অনলাইন
বেচাকেনার উৎসব বিবেচিত বার্ষিক সিঙ্গেল ডে পালিত হয় চীন সহ সারা বিশ্বে।
সিঙ্গেল ডের প্রথম ঘণ্টাতেই প্রায় ৮৩ কোটি টাকার পণ্য
বিক্রি করেছে
চীনের জায়ান্ট আলিবাবা। এ দিনে বিক্রি বাড়াতে পণ্যে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে থাকে
কম্পানিগুলো। ফলে সস্তায় পণ্য নিতে ক্রেতারাও
অনলাইন জগতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
আলিবাবা
জানায়, বিক্রি শুরুর প্রথম ঘণ্টায় তারা প্রায় ৬৯ বিলিয়ন ইউয়ান (৯.৯২
বিলিয়ন ডলার) পণ্য বিক্রির অর্ডার পান, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে
২১
শতাংশ বেশি। গত বছরের সিঙ্গেল ডেতে প্রথম ঘণ্টায় বিক্রি হয় ৫৭ বিলিয়ন
ইউয়ান। সিঙ্গেল ডেকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন বিক্রির ইভেন্ট।
গত
বছর আলিবাবা ওই দিনে মোট বিক্রি করে ১৬৮ বিলিয়ন ইউয়ান (২৪.১৫ বিলিয়ন
ডলার)। এমনকি ২৪ ঘণ্টার প্রথম মিনিটেও বিপুল বিক্রির রেকর্ড করা হয়।
কম্পানির
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জ্যাক মার অধীনে এটাই হবে আলিবাবার সর্বশেষ
বার্ষিক বিক্রির ইভেন্ট। কারণ আগামী বছর বর্তমান সিইও ডানিয়েল ঝ্যাংগ
চেয়ারম্যানের
দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এ বছর আলিবাবার বিক্রি ভালো হলেও শেয়ারবাজারে দরপতন
ঘটেছে ১৬ শতাংশ। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য যুদ্ধে
অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণেই শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটেছে বলে কম্পানি জানায়। এ মাসের শুরুতে আলিবাবা জানায়, বড় মাপের পণ্য বিক্রি কমবে,
যা
বার্ষিক রাজস্বে প্রভাব ফেলবে। এ খবরে কিছুটা চিন্তিত হন বিনিয়োগকারীরাও।
আলিবাবা জানায়, এ বছর তাদের সিঙ্গেল ডে ইভেন্টে এক লাখ ৮০ হাজার
ব্র্যান্ড অংশগ্রহণ করছে।
কেবল চীন নয়, যুক্ত রাষ্ট্র সহ অনেক দেশে এই সিঙ্গেল ডে পালিত হয় । বাংলাদেশে দারাজ সহ সকলে এই সিঙ্গেল ডে পালন করে থাকে।
২৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রূপগঞ্জে কারখানা তৈরির উদ্যোগ
রাজধানীর
লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উদ্যোক্তারা বলেন, প্রথমবারের
মতো বাংলাদেশে জার্মানির গাড়ি তৈরি ও মেরামত কারখানা চালু হতে যাচ্ছে। এতে
থাকবে গাড়ী ম্যানুফ্যাকচারিং, রিম্যানুফ্যাকচারিং, মোডিফিকেশন ও
রিপেয়ারিং সুবিধা। এ সময় তারা নতুন এই ব্যবসায়ী উদ্যোগের পরিকল্পনা তুলে
ধরেন।
প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় জার্মান ও বাংলাদেশ যৌথভাবে পরিবেশবান্ধব এই কারখানা করবে ।
জাপান বাংলাদেশ গ্রুপ, প্রধান গ্রুপ,
জার্মান অটো ও একে রেস্টোরেশন এ্যান্ড কার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি। কারখানার পাশেই থাকবে গাড়ির মালিক ও সেবাগ্রহণকারীদের
রাত্রিযাপন এবং বিনোদনের ব্যবস্থা।
সংবাদ
সম্মেলনে জানানো হয়, গাড়ি প্রদর্শনীর জন্য কারখানার পাশেই স্থাপন করা হবে
শোরুম ‘কারওয়ার্ল্ড।’ ক্রেতা দর্শনার্থীদের জন্য এই শোরুম খোলা
হবে প্রতিদিন সকাল ৯টায়। এ ছাড়াও থাকবে রেস্টুরেন্ট, ক্লাব, মুভি থিয়েটার। থাকবে অত্যাধুনিক রিলেক্সিং প্লেস।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গাড়ি তৈরির এই প্রকল্পে প্রথম কিস্তিতে
৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। এতে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ১২০০ মানুষের। দ্বিতীয় কিস্তিতে বিনিয়োগ করা হবে আরও ১৭৫০ কোটি টাকা।
বিশ্বের অন্যতম প্রধান ডিজিটাল মানি ট্রান্সফার কোম্পানি Worldremit বাংলাদেশে জানিয়েছে তাদের সেবার মাদ্যমে এখন যে কেউ বিদেশ থেকে
বাংলাদেশে সরাসরি টাকা পাঠাতে পারবেন।
এই সেবা
ব্যবহার করার জন্য গ্রাহকরা ওয়ার্ল্ড রেমিট এর অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার
করতে পারবেন। সারা বিশ্বের ১৪৫ টিরও বেশি দেশে বসবাসরত প্রবাসী
বাংলাদেশীরা এখন ওয়ার্ল্ড রেমিট সেবা ব্যবহার করে বাংলাদেশে দ্রুত ও নিরাপদে টাকা পাঠাতে পারবেন।
ব্রাক ব্যাংকের ১৫ লাখ ব্যাংক গ্রাহক তাদের একাউন্টে দেশের ১৮৬টি ব্র্যাক ব্যাংক ব্রাঞ্চ ও ৩০টি এসএমই অফিস এবং সাথে বিকাশের তিন কোটি মোবাইল একাউন্টে
সরাসরি টাকা পাঠাতে পারবেন।
ওয়ার্ল্ড রেমিটের মোবাইল-ফার্স্ট নামক ডিজিটাল মডেল ব্যবহার করায় গ্রাহককে টাকা পাঠানোর জন্য কোনো এজেন্টের কাছে যেতে হবে না।
আরও পড়ুন
তাই টাকা পাঠানোর জন্য গ্রাহকের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।
ওয়ার্ল্ড রেমিটের সাহায্যে প্রেরিত এ অর্থ গ্রাহকরা তাদের বিকাশ একাউন্ট থেকে অন্য বিকাশ একাউন্টে পাঠাতে, মোবাইলে রিচার্জ করতে, বিল পরিশোধ ও কেনাকাটা করতে পারবেন। গ্রাহকরা বিকাশ এজেন্টের নিকট থেকে নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন অথবা তাদের বিকাশ একাউন্টে জমা রাখতে পারবেন।
প্রতি বার টাকা পাঠাতে খুব সামান্য টাকা খরচ হবে।
এছাড়াও আপনি Xpress Money network সাপোর্টেড নিচের ব্যাংক গুলি থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন :
Agrani Bank Limited
Bangladesh Krishi Bank
Bank Asia Limited
First Security Islami Bank Limited
Islami Bank Bangladesh Limited
Janata Bank Limited
National Bank Limited
Pubali Bank Limited
Rajshahi Krishi Unnayan Bank
Rupali Bank Limited
Sonali Bank Limited
Southeast Bank Limited
United Commercial Bank Limited
Uttara Bank Limited
আমদানি ব্যবসার চেয়ে রপ্তানি ব্যবসা করা সবচেয়ে লাভজনক। অনেকেই আছেন যারা আমাকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন কিভাবে রপ্তানি করতে হবে।
কোথায়
থেকে রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন। আজকের পোষ্টে আপনাদের আমি বিস্তারিত বলার
চেষ্টা করবো। তবে এর আগে রপ্তানি ব্যবসা আপনাদের কিছু
সাধারণ ধরনা নিয়ে
নিতে হবে। যেমন কিভাবে রপ্তানি লাইচেঞ্চ করতে হবে। কিভাবে টিন, ভ্যাট ,
ট্রেড লাইচেঞ্চ করতে হবে। আসা করি এই বিষয়টা নতুন
করে বলতে হবেনা।
রপ্তানি করার প্রথম ধাপ
রপ্তানি
করার প্রথম ধাপে আপনি একটি রপ্তানি লাইসেন্স করতে হবে। কিভাবে রপ্তানি
লাইসেন্স করতে হবে তা নিয়ে আমাদের বিস্তারিত পোষ্ট আছে দেখে নিতে পারেন।
এর পরও একটু লিখলাম ।
রপ্তানি লাইসেন্স ফি কত টাকা ??
সরকার
রপ্তানি করার জন্য রপ্তানিকারকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে। কারন
রপ্তানি কারীরা দেশের জন্য প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকেন।
এজন্য সরকার রপ্তানী লাইসেন্স ফি করা বাবদ আপনার থেকে মাত্র ৮০০০/- টাকা নিবে। * ১৫% ভ্যাট চালান প্রযোজ্য।
কতদিন লাগবে আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স করতে?
