eibbuy.com
কাস্টমস ট্যাক্স কেন দিবেন ? কিভাবে দিবেন ?

যারা আমদানি রপ্তানির ব্যবসার সাথে জড়িত তারা কাস্টমস ট্যাক্স নিয়ে কম বেশী সবাই জানেন। অনেকেই আছেন বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে  প্রায় সবাই কাস্টমস ট্যাক্স নিয়ে ঝামেলায় পড়েন। আসলেই কি কাস্টমস ট্যাক্স ঝামেলা। না কাস্টমস ট্যাক্স কোন ঝামেলা নয়। সরকার কাস্টমস ট্যাক্স দিয়ে দেশের উন্নয়ন করে থাকে। বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে কাস্টমস ট্যাক্স বড় ভুমিকা রাখে।


দেশের উন্নয়নে কাস্টমস ট্যাক্স খুব বেশী কাজে আসে। কিন্তু মানুষ সব সময় ভাবে কাস্টমস ট্যাক্স অনেক বেশী রাখে। আসলে কাস্টমস ট্যাক্স বেশী না।
আমাদের যে কোন পণ্য আমদানি করতে অবশ্যই আগে কাস্টমস ট্যাক্স জেনে নিতে হবে। সরকার যত ধরনের পণ্য আছে সব কিচুরই একটা কাস্টমস ট্যাক্স নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমদের আমদানি করার আগেই এই কাস্টমস ট্যাক্স জেনে নিতে হবে। প্রত্যেকটা পণ্য আমদানি করতে সরকার নির্ধারিত  কাস্টমস ট্যাক্স দেয়ার ফর্ম দেয়া হয় এবং সেটাকে এসেসমেন্ট পেপার বলে। আপনি যখন কাস্টমস ট্যাক্স পরিশোধ করবেন তখন আপনাকে কাস্টমস ট্যাক্সের  সাথে একটা এসেসমেন্ট পেপার দেয়া হবে।

সেখানে বিস্তারিত দেয়া থাকবে আপনার আমদানি পণ্যের মোট কাস্টমস ট্যাক্স কত আসলো। কাস্টমস ট্যাক্স বলতে একটা সামস্টিক বিসয়কে বুঝায়। কাস্টমস ট্যাক্সে যোগ হয় আমদানি পণ্যের অবগরি শুল্ক, ভ্যাট, ট্যাক্স, অ্যাডভাঞ্চ ইনকাম ট্যাক্স ইত্যাদি। এছাড়া আমরা  চাইলেই নিজেরা নিজেদের পণ্যের কাস্টমস ট্যাক্স দিতে পারিনা। সে জন্য আমাদের সহযোগিতা নিতে হয় কাস্টমস ক্লিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের। তারা কাস্টমস ট্যাক্স দেয়ার সাথে সাথে তাদের কমিশন বাবদ কিছু টাকা এই কাস্টমস ট্যাক্সের সাথে যোগ করে থাকে। 


কাস্টমস ট্যাক্স নিয়ে ঢাকা এয়ারপোর্ট, চট্টগ্রাম সি পোর্টে, বেনাপোল ল্যান্ড পোর্টে যদি কোন ঝামেলায় পড়েন তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।

আমরা সকল কাস্টমস ট্যাক্স ক্লিয়ারিং কাজে সকল প্রকার সহযোগিতা করে থাকি। 
বিস্তারিত
কিভাবে করবেন ভেকু মেশিনের ব্যবসা ? Excavator Business

ভেকু মেশিন বা Excavator এর সাথে সুমনের পরিচয় বেশি দিনের নয়। ভেকু মেশিনের ব্যবসার (Excavator Business) সাথে কখনো নিজেকে জড়াবে তাও সে কল্পনাতেও ভাবেনি। রিজিকের মালিক আল্লাহ। আমরা যেভাবে ভাবি, তার চাইতেও ভালো ভাবনা আল্লাহ আমাদের জন্য ভেবে রাখেন। সুমনের রিজিকের বরকত ভেকু মেশিনের ব্যবসার (Excavator Business) সাথে জড়িয়ে দিয়েছেন, সফলতাটা সুমন নিজের আগ্রহ, কর্মনিষ্ঠা দিয়ে গড়ে নিয়েছে। গ্রামে টিউশনি করে সুমন দিন পার করতো। একবার এক ছাত্রের বোনের বিয়ের দাওয়াতের জন্য অন্য এক গ্রামে গিয়ে দেখতে পায় ভেকু মেশিন (Excavator) দিয়ে পুকুর কাটা হচ্ছে। ভেকু মেশিনের (Excavator) কাজ সে এক দেখার মতো ব্যাপার। এক এক থাবাতে দশ পনেরো জন লেবারের মাটি তুলে ফেলে। ভেকু মেশিন (Excavator) দিয়েই আবার মাটি সমান করার কাজও করা যায়। দুপুরের সময়ে ভেকু মেশিনের (Excavator) ড্রাইভার খাবারের বিরতিতে, সুমন তার সাথে আলাপ করে ভেকু মেশিনের ব্যবসার (Excavator Business) অনেক কিছুই সে জানতে পারে। তার গল্পটা দিয়েই আমাদের আজকের টপিক "ভেকু বা Excavator মেশিনের ব্যবসা (Excavator Business)"

ভেকু মেশিনের (Excavator) টেকনিকেল ব্যাপার গুলো বলার আগে জেনে নিই সুমন কিভাবে ভেকু মেশিনের ব্যবসায় (Excavator Business) সফলতা পেলো। দাওয়াত খেয়ে এসে সুমন অলসতায় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সফলতার স্বপ্ন না দেখে, খোঁজ নিয়ে ফেললো এলাকায় কে বা কারা ভেকু মেশিন (Excavator) ভাড়া দেয়। যেহেতু ভেকু মেশিন (Excavator) হেভি মেশিনারিজ এর ব্যবসা, তাই এলাকার হেভি ওয়েট লোকেরাই এর সাথে জড়িত থাকে। সুমন খোঁজ পেলো এলাকার রাজনৈতিক এক হেভি মেশিনারিজ এর ব্যবসায়ির সাথে। উনি মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দিয়ে থাকেন। ভেকু মেশিনের (Excavator) ভাড়াও আবার নির্ধারিত হয় মেশিনের বিভিন্ন পয়েন্টের সাইজের উপর। 3 point, 4.5 point, 5 point, 7 point এই রকম।

Point 3 এর একটি Excavator বর্তমানে ভাড়া হচ্ছে প্রতিমাসে ১,৫০,০০০ টাকা, শুধুমাত্র গাড়ির বডি ভাড়া। এটার ট্রান্সপোর্টেশন, তেলের খরচ, ড্রাইভার এন্ড হেল্পার চার্জ এবং তাদের খাওয়া দাওয়ার খরচ আলাদা। সুমনের হিসেব করে দেখলো ভেকু মেশিনের (Excavator) ড্রাইভার এবং হেল্পার তাদের পিছনে খরচ হতে পারে প্রায় ২০,০০০ টাকা। কাজের পরিধি অনুযায়ি ভেকু মেশিনে (Excavator) তেলের খরচ আনুমানিক ৫০,০০০ টাকা। শুকনো মৌসুমে ভেকু মেশিন ট্রান্সপোর্টেশনে ঝামেলা খুব একটা নেই, মেশিনটি চালিয়ে নিয়ে আসা যায়। এলাকায় লেবার দিয়ে একটা পুকুর কাটাতে লেগে যায় প্রায় অর্ধ মাস, লেবারের পিছনে খরচও অনেক, শ্রমও অনেক।

গল্পে গল্পে আমরা কিন্তু চলে যাচ্ছি আয় ব্যয়ের হিসেবে। যেহেতু সুমনের গ্রামে ভেকু মেশিনের (Excavator) সাহায্যে পুকুর কাটা বিষয়টি একেবারেই নতুন, তাই সুমন প্রথমে Experimental Promotion করলো। কাস্টমারকে ফ্রিতে বুঝতে দেয়া বা অভিজ্ঞতা দেয়া যে ভেকু মেশিনের (Excavator) সার্ভিস কেমন। নিজ বাড়ি সংলগ্ন প্রায় ১৫ শতক জায়গায় সুমন ভেকু মেশিন (Excavator) দিয়ে একটা পুকুর কেটে ফেললো। সময় লাগলো মাত্র দেড় দিন। মানুষ মাত্র দুই জন (ভেকু মেশিনের ড্রাইভার ও হেল্পার)। একদিন ১০ ঘন্টা, পরের দিন ৭ ঘন্টা। তার কাজ দেখে পাশের জমির লোকও ভাড়া করে ফেললো।  প্রতি ঘন্টা সুমন ভাড়া দিলো ১,৫০০ টাকা করে। এর ভিতরই ভেকু মেশিনের তেলের খরচ। ভেকু মেশিনের ড্রাইভার ও হেল্পারের খাওয়া দাওয়ার খরচ যে ভাড়া নিয়েছে তার। যার পুকুর যত বড় তার ঘন্টা হিসাবও বেশি। এভাবে সুমন প্রথম মাসেই মেশিনে কাজ করালো ২০ দিন, প্রতিদিন ১০ ঘন্টা করে ২০ দিন ভেকু মেশিনে আয়, ১,৫০০ টাকা প্রতি ঘন্টা X ২০০ ঘন্টা (২০ দিন, ১০ ঘন্টা করে ) = ৩,০০,০০০/- টাকা। শুধু মাত্র ৭ কি ৮ দিন মেশিনটি বিরতি দিয়ে বসে ছিলো, কেউ ভাড়া করেনি বলে।  আর যদি ভাড়া পাওয়া যেতো তাহলে ভেকু মেশিনে আয়ের হিসেবটাও বুঝতেই পারছেন।

মাস শেষে ভেকু মেশিন (Excavator) এবং ভাড়া বাবদ সুমনকে ফেরত দিতে হলো ১,৫০,০০০ টাকা। ভেকু মেশিনের (Excavator) তেল ও ড্রাইভার হেল্পারের মজুরি সহ অনুমানিক ৫০,০০০ টাকা দেয়ার পর তার হাতে থাকলো ১,০০,০০০/-, সেই সাথে নিজের একটা পুকুরও কাটা হলো। সেই পুকুরটিও আবার পাঁচ বছরের জন্য আরেকজনকে মাছ চাষের জন্য লাগিদ বা লিজ দিয়ে দিলো ৫০,০০০/- টাকায়। সন্ধ্যা থেকে রাত পূর্বের টিউশনি তো আছেই। শুধুমাত্র মাস্টার সুমন থেকে এখন গ্রামে সে পরিচিত মাস্টার ব্যবসায়ী নামে। আগে চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে ভাবা লাগতো কি করা যায়, এখন চা দোকান ছাড়াও অনেকেই চা খেতে দাওয়াত করে, মাস্টার ব্যবসায়ীর কি আর সেই সময় হয় ! হেভি মেশিনারিজের ব্যবসার সাথে থাকলে সময়েরও মূল্য হেভি হয়ে যায় ভাই।   

এখন নিশ্চই আপনারা জানতে চাচ্ছেন এই ভেকু মেশিনের দাম দর কি রকম, কোথায় পাওয়া যায় বা মেশিন অপারেট শিখতে কতদিন সময় লাগতে পারে? অসংখ্য এই সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে ভিজিট করুন  B2B Website ওয়েবসাইট। এছাড়াও আরও জানতে পারবেন কোন দেশ থেকে ভেকু মেশিন আমদানি করা ভালো, কোন সাইজের মেশিনের দাম কেমন। এছাড়া B2B Website সাথে কন্টাক্ট করতে পারেন, নিজ ব্যবস্থাপনায় তারাই সহযোগিতা করবে মেশিন ক্রয়ে।

B2B Website কাছেও ভেকু কিনতে বা ভাড়া পাবেন। যদি ঠিকঠাক প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করা যায় বর্তমান সময়ে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে এই ভেকু মেশিনের ব্যবসা একটি অন্যতম। যোগাযোগ রক্ষা করে ধর্য্য ও সততার সাথে এই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারলে সাফল্য নিশ্চিত। 

যা বলছিলাম কোন সাইজের ভেকু মেশিনের দাম কেমন। বাংলাদেশে কিন্তু রিকন্ডিশন মেশিন গুলোই আসে। ব্র্যান্ড নিউ মেশিনের দাম জেনে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। রিকন্ডিশন দেখেই কিনে নিন। B2B Website ওয়েবসাইটে পাবেন বিভিন্ন সাইজের ভেকু মেশিনের দাম।

একটি পয়েন্ট থ্রি ভেকু মেশিন বা 3 Point Excavator এর দাম ২০-৩০ লক্ষ টাকা। বডি ভাড়া পড়বে মাসে ১,৫০,০০০ টাকা।
একটি পয়েন্ট ফাইভ ভেকু মেশিন বা 5 Point Excavator এর দাম ৩৫-৪৫ লক্ষ টাকা। বডি ভাড়া পড়বে মাসে ১,৮০,০০০ টাকা।
একটি সিক্স পয়েন্ট ফাইভ ভেকু মেশিন বা 6.5 Point Excavator এর দাম ৫০-৬৫ লক্ষ টাকা। বডি ভাড়া পড়বে মাসে ২,২২,০০০ টাকা।
একটি সেভেন পয়েন্ট ফাইভ ভেকু মেশিন বা 7 Point Excavator এর দাম ৭০-৮৫ লক্ষ টাকা। বডি ভাড়া পড়বে মাসে ২,৫০,০০০ টাকা।

বর্তমানে ভেকু মেশিনের ব্র্যান্ড হিসেবে সুপরিচিত CAT এবং VOLO, তবে এর পাশাপাশি অন্যব্র্যান্ড গুলোও খারাপ না, তাই অন্য গুলোও কিনতে পারেন দামেও অনেক কম পাবেন। B2B Website ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এর ভেকু মেশিন সম্পর্কে বিস্তারিত।

বিশ্বের ১০ টি সেরা ভেকু মেশিন কোম্পানি

1. Volvo CE

Volvo Construction Equipment, a subsidiary of Swedish car maker Volvo, develops, manufactures and sells equipment for construction related industries. It is one of the world’s most popular excavator companies. Volvo excavator brands are built with responsive advanced hydraulics. Their fit systems are versatile for “easy bucket and tool change out”. Volvo CE says its crawler excavator is designed to deliver long lasting performance, strength, power and unrivaled fuel efficiency.

