আলিবাবা থেকে পণ্য ক্রয় করতে যে সাবধানতা অবলম্ভন করা জরুরি ।। Awerness about buy from alibaba.com

আলিবাবা থেকে পণ্য ক্রয় করতে যে সাবধানতা অবলম্ভন করা জরুরি ।। Awerness about buy from alibaba.com


Posted on: 2020-03-21 23:38:46 | Posted by: eibbuy.com
আলিবাবা থেকে পণ্য ক্রয় করতে যে সাবধানতা অবলম্ভন করা জরুরি ।। Awerness about buy from alibaba.com

আলিবাবা কিন্তু ১০০% সেফ কোন প্রতিষ্ঠান না। আপনি চাইলে এখান থেকে ব্যবসা করে কোটি পতি হতে পারবেন আবার কপাল মন্দ হলে কিন্তু আপনি ফকির হয়ে জেতে পারেন।

আলিবাবা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিটুবি ওয়েবসাইট অর্থাৎ সেখান থেকে সারা বিশ্বের মানুষ পাইকারি পণ্য বাই সেল করে থাকে । আলিবাবাতে শুধুমাত্র যে চায়না সাপ্লাইয়ারাই এটা নয়। বরং  এখানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন । আলিবাবাতে অনেক ধরনের সাপ্লায়ার রয়েছে যেমন গোল্ড ভেরিফাইড  সাপ্লায়ার, ভেরিফাইড সাপ্লায়ার । এই সমস্ত সাপ্লায়ারের থেকে আপনাকে খুব ভালোভাবে বেছে নিতে হবে কাদের থেকে আপনি পণ্য ক্রয় করবেন ।
 এ ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সাবধান হতে হবে।  না হলে কিন্তু আপনি আলীবাবার সাপ্লায়ারের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে যেতে পারেন।

আলিবাবা যেহেতু চাইনিজ একটা প্রতিষ্ঠান এবং বর্তমানে চায়নাতে যাওয়া-আসার বন্ধ রয়েছে সুতরাং আমাদেরকে খুব ভালোভাবে সাপ্লায়ার দেখে নিতে হবে এবং জানতে হবে সাপ্লায়ের সম্পর্কে জেনে তারপরে সেখানে আমাদের অর্ডারটা প্লেস করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের অনেক কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যে সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করলে আমরা আমাদেরকে প্রতারণার হাত থেকে ব্যবসাকে বাঁচতে পারবো। প্রথম যে সাবধানতা টা সেটা হচ্ছে আলিবাবাতে যে সাপ্লায়ার থেকে আপনি পণ্য ক্রয় করতে চান সেই সাপ্লায়ার কে অবশ্যই ভেরিফাইড সাপ্লায়ার হতে হবে অর্থাৎ আপনারা যখন আলিবাবা অ্যাপসের মধ্যে যাবেন তখন দেখবেন যে আলিবাবার একটা ভেরিফিকেশন সাইন প্রোডাক্ট এর নিচে দেয়া থাকবে । তখন আপনারা সেই সাপ্লায়ার থেকে নিরাপদে নিশ্চিন্ত মনে প্রডাক্টস ক্রয় করতে পারেন।  

ভেরিফাইড সাপ্লায়ার কিভাবে চিনবেন ?
ভেরিফাইড সাপ্লায়ার আলিবাবাতে কারা এটা চিনার জন্য আপনাকে বেশ কিছু টেকনিক অবলম্বন করতে হবে । প্রথমে আপনি দেখতে পাবেন যে আলিবাবাতে প্রত্যেকটা সাপ্লাই এর নিচে আপনার প্রোডাক্টের নিচে তাদের ভেরিফিকেশন মার্ক দেওয়া থাকবে।  এছাড়া সেখানে দেওয়া থাকবে  যে তারা কত বছরের গোল্ড সাপ্লায়ার এবং কত বছর ধরে তারা আলিবাবাতে রয়েছে। সেখানে আরো দেওয়া থাকবে তারা কত বছর ধরে আলিবাবাতে ব্যবসা করতেছেন এবং তাদের ব্যবসার ধরন টা কি, তাদের নিজস্ব পণ্য আসলে কি ইত্যাদি লেখা থাকবে ।
সেখানে তাদের বাৎসরিক ট্রান ওভার কত টাকা এবং তারা কি পরিমাণ প্রোডাক্ট সেল করে থাকে  সেটাও আপনি দেখতে পাবেন । আবার তাদের রেসপন্স রেট অর্থাৎ আপনি  কোন বিষয়ে তাদের কাছ থেকে চাইলে তারা কত সময়ের মধ্যে আপনাকে হচ্ছে ম্যাসেজের উত্তর গুলো দেয় সেটাও দেখে নিতে পারেন ।

মোটামুটি যারা  উপরের বিষয়ে খুব ভালো,  তাদের থেকে প্রডাক্টস ক্রয় করতে পারেন। তবে সর্বনিম্ন একবছর ভেরিফিকেশন থাকতে হবে এই বিষয়টা আপনারা খেয়াল রাখবেন । যদি এক বছর ভেরিফিকেসন হয় তাহলে ধরে নিবেন যে এদের থেকে যে প্রোডাক্ট আপনি ক্রয় করবেন সেটা ভালো মানের প্রোডাক্ট ।