আমি আগের পোস্টে বলেছিলাম যদি দ্রুত করতে চান তবে কাউকে দিয়ে আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স করিয়ে নিতে। কারন আপনি নিজে আমদানি
রপ্তানি লাইসেন্স করতে গেলে অনেক সময় লাগবে। তবে কাউকে দিয়ে করালে ৩ থেকে ৫ দিন সময় লাগতে পারে। বা বেশীও লাগতে পারে।
এক্ষেত্রে আপনি যাকে দিয়ে কাজটি করাবেন তার সাথে ভালো ভাবে কথা বলে নিবেন।
দ্বিতীয় ধাপ
আসা করি রপ্তানি লাইসেন্স করা শেষ। এবারের কাজ হল পি আই
প্রদান করা। আপনার থেকে বায়ার যে পণ্য আমদানি করতে চায় তার একটা পি আই
তৈরি করে নিন।
পি আই কি কিভাবে পি আই করতে হবে এসব নিয়ে বিস্তারিত আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে দেখে নিতে পারেন।
পি আইতে সাধারনত প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা থাকে, পন্যের বিবরণ ইত্যাদি
থাকে। সেলারের ঠিকানা এবং তাদের ইনভয়েস নাম্বার পি আই তে খুবই জরুরি ৷
কেননা আপনি যখন এলসি করবেন তখন ইনবয়েস নাম্বারটি দিতে হবে। পি আই এর তারিখ অর্থাৎ, কোন তারিখে PI ( Proforma Invoice )
টি
ইস্যু করা হয়েছিলো । তবে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ফরমেটে PI ( Proforma
Invoice ) টি তৈরি করে থাকে । কিন্তু তথ্য মোটামুটি একই রকম ।
পি
আই তে আপনি আপনার কোম্পানির সিল দিয়ে সাইন করে দিবেন। এই পি আই নিয়ে বায়ার
যখন তার ব্যাংক এ যাবেন তখন তারা এল সি ওপেন করতে পারবে।
তৃতীয় ধাপ
এবারের কাজ হল আপনি যে ব্যাংকের সুইফট কোড দিয়ে পি আই বানিয়েছিলেন সেই ব্যাংক এ গিয়ে যোগাযোগ করা। তাদের বলতে হবে যে আপনার বায়ার
আপনার কোম্পানির নামে একটি এলসি ইস্যু করেছে।
ওরা আপনাকে একটি এল সি কপি দিবে। আর একটা EXP ফর্ম দিবে। এই EXP ফর্ম এ আপনি যে
পণ্য রপ্তানি করবেন তার বিস্তারিত থাকবে। ব্যাংক আপনাকে এলসির টাকা দিয়ে দিবে। ডলার কনভার্ট করতে কিছু খরচ নিবে।
চতুর্থ
এবারের
কাজ হল পণ্য রপ্তানি করা। ঢাকা এয়ারপোর্ট অথবা চট্টগ্রাম বন্দর যেকোনো
পোর্ট দিয়েই পণ্য রপ্তানি করেন না কেন আপনাকে সি এন্ড এফ নিজুক্ত করতে
হবে। C&F মানে Custom clearing and forwarding agent. এই প্রতিষ্ঠান গুলি রপ্তানি পন্যের কাষ্টমস প্রসিডিউর সম্পন্য করে সরকারী
ট্যাক্স প্রদানে রপ্তানীকারককে সহযোগীতা করে ৷ এরা সরকার কতৃক বিশেষ লাইসেন্স প্রাপ্ত ৷
আরও পড়ুন
কত টাকা ট্রান্সপোর্ট ফি
সাধারণত রপ্তানি করতে খরচ একটু কম আমদানির
চেয়ে। একটা ২০ ফিট ফুল কন্টেনার ভাড়া করতে আপনাকে ৮০০ থেকে ৯০০ ডলার
লাগবে। আর বিমানে প্রতি কেজি
৪-৫ ডলার লাগবে।
সরকারকে কত ট্যাক্স দিতে হবে
রপ্তানি
করতে সরকারকে কোন ট্যাক্স দিতে হয়না। উপরন্তু কিছু পণ্য আছে জেগুলো
রপ্তানি করতে পারলে সরকার আপনাকে ভর্তুকি দিবে। ১০০ কোটি টাকার পণ্য
রপ্তানি
করতে আপনাকে ৪-৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
পঞ্চম ধাপ
এবারের কাজ হল আপনার সকল কাগজ পত্র যেমন ইনভয়েস, পি আই, প্যাকিং লিস্ট, বি
এল ইত্যাদি ব্যাংক এ জমা দেয়া। ব্যাংক থেকে এসব কাগজ পত্র বিদেশে
আপনার বায়ারের কাছে পাঠিয়ে দিবে। তারা এসব কাগজ পত্র দিয়ে পণ্য বন্দর থেকে ছাড়িয়ে নিবে।
আপাদত
সংক্ষিপ্ত ভাবে এটাই হল রপ্তানি প্রক্রিয়া। আপনার যদি আরও বেশী কিছু জানার
থাকে তবে কমেন্ট করতে পারেন। আমারা প্রত্যেকটি কমেন্ট এর উত্তর
দেয়ার চেষ্টা করবো।
মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়ার কর্মসূচি ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে (এমএম২ এইচ)’ অংশ নেওয়া ৩ হাজার ৭৪৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে ২৫০ জন সেখানে
বাড়িও কিনেছেন। ওই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা যেমন তৃতীয় অবস্থানে আছেন, তেমনি বাড়ি কেনার ক্ষেত্রেও একই অবস্থানে তাঁরা।
অনেক আগে মালয়েশিয়া সরকার ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে (এমএম২ এইচ)’ নামে একটি কর্মসূচী হাতে নেয় । এতে ৩ হাজার ৭৪৬ জন বাংলাদেশি
আবেদন করেছিল। এদের মধ্যে ২৫০ জন সেখানে বাড়িও কিনেছেন। মালয়েশিয়া সরকারের প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। তবে এই কর্মসূচিতে
চীন ও যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক লোক সেখানে বাড়ি কিনেছেন।
তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হল বাংলাদেশ সরকারের মতে এদেশ থেকে বৈধভাবে অর্থ নিয়ে মালয়েশিয়ায় বাড়ি কেনার কোনো সুযোগ নেই।
ফলে মালয়েশিয়ায় যাঁরা সেখানে বাড়ি কিনেছেন, তাঁরা মূলত টাকা পাচার করে এসব বাড়ি ক্রয় করেছেন ।
মালয়েশিয়া
সরকার ২০০২ সালে ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে (এমএম২ এইচ) কর্মসূচি চালু
করে। এর কর্মসূচির আওতায় যে কেউ মালয়েশিয়ার ব্যাংকে একটা নির্দিষ্ট
পরিমাণে অর্থ জমা রেখে অন্য দেশের একজন নাগরিক দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি বসবাস ও অন্যান্য সুবিধা পান। তাঁরা সেখানে বাড়িও কিনতে পারেন।
মালয়েশিয়ায়
দ্বিতীয় নিবাস কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন দেশের মোট ৪ হাজার ৪৯৯ জন নাগরিক
বাড়ি কিনেছেন। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন চীনের নাগরিকেরা।
এসব টাকা
কারা পাচার করছেন, তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন সংস্থা অনুসন্ধানের ঘোষণা দিলেও
কার্যত কোনো ফল দেখা যায়নি। এমনকি বাংলাদেশে বিভিন্ন
মেলায় অংশ নিয়ে এবং পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন দেশে নাগরিকত্ব নিতে আগ্রহীদের খোঁজা হয়।
দুর্নীতিবিরোধী
সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী
পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকার চাইলে মালয়েশীয় সরকারের সঙ্গে
সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশিদের তথ্য পেতে পারে। কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এটা দুঃখজনক।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া
জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনে সই করেছে। এর আওতায় তথ্য চাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
আজকে আইডিয়াতে আমি বাংলাদেশের একটি প্রচলিত বিজনেস আইডিয়া শেয়ার করব । আজকে যে আইডিয়াটি শেয়ার করব তা হলো আচারের বিজনেস। আচার একটি লোভনীয় খাবারের নাম । বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রয় আনেক দেশে এর ব্যপক জনপ্রয়তা রয়েছে । আজকের পর্বে আপনাদের সাথে হোমমেড আচার বিজনেস সম্পর্কে আলোচনা করব। বাংলাদেশে আনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা আচার তৈরি করে কিন্তু তাদের আচার নানা কারনে মানুষ এখন পচন্দ করচে না । এর মুল কারন হলো সেগুলো বেজাল এবং আনেক নিন্মমানের । বাংলাদেদেশে আচারের প্রচুর সম্ভবনা রয়েছে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ এখন আচারের সাথে পরিচিত । এ বিজনেসটি করতে আপনাকে তেমন বেশি মুলধনের প্রয়োজন হবে না। এবং আপনি চাইলে আনেক আল্প সময়ে এ বিজনেসটিতে গো করতে পারবেন । বর্তমানে আনেক আইটেমের আচার রয়েছে আপনি চাইলে প্রথম আবস্থায় ১০ থেকে ১৫ আইটেমের আচার তৈরি করতে পারেন । আপনি প্রতি আইটেমে থেকে ১৮% থেকে ২০% পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন ।