2. Caterpillar Inc.

Caterpillar Inc., which is headquartered in Illinois, United States, ranks highly in the list of the world’s biggest excavator manufacturers, commanding a substantial share of the global excavator manufacturing industry. The company owns Bucyrus RH400, a front shovel excavator that holds the title of the world’s largest excavator. The excavator machine weighs around 980 tons. Caterpillar excavator brands are widely said to be durable and easy to maintain. They include the latest technology and safety features and are used for all kinds of projects.

3. Komatsu

Japanese multinational Komatsu is the world’s second largest manufacturer of construction and mining equipment after Caterpillar. Headquartered in Minato, Tokyo, Japan, the company is named after the city of Komatsu, Ishikawa Prefecture, where it was founded in 1921. Komatsu manufactures technologically advanced excavators with built-in 3D GPS systems and other technology features. The company is quite popular for its excavator range – from mini excavators to the more powerful large mining excavators. Komatsu diggers are among the best excavator brands in the world.

4. Doosan

Doosan Infracore Company is a Korean multinational largely engaged in the manufacture and supply of heavy construction equipment. The company is globally renowned for its high-performance excavators, wheel loaders, articulated dump trucks, compact loaders, and mini-diggers. Doosan is renowned for its crawler excavators built mainly for loading, lifting, digging, scrap handling, and mass excavating.The excavators are popular for their explosive excavating force, great performance, high fuel efficiency, and convenient control.

5. Hitachi

Hitachi Construction Machinery Company specializes in the production, sales, and servicing of a diverse range of construction and transportation machinery. Founded in 1970 as a subsidiary of Hitachi Group, the Japanese company is renowned for its wide range of machinery, including mini and large excavators. Hitachi excavator brands are designed to deliver top performance, versatility and fuel efficiency at minimum overheads.

6. JCB

JCB, the brand name for Joseph Cyril Bamford Excavators Ltd., is a European company that produces construction, demolition, and waste handling equipment.   Headquartered in Rocester, Staffordshire, JCB was established in 1945 by British businessman Joseph Cyril Bamford, after whom it is named. The company is owned by the Bamford family. Although JCB is known more for its backhoes and telehandlers in the US market, the company manufactures full-size and compact excavators. It offers 12 compact excavator models: from the 1.8-ton 18Z-1 to the 10-ton 100C-1. While the JCB compact excavators are generally used in a wide range of construction applications, machines in the 1.8- to 4-ton range are mostly used in landscaping jobs and are a popular choice for rental fleet managers.

7. Liebherr Group

Liebherr Group is a top supplier of heavy equipment in Europe. The German company, which was founded by Hans Liebherr in 1949, produces a wide range of highly popular excavators – making it a leading excavator company. Liebherr’s LTM 11200-9.1 is perhaps the most powerful mobile crane ever built. The company also boasts the longest telescopic boom in the world, which spreads fully to 100 meters. The appliance is fixed on a double cab truck and can lift 1200 metric tons.

8. Deere & Company

Headquartered in Moline, Illinois, Deere & Company is an American firm that produces a range of construction, agricultural, and forestry machinery under the John Deere brand. Founded in 1837 by American blacksmith and manufacturer John Deere, Deere & Company is one of the world’s most popular excavator manufacturers. Since the 188,716-lb. John Deere 870G LC was presented to the market with its 31 ft. 5 in. digging depth, the machine quickly gained reputation as the largest Deere excavator to date. John Deere excavators are renowned for ease of service and low cost maintenance.

9. Hyundai Heavy Industries

South Korea-based Hyundai Heavy Industries offers a range of powerful excavator models armed for nearly any digging, lifting and loading application – including restricted roadways, major structural projects, mass excavations, heavy-duty mining, scrap handling and more. Hyundai’s range of excavators that include compact (mini) excavators, crawler excavators, and wheeled excavators is renowned for speed, hydraulic power, and precision control.

10. Case CE

Case Construction Equipment, popularly known as Case, is a brand of heavy construction equipment from CNH Industrial, a global leader in heavy machinery manufacturing business. Case produces a range of heavy machinery including excavators, wheel loaders, crawler dozers, compact track loaders, and motor graders. Case excavators are renowned for power, durability and flexibility.

বিস্তারিত
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে লাভজনক ২০ টি উৎপাদন ব্যবসার আইডিয়া

উৎপাদন একটি দেশের বা পৃথিবীর মুল চালিকা শক্তি।  বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা খাত হিসাবে উৎপাদন ব্যবসা অন্য ব্যবসার চেয়ে এগিয়ে। যে কোন দেশের অর্থনীতির জন্য উৎপাদন ব্যবসা একটি বড় যানবাহনের মত। পৃথিবীর যে সকল দেশকে শক্তিশালী অর্থনীতি ও শিল্প উন্নত হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সে সকল দেশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে উৎপাদন ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। উদাহরণস্বরূপ, কৃষি শিল্প যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল ও অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য উৎপাদন শিল্পের উপর নির্ভরশীল।

উৎপাদন ব্যবসা বর্তমান সময়ের সবচে লাভজনক ব্যবসা হলেও সঠিক স্থানে বিক্রি করতে না পারা এবং সঠিক সময় বিক্রি করতে না পারা বা বড় বড় উৎপাদন ব্যবসায়ীদের জন্য পন্যের সঠিক দাম না পাওয়ার কারনে কিছু উৎপাদন ব্যবসায়ীরা লোকশানের সমুখীন। এ সব উৎপাদন কারী ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার জন্য আমাদের B2B Website  বা বাংলাদের সবচে বড় অনলাইন পাইকারী বাজারে রুপান্তর করা হয়। যাতে সকলে খুব সহজে বাংলাদেশের সবচে বড় অনলাইন পাইকারি বাজার  B2B Website এ খুব সহজে ক্রয় ও বিক্রয় কর‍তে পারে। আজকের পর্বে ২০ টি বর্তমান সময়ের সবচে লাভজনক উৎপাদন ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি  চাইলে এ সব আইডিয়া থেকে বাছাই করে উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

★১. শিশুদের খেলনা উৎপাদনঃ

বাচ্চারা এখন খেলনা অনেক বেশী পছন্দ করে থাকে। আমরা যতই আধুনিক হয়ে উঠতেছি আমাদের বাচ্চারা ইনডোর খেলা ধুলার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠতেছে । বর্তমানে  আমাদের দেশে অধিকাংশ খেলনা বিদেশ থেকে আসে। যদি আপনি একটি উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে শিশুদের খেলনা উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসায় লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশী। এ ব্যবসার চাহিদা সব সময় সমান। তবে ব্যবসাটি ভালো ভাবে  শুরু করতে হলে আপনাকে আনেক বেশি ইনবেস্ট করতে হবে।

ছোটদের কাছে খেলনার চেয়ে ভালো উপহার আর হয় না। বেশিরভাগ খেলনাই তৈরি হয় প্লাস্টিক দিয়ে। আপনিও তৈরি করতে পারেন। আশপাশের দোকানে সরবরাহ করে করতে পারেন আয়। প্লাস্টিক দিয়ে যেসব খেলনা তৈরি করা হয় তার মধ্যে গাড়ি, পুতুল, বল, প্লেন, পিস্তল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব খেলনা তৈরির পদ্ধতিও বেশ সহজ।

প্লাস্টিকের খেলনা সহজে ভাঙে না। কম দামেই পাওয়া যায় ছোটখাটো খেলনা। দামে সস্তা রঙিন প্লাস্টিকের খেলনা গ্রাম ও শহরের বাচ্চাদের কাছে সমান জনপ্রিয়। উন্নতমানের প্লাস্টিক দিয়ে খেলনা তৈরি করতে পারলে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। ২৫-৩০ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে ছোট আকারে প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির ব্যবসা শুরু করা যায়।

দরকার প্রশিক্ষণ

প্লাস্টিকের খেলনা তৈরি শেখার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। এ জন্য সবচেয়ে ভালো হয় বড় কোনো কারখানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলে। প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির ব্যবসা করে এমন কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছেও শেখা যায়।

যা যা লাগবে

স্থায়ী উপকরণ লাগবে স্ট্যাম্প মেশিন, যার দাম পড়বে ২৫০০-২৬০০ টাকা। আরো লাগবে পাঁচটি ডাইস, দাম ৬০০০-৬১০০ টাকা; টেবিল দুটি ১০০০-১১০০ টাকা, হাতপাম্প মেশিন তিনটি ৬০০-৬৫০ ও ফাইলিং মেশিন একটি ১০০০-১১০০ টাকা। মোট খরচ হবে ১১১০০-১১৫৫০ টাকা। কাঁচামাল হিসেবে লাগবে মারলেস পাউডার ১৫০ পাউন্ড ৩৯০০-৪০০০ টাকা, এল গাথেন পাউডার ৬০ পাউন্ড ১৫০০-১৬০০, পিপি পাউডার ৩০ পাউন্ড ৭৫০-৮০০, রিপিট ৩০ কেজি ৭৫০-৮০০, ব্যাগ বা প্যাকেজিং ১০ পাউন্ড ২৮০-৩০০, রশি তিন বান্ডিল ১০৫-১১৫, চায়না রং (লাল, নীল, রুপালি) ২০০ গ্রাম করে ৯০-১০০ টাকা। কাঁচামাল বাবদ মোট খরচ হবে ৭৩৪৫-৭৭১৫ টাকা। হার্ডওয়্যার ও রাসায়নিক দ্রব্য বিক্রির দোকানে পাওয়া যাবে এসব কাঁচামাল।

সাবধানতা

পুরান ঢাকার খেলনা তৈরির কারিগর সুমন মিয়া জানান, প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির সময় সাবধান থাকতে হবে যেন বিভিন্ন উপকরণ নাকে-মুখে না লাগে। এ জন্য মুখে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস্ বা দস্তানা ব্যবহার করা উচিত। যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময় অনেক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।

লাভের পরিমাণ

স্থায়ী যন্ত্রপাতির অবচয় (ক্ষতি) বাবদ খরচ হবে ১০-১৫ টাকা। কাঁচামাল বাবদ খরচ ১১১০০-১১৫০০ টাকা, ঘরভাড়া বাবদ খরচ ৪০০০-৪৫০০ টাকা, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য ১৫০০-১৬০০ টাকা। মোট খরচ হবে ১৬৬১০-১৭৬১৫ টাকা।

উল্লিখিত পাউডারের পরিমাণ দিয়ে ২৮৭ গ্রোস খেলনা তৈরি করা সম্ভব। প্রতি গ্রোস খেলনার পাইকারি দাম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। খেলনা বিক্রি করা যাবে ২৫০ থেকে ৪০৫০ টাকা। খরচ বাদে লাভ হবে ২৫ থেকে ২০৩৫ টাকা। সময় ও স্থানভেদে লাভ কমবেশি হতে পারে।

★ ২. বৈদ্যুতিক বাল্ব ও ফিটিংস উৎপাদনঃ

বর্তমান বৈদ্যুতিক বাল্ব ও ফিটিংস একটি নতুন বাসস্থানের একটি গুরুত্ব  পূর্ন উপাদান  । এর প্রয়োজনীয়তা সব সময় সমান থাকে।  তাই বৈদ্যুতিক বাল্ব ও ফিটিংসের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বৈদ্যুতিক বাল্ব ও ফিটিংসের একটি বিশাল বাজার রয়েছে। এটি এমন একটি ব্যবসা যা সহজেই ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে পারে। যদি আপনার উৎপাদন সৃজনশীল হয়ে থাকে তাহলে আপনি সহজেই এই ব্যবসায় সফল হতে পারেন। তবে ভালো পরিমানে লাভ করতে হলে অনেক বেশি ইনবেস্ট করতে হবে।

★ ৩.  প্লাষ্টিক বোতল উৎপাদন:

খাদ্য, পানীয়, কেমিক্যাল সহ অনেক শিল্পে প্লাষ্টিক বোতলের প্রয়োজন হয়। যদি আপনি খাদ্য, পানীয় অথবা কেমিক্যাল শিল্পে বোতল সরবরাহ করতে পারেন তাহলে আপনি সহজেই এই ব্যবসায় সফল হতে পারেন। তবে যদি আপনি ছোট পরিসরে শুরু করতে চান তাহলে আপনি পানির  জার বোতল, প্লাস্টিকের জগ,মগ,বানাতে পারেন। ব্যবসাটি শুরু করার আগে এই ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত  ভাবে জেনে শুনে বুজে নিতে হবে।

★ ৪. হাড্রোলিক  টাইলস উৎপাদন:

