গু হয়ে যাবে- এটা কোন সরকারেরই কাম্য নয়।

রাজনীতিতে টিকে থাকা এবং গদির লোভে কেউ ইসরাইলের বিরুদ্ধে কথা বলে না। কোন একক ব্যক্তি ( উন্নত দেশ ব্যতীত) আমেরিকার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে- নিজের প্রাণটি হারাতে চান না।

চেয়ারম্যান সাহেব অনেক দরদী, এলাকার কল্যাণে ঠিকমত ঘুমাতেও পারেন না। তাঁর মত বিশাল হৃদয়ের মানুষ দ্বিতীয়টি নেই। তাঁর বিরুদ্ধে একটি কথা বলুনতো দেখি, আপনার ঘাড়ে কয়টি মাথা।

এটি- একটি বিশাল অর্থনীতির রাজতৈতিক খেলা। মধ্যপ্রাচ্যের জাত ভাইয়েরাও আমেরিকার দালালী করে। কারণ কী? কারণ টিকে থাকা, কারণ অর্থনীতি, কারন রাজনীতি।

ধন্যবাদ।


Leave a Comment:

Login to comment