কিভাবে শুরু করবেন :
আচার
বিজনেস শুরু করতে হলে আপনাকে প্রথমে আপনার আচারের তৈরিতে বাস্তব আবিজ্ঞতা
আর্যন করতে হবে । আপনি প্রথম আবস্থায় আপনার আচারের একটি ব্যন্ড নাম দিতে
পারেন । প্রথম আবস্থায় আপনি আপনার বাড়িতে দিয়ে শুরু করতে পারেন । আর আপনি
যদি নারী উদ্যক্তা হন তাহলে আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট ।
তৈরি করন :
বর্তমানে
বাংলাদেশে অনেক আইটেমের আচার রয়েছে । তবে আপনি চেষ্ট করবেন ভালো মানের আচার
তৈরি করতে । আপনার আশে পাশে এরৃপ এনেক প্রতিষ্ঠন থাকলে তাদের থেকে দেখে
আসতে পারেন । বর্তনামানে অনলাইনে আনেক টিওটোরিয়াল রয়েছে যারা আচার তৈরির
প্রশিক্ষন দিয়ে থাকে ।
আভিজ্ঞতা :
আপনাকে ভালো মানের অবিজ্ঞতা থাকতে হবে । আপনানি যদি আভিজ্ঞ না হন তাহলে
কারো কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন । আপনি আচার তৈরির পরে কাউকে খাওয়ান যদি সে
ভালো বলে তাহলে আপনি বুঝবেন আপনি ভালো আচার তৈরি করতে পারেন।
বাজারজাত
করন : বর্তমানে আনেকে আচার প্লাস্টিক বোতলে করে বাজারে ছাড়ছে আমি আপনাকে
বলবো প্লাস্টিকের বোতলে আচার বেশি ভালো দেখাবে না তাই আপনি কাচের বোতল
ব্যবহার করবেন এতে আচার আনেক বেশি ভালো আকর্ষনীয় দেখাবে এবং কাস্টমারের
আপনার পোডাকটির প্রতি আনেক আকর্ষনীয় হবে ।
আচার
তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদান : যেহুতু আপনি হোমমেড আচার তৈরি করবেন তাই আপনার
সমস্ত উপকরন আপনার ঘরে রয়েছে । তাছাড়া আপানার যদি বড় কড়াই বড় চামচ না থাকে
তাহলে আপনি তা কিনে নিতে পারেন ।
আর আচার
তৈরি: আপনি যে আচার তৈরি করবেন তা আগে সংগ্রহ করতে হবে । এর পর অন্যন্য
উপাদান সংগ্রহ করবেন । এগুলো আপনি আপনার পাশে যে কোন বাজার থেকে পেয়ে যাবেন
। চেষ্ট করবেন আপনার আচারটি বেজাল মুক্ত করতে এবং কাস্টমারের আকর্ষনীয় করে
গড়ে তুলতে ।
বিক্রয় : বর্তমানে এই লোভনীয় খাবার বিক্রয় করতে আপনাকে তেমন ঝামেল করতে হবে না । বর্তমানে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে বিক্রয় আপনি বিক্রয় করতে পারেন আপনি প্রথমে ফেসবুক পেজ তৈরি করতে পারেন এবং সেখানে আপনার আচারের নাম এবং এর গুনাগুন এবং এর বিক্রয় মুল্য লিখে রাখতে পারেন । এবং সেটির মধ্যমে আপনি বিক্রয় করতে পারেন । তাছাড়া আপনি যদি মনে করেন আপনি দোকান দিয়ে বিক্রয় করবেন তা ও করতে পারেন তবে চেষ্ট করবেন আপনার দোকানটি যেন যনকীর্ন এলাকায় হয় ।
মুলধন: আপনার প্রথমিক আবস্থায় তেমন বেশি মুলধন এর প্রয়োজন হবে না । আপনি যদি প্রথমি আবস্থায় ১০ থেকে১২ আইটেমের আচার তৈরি করেন তাহলে আপনাকে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা ইনবেস্ট করতে হবে। এচড়া আপনার আচারে বিজনেসটি যখন বেশি প্রসারতা লাভ করবে তখন আপনি আরো বেশি ইনবেস্ট করতে হবে।