 বর্তমান সময়ে অফিস, বাড়ী ইত্যাদির সামনের  সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে হাড্রোলিক টাইলসের চাহিদা অপরিসীম। এ ছাড়া রাস্তার পাশে বা দোকানের সামনে এর চাহিদার ব্যপকতা লাভ করছে। এ ব্যবসাটি শুরু করতে তেমন বেশী ইনভেস্ট ও তেমন বেশী যায়গার প্রয়োজন হবে না। তবে  ব্যবসাটি শুরু করতে চাইলে যেনে বুজে ও বিস্তারিত ধারনা নিয়ে শুরু করবেন।

★ ৫. ব্যাগ উৎপাদন:

পৃথিবীর যে কোন পেশার মানুষের ব্যাগ এর চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে  রয়েছে স্কুলব্যাগ, হাত ব্যাগ, ফ্যাশন ব্যাগ, সরঞ্জাম ব্যাগ, ক্যামেরা ব্যাগ ইত্যাদি । ব্যাগ এর চাহিদা প্রয় সব সময় সমান।  আপনি এ সব চাহিদা কথা চিন্তা করে  ব্যাগ উৎপাদন ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। তবে এ ব্যবসায় আপনার বড় মূলধন হলে আপনার সৃজনশীলতা যা এ ব্যবসায় আপনাকে সফলতা এনে দিবে।

★ ৬. ঝাড়ু  উৎপাদন ব্যবসাঃ

দেশে প্রতিদিন পরোক্ষ বা পতোক্ষ ভাবে  ঝাড়ুর চাহিদা রয়েছে। এ ব্যবসার লাভ করা খুব সহজ।  এ ব্যবসাটি শুরু করতে হলে আপনাকে ভালো মানের শলা সংগ্রহ  করতে হবে। আপনি বিভিন্ন ঝাড়ু তৈরি করে পাইকারি  বিক্রি করতে পারেন, যেমনঃ ঘর পরিস্কার করার, উঠান পরিস্কার করা সহ আরো ইত্যাদি। তবে এ ব্যবসায় আপনার সৃজনশীলতা থাকতে হবে।

★ ৭. নিজস্ব ব্যান্ডের বিদ্যুৎতিক সিলিং ফ্যান  উৎপাদনঃ

আপনি যদি বড় আকারে এবং ইন্ডাস্ট্রি আকারে  ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এ ব্যবসাটি হতে পারে আপনার জন্য একটি আদর্শ ব্যবসা। এ ব্যবসাটি শুরু করতে হলে আপনাকে  ফ্যানের কিছু যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে যেমনঃ মোটর, কেপাসিটার,। এ ছাড়া বাকি যন্ত্রপাতি আপনি নিজে তৈরি করতে পারবেন। এ ব্যবসাটি শুরু করার পূর্বে অবশ্যই বিস্তারিত যেনে শুনে বুঝে মার্কেট প্লেস তৈরি করে শুরু করবেন। তবে টেকনি হিসাবে আপনার আশে পাশের বিল্ডিং কন্টাক্টর এর সাথে যোগাযোগ রাখবেন। যাতে তারা আপনার সিলিং ফ্যান সেই বিল্ডিং এ বিক্রির ব্যবস্থা করে দেয়।

★ ৮.  নিজস্ব ব্যান্ডের ( dc) টেবিল ফ্যান উৎপাদন

বর্তমানে চার্জিং টেবিল ফ্যানের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। শহর থেকে গ্রামে এর জনপ্রিয়তা বেশী। এটি সাধারনত কারেন্ট গেলে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া সৌর সোলার ব্যাটারির ফ্যান উৎপাদন করতে পারেন। তবে ভালো মানের ফ্যান উৎপাদন করতে হলে কিছু যন্ত্রপাতির বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। এ ছাড়া  আপনার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে লোকাল ভাবে এ সব ফ্যান উৎপাদন করে ভালো মানের আয় করতে পারেন।

★ ৯.  মোবাইল পাওয়ার ব্যাংক উৎপাদনঃ

আপনি যদি ইলোক্ট্রনিক আইটেম উৎপাদন করে ব্যবসা করতে চান তাহলে পাওয়ার ব্যাংক উৎপাদন হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা। এ ব্যবসা ব্যাটারি চার্জ হয়ার জন্য একটি সার্কিট এবং ব্যাটারি লাগবে যদি ভালো মানের পাওয়ার ব্যাংক উৎপাদন করতে চান তাহলে এগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করতে পারেন। এ ছাড়া কাভার আপনি খুব সহজে পেয়ে যাবেন। ভালো বিক্রির জন্য ওয়ারেন্টির ব্যবস্থা রাখতে পারেন।

★ ১০. কাস্টমাইজ গিপ্ট তৈরি

আমরা নানা কারনে এবং নানারকম বিষয়কে কেন্দ্র   গিপ্ট নেওয়া দেওয়া পছন্দ করি। কিন্তু সবাই চায় তার গিপ্ট যেন অন্যের চেয়ে আলদা হয়। তাই আপনি এ সুযোগেকে কাজে লাগিয়ে শুরু করতে পারেন কাস্টমাইজ গিপ্ট তৈরি ব্যবসা। এ ব্যবসায় আপনার বড় মূলধন হলো আপনার সৃজনশীলতা। যার মধ্যে আপনার ব্যবসায় সফলতা নির্ভর করে।

★ ১১. প্লাস্টিকের পুতুল উৎপাদন

প্লাস্টিকের বা কাপড়ের পুতুল উৎপাদন করে পাইকারী বিক্রি করে ব্যবসা করতে পারেন। এ ব্যবসাটি শুরু করতে হলে আপনার সৃজনশীলতা থাকতে হবে। তা না হলে এ ব্যবসায় সফলতা আসা খুব কঠিন।

★ ১২. বিভিন্ন গাছের বনসাই উৎপাদন

বাড়িতে রুম বা বারান্দার সৌন্দর্য বাড়াতে এর গুরুত্ব অত্যধিক। বর্তমানে  শহরে এর চাহিদা ব্যপক। এ চাহিদার কথা চিন্তা করে বনসাই উৎপাদন এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন


★ ১৩. হস্তশিল্পের ব্যবসা

হস্তশিল্পের ব্যবসা করে আপনি পচুর  পরিমানে আয় করতে পারে। হস্তশিল্পের মধ্যে আপনি উৎপাদন করতে পারেন ১. নকশী কাথা ২. নকশা করা বেড় শিট ৩. নকশা করা জামা ৪. শীতল পাটি ৫. পাপশ সহ আরো আনেক কিছু। তবে উৎপাদন এর ক্ষেত্রে আপনার আশেপাশের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হবে।


★ ১৪. পেপার কাপ উৎপাদন

বর্তমানে চা এর দোকানে ওয়ান টাইম কাপ হিসাবে পেপার কাপ এর চাহিদা অনেক। তা ছাড়া চা এর মেশিনে এ ধরনের কাপ ব্যবহৃত হয়। তাই আপনি এ সব চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে শুরু করতে পারেন পেপার কাপ উৎপাদন ব্যবসা।


★ ১৫.  প্লাস্টিকের স্যান্ডেল জুতা উৎপাদন 

বাসা বাড়িতে প্লাস্টিকের স্যান্ডেল জুতার ব্যপক প্রচলিত। প্লাস্টিকের স্যান্ডেল উৎপাদন করে ব্যবসা করতে আপনার তেমন বেশী পুজির প্রয়োজন হবে। আপনি প্রথম আবস্থায় ম্যনুয়াল মেশিন দিয়ে শুরু কর‍তে পারেন। জুতা তৈরির মেশিন পাইকারী দাম সম্পর্কে যানতে এখানে ক্লিক করুনঃ


★ ১৬. কাজের শপিং ব্যাগ উৎপাদন

প্রতিটি কাপড় বা মোবাইল বা অন্যন্য দোকানে শপিং ব্যাগ পন্য কাস্টমারকে দিতে শপিং ব্যাগ ব্যবহৃত  ।  সল্প পরিমানে পন্য কাস্টমারকে প্যাকেট কিরে  দেওয়ার জন্য কাগজের সপিং ব্যাগ ব্যবহৃত হয়।

★ ১৭. কয়েল উৎপাদন

মশা তাড়ানোর জন্য কয়েল এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। শীত মৌসুমের তুলনায় গরম মৌসুমে মশার কয়েলের ব্যবহার অনেক বেশি। বর্তমানে মশার কয়েল তৈরি করে এরকম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে আপনার পন্য ভালো মানের হলে আপনার ব্যবসায় সফলতা আসবে।

★ ১৮.  কলম উৎপাদন

কলম এমন একটি পন্য যা সব সময় ব্যবহার করা হয়। এ ব্যবসায় কম পুজিতে অধিক লাভ করা যায়। এ ব্যবসার বড় সমস্য হলো দেশে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের কলম অনেক উন্নত মানের এবং তারা যে দামে বিক্রি করছে সে কলম আপনি সেই দামে বিক্রি করতে খুব কষ্ট সাধ্য। কারন তারা বেশি পরিমানে উৎপাদন কিরে।  তাই তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যবসা করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। এর পরেও লোকাল মার্কেটে বিক্রি করে ভালো পরিমানে লাভ করতে পারবেন।  কলম  তৈরির মেশিন পাইকারী দাম সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

★ ১৯. ব্লক ইট উৎপাদন

প্রযুক্তির উন্নয়ন এর ফলে মাটি পোড়া দিয়ে তৈরি করা ইট এর পরিবর্তে ব্লক ইট এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পোড়া ইটের তুলনায় ব্লক ইট আনেক টেকসই এবং খরচ তুলনামুলক ভাবে কম। তবে ব্লক ইট যেহেতু নতুন তাই এর চাহিদা সব স্থানে সমান নাও হতে পারে। ব্লক ইট তৈরির মেশিন পাইকারী দাম সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন ।

★ ২০. কাঠের ফার্নিচার উৎপাদন

প্রযুক্তির উন্নয়ন এর ফলে কাঠের ফার্নিচার তৈরিতে মানুষ এখন প্রযুক্তির দারাস্ত হয়েছে। বর্তমানে সিএনসি রাউটার মেশিন এর সাহায্যে খুব কম সময়ে নিখুঁত ডিজাইন করা এবং নিখুঁত  ভাবে ফার্নিচার তৈরি করা খুব সহজ হয়েছে।  এ ব্যবসাটি শুরু করতে হলে আপনাকে বেশি পরিমানে ইনবেস্ট করতে হবে। অধিক পরিমান পন্য উৎপাদন এর ইচ্ছা থাকতে হবে তা না হলে লোকশানের সমুখীন হতে হবে।  সিএনসি রাউটার মেশিনের  দাম সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।


কোথায় কিভাবে পাইকারী বিক্রি করবেনঃ

উপরুক্ত উৎপাদন ব্যবসার আইডিয়া দেওয়ার পর এখন একটি প্রশ্ন থেকে যায় কোথায় বিক্রি এবং কিভাবে বিক্রি করবেন। এখন আমার উত্তর হলো আপনি যে ব্যবসাটি শুরু করতে চান নিশ্চয়ই সে ব্যবসা সম্পকিত পাইকারী বিক্রেতার সাথে কথা বলেছেন। এবং সব ভেবে চিনতে শুরু করেছেন। কারন ব্যবসা শুরু করে হুট করে বন্ধ করে দিলে লোকশানের সমুখীন হতে হবে।

তবে কারো কারো চিন্তা আসতে পারে যদি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অনলাইন Alibaba (B2B) সাইটে বিক্রি করার। কিন্তু আনলাইনে সার্চ করে জানতে পারে সেখানে বার্ষিক ফি রয়েছে যা ছোটখাট উৎপাদন কারীদের জন্য অনেক বেশী।

এ সব কথা চিন্তা করে এবং আমাদের কিছু পাঠকদের অনুরোধে আমরা এ সাইটকে আলিবাবার মতো বাংলাদেশের সবচে বড় অনলাইন পাইকারি বজার B2B Website সাইট সম্পুর্ণ বাংলাতে রুপান্তর করা হয়। যাতে সর্বসাধারণ খুব সহজে তাদের উৎপাদন করা পন্য পাইকারী বিক্রি করতে পারে। এবং সেখান থেকে পাইকারী বিক্রেতারা পাইকারী কিনতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিক্রেতার লাভ হলো সে এক স্থানে বসে দেশের বিভিন্ন পন্য বিক্রি করতে পারে। এবং কাস্টমারকে খুব সহজে যে কো পন্য দেখতে পারে। কাস্টমার বা পাইকারি ক্রোতা এর সুবিধা হলো সে সময় খরচ না করে আসল উৎপাদনকারী থেকে পন্য ক্রয় করতে পারে। এতে সে যেমন কম দামে পায় তেমনি তার টাকার পুর্নাঙ্গ নিরাপত্তা থাকে। তবে প্রযুক্তির এ উন্নতির যুগে মানুষ এখন অনলইনে ক্রয় বিক্রয় বেশি আগ্রহী।

( উপরুক্ত আইডিয়া থেকে যদি কোন আইডিয়া আপনার কাছে ভালো লাগে এবং সেই আইডিয়া অনুযায়ী  ব্যবসা শুরু কর‍তে চান তাহলে আবশ্যই  বিস্তারিত যেনে শুরু করবেন কারণ আইডিয়া গুলো সংক্ষিপ্ত)


ব্যবসাকে ভলোবাসুন সফলতা একদিন আসবেই। আজকের পর্বের আইডিয়াটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

