কবিতায় ফিলিস্তিন
Posted on: 2021-05-18 18:41:39 | Posted by: MD Bayzid
মা,আমি শহীদ হয়ে গেছি
মা, ও মা
আমি যে শহীদ হয়ে গেছি।
তুমি যে আমাকে চুমু দিচ্ছো,
জড়িয়ে ধরছো আমার সাদা কাফনসহ আমাকে;
তুমি জানো মা!
তুমি কাকে চুমু দিচ্ছো!
তুমি চুমু দিচ্ছো এক শিশুকে,
যার রক্ত মিশে গেছে বদর,উহুদ,কারবালার রক্তের সাথে।
যে দেখছে পৃথিবীর সেই শহীদদের,
যাদের দুটো হাত কাটা হয়েছে,দুটো পা কাটা হয়েছে।
মা,এমন কি তাদের মাথাও শরীর থেকে আলাদা করা হয়েছে!
তুমি কি জানো মা!
তাঁরা এখন হাসছে,
তাঁরা আমাকেও হাসতে বলছে।
কিন্তু, তুমি যে কান্না করছো মা!
কেন কাঁদো মা!
যেখানে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকাই কষ্টকর,
সেখানে না হয় আমি মরেই গেছি।
বরং মৃত্যুই তো সুখ আমাদের কাছে!
মা,যেখানে তুমি বড় হয়েছো যুদ্ধ দেখে,
তোমার শৈশব, কৈশোর,সারাটা জীবন
এই যুদ্ধের ধূলিতে আচ্ছন্ন।
সেখানে আমি শৈশবই পাড় হতে পারলাম না!
তাই বলে তুমি কাঁদছো মা!
কত ফুল তো শৈশবেই ঝরে পড়ে,
তাই বলে কি তারা ফুল নয়?তারা কি সুবাস ছড়ায় না!
মা,আমি তো জান্নাতি ফুল।
মা,তোমার এই অশ্রু একটা সত্য কথা বলছে,
চোখের অশ্রু কখনো মিথ্যা হতে পারে মা!
অশ্রু যে সত্য কথা বলে!
এখানে মা
প্রেম ভালোবাসা, আবেগ,বিশ্বাস মিশে থাকে।
পৃথিবীর সব জল শুকিয়ে যায়,
কিন্তু অশ্রু কি শুকায় মা!
তা যে সত্য কথা বলে!
তোমার অশ্রু বলছে,
আমাদের এই কষ্ট থাকবে না,
আমাদের এই কান্না, চিৎকার থাকবে না।
যে কান্নায় আরশ কেঁপে ওঠে,
সে কান্না তো মা মিথ্যা না!
মা,তুমি আর কেঁদো না।
অশ্রুর ফোঁটা আর রক্তের ফোঁটা কত দামি!
তুমি জানো মা!
রক্তের ফোঁটা মাটিতে পড়ার আগেই মাটি কেঁপে ওঠে,
এই ফিলিস্তিনের মাটি এখন কাঁপছে, মা!
তার প্রতিটি ধূলিকণা কাঁপছে!
আর অশ্রুর ফোঁটা হাতে পড়ার আগেই তো
তা আরশের কাছে চলে যায়,তারা সেখানে গুনগুন করে।
মা,তুমি কি দেখো না!
বৃষ্টির ফোঁটা দুনিয়াতে পড়ে,
আর অশ্রু আরশে ধরে!
মা,তোমার অশ্রু তো ঐ মহান রবের কাছে,
যিনি আমাকে শহীদ বলে কবুল করেছেন।
মা,তুমি আর কেঁদো না।
কিন্তু মা,তুমি আমাকে আরো কয়েকটা চুমু দাও,
যা আমি জান্নাতে বসেও খুব খুব অনুভব করবো,
যতক্ষণ না তুমি আমার কাছে আসো,
এই শহীদ শিশুর কাছে আসো।
----- মো. জাহিদ শিকদার।