লাভ লোকসান : এ বিজনেসটিতে আাপনি প্রথম আবস্থায় তেমন বেশি লাভ করতে পারবেন না । কারন প্রথম আবস্থায় আপনার লক্ষ থাকতে হবে কাস্টমার আকর্ষন । পরে আপনার আচারটি যখন মর্কেটে ভালো ভাবে প্ররিচিত হবে তখন আপনি এর থেকে ভালো মানে লাভ করতে পারবেন । আপনি প্রতিটি আচার আইটেম থেকে ১৫% থেকে ২০% পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন। তো এভাবে আপনি যদি আপনার ব্যবসা এভাবে চালিয়ে নেন তাহলে আপনি খরচ বাদে প্রতি মাসে ইজিলি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন । তবে আয় আপনার বিক্রয় উপর নির্ভর করে কম বেশি হতে পারে। আজকের এই পর্বটি অনুপেরনামুলক আপনি বিজনেসটি শরু করলে এর খুটিনাটি সব দেখে বুঝেশুনে শুরু করবেন । আজকের পর্ব এই পর্যন্তই আমাদের পোস্টি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেইন ভিউ প্রধান কার্যালয়ের পাশেই একশ’ কোটি ডলার মূল্যে নতুন জমি কিনেছে গুগল।
গুগলের এক প্রতিনিধি নতুন কার্যালয়ের জন্য জমি কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । তবে এ নিয়ে বেশী কথা বলতে রাজি হননি ওই ব্যক্তি। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গুগলের নতুন কেনা জমির আয়তন এখনকার গুগলপ্লেক্স প্রধান কার্যালয়ের জমির চেয়ে বড়।
এই বছর যুক্তরাষ্ট্রের বে এরিয়াতে গুগলের কেনা এই জমিটি সবচেয়ে বড় জমি। আর এ বছর দেশটিতে জমি ক্রয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম ঘটনা এটি। প্রস্তাবিত ট্রানজিট ভিলেজ বানাতে ইতোমধ্যে স্যান হোসেতেও সম্পত্তি কেনা শুরু করেছে সার্চ জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি। আর মাউন্টেইন ভিউ, সানিভেল, ডাউনটাউন স্যান হোসে এবং উত্তর স্যান হোসেতে জমি কিনতে অন্তত ২৮৩ কোটি মার্কিন ডলার খরচের কথাও জানিয়েছে গুগল।
আপনারা অনেকেই জানেন যে ভ্যাট সার্টিফিকেট ছাড়া বাণিজ্যিক ভাবে আমদানি করলে জরিমানা গুনতে হয়। আবার আধুনিক কালে ভ্যাট সার্টিফিকেট ছাড়া ব্যবসা বাণিজ্য করা একদম অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আজকে আমি দেখাবো কিভাবে ভ্যাট সার্টিফিকেট করতে হয়? ভ্যাট সার্টিফিকেট নিয়ে আপনাদের বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো। পোষ্ট শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরধ রইলো।
প্রথমে বলবো ভ্যাট সার্টিফিকেট প্রাপ্তির জন্য যে সব কাগজপত্র প্রয়োজন
* ভ্যাট সাটিফেকেট প্রাপ্তির জন্য সরকার কর্তক প্রনীত নিদিষ্ট ফরম (মুসক-৬)
* দুই কপি সত্যাইয়িত ছবি ।
* টিআইএন সার্টিফিকেট।
* ট্রেড লাইসেন্স।
* ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট।
অনেক গুলি ব্যবসার একটি ভ্যাট সার্টিফিকেট কিভাবে করবেন?
উৎপাদন পর্যায় তথা কারখানা ব্যতীত অন্যান্য ব্যবসা যেমন আমদানীকারী , রপ্তানীকারী বা সরবাহরকারী, কর যোগ্য সেবা প্রদানকারী যেমন হাসপাতাল, পার্লার অথবা সেবা রপ্তানীকারী প্রতিষ্ঠান যদি একই স্থান হতে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং হিসাব নিকাল ও রেকর্ড পত্র কেন্দ্রীয়ভাবে সংক্ষন করলে উক্ত ব্যবসার পরিচালনা করার জন্য আপনি কেন্দ্রীয়ভাবে একটা ভ্যাট সার্টিফিকেট নিলেই হবে ।
কেন্দ্রীয়ভাবে ভ্যাট নিবন্ধনের জন্য কার বরাবরে আবেদন করতে হবে ?
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, রাজস্ব ভবন , ঢাকা বরাবরে আবেদন করতে হয়।
কেন্দ্রীয়ভাবে ভ্যাট নিবন্ধনের জন্য আবেদনের সঙ্গে কি কি দলিলপত্র থাকতে হবে ?