বিস্তারিত
আমেরিকার পরবর্তী 'সুপারপাওয়ার' কে হতে পারে? চায়না, রাশিয়া, ইন্ডিয়া নাকি অন্য কোন দেশ?
এমন ধরণের প্রশ্ন ঘুরে ফিরে প্রায়শঃই ফেসবুকে দেখি; সংগে দেখি বিভিন্ন মতামত, গবেষনা, গল্প-কথা। মহাত্ম গান্ধি থেকে শুরু করে অনেকেই নাকি ক্রমান্বয়ে চায়না এবং এরপর ইন্ডিয়াকে সিরিয়াল দিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ আমেরিকা এক সময় তার ক্ষমতা হারাবে এবং সেই সুপারপাওয়া এর স্থানটা দখল করবে চায়না।

অর্থাৎ, নেক্সট সুপারপাওয়া হতে যাচ্ছে চায়না বা পিআরসি। পিআরসি বলার কারণটা হলো স্পেসিফাই করে দেয়া; কারণ এই বিশ্বে বর্তমানে চায়না নামে একটি নয় বরং দু'দুটি দেশ রয়েছে। একটি গণপ্রজাতন্ত্রী চায়না অপরটি প্রজাতন্ত্রী চায়না বা আরওসি। 

গণপ্রজাতন্ত্রী চায়না বা মেইনল্যান্ড চায়নাকে ইংরেজীতে বলে পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না বা 'পিআরসি' এবং অপরটি মানে তাইওয়ান বা রিপাবলিক অব চায়নাকে বলা হয় 'আরওসি'। 

আমরা কথা বলবো পিআরসি বা মেইনল্যান্ড চায়না নিয়ে। 
চায়নার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৪৩ কোটি এবং তাদের বার্ষিক মাথাপিছু (নমিনাল) আয় ১০,৮৭২ ডলার, এবং টোটাল অর্থনীতির সাইজ প্রায় ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার। অপরদিকে আমেরিকার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৩৩ কোটি এবং তাদের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ৬৭,৪২৬ ডলার, এবং টোটাল অর্থনীতির সাইজ প্রায় ২২ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রকৃতপক্ষে বার্ষিক মাথাপিছু আয়ের হিসাবে একটা দেশের অর্থনীতি বা দেশটির আর্থিক সক্ষমতা কিছুটা উপলব্ধি করা যায়; সেই হিসাবে একজন আমেরিকানের বার্ষিক ৬৭ হাজার ডলারের বিপরীতে একজন চাইনিজের বার্ষিক আয় ১০ হাজার ডলার বা প্রায় ৭ ভাগের এক ভাগ।

আমি সঠিক জানি না চায়না যতদিনে ৬৭ হাজার ডলার বার্ষিক আয়ে পৌছবে ততদিনে আমেরিকান বার্ষিক আয় কয়শ হাজার ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে! এখানে আর ৩৩ কোটি মানুষের বিপরীতে ১৪৩ কোটি মানুষের তুলনা না আনলাম।

একটা সময় ছিল যখন প্রতি ৩ মাসে আমি অন্তত ২ বার চায়না ভিজিট করতাম; বেইজিং স্যাংহাই, শেনজিন, কুনমিং, চেংদু, ইও, বাউডিং, হুনজুসহ কমবেশী আরও গোটা ৩০টি শহর আমি ভিজিট করেছি। চায়না অনেক উন্নতি করেছে, এতে কোনই সন্দেহ নেই। সেই সময়টাতে আমি নিজেও ভাবতাম চায়না একদিন হয়তো সুপারপাওয়ার হবে।

কিন্তু আমেরিকায় আসার বছর খানেকের মধ্যেই আমার ধরণাগুলি তুরুপের তাসের মতোই উবে গেল যেন। আসলে 'সুপারপাওয়ার' শব্দটি অত্যন্ত ভারী একটি শব্দ। চায়নাতে যেসব ইনফ্রাসট্রাকচার আমি দেখেছি বা চায়নার টাকার যে বাহাদুরী আমি উপলব্ধি করে এসেছিলাম- সেগুলো আমেরিকার পাওয়ারে কাছে স্রেফ খেলনা। চায়না আরও ১ হাজার বছর ধরে তাদের বর্তমান ধারা বজায় রাখলেও আমেরিকার ধারে-কাছেও ভিড়তে পারবে না; সুপারপাওয়ার হওয়া অনেক দূরের হিসেব।

দেখুন, আমেরিকার কিন্তু কোন গণপ্রডাক্ট নেই যেটা বিক্রি করে আমেরিকাকে চলতে হয়; যেমন রয়েছে চায়নার; তাদের ১৫০ কোটি মানুষ প্রডাক্ট তৈরীতে ব্যস্ত; সেই প্রডাক্টস তৈরী করে তারা টাকা ইনকাম করে। কিন্তু আমেরিকা সেভাবে কোন প্রডাক্ট তৈরীও করে না। উপরোন্ত আমেরিকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য দ্রব্যাদির প্রায় ৭০%ই ইমপোর্ট করা হয় চায়না থেকে।

তাহলে, আমেরিকা করেটা কি?
এখানেই মজার প্রশ্ন এবং তার উত্তর লুকিয়ে রয়েছে।

উইন্ডোজ একটি সফটওয়্যার যা আসলে একটি অপারেটিং সিষ্টেম। এই সিষ্টেমটি তৈরী করেছেন বিল গেটস। যা বর্তমান পৃথিবীর ৯০% কমপিউটারে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হয়; ইভেন চাইনিজদের ব্যবহৃত কমপিউটারের জন্যও। আর বাদবাকী ১০% ব্যবহার করে আপেল ওএস সেটাও আমেরিকান পন্য। আপনার হাতের ফোনটি হোক সেটা আইফোন বা এন্ডরয়েড- সবই আমেরিকানদের তৈরী। কোরিয়ান স্যামসংগ কোম্পানীর আমেরিকা অফিস থেকে স্যাংমসঙ রিলিজ হয়। এন্ডরয়েড গুগলের প্রডাক্ট।

এই যে আমরা আজ সোসাল মিডিয়া ব্যবহার করছি, ইকমার্স করছি তার সবই আমেরিকায় তৈরী হওয়া। ইন্টারনেটসহ আধুনিক যা কিছু প্রযুক্তি তার সবই আমেরিকানদের মাথা থেকে বের হয়।

আমেরিকার যে পরিমান খালি জায়গা রয়েছে সেখানে যদি ধান চাষ করা হয়, সেই ধান বিক্রি করেই ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার রাজস্ব আসতে পারে। আমেরিকায় যে পরিমান খনিজ তেল আর গ্যাস রয়েছে তার যদি তারা তুলে বিক্রি করে- তাহলে তেলের দাম পানির দামের সমান হয়ে যাবে বাদবাকী বিশ্বে। বোয়িং এর বিমান বা স্যাটেলাইন এর প্রসংগ না হয় না ই আনলাম এখানে।

আসলে আমেরিকা চলে শুধুমাত্র তাদের মাথার বুদ্ধি বিক্রি করে। আর মাথায় যদি বুদ্ধি থাকে তাহলে চলতে টাকা লাগে না। টাকা এমনিতেই চলে আসে। আমেরিকার টাকা এমনিতেই আসে। ধরেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম গরীব একটা দেশ- এই দেশটিও নিউ ইয়র্ক ফেডে ৩৩ বিলিয়ন ডলার জমা করে রেখেছে। আর বাদবাকী বিশ্ব? ইওরোপ, কানাডা, বৃটেন, অষ্ট্রেলিয়া, জাপান, কোরিয়া, সিংগাপুর, রাশিয়া, চায়না, হংকং, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ইন্ডিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য এবং বাদবাকী সব দেশেরই একটা বড় সাইজের টাকা ইউএস ডলারে নিউ ইয়র্ক ফেডে জমা রয়েছে; রয়েছে ট্রিলিয়ন ট্রিলিংন টন গোল্ডবারও ওই নিউ ইয়র্ক ফেডের কাছেই।

আমেরিকার শক্তি, ক্ষমতা, টাকা এসব সম্পর্কে আমরা ধারণাও করতে পারি না। এক আমেরিকার ডলারের ভয়ে, পুরো পৃথিবী অন্যায্য জেনেও ইরানের সংগে ব্যবসা করার স্পর্ধা দেখায় না, আমেরিকা রাগ হলে তারা দেওলিয়া হয়ে যাবে এই ভয়ে।

সুপারপাওয়ার সম্পর্কে কয়েকটি কথা না বললেই না।
প্রথম কথাটি হচ্ছে 'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ' যা ছিল প্রকৃত পক্ষে আমেরিকাকে সুপারপাওয়া বানিয়ে দেয়া। তখন সুপারপাওয়ারে স্বদাবীদার ছিলেন এডলফ হিটালারের জার্মানী। আর তাদের প্রতিদ্বন্দি দেশগুলো ছিল রাশিয়া, বৃটিন, ফ্রান্স, স্পেন ইত্যাদি। আমেরিকা যুদ্ধের কোন পক্ষ ছিল না তবে 'মনে মনে' আমেরিকা মিত্রপক্ষ বা রাশিয়া, বৃটিন, ফ্রান্স, স্পেন দেশগুলোকে সমর্থন করতো।

জার্মানীর পক্ষে ছিল জাপান এবং পদানত ইটালী। 
যুদ্ধের শুরুতে জার্মানী ছিল অপ্রতিরোদ্ধপ্রায়। তারা ইওরোপ দখলে নিতে শুরু করে, রাশিয়াতে আক্রমণ করে; ওদিকে জাপানও দক্ষিন ও দক্ষিন পূর্ব এশিয়ান কয়েকটি অঞ্চলসহ কোরিয়া, চায়না থেকে শুরু করে আমাদের ঘরের কাছে মিয়ানমারের কিছু অংশ পর্যন্ত দখল করে ফেলে। বৃটিশ সাম্রাজ্যের অনেকটা ছিল তাদের দখলিকৃত অঞ্চলে। 

দু'টো বিষয় ঘটে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে।
ইওরোপের দেশগুলোর হাতে বিশেষত বৃটেন, ফ্রান্স, স্পেন এসব দেশের হাতে তখন সারা পৃথিবীতে তাদের উপনিবেশগুলো থেকে লুটপাট ও ব্যবসা করে আনা ট্রিলিয়ন টন সোনা ছিল রিজার্ভ ব্যাংকগুলোর কাছে; তখনও অবধি এক দেশের সংগে অন্য দেশের লেনদেনে মুলত স্বর্ণকেই ব্যবহার করা হতো। মিত্রশক্তি ভয় পেয়ে যায় যে জার্মানী যদি তাদের দেশগুলি দখল করে ফেলে তাহলে তো এইসব স্বর্ণ জার্মানীর হাতে চলে যাবে; তারা শূণ্য হয়ে যাবে।

তাই তারা চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে তাদের সংগ্রহিত সব স্বর্ণ তারা নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে রাখবে এবং যুদ্ধ শেষ হলে বা সুবিধা মতো সময়ে সেসব স্বর্ণগুলো সেই 'নিরাপদ স্থান' থেকে ফেরত আনবে। তাদের সকলেই ধারণা ছিল ঐ 'নিরাপদ স্থান'টা হতে পারে আটলান্টিক এর ওপাড়ে 'আমেরিকা'। অনেকটা শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেবার মতোই।

আমেরিকাকে প্রস্তাব দিলে সংগে সংগে সেই প্রস্তাবে রাজী হয়ে যায় আমেরিকা এবং তাদের কাছে স্বর্ণ জিম্মা দিতে বলে। ইওরোপিয়ান দেশগুলি তাদের যাবতীয় স্বর্ণভান্ডার বড় বড় জাহাজে করে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকার হাতে পৌছে দেয়। এবং আমেরিকা তাদেরকে প্রাপ্ত স্বর্ণের হিসাব বুঝে নিয়ে তার বিনিময়ে 'রিসিপ্ট' ধরিয়ে দেয়। 

এবং, আমেরিকা তখনই সবচে মোক্ষম চালটি খেলে।
তারা ইওরোপকে বলে দেয় যে তোমরা স্বর্ণ ফেরত না নিয়ে তার পরিবর্তে আমাদের থেকে 'রিসিপ্ট' নিয়ে তা দিয়ে বৈশ্বিক লেনদেন করো। তোমরা যেহেতু আমাদের বিশ্বাস করেছোই সেহেতু ঐ রিসিপ্টকেই আন্তর্জাতিক লেনদেন হিসাবে চালু করো। 

আর আমেরিকার দেয়া সেই রিসিপ্টটিই ছিল 'আমেরিকান ডলার'।
পরিণতিতে আজ পুরো পৃথিবী আমেরিকান ডলারের বাজারে প্রবেশ করে। এবং স্বর্ণের জায়গাটা একতরফা দখল করে নেয় মার্কিন ডলার।

যাই হোক, দ্বিতীয় খেলাটি আরও চমৎকার ছিল। জাপান যুদ্ধে একটা ছোট ভুল করে, তারা আমেরিকান দ্বীপ-ষ্টেট হাওয়াই (যা মুলত আমেরিকান মেইনল্যান্ড ও জাপানের মাঝামাঝি প্যাসিফিক অঞ্চলে অবস্থিত) পার্ল হারবারে বোমা হামলা চালায়। অবশ্য জাপানের করা সেই ভুলের আগে বৃটেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যখন প্রায় পরাজিত হতে যাচ্ছিল তখন তারা বাধ্য হয়ে আবার আমেরিকার কাছে আরেক দরখাস্ত নিয়ে যায়; তারা আমেরিকাকে এই যুদ্ধে 'হেল্প' করার অনুরোধ জানায়। বাস্তবিক অর্থে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে আমেরিকা বৈশ্বিক রাজনীতিতে বা আন্তর্জাতিক পরিসরে সেভাবে উল্লেখ করার মতো শক্তি কখনওই প্রদর্শন করেনি বা বাইরের বিশ্ব বুঝতেই পারেনি যে আমেরিকা ভেতরে ভেতরে নিজেদের প্রস্তুত করে ফেলেছে 'সুপারপাওয়ার' হতে।