এক্ষেত্রে মিনিমাম একবছর ধরে যারা আলিবাবার সাপ্লায়ার তাদের থেকে আপনারা প্রডাক্টস ক্রয় করতে পারেন ।  এরপরে আপনারা তাদের থেকে জেনে নিবেন যে তাদের পেমেন্ট মেথড কি ধরনের হতে পারে , যদি তারা আপনাকে আলিবাবার ট্রেড অ্যাসিউরেন্স যে পেমেন্ট মেথড রয়েছে সেটা দিয়ে পেমেন্ট নিতে চায় তাহলে আপনি ধরে নিবেন যে তারা হচ্ছে ভেরিফাইড কিন্তু কিছু কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা এই ধরনের পেমেন্ট মেথড গুল নিতে  চায় না তারা হচ্ছে অন্যপথে যেমন ধরুন বিটকয়েনে তারা পেমেন্ট নিতে চায় বা আপনি পেমেন্ট নিতে চাই এই ধরনের পেমেন্ট মেথড গুল আপনারা ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন  এবং এই ধরনের সাপ্লায়ারের সাথে আপনারা কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।

অনেকে আবার বলে যে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বা মানিগ্রামে আপনার পেমেন্ট পাঠানোর জন্য ।
এই সকল পথে যদি আপনি তাদেরকে টাকা পাঠান সেক্ষেত্রে যেটা হবে যে তাদের সাথে এসব ট্রানজেকশনের কোন প্রমাণ পত্র থাকবে না । সুতরাং এটা প্রমাণ
 না থাকলে তারা যদি অস্বীকার করে যে আমরা আপনাকে প্রোডাক্ট টা দেবো না আপনার থেকে টাকাটা পাই না তখন আপনার কিছু করার থাকবে না। এর পরে অনেকে আবার  এল সি, টিটি এগুলো রিসিভ করে না, তারা চাইবে যে বিটকয়েনে আপনি তাদেরকে পেমেন্ট করেন যেমন আফ্রিকান কিছু সাপ্লায়ার রয়েছে যারা বিভিন্ন টাইপের প্রোডাক্ট  অনেক কমে বিক্রি করে তারা আপনাকে বলবে যে না আমরা কার্ডে পেমেন্ট নিব না আপনি আমাদেরকে বিটকয়েনে দেন এই ধরনের সাপ্লায়ের প্রডাক্টস ক্রয় করা হতে বিরত থাকবেন।  

আবার অনেক প্রোডাক্ট আছে যেগুলো আপনারা ক্রয় করা হতে বিরত থাকবেন।  যেমন লাইভ এনিমেল এর ক্ষেত্রে আলিবাবাতে অনেক ধরনের সাপ্লাইয়ার থাকে যারা  লাইভ এনিমেল বিক্রয়ের নামে এড দিয়ে থাকে । যেমন ধরুন উটের বাচ্চা, বিভিন্ন সৌখিন পাখির বাচ্চা । আফ্রিকা থেকে অনেক সাপ্লায়ার  
কম দামে তারা সেটাকে সেল এর জন্য বলে থাকে। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে এসব লাইভ এনিমেল বাংলাদেশে পাঠানো কোনভাবেই সম্ভব নয় এবং এই সমস্ত পশুপাখি  বাংলাদেশ পাঠালেও আপনারা ক্লিয়ারেন্স করতে পারবেন না । তো এরা যেটা করবে যে এই টাকা পয়সা নিবে এরপরে আপনাদেরকে বলবে যে তোমাদের দেশে এই পণ্য পাঠানো যাবে না ।  তুমি এটা আমরা নিতে পারবে না ।

আবার অনেক সময় বলে যে আমরা পাঠিয়েছি সেটা তোমাদের দেশের কাস্টমস আটকে দিয়েছে বাট আমাদের দেশের কাস্টমসে এসেছে সেটা
তোমরা নিতে পারবে না এই ধরনের পণ্য আপনারা আলিবাবা থেকে ক্রয় করবেন না। আবার আলিবাবা থেকে আপনারা ইলেকট্রনিক্স পণ্য ক্রয় করা থেকে বিরত থাকবেন যেমন ঘড়ি  মোবাইল এ ধরনের প্রোডাক্ট ।

এক্ষেত্রে অনেক সময় তারা রেপ্লিকা পণ্য পাঠিয়ে দেয় যেটা হয়তো আপনি দেখবেন যে অরজিনাল প্রোডাক্ট, অনেক সুন্দর, অনেক ফিচার রয়েছে কিন্তু রেপ্লিকা প্রোডাক্ট । কিন্তু এসব পণ্য যদি আপনি নিয়েই আসেন তখন প্রতারিত হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।  
    
আলিবাবা থেকে পণ্য ক্রয় কয়ার আগে অবশ্যই সাম্পল আমদানি করার চেষ্টা করবেন। ওরা সাধারনত সাম্পাল ফ্রিতে দিবে। এক্ষেত্রে আপনাকে কেবল ট্রান্সপোর্ট ফি দিলেই হবে।  তবে অদের সাথে ফাইনাল না হয়ে আপনার ঠিকানা শেয়ার করবেন না। অনেক সময় এমন হয় যে ওরা আপনাকে না বলেই স্যাম্পল পাঠিয়ে দিবে।

একটা সাম্পাল আমদানি করতে আপনাকে অনেক টাকা পরিশোধ করতে হবে। যেমন আপনি এক ডজন কাঠ পেন্সিল স্যাম্পল ক্রয় করতে চান, তবে আপনাকে DHL,FEDEX,TNT,UPS  কে ফি বাবদ ২০০০ টাকা ফি গুনতে হবে। কাস্টমস ও সি এন্ড এফ ফি বাবদ আরও ২০০০ টাকা। মোট চার হাযার টাকা । সুতরাং সাম্পাল আনতে সাবধান। তবে DHL  এ যদি আপনার পারমানেন্ট আকাউন্ট না থাকে তাহলে তারা বাকিতে পণ্য আনেনা। অর্থাৎ সেলার আপনাকে DHL ফি বাকি রেখে পণ্য পাঠাতে পারবেনা।


Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:

Comment as:

alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js