কেন্দ্রীয়ভাবে ভ্যাট নিবন্ধনের জন্য নিন্মোক্ত দলিলপত্রাদি থাকতে হবে ,
১.মুল্য সংযোজন কর সনদপত্রের অনুলিপি ( যদি না থাকে )
২. মুল্য সংযোজন কর নিবন্ধনের জন্য আবেদন ( মুসক -৬) যদি না থাকে ।
৩. টি . আই . এন সনদপত্র এর অনুলিপি।
৪. কর পরিশোধ সনদপত্র।
৫ . কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের অধীন ইউনিট সমুহের মানচিত্র।
৬ . কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের অধীন ইউনিট সমুহের ট্রেড লাইসেন্স এর অনুলিপি ( ফটোকপি )।
৭. কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের অধীন ইউনিট সমুহের ভাড়া চুক্তি বা মালিকানা দলিলের অনুলিপি।
৮. ব্যবসা সংঘ স্মারক এবং সংঘবিধি বা পরিমালার নিয়ামাবলীর সত্যায়িত অনুলিপি ।
আরও পড়ুন
কেন্দ্রী নিবন্ধনপত্র প্রদান
এভাবে আপনি আবেদন করার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ আদেশ জারী করে আদেশ বর্নিত শর্তাদি পালন সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় নিবন্ধন ব্যবস্থায় মুসক কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ প্রধান করে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় দপ্তরকে ঐ আদেশে বর্নিত ঠিকানায় কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের দেওয়া আদেশ জারী করে এবং উক্ত আদেশের সর্বোচ্চ দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিভাগীয় দপ্তর করদাতাকে নিবদ্ধন ফরম প্রধান করবে ।
উৎপাদন ব্যবসার নিবন্ধন
উৎপাদন ব্যবসার নিবন্ধন নিতে আপনাকে নিচের বিষয় গুলি উপস্থাপন করতে হবে।
*
উৎপাদনস্থলে বা ব্যবসা স্থলের আঙ্গন , প্লান্ট . যন্ত্রপাতি বা ক্রয় -
বিক্রয় বা মজুদযোগ্য পন্য ও এর উপকরনের বিষয়ে একটি ঘোষনা পত্র।
* ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেট এবং স্মারক সংঘ এবং বিধি (কোম্পানীর ক্ষেত্রে)
* বাড়ি ভাড়া চুক্তিপত্র অথবা মালিকানা দলিল (ফটোকপি)
* কারখানা নকশা ( কারখানার ক্ষেত্রে )
ভ্যাট সার্টিফিকেট প্রাপ্তিতে কি পরিমান ফি দিতে হয় ?
ভ্যাট সার্টিফিকেট প্রাপ্তির জন্য কোন প্রকার ফি এর প্রয়োজন নেই ।এটি সরকার ফ্রিতেই করে দিবে।
আরও পড়ুন
কিভাবে ভ্যাট সার্টিফিকেট নবায়ন করবেন?
বানিজ্যিক আমদানিকারকগনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক বছর একবার ভ্যাট সার্টিফিকেট নবায়ন করতে হয় ( মুসক ৬ (ক) ফরম , বিধি ১১ ক অনুসারে ) । তবে বানিজ্যিক আমদানিকারক গন ভিন্ন অন্যান্যদের ক্ষেত্রে ভ্যাট সার্টিফিকেট নবায়ন করার কোন প্রয়োজন নেই ।
কোন অফিস হতে ভ্যাট সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হয়?
কতগুলো এলকা নিয়ে একটা মুসক বিভাগ গঠিত হয় । কোন এলাকার জন্য ভ্যাট সার্টিফিকেট প্রপ্তির জন্য আবেদন এবং প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াদি ঐ নিদিষ্ট বিভাগে সম্পন্ন করতে হয় । তবে কোন বিভাগের আওতার কোন কোন এলকা রয়েছে এই বিষয়ে কোন চুড়ান্ত তালিকা এখোনো প্রকাশ করা হয়নি ।
আপনার আসে পাশে খোঁজ নিলেই দেখবেন অনেক রাজস্ব অফিস আছে তাদের থেকেই এই ভ্যাট সার্টিফিকেট করে নিতে পারবেন।
পোষ্ট টি শেয়ার করার অনুরধ রইলো । ভালো থাকবেন সবাই।
চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের নভেম্বর মাসে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে রেকর্ড পরিমাণ কনটেইনার ওঠানামা হয়েছে । সংখ্যায় এই পরিমাণ দুই লাখ ৬৫ হাজার
একক । এই পরিমাণ বন্দরের ইতিহাসে কনটেইনার ওঠানামায় সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে। এর আগে চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে দুই লাখ ৫৯ হাজার একক
কনটেইনার ওঠানামার রেকর্ড করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর। আর গত মার্চ মাসে রেকর্ড ছিল দুই লাখ ৫৪ হাজার একক।
কনটেইনার
ওঠানামার বিদ্যমান যন্ত্রপাতি ও টার্মিনাল-জেটি দিয়েই এর আগে রেকর্ড গড়েছিল
বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর নভেম্বর মাসে রেকর্ড গড়ার কারণ হচ্ছে কনটেইনার