আমেরিকা যুদ্ধে জড়াতে (বৃটেন বা মিত্র শক্তির পক্ষে) রাজী হয় কিন্তু একটা মজার শর্ত জুড়ে দেয়; আমেরিকার শর্তটি ছিল পুরো পৃথিবী জুড়ে বৃটেনের যে অসংখ্য উপনিবেশ (ভারতসহ) রয়েছে সেখান থেকে বৃটেনকে যুদ্ধ শেষে পাততারী গুটিয়ে ফিরে আসতে হবে এবং সবগুলো উপনিবেশকে স্বাধীনতা দিয়ে দিতে হবে। এবং বৃটেন নাকে খত দিয়ে আমেরিকার এই কথায়ও রাজী হয়ে যায়।

এবার আর আমেরিকার যুদ্ধে জড়াতে কোন আপত্তি থাকে না। 
আমেরিকা যুদ্ধে জড়ায় এবং যুদ্ধের মোড় ঘুরে যায়। আমেরিকান বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী পুরো পৃথিবী জুড়ে তাদের শক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বকে সম্পূর্ণ তাক লাগিয়ে দেয়। জাপানের বোকামীর জন্য খেতে হয় দু'দুটো এটম বোমা। ধ্বংশ হয়ে যায় হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরদু'টো। দখল হয়ে যায় জাপানের মালিকানাধিন অসংখ্য অঞ্চল।

ওদিকে বৈশ্বিক ক্ষমতার সিড়ি থেকে নীচে পরে যায় বৃটেন; জন্ম নেয় স্বাধীন ভারত-পাকিস্তানসহ অসংখ্য স্বাধীন দেশ। 

আত্মসমর্পন করে জার্মানী ও জাপান। আমেরিকা জার্মানী ও জাপানের ভেতরেই তৈরী করে বসে নিজেদের মিলেটারী বেইস। জাপান জার্মানীসহ এই পৃথিবীতে গুনে গুনে ৭০টি দেশে আমেরিকা তৈরী করে তাদের স্থায়ী মিলেটারী বেইস। আর সর্বমোট ১৫০টি দেশে তারা তৈরী করে তাদের অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্প। মিত্র পক্ষকে হাতে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করে জাতিসংঘ; মুলত পৃথিবীর যাবতীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে আমেরিকা।

এতটা বুদ্ধি কি ১৫০ কোটি চাইনিজের সবগুলো মগজ জোড়া দিয়েও বের করতে পারবে চায়না? 

আরও একটা কথা বলি, আমেরিকা তার দু'টি মহাদেশের একক ক্ষমতাধর দেশ। উত্তর বা দক্ষিন আমিরেকার বলতে গেলে সবগুলি দেশই আমেরিকার কথায় উঠ-বস করে। আমেরিকাস দেশগুলো অনেকেই আজ আমেরিকান ডলার ব্যবহার করছে নিজেদের মুদ্রা বিলুপ্ত করে। শুধুমাত্র উত্তর-দক্ষিন আমেরিকা নয়, প্যাসিফিক রিজিয়নেও বেশীরভাগ দ্বীপরাষ্টও আজ আমেরিকান ডলার ব্যবহার করে থাকে। আর চায়না তাদের নিজেদের দক্ষিন চীন অঞ্চলটুকুই ঠিক মতো রক্ষা করতে পারছে না- এতটাই অসহায় তারা। 

যাই হোক, ভারতের কথা বলি। ভারত বড়জোর বাংলাদেশ পাকিস্তানের সংগে প্রতিযোগীতা চালিয়ে যেতে পারবে সমানে সমানে কিন্তু কোন কালেও এশিয়ান পাওয়ারও হতে পারবে না- সুপারপাওয়া হওয়ার স্বপ্ন দেখা তো মুজিবের স্বপ্নগুলির মতোই খেয়ালী আর হালকা।

আসলে আমেরিকা নিজেদের অবস্থান এমন এক উচ্চতায় তৈরী করে ফেলেছে এমনভাবে যে ওখানে কেউ হাত লাগাবার কথা চিন্তায়ও আনতে পারবে না।

একটি ব্যাপক ও ধ্বংশাত্বক বৈশ্বিক যুদ্ধ যদি কোন কালে পুরো পৃথিবীকে উলট-পালট করে দিতে পারে শুধুমাত্র তখনই আমেরিকার জায়গাটা অন্য কেউ নিতে পারবে- যদিও সামরিক শক্তি, প্রযুক্তি এবং উন্নয়নের এই যাত্রাপথে তেমনটা হবার মতো কোন পরিবেশ তৈরী হওয়া বর্তমান বাস্তবতায় অসম্ভব।

Taufiqul Islam Pius ভাইয়ের টাইমলাইন থেকে নেয়া।
বিস্তারিত
একটানা ৭ বছর যে ব্যাক্তি হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন

আমরা মাত্র ৭ দিন ঘরে বসে থেকেই হাপিয়ে উঠেছি । বাইরে বের হওয়ার জন্য পরান আকুলি বিকুলি করতেছে। কিন্তু ,জানেন কি, নিচের এই লোকটা ৭ বছর একটানা কোয়ারেন্টিন অবস্থায় একটা বিল্ডিং এর ভিতর আটকা পড়ে ছিল ?
অবস্থা এতই খারাপ পর্যায়ে গেছিল, যে তার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় একসময়। ডাক্তার তখন তাকে বললেন, আপনার পক্ষে তো আর সূর্যের আলোয় বের হওয়া সম্ভব না । আপনি এক কাজ করেন। বেশি করে গলদা চিংড়ি খান। সূর্যের আলোর মত গলদা চিংড়িতেও ভিটামিন ডি আছে।
এই লোকটা হচ্ছে জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জ ,হ্যাকার এবং সাংবাদিক। wikileaks.com এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সবাই তাকে চেনে । ২০১২ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ,দীর্ঘ ৭ বছর তাকে লন্ডন শহরের ইকুয়েডর দেশের এম্বাসির মধ্যে থাকতে হয়েছিল। কোনো রোগের কারনে না। বা অং সান সূচির মত মায়ানমার সরকার তাকে গৃহবন্দীও করেনি। খুব আজব সিচুয়েশন হয়েছিল তার। পুলিশ যেন তাকে এ্যারেস্ট করতে না পারে, সেজন্য এম্বাসির মধ্যে বসে ছিলেন তিনি। ইকুয়েডর এম্বাসির মধ্যে পুলিশ তার কিছু করতে পারবে না, কিন্তু এম্বাসি থেকে বের হলেই বিপদ--এমনই একটা ক্রাইসিসে কেটে গেছে তার জীবনের ৭ বছর।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত উইকিলিক্স ওয়েবসাইটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের দুর্নীতির প্রমানগুলা আপলোড করা হত। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি প্রকাশিত হয়েছিলা আমেরিকার । বিভিন্ন ই-মেইল হ্যাক করে বা অন্য উপায়ে এসব ডকুমেন্টস জোগাড় করা হত।
এ্যাসাঞ্জের জন্ম অস্ট্রেলিয়ায় , ১৯৭১ সালে । ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটারের সিকিউরিটি নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ১৯৮৭ সালে তার বাপ তাকে প্রথম কম্পিউটার কিনে দেয়। সেই কম্পিউটার দিয়ে গুতাইয়া গুতাইয়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি ভাংগা তার নেশা হয়ে ওঠে। ১৯৯৪ সালে অস্ট্রেলিয়া পুলিশ একবার তাকে হ্যাকিং এর অভিযোগে এ্যারেস্ট করে। অল্প কিছু জরিমানা দিয়ে সে যাত্রা বেচে যান তিনি।
লেখাপড়া করেছেন মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত ও পদার্থবিদ্যা বিষয়ে।
কিন্তু একাডেমিক লেখাপড়া বাদেও তিনি প্রচুর পড়াশোনা করতেন। দর্শন থেকে শুরু করে নিউরোসায়েন্স পর্যন্ত, অনেক বিষয়েই ছিল তাঁর আগ্রহ।
ব্যাপক পড়াশোনার মাধ্যমে ইতিহাস ও সমসাময়িক বৈশ্বিক পরিস্থিতির দিকে রাজনীতি সচেতন দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করলেন। এর ফলে তিনি এমন এক ধারণায় পৌঁছান যে সব সরকার ও ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠান মিথ্যা বলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে। সুতরাং সরকারমাত্রই ষড়যন্ত্রপ্রবণ।
অ্যাসাঞ্জ মনে করেন, ষড়যন্ত্রকারীদের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে গোপনীয়তা। এই গোপনীয়তা ভেঙে দিতে পারলেই তাদের ষড়যন্ত্র ভণ্ডুল করা সম্ভব। এ রকম ভাবনা বা দর্শন থেকে তিনি ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে সমমনা কয়েকজনকে নিয়ে চালু করেন উইকিলিকস নামের এক নতুন ধরনের ওয়েবসাইট, যার কাজই হবে জনগুরুত্বপূর্ণ গোপন নথিপত্র বিশ্ববাসীর সামনে প্রকাশ করা।
কি নেই এসব দলিলপত্রে? ইরানের পরমাণু আলোচনা থেকে শুরু করে পাকিস্তানে পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা সম্পর্কে মার্কিন মূল্যায়ন, গুগল হ্যাক করার চীনা উদ্যোগ, গুয়ান্তানামো বন্দিদের অন্য দেশে হস্তান্তরে চাপ, আফগানিস্তানে দুর্নীতি, ইয়েমেনে বিমান হামলা সম্পর্কে, কোরিয় উপদ্বীপে উত্তেজন, ইরানে আক্রমণের জন্য সৌদি চাপ এবং আরো অনেক কিছু।
বাংলাদেশে জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জ পপুলার হয়ে ওঠেন ২০১০ সালের দিকে। একটা প্রজন্ম তাকে IDOL মেনেছিল। বাংলাদেশ সরকারের অনেক গোপন দলিল ওদের ওয়েবসাইটে ছাপা হয়েছিল।
মূলত ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে এসব দলিল ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়েছিল। এসব দলিলে আছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামী বা হুজিকে জাতীয় রাজনীতির মূল ধারায় আনতে চেয়েছিল ডিজিএফআই। এ লক্ষ্যে তারা গঠন করে ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (আইডিপি)। এজন্য তারা আইডিপিকে অর্থ সাহায্য করে।
বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ‘সরকারি ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে নিন্দিত র‌্যাবকে যুক্তরাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত এই বাহিনীর কাজ কর্মে সন্তষ্ট হয়ে তার বিলুপ্তিতে বিরোধী করেছেন। এছাড়াও র‌্যাব সদস্যরা ব্যাপকভাবে মানবাধিকার ছাড়াও অপহরণ, চাঁদাবাজি ও ক্রসফায়ারে হত্যা করার জন্য মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের সঙ্গে জড়িত বলে উউকিলিকসর প্রকাশিত তার বার্তায় উল্লেখ আছে।
ফুলবাড়ী কয়লা খনি থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তোলার অনুমতি দিতে বাংলাদেশ সরকারকে ব্যাপক চাপের মধ্যে রেখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা। এ বিষয়ে সংসদীয় সমর্থন তৈরি করতে রাজি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ফুলবাড়ী কয়লা খনি বন্ধ করে দেওয়ার পরও জিসিএম বাংলাদেশে বহাল তবিয়তে কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছে এবং সরকারের ওপর-মহলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। ফুলবাড়ী খনি আবার খুলে দিয়ে জিসিএমের পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খনন চালানোর অনুমতি দিতে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিয়ে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরাও।
wikileaks ওয়েবসাইটে সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ভিডিওটা প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে। ৩৮ মিনিটের এই ভিডিও ফুটেজটি মার্কিন সেনাদেরই তোলা, এতে দেখানো হয়েছে মার্কিন সেনাদের হাতে রয়টারের দুজন সাংবাদিকসহ ১৮ জন বেসামরিক মানুষ হত্যার দৃশ্য। এরপর আমেরিকা জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জকে ধরার জন্য কুত্তার মত পাগল হয়ে ওঠে। তাদের রাতের ঘুম একদম হারাম হয়ে যায়।
অ্যাসাঞ্জ তখন লুকিয়ে চলা শুরু করলেন । কখনো আইসল্যান্ড কখনো কেনিয়া কখন কোথায় থাকেন তার ঠিক-ঠিকানা নেই। কখনো হোটেলে ওঠেন না, থাকেন বন্ধুবান্ধবের বাসায়। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন না । মুঠোফোন ব্যবহার করেন একাধিক; শুধু কাউকে কল করার সময়, বাকি সময় মুঠোফোন বন্ধ থাকে, এমনকি ব্যাটারিও খুলে রাখেন, যেনো তাঁর অবস্থান ও চলাফেরার ওপর কোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সাহায্যে কেউ নজর রাখতে না পারে। সুইজারল্যান্ডের সুইসপোস্ট তাঁর অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছে, যখন তারা আবিষ্কার করেছে যে সুইজারল্যান্ডে অ্যাসাঞ্জ যে ঠিকানায় থাকেন বলে অ্যাকাউন্টটি খোলার সময় লিখেছেন, সেটি ভুল।
শুধু জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জ একা নন , তাঁর সহযোগীরাও বুঝতে পারেন , তাঁদের ওপর আঘাত আসবে। তাই শুরু হলো তাদের গোপন জীবন। উইকিলিকসের কোনো স্থায়ী অফিস নেই, কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা সবাই গুপ্ত জীবন যাপন করতে বাধ্য হন।
২০১০ সালে এ্যসাঞ্জ এসেছিলেন সুইডেনে । সুইডেনে থাকাকালীন সময়ে দুইজন মেয়ের সাথে এ্যসাঞ্জ ডেট করেন। জানিয়ে রাখা ভাল, এ্যাসাঞ্জ পারসোনাল লাইফে একটা বিয়ে করেছিলেন ১৯৮৯ সালে, ৯৯ সালে ডিভোর্স হয়ে যায় ।
পরে এই দুই সুইডিশ তরুনী এ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের কেস করে । অভিযোগ গুলা তেমন গুরুতর ছিল না ,এমনকি ইউরোপিয়ান কনটেক্সটেও না। দুই তরুনীর একজনের অভিযোগ ছিল, শারীরিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে মেয়েটা এ্যাসাঞ্জকে থামতে বলেছিল, কিন্তু এ্যাসাঞ্জ ততক্ষনাত না থীম দেরি করেছিল। এটাকে ''লেসার ডিগ্রি রেপ'' এর অভিযোগে ফেলা হয়েছিল।
এ্যসাঞ্জ স্বল্প সময়ের মধ্যে দুইজন আলাদা মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে--এটা জানতে পেরে কজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। তার কনসার্ন ছিল , অন্যজনের কোন যৌনবাহিত রোগ আছে কিনা। এজন্য এ্যাসাঞ্জকে অনুরোধ করেছিল, অন্যজনের পরিচয় বা তার মেডিকেল রিপোর্ট যেন তাকে জানানো হয়। কিন্তু এ্যাসাঞ্জ সে কাজটা করেনি (সম্ভবত প্রাইভেসির কারনে) । এই ''তথ্য গোপনে''র কারনেও তার বিরুদ্ধে একটা কেস করে দেয় সে। (অথবা,আমেরিকা বা অন্য কেউ তাদেরকে কেস করতে মোটিভেট করে)
ওই সময়ে, সুইডেনে একবার কোর্টে হাজিরা দিয়েই প্রমান হল, যে এ্যাসাঞ্জের কোনো দোষ নেয়। সে ফ্রি হয়ে সুইডেন থেকে ইংল্যান্ডে চলে গেল।
ইংল্যান্ডে যাওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে কেস আরো স্ট্রং করা হল। তার বিরুদ্ধে তখন একটা আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল। এবার ও এ্যাসাঞ্জ ইংল্যান্ডের একটা কোর্টে হাজিরা দিল, এবং খুব সহজেই জামিন পেয়ে গেল ।
কিছুদিন পরে তার বিরুদ্ধে কেস আরো স্ট্রং করা হল। আমেরিকার প্লান ছিল এইরকম--একবার এ্যাসাঞ্জকে কোনো এক কেসে এ্যারেস্ট করার পরে তারপর ওকে আমেরিকায় ফিরিয়ে এনে বিভিন্ন কেসে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট দেব।
এ্যারেস্ট হওয়া এড়ানো যাবেনা দেখে এ্যাসাঞ্জ একটা বেশ বুদ্ধিমানের মত কাজ করলেন । ২০১২ সালের ১৯শে জুন লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডর দূতাবাসে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেন।
ইকুয়েডর সরকার তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিল । ইকুয়েডর দেশের নাগরিকত্ব ও দিল। লন্ডন থেকে প্লেনে করে ইকুয়েডর পৌছাতে পারলেই তার আর কোনো ভয় নেই। কিন্তু দূতাবাস থেকে প্লেনে যাওয়ার পথটাতেই ঝামেলা। ইকুয়েডর দূতাবাস কম্পাউন্ড একটা সার্বভৌম জায়গা, এর ভিতর ইংল্যান্ডের পুলিশ কিছু করতে পারবে না। কিন্তু দূতাবাস থেকে বের হলেই তাকে ইংল্যান্ডের পুলিশ এ্যারেস্ট করতে পারবে।
এবং ঘটল ও তাই । এ্যসাঞ্জকে এ্যারেস্ট করার জন্য ইংল্যান্ড সরকার ইকুয়েডর এমবাসির সামনে ২৪ ঘন্টা পুলিশ দাড় করিয়ে রাখল। যেন সে বের হলেই ক্যাক করে এ্যারেস্ট করতে পারে । এ্যাসাঞ্জ ও চালাক আছে। সে ভিতর থেকে বের হয়না। একদম কুত্তার মত মাটি কামড়ে পড়ে থাকল।৩৩০ স্কয়ার ফুটের একটা রুম পেয়েছিল সে। আশেপাশের অল্প কয়েকটা রুমে যেতে পারত,যেখানে অফিসের সরকারী কাজকর্ম চলে। এভাবেই কেটে গেল ৭ বছর।
ইতিমধ্যে , বাইরের জগতে অনেক ঘটনাই ঘটতে লাগল।
নারী নির্যাতনের কেসগুলা খালাস হয়ে গেল ।
নতুন অনেক কেস তার বিরুদ্ধে আসতে লাগল (যেমন-জামিনের শর্ত না মানার অভিযোগ)।
উইকিলিক্স ওয়েবসাইট টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে গেল, আবার চালু হল। একের পর এক জ্বালাময়ী রিপোর্ট তারা বের করতে লাগল।
জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জকে দেখে উতসাহিত হয়ে এডওয়ার্ড স্নোডেন নামের এক গোয়েন্দা রাশিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নিল ।
উইকিলিক্স এর মতই আরো সুন্দর সুন্দর কয়েকটা হুইসেল ব্লোয়িং ওয়েবসাইট (যেমন-পানামা পেপারস) তৈরি হল।
এ্যাসাঞ্জকে দেখার জন্য ইকুয়েডর দূতাবাসে আসলেন নোয়াম চমস্কি, লেডি গাগা,পামেলা এ্যান্ডারসন সহ অনেকে।
অস্ট্রেলিয়ায় উইকিলিক্স পার্টি নামে একটা রাজনৈতিক দল তৈরি হল,এবং তারা ইলেকশনে গো হারা হারল
বদ্ধ জায়গায় থেকে থেকে তার ফুসফুসের বারোটা বাজতে লাগল।
এরই মাঝে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পরে এল ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইকুয়েডর এর প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরায়ার পরে এল লেনিন মরেনো ।
শেষের পরিবর্তন টা এ্যাসাঞ্জ এর জন্য খারাপ হল। আগের প্রেসিডেন্ট , রাফায়েল কোরায়া বেশ কট্টর আমেরিকাবিরোধী ছিল। কিন্তু নতুন প্রেসিডেন্ট অত আমেরিকাবিরোধী নন। আমেরিকার সাথে তার দেশের আবার বিশাল এমাউন্টের লোন ও ছিল।
এদিকে , উইকিলিক্সের বন্ধু একে এক কমতে লাগল। কারন ওদের নীতি ছিল, কারো পক্ষেই কথা বলব না। যার যার দুর্নীতি পাব-সবার দুর্নীতির কথাই ফাস করব। ধরুন, উইকিলিক্সে আমেরিকার দুর্নীতির খবর পেয়ে রাশিয়া অনেক খুশি হল। পরের দিন আবার সেখানে রাশিয়ার দুর্নীতির খবর ছাপা হইলে কি অবস্থা হবে চিন্তা করে দেখুন ।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ফ্যামিলির দুর্নীতির কথাও একসময় উইকিলিক্সের ইয়েবসাইটে প্রকাশিত হল । প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো গেল ক্ষেপে । দুধ কলা দিয়ে, রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে এতদিন কালসাপ পুষলাম !!!
সকল কনসিকোয়েন্স মিলায়ে, ২০১৯ সালের এপ্রিল ইকুয়েডর সরকার জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জ এর রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করল। কালবিলম্ব না করে ইংল্যান্ডের পুলিশ তাকে এ্যারেস্ট করল । ৭ বছর আত্মগোপনে থাকা এই ঘাগু অপরাধীর সব কেস পর্যালোচনা করে আদালত তাকে সুদীর্ঘ ৩৫০ দিনের জেল দিল ,২০১৯ সালের ১লা মে।
এখন তিনি আছেন লন্ডনের HM Prison Belmarsh নামক জেলখানায়। জেলের ভিতরে তার উপরে অনেক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে--এমন অভিযোগ তুলেছেন তার আইনজীবিরা। কিন্তু কোর্ট সে কথা শোনেনি। আমেরিকা তার বিরুদ্ধে আরো নতুন নতুন কেস সাজাচ্ছে।
ইউরোপের অন্যান্য দেশে করোনার কারনে যখন জেলখানার কয়েদীদের ছেড়ে দিচ্ছে, ইংল্যান্ড সেখানে এ্যাসাঞ্জকে ছাড়তেছে না। গত ২৫শে মার্চ তাকে জামিন দেওয়ার সর্বসেষ আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। ৩৫০ দিনের কারাদন্ড খুব দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু আমেরিকার ষড়যন্ত্রের কারনে তার পরেও নতুন কেসে তাকে জেলের মধ্যেই থাকতে হতে পারে।
ভিক্টর হুগোর জা ভালজা উপন্যাসটার কথা মনে আছে ? এক টুকরো রুটি চুরির অপরাধে ১৯ বছর জেল খেটেছিল সে। আমাদের সেঞ্চুরির এই জা ভালজার জীবন থেকেও কমপক্ষে ১০ বছর হারিয়ে যাচ্ছে । বিশ্বের প্রতিটা কিনারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যারা কাজ করে যাচ্ছে, তাদের জন্য একটা বড় মোটিভেশন এই জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জ ।
জেল থেকে দ্রুত বেরিয়ে এসো, হে মহানায়ক । ইংল্যান্ড থেকে ইকুয়েডর, ওয়াশিংটন থেকে হোচিমিন সিটি, ঢাকা থেকে কাম্পালা---পৃথিবীর কিনারায় কিনারায় অসংখ্য অনুরাগী তোমার মুক্তির দিন গুনতেছে। পৃথিবী নামক এই কলূষিত গ্রহের জন্য তোমার মত মানুষদের অনেক বেশি প্রয়োজন।

বিস্তারিত
B2B,B2C,C2C সাইট কি? B2B সাইটের সুবিধা কি ? বাংলাদেশে প্রথম B2B সাইট

বাংলাদেশের সবচে বড় পাইকারি আনলাইন B2B মার্কেট প্লেসে আপনাকে স্বাগতম। আজকের পোস্টটি কাস্টমার ও সাপ্লায়ার এর অনুরোধে তৈরী। আজকের পর্বটি আমরা দুই ভাগে ভাগ করেছি। আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করব, 


১. B2B সাইট কি?
২. B2B সাইটে কিভাবে পন্য বিক্রি করা হয়??
৩. আমাদের www.eibbuy.com (B2B) ওয়েব সাইট তৈরির উদ্দেশ্য??
৪. আমাদের eibbuy.com B2B সাইট এর ফিচার সমুহ.
৫. কিভাবে আমাদের সাইটে সাপ্লাইয়ার বা বিক্রয় করার একাউন্ট খুলবেন।
৬. কিভাবে eibbuy.com থেকে পন্য ক্রয় করবেন।
 

এবং থাকছে ক্রয় ও বিক্রয় এর ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পলিসি eibbuy cash wallet এর ব্যবহার যা দিয়ে কাস্টমার সম্পুর্ন নিরাপদে পন্য ক্রয় করতে পারবে এবং সাপ্লায়ার নিরাপদে পন্য বিক্রিয় করতে পারবেন । এবং সর্বশেষ থাকছে কিভাবে বিনা-পুজিতে আমাদের B2B সাইট দিয়ে আয় করতে পারেন। তো চলুন শুরু করা যাক। এবং থাকছে সাইটটি লাঞ্চ করার পর আপনাদের করা কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর। 


★ B2B ই-কমার্স সাইট কি???
আমাদের প্রথমে জানতে হবে B2B মানে হল বিজনেস টু বিজনেস। অথ্যাৎ এটি হলো পন্য উৎপাদন করে বিক্রেতা ও পাইকারী বিক্রেতার একমাত্র আনলাইন সাইট। একজন খুচরা বিক্রেতা বা খুচরা ব্যবসায়ী জন্য হতে পারে এ সাইট তার ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ দিক। একজন খুচরা বিক্রেতার পক্ষে আপডেট এবং সঠিকভাবে ভাবে এক দিনে পন্য কেনা সম্ভব নয়। আবার একজন পান্তিক বা গ্রামের দরিদ্র উৎপাদন কারী শহরে দোকান দিয়ে পন্য বিক্রি তার পক্ষে সম্ভব নয়।
তাই এ সবের কথা চিন্তা করে মুলত আমাদের এই সাইটটি তৈরি। 


★ B2B সাইটে কিভাবে পন্য বিক্রি করা হয়???
এ সাইটে সকল পন্য পাইকারী বিক্রি করা হয়। তাই এ সাইটে একটি নির্দিষ্ট পরিমানের কমে পন্য বিক্রি করা হয় না। তবে এটি পন্যের ধরন অনুযায়ী নির্ধারিত করা হয়। যেমনঃ বড় পন্য একটি এবং ছোট পন্য কমপক্ষে ৩ টি। এ সাইটে পন্য বেশি অর্ডার করার পূর্বে কাস্টমার আপনার কাছে থেকে সেম্পল চাইতে পারে । এই সাইটে পন্য ক্রয় ও বিক্রির ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট এর কৃতপক্ষ কোন তদারকি করে না। শুধু বিক্রেতার পন্য বিক্রি হোক এ চিন্তা থাকে।

বিক্রেতার পন্য সকলের কাছে পোছানোর জন্য ফেসবুকে পোমট এবং গুগলে এর্ড দিয়ে থাকে। B2B সাইট তাদের কাস্টমার ও বিক্রেতার সুরক্ষা জন্য ক্রয় বিক্রয় পলিসি গ্রহন করে। এতে নিশ্চিন্তে উভয়েই ক্রয় বিক্রয় করতে পারে। তবে B2B সাইটে পন্য বিক্রির বা সাপ্লাইয়ার একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে তারা একটি বার্ষরিক ফ্রি নিয়ে থাকে। কিন্তু আমরাই সর্ব প্রথম বিনা পয়সা সম্পুর্ন ফ্রিতে আমাদের B2B সাইট ই-বাইতে সাপ্লাইয়ের একাউন্ট খোলার সুজোগ দিচ্ছি। সিমিত সময়ের জন্য। 


★আমাদের B2B Website ওয়েব সাইট তৈরির উদ্দেশ্য??
আমাদের সাইটটি মুলত ২০১২ সাল থেকে শুরু। আমরা প্রথম থেকে ২০২০ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবসায়িক আইডিয়া এ সাইটে দিয়েছি। এ ছাড়া আমাদের একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। যাতে আমরা আমদানি রপ্তানি এবং ব্যবসায়িক আইডিয়া দিয়েছি।


এ সাইট তৈরির ক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেল এবং আমাদের ওয়েব সাইট মুল অনুপ্রেরণা। আমাদের ব্যবসায়ী ভাইয়ের আমাদের আইডিয়ার নিচে কমেন্টে করে এবং ফোন করে বলে আপনাদের আইডিয়া মত উৎপাদন বা ব্যবসা শুরু করি কিন্তু বিক্রি আশানুরুপ নয়। তাই আমরা এ সকল ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে এ B2B সাইটটি তৈরি করা। যাতে তারা কোটিপতি উৎপাদন কারী ও কোটিপতি পাইকারি ব্যবসায়ীর কারনে তার ব্যবসার কোন ক্ষতি না হয় বরং যেন কোটপতি ব্যবসায়ীর চেয়ে তার ব্যবসা ভলো হয়।

বর্তমান ইন্টারনেট এর যুগে B2B পাইকারি সাইট ক্রয় বিক্রয়ের হতে পারে আন্যতম নিরাপদ স্থান। যেখানে মানুষ পছন্দ মত পাইকারি পন্য ঘরে বসে কিনতে পারে এবং টাকা নিয়ে ঝামেলা ছাড়াই তাকে টাকা পে করতে পারবেন। 


★আমাদের B2B Website সাইট এর ফিচার সমুহ.
আমাদের B2B সাইটের প্রবেশ করতে www.eibbuy.com তে ক্লিক করুন। এখন আমাদের সাইটটি ওপেন হবে। উপরে আমাদের সাইটটির লোগ। এর পর নিচে সার্চ বাটন। তার পাশে একটি মেনুবার র‍য়েছে তাতে পোডাক্ট কেটাগরি রয়েছে। এর পর আমাদের পোস্ট করা ব্লগ রয়েছে। কয়েকটির সব ব্লগ দেখুন এরুপ একটি আপশন রয়েছে যাতে সব ব্লগ দেখতে পাবেন। এর পর নিচের মেনুতে রয়েছে জনপ্রিয় পোস্ট গুলো। তার পর মেনুটি কাস্টমার এর জন্য। যারা পোডাক্ট খুজে পাচ্ছেন তারা এখানের ফরমটি পুরন করেলে আপনি যে পন্য খুজছেন সে পন্য যে সাপ্লাইয়ের এর কাছে আছে তারা আপনাকে পোন দিবে। এর পরের মেনুটি হচ্ছে কোন পন্য নিলামে তোলা যা সাইট কৃত পক্ষের জন্য নির্ধারিত। যদি কারো প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের ইমেল করুন। এর পরে প্রোডাক্ট কেটাগরি আসবে এতে যার পোডাক্ট বেশি ভিউ হবে এই ভিত্তিতে প্রোডাক্ট শো হবে। 

বিস্তারিত
কৃষিতে বর্তমান সময়ের ১০ টি সবেচে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমান সময়ে সবচে  লাভজনক ব্যবসা হিসেবে কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা  দিন দিন বৃদ্ধি। কৃষি এখন আর ধান চাষ ও জুম চাষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বর্তমানে এটি ব্যপকতা লাভ করেছে। প্রকৃতিক ভাবে যা উৎপাদন হচ্ছে তাই কৃষির অন্তভুক্ত। বর্তমানে সবচে লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় তরুণ প্রজন্ম  এ ব্যবসা শুরু করচে। আজকের পর্বে কৃষিতে বর্তমান সময়ের সবচে লাভজনক ( ১০ ) ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করবো। তো চাইলে আপনি শুরু করতে পারেন এ ব্যবসাটি।

১. কৃষি ফার্ম

যুক্তিসঙ্গত অর্থে কৃষি ফার্ম হলো কৃষিতে ব্যপক ভাবে ইনবেস্ট করা। এভাবে ব্যবসা করতে হলে আপনাকে বড় আকারে জায়গার প্রয়োজন পড়বে। এভাবে  বিনিয়োগ করে কেউ কৃষি খামার-এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে কৃষি ফার্মে স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন  করতে পারেন তবে রপ্তানী ইচ্ছা থকলে সে অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারেন । এ চাড়া আপনি  দূরবর্তী অঞ্চলে এমনকি আপনি বিতরণ কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করতে পারেন। এ ব্যবসাটি ঠিক মত করতে পারলে এটি হবে বর্তমান সময়ের সবচে লাভজনক ব্যবসা।

২. ভার্মিকম্পোস্ট জৈব সার উৎপাদন

জমিতে ভালো মানের ফসল উৎপাদন  এবং রাসায়নিক মুক্ত  ফসল উৎপাদনে জৈব সারের গুরুত্ব আনেক বেশী। এটির চাহিদা গ্রামে কম থাকলেও শহর বা আর্গানি ফুর্ড খামারীদের জন্য বেশ গুরুত্বপুর্ন। তাই আপনি চাহিদা দিক লক্ষ রেখে জৈব সারের ব্যবসা করতে পারেন। উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করে  ঠিক মত করতে পারলে এটি হবে বর্তমান সময়ের সবচে লাভজনক ব্যবসা।


৩.  পোল্ট্রি ফার্মিং

এটি তিন দশক ধরে একটি প্রযুক্তি-বাণিজ্যিক শিল্প রূপে পরিচিত। এটি কৃষি ও কৃষিকাজ ব্যবসায়ের দ্রুত বর্ধনশীল খাত হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে বর্তমানে সঠিকভাবে পরিকল্পনার অভাব এবং কম মূলধন এর কারনে ব্যবসায়ীরা লোকসানের সমুখীন।


৪. মাশরুম চাষের ব্যবসা

মাশরুম বর্তমানে একটি ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে প্ররিচিত। আপনি যদি এ ব্যবসাটি করতে আগ্রহি হন তাহলে মাশরুম সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখা কোথায় বিক্রি করবেন এবং কিভাবে বিক্রি করবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে  । এ ব্যবসাটি ঠিক মত করতে পারলে এটি হবে বর্তমান সময়ের সবচে লাভজনক ব্যবসা।

৫. হাইড্রোপনিক বৃক্ষের  খুচরা দোকান

এটি একটি নতুন বৃক্ষরোপণ প্রযুক্তি, যেখানে বাণিজ্যিক এবং ঘরের ব্যবহারের জন্য মাটি ছাড়াই বৃক্ষ রোপণ করা যায়। এটি শহরে বেশ পরিচিত। এ ছাড়া অফিস বা বাসা বাড়তে এ সকল গাছের ব্যবহার লক্ষ করা যাচ্ছে।


৬.  মৌমাছি পালন ব্যবসা

মৌমাছি পালনের ব্যবসাটি করা হয় মুলত মধু সংগ্রহ করা এবং বিক্রির জন্য।   বিশ্বব্যাপী মধুর চাহিদা বাড়ছে। ভেজাল মুক্ত মধুর চাহিদা সবখানে সমান। এ ছাড়া আপনি মৌচাক থেকে মোম সংগ্রহ করে বিক্রি করতে পারেন।  তবে ব্যবসাটি শুরুর আগে এ বিষয়ে ধারণা রাখতে হবে ।এ ব্যবসাটি ঠিক মত করতে পারলে এটি হবে বর্তমান সময়ের সবচে লাভজনক ব্যবসা।


৭.  মৎস্য চাষ এর ব্যবসা

এ ব্যবসাটি সম্পর্কে আমাদে সবার ধারনা রয়েছে। তবে নতুন করে চিন্তা করে শুরু করেলে লোকশানের সমুখীন হতে হবে না। এই ব্যবসাটি বছরের যে কোনও সময় করা যেতে পারে। বর্তমান সময়ের বায়োপ্লক ও আর এস বা খাচায় মাচ চাষ করে লাভবান হতে পারেন।

৮. ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানি

স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ফল ও সবজি সংগ্রহ করে রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এ ব্যবসাটি শুরু করতে হলে ভালোমানের সবজির সংগ্রহ থাকতে হবে। তবে যেগুলো সহজে নষ্ট হয়ে যায় সেগুলো সংগ্রহ করবেন না।

 ৯. ঝাড়ু উৎপাদনের ব্যবসা

এটি একটি ভাল এবং লাভজনক ব্যবসায়ের ধারণা, কারণ ঝাড়ু পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি একটি সহজ ব্যবসা।  নারকেল গাছের পাতা থেকে সলা বের করে এটি তৈরী করা হয়। এছাড়া আরো একটি ঝাড়ু রয়েছে যা কাশপুল জাতীয় গাছ থেকে তৈরী। এ ছাড়া আপনি নিজে বিক্রি করে বা পাইকারি বিক্রি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তো এ ব্যবসাটি ঠিক মত করতে পারলে এটি হবে বর্তমান সময়ের সবচে লাভজনক ব্যবসা।

১০. চিনা বাদাম, কাজু বাদাম প্রক্রিয়াজাত করন ব্যবসা

এটি বর্তমানে সবচে লাভজনক ব্যবসা। বাদাম আমরা সকলের প্রিয় খবার। এর চাহিদা সব সময়ে সমান। তাই আপনি এ চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে শুরু করতে পারেন এ ব্যবসাটি।

(উপরুক্ত আইডিয়া থেকে যদি কোন আইডিয়া আপনার কাছে ভালো লাগে এবং সেই আইডিয়া অনুযায়ী  ব্যবসা শুরু কর‍তে চান তাহলে আবশ্যই  বিস্তারিত যেনে শুরু করবেন কারণ আইডিয়া গুলো সংক্ষিপ্ত)

ব্যবসাকে ভলোবাসুন সফলতা একদিন আসবেই। আজকের পর্বের আইডিয়াটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

বিস্তারিত
কিভাবে ই বাই ক্যাশ ওয়ালেট দিয়ে পেমেন্ট করবেন ? How to pay by eibbuy cash wallet
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অনলাইনে ক্রয় বিক্রয় করটা অনেক রিস্কের। অনেক সময় বিক্রেতা প্রতারণা করে আবার অনেক সময় ক্রেতা প্রতারণা করে। অনলাইনে প্রতারণা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। এই প্রতারণা যে কেবল আমাদের দেশীয় কোম্পানি গুলিই করে থাকে সেটা নয়। এই প্রতারণা বিদেশী ওয়েবসাইট গুলিতেও হয়ে থাকে। যেমন আলিবাবা বা ইন্ডিয়া মার্ট । অনলাইনে এই প্রতারণা থেকে বাঁচতে ই বাই বিশেষ এক ধরনের পেমেন্ট সিস্টেম তৈরি করেছে। যেখানে ক্রেতা বিক্রেতা সবাই সুরক্ষিত ।

কিভাবে কাজ করবেন এই পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে
প্রথমে ক্রেতা বিক্রতাকে কোন পণ্যের ব্যাপারে ই বাই তে ম্যাসেজ করে দাম দর ঠিক করবেন। দর দাম ঠিক হলে বিক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রির একটি ফর্ম ওপেন হবে  যেখানে অটো একটা ইনভয়েস নাম্বার #EIB-7 সাথে ইনভয়েস ডেট 2020-03-29 সময় 1:46 AM দেখাবে এবং অর্ডারটির অবস্থা Pending দেখানো হবে।  এবার সাপ্লায়ার তার ক্রেতার সাথে নির্ধারণ করা পণ্যের পরিমান এবং দাম লেখে অর্ডার কনফার্ম করবেন।