ওঠানামার আধুনিক নতুন ছয়টি যন্ত্র ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ যুক্ত হওয়া।
চট্টগ্রাম
বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহন) গোলাম সারোয়ার কালের কণ্ঠকে বলেন,
‘নতুন ছয়টি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন যুক্ত করে বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার
টার্মিনাল
(এনসিটি) সচল হওয়ায় কম সময়ে বেশি কনটেইনার ওঠানামা সম্ভব হয়েছে। এতেই কনটেইনার ওঠানামায় নতুন রেকর্ড গড়েছে। এতে বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে;
আমরা প্রবৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।’
জানা গেছে,
দীর্ঘদিন ধরে নতুন জেটি ও টার্মিনাল চালু না হওয়া; কনটেইনার ও পণ্য
ওঠানামায় নতুন যন্ত্র যোগ না হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি
সামাল
দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। জেটি খালি না থাকায় জাহাজগুলোকে পণ্য নিয়ে বহির্নোঙরে বাড়তি সময় অলস বসে থাকতে হতো। এতে প্রতিদিন জাহাজের
আকারভেদে আট থেকে ১২ হাজার ইউএস ডলার ক্ষতি গুনতে হতো ব্যবসায়ীদের। এ নিয়ে বন্দর ব্যবহারকারীদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়লেও তা আশ্বাসের
মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
জানা গেছে, চলতি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দুই লাখ ৪৩ হাজার একক কনটেইনার ওঠানামা হয়। এরপর ফেব্রুয়ারিতে তা কমে দুই লাখ ২১ হাজার
এককে উন্নীত হয়। সর্বশেষ মার্চ মাসে দুই লাখ ৫৪ হাজার একক ওঠানামা করে আগের সব রেকর্ড ছাড়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর জুলাই মাসে দুই লাখ
৫৯ হাজার একক কনটেইনার ওঠানামা করে নতুন রেকর্ড গড়ে। নভেম্বর মাসে সেই রেকর্ডও ছাড়ায়।
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল, চিটাগাংয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট গিয়াস উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন,
‘পণ্য ওঠানামার ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি সামাল দেওয়া ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
নির্ধারিত সময়ে গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অন্য যন্ত্রপাতি যুক্ত করা, অচল গ্যান্ট্রি ক্রেন সচল করা,
নতুন টার্মিনাল নির্মাণ দ্রুত করার অনেক উদ্যোগ বর্তমান চেয়ারম্যান নেওয়ায় ব্যবহারকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। এখন সেটি ধরে রাখতে হবে।’
ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে চান অনেকেই । আপনি যদি লাইচেঞ্ছ দিয়ে আমদানি করতে চান তবে সকল প্রকার পণ্য
ভারত থেকে আমদানি করতে পারবেন। আজকের পোষ্টে আমি লেখার চেষ্টা করবো ভারত থেকে আমদানি পণ্য তালিকা। তবে
কিছু পণ্য আছে যেসব পণ্য ভারত থেকে আমদানি করা নিষেধ। আজকের ভারত থেকে আমদানি পণ্য তালিকায় আমি আপনাদের
সাথে ভারত থেকে নিষিদ্ধ আমদানি পণ্য তালিকা দেয়ার চেষ্টা করবো।
ভারত থেকে আমদানি পণ্য তালিকা
শাম্পু, সিনে, থটিক ডিটারজেন্ট বেজড, টয়লেট সোপ, সিরামিক তৈজসপত্র, মিল্ক পাউডার এন্ড ক্রিম পাউডার, লজেন্সেস, থ্রিপিস
লুঙ্গি,
জুতা, পাঞ্জাবী, জামস (ফ্রুট প্রিজার্ভস) , এন্ড জেলীস, সয়াবিন অয়েল,
চিনি, ফ্রট জুসে, চীপস , মধু, সস্, সফ্ট ড্রিংস, ইন্সটান্ট নুড
এডিবল সানফ্লাওয়ার অয়েল, টুথপেষ্ট, লিপস্টিক, আফটার সেভ লোশন , কার্বনেটেড বেভারেজেস, জামাকাপড় , পেন্সিল, বল পেন ইত্যাদি।
এছাড়া মেয়েদের সকল আণ্ডার গার্মেন্টস, ছেলেদের সকল প্রকার আণ্ডার গার্মেন্টস, থ্রি পিস, কুর্তা, শেরওয়ানী সহ সকল জামা কাপড়।
ভারত থেকে নিষিদ্ধ আমদানি পণ্য তালিকা
চিংড়ি
মাছ আমদানি নিষিদ্ধ, পপি সীড ও পোস্তা দানা আমদানি নিষিদ্ধ, ঘাস এবং ভাং
আমদানি নিষিদ্ধ, আফিম আমদানি নিষিদ্ধ, ঘন চিনি আমদানি নিষিদ্ধ
কৃত্তিম সরিষার তেল আমদানি নিষিদ্ধ ।