এবার ক্রেতা তার অর্ডারটি মেসেজ বক্স থেকে কনফার্ম করার জন্য Pey Now বাটনে ক্লিক করবেন। যদি ক্রেতার বালান্সে টাকা থাকে তবে পেমেন্ট কনফার্ম হয়ে যাবে।
বালান্সে টাকা না থাকলে EIBBUY Cash Wallet গিয়ে বিকাশ অথবা ব্যাংক থেকে টাকা রিচার্জ করে নিতে হবে। টাকা রিচার্জ করা খুব সহজ কাজ। আমাদের দেয়া মোবাইল নাম্বার বা ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দিয়ে রিচার্জ করুন বাটনে ক্লিক করে জমা দেয়া টাকার সবগুলি তথ্য পুরন করে দিন।
আমরা ম্যানুয়ালি সব চেক করে আপানার একাউন্টে টাকা অ্যাড করে দিবো।

ক্রেতা পেমেন্ট করার সাথে সাথে কিন্তু বিক্রেতার একাউন্টে পণ্যের টাকা জমা হবেনা। পেমেন্ট হয়ে গেলে বিক্রেতা দেখতে পাবে যে আপনি তাকে পেমেন্ট করেছেন। কিন্তু বিক্রেতার আকাউন্ট ফাঁকা।  আপনি যখন পণ্য বুঝে পাবেন তখন কনফার্ম বাটনে ক্লিক করলেই বিক্রেতা আপনার টাকা তার একাউন্টে পেয়ে যাবে।
তবে আপনি চাইলে লেনদেন টি ইনভয়েস আকারে প্রিন্ট করে রাখতে পারবেন। যাতে পরবর্তী কোন সমস্যায় প্রমান হিসাবে রাখতে পারেন। অথবা আপনার পণ্যের হিসাব রাখতে সুভিধা হবে।

যদি ক্রেতা পণ্য সঠিক ভাবে না পায় তবে অ্যাডমিন প্যানেলে অভিযোগ করলে ক্রেতা তার টাকা রিফান্ড পাবে।  সে ক্ষেত্রে আপনাকে পণ্য খারাফ, সঠিক পণ্য পান নাই অথবা যে কোন সমস্যা পণ্য হাতে পাওয়ার ১ কর্ম দিবসের মধ্যে আমাদেরকে এবং সেলারকে অবহিত করতে হবে। তবে ভুয়া কোন অভিযোগ করলে সেটা খতিয়ে দেখা হবে।

EIBBUY Cash Wallet পেমেন্ট সিস্টেম টা ঠিক এল সি করার মত । ক্রেতা বিক্রেতা সবাই এখানে নিরাপদ।
আলিবাবা, ইন্ডিয়া মার্ট এই পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে ক্রেতাদের সুরক্ষা দিয়ে থাকে। তাই আপনাদের নিরাপত্তার জন্য EIBBUY Cash Wallet ব্যবহার করুন। 

সেলার যখন তার EIBBUY Cash Wallet এ জমা টাকা উঠাতে চাইবেন তখন কেবল Payments বাটনে ক্লিক করে টাকা গ্রহন মাধ্যমের সকল তথ্য দিয়ে দিবেন।
ইসলামি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া বা বিকাশ হলে ১ দিনেই পেয়ে যাবেন। অন্য ব্যাংক হলে সময় লাগতে পারে।
এই পেমেন্ট সিস্টেমে ক্রেতা বিক্রেতা সবাই নিরাপদ। তবে আপানদের ক্রয় বিক্রয়ের সকল কথা মেসেজ আমাদের ওয়েবসাইটের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে করতে হবে। ওয়েবসাইটের বাইরে অন্য কোন মেসেঞ্জারে বা মোবাইলে কথা বলার স্ক্রিন শর্ট বা ভয়েস রেকর্ড টাকা বা পণ্য রিফান্ড করার প্রমান হিসাবে গ্রহন যোগ্য হবেনা। 
বিস্তারিত
শুরু করুন লাভজনক পাইকারি ব্যবসা wholesale business

বাংলাদেশে গতানুগতিক ব্যবসায় পাইকারি ব্যবসা একটি গুরত্ত পূর্ণ ভুমিকা রাখে । পাইকারি ব্যবসা তারাই করতে পারবেন যারা অনেক বেশী টাকা  ইনভেস্ট করে ব্যবসা করতে চান। এই ব্যবসায় পুঁজি অনেক বেশী ইনভেস্ট করতে হবে কিন্তু লাভ খুব সীমিত আকারে আসবে। পাইকারি ব্যবসা করতে হলে আপানকে আগে থেকেই নির্ধারণ করে নিতে হবে কোন যায়গায় আপনি ব্যবসাটি করতে চান। গ্রামের ছোট খাট বাজারে পাইকারি ব্যবসা দেয়াটা তেমন একটা লাভজনক হবেনা। কারন পাইকারি ব্যবসা দেয়ার জন্য এমন একটা জায়গা বেছে নিতে হবে যেখানে সকল খুচরা বিক্রেতাগণ
পাইকারি পণ্য ক্রয় করতে আসে। পাইকারি ব্যবসা দেয়ার জন্য উৎকৃষ্ট স্থান হলো থানা শহর, জেলা শহর বা বিভাগীয় শহর গুলি।

পাইকারি ব্যবসায় কেমন ইনভেস্ট লাগবে?
পাইকারি ব্যবসা দিতে কেমন ইনভেস্ট করা লাগবে সেটা নির্ভর করে আপনার পণ্য, স্থানের উপর। আপনি যদি পাইকারি ব্যবসা কোন থানা শহরে খুলেন  তবে আপনাকে তেমন বেশী ইনভেস্ট করতে হবেনা। যদি মুদি মালের পাইকারি ব্যবসা করতে চান তবে ১০-১৫ লাখ টাকা মূলধন হলেই হবে। মুদি মালের পাইকারি ব্যবসা করার একটা বড় সুভিধা রয়েছে। আপনার ব্যবসাটা যদি পপুলার কোন যায়গায় হয় তবে বিভিন্ন কোম্পানি বাকিতে পণ্য সরবরাহ করে যাবে।
বড় বড় ভোগ্য প্রতিষ্ঠান যেমন প্রাণ, ফ্রেস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান আপনার পাইকারি ব্যবসায় বাকিতে পণ্য দিয়ে যাবে। তবে আপনি যদি কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা করতে চান তবে আপনাকে অনেক বেশী ইনভেস্ট করতে হবে। কারন কাপড় পাইকারি পাওয়া যায় ঢাকার ইসলামপুর । সেখানে আপনি পরিচিত না হলে বাকিতে পণ্য দিবেনা । কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে ২০-৩০ লাখ টাকা আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে।

পাইকারি ব্যবসায় কেমন লাভ হবে?

পাইকারি ব্যবসা করলে আপনি খুচরা ব্যবসার মত লাভ করতে পারবেন না। পাইকারি ব্যবসাতে ১-৫% লাভ করতে পারবেন আপনি। এখানে লাভ বেশী করতে পারবেন না আপনি। তবে বিক্রি বেশী হয় বিধায় পাইকারি ব্যবসা করে লাভ অনেক বেশী হয়। ১ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করতে পারলে আপনি ১০০০-৫০০০ টাকা সর্বোচ্চ লাভ করতে  পারবেন। আর পাইকারি ব্যবসায় প্রতিদিন ১ লাখ টাকা বিক্রি করা খুবই স্বাভাবিক ব্যপার। এই হিসাবে আপনি মাসে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।

পাইকারি ব্যবসায় সমস্যা
পাইকারি ব্যবসা করতে ইনভেস্ট যেমন বেশী তেমনি পাইকারি ব্যবসায় সমস্যাও অনেক বেশী। পাইকারি দোকানের ভাড়া অনেক বেশী। আর কর্মচারী অনেক বেশী রাখতে হয়। যদি কোন কারনে দোকান বন্ধ থাকে তবে লস অনেক বেশী হয়ে যাবে। এছাড়া এই ব্যবসায় অনেক বেশী বাকি থাকে। খুচরা দকানদাররা অনেক সময় পাইকারি ব্যবসা থেকে পণ্য বাকি নেয়। তবে এই বাকি টাকার ২০% আর ফিরে পাওয়া যায় না । প্রতি বছর ভালো একটা পরিমাণ আপনাকে লস হিসাবে ছেড়ে দিতে হবে।

বিস্তারিত
অল্প টাকা দিয়ে গোল্ড স্পেশাল চায়ের ডিলার হয়ে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করুন Gold Special Tea

সরাসরি যোগাযোগ করতেঃ ০১৭৫২১২৮৮৯৪

চা একটি তৃপ্তিদায়ক পানীয়। বিশ্বের প্রায়  প্রতিটি দেশে চা এর প্রচলন রয়েছে। আমাদের দেশে অসংখ্য চায়ের দোকান রয়েছে। আর এ সব দোকানে প্রয়োজন হচ্ছে চা পাতা। বর্তমানে ছোট বড় মিলিয়ে অসংখ্য চা পাতা বিপনন কারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চা পাতার চাহিদা বেশী হওয়ায় বিক্রির ঝামেলা কম। এ ব্যবসাটি শুরু করতে আপনার তেমন বেশী পুজির প্রয়োজন হবে না। তো আপনি চাইলে গ্রামে বসে এ ব্যবসাটি শুরু করে মাসে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে  পারবেন।


কিভাবে শুরু করবেন??

প্রথম অবস্থায় আপনার গ্রামে দিয়ে এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আপনার আশে পাশের এ রকম ২০ টি চায়ের দোকান, এবং ৫০ টি মুদির দোকান ঠিক করবেন। যারা আপনার কাছ থেকে ১ কেজি বা আধা কেজি চা পাতা নিবে। প্রথমে একটু কষ্ট হবে। তবে আপনার প্রচার এর উপর কাস্টমার বাড়বে। মার্কেট প্লেস ভালোবাবে সৃষ্টি হলেই এ ব্যবসাটি শুরু করবেন।



কিভাবে বিক্রি করবেনঃ

বাজারে আনেক নামী দামী কম্পানির চা পাতা রয়েছে, তাই তাদের সাথে প্রতিযোগিতা দিতে হলে আপনাকে মানসম্মত চা পাতা ক্রয় করতে হবে এবং তাদের চেয়ে একটু কম দামে ছাড়তে হবে। বাজারে সাধারণত ১ কেজি বা আধা কেজি চা পাতার প্যকেট বেশি প্রচলিত। চেস্টা করবেন অন্যদের চেয়ে একটু ভিন্ন ভাবে তৈরি করতে। প্রথমিক আবস্থায় কিছু পুরুস্কার এর ব্যবস্থা রাখতে পারেন।  এতে আপনার বিক্রি বেশী হবে।


কোথায় থেকে পাইকারি চা পাতা কিনবেন??

চা পাতার বড় পাইকারি বাজার হলো, সিলেট ও  চট্টগ্রাম। এ ছাড়া দেশের ভিবিন্ন স্থানে ডিলারা পাইকারি দরে বিক্রি করে থাকে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে  পারেন।


বাংলাদেশে খান কনজুমার প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছে গোল্ড স্পেশাল চা।  সরাসরি বাগান থেকে আহরন করে তৈরি করা হয় উন্নত মানের গোল্ড স্পেশাল চা ।আপনি নতুন করে প্যাকেট করা লাগবেনা।


কত টাকা ইনভেস্ট কর‍তে হবে??

প্রাথমিক অবস্থায় আপনি গোল্ড স্পেশাল চা ৫০ কেজি কিনে শুরু করতে পারবেন তবে আপনি পাইকারি বাজার দর  প্রতি কেজি  গোল্ড স্পেশাল চা ৩০০ টাকা করে কিনতে পারবেন। মোট ১৫০০০ টাকা দিয়ে আপনি ডিলার নিয়ে শুরু করতে পারবেন। প্রতি কেজি গোল্ড স্পেশাল চা দোকানদারদের কাছে বিক্রি করবেন ৩৫০ টাকা করে । কেজি প্রতি আপনি লাভ করতে পারবেন ৫০ টাকা করে । ৫০ কেজি গোল্ড স্পেশাল চা বিক্রি করে আপনি ২৫০০ টাকা খুব সহজেই লাভ করতে পারবেন।  চায়ের গায়ে খুচরা মূল্য ২০০ টাকা হাফ কেজি। প্রতি কেজি ৪০০ টাকা করে বিক্রি হবে। প্রতিদিন যদি ২০ জন চা দোকানদারের কাছে পাইকারি দরেও ২০ কেজি চা পাতা দিতে পারেন তবে প্রতি দিন আপনি ১০০০ টাকা করে আয় করতে পারবেন। আর মাসে ১৫-২০০০০ টাকা আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।


কিভাবে খান কনজুমার প্রোডাক্টের গোল্ড স্পেশাল চায়ের ডিলার হবেন?

গোল্ড স্পেশাল চায়ের ডিলার হওয়া খুব সহজ কাজ। যে কেউ চাইলে এই প্রডাক্টের ডিলার হতে পারবেন। মাত্র ৫০ কেজি চা পাতা ক্রয় করতে হবে আপনাকে।  খান কনজুমার প্রোডাক্ট আপনার ঠিকানায় পণ্য পাঠিয়ে দিবে। টাকা লেনদেন খুব নিরবিগ্নে করতে পারবেন। যদি কোন প্রকার প্রবলেম মনে করেন তবে আমাদের মাধ্যমে করতে পারেন। আমরা আপনাকে পণ্য পাবার নিশ্চয়তা দিবো। কোন ফি দিয়া লাগবেনা।

বিস্তারিত
Alibaba & Import Export Expert

আমদানি,রপ্তানি,আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন।

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js